আইএসএসএফ (আন্তর্জাতিক শুটিং স্পোর্ট ফেডারেশন) প্রাঁ-প্রিঁতে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মিক্সড ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের দুই শুটার ইউসুফ আলী ও নাফিসা তাবাসসুম ৪৭ পয়েন্ট স্কোর করে পদক জয় নিশ্চিত করেন।
সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার মিক্সড দলের কাছে হেরে ফাইনালে যাওয়া হয়নি ইউসুফ ও নাফিসার। তবে তৃতীয় সেরা স্কোর করে ব্রোঞ্জ ঠিকই নিশ্চিত করেন তারা।
চলতি প্রতিযোগিতায় এটা বাংলাদেশের দ্বিতীয় পদক।
এর আগে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের নারী এককে ব্রোঞ্জ জেতেন নাফিসা।
একই ইভেন্টে সেমি থেকে বাদ পড়েন বাংলাদেশের সাজিদা হক ও বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়েন আতকিয়া হাসান দিশা।
পুরুষদের ইভেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়েন বাংলাদেশের শুটার শোভন চৌধুরী ও রাব্বি হাসান মুন্না।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।
মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।
এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশি হওয়ার পর প্রবাসী ফুটবলারে মনোযোগ বাফুফের। শমিত সোম, কিউবা মিচেলের পর আলোচনায় জায়ান হাকিম। এর মধ্যে প্রবাসী ফুটবলারের বড় একটি বাজার বসতে যাচ্ছে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। ২৮, ২৯ ও ৩০ জুন জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৪ দেশের ৫১ প্রবাসী ফুটবলারের ট্রায়াল অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ট্রায়ালে আগ্রহী খেলোয়াড়দের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তিন দিন এ ট্রায়াল পরিচালনা করবে বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটি। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, কানাডা, ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ইতালি, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ায় থাকা প্রবাসীরা ট্রায়ালে অংশ নেবেন।
ট্রায়ালে সাড়া পড়েছে যুক্তরাজ্য থেকে বেশি। সেখান থেকে নিবন্ধন করেছেন ২০ ফুটবলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ ফুটবলার নাম লিখিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সুইডেন থেকে ৫ ও কানাডা থেকে ২ ফুটবলার দেবেন ট্রায়াল। বাকি দেশগুলো থেকে একজন করে ট্রায়ালে অংশ নেবেন। দেশের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথম পঞ্চাশোর্ধ্ব বিদেশি ট্রায়াল দিচ্ছেন। তাই আয়োজনে কোনো রকমের ত্রুটি রাখতে চাইছে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কোন দেশের কতজন- ২০ যুক্তরাজ্য, ১৪ যুক্তরাষ্ট্র, ৫ সুইডেন, ২ কানাডা, ১ ফিনল্যান্ড, বেলজিয়াম, ওয়েলস, ইতালি, মালয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া
ট্রায়ালের জন্য ২৭ জুন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বয়সসীমা সর্বকনিষ্ঠ ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২৭ পর্যন্ত। তবে মূল ফোকাসটা থাকবে অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ও অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সি ফুটবলারদের ওপরে। ট্রায়ালে থাকবে পাঁচ সদস্যের অভিজ্ঞ কোচিং প্যানেল। নেতৃত্বে থাকবেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। থাকবেন দেশের শীর্ষ ক্লাবের কোচ এবং বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে থাকা জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলাররাও। এই ট্রায়ালে থাকার কথা আছে জাতীয় দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার। তিনি থাকেন, ট্রায়ালে পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন। বিশেষজ্ঞরা প্লেয়ার পারফরম্যান্সের স্বতন্ত্র মূল্যায়ন করবেন। তিন দিনের ট্রায়ালে প্রতিদিন ফুটবলারদের দুটি গ্রুপে ভাগ করে ২ ঘণ্টার সেশন হবে। শেষ দিন প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ট্রায়ালে অংশ নেওয়া ফুটবলাররা ব্যক্তিগত খরচে ঢাকায় আসছেন। বাফুফে শুধু তাদের জার্সি, শর্টস ও মোজা দেবে। ব্যক্তিগত ইকুইপমেন্টগুলো ট্রায়ালে অংশ নিতে আসা খেলোয়াড়দের জোগাড় করে নিতে হবে।
লিডস টেস্টে যেন সেঞ্চুরির উৎসব বসেছে ভারতের ড্রেসিংরুমে। এক টেস্টেই পাঁচটি সেঞ্চুরি করে ইতিহাস গড়েছে ভারতীয় দল। টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক ম্যাচে ভারতের পাঁচ ব্যাটার পেয়েছেন শতরান। এই কীর্তির সুবাদে এক বিব্রতকর রেকর্ড থেকে অবশেষে মুক্তি পেল বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা। এতদিন এই তিন দেশের বিপক্ষেই এক টেস্টে ভারতের সর্বোচ্চ চারটি করে সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল। এবার সেই রেকর্ড পেছনে ফেলে নতুন উচ্চতায় উঠল রোহিত শর্মার দল।
লিডসের এই টেস্টে দুই ইনিংসে মিলিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সওয়াল (১০১), শুবমান গিল (১৪৭), লোকেশ রাহুল (১৩৭) এবং ঋষভ পন্ত (১৩৪ ও ১১৮)। জোড়া শতরান করা পন্ত গড়েছেন আরও একটি অনন্য রেকর্ড। ১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান উইকেটরক্ষক হিসেবে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পাওয়ার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন তিনি। বিশ্বের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে শুধু জিম্বাবুয়ের অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারই (২০০১) এই কীর্তি গড়েছিলেন। ভারতের হয়ে এক টেস্টে চার সেঞ্চুরির নজির ছিল আগেও। ২০০৭ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে, ২০১০ সালে ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এবং ২০১৭ সালে নাগপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ইনিংসেই চার সেঞ্চুরি করেছিল ভারত। এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন পন্তরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করায় ভারতের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋষভ পান্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কার করেছে ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, হেডিংলি টেস্টের তৃতীয় দিন লেভেল ওয়ান নিয়ম ভঙ্গ করেছেন পান্ত।
আইসিসি আরও জানিয়েছে, ‘প্লেয়ার্স এন্ড প্লেয়ার্স সাপোর্ট পার্সোনেল’ আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেন পান্ত। যা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করা।’
ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংসের ৬১তম ওভার শেষে নিয়ম ভঙ্গ করেন পান্ত। ঐ ওভার শেষে বল পরিবর্তনের কথা দুই অনফিল্ড আম্পায়ারকে জানায় ভারতীয়রা। এরপর বল গজ দিয়ে বলের আকৃতি পরীক্ষা করার পর বল পরিবর্তন না করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। কিন্তু আম্পায়াদের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি পান্তের। তাই মেজাজ হারিয়ে আম্পায়ারদের সামনে মাটিতে বল ছুঁড়ে মারেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। যা আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।
তিরস্কারের পাশাপাশি ১টি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে পান্তের নামের পাশে। গত ২৪ মাসে এই প্রথম মাঠে নিয়ম ভঙ্গ করলেন পান্ত।
পান্তের এমন আচরণ ভালভাবে নেননি দুই অনফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গাফানি ও পল রাইফেল। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে শাস্তি দেন ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন। নিজের দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় শাস্তি মেনে নিয়েছেন পান্ত। তাই আর শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন পান্ত। দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১৩৪ ও ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ঢাকায় বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার র্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
‘লেটস মুভ’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ র্যালির মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্রীড়াবিদ ও সাধারণ জনগণকে শরীরচর্চা এবং ক্রীড়া কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করা। পাশপাশি অন্যদেরকেও ক্রীড়াচর্চায় আগ্রহী করে তোলা।
দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরেও ক্রীড়া সংস্থাসমূহের সহায়তায় একযোগে র্যালিগুলো অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার কেন্দ্রীয় র্যালিটি ভোর সাড়ে ৬টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে শুরু হয়ে শিক্ষা ভবন, বাংলাদেশ সচিবালয়, জিরো পয়েন্ট ও জিপিও অতিক্রম করে জাতীয় স্টেডিয়ামের ১ নম্বর গেটে এসে শেষ হয়।
এই র্যালিতে জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক, সংগঠক, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক বিভিন্ন সংস্থা এবং দুই হাজারেরও বেশি ক্রীড়াপ্রেমী অংশগ্রহণ করেন।
র্যালি শেষে জাতীয় স্টেডিয়ামে সেনাবাহিনীর অর্কেস্ট্রা দল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় সেনাপ্রধান উপস্থিত অলিম্পিয়ানদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজনকে প্রাণবন্ত ও উৎসবমুখর বলে মন্তব্য করেন। সঙ্গে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
৯৫ রান থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে খেলেছেন ২২ বল। ইংল্যান্ডের স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে এক রান নিয়ে যখন সেঞ্চুরি ছুঁলেন, স্বস্তির একটা নিশ্বাসই যেন ছাড়লেন ঋষভ পন্ত। আগের ইনিংসের মতো এবার অবশ্য আর ডিগবাজি দিয়ে উদ্যাপন করেননি। হয়তো পরেরবারের জন্য তুলে রেখেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেডিংলিতে আজ টেস্টের চতুর্থ দিনে অনন্য এক কীর্তিই গড়ে ফেললেন পন্ত। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা অষ্টম ভারতীয় ব্যাটসম্যান তিনি, বিদেশের মাটিতে পঞ্চম। এক ম্যাচে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে সুনীল গাভাস্কারের (৩), দুবার আছে রাহুল দ্রাবিড়েও। একবার করে এমন কীর্তি আছে বিজয় হাজারে, আজিঙ্কা রাহানে, বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার। পন্তের সৌজন্যে ইংল্যান্ডে ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান এই প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন। তবে ভারতের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান একটা জায়গায় সব ভারতীয়ের চেয়ে আলাদা। এমনকি পুরো ক্রিকেট ইতিহাসেই তার আগে এমন অর্জন ছিল আর একজনের। উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে এত দিন দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ছিলেন জিম্বাবুয়ে কিংবদন্তি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার। ২০০১ সালে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ইনিংসে ১৪২ ও অপরাজিত ১৯৯ রান করেছিলেন। এবার তার পাশে বসলেন পন্ত। হেডিংলি টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি দেখেছে ভারত- এর আগে দেশটির ইতিহাসে কখনো এমন কিছু দেখা যায়নি। পন্ত ছাড়াও সেঞ্চুরি করেছেন যশস্বী জয়সোয়াল, লোকেশ রাহুল ও শুভমান গিল। চতুর্থ দিনের চা বিরতি পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান করেছে ভারত, তারা এগিয়ে আছে ৩০৪ রানে। ২২৭ বলে ১২০ রান করে রাহুল দ্রাবিড় ও ১২ বলে ৪ রান করে অপরাজিত আছেন করুন নায়ার। ১৪০ বলে ১১৮ রান করে আউট হয়ে গেছেন পন্ত।
ঢাকা, ২২ জুন ২০২৫ (বাসস) : এশিয়ান বোলারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন ভারতের পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরামকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট নেন বুমরাহ। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মোট ৩২ ম্যাচ খেলে ১৪৮ উইকেট শিকার করেছেন বুমরাহ। এতে ভেঙে যায় আকরামের রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মোট ৩২ ম্যাচ খেলে আকরাম শিকার করেছেন ১৪৬ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট নিয়ে আকরামের রেকর্ড দখলে নিলেন বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ১২ ম্যাচে ৬৪, ইংল্যান্ডে ১০ ম্যাচে ৪০, নিউজিল্যান্ডে ২ ম্যাচে ৬ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৮ ম্যাচে ৩৮ উইকেট নিয়েছেন বুমরাহ।
অন্যদিকে আকরাম, অস্ট্রেলিয়ায় ৯ ম্যাচে ৩৬, ইংল্যান্ডে ১৪ ম্যাচে ৫৩, নিউজিল্যান্ডে ৭ ম্যাচে ৫০ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২ ম্যাচে ৭ উইকেট শিকার করেছেন।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতীয় স্পিনার অনিল কুম্বলে। ৩৫ ম্যাচে ১৪১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন ভারতের দুই পেসার ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ সামি। ইশান্ত ৪১ ম্যাচে ১৩০ ও সামি ৩৪ ম্যাচে ১২৩ উইকেট নিয়েছেন।
ষষ্ঠ স্থানে আছেন ১৩৩ ম্যাচে ৮০০ উইকেট নিয়ে বিশ্ব রেকর্ডের মালিক শ্রীলংকার মুত্তিয়া মুরালিধরন। ২২ ম্যাচ খেলে ১২০ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
মন্তব্য