গিনেস রেকর্ড গড়তে বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় নামার ঘোষণাটা দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১৬ মিনিটে। সে অনুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা ৩ মিনিটে শুরু করেন সাইক্লিং। সবকিছু স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু তিন ঘণ্টা পর প্রবল বাতাসে আর টিকতে পারেননি; পড়ে যান সাইকেল নিয়ে। ততক্ষণে ৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন তাম্মাত বিল খয়ের।
চট্টগ্রামের এই সাইক্লিস্ট আজ রাজধানীর রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট এলাকায় হাত ছেড়ে (নো হ্যান্ডস) সাইকেল চালিয়ে এ পথ পাড়ি দেন। যদিও ইনজুরির কারণে রেকর্ড গড়া হয়নি তার।
তাম্মাতের এ সাইক্লিংয়ের প্রতি মুহূর্ত লাইভ করা হয় তার ফেসবুক পেজ থেকে। অনেকেই সে দৃশ্য দেখছিলেন, তবে হঠাৎ সাইক্লিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে দুঃখ পান। কেউ কেউ আবার তাকে পরেরবারের জন্য উৎসাহ দেন।
ভিডিওর একটি অংশে দেখা যায়, ক্ষতস্থান দেখছেন তাম্মাত। তার আশপাশে কয়েকজন। পরবর্তী সময়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে দেখা যায়।
প্রচেষ্টা নেয়ার পরও চূড়ান্ত সাফল্য না পাওয়া নিয়ে জানতে নিউজবাংলার পক্ষ থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয় তাম্মাতের মোবাইলে, তবে তাকে পাওয়া যায়নি।
বেলা ৩টা ৫৬ মিনিটে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তাম্মাতের বক্তব্য পাওয়া যায়। সে স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘স্পোর্টস লাইফ ইজ আ চয়েস। বাট ইফ ইউ থিংক ইট’স অল অ্যাবাউট উইন, দেন ইউ আর রং! আই অলওয়েজ বিলিভ দ্যাট হ্যাপিনেস ইজ সাকসেস।’
স্ট্যাটাসে তাম্মাত বলতে চেয়েছেন, ব্যক্তি নিজে থেকেই ক্রীড়াজীবন বেছে নেন। এখানে সবসময় জয় আসবে মনে করাটা ভুল। সাফল্য মানে সুখ।
ব্যর্থতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা আছে জানিয়ে তাম্মাত লেখেন, ‘নিজের সফলতাকে যেভাবে আমি গ্রহণ করি, ব্যর্থতাকে ঠিক একইভাবে গ্রহণ করি। গত ৭ বছরে আমি অনেক কিছু শিখেছি ও পেয়েছি। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ ফর এভ্রিথিং।’
সাইকেল নিয়ে পড়ে যাওয়ার কারণ নিয়ে তাম্মাত বলেন, ‘৫০ কিমি শেষ হওয়ার পর বাতাস হঠাৎ বেড়ে যায় এবং ক্রস উইন্ড হচ্ছিল। খুব চেষ্টা করার পরও ৭০ কিমির সময় হঠাৎ বাতাস সোজা রাস্তায় এক কর্নারের দিকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ে যায়। বিশ্বাস করেন, পড়ে যাচ্ছি দেখেও শেষবারের মতো হ্যান্ডেল বারে হাত না দিয়ে আবার মাঝখানে আনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু হলো না!’
মনোবল অটুট আছে জানিয়ে এ যুবক বলেন, ‘আমি ভেঙে পড়ার মতো ছেলে না। হলে গত ৭ বছরে হয়তো শতবার ভেঙে পড়ে যেতাম। সবকিছু গুছিয়ে বাসায় আসলাম। মন ভালো আছে। আমার সামনের মাসে ন্যাশনাল গেমস। আমি বাড়ি ফিরছি না। এখানেই সুস্থ হয়ে ট্রেনিং করে ন্যাশনাল গেমস খেলব।
‘আমরা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য আবারও ডেট ফাইনাল করব। ইনশাআল্লাহ আমরা পারব। নতুন তারিখে সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা দ্বিতীয় অ্যাটেম্বট নিব। সবাই দোয়া করবেন ‘
কে এই তাম্মাত
২০২১ সালের নভেম্বরে ইউটিউবভিত্তিক একটি চ্যানেলে আপলোড হওয়া ভিডিওতে তাম্মাত সম্পর্কে বড় পরিসরে ধারণা পাওয়া যায়। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর প্রকাশিত ভিডিওতে নিজের বিভিন্ন অর্জন ও পুরস্কারের বিষয়ে ধারণা দেন এ তরুণ।
তাম্মাত সাক্ষাৎকারগ্রহীতাকে বলেন, ‘আমি গত চার-পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সাইক্লিং ও রানিং ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছি এবং আমার বেশ কিছু পুরস্কার ও অর্জন আছে।’
এ সাইক্লিস্টের চট্টগ্রামের বাসায় ধারণ করা ভিডিওতে অনেক মেডেল ও সনদ দেখানো হয়। সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তাম্মাত বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালে প্রথম বাইসাইকেলে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ২৫ দিনে পাড়ি দিয়েছিলাম। তার পর থেকে আমি বিভিন্ন স্পোর্টস অ্যাকটিভিটির সঙ্গে জড়িয়ে যাই। বিভিন্ন রানিং প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করি, সাইক্লিং ইভেন্টে।
‘গত চার-পাঁচ বছরে দেশে আমি প্রায় ৬০টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছি। আর দেশের বাইরে আমরা পাঁচটা ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছি। এসব হচ্ছে আমরা সাইক্লিং ও রানিং ইভেন্টের অর্জন।’
সে সময় সাক্ষাৎকারগ্রহীতা চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারির ইভেন্ট নিয়ে তাম্মাতের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। প্রশ্ন ছিল- ‘আপনি তো ১৩০ কিলোমিটার ফ্রি হ্যান্ড চালাবেন। এ রকম কোনো রেকর্ড আছে কি না, শর্ট ভার্সনে?’
উত্তরে তাম্মাত বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে দেশে আমার তিনটি রেকর্ড আছে। একটি হচ্ছে ২০১৭ সালে ২৫ দিনে সাইকেলে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা পাড়ি দেয়া। আরেকটি হচ্ছে, ২০১৮তে হেঁটে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত এক হাজার কিলোমিটার ২৪ দিনে পাড়ি দিয়েছিলাম। তখন ওটা একা সবচেয়ে কম সময়ের রেকর্ড ছিল। যদিও বর্তমানে আরও কম সময়ের রেকর্ড আছে।
‘এরপর ২০১৯ সালে আমার নিজের ২০১৭ সালের যে রেকর্ডটা ২৫ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা পাড়ি দেয়া, সেটি ভেঙে ১৪ দিন ২০ ঘণ্টায় নতুন একটা রেকর্ড গড়ি। ওটা শর্টেস্ট টাইমে সাইকেলে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা পাড়ি দেয়ার বর্তমান ন্যাশনাল রেকর্ড।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তরুণ এই সাইক্লিস্ট বলেন, ‘আমার একটাই স্বপ্ন এবং আমি সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। সেটি হচ্ছে বাইসাইকেলে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পদক এনে দেয়া।’
অলিম্পিক ইভেন্টে অংশ নেয়ার ইচ্ছার বিষয়ে জানতে চাইলে তাম্মাত বলেন, ‘আমাদেরকে যদি সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এবং যদি কোম্পানিগুলো আরও বেশি করে পৃষ্ঠপোষকতা করে আমাদেরকে, আমাদের সাইক্লিং ফেডারেশনকে, তাহলে তা আমাদের জন্য বেশি ভালো হয়। আসলে আর্থিক ব্যাপারটার কারণে প্রশিক্ষণের দিক দিয়ে আমরা সবসময় পিছিয়ে যাই।
‘ওয়ার্ল্ড ক্লাস ট্রেনিং নেয়াটা খুব এক্সপেনসিভ (ব্যয়বহুল)। ওই ধরনের ট্রেনিংয়ের খরচ কোনো কোম্পানি থেকে পেলে ইনশাল্লাহ আমরাও একদিন আন্তর্জাতিক পদক পাব।’
আরও পড়ুন:পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’
নিজ ভেরিফায়েড পেজে ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করে ওপেনার তামিম ইকবাল এক বাক্যে লিখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’
এ দুই তারকা ছাড়াও অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ সকলকে।’
নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেন, ‘আনন্দ, উন্নতি ও শুভকামনার বার্তা নিয়ে নতুন বছরের সূচনায় ভরে উঠুক সকলের জীবন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।’
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।’
আরও পড়ুন:দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’
শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’
ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’
দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’
স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’
নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।
বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’
তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।
এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।
তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।
দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।
যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।
এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।
তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।
লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।
সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।
অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।
লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।
আরও পড়ুন:রাজধানীর বনানীতে শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমা) ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেট রোববার শেষ হয়।
এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি ।
এ খেলায় ফাইনালে দীপ্ত টিভিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন গান বাংলার শাওন।
ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ইমার সভাপতি আনিসুর রহমান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম চৌধুরী, গান বাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি, প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নীরব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য