ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মিশনটা হোঁচট দিয়ে শুরু করেছে বাংলাদেশের যুবরা। শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে নেমে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের বোলিং দাপটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ছোট সেই টার্গেট সাত উইকেট হাতে রেখে জিতে নেয় ইংল্যান্ড। ২৫ ওভার এক বলে টার্গেট টপকে যায় দলটি।
ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
টপ অর্ডারের সবাই ব্যর্থ হওয়ায় ধারাবাহিক উইকেট হারিয়ে ৯৭ রানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করে টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের বোলার জশুয়া বয়ডেন একাই নেন চার উইকেট।
শুরুর ৮ রানের মাথায় চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় রাকিবুল-আরিফুলরা। টপ অর্ডারের চার ব্যাটার মাহফিজুল, আরিফুল, নাবিল ও উইকেটকিপার ফাহিম রান করেছেন যথাক্রমে ৩, ৪, ০ ও ১। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমন বিপর্যয়ের পর ঘুরে দাঁড়াতে বেগ পেতে হয় টাইগারদের।
১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন আইচ মোল্লা। আশিক ও মামুন ক্রিজ থেকে বিদায় নেন দলে ৯ ও ৪ রান যোগ করে।
অধিনায়ক রাকিব ফেরেন শূন্য রানে। শেষে মেহেরবের ১৪ রানের সুবাদে কিছুটা গতি পায় বাংলাদেশের রানের চাকা।
তার বিদায়ের পর শেষে রিপন মণ্ডলের ৩৩ ও নাইমের ১১ রানের জুটিতে হাফ ছেড়ে বাঁচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শেষ উইকেটে তাদের ৪৬ রানের জুটি ম্যাচে টিকিয়ে রাখে বাংলাদেশকে। নাইম সাজঘরে ফিরলে ৩৫ ওভার ২ বলে দলীয় সংগ্রহ ৯৭ রানে থামে বাংলাদেশ দলের ইনিংস।
টার্গেটে নামা ইংল্যান্ডের ২ উইকেট নিয়ে শুরুতেই আশা জাগায় বাংলাদেশ। ২৬ রানের মাথায় জর্জ থামস ও টম প্রেস্টকে সাজঘরে পাঠায় টাইগার বোলাররা। পরে আর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। রান আউট হওয়ার আগে ৪৪ রান করে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান ইংল্যান্ডের ব্যাটার জেকব বেথাল।
পরে জেমস রিউয়ের অপরাজিত ২৬ ও লাক্সটনের ৬ রানে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে ইংল্যান্ড। পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
তবে এখানেই নক আউট পর্বে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাচ্ছে না রাকিব-ফাহিমদের। জয়ের আশায় ২০ জানুয়ারি কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ যুব দল।
চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে চালকের আসনে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।
সফরকারীদের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক দল। দিন শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
মঙ্গলবার বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ১ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কবজিতে আঘাত পান তামিম ইকবাল। ফলে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৩৩ রান। চা বিরতির পর তামিমের পরিবর্তে মুশি মাঠে নামেন লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে।
এরপর দুইজনে মিলে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে নিয়ে যান লিডের দিকে। দিনশেষে এই দুইজনের কল্যাণে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষ করে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। সিরিজকে সামনে রেখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের আগে দল ঘোষণা করে দেয়া হবে এমনটা নিশ্চিত করা হয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে।
সে অনুযায়ী কাজ শুরু করে দিয়েছে বিসিবি। আর ওই সিরিজে প্রায় তিন বছর পর জাতীয় দলের ফিরতে যাচ্ছেন এনামুল হক বিজয়। তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি না খেলার সিদ্ধান্ত নেয়ায় লিটন দাস বা নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে পারেন তিনি।
উইন্ডিজ সফরে সাদা বলের দুই ফরম্যাটে ডাকা হচ্ছে ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।
চট্টগ্রামে মঙ্গলবার ইউনূস বলেন, ‘বিজয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে আছে। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে থাকবে আশা করি। এটা নির্বাচকদের ব্যাপার। তারপরও আমার মনে হয় তারা কনসিডার করছে, তারা নিশ্চিতভাবে বিজয়কে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে দলে রাখছে।’
ঢাকা প্রিমিয়ারে লিগের (ডিপিএল) সবশেষ আসরে সবচেয়ে বেশি রানের মালিকানা ছিল এনামুল হক বিজয়ের। ডিপিএল লিস্ট-এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর এক আসরে ১ হাজার রানের একমাত্র মালিক তিনি। গত আসরে বিজয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১ হাজার ১৩৮ রান।
তারই প্রতিদানস্বরূপ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ডাক পান তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তাকে দেখা যাবে জাতীয় দলে।
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বিজয় সবশেষ খেলেন ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর সবশেষ ২০১৫ সালে ক্রিকেটের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন ডানহাতি এই ক্রিকেটার।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনে লঙ্কানদের বিপক্ষে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারালেও দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় তিন টপ অর্ডারকে। চা বিরতিতে যাওয়া পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২০ রান।
প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের চেয়ে এখনও ১৭৭ রানে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। বিরতির আগে কবজিতে আঘাত পাওয়া তামিমের বদলে নেমেছেন লিটন দাস। সঙ্গে রয়েছেন ১৪ রান করা রয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ১ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কবজিতে আঘাত পান তামিম ইকবাল। ফলে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৩৩ রান। চা বিরতির পর তামিমের পরিবর্তে মুশি মাঠে নামেন লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে।
আরও পড়ুন:সাদা পোশাকে তামিমের সেঞ্চুরিটা অধরা ছিল ২০১৯ সাল থেকে। এরপর বেশ কয়েকবার শতকের কাছাকাছি গিয়েও সেটি ছোঁয়া হয়নি তার। ৭৪ রানে দুইবার, একবার ৯০ ও একবার ৯২ রানে থামতে হয় দেশসেরা এই ওপেনারকে।
অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। তিন বছরের বেশি সময় পর সেঞ্চুরির দেখা পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির পর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম।
তার ব্যাটে ভর করে ৫৫ ওভারে ১৭৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম অপরাজিত আছেন ১০১ রানে। তার সঙ্গে মুমিনুল হক খেলছেন এক রানে।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ২ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আরও পড়ুন:তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম সেশন শেষে লঙ্কানদের চেয়ে ২৪০ রানে পিছিয়ে আছে স্বাগতিকরা। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫৭ রান।
৮৯ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন তামিম ইকবাল। তার সঙ্গী জয় খেলছেন ৫৮ রান নিয়ে।
বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২ তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুইজনের অনাবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
এর আগে বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম ইকবাল; ৩১ রানে মাহমুদুল হাসান জয়।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন চা বিরতি থেকে ফিরে শরীফুল ইসলামের বাউন্সার মাথায় আঘাত হানায় মাঠ ছাড়তে হয়েছিল লঙ্কান ক্রিকেটার বিশ্ব ফার্নান্দোকে। পরে আবার ব্যাট করতে ইনিংস শেষে নেমেছিলেন তিনি।
বোলিংও করেন আট ওভার। কিন্তু তৃতীয় দিন তাকে আর মাঠে নামায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট।
ঘাড়ে বল লাগার বিষয়টিকে গুরুত্বসহকারে দেখছে শ্রীলঙ্কা দল। আর সে কারণে বাঁহাতি এই পেইসারের কনকাশন বদলি হিসেবে সাগরিকা টেস্টের তৃতীয় দিনে নামানো হয়েছে কাসুন রাজিথাকে।
দ্বিতীয় দিনে লঙ্কান টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানানো হয়েছিল প্রয়োজনে ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি নামানো হবে। তবে পরে বল হাতে নেমেছেন ফার্নান্দো। তৃতীয় দিনে নামানো হল তার কনকাশন বদলি।
সাগরিকা টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টাটা স্বপ্নের মতো কেটেছে বাংলাদেশের। দুই টাইগার ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও তামিম ইকবাল দলের স্কোরবোর্ডে তুলেছেন ১৩৪ রান। তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় এই দুজনের কল্যাণে রান আসে ৫৮।
প্রথম ইনিংসে এখনও শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২৬৩ রান পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ টেস্টে ওপেনিং জুটিতে এমন ব্যাটিং দেখেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা ২০১৭ সালে। প্রতিপক্ষ ছিল এই শ্রীলঙ্কাই। সেবার লঙ্কানদের মাঠে সিরিজের প্রথম টেস্টে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েছিলেন ১১৮ রানের পার্টনারশিপ।
এরপরের পাঁচ বছর বড় স্কোর আসছিল না উদ্বোধনী জুটি থেকে। অল্পতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে প্রতি ম্যাচেই।
কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পর তামিম ও জয় আবার ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দেন সেই সোনালি দিনের।
প্রথম ঘণ্টা শেষে ৭৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন তামিম। ৪৮ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন জয়।
এর আগে বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। আগের দিনে ৩৯ রানে অপরাজিত তামিম দিনের শুরুতেই তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক।
হাফ সেঞ্চুরি বাগিয়ে তিনি ব্যাট ছোটান সেঞ্চুরির দিকে। বড় সংগ্রহের পথে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে।
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ৩৯৭ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল বিনা উইকেটে ৭৬ রান।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য