ওয়ানডেতে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের খেতাব পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য এখনও আসেনি। ওয়ানডে সিরিজ বা ম্যাচে জয় নিয়মিত হলেও টেস্ট ক্রিকেটে জয় তো দূরের কথা ধারাবাহিক পারফরম্যান্সও দেখা যায় না টাইগারদের কাছ থেকে।
কালেভাদ্রে একটা টেস্ট ম্যাচ জেতার পর উচ্ছ্বাসে ভাসে দল কিন্তু পরের সিরিজেই আবারও ফিরে যেতে হয় চেনা রূপে। নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর যেমনটা হয়েছে। ব্ল্যাক ক্যাপদের সঙ্গে দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর, সাউথ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ।
সামনে আবার টেস্ট ম্যাচে শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ। দেশের মাটিতে সিরিজের আগে দলের থিংক ট্যাঙ্কের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিসিবি সভাপতি। হেড কোচ, বোলিং কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা শেষে নাজমুল হাসান পাপন সংবাদমাধ্যমকে বলেন টেস্টের মানসিকতায় ঘাটতি আছে।
তিনি যোগ করেন, ‘ওরা যেটা বলল যে, আসলে সিরিজে ১০ দিন খেলার মাইন্ডসেটটাই নেই। দশদিন টানা খেলতে হবে, এই মানসিকতা অনেক ক্রিকেটারের নেই। এটা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।’
একই সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে ঘরোয়া ক্রিকেটের লংগার ভার্সনের টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের তারকাদের অংশ না নেয়ার সমস্যাটিও। লংগার ভার্সনে অভ্যস্ত না থাকার ফলে, টেস্ট ম্যাচেও সাফল্য পাচ্ছেন না শান্ত-মিরাজরা।
পাপন বলেন, ‘এখন টানা সূচি আমাদের। বিরতি নাই। ইচ্ছা থাকলেও তো আমরা ওদেরকে (ঘরোয়া ক্রিকেটে) খেলাতে পারব না। না হলে তো আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ করে রাখতে হবে। আমাদের টেস্টের জন্য আলাদা স্পেশালিস্ট তৈরি ছাড়া উপায় নাই। কারণ এতো ফরম্যাটে এতোগুলো খেলা আসলে সবার পক্ষে সম্ভব না।’
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে হারের পর আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি থাকা স্বাভাবিক। তবে সভাপতির মতে তেমনটা হওয়ার কথা না দলের। কারণ টেস্ট সিরিজ হারলেও সাউথ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
পাপন বলেন, ‘আমার মনে হয় না মোরালি ডাউন। ধরে নেন, আগে টেস্ট খেললাম তারপর ওডিআই। টেস্ট সিরিজ হারলাম, আর
ওডিআই জিতে আমরা দেশে ফিরলাম। তাহলে কি হতো? তখন বিষয়টা উল্টা হতো। আসলে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সব ফরম্যাটে ভালো খেলতে।
‘আমরা তিন ফরম্যাটে ভালো ছিলাম না। এখন একটা ফরম্যাটে ভালো করছি। কিন্তু এই ভালো করে আসছি দেখে সামনেও করব এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটার জন্য প্রচুর কাজ করতে হবে। আমরা কাজ করছি, সাথে সাথে আমরা টেস্টে একটু বেশি নজর দিচ্ছি।’
ঢাকা টেস্টে লঙ্কান পেইসারদের শুরুর তাণ্ডবলীলার রেশ কাটিয়ে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রেখে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে ২৭৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট।
দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫* রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকে লঙ্কান পেইসারদের তাণ্ডবে চুরমার হয়ে যেতে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৪ রান তুলতে সাজঘরে ফিরতে হয় পাঁচ টাইগার টপ অর্ডারকে।
ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলে কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
সেই রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় সঙ্গী তামিম ইকবালকেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশা দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই ব্যাট চালাতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। ১৪৯ বলে পাঁচ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার। অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার। ছিল না কোনো ছক্কা।
লিটনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও দলের বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
দুর্দান্ত সেই শতকের দেখা পেতে মুশফিককে খেলতে হয় ১১৮টি বল। যেখানে ছিল তার ১১টি চারের মার। পুরো ইনিংসে একটি ছক্কাও মারেননি তিনি।
এই দুই ব্যাটার ষষ্ঠ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। তাদের গড়া ২৫৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের জুটিটি ছিল ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর নিজের ছন্দ ধরে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার ও লিটন দাসের শতরানে বিপর্যয় থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন সকালে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা এ ব্যাটারের। দিনের তৃতীয় সেশনে সেঞ্চুরি পান লিটন ও মুশফিক।
লিটনের সেঞ্চুরির পর বলে মুশিও তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক।
সেঞ্চুরি বাগিয়ে নিতে এবারও বেশ ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে দেখা গেছে মুশিকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতক তুলে নিতে মুশফিক খেলেন ২১৭ বল। অনবদ্য সেই ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। কোনো ছক্কা হাঁকাননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এর ভেতর একটি রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টের চেয়ে কিছুটা দ্রুতগতির ছিল মুশফিকের দ্বিতীয় ম্যাচের এই সেঞ্চুরিটি।
দুই ব্যাটার সেঞ্চুরির সঙ্গে পূর্ণ করেছেন দুই শ রানের জুটিও। ৩৬৮ বলে এসেছে তাদের দ্বিশত রানের জুটি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের নৌকাটা ডুবে যেতে বসেছিল প্রথম ঘণ্টায়ই। ডুবতে বসা দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে ৫ ইনিংস পর অনবদ্য আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন।
ঢাকা টেস্টের শেষ সেশনে ১৪৯ বলে লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সবশেষ চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ঢাকা টেস্টে পেলেন সেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা।
লিটনের সঙ্গি মুশফিকও ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে।
ঢাকা সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গণভবনে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই আশ্বাস দেন।
বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আইসিসি সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
আইসিসির সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আইসিসি চেয়ারম্যানকে শেখ হাসিনা বলেন, তার পুরো পরিবারই ক্রীড়ামোদী। কারণ, তার দাদা, বাবা ও ভাইয়েরা খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের অসাধারণ নৈপুণ্যের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের গত সাত বছরের পারফরম্যান্স তাকে বাংলাদেশ সফরে অনুপ্রাণিত করেছে, যাতে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।’
প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানকে ৯ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের কথা উল্লেখ করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী ক্রিকেটের উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিবে।’
বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচের উন্নয়নে সহায়তা করারও অঙ্গীকার করেন বারক্লে।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক এক পরিচালক দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বারক্লে। ঢাকায় এসে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। লিটন মুশফিকের গড়ে তোলা প্রতিরোধে চা বিরতির আগে দেড় শ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৩ রান।
৬২ রানে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে আছেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭২ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার।
এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটের খরচায় চা বিরতি পর্যন্ত ১৫৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ঘণ্টাতে ৫ উইকেট হারালেও ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ভর করে লড়াইয়ে ফিরেছে বাংলাদেশ। দুই জনের শতরানের জুটিতে কামব্যাকের চেষ্টায় আছে টাইগাররা।
৪৩ ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিক দলের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ১৩৩ রান
সোমবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ঘণ্টাতে ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দলীয় ২৪ রানে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
হোম অফ ক্রিকেটে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বল আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কিন্তু কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৪২ মিনিটেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
দলীয় ২৪ রানে সাজঘরে ফিরে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান।
হোম অফ ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই আউটের আশঙ্কা জাগিয়েছিলেন জয়, কিন্তু সেবার কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। এর পরের বলে সরাসরি স্টাম্প হারিয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এ ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। ফলে ২৪ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার সকাল ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য