পারিবারিক কারণে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সাকিব আল হাসান দলের সঙ্গে না থাকলেও কথা ছিল ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা সফরে মাঠে নামার। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পাঁচ দিন আগে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সংশয় জাগে চট্টগ্রাম টেস্টে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে।
ম্যাচ শুরুর দুই দিন আগে করোনা নেগেটিভ হলেও সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠেহ নামার জন্য সাকিবকে উৎরাতে হবে ফিটনেস টেস্টে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের সার্ভিস পাবে জাতীয় দল।
বোর্ড সভাপতি থেকে শুরু করে হেড কোচ; সবাই এক প্রকারে ধরেই নিয়েছেন সাকিবকে পাওয়া যাবে না চট্টগ্রাম টেস্টে। তাই তাকে বাদ দিয়েই সাজানো হচ্ছে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের রণ পরিকল্পনাও।
শুক্রবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলনের পর সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই ইঙ্গিত দেন প্রোটিয়া এই কোচ।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘তার (সাকিবের) ফিটনেস পরীক্ষা করতে হবে। ওকে আগামীকাল (শনিবার) আমরা দেখব। ও দুই তিন-সপ্তাহেরও বেশি সময় ব্যাটিং বা বোলিং কিছুই করেনি। হুট করে এসে পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচ খেলা কঠিন। একইসঙ্গে আমাদের পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুই চিন্তা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট স্বভাবতই বেশ কঠিন। আমার নিজেরও কোভিড হয়েছিল। আমি জানি কতটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয়। পাশাপাশি নেগেটিভ হওয়ার পর শরীরেও তেমন একটা শক্তি পাওয়া যায় না। এটা টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে ম্যাচ নয়। এখানে প্রায় ৬ ঘণ্টা মাঠে থাকতে হয়। অনেকটা সময় পুরো পাঁচদিনই। এসব বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।’
যদি সাকিব ফিটনেস টেস্টে উৎরাতে না পারেন, সেক্ষেত্রে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের বিকল্প হিসেবে একাদশে জায়গা করে নিতে পারেন ইয়াসির আলি রাব্বি অথবা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
তবে এই দুইজনের ভেতর মোসাদ্দেককে একাদশে জায়গা করে নেয়ার দৌড়ে এগিয়ে রাখছেন ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা তাকে (সাকিবও) পেতে চাই। সর্বকালের অন্যতম সেরা একজন ক্রিকেটার সে। কিন্তু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে সে যেন তার পারফর্ম করার সকল সুযোগ পায়। আমাদের দেওয়া ভূমিকায় সে যেন পারফর্ম করতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
‘বোলিং করতে পারে এমন কাউকে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। এটা আমাদের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। যেমন আমাদের ইয়াসির আলী রাব্বী আছে। যে কিনা দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্তু আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন যে কিনা ১৫-২০ ওভার বোলিং করতে পারে। মুমিনুল আমি নিশ্চিত না যে ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে। শান্তও বোলিং করে কিন্তু ৬-৭ ওভারের বেশি নয়। আমরা শেষ দুই বছরই ৬-৭ নম্বরে ব্যাটিং এবং ১০-১৫ ওভার বোলিং করতে পারে এমন কাউকে খুঁজছি। সেক্ষেত্রে মোসাদ্দেককে বেশ কিছুটা এগিয়ে রাখব আমি’, তিনি যোগ করেন।
১৫ মে মাঠে গড়াবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। এই ম্যাচকে সামনে রেখে শনিবার দলের সঙ্গে যোগ দিবেন সাকিব আল হাসান। সেখানে তার ফিটনেস দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়া হবে চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব থাকছেন কিনা।
আরও পড়ুন:ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সম্মাননা দেয়ার জন্য রয়েল চ্যালেঞ্জার বেঙ্গালুরু প্রথমবারের মত চালু করল ‘হল অফ ফেইম’। আইপিএলকে জনপ্রিয় করার পেছনে এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ক্রিস গেইলের অবদানকে সম্মান দিতেই দলের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি এ ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার প্রথম আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে ‘হল অব ফেইম’ স্থান পেলো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মারকুটে দুই ব্যাটার। আরসিবির হয়েও দীর্ঘদিন খেলেছেন দুই তারকা।
ফ্র্যাঞ্চাইজির ওয়েবসাইটে কোহলি বলেন, ‘এবি তার উদ্ভাবন, বুদ্ধিমত্তা ও খেলাধুলা দিয়ে ক্রিকেটকে সত্যিই পরিবর্তন করেছেন, যা আরসিবির সাহসী খেলার দর্শনকে সংজ্ঞায়িত করে।’
আইপিএলের শুরু থেকেই এই দুই হার্ড হিটার ব্যাটার যেভাবে দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছেন তার ব্যাখ্যা দিয়ে কোহলি বলেন, ‘আপনাদের দুজনের জন্য এটি করতে পারা আমার জন্য সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি ১১ বছর এবিডির সঙ্গে খেলেছি। ৭ বছর ক্রিস গেলের সঙ্গে খেলেছি। দুজনের সঙ্গেই যাত্রা হয়েছিল ২০১১ সাল থেকে। দুজনেই দারুণ পারফর্মার।’
দক্ষিণ আফ্রিকান লিজেন্ড ডি ভিলিয়ার্স ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বেঙ্গালুরুতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে, আর বাঁহাতি গেইল এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন ছয় বছর, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আরসিবি থেকে এই সম্মান পেয়ে গর্বিত দুই তারকা।
বিশেষ সম্মান পেয়ে আপ্লুত গেইল এবং ডি’ভিলিয়ার্স দুজনেই। ডি ভিলিয়ার্স বলছেন, ‘সত্যি কথা বলতে অভাবনীয় অনুভূতি হচ্ছে। আমি এখন ক্রিকেটের বাইরে, এই সম্মান পেয়ে আমি আবেগঘন হয়ে পড়েছি।’
ক্রিস গেইল বলেন, ‘আমি আরসিবিকে ধন্যবাদ জানাব। আমি সবসময় আরসিবিকে আমার হৃদয়ের কাছে রাখব।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে চা বিরতির ঠিক আগে কবজির ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। আঘাত ততটা গুরুতর না হলেও এদিন আর ব্যাটিংয়েই নামেননি বাঁহাতি এই ওপেনার। তার পরিবর্তে চা বিরতির পর মুশফিকের সঙ্গী হিসেবে নামেন লিটন দাস।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তামিমের আঘাত গুরুতর নয়, তিনি জাতীয় দলের ফিজিওর তত্ত্বাবধানে আছেন। তামিমের ভালোর জন্যই তাকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
তামিমের ইনজুরি নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স। বরং তার চিন্তার বিষয় তামিমের শক্তি ধরে রাখা নিয়ে। প্রচণ্ড গরমে তামিম ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ায় শঙ্কায় পড়তে পারে সিরিজের বাকি সময়টাতে তামিমের উপস্থিতি। সে কারণেই সিডন্স চিন্তিত তাকে নিয়ে।
তবে সিডন্স আশাবাদী, দিনের বাকিটা সময়, বিশেষ করে উইকেট না যাওয়া পর্যন্ত তামিম বিশ্রাম নেবেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে ঝরঝরে হয়ে মাঠে নামবেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান সিডন্স।
তিনি বলেন, ‘দুই দিন মাঠে থাকার পর যে ব্যাটিংটা সে করেছে, রানিং বিটুইন দ্যা উইকেট করতে হয়েছে এই গরমে। এমন অবস্থায় শরীরে শক্তি ধরে রাখা কঠিন। আপনারাও যদি এসি রুম ছেড়ে মাঠে যান বুঝতে পারবেন এটা কতটা গরম ও আপনাকে কীভাবে ডিহাইড্রেট করে দেয়। ওর ক্র্যাম্পের বিষয়টা আমি তাই বুঝি। তবে আমার বিশ্বাস, সে কাল ঝরঝরে হয়েই নামবে। সঠিক পরিমাণে খাবার ও পানি খেলে অবশ্যই সে ঠিক হয়ে যাবে।’
তৃতীয় দিন শেষে লঙ্কানদের চেয়ে প্রথম ইনিংসে ৭৯ রান পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। দিন শেষে তিন উইকেটের স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩১৮ রান।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৪ রানে মুশফিকুর রহিম ও ৫৪ রানে লিটন দাস অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে চালকের আসনে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
সফরকারীদের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক দল। দিন শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
মঙ্গলবার বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ১ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কবজিতে আঘাত পান তামিম ইকবাল। ফলে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৩৩ রান। চা বিরতির পর তামিমের পরিবর্তে মুশি মাঠে নামেন লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে।
এরপর দুইজনে মিলে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে নিয়ে যান লিডের দিকে। দিনশেষে এই দুইজনের কল্যাণে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ করে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সিরিজকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দল ঘোষণা করে দেয়া হবে এমনটা নিশ্চিত করা হয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে।
সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। আর ওই সিরিজে প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের ফিরতে যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় লিটন দাস বা নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে পারেন তিনি।
উইন্ডিজ সফরে সাদা বলের দুই ফরম্যাটে ডাকা হচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ইউনূস বলেন, ‘বিজয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আছে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে থাকবে আশা করি। এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। তারপরও আমার মনে হয় তারা কনসিডার করছে, তারা নিশ্চিতভাবে বিজয়কে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দলে রাখছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ারে লিগের (ডিপিএল) সবশেষ আসরে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকানা ছিল এনামুল হক বিজয়ের। ডিপিএল লিস্ট-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এক আসরে ১ হাজার রানের একমাত্র মালিক তিনি। গত আসরে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১ হাজার ১৩৮ রান।
তারই প্রতিদানস্বরূপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ডাক পান তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তাকে দেখা যাবে জাতীয় দলে।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিজয় সবশেষ খেলেন ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর সবশেষ ২০১৫ সালে ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন ডানহাতি এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে লঙ্কানদের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারালেও দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় তিন টপ অর্ডারকে। চা বিরতিতে যাওয়া পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান।
প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের চেয়ে এখনও ১৭৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিরতির আগে কবজিতে আঘাত পাওয়া তামিমের বদলে নেমেছেন লিটন দাস। সঙ্গে রয়েছেন ১৪ রান করা রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ১ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কবজিতে আঘাত পান তামিম ইকবাল। ফলে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৩৩ রান। চা বিরতির পর তামিমের পরিবর্তে মুশি মাঠে নামেন লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে।
আরও পড়ুন:সাদা পোশাকে তামিমের সেঞ্চুরিটা অধরা ছিল ২০১৯ সাল থেকে। এরপর বেশ কয়েকবার শতকের কাছাকাছি গিয়েও সেটি ছোঁয়া হয়নি তার। ৭৪ রানে দুইবার, একবার ৯০ ও একবার ৯২ রানে থামতে হয় দেশসেরা এই ওপেনারকে।
অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। তিন বছরের বেশি সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম।
তার ব্যাটে ভর করে ৫৫ ওভারে ১৭৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম অপরাজিত আছেন ১০১ রানে। তার সঙ্গে মুমিনুল হক খেলছেন এক রানে।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ২ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম সেশন শেষে লঙ্কানদের চেয়ে ২৪০ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫৭ রান।
৮৯ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী জয় খেলছেন ৫৮ রান নিয়ে।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২ তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুইজনের অনাবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
এর আগে বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল; ৩১ রানে মাহমুদুল হাসান জয়।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য