বিশ্বের প্রায় প্রতিটি ক্রিকেট বোর্ড বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের পুরস্কৃত করে আসছে। ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বেলায়। সবশেষ ২০০৭ সালে বিসিবি বর্ষসেরা ক্রিকেটারদের স্বীকৃতি দিতে আয়োজন করে বিসিবি অ্যাওয়ার্ডস নাইট। এরপর বন্ধ হয়ে গেছে এর কার্যক্রম।
সেবার সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন শাহরিয়ার নাফিস। সেরা বোলার ও অলরাউন্ডার হন মোহাম্মদ রফিক। এরপর ১৫ বছর এমন কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করেনি বোর্ড।
১৫ বছর পর এসে আবারও বর্ষসেরা অ্যাওয়ার্ড নাইট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বিসিবি। এমনটা জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জালাল ইউনুস।
তবে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না নতুন করে চলমান বছরের পুরস্কার দেয়া হবে নাকি আয়োজন না হওয়া বছরগুলোকেও বিবেচনায় এনে বড় পরিসরে আয়োজন করবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নিতে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ড নাইটটা আমরা আগে করেছি। অনেকদিনের বিরতি হয়ে গেছে। প্রায় ১৫-১৬ বছর ধরে অ্যাওয়ার্ডটা দেওয়া হচ্ছে না। এটা নিয়ে কয়েকবার বোর্ড মিটিংয়ে কথা বলেছি। পেছন থেকে অ্যাওয়ার্ডগুলো দেয়া শুরু করব নাকি নতুন করে চলমান বছরের অ্যাওয়ার্ড দিব সেটা নিয়ে দ্বিধায় আছি। আমার মনে হয় আপনারা খুব শীঘ্রই এই অ্যাওয়ার্ড নাইটটা দেখতে পারবেন।’
এবার জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে গত ৮ বছরের পুরস্কার এক সঙ্গে দেয়া হয়েছে। সাবেক ক্রিকেটার ও সংগঠক জালাল ইউনুস পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৬ সালের সেরা ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে। এই পুরস্কার তাকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে বলে জানান তিনি।
আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং তালিকায় উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
তামিম ১৩৩ ও মুশফিক ১০৫ রান করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানও পূর্ণ করেন মুশফিক। ঐ ইনিংসে ৮৮ রান করেন লিটন। ফলে আইসিসি তালিকায় উন্নতি হয়েছে এ তিন ব্যাটারের।
বুধবার প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ থেকে ২৭ তম অবস্থানে উঠে এসেছেন তামিম। তিন ধাপ উঠে এসেছেন লিটন দাস। ৬৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ১৭ নম্বরে অবস্থান করছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে অবস্থান করছেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রাম টেস্টে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম হাসান। একই সঙ্গে বল হাতে আলো ছড়ান সাকিবও।
দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিক। শতক হাঁকিয়েছেন লিটন দাসও। দলকে খাদের কিনারা থেকে এই দুই ব্যাটার টেনে নিয়ে গেছেন নিরাপত্তার দিকে।
সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে তামিম, লিটন, মুশফিক, সাকিব ও নাঈমের।
হালনাগাদ হওয়া বোলারদের নতুন র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৫৭০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান ২৯ নম্বরে। আর র্যাঙ্কিংয়ে ৯ ধাপ উন্নতি করে ৫৩তে অবস্থান করছেন নাঈম।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টি বাধায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টিতে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে মাঠে নেমেছে দুই দল। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটের খরচায় ২১০ রান।
দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারে কাসুন রাজিথাকে ফিরিয়ে শুভসূচনা করেন এবাদত হোসেন। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে বোল্ড করে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার।
এরপর বেলা ১২টায় বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সেই সময় ঘোষণা করা হয় মধ্যাহ্ন বিরতিও। ৪০ মিনিট বিরতির জন্য নির্ধারিত থাকলেও বৃষ্টি না থামায় মাঠে নামা হয়নি ক্রিকেটারদের। একইসঙ্গে বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় পুরো দ্বিতীয় সেশনের খেলা।
বৃষ্টি থামার পর ২টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয় মাঠের কভার সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটে শুরু হয় তৃতীয় সেশনের খেলা।
আরও পড়ুন:ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন আঘাত হেনেছে বৃষ্টি। বেলা ১২টায় বৃষ্টি হানা দেয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা। আম্পায়াররা মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা করে দেন। এরপর বৃষ্টি না কমায় দ্বিতীয় সেশনেও আর খেলা হয়নি।
বুধবার প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটের খরচায় ২১০ রান। এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ১৫৫ রানে পিছিয়ে আছে লঙ্কানরা।
দিনের প্রথম ওভারে কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে বোল্ড করে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটল শ্রীলঙ্কার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:ঘরের উইকেটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই লঙ্কানদের দুই উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার শিবিরে দিনের শুরুতে এবাদতের আঘাতের পর উইকেট পেয়েছেন সাকিব আল হাসান।
দিনের প্রথম ওভারেই কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত। দ্বিতীয় বলেই তাকে বোল্ড করে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এরপর উইকেটের এক প্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ কারুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটল শ্রীলঙ্কার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই বাংলাদেশের হয়ে শুভ সূচনা করেছেন পেইসার এবাদত হোসেন। দিনের প্রথম ওভারেই কাসুন রাজিথাকে ফিরিয়ে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের। এর মধ্য দিয়ে ১৪৪ রানে তিন উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা।
১৪৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিনের প্রথম বলে দিমুথ কারুনারত্নে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যাট করতে পাঠান রাজিথাকে।
দ্বিতীয় বলেই তাকে বোল্ড করেন এবাদত। আর সেই সঙ্গে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের করা প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলীয় সংগ্রহ ১৪৩ রান তুলতে তাদের হারাতে হয়েছে মাত্র দুটি উইকেট।
কাগজ-কলমের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দিন শেষ করলেও জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস মনে করছেন বাংলাদেশের চেয়ে এখনও শ্রীলঙ্কা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
হোম অফ ক্রিকেটে প্রথম দুই দিনের খেলার প্রথম সেশনে বোলারদের রাজত্ব থাকলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লাটা ভারী হয় ব্যাটারদের দিকে। আর তৃতীয় দিনের শুরুতে সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে নিজেদের আরও একধাপ এগিয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন লিটন।
পাশাপাশি প্রথম ইনিংসেই লিডের বাগিয়ে নেয়ার দিকে চোখ রেখেই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করতে চান তিনি।
লিটন বলেন, ‘এখনও শ্রীলঙ্কা অনেকটা পিছিয়ে আছে। আমরা কাল সকালে যদি এক-দুটি উইকেট নিতে পারি তো অনেরকখানি এগিয়ে থাকব। এখানে প্রথম ইনিংসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যদি আমাদের ক্লোজ হয় বা এগিয়ে যায় তাহলে আমরা ব্যাকফুটে পড়ে যাব। তো এই ইনিংসে যতখানি লিড নেয়া যায় সেই চেষ্টা থাকবে।’
শুরুতে ছিলেন পুরোদস্তুর টপ অর্ডার ব্যাটার। সেখান থেকে ওপেনার। এই পজিশনে খুব একটা সন্তোষজনক রানের দেখা মিলছিল না জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাসের। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতেই পারছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে তাকে নিয়মিত খেলানো হয় ৭ নম্বরে। এর পর থেকেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন লিটন। যার ফল চোখের সামনে।
চলতি বছর ৬টি টেস্টে লিটন খেলেছেন ৯টি ইনিংস। এর ভেতর তার রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ বাদে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে দৃষ্টিনন্দন ইনিংস।
ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে পারফরম্যান্স দেখাতে পারায় খুশি জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বেশ সন্তুষ্টও তিনি। মিরপুর টেস্টে তার ও মুশফিকুর রহিমের ২৭১ রানের রেকর্ড ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে খাদের কিনারা থেকে বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে লিটন খেলেন ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
হোম অফ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন বলেন, ‘আমি যে এ বছর রান করলাম। কততে নেমে করছি? ভালো আছি, যেখানেই আছি।’
টপ অর্ডার হিসেবে আসলেও বনে গিয়েছেন পুরোদস্তুর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। দলে বাকিরা উপযুক্ত ব্যাটিং পজিশনে খেলছেন বলে তিনি নিজের ওপরের পজিশনে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না বলেও জানান তিনি।
লিটন বলেন, ‘আস্তে আস্তে আসতেছি তো, সুযোগ আসবে। যখন বড় ভাইরা কেউ না কেউ খেলবে না, তখন আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে। এখন আমি সুযোগ দেখছি না ওপরে আসার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা তো সব সময় করি। কিন্তু কিছু সময় ব্যর্থ হই, কিছু সময় সফল হই। এটাই ক্রিকেট, এভাবেই চলতে থাকবে। আজকে ভালো করতেছি, কালকে আবার খারাপ হলে হতেও পারে। এটা মেনেই জীবন। এভাবেই চলতে থাকবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য