ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশে যত অর্জন রয়েছে তার বেশিরভাগ ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড খেলোয়াড়রা নিয়ে এসেছেন বলে তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু চারজাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকার প্রধান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম সরকার গঠন করলাম ১৯৯৬ সালে, তখন আমার কাছে এসেছিলেন স্পেশাল অলিম্পিকে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড যারা তারা অংশগ্রহন করবে। অনেকেই এটাকে গুরুত্ব দেয় নি। কিন্তু আমি গুরুত্ব দিয়েছিলাম। সম্ভবত ৯৭ বা ৯৮ সালে অনুষ্ঠানটা হয়। সে সময় বলেছিল যে আমেরিকায় যেতে আর অংশ গ্রহন করতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা লাগবে। আমি বললাম এটা তো কিছুই না। আমি দেব টাকা।
‘সবচেয়ে বড় কথা হলো তারা ২১টা স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। এতো ট্রফি যারা সুস্থ তারা কিন্তু কখনও আনতে পারেনি। আজকে আপনারা শুনেছেন আমাদের এই ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড যারা তারাই কিন্তু সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জয় করেছে আমাদের জন্য। ২১৬ টা স্বর্ণ সহ অনেক ট্রফি তারা নিয়ে এসেছে। আমাদের সুস্থ যারা তারা কিন্তু এটা পারেনি।’
সরাসরি মাঠে গিয়ে খেলোয়াড়দের নিজ হাতে পুরস্কার তুলে দিতে না পারায় আক্ষেপও জানান সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আমার মনটা পড়ে আছে মাঠে। আমি গণভবনে বন্দি। এই বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেতেই হবে। আমার মনে হচ্ছে ওখানে যদি চলে যেতে পারতাম সবচেয়ে আনন্দিত হতাম। এটা হলো না সত্যিই দু:খজনক। এই টুর্নামেন্ট আয়োজন একটি অসাধারণ কাজ।
‘সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আজকে ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড যারা তারা বোঝা না। তাদের নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। তাদেরকেও আমরা আমাদের একজন মনে করি। এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।’
একই সাথে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে নিজ পরিবারের সম্পর্কের স্মৃতিচারণও করেন বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারের সবাই স্পোর্টসের সঙ্গে জড়িত ছিল ও আন্তরিক ছিল। আমার মা নিজে উৎসাহ দিতেন খেলাধুলায়। সেই সঙ্গে আমার ভাই মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, আরেক ভাই মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল দুজনই খেলাধুলায় সক্রিয় ছিল। আধুনিক ফুটবল খেলা এদেশে প্রবর্তণ করে শেখ কামাল।
‘শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল সেও স্পোর্টেসর সঙ্গে জড়িত ছিল। কাজেই আমাদের বাড়িতে আমরা তাকে অনেক সাদরে বউ করে নিয়ে এসেছিলাম। জামালের স্ত্রী পারভীন সেও খেলাধুলায় ছিলো। স্পোর্টসে অনেক ট্রফি পেয়েছিল। সে আমার নিজের ছোট ফুফুর মেয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে ১৫ আগস্ট আমরা সবাইকেই হারালাম।’
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন খেলোয়াড়দের জন্য সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধিদের খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য আমরা ব্যপক ব্যবস্থা নিচ্ছি। সাভারে ১২ একরের উপর একটি ভালো ক্রীড়া কমপ্লেক্স করছি। এটা শুধুমাত্র ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জডদের জন্য। সেই সঙ্গে জাতীয় সংসদের পাশে একটি জায়গা ছিল। এখানে মুক ও বধির একটা স্কুল ছিল।
‘ছোটবেলায় আব্বা নিয়ে আসতেন এখানে। তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আমরা দেখতাম। পরে আমি সংসদের আওতায় জায়গাটা নিয়ে আসি। এখন আবার দিয়েছি। এখানে শুধুমাত্র প্র্যাকটিসের জন্য যারা প্রতিবন্ধি বা স্পেশালি চ্যালেঞ্জডরা যাতে অনুশীলন করতে পারে তাদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।’
‘তারা আমাদের সমাজেরই একজন, দুরের কেউ না। এটাই আমরা প্রমান করতে চাই। এ জন্য এখন যতো প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে তাদের চলাচলের সুবিধার সব ব্যবস্থা আমরা করছি। অনুশীলনের ভালো মাঠ পেলে তারা আরও ভালো করবে। তারা তো আমাদেরই সন্তান। এটা সবার মনে রাখতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘তাদের চাকুরী ক্ষেত্রে এক ভাগ কোটা আছে। কোনো ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান যদি এদের চাকরি দেয় তারা কিন্তু আমাদের বিশেষ সুবিধা পাবে এ ব্যবস্থা আমরা করেছি। তাদের জন্য আলাদা সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। আমাদের গত বাজেটে এটা আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম। বেতন সহ অন্যন্য সুবিধার ব্যবস্থা ফিন্যান্স থেকে তারা করবে।
‘তাছাড়া তাদের চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন ও আবাসিক ব্যবস্থা আমরা করে দেব। এর জন্য সুবর্ণ ভবন নামে আলাদা একটি কমপ্লেক্স করে দিচ্ছি। এখানে তাদের চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থাও থাকবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর নিউরো ডেভেলপমেন্ট অটিজম ফর চিলড্রেন এটাও প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। এছাড়া দেশের প্রত্যেকটি মেডিকেলে আলাদা চিকিৎসা যেন তারা পায়, সেখানেও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে চালু করা হয়েছে।’
দেশের সব জেলা স্টেডিয়ামগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে ত্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাজেটও আমরা বৃদ্ধি করেছি। প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটি করে বিকেএসপি আমরা করে দিচ্ছি। শুধু রাজধানী কেন্দ্রিক না, আট বিভাগে আটটি বিকেএসপি হবে। সব উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। এটা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
‘আমরা জেলায় যে স্টেডিয়ামগুলো করেছি, এটা শুধু ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলে দিলে ব্যবহার হয় না। এটা সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। প্রতিবন্ধিরাও যেন সেখানে গিয়ে অনুশীলন করতে পারে সে ব্যবস্থাটাও করে দিতে হবে। না হলে এগুলো পড়ে থাকে, খেলাধুলা হয় না।’
এ সময় টুর্নামেন্ট আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান এনপিসিকে ক্রিকেটের উন্নয়নে ১০ কোটি টাকার ফান্ড দেয়ার ঘোষণা দেন সরকার প্রধান। পাশাপাশি টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ঘোষণা করেন ৫ লাখ করে টাকা পুরস্কার।
আরও পড়ুন:দেশে সম্প্রতি নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে বাধার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
এতে উল্লেখ করা হয়, কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর এবং জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন যে, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন।
‘শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সকল শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন। আমরা এই বিবৃতির সঙ্গে জয়পুরহাটের নারী ফুটবল ম্যাচের একটি ভিডিও সংযুক্ত করেছি।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত এক মাসে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলির মধ্যে একটি আয়োজন করেছে, যার মধ্যে শত শত গ্রামীণ জেলা এবং উপজেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।
‘প্রফেসর ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে প্রফেসর ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সাথে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।’
আরও পড়ুন:ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে শুক্রবার বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো দশম কেএসআরএম গলফ টুর্নামেন্ট।
এ টুর্নামেন্টে নারী, সিনিয়র ক্যাটাগরিসহ ১৫৮ গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট উপলক্ষে সবুজে আচ্ছাদিত গলফ ক্লাবকে সাজানো হয় দৃষ্টিনন্দন সাজে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সেনানিবাসের স্টেশন কমান্ডার ও ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ভিপি (প্রশাসন ও অর্থ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম এনডিসি, পিএসসি।
কেএসআরএমের পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জসিম উদ্দিন, বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. আশফাকুল ইসলাম, ভাটিয়ারী গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের ইও অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. মোকাদ্দেস হোসেন, কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সাইফুল আলম চৌধুরীসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা কেএসআরএমের সহযোগিতায় এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করে থাকি, যা অত্যন্ত আনন্দের ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা। এ জন্য কেএসআরএম কর্তৃপক্ষের প্রতি আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।
‘আমরা আশা করছি কেএসআরএমের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক এ সম্পর্ক আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক পর্যায়ের এসব গলফ টুর্নামেন্ট জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
বিজনেস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট উইংয়ের মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আশফাকুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের সব বড় বড় প্রকল্পে কেএসআরএমের রড ব্যবহার হয় ব্যাপক হারে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে গর্বিত নির্মাণ অংশীদার ছিল কেএসআরএম।
‘আমাদের কাঁচামাল বিশ্বমানের। যেকোনো ডায়ামিটার ও গ্রেডের রড তৈরিতে সক্ষম আমরা। আমাদের শিপিং সেক্টরে ২৮টি মাদার ভ্যাসেল রয়েছে, যা দিয়ে আমরা জাতির সেবা করছি। কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছি প্রচুর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করতে। আগামীতেও আমাদের সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের উপ-মহাব্যবস্থাপক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল নুরুল মোমেন, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মবিনুর রহমান চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক তাজ উদ্দিন, উপব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান রিয়াদ, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিজান উল হক, মিথুন বড়ুয়া, আশরাফুল ইসলামসহ অনেকে।
টুর্নামেন্টে বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ ও র্যাফেল ড্রর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
আরও পড়ুন:ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
সাত সদস্যের এ কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য পদে আরও যে পাঁচজনের নাম রয়েছে তারা হলেন ওসমান গনি (ক্রীড়া অনুরাগী), মানিক রায় (কোচ), মো. মামুন (রেফারি), দিবস তালুকদার (ক্রীড়া সাংবাদিক) এবং আরিফুর রহমান (ছাত্র প্রতিনিধি)।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্ম সচিব) মো. আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত এক স্মারকে কমিটির অনুমোদনপত্র পাঠানো হয় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ ছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়য়ের সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার একান্ত সচিব, সচিবের একান্ত সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব বরাবর অনুমোদনপত্রের অনুলিপি পাঠানো হয়।
গত ১৯ জানুয়ারি অনুমোদন হওয়া ঝালকাঠি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাত সদস্যের অ্যাডহক কমিটির অনুমোদনপত্রে লেখা রয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ২ (১৫)-এ উল্লিখিত স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থার সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্র মোতাবেক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর অর্পিত ক্ষমতা অনুসরণে ঝালকাঠি জেলার জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ এর ধারা ৮-এ বর্ণিত পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ৫১তম আগা খাঁন গোল্ড কাপ গলফ টুর্নামেন্ট।
তিন ব্যাপী এ টুর্নামেন্ট শেষ হচ্ছে শনিবার, যা শুরু হয় বৃহস্পতিবার।
টুর্নামেন্টে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি/বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৫০০ জন গলফার অংশ নেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা ছাড়াও কমান্ড্যান্ট, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ ও কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক, প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাদাদ আলী ভিরানী, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তৌহিদ হোসেন, টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), সংশ্লিষ্ট ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য, ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.), ক্লাব সেক্রেটারি কর্নেল এস এম সাজ্জাদ হোসেন, কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের লেডি ক্যাপ্টেন প্রফেসর শাহীন মাহবুবা হক, ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, ক্লাব অ্যাফেয়ার্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মো. সাইদুর রহমান (অব.), ক্লাবের জেনারেল ম্যানেজার, গলফ অপারেশনস লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার হোসেন (অব.), বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্স আগা খাঁন শিয়া ইমামি ইসমাইলি কাউন্সিল বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার সময় ক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) নবনিযুক্ত সভাপতি। পদাধিকারবলে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিওএ-র সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর সেনাবাহিনী প্রধান তার এই প্রথম সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
সভায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিওএ-র কার্যনিবাহী কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুমোদন এবং সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে উল্লেখ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মাইনুল হাসান বলেছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের পুলিশ সার্ভেইল্যান্সে (নজরদারিতে) রাখা হয়েছে।
রোববার পল্টনে আউটার স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ‘ওয়ালটন-ক্র্যাব স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’-এর ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এরকম (শীর্ষ সন্ত্রাসী) যারা ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভেইল্যান্সে রয়েছে। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পুলিশে এখনও যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে জানতে চাইলে মাইনুল হাসান বলেন, ‘এটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর। যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি মহানগরীর শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে। তেমনই ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) বিভিন্নভাবে অপরাধ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করছে।
‘ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন, যেটি বহুদিন থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ সব সময় ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করে থাকে।’
ডিএমপি কমিশনার পরে পল্টন আউটার স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে পরিচিত হন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ক্র্যাবের সভাপতি কামরুজ্জামান খান, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানসহ ক্র্যাবের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ান ঢাকা কমিটির পক্ষ থেকে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শনিবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ সময় আসিয়ান ঢাকা কমিটির প্রতিনিধি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রুনাই দারুসসালামের হাইকমিশনার হারিস বিন ওথম্যান, ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত হিরু হারতানতো সুবোলো, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ হাশিম, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কেইও সোয়ে মোয়ে, ফিলিপাইনের জুনিয়র রাষ্ট্রদূত লিও টিটো এল আউসান, সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের হাইকমিশনার মাইকেল লি, থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিটমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত নগুয়েন মানহ কুওয়ংসহ কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য