করোনার কারণে দুই মৌসুম বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চলতি বছরের আসর। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আগের আসরটি অনুষ্ঠিত হলেও চলতি বছরের আসরটি অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আসন্ন আসরটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ’।
শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ৩ ও ৪ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবারের আসরের ম্যাচগুলো। একই সঙ্গে ইউনিভার্সিটি অফ লিবেরাল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মাঠকে রিজার্ভ ভেন্যু হিসেবে রেখেছে সিসিডিএম।
প্রথম বিভাগ থেকে ডিপিএলে এই মৌসুমে উত্তীর্ণ হয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স ও সিটি ক্লাব। দুটি ক্লাবের অন্তর্ভুক্তি হলেও আসরে কমেছে দলের সংখ্যা। এ আসরে ১২টির পরিবর্তে খেলবে ১১টি দল। তিনবারের রানার্স-আপ দল প্রাইম দোলেশ্বর দল গুছাতে না পারায় খেলছে না।
আসরের ১১ দলের অধিনায়ক ফোকাস করছেন ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার। সোমবার শেরে বাংলায় টুর্নামেন্টের শিরোপা উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমনটাই বলেন দলপতিরা।
লেজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের অধিনায়ক নাঈম ইসলাম বলেন, ‘এবারের প্রিমিয়ার লিগে আমাদের ভালো দল হয়েছে। খুব ভারসাম্যপূর্ণ। প্রতিটা দলেরই প্রত্যাশা থাকে শিরোপা জয়, আমাদেরও ভিন্ন কোনো চাওয়া নেই। তবে আমরা ম্যাচ-বাই-ম্যাচ যেতে চাই।’
এবারের আসরে দলটির হয়ে খেলছেন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। তার অন্তর্ভুক্তি দলের জন্য বড় একটি প্লাস পয়েন্ট মন্তব্য করে নাঈম বলেন, ‘মাশরাফি ভাই কী ধরনের পারফরমার আপনারা সবাই জানেন। নতুন করে বলার কিছু নেই। উনি দলে থাকা যে কোনো দলের জন্যই বড় সুবিধা।’
প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক অলক কাপালী বলেন, ‘আমাদের দলে প্রায় ২৭ জন খেলোয়াড় রয়েছে। আমাদের যে কম্বিনেশন আছে, কয়েক দিনের অনুশীলনে চেষ্টা করছি ঘাটতির জায়গাগুলো পূরণ করার।’
‘যেহেতু জাতীয় দলের জন্য খেলতে গেছে, কিছু করার নাই। আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, আশা করি, ম্যাচে আমরা ভালো করব, কোনো সমস্যা হবে না’, তিনি যোগ করেন।
এবারের আসরে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে নেতৃত্ব দেবেন মোহাম্মদ আশরাফুল। লিগকে কেন্দ্র করে নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।
আশরাফুল বলেন, ‘দলটা ভালোই হয়েছে আশা করি। আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন শেষ ১২-১৩ বছর হলো সুপার লিগে খেলে না। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য ও দলের লক্ষ্য, এবার সুপার লিগে খেলতে চাই। অবশ্যই সবাই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমাদের প্রথম লক্ষ্য, সেরা ছয় দলের একটা হতে চাই। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব মিলিয়ে আমি বলব আমাদের ভারাসাম্যপূর্ণ একটা দল হয়েছে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে একটা ভালো দলই হয়েছে।’
‘সবার জন্যই লিগ গুরুত্বপূর্ণ। আমি যেহেতু এখনও খেলছি এবং স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ দলে খেলব। সেদিক থেকে এই লিগটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আমার জন্য। যদি আরও দুই-তিন বছর আমার ক্যারিয়ার ক্যারি করতে চাই, আমার মনে হয় এই লিগে আমার ভালো কিছু করা।’
দলে আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের মতো লেগিকে পেয়ে বেশ খুশি অ্যাশ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন আমি দেখেছি যে, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব আমাদের দলে এসেছে (আমি খুশি হয়েছি)। ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করব, যতটুকু সমর্থন ওকে দিতে পারি, দেওয়ার। অবশ্যই ওর পারফরম্যান্সটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। ওকে শুরুতে সমর্থন দেব, ও যদি পারফর্ম করতে পারে জিনিসটা সহজ হয়ে যাবে। ।’
খেলাঘর সমাজ কল্যান সমিতির অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরি বলেন, ‘দলে হয়তো তেমন বড় নাম নেই। আমরা কয়েকটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেললাম, বা এক সঙ্গে অনুশীলন করলাম, আমার কাছে দলটাকে বেশ ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে। ক্রিকেট খেলা তো মাঠে পারফর্মের খেলা। যারা মাঠে ভালো খেলবে ফল তাদের দিকেই যাবে।’
ব্রাদার্স ইউনিয়নের মতো খেলাঘরও দলে ভিড়িয়েছে একজন লেগি। সে প্রসঙ্গে দলপতি বলেন, ‘রুবেল নামে একজন বাঁহাতি লেগ স্পিনার আছে, ওকে খুব ইম্প্রেসিভ মনে হয়েছে আমার কাছে। যদি ওর সুযোগ আসে, মনে হয় ভালোই খেলবে। ও অনেক দিন ধরেই আসে, মুশফিকুর রহিমও ওকে চেনে। নেটে বল করে অনেক দিন ধরেই। নাফিস (ইকবাল) ভাই ওকে যুক্ত করেছেন দলে। হয়তো প্রথমে সযোগ নাও আসতে পারে, কিন্তু আমার মনে হয় সুযোগ এলে ও ভালোই করবে। ও কোনো পর্যায়ে এখনও খেলেনি। হয়তো প্রথমে সুযোগ আসবে না, ভবিষ্যতে আসতে পারে। অনুশীলনে দেখলাম, খুব ইম্প্রেসিভ মনে হলো আমার কাছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটসম্যান হিসেবে আমি সব সময়ই দেখেছি, লেগ স্পিনারদের খেলাই সবচেয়ে কঠিন, যদি ভালো জায়গায় বল করে। তো আমিও চেষ্টা করব আমার সাধ্যমত, যদি সুযোগ আসে খেলানোর। সবার আগে তো দল। দলের যে অপশন ভালো হবে, সেটাই বেছে নেব। আমার দিক থেকে আমি চেষ্টা করব খেলানোর জন্য।’
ডিপিএলের চলতি বছরের আসরে আবাহনী স্পোর্টিং ক্লাবকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে মোসাদ্দেক হোসেনকে। হ্যাট্রিক জয়ের ধারা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর এই ক্রিকেটার।
মোসাদ্দেক বলেন, ‘শেষ তিন বছর যখন আমরা চ্যাম্পিয়ন, তাই এবারও সেভাবেই ভাবছি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাব। আমাদের প্রস্তুতি ও আলোচনা হয়েছে দলের মধ্যে, আমরা ইতিবাচক আছি। তো এখন পর্যন্ত সেভাবেই এগোচ্ছি।’
‘যখন সেরা একাদশের তিন-চার জন থাকবে না ওই সময় অবশ্যই দল সাজানো একটু কঠিন। তারপরও আমাদের যারা খেলবে তারাও জাতীয় দলের ক্রিকেটার এবং তারাও বড় নাম বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য। তো আমি আশা করছি, আমাদের সবাই ভালো খেলবে।’
ডিপিএলের উদ্বোধনী দিনেই আবাহনী খেলবে নবাগত দল রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। দল নবাগত হলেও তাদের নিয়ে বেশ সতর্ক সৈকত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচ রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে। একটা স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হবে। ওরা কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরাও ইতিবাচকভাবে নিচ্ছি, ভালো একটা ম্যাচ হবে।’
এই টুর্নামেন্টকে জাতীয় দলের ফেরার দরজা হিসেবে দেখছেন সৈকত। তার মতে, ‘আপনি যদি জাতীয় দলের কথা চিন্তা করেন, আমাদের প্লাটফর্ম বিপিএল, ঢাকা লিগ, বিসিএল, জাতীয় ক্রিকেট লিগ। যেখানেই ভালো খেলবেন (কাজে লাগবে)। (দল নির্বাচন) নির্বাচকদের কাজ, ম্যানজেমেন্ট আছে। এটা তাদের কাজ। আমাদের হাতে আছে পারফরম্যান্স করা, তো আমরা পারফরম্যান্স করার দিকেই মনোযোগ দেব। আমি প্রিমিয়ার লিগটা তো অবশ্যই ভালো খেলতে চাই। ভালো খেলে আবারও দলে ফিরতে চাই।’
নবাগত দল রূপগঞ্জ টাইগার্স তাদের অধিনায়কত্বের দায়িত্বভার দিয়েছে মার্শাল আইয়ুবের ওপর। শিরোপার জন্য ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা রয়েছে তারও।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য লড়াই করা। তবে প্রথম লক্ষ্য সুপার লিগ খেলা। আমাদের দলে বিদেশি হিসেবে খেলবে ভারতীয় ব্যাটসম্যান বাবা অপরাজিথ। সে চলে এসেছে।’
‘আমাদের আসলে নাসুম ছাড়া সবাই আছে। আমরা মূলত স্থানীয় পারফর্মারদের নিয়ে দল করেছি। দলে যেমন ফজলে রাব্বি আছে, শরিফুল্লাহ আছে, আরিফুল হক আছে, তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমার।’
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স তাদের অধিনায়কত্বের গুরুভার দিয়েছে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলির হাতে। বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক এখনই শিরোপার প্রত্যাশা করছেন না। প্রতি ম্যাচের ফলাফলের ওপর দৃষ্টি রেখে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তার।
আকবর বলেন, ‘(শিরোপা লড়াইয়ে থাকা) আমরা এখনই এতোটা প্রত্যাশা করছি না। প্রথম লক্ষ্য থাকবে যেন ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে পারি এবং সুপার লিগে খেলতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে টুর্নামেন্টই খেলি কি না, চেষ্টা থাকে ভালো কিছু করার। এখানেও সেটাই থাকবে। নিজের সেরাটা খেলার চেষ্টা করব। এই প্রথম প্রিমিয়ার লিগের কোনো দলের নেতৃত্ব দিব। এটা আমার জন্য কোনো চাপ নয় বরং সুযোগ। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের মতো একটা দলের নেতৃত্ব পাওয়া আমার জন্য বড় সুযোগ।’
নিয়মিত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জাতীয় দলের সঙ্গে সফরে থাকায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করেছে শুভাগত হোম চৌধুরিকে। ভালো শুরুর মধ্য দিয়ে শিরোপার দিকে শুরু থেকেই চোখ রাখছেন তিনি।
শুভাগত বলেন, ‘যারা জাতীয় দলে আছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাদের মিস করব। হয়তো আমরা শেষের দিকে তাদের পাব। কিন্তু তাদের ছাড়াও এখন আমাদের যে দল আছে, সেটা ভালো, ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল। শুরু থেকে আমরা চেষ্টা করব, ভালো ফল করতে। ওরা এলে যেন, আরও বেটার পারফরম্যান্স করতে পারি।’
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন বলেন, ‘আমরা খুবই আশাবাদী যে এই টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করব। এখনই সুপার লিগের চিন্তা না করে আমরা যদি ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলি তাহলে হয়তো আরও বেশি ভালো হবে।’
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের দলপতি সৈকত আলি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন বলে বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘ অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের সমন্বয়ে একটা ভালো কম্বিনশেন আছে আমাদের। লক্ষ্য অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সব খেলোয়াড় সেভাবেই মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে। মাঠে গিয়ে যারা ভালো খেলতে পারবে, তারাই জিতবে।’
নবাগত আরেক দল সিটি ক্লাবের অধিনায়ক জাওয়াদ মোহাম্মদ রুয়েন লম্বা সময় পর ঢাকা লিগে জায়গা করে নিতে পেরে বেশ খুশি। একই সঙ্গে তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীও তিনি।
রুয়েন বলেন, ‘১৩ বছর পর আবার প্রিমিয়ার লিগে খেলবে সিটি ক্লাব। দলটা আসলে তারুণ্য নির্ভর। পরিচিত মুখ কম, অপরিচিত মুখই বেশি। প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগের কিছু তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে এই দল গোছানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী, ভালো কিছু করব।’
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।
মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।
এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।
‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।
‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।
‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।
আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।
সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।
সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য