ভারতের ক্রিকেটার পারভেজ রাসূল বেশ লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ। জাতীয় দলের হয়ে তার ক্যারিয়ার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতেই আটকে রয়েছে। অবসর না নিলেও কোনো এক অজানা কারণে জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ কাশ্মীরের এই ক্রিকেটার। কাশ্মীরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে খেলে নিজের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
বর্তমানে রাসূল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে। নিউজবাংলা কথা বলেছে কাশ্মীরের এই ক্রিকেটারের সঙ্গে। পাঠকদের জন্য সে আলাপচারিতার চুম্বক অংশ দেয়া হল।
আপনার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থমকে আছে একটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে। আপনি কি জাতীয় দলে পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছেন?
অবশ্যই। আমি আগেও বলেছি আমার হাতে করণীয় আছে শুধু একটা জিনিস, পারফরম্যান্স। নিজের সেরাটা বের করে আনার চেষ্টা করতে পারি। নির্বাচিত হওয়াটা আমার হাতে নাই। আমি তিনবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছি। প্রথম জিম্বাবুয়ে সফরে, পরে বাংলাদেশ এবং সর্বশেষে ইংল্যান্ডে। এর আগে ভারত-এ দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলে ৩ উইকেট নিয়েছি। আমি পারফরম করছি। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ পাইনি। কারণ মাত্র এক ম্যাচে একজন খেলোয়াড়ের সবকিছু দেখতে পাওয়া যায় না। অন্তত ২-৩টা ম্যাচ টানা সুযোগ দেওয়া উচিৎ।
ঢাকার ক্রিকেটে আপনি নিয়মিত মুখ। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতিটা আপনি কীভাবে দেখেন?
এটা আমার চতুর্থ মৌসুম ঢাকা লিগে। আমি সত্যি উপভোগ করি এখানে খেলাটা। এখানকার ক্রিকেট সবসময় আমার কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনে হয়। বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা আসেন, তাদের সঙ্গে খেলেও কিছুটা হলেও উন্নতি করা যায়। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বোলার হিসেবে ভালো মানের ব্যাটারকে বল করছেন। ব্যাটিং করার সময়ও ভালো মানের, সর্বোচ্চ পর্যায়ের বোলারকে মোকাবেলা করছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছে এমন প্রচুর খেলোয়াড় এখানে অংশ নেয়। ফলে শেখার জায়গাটা বিস্তৃত। তবে একটা জায়গায় সুক্ষ্ম পার্থক্য চোখে পড়েছে। আর সেটা হল উইকেট। বিকেএসপিতে খুব বেশি ফ্ল্যাট উইকেট। ভারতে এমন সব উইকেটে খেলবেন যেখানে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের জন্য কিছু না কিছু থাকে।
আপনার রাজ্য থেকে এর আগে কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেনি। সে ক্ষেত্রে আপনি নিজেকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করতেন?
নিজেকে এভাবে অনুপ্রাণিত করা কঠিন ছিল। ২০১২-১৩ মৌসুমে বিষেন সিং বেদি স্যার আমাদের কোচ হয়ে আসেন। উনি আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন।প্রথম দিনই উনি বলেছেন যে আমি রাজ্যের সেরা অফ স্পিনার। যা আমার মানসিকতা বদলে দিয়েছে। আমার মনে আছে একটা ট্রায়াল ম্যাচে ৩ বা ৪ উইকেট নিয়েছি। তখন বিষেন সিং স্যার নির্বাচকদের বলেন, ‘এ রাজ্য থেকে যদি কেউ প্রথম ভারতের হয়ে খেলে এই ছেলে হল সে’। নির্বাচকরা মনে করেছিল উনি মজা করছেন কারণ তারা এভাবে পর্যবেক্ষণও করেনি, ভাবেওনি। কিন্তু উনিতো কিংবদন্তী। ঐ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে আমি ৩০ এর বেশি উইকেট ও ৫০০ এর বেশি রান করি। কয়েকটি ম্যাচ আমি জিতিয়েছি। ঐ মৌসুমের পারফরম্যান্সেই আমি ভারত-এ দলের হয়ে খেলি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
আপনি জম্মু কাশ্মীরের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ভারতের হয়ে খেলেছেন। এখন নিশ্চয়ই জম্মু কাশ্মীরের তরুণরা ক্রিকেটে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়?
যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছি দলের হয়ে সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। এখন জম্মু কাশ্মীরের ছেলেরা আরও অনুপ্রাণিত। আপনি যদি খেয়াল করেন আমার আইপিএল ও ভারতের হয়ে খেলার পর প্রচুর ক্রিকেটার উঠে আসছে ওখান থেকে। উদাহরণ হিসেবে আব্দুল সামাদ, উমরান মালিক। তারা জম্মু কাশ্মীর থেকে উঠে আসা দারুণ প্রতিভা, বেশ সম্ভাবনাময়।
জম্মু কাশ্মীরের অপর্যাপ্ত ক্রিকেট অবকাঠামো নিয়ে অভিযোগ পুরোনো। আপনি একাই লড়ে যাচ্ছেন সেখানকার পরিস্থিতি বদলে। বর্তমান অবস্থা কেমন?
অবকাঠামোর দিক থেকে এখনও সেখানে অপর্যাপ্ত অবস্থা। যখন আমি আইপিএল ও ভারতের হয়ে খেলি আমার খুব দৃঢ় বিশ্বাস ছিল জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বোধহয় এবার নতুনভাবে ভাববে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা যেভাবে এগোনো দরকার সেভাবে করেনি। কিছুটা উন্নতি হয়েছে ঠিক, তবে সেটা পর্যাপ্ত নয়। যেটা হয়েছে সেটা ৩০ শতাংশও বলা যায় না। যদি ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করি তাহলে সেটা হয়তো ১৫-২০ শতাংশ হবে। আমাদের মাত্র একটা মাঠ।
কোনো নির্দিষ্ট কারণ কি আছে এর পেছনে?
আমি জানি না। আমি কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাই না কেন তারা পিছিয়ে থাকে। উন্নতি করে না। এটার পুরো দায়িত্ব অ্যাসোসিয়েশনের। প্রতি বছর বিসিসিআই টাকা দিচ্ছে, তারা ক্রিকেটের ভালোর জন্য সবসময় সবকিছু করছে। ক্রিকেট উন্নতিতে বিসিসিআই সবার জন্য উন্মুক্ত। দিন শেষে আমি কোনো উত্তর খুঁজে পাই না কেন আমাদের অ্যাসোসিয়েশন অবকাঠামোর দিক থেকে উন্নতি করতে পারছে না কিংবা করে না।
আপনার বোলিং উন্নতিতে বিষেন সিং বেদীর একটা প্রভাব আছে। তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?
এটা আলাদা করে আর বলার অপেক্ষা রাখে না কতটা প্রভাব রেখেছে। আমার মনে পড়ে অনুশীলন শেষে আমরা সবাই একটা জায়গায় উনার সামনে বসতাম। উনি একের পর এক গল্প শোনাতেন আমাদের। উনি বলতেন, ‘এগোবে ও লড়বে। শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাওয়ার দরকার নেই।’ উনি আমাদের কোচ হয়ে আসার পর রাজ্য দলের পারফরম্যান্সও বদলে গিয়েছে।
আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে নাম লেখানোর আগে আপনাকে চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে নিতে চেয়েছে। অথচ এখন নিলামে অবিক্রিত থাকেন। ব্যাপারটা কেমন লাগে?
হ্যাঁ, আমাকে ৪টা দল প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে ডাক পাই প্রথমে। ২০১৩ সালে দুই ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পাইনি। পরের মৌসুমে আবারও দেশসেরা অলরাউন্ডার নির্বাচিত হই (ঘরোয়া ক্রিকেটে)। আবারও সুযোগ পাই সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে। দুই মৌসুম সেখানে কাটিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে যোগ দিই। আইপিএলেও আমি সেভাবে সুযোগ পাইনি, জানি না ঠিক কেন।
গত ৩-৪ মৌসুমে আমি ১০০ এর বেশি উইকেট ও প্রায় ১ হাজারের মতো রান করেছি। ভালো পারফর্ম করছি। এটাই আমার কাজ। আমার কাজটাই আমি করে যেতে পারি, নির্বাচন তো আর আমার হাতে নেই। বিষেন সিং বেদি স্যার সবসময় বলতেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় এমন সব জিনিসই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে।
ভারতে ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরা খেলোয়ারদেরও নানাভাবে পুরস্কৃত করা হয়। আপনার কি মনে হয় বাংলাদেশেও ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য এমন উদ্যোগ, স্বীকৃতি থাকা উচিৎ?
অবশ্যই। ভারতে প্রতি বছর এই পুরস্কারের ব্যবস্থা থাকে, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এটা ক্রিকেটারদের ভারতের হয়ে ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলতে নিশ্চিতভাবে অনুপ্রাণিত করে। এই সিস্টেমটা এখানেও সংযুক্ত করা উচিৎ বলে আমার মনে হয়। এটা ক্রিকেটারদের উৎসাহী করবে। তরুণ ক্রিকেটাররা বছরের সেরা ব্যাটার, বোলার, অলরাউন্ডার পুরস্কার জেতার জন্য নিজেদের আরও বেশি নিংড়ে দিবে।
আপনার দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে। শিরোপা জয়ের দারুণ সুযোগ সামনে। দলের পরিবেশটা কেমন এখন?
টুর্নামেন্টের শুরুতে যদি দেখেন কাগজে-কলমে আমরা গড়পড়তা একটা দলই ছিলাম। কিন্তু আমরা দারুণ করছি। আমাদের ম্যানেজমেন্টকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। যারা ক্রিকেটারদের জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। আমাদের সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারের ভালো একটা সমন্বয় আছে। টুর্নামেন্টে আমাদের টেনে নিচ্ছে বোলাররা। আমাদের বোলিং আক্রমণ অসম্ভব ভালো। দেড় শর কম নিচে পুঁজি নিয়েও ম্যাচ জিতেছি। ১৯০ করে ম্যাচ জিতেছি। তবে সুপার লিগে আমাদের ব্যাটারদের আরও দায়িত্ববান হতে হবে।
আপনি নিজেও বল হাতে দারুণ করছেন। টুর্নামেন্ট শেষে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমার একটা লক্ষ্য যেন দলে অবদান রাখতে পারি। এটাই আমার মূল কাজ। ব্যাটিং দিয়েও চেষ্টা থাকে যদিও উপরর দিকে সেভাবে সুযোগ হয়নি কম্বিনেশনের জন্য। একটা ম্যাচে উপরের দিকে খেলতে পেরেছি, তো যখনই সুযোগ আসবে নিজের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো দলের জন্য।
আরও পড়ুন:বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।
‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।
‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।
‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।
আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।
সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।
সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
সোমবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওয়ায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।
অর্ধেক ওভার মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।
ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির। ১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।
এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য