ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জয়ে বছরের সমাপ্তি টেনেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। এবার নতুন বছরেও সেই সাফল্য অব্যাহত রেখেছে পেপ গার্দিওলার বাহিনী। লিগের শিরোপা প্রত্যাশী চেলসিকে হারিয়েছে সিটিজেনরা।
এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ঘরের মাঠ ইতিহাদে তারা চেলসিকে হারিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। জয়সূচক গোলটি এসেছে কেভিন ডি ব্রুইনার কাছ থেকে।
নতুন বছরের প্রথম ম্যাচে আর্সেনালকে ২-১ ব্যবধানে হারানোর পর এফ এ কাপে সুইন্ডনকে হারিয়ে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে গার্দিওলার দল।
সেই আত্মবিশ্বাসকে নিয়ে ঘরের মাঠে চেলসির বিপক্ষে আধিপত্য নিয়ে খেলেছে সিটি। প্রথমার্ধে কোনো দল গোলের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে টানা আক্রমণ করে কাঙ্ক্ষিত গোলের সন্ধান পায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের ৭০ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর পাস থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন সিটির মিডফিল্ডার ডি ব্রুইনা।
লিগে এটি এ বেলজিয়ানের ৬ষ্ঠ গোল ও চেলসির বিপক্ষে ক্যারিয়ারের পঞ্চম গোল। প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রুইনার সবচেয়ে বেশি গোল চেলসির বিপক্ষে।
এক গোলে পিছিয়ে আর সমতায় ফেরা সম্ভব হয়নি টমাস টুখেলের দল চেলসির। জয়ের স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি।
এ জয়ে দুইয়ে থাকা চেলসির সঙ্গে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধান গড়ল সিটি। ২২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৬। দুইয়ে থাকা চেলসির পয়েন্ট ৪৩।
দুই ম্যাচ কম খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৪২। ২১ ম্যাচে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে ওয়েস্ট হ্যাম।
আরও পড়ুন:A classy Kevin De Bruyne finish makes it 12 #PL wins in a row for Man City#MCICHE pic.twitter.com/Nu4U52Maoy
— Premier League (@premierleague) January 15, 2022
স্তাদে দ্য ফ্রান্সে প্রতিশোধ নেয়া হলো না লিভারপুলের। চার বছর আগে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে হারের বদলা নিতে পারেনি ইংলিশ জায়ান্টরা। ইউরোপ সেরা দুই ক্লাবের লড়াইয়ে তাদেরকে বাজিমাত করে শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ফাইনাল ১-০ গোলে জিতে নিজেদের ১৪তম শিরোপা জয় করে রিয়াল। দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয় রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোল।
শনিবার রাতে ম্যাচ শুরুর আগে দর্শকদের সঙ্গে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গন্ডগোলের কারণে কিক-অফ পিছিয়ে দেয়া হয়। দুই দলের সমর্থকেরা ফাইনাল দেখার জন্য প্যারিসে পৌঁছালেও অনেকে বিনা টিকিটে মাঠে প্রবেশের চেষ্টা করেন। ফলে, তাদের সামলাতে কিছুটা বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
রাত ১টার বদলে দেড়টায় শুরু হয় ফাইনাল। ম্যাচ শুরুর আগ কিউবান পপস্টার কামিলা কাবেও স্টেডিয়াম মাতান তার পরিবেশনা দিয়ে।
তবে, শুরুর আগের উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি ম্যাচ শুরু পর। শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের প্রথম ৩০ মিনিট কোনো আক্রমণ করেনি তারা। লিভারপুলও বার দুয়েক চড়াও হলেও রিয়াল গোলকিপার থিবো কোঁতোয়ার প্রচেষ্টায় গোলের দেখা পায়নি। মোহামেদ সালাহ ও সাদিও মানেকে বঞ্চিত রাখেন এ বেলজিয়ান শটস্টপার।
ম্যাড়ম্যাড়ে প্রথমার্ধের একমাত্র উত্তেজনা ছিল বিরতির ঠিক আগে কারিম বেনজেমার গোল বাতিল হওয়া। ৪৩ মিনিটে এ ফরাসি তারকা বল জালে জড়ালেও ভিডিও অ্যাসিস্টেন্টের সাহায্য নিয়ে রেফারি অফসাইডের কারণে গোল বাতিল করেন। দুই দলের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোল ছাড়াই।
বিরতির পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার পঞ্চাশেক দর্শককে উত্তেজনার স্বাদ দেন ভিনিসিয়াস। এ ব্রাজিলিয়ানের গোলে ৫৯ মিনিট লিড নেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
শেষ ৩০ মিনিট তেমন কোনো নাটকীয়তা ছিল না। বারবার আক্রমণ করেও রিয়ালের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।
সব আক্রমণ মোটামুটি একা হাতে রুখে দিয়েছেন কোঁতোয়া। বিশেষ করে ৬৪ ও ৮২ মিনিটে সালাহর শট রুখে দিয়ে প্রমাণ করেন কেন তিনি এই মুহূর্তে ইউরোপের সেরা গোলকিপার।
শেষ পর্যন্ত ওই এক গোলে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট জিতে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো বিদায় নেয়ার পর এটাই তাদের প্রথম শিরোপা। আর সব মিলিয়ে ১৪তম। সবার চেয়ে বেশি শিরোপা রিয়ালেরই।
অন্যদিকে, ফাইনাল হারায় এক মৌসুমে তিন শিরোপা জেতা হলো না লিভারপুলের। গত সপ্তাহে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির কাছে লিগ শিরোপা খোয়ানো লিভারপুলকে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে লিগ কাপ ও এফএ কাপের জোড়া শিরোপা জিতেই।
আর কার্লো আনচেলত্তির রিয়াল মাদ্রিদ স্প্যানিশ লা লিগা শিরোপা জয়ের পাশাপাশি জিতল ইউরোপ সেরার ট্রফিও। রিয়ালের হয়ে এটি আনচেলত্তির দ্বিতীয় চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। এর আগে ২০১৪ সালে ট্রফি জিতেছিলেন এ ইতালিয়ান ট্যাকটিশিয়ান।
এতে করে রিয়াল তাদের পুরনো সৈনিক ও ক্লাব অধিনায়ক মার্সেলোকে বিদায় জানাল শিরোপা দিয়ে। আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়া বেনজেমা লিভারপুলের সাদিও মানের সঙ্গে এগিয়ে গেলেন ব্যলন ডর জয়ের লড়াইয়ে।
আরও পড়ুন:ইংল্যান্ডের ক্লাব লিভারপুল এরইমধ্যে ঘরে তুলেছে লিগ কাপ ও এফএ কাপ শিরোপা। মৌসুম জুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যদের কিছু দিন আগেও সুযোগ ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতার। প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে ম্যাচ জিতলেও ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে স্বপ্ন বিসর্জন দেয় অলরেডরা।
তবে এখনও ট্রেবল জয়ের দারুণ সুযোগ রয়েছে ক্লপের লিভারপুলের। শনিবার ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা ঘরে তুলতে পারলেই এক মৌসুমে তিন মুকুট যাবে লিভারপুলের শিরে।
দুটি ঘরোয়া ট্রফিজয়ী দলটির ‘ট্রেবল’ জয়ের আশা বেঁচে থাকায় প্রত্যাশার পারদটাও থাকবে ওপরের দিকে। আর তখনই স্বাভাবিকভাবেই চলে আসবে অতিরিক্ত চাপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়ার আগে লিভারপুলের অবস্থাটা এই মুহূর্তে এমনই হওয়ার কথা।
প্যারিসের জাতীয় স্টেডিয়াম স্তাদে দ্য ফ্রান্সে আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই বোঝা যাবে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের চাপ কতটা হজম করেছে দলটি। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে নামবে স্পেন ও ইংল্যান্ডের দুই জায়ান্ট। ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।
গত মার্চ থেকে কোনো ম্যাচ হারেনি লিভারপুল। ইয়ুর্গেন ক্লপের দল পুরো মৌসুমে মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরেছে।
প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডে তাদের শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে। আগেই কোয়াড্রপল জয়ের স্বপ্ন ছেড়ে দিতে হয়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাবটির। এবার রিয়ালের বিপক্ষে হেরে গেলে সেই হতাশা হবে দ্বিগুণ।
তবে রিয়ালের জন্য পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। মৌসুমের শুরুতে তাদেরকে ঘিরে প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না। কার্লো আনচেলত্তির দল দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় লা লিগার শিরোপা জিতেছে সবাইকে অনেকটা পেছনে ফেলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। কেননা গত কয়েক দশকে যতবার ফাইনালে উঠেছে, শিরোপা নিয়েই ফিরেছে।
রিয়ালের জন্য মৌসুমটা কাটছে স্বপ্নের মতো। মৌসুমের শুরুতে খুব বেশি ছন্দে না থাকলেও এবার ‘ডাবল’ জয়ের অপেক্ষায় আছে আছে মাদ্রিদ। লা লিগা শিরোপা জেতার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি তাদের সময়ের অপেক্ষা। ফাইনালের আগে রিয়ালের ফরাসি তারকা কারিম বেনজেমা দারুণ ফর্মে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এবার ১১ ম্যাচে ১৫ গোল করে বেনজেমা আছেন গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে। ১৫ গোলের ১০টি আবার নকআউট পর্বে। এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনিই। ৩২ ম্যাচে করেন ২৭ গোল। ২০২১-২২ মৌসুমে ব্যালন ডি’অর জয়ের দ্বারপ্রান্তে আছেন বেনজেমা।
নকআউট পর্বে পিএসজি, চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি- তিন দলের বিপক্ষেই খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের ধাপে জায়গা করে নেয় রিয়াল।
রিয়ালের জন্য মৌসুমের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ছিল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়।
লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ, ভার্জিল ফন ডাইক, ফাবিনিয়ো ও থিয়াগো গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চোটের সঙ্গে লড়ছেন এমন খবরই শোনা যাচ্ছিল। ফাইনালের জন্য তারা কতটা প্রস্তুত সেটাও এখন লিভারপুলের দুশ্চিন্তা আরও এক কারণ।
সালাহ যদিও সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জোর দিয়েই বলছেন, তিনি তার ক্যারিয়ারের ‘সবচেয়ে বাজে’ মুহূর্তের বদলা নেবেন। ২০১৮ সালে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল লিভারপুল। রিয়ালের কাছে সে বারের হারের প্রতিশোধ নিতে চান এবার রিয়ালকে হারিয়েই।
তবে শেষ কথা হচ্ছে, মানসিক চাপ কতটা সামাল দিতে পারবে লিভারপুল, এখন সেটাই দেখার। এইত! আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই তো বিশ্ব দেখবে মৌসুমের শেষ দৃশ্যটি। ট্রেবল জয়, নাকি দুই শিরোপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
আরও পড়ুন:ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল আজ রাত ১টায়। প্যারিসে স্তাদে দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়ামে আশি হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে শিরোপার জন্য লড়বে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম সফল দুটি দল। স্পেনের রিয়াল মাদ্রিদ ও ইংল্যান্ডের লিভারপুল।
ইউরোপিয়ান এই প্রতিযোগিতার লড়াইয়ে এর আগে ফাইনালে দুবার মুখোমুখি হয়েছে ক্লাব দুটি।
২০১৮ সালের ফাইনালে স্মৃতি এখনও তরতাজা মাদ্রিদের সমর্থকদের মনে। সেই ম্যাচে লিভারপুলকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ছিনিয়ে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
ইতিহাস বলে রিয়ালের ফাইনাল খেলতে নামা মানে শিরোপা তাদের ঘরে যাওয়া। সেটার ব্যতিক্রম হয়েছিল ৪১ বছর আগে লিভারপুলের বিপক্ষে। ১৯৮১ সালে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা হয়েছিল অলরেডরা।
ইউরোপ সেরার এ মুকুট জেতা ক্লাবগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখের ৬টি ও এসি মিলানের ৭টি শিরোপা রয়েছে। অন্য কোনও ক্লাবে ৫টির বেশি নেই।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের টুর্নামেন্টে, রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েছে মোট ১৬ বার যার মধ্যে শিরোপা জিতেছে ১৩ বার। অন্যদিকে লিভারপুল ৯টি ফাইনাল খেলে শিরোপা জিতেছে ৬টির।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ফাইনালে রিয়ালের রেকর্ড:
১৯৫৫-৫৬: রিয়াল মাদ্রিদ ৪ -৩ স্তেদ দ্য রিমস
১৯৫৬-৫৭: রিয়াল মাদ্রিদ ২ - ০ ফিওরেন্তিনা
১৯৫৭-৫৮: রিয়াল মাদ্রিদ ৩ - ২ মিলান
১৯৫৮-৫৯: রিয়াল মাদ্রিদ ২ - ০ স্তেদ দ্য রিমস
১৯৫৯-৬০: রিয়াল মাদ্রিদ ৭ - ৩ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট
১৯৬১-৬২: বেনফিকা ৫ - ৩ রিয়াল মাদ্রিদ
১৯৬৩-৬৪: ইন্টার মিলান ৩ - ১ রিয়াল মাদ্রিদ
১৯৬৫-৬৬:রিয়াল মাদ্রিদ ২ - ১ পার্টিজান বেলগ্রেড
১৯৮০-৮১: লিভারপুল ১ - ০ রিয়াল মাদ্রিদ
১৯৯৭-৯৮: রিয়াল মাদ্রিদ ১ - ০ ইউভেন্তাস
১৯৯৯-০০: রিয়াল মাদ্রিদ ৩ - ০ ভালেন্সিয়া
২০০১-০২: রিয়াল মাদ্রিদ ২ - ১ বায়ার লেফারকুজেন
২০১৩-১৪: রিয়াল মাদ্রিদ ৪ - ১ আতলেতিকো মাদ্রিদ
২০১৫-১৬: রিয়াল মাদ্রিদ ১ -১ (৫-৩) আতলেতিকো মাদ্রিদ
২০১৬-১৭: রিয়াল মাদ্রিদ ৪ - ১ ইউভেন্তাস
২০১৭-১৮: রিয়াল মাদ্রিদ ৩ - ১ লিভারপুল
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে লিভারপুলের রেকর্ড:
১৯৭৬-৭৭: লিভারপুল ৩ - ১ বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখ
১৯৭৭-৭৮: লিভারপুল ১ - ০ ক্লাব ব্রুগা
১৯৮০-৮১: লিভারপুল ১ - ০ রিয়াল মাদ্রিদ
১৯৮৩-৮৪: লিভারপুল ১ - ১ (৪-২) রোমা ১
১৯৮৪-৮৫: ইউভেন্তাস ১ - ০ লিভারপুল
২০০৪-০৫: লিভারপুল ৪ - ৩ মিলান
২০০৬-০৭: মিলান ২ - ১ লিভারপুল
২০১৭-১৮ : রিয়াল মাদ্রিদ ৩ - ১ লিভারপুল
২০১৮-১৯ : লিভারপুল ২ - ০ টটেনহ্যাম
লিভারপুলের অন্যতম সেরা তারকা সাদিও মানের দল বদলের গুঞ্জন চলছে অনেক আগে থেকে। তবে শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল না হওয়ার পর্যন্ত নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে চান না সেনেগালের এই তারকা।
লিভারপুলের সঙ্গে তার চুক্তি শেষ হবে আগামী বছরের জুনে। ২০১৬ সালে লিভারপুলে যোগ দেয়ার পর ১২০টির বেশি গোল করেছেন এই তারকা। শনিবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের দিকে মনোযোগ দিতে চান বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সাংবাদিকদের দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মানে বলেন, ‘নিশ্চয়ই চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি জেতা বিশেষ হবে। জয় পেলে ক্লাবের হয়ে ইউরোপীয় কাপ জেতার সংখ্যা হবে সাত। আমি এখন শুধু চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার দিকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছি। এটা আমার এবং লিভারপুল সমর্থকদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
‘শনিবারের পর আমাকে জিজ্ঞেস করুন। আমি আপনাকে অবশ্যই সেরা উত্তর দেব যা আপনি শুনতে চান।'
২০১৮ সালের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজয়ের বেদনা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে লিভারপুল। সেই বেদনা ঘোচাতে ফাইনালে এবার নিজেকে উজার করে দিতে চান সাদিও মানে ।
তবে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে ফাইনালের পর সাদিও মানেকে দলে ভেড়াতে পরিকল্পা করছে জার্মানির চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন:২০১৮ সালের ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে পরাজয়ের বেদনা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে লিভারপুল। শনিবার আবারও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। রাত ১টায় প্যারিসের স্তাদে দ্য ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচ।
১৩ বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। আর ৬ বারের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের লক্ষ্য আগেরবারের হারের প্রতিশোধ নেয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ ৫ মৌসুমে এটি লিভারপুলের তৃতীয় ফাইনাল। ৪ বছর আগে কিয়েভে অনুষ্ঠিত ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-১ গোলে হারের এক বছর পর টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তোলে লিভারপুল। স্তাদে দ্য ফ্রান্সে হতে যাওয়া এবারের ফাইনালে ফেভারিট লিভারপুল। এটি হচ্ছে তাদের জন্য ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপ সেরা হোয়ার সুযোগ।
অধিকাংশ সময় শিরোপা জয় করা রিয়ালের বিপক্ষে জিতলে পারলে শিরোপা জয়ের দিক থেকে এসি মিলানের সমান হয়ে যাবে লিভারপুল। এ ছাড়া মৌসুমে ৩টি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও থাকছে তাদের সামনে। কারণ চলতি মৌসুমে ইংলিশ লিগ কাপ ও এফএ কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
ফাইনাল না জিতলেও দুটি শিরোপা জয় করা লিভারপুলের ম্যানেজার ক্লপের মতে এ মৌসুমে তারা সফল।
শুক্রবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিততে না পারলেও এটি হবে অসাধারণ একটি মৌসুম। আর চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা যুক্ত হলে এটি হবে দুর্দান্ত।’
অন্যদিকে, শেষ ৯ মৌসুমে পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে রিয়াল। ২০১৪ সালে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে ধারাবাহিকতা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই সময় দলে ছিলেন বর্তমানে দলের মূল ভরসা কারিম বেনজেমা।
কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তির সঙ্গে ২০১৪ সালে ছিলেন লুকা মড্রিচও। প্রথম কোনো কোচ হিসেবে চারবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন ইতালির এ কোচ। এর আগে এসি মিলানকে তিনি শিরোপা এনে দিয়েছিলেন ২০০৩ ও ২০০৭ সালে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিএনপির জাতীয় ক্রীড়া কমিটির উদ্যোগে লালমনিরহাট সদর উপজেলার শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয় মাঠে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ।
টুর্নামেন্টের ফাইনালে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় লালমনিরহাট জেলা বিএনপি বনাম রংপুর মহানগর বিএনপির মধ্যে ফাইনাল খেলা হয়। এতে লালমনিরহাট বিএনপি ২-০ গোলে রংপুর মহানগর বিএনপিকে পরাজিত করে।
গত ১২ মে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খেলায় রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার দল অংশ নেন।
ফাইনাল খেলা উপলক্ষে লালমনিরহাটের বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ে জমকালো আয়োজনে সাজানো হয় পুরো কলেজ মাঠ। খেলার শুরুতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাদক, যৌতুক ও সন্ত্রাসবিরোধী শপথ পাঠ করানো হয়।
এরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে ডিসপ্লে প্রদর্শন করাসহ জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে খেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়।
আরও পড়ুন:হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর লম্বা সময়ের জন্য মাঠ থেকে ছিটকে গেলেন সুইডিশ তারকা ফুটবলার স্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। অস্ত্রোপচার তাকে সাত থেকে আট মাসের জন্য ছিটকে দিয়েছে মাঠের বাইরে।
বুধবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইব্রাহিমোভিচের ক্লাব এসি মিলান।
বিবৃতিতে তারা জানায়, ফ্রান্সে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন ৪০ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। ইনজুরির কারণে গত মৌসুমের বড় একটি সময় মাঠের বাইরে কাটাতে হয়েছে সুইডিশ তারকাকে। ফলে ১১ বছরের মধ্যে প্রথম এই লিগ শিরোপা জয়ে ফরাসি তারকা অলিভিয়ে জিরুর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে মিলানকে।
রোববার সাসুয়োলোর বিপক্ষে জয়ের মাধ্যমে শিরোপা ঘরে ওঠানোর পর ইব্রাহিমোভিচ বলেছিলেন, খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে তিনি শারীরিকভাবে কেমন ছিলেন তা দেখতে হবে।
গত বছর বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের কারণে ২০২০ ইউরোতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি ইব্রা। পরে একিলিস টেন্ডন সমস্যার কারণে মিলানের প্রথম একাদশের স্থান ত্যাগ করতে হয়েছে তাকে।
মন্তব্য