শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শকে বিশ্রাম দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজে থাকছেন না হেড কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও।
ল্যাঙ্গার অবশ্য বিশ্রাম পাচ্ছেন না। শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর পাকিস্তান সফরের জন্য দলের পরিকল্পনা গোছাতে বাড়তি সময় দেয়া হচ্ছে তাকে।
এই সিরিজ দিয়েই নিজ মাঠে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করবে অস্ট্রেলিয়া। বছরের শেষে অস্ট্রেলিয়ায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। যেখানে গত বছর জেতা শিরোপা রক্ষার মিশনে নামবে অ্যারন ফিঞ্চের বাহিনী।
অজি নির্বাচক জর্জ বেইলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই স্কোয়াডটিই নিজ মাটিতে বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার প্রস্তুতি শুরু করবে। এখানে অনেক খেলোয়াড় আছেন, যারা শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন।’
বিশ্বকাপ জেতা দল থেকে মার্শ-ওয়ার্নার ছাড়াও সিরিজে বাদ পড়েছেন স্পিনার মিচেল সোয়েপসন। তাদের জায়গায় ডাকা হয়েছে ট্র্যাভিস হেড ও বেন ম্যাকডারমটকে।
১১ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শেষ হবে মেলবোর্নে ২০ ফেব্রুয়ারি।
অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াড: অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন এইগার, প্যাট কামিন্স, জশ হেইজলউড, ট্র্যাভিস হেড, ময়জেস এনরিকেস, জশ ইংলিস, বেন ম্যাকডারমট, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জাই রিচার্ডসন, কেইন রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথিউ ওয়েড ও অ্যাডাম জ্যাম্পা।
আরও পড়ুন:Our Aussie men's squad to face Sri Lanka in the upcoming Dettol T20 International Series!
— Cricket Australia (@CricketAus) January 25, 2022
Andrew McDonald will act as Head Coach for the series while Justin Langer and a number of other core support staff take planned leave in preparation for the Pakistan tour 🇦🇺 pic.twitter.com/NJP2gdkyY7
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নবনির্বাচিত সভাপতি গ্রেগ বার্কলে দু’দিনের সফরে রোববার ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশ সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন আইসিসি সভাপতি। সোমবার হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে স্টেডিয়ামে বসে উপভোগ করেন বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা টেস্টের প্রথম দিনের ম্যাচ।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার ক্রিকেটপ্রেম দেখে মুগ্ধ হন আইসিসি সভাপতি। একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী যে এতোটা খেলা-পাগল হতে পারেন সে বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না বার্কলের।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। একইসঙ্গে তিনি জানান, লিটন ও মুশফিকের দুর্দান্ত ইনিংসের পর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পাপন বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে গ্রেগ চমকে গেছেন এটা দেখে যে একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্রিকেটকে এতোটা ভালোবাসেন। এমনকি যখন আমরা হেলিকপ্টারে ছিলাম, লিটন যেই মুহূর্তে সেঞ্চুরি করল, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন- লিটনকে অভিনন্দন। আমি তো দেখতে দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ আগেরবার লিটন অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছে। তাই দেখতে ভয় পাচ্ছিলাম।
‘এরপর আপার দ্বিতীয় মেসেজ দেখলাম- মুশফিককে অভিনন্দন। এরপর অনেক মেসেজ পাঠিয়েছেন। এটা গ্রেগের জন্যও একটা অভিজ্ঞতা। আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি এবং আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই।’
সোমবার দিনের প্রথম সেশনে ২৪ রানে পাঁচ উইকেট পতনের পর লিটন-মুশফিকের রেকর্ডগড়া ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ভর করে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এই দুই ব্যাটারের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে স্কোর বোর্ডে ২৭৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:ইনিংস শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ যখন পালছেঁড়া নৌকার মতো দিশেহারা, সে সময় ব্যাট হাতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে স্বাগতিকদের খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। রেকর্ড ২৫৩ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি গড়ে তারা দলকে কেবল বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেননি, বাঁচিয়েছেন লজ্জার হাত থেকেও।
মুশফিক ও লিটনের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে দিন শেষে সেই পাঁচ উইকেট হারিয়েই ২৭৭ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
দলের বিপর্যয়ে শক্ত হাতে হাল ধরে লিটন বাগিয়ে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। অপরদিকে মুশফিক পান টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতকের দেখা। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও সেঞ্চুরির দেখা পান অনিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটার।
দায়িত্বশীল ব্যাটিং ও দুর্দান্ত ইনিংস খেলার সুবাদে ক্রিকেট পাড়ায় চলছে মুশফিক ও লিটনের বন্দনা।
ক্রিকেটভক্ত থেকে শুরু করে সেই স্তুতি চলছে সংবাদমাধ্যমেও। পিছিয়ে নেই জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও। দিন শেষে তার মুখে তাই শোনা গেল রেকর্ড গড়া এই জুটির প্রশংসা।
মুশফিক-লিটন জুটিকে নিজের দেখা সেরা জুটি বলে মন্তব্য করেন প্রোটিয়া এই কোচ।
ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমার কোচিং ক্যারিয়ারে টেস্টে দেখা এটাই সবচেয়ে সেরা জুটি। ২০ রানেই আমাদের পাঁচ উইকেট চলে গিয়েছিল। অনেক চাপের মধ্যে ছিলাম। দুই ব্যাটারের এটা অসাধারণ চেষ্টা ছিল। অবশ্যই আমরা সকালে ভালো শুরু করতে পারিনি। কিছু ভুল শট ছিল। টেস্ট ক্রিকেট কঠিন। দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে ছেলেরা অসাধারণ স্কিল দেখিয়েছে।’
দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দিনের বাকি সময়টা পার করেছে কোনো উইকেট না খুইয়ে। দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
আরও পড়ুন:ঢাকা টেস্টে লঙ্কান পেইসারদের শুরুর তাণ্ডবলীলার রেশ কাটিয়ে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য দুই সেঞ্চুরিতে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রেখে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দিনে ২৭৭ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিক দল। বিনিময়ে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট।
দিন শেষে ১১৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তাকে ১৩৫* রানে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
দিনের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বল থেকে লঙ্কান পেইসারদের তাণ্ডবে চুরমার হয়ে যেতে থাকে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ। ২৪ রান তুলতে সাজঘরে ফিরতে হয় পাঁচ টাইগার টপ অর্ডারকে।
ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। পরের বলে কাসুন রাজিথার বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
সেই রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় সঙ্গী তামিম ইকবালকেও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠ ছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশা দেখলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনই ব্যাট চালাতে থাকেন সেঞ্চুরির দিকে
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেন লিটন। ১৪৯ বলে পাঁচ ইনিংস পর সেঞ্চুরির দেখা পান এই ব্যাটার। অনবদ্য ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার। ছিল না কোনো ছক্কা।
লিটনের পর সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিকুর রহিমও। চট্টগ্রাম টেস্টের পর ঢাকা টেস্টেও দলের বিপর্যয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি।
দুর্দান্ত সেই শতকের দেখা পেতে মুশফিককে খেলতে হয় ১১৮টি বল। যেখানে ছিল তার ১১টি চারের মার। পুরো ইনিংসে একটি ছক্কাও মারেননি তিনি।
এই দুই ব্যাটার ষষ্ঠ উইকেটে ২০০ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন। তাদের গড়া ২৫৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের টেস্টে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি।
এর আগে ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিমের ১৯১ রানের জুটিটি ছিল ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি। সব মিলিয়ে টেস্টে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর নিজের ছন্দ ধরে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তার ও লিটন দাসের শতরানে বিপর্যয় থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিন সকালে ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম ভূমিকা এ ব্যাটারের। দিনের তৃতীয় সেশনে সেঞ্চুরি পান লিটন ও মুশফিক।
লিটনের সেঞ্চুরির পর বলে মুশিও তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক শতক।
সেঞ্চুরি বাগিয়ে নিতে এবারও বেশ ধৈর্য্যের পরিচয় দিতে দেখা গেছে মুশিকে। টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম শতক তুলে নিতে মুশফিক খেলেন ২১৭ বল। অনবদ্য সেই ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। কোনো ছক্কা হাঁকাননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই নিয়ে তিনবার সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এর ভেতর একটি রয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টের চেয়ে কিছুটা দ্রুতগতির ছিল মুশফিকের দ্বিতীয় ম্যাচের এই সেঞ্চুরিটি।
দুই ব্যাটার সেঞ্চুরির সঙ্গে পূর্ণ করেছেন দুই শ রানের জুটিও। ৩৬৮ বলে এসেছে তাদের দ্বিশত রানের জুটি।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের নৌকাটা ডুবে যেতে বসেছিল প্রথম ঘণ্টায়ই। ডুবতে বসা দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে ৫ ইনিংস পর অনবদ্য আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন।
ঢাকা টেস্টের শেষ সেশনে ১৪৯ বলে লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সবশেষ চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ঢাকা টেস্টে পেলেন সেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা।
লিটনের সঙ্গি মুশফিকও ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) চেয়ারম্যান গ্রেগ বারক্লে।
ঢাকা সফররত আইসিসি চেয়ারম্যান গণভবনে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এই আশ্বাস দেন।
বারক্লে বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আইসিসি সব ধরনের সহায়তা দেবে।’
আইসিসির সর্বাত্মক সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট আরও এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
আইসিসি চেয়ারম্যানকে শেখ হাসিনা বলেন, তার পুরো পরিবারই ক্রীড়ামোদী। কারণ, তার দাদা, বাবা ও ভাইয়েরা খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।
গত সাত বছরে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী ক্রিকেট দলের অসাধারণ নৈপুণ্যের প্রশংসা করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের গত সাত বছরের পারফরম্যান্স তাকে বাংলাদেশ সফরে অনুপ্রাণিত করেছে, যাতে তিনি সরাসরি বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করতে পারেন।’
প্রথমবারের মতো আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানকে ৯ রানে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ের কথা উল্লেখ করেন আইসিসি চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী ক্রিকেটের উন্নয়নেও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দিবে।’
বাংলাদেশকে কোচিং, আম্পায়ারিং এবং উইকেট বা পিচের উন্নয়নে সহায়তা করারও অঙ্গীকার করেন বারক্লে।
এসময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আইসিসি চেয়ারম্যান ও নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক এক পরিচালক দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকায় পৌঁছেছেন।
২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বারক্লে। ঢাকায় এসে পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। লিটন মুশফিকের গড়ে তোলা প্রতিরোধে চা বিরতির আগে দেড় শ রানের পুঁজি পেয়েছে স্বাগতিকরা। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৩ রান।
৬২ রানে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। তার সঙ্গে আছেন লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৭২ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুই জনই তুলে নিয়েছেন ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি। ষষ্ঠ উইকেটে শতরানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটার।
এই দুই ব্যাটারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাঁচ উইকেটের খরচায় চা বিরতি পর্যন্ত ১৫৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য