উইম্বলডনে টেনিসে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের ওপড় নিষেধাজ্ঞা ‘অন্যায়’ বলে মনে করেন ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক স্পেনের রাফায়েল নাদাল।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছরের উইম্বলডন গ্র্যান্ড স্ল্যাম থেকে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছে টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে নাদালের মতে, উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড ক্লাব অত্যন্ত কঠোর সিদ্বান্ত নিয়েছে।
নাদাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার রাশিয়ান বন্ধু ও সতীর্থদের ওপর এটা অন্যায়। তাদের জন্য আমার খারাপ লাগছে। দেখা যাক, সামনের দিনে কী হয়। আমরা খেলোয়াড় হিসেবে একটা অবস্থান নিতে পারি কিনা। একটি বিষয় আছে যা নেতিবাচক, আবার কিছু বিষয় আছে, যা পরিষ্কার। যখন সরকার কিছু বিধিনিষেধ দেয়, তখন অনুসরণ করতে হবে।’
উইম্বলডনের আয়োজক অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাব (এইএলটিসি) জানিয়েছে এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তারা সম্ভাব্য সেরা উপায়ে রাশিয়ার বৈশ্বিক প্রভাবকে সীমিত করার চেষ্টা করেছে।
এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়বেন পুরুষ এককে বিশ্বের দুই নম্বর খেলোয়াড় রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভ ও নারী এককের চার নম্বরে থাকা ও গত বছর উইম্বলডনের সেমিফাইনালিস্ট বেলারুশের আরিনা সাবালেঙ্কা।
লন টেনিস এসোসিয়েশন রাশিয়া ও বেলারুশকে ব্রিটিশ গ্রাস-কোর্টের অন্যান্য টুর্নামেন্ট থেকেও নিষিদ্ধ করেছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে যেকোনো এটিপি ও ডব্লিউটিএ টুর্নামেন্টে রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের খেলার অনুমতি ছিল। তবে সেখানে তাদের নিজ দেশের পতাকা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (আইটিএফ) এরই মধ্যে ডেভিস কাপ ও বিলি জিন কাপ থেকে এই দুই দেশকে নিষিদ্ধ করেছে।
এটিপি ও ডব্লিউটিএ উভয় কর্তৃপক্ষ উইম্বলডনের এই নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থা দুটির মতে এমন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উইম্বলডন একটি ক্ষতিকর নজির স্থাপন করেছে। উভয় সংস্থাই এ সিদ্ধান্তে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে ঐ দুই দেশের খেলোয়াড়দের র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষতি হবে বলে মনে করছে তারা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) কক্সবাজারের রামু আঞ্চলিক কেন্দ্রের ১৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের খাবার খাওয়ার পর থেকে ওই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করেন।
বিকেএসপির কক্সবাজারের আঞ্চলিক কেন্দ্রের উপপরিচালক আতিকুজ্জামান রুশু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতের খাবার খাওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। তাদের অবস্থার অবনতি হলে ১৫ জনকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
‘আমাদের ধারণা, ওই শিক্ষার্থীরা যেহেতু উত্তরের জেলাগুলো থেকে এসেছে তাই আবহাওয়ার পরিবর্তনে এমনটা হয়েছে।’
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘রাত থেকে একে একে ১৫ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুজনের অবস্থা উন্নতি হওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সবাই জানিয়েছে, রাতের খাবার খাওয়ার পর থেকে এমনটা হচ্ছে।’
রুশু জানান, এটি বিকেএসপির নতুন কেন্দ্র। এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। ক্রিকেট ও ফুটবল খেলে এমন ৮০ জন শিক্ষার্থী অস্থায়ীভাবে আছেন।
আরও পড়ুন:দরজার কড়া নাড়ছে শ্রীলঙ্কা সিরিজে। রোববার থেকে মাঠে গড়াবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ২৩ মে। এরপর বিশ্রামের জন্য খুব একটা সময় পাবেন না জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে উড়াল দেয়ার।
সম্প্রতি ক্রিকেট পাড়ায় জোর গুঞ্জন চলছে, আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজটিই হতে যাচ্ছে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষ সিরিজ। যদিও বিষয়টি কেবল গুঞ্জনের কাতারেই রয়ে গেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও বোর্ড বা মুশির পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি।
এই গুঞ্জনকে একদমই উড়িয়ে দিচ্ছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মুশফিকের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন না তারা। এমনকি এ বিষয়ে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সঙ্গে কোনো প্রকার আলোচনাও হয়নি নির্বাচকদের বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানান জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সিরিজ চলাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য দল ঘোষণা ঙ্করে দিবেন বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
নান্নু বলেন, ‘এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের এখন কোনো আলোচনাই হয়নি। আমরা দল নিয়ে মাত্র আলোচনা করছি। আগামী সপ্তাহে আমরা স্কোয়াড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের) দিয়ে দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ আমরা প্রায় এগিয়ে রেখেছি। ওখানে তিনটা ফরম্যাট আছে। আর যেহেতু লজিস্টিকের একটা বিরাট কাজ আছে আর সে হিসেবে আমরা আগে থেকে এগিয়ে রাখছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে তিন ফরম্যাটের স্কোয়াড দিয়ে দেব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাক টু ব্যাক তাদের খেলতে হবে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ। সেই মোতাবেক ক্যারিবীয়ান সিরিজ দিয়েই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করার কথা ভাবছেন জাতীয় দলের এই নির্বাচক।
নান্নু বলেন, ‘প্রস্তুতির জন্য আমাদের হাতে বেশি ম্যাচ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজ আছে। তারপর এশিয়া কাপ, তারপর ওয়ার্ল্ডকাপ। এটা মাথায় রেখেই আমরা আগাচ্ছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা শুরু হবে। দলতো দ্বিতীয় টেস্টের মাঝেই দিতে হবে কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমন একটা জায়গা যেখানে লজিস্টিকের অনেক কাজ থাকে।’
সিরিজ চলাকালীন অন্য সিরিজের দল ঘোষণার কারণে স্বভাবতই বাদ পড়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের চলতি সিরিজে পারফরম্যান্স করা নিয়ে সন্দেহ জাগে। সন্দেহ জাগাটাই স্বাভাবিক। তবে নান্নু মনে করেন ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে শক্ত থেকে এসব পরিস্থিতি মোকাবেলার বিকল্প নেই।
নান্নু বলেন, ‘মানসিকভাবে প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে সেভাবেই এগোতে হবে। সুতরাং এতে কারও হীতে বিপরীত হওয়ার কিছু নেই। ওভাবেই কাজটা করতে হবে, নেতিবাচকভাবে নেওয়ার কিছু নেই। দ্বিতীয় টেস্টের আগেই দল দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
সব কিছু ঠিক থাকলে ঢাকা টেস্টের আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের তিন ফরম্যাটের দল ঘোষণা করবে বিসিবি। সিরিজটি খেলতে জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশ ছাড়ার কথা রয়েছে টাইগারদের।
আরও পড়ুন:জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাকে দুই লাখ টাকা করে বোনাস দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
কক্সবাজারে হোটেল রয়েল টিউলিপে শুক্রবার বিকেলে ক্রীড়া সংগঠকদের ঈদ পুনর্মিলনীতে ক্রিকেট বোর্ড থেকে পৃষ্ঠপোষকতার প্রতিশ্রুতি দেন বিসিবি সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘আপনারা চার-পাঁচটা খেলা চিহ্নিত করেন। পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা তৈরি করে বিসিবিতে পাঠান। শাহেদ ভাইকে (বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব) সঙ্গে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। আমার ধারণা, আপনাদের সমস্যা থাকার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতটা খেলাধুলা বান্ধব, এ রকম একজন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়ে যদি উনাকে কাজে লাগাতে না পারি, তার চেয়ে দুঃখজনক আর কী হতে পারে।
‘এই জায়গাটা কাজে লাগাতে হবে। উনার সঙ্গে কথা বলে আপনাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের নেতাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন বিসিবি সভাপতি। ওই সময় রুটিন অনুদানের বাইরে বিসিবির পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বোনাসের ঘোষণা দেন বোর্ড সভাপতি।
পাপন বলেন, ‘আজ এত সুন্দর একটা অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকার জন্য আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। শাহেদ ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে কখনও এমন অনুষ্ঠানে যাইনি আমি।
‘সেই খুশি থেকে স্পেশাল বোনাস হিসেবে ২ লাখ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দিলাম।’
এর বাইরেও জটিল কিডডি রোগে আক্রান্ত শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হকের চিকিৎসায় বিসিবি থেকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দেন সভাপতি।
এই ক্রীড়া সংগঠকের চিকিৎসায় জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদও ২ লাখ টাকা আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন:উৎসবমুখর পরিবেশে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল হোস্টেল মাঠে উদ্বোধন হয়ে গেল প্রথম এমজেডএস এক্স-স্টুডেন্টস ফুটসাল ও ভলিবল টুর্নামেন্ট।
এমজেডএস এক্স-স্টুডেন্টস স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত শুক্রবার সকালে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহসিনা খাতুন। এ সময় স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৯টায় ব্যাচ ২০০৩ বনাম ২০০৭-এর ফুটসাল খেলা এবং সকাল ১০টায় ব্যাচ ১৯৭৮ বনাম শিক্ষকদের ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম দিন এসএসসি ১৯৭১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৪৫টি ব্যাচের মধ্যে ফুটসালে ২০টি এবং ভলিবলে সাতটি টিম অংশগ্রহণ করে।
খেলাধুলার ফাঁকে সিনিয়র-জুনিয়র ও ব্যাচের বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে একেকজন একেকভাবে সময় কাটান। বহুদিন পর প্রিয় বন্ধুদের কাছে পেয়ে বাঁধভাঙা প্রাণের উল্লাসে মেতে ওঠেন সবাই। জমে ওঠে হাসি, ঠাট্টা, গল্প আর আড্ডা।
আরও পড়ুন:বছরের পর বছর যায়। গাড়ি কমে আর বাড়ে। আশ্বাসের পর আশ্বাস। তবুও গাড়িমুক্ত হয় না রাজধানীর মিরপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোলারটেক খেলার মাঠ।
এক যুগ ধরে মাঠের একাংশ জব্দ করা গাড়ি দিয়ে দখল করে রেখেছে দারুস সালাম থানা।
শুধু পুলিশ নয়, অবৈধভাবে সরকারি জমিতে গড়ে উঠেছে জিবি এইচ বি ক্লাব আর সূচনা সমবায় সমিতির অফিস। এর মধ্যে সূচনার নামে জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর মুজিব সরোয়ার মাসুমের বিরুদ্ধে।
চার একর জায়গা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে বড় খেলার মাঠ এটি। স্থানীয়ভাবে এটি গোলারটেক মাঠ নামে পরিচিত। ২০০৮ সালের ২৩ আগস্ট মিরপুর থানার কিছু এলাকা নিয়ে দারুস সালাম থানা গঠন হয়।
শতাধিক জব্দকৃত গাড়ি দিয়ে গোলারটেক খেলার মাঠের এক অংশ দখল করে রেখেছে দারুস সালাম থানা। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়দের অভিযোগ, থানা গঠনের দুই বছর পরই জব্দকৃত গাড়ি দিয়ে তারা মাঠ ভরতে শুরু করে। সে হিসাবে এক যুগের বেশি সময় ধরে এই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামসহ স্থানীয়রা এই মাঠ গাড়িমুক্ত করার দাবি জানিয়ে আসার পর থানার পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়, তবে এর বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মামলার জব্দকৃত আলামত হিসেবে গাড়িগুলো ওখানেই রাখা হয়েছে। থানার নিজস্ব কোনো জায়গা নাই। জায়গা পেলেই গাড়িগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।
তারা আরও জানান, বিকল্প জায়গা দেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছেন তারা, কিন্তু জায়গা পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানেনই না।
ক্লাবের নামে জায়গা দখলের বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর জানান, সরকারের প্রয়োজন হলে তারা সবাই উঠে যাবে।
সম্প্রতি এই মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশে রাখা হয়েছে জব্দকৃত যানবাহন। ১০টি ট্রাক, এক ডজনের মতো বাস। এ ছাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনিবাস, প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, লেগুনা, মোটরসাইকেল, রিকশা মিলিয়ে ৫০টির বেশি যানবাহন পড়ে আছে।
অন্য পাশে জিবি এইচ বি ক্লাব আর সূচনা সমবায় সমিতি অফিস। তার পাশে বিরাট অংশজুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা স্থায়ী ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি করে নেট দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। মাঠে খেলতে আসা মানুষজন সে জায়গাটি ব্যবহার করতে পারছেন না।
গোলারটেক খেলার মাঠের এক অংশ দারুস সালাম থানার দখলে। ছবি: নিউজবাংলা
রাসেল আহমেদ রাকিব নামের একজন বলেন, ‘ওই দিকে গাড়ি রাখায় কেউ খেলতে আসে না৷ পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এ রকম গাড়ি দেখছি। কারে বলব? বললে লাভ হবে কী?’
এক বছর ধরে গোলারটেক মাঠের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য মানিক খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গাড়ির কোর্টে মামলা আছে। তাই এইখানে ফালাইয়া রাখছে। দারুস সালাম থানার গাড়ি এটা৷’
গোলারটেক মাঠে খেলতে আসা মোহাম্মাদপুর সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার মনন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিরপুর এলাকায় খেলার মাঠ কোথাও নেই। পুলিশ জনগণের বন্ধু, তারা যখন জায়গা দখল করে, জনগণ কোথায় যাবে? আমরা মাঠে খেলার জায়গা চাই।’
সেন্ট জোসেফ কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া মারুফ হোসেন বলেন, ‘পাশে থানা হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এই মাঠে একটা একটা করে গাড়ি ঢুকতেছে। এটা মাঠের জায়গা; থানার জায়গা না।
‘পাশেই সহকারী পুলিশ কমিশনার দারুস সালাম জোনের জায়গা আছে। সেইখানে গাড়ি রাখুক। আমাদের মাঠে কেন? রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ব্যাডমিন্টন কোর্ট বানায় তা নেট (জাল) দিয়ে দখল করছে। বাগবাড়ি, হরিরামপুর এলাকার প্রভাবশালীরা এটা করছে।’
সরকারি জমিতে ক্লাব বানানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এই ক্লাব থাকতে পারে। এরা খেলাধুলার আয়োজন করে।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুম নিউজবাংলাকে জানান, গাড়ি সরানোর ব্যাপারে তিনি অনেক চেষ্টা করেছেন। মেয়র চেষ্টা করেছেন। পুলিশের যুগ্ম কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে। ডিসি ট্রাফিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কাজ হয়নি।
তিনি বলেন, ‘মেয়র নিজে মাঠে আইসা তারপর কথা বলছে। তবুও মাঠ থেকে গাড়ি সরায় নাই।’
কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও মাঠ দখলের অভিযোগ
সূচনা সমবায় সমিতির নামে ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে মাঠের একাংশ দখলের অভিযোগ উঠেছে কাউন্সিলর মুজিব সারোয়ার মাসুমের বিরুদ্ধে। তিনি অবশ্য এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
‘সূচনা সমবায় সমিতির নামে আপনার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ রয়েছে?’
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মাঠ যখন পাবলিকের দখলে ছিল, তখনকার সমবায় সমিতি অফিস। ৩০ বছর আগে। তখন এখানে মাঠই ছিল না। এটা বস্তি ছিল।
‘বস্তি উচ্ছেদ করে মাঠ রক্ষায় সমিতি ও ক্লাবের অবদান আছে। সমবায় সমিতি ও ক্লাব মাঠের জায়গা দখল করে নাই; বরং মাঠ প্রতিষ্ঠা করছে। সরকারের যখন প্রয়োজন হবে, তখন এরা উঠে যাবে।’
পুলিশ বলছে দুই ধরনের কথা
দারুস সালাম থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ নিউজবাংলার কাছে দাবি করেন, গোলারটেক মাঠের সব গাড়ি দারুস সালাম থানা রাখেনি। স্থানীয় কাউন্সিলরের গাড়িই বেশি।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই গাড়িগুলো দারুস সালাম থানার নয়, মামলার আলামত। আলামত বিষয়টা কোর্টের ব্যাপার। আমরা কোর্টে চিঠিও দিয়েছি।
‘সিটি করপোরেশনের কাছে জায়গাও চেয়েছি। আদালতকে অবগত করার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের কাছে জায়গাও চেয়েছি আলামতগুলো রাখতে। জায়গা পেলে গাড়িগুলো সরে যাবে। ১০ বছরেও সিটি করপোরেশন জায়গা না দিলে আমরা কী করব?’
সিটি করপোরেশন জানে না মাঠ দখল হয়েছে
মিরপুরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের, তবে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা জানেনই না তাদের মালিকানাধীন মাঠ দখল হয়েছে।
মাঠ দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তর সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:স্বর্ণ ছাড়াই এশিয়ান আর্চারির মিশন শেষ করল বাংলাদেশ। ইরাকে আয়োজিত টুর্নামেন্টের শেষ দিন ৩টি স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও ৩ ইভেন্টেই রৌপ্য জিতে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রোমান-দিয়াদের।
ইরাকের সুলেমানিয়ায় বিকেলে ব্যক্তিগত রিকার্ভ ইভেন্টের ফাইনালে নেমেছিলেন রোমান সানা। তবে ভারতের আর্চার মৃণাল চৌহানের কাছে হেরে যান বাংলাদেশের সেরা আর্চার। চৌহান ৬-২ সেটে ফাইনাল জিতে স্বর্ণ নিশ্চিত করেন।
পুরুষদের ইভেন্টে রৌপ্য জয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নারী রিকার্ভে ব্রোঞ্জ জিতেছেন দিয়া সিদ্দিকী। ফাইনালে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন বাংলাদেশেরই আরেক আর্চার বিউটি রায়। বিউটিকে হারিয়ে পদক জিতে নেন দিয়া।
শেষ দিন আরও দুটি ইভেন্টের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। রিকার্ভের দলগত নারী ও পুরুষ দুই ইভেন্টেই বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনা ছিল স্বর্ণের।
তবে ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে রৌপ্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বাংলাদেশকে। সবমিলিয়ে এবারের আসরে ৪টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ জিতেছেন রোমান-দিয়ারা।
বাংলাদেশের বাকি ১টি রৌপ্য ও ৩টি ব্রোঞ্জ এসেছে কম্পাউন্ডের ৫টি ক্যাটাগরিতে।
আরও পড়ুন:ডিভাইস-নির্ভর হয়ে ঢাকা শহরে ফ্ল্যাটে বসবাসরত শিশুরা দিনে দিনে ‘ফার্মের মুরগি’ হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য তাদের মাঠে খেলার সুযোগ করে দিতে মা-বাবা, অভিভাবকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিটি এলাকায় খেলার মাঠ থাকা ‘একান্তভাবে প্রয়োজন’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেখানে খালি জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই মাঠ করে দেয়া হচ্ছে।
ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার সকালে ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৮৫ সংগঠক ও ক্রীড়াবিদের মাঝে ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবচেয়ে দুর্ভাগ্য হলো, ঢাকা শহরে খেলাধুলার জায়গা সবচেয়ে কম। ইতোমধ্যে আমরা কিছুটা উদ্যোগ নিয়েছি, প্রতিটি এলাকায় যেন খেলার মাঠ থাকে। আমাদের শিশুরা এখন তো সবাই ফ্ল্যাটে বাস করে, ফ্ল্যাটে বাস করে করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে।
‘এখন তো মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, আইপ্যাড এগুলো ব্যবহার করে সারাক্ষণ ওর মধ্যে পড়ে থাকা, এটা আসলে মানসিকভাবে, শারীরিকভাবে সুস্থতার লক্ষণ নয়। সে জন্যই বাবা-মা, যারা গার্ডিয়ান, অভিভাবক, তাদের আমি অনুরোধ করব কিছু সময়ের জন্য হলেও ছেলেমেয়েরা যাতে হাত-পা ছোঁড়ে খেলতে পারে, সেটা আপনাদের উদ্যোগ নেয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেক এলাকায় খেলার মাঠ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। ইতোমধ্যে আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছে, যেখানে খালি জায়গা পাচ্ছি, খেলার মাঠ করে দিচ্ছি।’
প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ
দেশের প্রতিটি উপজেলায় ছোটো পরিসরে খেলার মাঠ নির্মাণে সরকারের নেয়া উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নির্মাণকাজে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে বলে সতর্ক করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় খেলার মাঠ, সেই খেলার মাঠগুলো খুব বড় স্টেডিয়াম না, ছোটো করে, মিনি স্টেডিয়াম আমি নাম দিয়েছি। কাজেই সেটার নির্মাণকাজ চলছে। এটা সময় নিচ্ছে। আমি মনে করি, এটা আরও দ্রুত শেষ করা দরকার। এ পর্যন্ত ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছে।’
আরও ১৭১টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তবে আমি মনে করি, এ ব্যাপারে যথেষ্ট সময় নেয়া হচ্ছে, যাতে আর সময় নেয়া না হয়, সেটা দেখতে হবে।’
প্রতি জেলায় জেলায় স্টেডিয়ামগুলোকে শুধু ক্রিকেটের জন্য নির্দিষ্ট না করে, সব খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই স্টেডিয়ামগুলো সব খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। ক্রিকেটের জন্য পিচ তৈরি থাকবে, সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।
‘স্টেডিয়ামগুলো যদি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, শুধু ক্রিকেট নয় সব ধরনের খেলাধুলা, স্পোর্টস সেখানে চলবে, নইলে ওটা পড়ে থাকে, নইলে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেটা যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে খেলাধুলার দিকে আমাদের ছেলেমেয়েরা আরও বেশি আগ্রহী হবে।’
খেলাধুলাকে এক ধরনের শরীরচর্চা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে শারীরিক, মানসিকভাবেও আমাদের ছেলেমেয়েরা যথেষ্ট উন্নত হবে।’
মাঠে নামতে হবে জয়ের মানসিকতা নিয়ে
প্রতিটি খেলায় জয়ের মানসিকতা নিয়ে ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে খেলোয়াড়দের প্রতি পরামর্শ রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়, সংগঠক, যারা আনুষঙ্গিক থাকেন, প্রত্যেকেই যদি মনে মনে সব সময় এই চিন্তাটা করেন যে আমরা যুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে আমরা কখনো পরাজিত হব না, পরাজয় মেনে নেব না।
‘আমাদের জয়ী হতেই হবে। এই আত্মবিশ্বাসটা নিয়ে যদি মাঠে থাকা যায় যেকোনো খেলায়, যেকোনো ইসে আমরা জয়ী হতে পারি। কাজেই আমাদের মাঝে সেই আত্মবিশ্বাসটা সব সময় থাকতে হবে। সেটাই আমার আহ্বান।’
২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ক্রীড়া ক্ষেত্রে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও ক্রীড়াবিদদের সাফল্যের কথা উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে।
ক্রীড়া খাতে দেশের নারীরাও পিছিয়ে নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্পোর্টস মিনিস্টারকে বলতে পারি, ফুটবল-ক্রিকেট সব ক্ষেত্রে নারীরা, কিন্তু অনেক পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। তাদের একটু বেশি করে সুযোগ দিতে হবে এবং আরো উৎসাহিত করতে হবে।’
বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য আলাদা মাঠ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যারা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, তাদের প্রশিক্ষণের জন্য সংসদ ভবনের পাশে যে মাঠ, সেটা আমরা নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেছি। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা সেখানে খেলাধুলা করবে। সেখানে তাদের জন্য একটা অ্যাকাডেমি আমরা তৈরি করে দিচ্ছি।’
তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘কারণ তারাই সব থেকে বেশি সম্মান আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে। তারা তাদের যথেষ্ট পারদর্শিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে।’
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ২১৬টি স্বর্ণ, ১০৯টি রৌপ্য ও ৮৪টি ব্রোঞ্জ পদক দেশের জন্য জিতেছেন বলে জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘তারা কিন্তু তাদের পারদর্শিতা আরও বেশি দেখাচ্ছে। আমাদের যারা সুস্থ, তারা যা পারছেন না, এরা কিন্তু আরও বেশি পারে। এটাই আমার ধারণা, আমি দেখতে পাচ্ছি।’
রক্ষা করতে হবে গ্রামীণ খেলা
দেশীয় ও গ্রামীণ জনপদের খেলাগুলোকে সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতেও তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামে অনেক খেলা আছে। গ্রামীণ খেলাগুলো কিছুটা চালু করা হয়েছে। সেগুলো সচল করতে হবে। যেগুলো খুব বেশি খরচ লাগে না, তারা নিজেরা খেলবে।
‘স্কুল প্রতিযোগিতা, আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা- এই প্রতিযোগিতাগুলো যাতে ব্যাপকভাবে চলে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করে যাচ্ছি। যা যা প্রয়োজন সব করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশীয় খেলাগুলো ডাংগুলি থেকে শুরু করে সাত ছাড়া থেকে শুরু করে হাডুডু- সব খেলাই তো আমাদের দেশে ছিল। স্কুলে স্কুলে খেলা হতো। সেই খেলাগুলো এবং আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতা এগুলো করতে হবে।’
আহত ও অসচ্ছ্বল ক্রীড়াবিদের পাশে সরকার
বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী আইন ২০১৫ প্রণয়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যারা অসচ্ছল বা কেউ খেলতে গিয়ে আহত হন বা অসুস্থ হন তাদের যেভাবেই হোক আমরা সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি এবং যতক্ষণ আমি আছি সেটা দিয়ে যাব। কিন্তু একটা প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ব্যবস্থায় ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা করতে চাই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য