রেকর্ড ৩৫তম লিগ শিরোপা জয়ের উচ্ছ্বাস মেলাতে না মেলাতেই নতুন মৌসুমের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। শনিবার রাতে এস্পানিওলকে ৪-০ গোলে হারানোর পরই ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেসকে মুখোমুখি হতে হলো নতুন দল নিয়ে প্রশ্নের।
আর সাংবাদিকদের অধিকাংশ প্রশ্নই ছিল কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে। বর্তমান বিশ্বের সেরা এ তারকাকে দুই বছর ধরেই দলে টানতে চাচ্ছে রিয়াল। তবে এমবাপে, পিএসজি কিংবা রিয়াল কেউই এ বিষয়ে চূড়ান্ত কিছু জানায়নি।
শনিবারও পেরেস সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কিছু পরিষ্কার করে জানাননি। শুধু ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
পেরেস টিভি চ্যানেল মুভিস্টারকে বলেন, ‘আমি এমবাপের বিষয়ে খুব বেশি চিন্তা করিনি। এটা সত্যি হতেও পারে। আগামী বছরের পরিকল্পনার জন্য যখন বসব, তখন সেটা নিয়ে ভাবা যাবে।’
এমবাপেকে কোনোভাবে ছাড়বে না এটা আগে বহুবার জানিয়েছে পিএসজি। মেসি, নেইমারকে ছাড়লেও ভবিষ্যতের মহাতারকা এমবাপেকে তারা কোনো মূল্যে ছাড়বে না এমন ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাবের সভাপতি নাসির আল খেলাইফি।
২০২০ মৌসুমের পর এমবাপে নিজেই ক্লাব ছাড়ার কথা জানালেও মেসি দলে চলে আসায় সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করা বা অনুশীলনের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি এমবাপে। তবে ২০২১-২২ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের পর মত বদলান তিনি।
এমবাপেকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয় রিয়ালের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকেও। আনচেলত্তিও পরিষ্কার জবাব দেননি।
তিনি বলেন, ‘রিয়ালে এমবাপে আসবে কি না? এত বড় ক্লাব, ক্লাবের প্রেসিডেন্ট সব মিলিয়ে ভবিষ্যৎ নিশ্চিত।’
জার্মান বুন্ডেসলিগার ক্লাব ভলফসবুর্গের নতুন ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক ম্যানেজার নিকো কোভাক। ২০২৫ সাল পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
ক্রোয়াট কোচের এটি জার্মান শীর্ষ লিগে তৃতীয় চাকরি। এর আগে ২০১৬-১৮ মৌসুমে আইনট্রাখট ফ্রাংকফুর্টের ম্যানেজার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের শেষে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল মোনাকো থেকে বিদায় নেন কোভাক।
এক বিবৃতিতে কোভাক বলেছেন, ‘আমি বুন্ডেসলিগার সন্তান। ভলফসবুর্গের হয়ে আরও একটি সফল অধ্যায়ের সূচনা করতে আমি মুখিয়ে আছি।’
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার দায়িত্বে ছিলেন কোভাক। তার অধীনে ক্রোয়াটরা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ২০১৯ সালে বায়ার্নের হয়ে জার্মান লিগ ও কাপ শিরোপা জয় করেছেন। এর আগের মৌসুমে ফ্রাংকফুর্টের কোচ হিসেবে বায়ার্নকে পরাজিত করে জার্মান কাপের শিরোপা জয় করেন।
বুন্ডেসলিগায় ১২তম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করার পর ভলফসবুর্গ ম্যানেজার ফ্লোরিয়ান কোফেলডেটকে বরখাস্ত করার পর তার জায়গা নিচ্ছেন কোভাক।
আর্জেন্টিন্টার বিপক্ষে ফাইনালিসিমা ম্যাচ ও নেশনস লিগের ম্যাচকে সামনে রেখে ৩৯ সদস্যের ইতালিয়ান দল ঘোষণা করা হয়েছে। দলে ফিরেছেন রোমার ডিফেন্ডার লিওনার্দো স্পিনাৎসোলা।
ইতালির হেড কোচ কোচ রবার্তো মানচিনি মূলত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলটির ওপর আস্থা রেখেছেন। ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েছেন ফেদেরিকো কিয়েসা, গিতানো কাস্ত্রোভিলি, রাফায়েল তোলই ও চিরো ইমোবিলে।
ইউরো জয়ী ইতালিয়ান দলের অন্যতম ভরসার ছিলেন স্পিনাৎসোলা। পেশির চোটের কারণে ইউরো কোয়ার্টার ফাইনালের পর তার মাঠে নামা হয়নি। ২৯ বছর বয়সী এই লেফট ব্যাক ইনজুরিতে পুরো মৌসুম মাঠের বাইরে ছিলেন। চলতি মাসেই রোমার হয়ে তিনি মাঠে ফেরেন।
জুনে ১৫ দিনে ইতালি ৫টি ম্যাচ খেলবে। ১ জুন ওয়েম্বলিতে ‘ফাইনালিসিমা’ তে কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি ইউরো জয়ী ইতালি।
নেশনস লিগে ৪ জুন ইতালির প্রথম প্রতিপক্ষ জার্মানি। তিনদিন পর হাঙ্গেরি। ১১ জুন তারা খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৪ জুন আবারও জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামবে ইউরো জয়ীরা।
অধিনায়ক গিওর্গিও চিয়েলিনি আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের পরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরে যাবেন। মানচিনির দলে প্রথমবারের মত ডাক পেয়েছেন এম্পোলি স্ট্রাইকার আন্দ্রে পিনামোন্টি ও সাসুলো মিডফিল্ডার ডেভিড ফ্রাত্তেসি।
স্কোয়াড:
গোলরক্ষক: আলেসিও ক্রাগনো, গিয়ানলুইগি ডোনারুমা, এ্যালেক্স মেরেত, সালভাতোরে সিরিগু
ডিফেন্ডার: ফ্রান্সেসকো আকারবি, আলেহান্দ্রো বাস্তোনি, ক্রিস্টিয়ানো বিরাগি, লিওনার্দো বনুচ্চি, ডেভিড কালাব্রিয়া, গিওর্গিও চিয়েলিনি, গিওভান্নি ডি লোরেঞ্জো, ফেডেরিকো ডিমারকো, এমারসন পালেমেইরি, আলেগান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি, ম্যানুয়েল লাজ্জারি, লুইজ ফিলিপ, গিয়ানলুকা মানচিনি, লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলা
মিডফিল্ডার: নিকোলো বারেলা, ব্রায়ান ক্রিস্টান্টে, ডেবিড ফ্রাত্তেসি, জর্জিনহো, ম্যানুয়েল লোকাত্তেলি, লোরেঞ্জো পেলেগ্রিনি, মাত্তেও পেসিনা, সান্দ্রো টোনালি, মার্কো ভেরাত্তি
ফরোয়ার্ড: আন্দ্রে বেলোত্তি, ডোমেনিকো বেরারডি, ফেডেরিকো বার্নারডেশি, গিয়ানলুকা কাপরারি, লোরেঞ্জো ইনসিগনে, মোয়েস কিন, আন্দ্রে পিনামোন্টি, মাত্তেও পলিটানো, গিয়াকোমো রারপাডোরি, গিয়ানলুকা স্কামাক্কা, মাত্তিয়া জাকাগনি, নিকোলো জানিয়োলো।
আরও পড়ুন:ফরাসি ফুটবল ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবল আয়োজিত বিশ্বের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডর এ বছর দেয়া হবে ১৭ অক্টোবর। সাধারণত নভেম্বরে এ বার্ষিক পুরস্কার দেয়া হয়।
তবে এ বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ ফুটবল থাকায় আয়োজন এগিয়ে এনেছে ফ্রান্স ফুটবল। ঐতিব্যহাবী এই ট্রফি আগস্ট-জুলাইয়ের মৌসুমের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে দেয়া হয়। অর্থাৎ ২০২১-২২ সালের সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার পাবেন এবার।
দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের স্ট্রাইকার কারিম বেনজেমা ও লিভারপুলের সেনেগালিজ ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। মানে লিভারপুলের সেরা তারকা ছিলেন আর জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস। আর বেনজেমা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জিতেছেন লা লিগা শিরোপা।
এই দুই তারকা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছেন ২৮ মে। ওইদিন যার দল জয়ী হবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা বর্ষসেরা পুরস্কার জয়ে ওই তারকা এগিয়ে যাবেন।
১২ আগস্ট মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। মূল অনুষ্ঠান প্যারিসের থিয়েটার দ্য শ্যালেতে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২১ সালে পোলিশ তারকা রবার্ট লেওয়ানডোভস্কিকে ও চেলসির জর্জিনিয়োকে পিছনে ফেলে রেকর্ড সপ্তমবারের মত ব্যলন ডর জয় করেন আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা উপহার দেয়া লিওনেল মেসি।
আরও পড়ুন:ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) সর্বোচ্চ গোল করে গোল্ডেন বুট পাওয়া টটেনহ্যাম হটস্পারের দক্ষিণ কোরিয়ান স্টাইকার হিউং-মিন সনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি ইয়ন সুক-ইয়েল।
এশিয়ার প্রথম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার কৃতিত্ব দেখান সন। এবারের লিগে তিনি সর্বোচ্চ ২৩ গোল করেছেন। সনের এই কৃতিত্বকে পুরো এশিয়ান ফুটবল কমিউনিটির জন্য একটি আনন্দের উপলক্ষ হিসেবে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি ইয়ন ।
এ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সনের প্রতি এক লেখা এক বার্তায় ইয়ন বলেছেন, ‘পুরো মৌসুমে ক্লাবের প্রতি অবিরাম পরিশ্রম ও খেলার প্রতি নিজেকে উৎসর্গ করার ফল হচ্ছে এই পুরস্কার।’
করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য সনের এই অর্জনকে আশার বার্তা হিসেবে উল্লেখ করে ইয়ন বলেন নভেম্বরে কাতার বিশ্বকাপে সনের নেতৃত্বে দক্ষিণ কোরিয়াকে মাঠে দেখতে তিনি মুখিয়ে আছেন।
নরউইচ সিটির বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচে রোববার সন দুই গোল করেন। ম্যাচটিতে স্পার্স ৫-০ গোলে জয়ী হয়। লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহর সঙ্গে তিনি এবারের গোল্ডেন বুট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন।
সনের কারণে দক্ষিণ কোরিয়ায় টটেনহ্যামের বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে। জুলাইয়ে প্রাক-মৌসুম এশিয়া সফরে কে-লিগের অল-স্টার্স দলের বিপক্ষে সোলে ১৩ জুলাই এক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম। এর তিনদিন পর প্রস্তুতি ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে মাঠ নামবে আন্তোনিও কন্তের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন:কিলিয়ান এমবাপে কোথাও যাচ্ছেন না, থাকছেন তার বর্তমান ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে। এ খবর এখন সবার জানা। তবে কয়েক সপ্তাহে এই ফরাসি তারকাকে নিয়ে দল বদলের আলোচনা কম চর্চা হয়নি। পিএসজি ছেড়ে যাবেন রিয়াল মাদ্রিদ এই গুঞ্জনই ছিল আলোচনার তুঙ্গে।
গত শনিবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমবাপে নিজেই জানালেন পিএসজির সঙ্গে লোভনীয় অফারে নতুন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছেন ২০২৫ সাল পর্যন্ত।
ফরাসি এই ফরোয়ার্ড ফুটবলার চলতি মৌসুমসহ ২০১৭ সালেও একবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কার্লো আনচেলত্তির মাদ্রিদকে।
খেলাধুলা বিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডটকমের এক সাক্ষাৎকারে মঙ্গলবার কার্লো আনচেলত্তিকে প্রশ্ন করা হয় মাদ্রিদকে এমবাপের প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে।
জবাবে আনচেলত্তি বলেন, ‘এমবাপের এই গল্প থেকে দ্রুত বেরিয়ে যেতে চাই, কারণ আমার সম্পূর্ণ মনোযোগ এখন লিভারপুলের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। যা ২৮ মে স্তাদে দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।’
‘এটা পরিষ্কার যে আমাদের কী ভাবতে হবে। আমরা কখনই অন্য ক্লাবের খেলোয়াড়দের নিয়ে কথা বলতে চাই না। আমরা সবসময় সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছি। আমাদের যা ভাবতে হবে, তা হলো ফাইনালের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া।’
প্যারিসের স্তাদে দ্য ফ্রান্সের বড় ইভেন্টে মাদ্রিদের ম্যানেজার হিসেবে চতুর্থবারের মতো ইউরোপিয়ান কাপ জেতার লক্ষ্যে থাকবেন বলে জানিয়ে দেন ইতালিয়ান সাবেক এই খেলোয়াড় কার্লো আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন:এএফসি কাপে সেমিফাইনাল খেলার আশা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের মাজিয়াকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের মোহনবাগানের কাছে বড় হারে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে বসুন্ধরা।
মোহনবাগানের স্বদেশি গোকুলাম কেরালাকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। বাংলাদেশের ক্লাবটির হয়ে গোল আসে রবসন রবিনিয়ো ও নুহা মারংয়ের পা থেকে। আর গোকুলামের হয়ে একমাত্র গোল করেন জোর্ডিন ফ্লেচার।
মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ছন্দে শুরু করে বসুন্ধরা। কেরালাকে কোণঠাসা করে প্রথমার্ধে লিড নিয়ে নেয় কিংস। ৩৬ মিনিটে প্রথম গোল করেন রবিনিয়ো। শুরুতে জোরা সুযোগ হাতছাড়া করা ক্লাব অধিনায়ক তৃতীয় সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন।
১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা। বিরতির পরও প্রেসিং অব্যাহত রাখে কিংস। ফলটাও পায় হাতেনাতে। ৫৪ মিনিটে মারংয়ের হেডারে ২-০ গোলের লিড ও ম্যাচ ভাগ্য নিশ্চিত করে ফেলে অস্কার ব্রুসনের দল।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট ১৫ আগে জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড ফ্লেচারের গোলে ব্যবধান কমায় গোকুল। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।
সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ মিলছে কি না সেটা দেখতে কিংসকে অপেক্ষায় থাকতে হবে মোহনবাগান ও মাজিয়ার ম্যাচের। ম্যাচে মাজিয়া জিতলেই পরের রাউন্ডে উঠে যাবে কিংস।
অবশেষে এসি মিলান ফিরেছে ইতালির ফুটবলের শীর্ষস্থানে। আশি ও নব্বই দশকের বিশ্বসেরা ক্লাবটিকে গত এক দশক বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়েছে একরকম টিকে থাকতেই। শেষ পর্যন্ত লিগ শিরোপা জিতে তাদের পুনর্জাগরণ সম্পূর্ন করেছে লাল-কালোরা।
সেরি আ শিরোপা নিষ্পত্তি হয় রোববার রাতে। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ইন্টারনাৎসিওনালের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে সাসুয়োলোর মুখোমুখি হয় মিলান। আর ইন্টারের প্রতিপক্ষ ছিল সাম্পদোরিয়া।
মিলান পা হড়কালেই ইন্টারের সামনে সুযোগ ছিল শিরোপা লুফে নেয়ার। তেমনটা হতে দেয়নি লাল-কালোরা।
সাসুয়োলোকে ৪-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে স্টেফানো পিওলির দল। ১১ বছর পর শিরোপা উৎসবে মাতে মিলানের লাল অংশ। ইন্টারও জয় পায়। সাম্পদোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারালেও দ্বিতীয় সেরা হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
মিলানের জয়ে পুরো শহর পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। সারারাত ভক্তরা নেচে গেয়ে ও মিছিল করে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। নগর প্রতিদ্বন্দ্বি ও একই শহরের আরেক বড় ক্লাব ইন্টার মিলানকেও খোঁচা দিতে ভোলেননি কেউ কেউ।
ভক্তদের প্রত্যাশা এ জয় দিয়ে পুরনো সেই শ্রেষ্ঠত্বের দিনে ফিরে যেতে পারবে মিলান। সামনের মৌসুম ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগে ইতালির চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই লড়বে তারা।
পুরো একটা মৌসুম ভক্তদের পাশে পেয়েছে মিলান। অলিভিয়ে জিরু ও স্লাতান ইব্রাহিমোভিচদের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের দলে টানার জন্য সমালোচকদের তোপের মুখেও পড়তে হয়েছে কোচ স্পিওলিকে। তবে ৪০ বছরের ইব্রা ও ৩৫ বছরের জিরুকে নিয়েই শিরোপা উপহার দিয়েছে মিলান।
দ্বিতীয় দফায় ২০১৯ সালে মিলানে যোগ দেন স্লাতান। এসেই বলেছিলেন দলকে শিরোপা উপহার দিতে চান। রোববার রাতে শিরোপা জয়ের পর মনে করিয়ে দেন সে কথা।
ইব্রা বলেন, ‘আমি এখানে ফিরে আসার পর বলেছিলাম মিলানকে শীর্ষে নিয়ে যেতে চাই। ও শিরোপা জিততে চাই। এখানের খেলোয়াড়রা সবাই দারুণ। আমরা পরিশ্রম করেছি। দুই বছর আগে আমরা নীরবে কাজ শুরু করেছিলাম।’
২০১১ সালে যখন মিলান শিরোপা জেতে সেবারও স্লাতান ওই দলের অংশ ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য