পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে সিরিজে লিড নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্রিজটাউনে স্বাগতিকদের করা ৫ উইকেটে ২২৪ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২০৪ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ব্রেন্ডন কিং ও শেই হোপের উইকেট হারালেও রানের গতি কমায়নি উইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরান ও রভম্যান পাওয়েলের বড় জুটি উইন্ডিজকে রান পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।
১২২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। পুরান ৭০ রানে আউট হলেও পাওয়েল তুলে নেন তার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
৫১ বলে ১০০ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫৩ বলে ১০৭ রান করে আউট হন এ হার্ডহিটার। তার ইনিংসে ছিল ১০টি ছক্কা ও ৪টি চার।
পুরান ও পাওয়েলের তাণ্ডবে ২০০ ছাড়ায় স্বাগতিকদের সংগ্রহ।
বড় রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। টম ব্যান্টন শুরুতে ঝড় তোলেন সফরকারী দলের হয়ে।
৩৯ বলে ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর মিডল অর্ডারে কেউ হাল ধরতে না পারলে আস্কিং রেটে পিছিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
শেষ দিকে ফিল সল্টের ২৪ বলে ৫৭ রানে হারের ব্যবধান কমায় ইংলিশরা। ম্যাচ হেরে যায় ২০ রানে।
স্বাগতিক দলের পক্ষে রোমারিও শেপার্ড ৩ উইকেট নিলেও রান দেন ৫৯।
এ ম্যাচ জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ।
আরও পড়ুন:Rovman Powell’s century lit up the Kensington Oval as West Indies win a run-fest to go 2-1 up! #WIvENG
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) January 27, 2022
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের ভালো জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মিরপুরে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
মঙ্গলবার দিন শেষে ৭০ রানে অপরাজিত রয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নে। তাকে রানের খাতা না খুলে সঙ্গ দিচ্ছেন নাইট ওয়াচম্যান কাসুন রাজিথা। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে সফরকারীদের পিছিয়ে ২২২ রানে।
ঢাকা টেস্টে নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন দুই লঙ্কান ওপেনার। উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ কারুনারত্নে। টাইগারদের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গার।
প্রথম সুযোগ আসে তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েও প্রথমবারের মতো জীবন পান ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব ফার্নান্দোর ক্যাচ নিতে পারলে ৪৩ রানে তাকে ফিরে যেতে হত সাজঘরে।
দুইবার জীবন পেয়ে চা বিরতির আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান ফার্নান্দো।
উইকেটশূন্য অবস্থায় চা-বিরতি থেকে ফেরার পর শুরুতেই ওশাদা ফার্নান্দোকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। ৯৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী দল।
এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন দিমুথ কারুনারত্নে। দেখেশুনে ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। তাতে বাধ সাধেন সাকিব আল হাসান।
দিনের শেষ দিকে এসে আরও একটি ব্রেক থ্রু আসে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের হাত ধরে। এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে কুশল মেন্ডিসকে ১১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন সাকিব। আর তাতেই ১৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে লঙ্কানদের।
এরপর দিনের বাকিটা সময় নির্বিধ্নেই কাটিয়ে দেন দিমুথ কারুনারত্নে ও কাসুন রাজিথা। দলকে এনে দেন দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪৩ রানের পুঁজি।
আরও পড়ুন:শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কামিল মিশারাকে বাংলাদেশ থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)।
মঙ্গলবার দুপুরে এক বিবৃতিতে বোর্ড ম্যানেজমেন্ট জানায়, আচরণবিধি না মানায় তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সিরিজের মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায় ছিলেন ২১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। চট্টগ্রাম টেস্টে সেরা একাদশে জায়গা না পেলেও অপেক্ষায় ছিলেন ঢাকা টেস্টের।
মিশারা এই বছর শ্রীলঙ্কার হয়ে তিনটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। এখনও টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন।
শ্রীলঙ্কা দলের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, ‘হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা পর্যালোচনা করেছি ও আমরা যা দেখেছি তার ওপর ভিত্তি করে তার সঙ্গে আমরা কথা বলতে চাই।’
দলের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে যে মিশারা দলীয় নিয়ম লঙ্ঘন করে তার হোটেল কক্ষে ‘একজন অতিথিকে আসার অনুমতি দেন’।
লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড আরও জানিয়েছে যে, দেশে ফেরার পর মিশারার বিরুদ্ধে পূর্ণ তদন্ত হবে ও সেটার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন:উইকেটশূন্য অবস্থায় চা-বিরতি থেকে ফেরার পর শুরুতেই ওশাদা ফার্নান্দোকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৫৭ রান করা লঙ্কান ওপেনারকে আউট করে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন এবাদত হোসেন। ৯৫ রানে তাদের প্রথম উইকেট হারায় সফরকারী দল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবটা বেশ ভালো দিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিনা উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৮৪ রান। এখনও স্বাগতিকদের চেয়ে এখনও তারা পিছিয়ে ২৮১ রানে।
নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা যায় দুই লঙ্কান ওপেনারকে। উইকেটে থিতু হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি মেরে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ওশাদা ফার্নান্দো ও দিমুথ কারুনারত্নে। টাইগারদের সামনে দুটো সুযোগ এসেছিল থিতু হয়ে বসা এই জুটি ভাঙ্গার।
প্রথম সুযোগ আসে তাইজুল ইসলামের হাত ধরে। ইনিংসের ১৫ তম ওভারে ফার্নান্দোকে এলবিডব্লিউ করেন তাইজুল। কিন্তু আম্পায়ার্স কলে আউট হয়েও প্রথমবারের মতো জীবন পান ফার্নান্দো।
দ্বিতীয় সুযোগ হাতছাড়া করেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৮তম ওভারে সাকিব ফার্নান্দোর ক্যাচ নিতে পারলে ৪৩ রানে তাকে ফিরে যেতে হত সাজঘরে।
দুইবার জীবন পেয়ে চা বিরতির আগে ব্যক্তিগত অর্ধশতক হাঁকান ফার্নান্দো।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটের এক ইনিংসে একাধিক শূন্য বা ডাক ও একাধিক সেঞ্চুরি অনন্য কোনো বিষয় নয়। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ এ ফরম্যাটে ক্রিকেটারদের সাফল্য ও ব্যর্থতা ধারাবাহিক।
তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে যা ঘটল তা একেবারে অনন্য। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৫ বছরের ইতিহাস ও ২,৪৬৩টি ম্যাচে এমনটি আগে কখনও হয়নি।
এই প্রথম কোনো দলের এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৬টি ডাক দেখেছে টেস্ট ক্রিকেট।
বাংলাদেশের হয়ে মিরপুরে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। টাইগারদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ করা ৩৬৫ রানের মধ্যে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৭৫* আর লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৪১ রান।
এই দুজন মিলে করেছেন ৩১৬ রান। বাকি ৯ ব্যাটার মিলে যোগ করেন ৪৯!
ওই ৯ জনের মধ্যে আবার ৬ জনের স্কোর শূন্য। মিরপুরে ডাক পেয়েছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল জয় ও তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক সৈকত, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন।
মিরপুর টেস্টে টস জিতে সোমবার ব্যাট করতে নেমে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে লড়াই করার পুঁজি এনে দেন লিটন-মুশফিক। তাদের জুটি ভাঙার পর আবারও ধসে পড়ে স্বাগতিক দলের ইনিংস।
ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত এ রেকর্ডে নাম উঠে গেছে বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনে থামে স্বাগতিকদের ইনিংস।
৫ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর ৮৭ রান যোগ করতে পারে টাইগাররা। লঙ্কার দুই পেইসার কাসুন রাজিথা ও আসিথা ফার্নান্দো মিলে নেন ৯ উইকেট। আর শেষ ব্যাটার এবাদত হোসেন রানআউট হন। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ১৭৫ রানে।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের রেশ দ্বিতীয় দিনে এসেও ছিল টাইগারদের। শুরুতে কাসুন রাজিথা ব্রেক থ্রু এনে দেন লিটন দাসকে ফিরিয়ে।
খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসা লিটন ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভাঙা রাজিথা তিন বল বাদে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
ব্যক্তিগত ১৪১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে রাজিথা পতন ঘটান দিনের প্রথম উইকেটের। তবে মাঠ ছাড়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন গড়েন রেকর্ড ২৭১ রানের জুটি। এখন পর্যন্ত টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। একই সঙ্গে সেরা তিন জুটির ভেতর জায়গা করে নিয়েছে লিটন-মুশির অনবদ্য এই পার্টনারশিপ।
লিটনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন প্রায় দুই বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা।
দ্রুত ফেরেন তাইজুল ইসলামও। আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। ব্যক্তিগত দেড় শ রানের ইনিংস ছাড়ান তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বেশ কয়েকবার আউটের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত আর উইকেটের দেখা পাননি লঙ্কান বোলাররা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় সেশনে ফিরে এসে এবাদত হোসেনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২০ বল টিকলেও রান করতে পারেননি এ টেইল এন্ডার। অন্যপ্রান্তে মুশফিকুর ১৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
লঙ্কানদের পক্ষে কাসুন রাজিথা ৬৪ রানে ৫টি ও আসিথা ফার্নান্দো ৯৩ রানে ৪টি উইকেট নেন।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে অল আউট হওয়ার শঙ্কা জাগিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রথম সেশন টিকে গেছে বাংলাদেশ। ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ের পর প্রথম সেশন শেষ হলে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে দ্রুত ৪ উইকেট হারালেও অল আউট হয়নি স্বাগতিক দল।
১ উইকেট অক্ষত রেখে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৩৬১ রান।
১৭১ রানে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে রানের খাতা না খুলে সঙ্গ দিচ্ছেন এবাদত হোসেন।
প্রথম দিনের প্রথম সেশনের ব্যাটিং বিপর্যয়ের রেশ দ্বিতীয় দিনে এসেও ছিল টাইগারদের। শুরুতে কাসুন রাজিথা ব্রেক থ্রু এনে দেন লিটন দাসকে ফিরিয়ে।
খাদের কিনারা থেকে বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে আসা লিটন ও মুশফিকুর রহিমের জুটি ভাঙা রাজিথা তিন বল বাদে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
ব্যক্তিগত ১৪১ রানে লিটনকে ফিরিয়ে রাজিথা পতন ঘটান দিনের প্রথম উইকেটের। তবে মাঠ ছাড়ার আগে মুশফিকের সঙ্গে মিলে লিটন গড়েন রেকর্ড ২৭১ রানের জুটি। এখন পর্যন্ত টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ রানের ষষ্ঠ উইকেটের জুটি। একই সঙ্গে সেরা তিন জুটির ভেতর জায়গা করে নিয়েছে লিটন-মুশির অনবদ্য এই পার্টনারশিপ।
লিটনের বিদায়ের পর মাঠে নামেন প্রায় দুই বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নেয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিন বল খেলে রানের খাতা খোলার আগে তাকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা।
দ্রুত ফেরেন তাইজুল ইসলামও। আসিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
উইকেটের অপরপ্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিলে মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই চালিয়ে যান মুশফিক। ব্যক্তিগত দেড় শ রানের ইনিংস ছাড়ান তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে টাইগারদের নবম উইকেটের পতন ঘটায় শঙ্কা জেগেছে মুশফিকের টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়ায়।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে বেশ কয়েকবার আউটের শঙ্কা জাগলেও শেষ পর্যন্ত আর উইকেটের দেখা পাননি লঙ্কান বোলাররা। তাতে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬১ রানের পুঁজি নিয়ে প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।
খেলোয়াড়ি জীবনে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী। ক্যারিয়ার শেষে কোচ হিসেবে তাদেরই আরও শক্তিশালী করতে এবার কাজ করবেন ড্যানিয়েল ভেটোরি।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ অধিনায়ক অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফে যোগ দিয়েছেন। তার দায়িত্ব থাকছে হেড কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডনাল্ডের সহকারী হিসেবে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে কাজ করেছেন ম্যাকডনাল্ড ও ভেটোরি। তবে তখন ভেটোরি ছিলেন হেড কোচ আর ম্যাকডনাল্ড ছিলেন তার সহকারী।
গত মাসে পাকিস্তান সফরে সাময়িকভাবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভেটোরি। এবারে পেলেন পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব। পাকিস্তান সফরে অস্ট্রেলিয়া দল ও এর প্রক্রিয়া দেখে তার ভালো লেগেছে বলে জানান ভেটোরি।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে অস্ট্রেলিয়া দল তাদের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির পুরো প্রক্রিয়াটা দেখে আমার ভালো লেগেছে। খুবই মজবুত ও ঐক্যবদ্ধ একটা দল তারা। দলটার সামর্থ্য আছে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা ও সাফল্যের।’
ভেটোরি এর আগে বাংলাদেশের স্পিন পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়া আইপিএল, সিপিএল ও বিগ ব্যাশ লিগেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে ৪৩ বছর বয়সী সাবেক এ স্পিনারের।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য