যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে সন্ধ্যায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাসেটিয়েরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চ্যাম্পিয়নদের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড।
গ্রুপ-এতে ইংলিশরাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। গ্রুপের অন্য দুই দল হলো ক্যানাডা ও আরব আমিরাত। তবে প্রতিপক্ষের চেয়ে নিজেদের প্রস্তুতির ঘাটতি বেশি ভাবাচ্ছে জুনিয়র টাইগারদের।
২০২০ সালে শিরোপ জয়ের আগে ৩০টি যুব ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশ। জিতেছিল ১৮টি। কোভিড মহামারির কারণে গত দুই বছরে বিশ্ব ক্রিকেটের পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটাই। যে কারণে এবারের বিশ্বকাপের আগে মাত্র ১২টি ম্যাচ খেলেছে রাকিবুল-মেহেরবরা।
বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত দলের হেড কোচ নাভিদ নাওয়াজ। সময় স্বল্পতার কারণে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফিট করে তোলাই মূল লক্ষ্য ছিল, জানালেন এ শ্রীলঙ্কান।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তুতিতে আমরা অনেকটাই পিছিয়ে এবার। প্রস্তুতি ক্যাম্পগুলোর অধিকাংশই কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। দুয়েকটা সিরিজ খেলেছি। যেহেতু সময় কম ছিল, তাই লক্ষ্য ছিল দলকে ম্যাচ ফিট করে তোলা।’
তবে প্রস্তুতি খারাপ হলেও দল কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না মনে করেন বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্টের প্রধান খালেদ মাহমুদ। রান তাড়া করার চেয়ে ডিফেন্ড করাই দলের শক্তি মনে করেন বাংলাদেশের সাবেক এ অধিনায়ক।
মাহমুদ বলেন, ‘এটা একটা তরুণ দল। অনেক বেশি ম্যাচ খেলেনি। হয়তোবা অভিজ্ঞতার দিক থেকে একটু পিছিয়ে। যদি আগে টসে জিতে ব্যাট করে ২০০-২২০ করতে পারে তাহলে সেটা প্লাস পয়েন্ট।
বোলিং ও ফিল্ডিং সাইডটা বেশ শক্তিশালী। যে কোন দলকে আমরা ধরে রাখতে পারব। তারপরও আমি মনে করি যে আমরা চেইজে অতটা ভালো করি নি।’
বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ হিসেবে যুব এশিয়া কাপে খেলে বাংলাদেশ। দুবাইয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির ওই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয় রাকিবুল হাসানের দলকে।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় টেস্ট ক্রিকেটে ১০০তম হারের শঙ্কা নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৪ রানের লিডের জবাবে ৬ উইকেট ১৩২ রান তুলে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের থেকে এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের লিড অল্পতেই আটকে দিয়ে নিজেদের শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ও নিজের ৪ রানেই কিমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে জশুয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তামিম।
তার বিদায়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। দেখেশুনে খেলতে থাকলেও ইনিংসের সপ্তম ওভারে রোচের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। খেই হারিয়ে ব্ল্যাকউডের তালুবন্দি হয়ে ২১ বলে ১৩ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ব্যর্থতার খাতায় নাম ওঠান এনামুল হক বিজয়ও। এক ওভার বাদেই সরাসরি স্টাম্প হারিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
৩২ রানেই তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে পালছেঁড়া নৌকার মতো দিশেহারা হয়ে পড়া বাংলাদেশের শিবিরে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন এ দুই ব্যাটার। সেই চেষ্টা পুরোপুরি বানচাল করে দেন জেইডেন সিলস।
এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে লিটন দাসকে ফেরান ১৯ রানে। এতে করে ৫৭ রানে পতন ঘটে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের সঙ্গে গড়া তার ৪৭ রানের জুটিতে ছন্দ ফিরে পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ১০৪ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান জোসেফ। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
শান্তর বিদায়ের রেশ না কাটতেই ১৬ রানে জোসেফ মাঠছাড়া করেন সাকিবকেও। আর তাতেই আরও একবার বড় পরাজয় চোখ রাঙানি দেয় বাংলাদেশকে।
দিনের শেষ ভাগে এসে আর বিপদ হতে দেননি সোহান ও মিরাজ। অপরাজিত থেকে ১৩২ রানের পুঁজি তুলে দিন শেষ করেন এই দুই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলার শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। নিজে উইকেটে থিতু হয়ে বসলেও সঙ্গী জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই।
উইকেটের পেছনে খালেদ আহমেদের বলে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
পরে মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে টিকিয়ে রাখতে শুরু করেন লড়াই, কিন্তু বাদ সাধে বৃষ্টি।
দিনের দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের খেলা।
বৃষ্টিবাধা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে কাইল মায়ার্স ফেরেন খালেদের শিকার হয়ে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান।
শেষের দিকে কিমার রোচের অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপের ৯ ও জেইডেন সিলসের ৫ রানে ভর করে ৪০০ রান পেরোয় উইন্ডিজ।
শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭৪ রানের লিড দিয়েই ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশি বোলাররা।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিবিঘ্নিত সেইন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সামনে ৪০৮ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে ক্যারিবীয়রা। সেই সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের সামনে লিড ১৭৪ রানের।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। নিজে উইকেটে থিতু হয়ে বসলেও সঙ্গী জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। উইকেটের পেছনে খালেদ আহমেদের বলে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে টিকিয়ে রাখতে শুরু করেন লড়াই। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। দিনের দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের খেলা।
বৃষ্টিবাধা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে কাইল মায়ারস ফেরেন খালেদের শিকার হন। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান।
শেষদিকে কিমার রোচের অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপের ৯ ও জেইডেন সিলসের ৫ রানে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ৪০০ পেরোয় উইন্ডিজরা।
শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭৪ রানের লিড দিয়েই ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশী বোলাররা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সময় খুব প্রচলিত শব্দ ছিল ‘সেশনজট’। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও এই জটের নজির দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এই সেশনজট চলে এসেছিল ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিসেও (সিসিডিএম)। যে কারণে গেল ১৫ বছর ঢাকার ক্লাবগুলো দেখেনি কোনো পুরস্কারের মুখ।
অবশেষে ২০২২ সালে এসে কাটলো সেই ‘সেশনজট’। রোববার ঘটা করেই ১৫ বছরের ৮৪টি ট্রফি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রিকেটারদের কাছে হস্তান্তর করল সিসিডিএম।
২০০৭-২০০৮ মৌসুম থেকে শুরু করে ২০২১-২২ মৌসুম পর্যন্ত ক্লাব ও ক্রিকেটারদের আটকে থাকা পুরস্কার বিতরণ করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঘটা করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করে সকল বকেয়া ট্রফি পরিশোধ করল সিসিডিএম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট থেকে শুরু করে তৃতীয় বিভাগ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পুরস্কার বিতরণ করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে সেইন্ট লুসিয়ায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি। এ অবস্থায় ১০ ওভার পরই বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা। এই ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। অপরদিকে পতন ঘটেছে তাদের দুটি উইকেটের।
১১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটের খরচায় ৩৭৬ রান। লিড ১৪২ রানের। ১৪০ রানে অপরাজিত কাইল মায়ার্স। তাকে ৭ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন কিমার রোচ।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দিনের শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। তবে জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। খালেদ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে নিতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। দিনের শুরুতে দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা।
গত বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন কাইল মায়ার্স। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিনি একাই তুলেন ২১০ রান। এর আগে কোনো ব্যাটারই অভিষেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়তে পারেনি।
কাইল মায়ার্স দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবারও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চাপে তখন তার অসাধরাণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ১০০ রান করে ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে এমন বিপর্যয়ে মায়ার্স-জারমেইন জুটি পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রান যোগ করে বাংলাদেশের ২৩৪ রান পেরিয়ে যায়।
শনিবার সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২৬ রান তুলে অপরাজিত আছেন অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স।
তবে মায়ার্সের সঙ্গে এক মধুর লড়াই রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। অভিষেক টেস্টেই মিরাজের শিকার হয়ে ৪০ রান করেই থামতে হয়েছিল ক্যারিবীয় এই ব্যাটারকে। সেই ইনিংসে অর্ধশতক বাগিয়ে না নিলেও পরের ইনিংসেই মায়ার্সের ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ২১০ রানের এক ইনিংস।
এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষের চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টেও সেই মিরাজের শিকার হয়েই থামতে হয়েছিল তাকে মাত্র ৭ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ৬ ইনিংসের ভেতর (চলমান টেস্ট সহ) ৪টিতে আউট হয়েছেন মায়ার্স। এর মধ্যে দুইবার তাকে শিকারে পরিণত করেছেন মিরাজ। আর বাকি দুইবার আবু জায়েদ রাহী।
উদ্বোধনী সেশনে মিরাজ-খালেদের বোলিং তোপে সাময়িক বিপর্যয়ে পড়লেও স্বাগতিকদের খেলায় ফিরিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন বলে জানান কাইল মায়ার্স। একই সঙ্গে মিরাজের সঙ্গে তার আলাদা কোনো লড়াই নেই, বরং তাকে নামে না দেখে বলের হিসেবেই দেখেন বলেও মন্তব্য করেন ক্যারিবীয়ান এই তারকা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সে (মিরাজ) একজন ভালো বোলার। আগেও সে আমাকে আউট করেছে, এটা মাথায় ছিল না। একজন বোলার ভালো ডেলিভারি করলে যে কাউকে আউট করতে পারে। আমি কোনো নামের খেলোয়াড়ের বিষয়ে যাচ্ছি না। আমি শুধু বল খেলি।’
আরও পড়ুন:ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের আগে লেস্টারশায়ারের সঙ্গে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে ভারত। সেই ম্যাচের তৃতীয় দিনে দুঃসংবাদ পেল দলটি। ম্যাচে অংশ নেয়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা আক্রান্ত করোনাভাইরাসে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) রোববারের টুইটে বলা হয়, শনিবার রোহিত শর্মার করোনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তার দেহে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
টুইটে আরও বলা হয়, বর্তমানে টিম হোটেলে আইসোলেশনে রয়েছেন রোহিত। বিসিসিআই মেডিক্যাল টিমের তত্ত্বাবধানে থাকবেন তিনি।
ডানহাতি এ ব্যাটার লেস্টারশায়ারের বিপক্ষে চার দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দলে ছিলেন, কিন্তু শনিবার তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেননি তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করেছিলেন রোহিত।
ম্যাচটি মূলত গত বছরের সেপ্টেম্বরে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারত শিবিরে করোনভাইরাস ধরা পড়ায় ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়।
সে সময় নির্ধারিত পাঁচ ম্যাচ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে আগামী শুক্রবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে দল দুটি।
আরও পড়ুন:টেস্ট ক্রিকেটে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ পারফরম্যান্সের দিক থেকে পার্থক্যটা বেশ বড়। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে দ্বিতীয় টেস্টেও উন্নতি দেখছেন না হেডকোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে বড় লিডের ইঙ্গিত দিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিন শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৪০ রান। ১২৬ রানে ক্রিজে রয়েছেন কাইল মায়ার্স। ১০৬ বলে ২৬ করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন ডি সিলভা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশকে ২৩৪ রানে অলআউট করে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে ১০৬ রানের লিড নিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত খেলার পরও একই ভুল বারবার করায় হারতে হচ্ছে বেশির ভাগ ম্যাচ।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোববার ভোরে ডমিঙ্গো বলেন, ‘আমরা এক সেশনের জন্য ভালো খেলে পরের সেশন ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছি না। ছেলেদের ধৈর্য নেই। প্রথম সেশনের মতো পর্যাপ্ত ভালো বোলিং করতে পারেনি পরের সেশনে। যথেষ্ট ধৈর্য না ধরে লাঞ্চের পর আমরা যেভাবে বোলিং করেছি তা হতাশাজনক ছিল।’
অ্যান্টিগার পর সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্ট কোচ ডমিঙ্গো।
পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাটিং ও বোলিং নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তোলার জায়গা আছে। কারণ এটা ২৩০-এর উইকেট না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আমাদের দেখিয়ে দিচ্ছে যে কী কারণে ওরা এই সংস্করণে আমাদের থেকে ভালো দল।
‘ওদের একজন ১০০ রানে অপরাজিত আছে। ওদের সামনে বড় রান করার সুযোগ আছে। কারণ ওরা জুটি গড়তে সক্ষম হয়েছে। লম্বা সময় ব্যাটিং করেছে। ওরাই দেখাচ্ছে আমাদের কী করা উচিত।’
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং নিয়েও হতাশ ডমিঙ্গো। তিনি মনে করেন, ব্যাটারদের ফর্মে ফিরতে রানের দিকে মনোযোগ না দিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাটিং করার পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেক খেলোয়াড় ফর্ম খুঁজছেন, রান খুঁজছেন। এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হলো দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাট করা। ৩০ থেকে ৪০ রানের ইনিংস অনেক হচ্ছে, দু-একটি ফিফটি হচ্ছে। কিন্তু কাইল মাইয়ার্স যেমন ১২০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তেমন বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারছে না। দলের রান ২৩০ আর ৪০০ হওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য এখানেই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য