দিল্লি ক্যাপিটেলসের পিছু ছাড়ছে না করোনা। আরও এক ওভারসিজ ক্রিকেটার পজিটিভ হয়েছেন করোনা টেস্টে। এতে ভেন্যু পরিবর্তন করলেও, শঙ্কা জেগেছে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে তাদের মাঠে নামা নিয়ে।
অ্যান্টিজেন টেস্টে বুধবার পজিটিভ হন নিউজিল্যান্ডের রিক্রুট টিম সেইফার্ট। ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলা হোয়, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার মিচেল মার্শের পর দ্বিতীয় কোনো ওভার০সিজ ক্রিকেটার আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়।
এর আগে ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট, মাসাজ থেরাপিস্ট চেতন কুমার, টিম ডক্টর অভিজিত সালভি ও সোশাল মিডিয়া কনটেন্ট টিম মেম্বার আকাশ মানে পজিটিভ হয়েছিলেন।
করোনার প্রভাবে আইপিএলের গত বছরের আসরটি বসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ১৫তম আসর নিজেদের দেশে আয়োজন করলেও, করোনার পিছু ছাড়াতে পারল না আইপিএল।
বাংলাদেশের করা প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। দলীয় সংগ্রহ ১৪৩ রান তুলতে তাদের হারাতে হয়েছে মাত্র দুটি উইকেট।
কাগজ-কলমের হিসাবে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দিন শেষ করলেও জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাস মনে করছেন বাংলাদেশের চেয়ে এখনও শ্রীলঙ্কা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
হোম অফ ক্রিকেটে প্রথম দুই দিনের খেলার প্রথম সেশনে বোলারদের রাজত্ব থাকলেও দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লাটা ভারী হয় ব্যাটারদের দিকে। আর তৃতীয় দিনের শুরুতে সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিয়ে নিজেদের আরও একধাপ এগিয়ে দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন লিটন।
পাশাপাশি প্রথম ইনিংসেই লিডের বাগিয়ে নেয়ার দিকে চোখ রেখেই তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করতে চান তিনি।
লিটন বলেন, ‘এখনও শ্রীলঙ্কা অনেকটা পিছিয়ে আছে। আমরা কাল সকালে যদি এক-দুটি উইকেট নিতে পারি তো অনেরকখানি এগিয়ে থাকব। এখানে প্রথম ইনিংসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওরা যদি আমাদের ক্লোজ হয় বা এগিয়ে যায় তাহলে আমরা ব্যাকফুটে পড়ে যাব। তো এই ইনিংসে যতখানি লিড নেয়া যায় সেই চেষ্টা থাকবে।’
শুরুতে ছিলেন পুরোদস্তুর টপ অর্ডার ব্যাটার। সেখান থেকে ওপেনার। এই পজিশনে খুব একটা সন্তোষজনক রানের দেখা মিলছিল না জাতীয় দলের উইকেটকিপার ব্যাটার লিটন দাসের। ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতেই পারছিলেন না ডানহাতি এই ব্যাটার।
এরপর ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে তাকে নিয়মিত খেলানো হয় ৭ নম্বরে। এর পর থেকেই যেন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন লিটন। যার ফল চোখের সামনে।
চলতি বছর ৬টি টেস্টে লিটন খেলেছেন ৯টি ইনিংস। এর ভেতর তার রয়েছে ২টি সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ বাদে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সিরিজে তার ব্যাট থেকে এসেছে দৃষ্টিনন্দন ইনিংস।
ব্যাটিং অর্ডারের পরিবর্তন এনে পারফরম্যান্স দেখাতে পারায় খুশি জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। নিজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বেশ সন্তুষ্টও তিনি। মিরপুর টেস্টে তার ও মুশফিকুর রহিমের ২৭১ রানের রেকর্ড ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে খাদের কিনারা থেকে বড় সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে লিটন খেলেন ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
হোম অফ ক্রিকেটে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে লিটন বলেন, ‘আমি যে এ বছর রান করলাম। কততে নেমে করছি? ভালো আছি, যেখানেই আছি।’
টপ অর্ডার হিসেবে আসলেও বনে গিয়েছেন পুরোদস্তুর লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার। দলে বাকিরা উপযুক্ত ব্যাটিং পজিশনে খেলছেন বলে তিনি নিজের ওপরের পজিশনে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন না বলেও জানান তিনি।
লিটন বলেন, ‘আস্তে আস্তে আসতেছি তো, সুযোগ আসবে। যখন বড় ভাইরা কেউ না কেউ খেলবে না, তখন আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে। এখন আমি সুযোগ দেখছি না ওপরে আসার মতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চেষ্টা তো সব সময় করি। কিন্তু কিছু সময় ব্যর্থ হই, কিছু সময় সফল হই। এটাই ক্রিকেট, এভাবেই চলতে থাকবে। আজকে ভালো করতেছি, কালকে আবার খারাপ হলে হতেও পারে। এটা মেনেই জীবন। এভাবেই চলতে থাকবে।’
আরও পড়ুন:প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের ভালো জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
মঙ্গলবার দিন শেষে ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নে। তাকে রানের খাতা না খুলে সঙ্গ দিচ্ছেন নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীদের পিছিয়ে ২২২ রানে।
ঢাকা টেস্টে নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন দুই লঙ্কান ওপেনার। উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ কারুনারত্নে। টাইগারদের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গার।
প্রথম সুযোগ আসে তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েও প্রথমবারের মতো জীবন পান ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব ফার্নান্দোর ক্যাচ নিতে পারলে ৪৩ রানে তাকে ফিরে যেতে হত সাজঘরে।
দুইবার জীবন পেয়ে চা বিরতির আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান ফার্নান্দো।
উইকেটশূন্য অবস্থায় চা-বিরতি থেকে ফেরার পর শুরুতেই ওশাদা ফার্নান্দোকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। ৯৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী দল।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন দিমুথ কারুনারত্নে। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। তাতে বাধ সাধেন সাকিব আল হাসান।
দিনের শেষ দিকে এসে আরও একটি ব্রেক থ্রু আসে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের হাত ধরে। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে কুশল মেন্ডিসকে ১১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন সাকিব। আর তাতেই ১৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের।
এরপর দিনের বাকিটা সময় নির্বিধ্নেই কাটিয়ে দেন দিমুথ কারুনারত্নে ও কাসুন রাজিথা। দলকে এনে দেন দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪৩ রানের পুঁজি।
আরও পড়ুন:শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কামিল মিশারাকে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
মঙ্গলবার দুপুরে এক বিবৃতিতে বোর্ড ম্যানেজমেন্ট জানায়, আচরণবিধি না মানায় তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সিরিজের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। চট্টগ্রাম টেস্টে সেরা একাদশে জায়গা না পেলেও অপেক্ষায় ছিলেন ঢাকা টেস্টের।
মিশারা এই বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এখনও টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন।
শ্রীলঙ্কা দলের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা পর্যালোচনা করেছি ও আমরা যা দেখেছি তার ওপর ভিত্তি করে তার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই।’
দলের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে যে মিশারা দলীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে তার হোটেল কক্ষে ‘একজন অতিথিকে আসার অনুমতি দেন’।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড আরও জানিয়েছে যে, দেশে ফেরার পর মিশারার বিরুদ্ধে পূর্ণ তদন্ত হবে ও সেটার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:উইকেটশূন্য অবস্থায় চা-বিরতি থেকে ফেরার পর শুরুতেই ওশাদা ফার্নান্দোকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। ৯৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী দল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবটা বেশ ভালো দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিনা উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৮৪ রান। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও তারা পিছিয়ে ২৮১ রানে।
নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় দুই লঙ্কান ওপেনারকে। উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ কারুনারত্নে। টাইগারদের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গার।
প্রথম সুযোগ আসে তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েও প্রথমবারের মতো জীবন পান ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব ফার্নান্দোর ক্যাচ নিতে পারলে ৪৩ রানে তাকে ফিরে যেতে হত সাজঘরে।
দুইবার জীবন পেয়ে চা বিরতির আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান ফার্নান্দো।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে একাধিক শূন্য বা ডাক ও একাধিক সেঞ্চুরি অনন্য কোনো বিষয় নয়। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের সাফল্য ও ব্যর্থতা ধারাবাহিক।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যা ঘটল তা একেবারে অনন্য। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাস ও ২,৪৬৩টি ম্যাচে এমনটি আগে কখনও হয়নি।
এই প্রথম কোনো দলের এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৬টি ডাক দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট।
বাংলাদেশের হয়ে মিরপুরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করা ৩৬৫ রানের মধ্যে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭৫* আর লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪১ রান।
এই দুজন মিলে করেছেন ৩১৬ রান। বাকি ৯ ব্যাটার মিলে যোগ করেন ৪৯!
ওই ৯ জনের মধ্যে আবার ৬ জনের স্কোর শূন্য। মিরপুরে ডাক পেয়েছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল জয় ও তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক সৈকত, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে সোমবার ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন লিটন-মুশফিক। তাদের জুটি ভাঙার পর আবারও ধসে পড়ে স্বাগতিক দলের ইনিংস।
ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত এ রেকর্ডে নাম উঠে গেছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর ৮৭ রান যোগ করতে পারে টাইগাররা। লঙ্কার দুই পেইসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো মিলে নেন ৯ উইকেট। আর শেষ ব্যাটার এবাদত হোসেন রানআউট হন। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের রেশ দ্বিতীয় দিনে এসেও ছিল টাইগারদের। শুরুতে কাসুন রাজিথা ব্রেক থ্রু এনে দেন লিটন দাসকে ফিরিয়ে।
খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসা লিটন ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভাঙা রাজিথা তিন বল বাদে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
ব্যক্তিগত ১৪১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে রাজিথা পতন ঘটান দিনের প্রথম উইকেটের। তবে মাঠ ছাড়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন গড়েন রেকর্ড ২৭১ রানের জুটি। এখন পর্যন্ত টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। একই সঙ্গে সেরা তিন জুটির ভেতর জায়গা করে নিয়েছে লিটন-মুশির অনবদ্য এই পার্টনারশিপ।
লিটনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন প্রায় দুই বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা।
দ্রুত ফেরেন তাইজুল ইসলামও। আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। ব্যক্তিগত দেড় শ রানের ইনিংস ছাড়ান তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বেশ কয়েকবার আউটের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত আর উইকেটের দেখা পাননি লঙ্কান বোলাররা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনে ফিরে এসে এবাদত হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২০ বল টিকলেও রান করতে পারেননি এ টেইল এন্ডার। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
লঙ্কানদের পক্ষে কাসুন রাজিথা ৬৪ রানে ৫টি ও আসিথা ফার্নান্দো ৯৩ রানে ৪টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য