× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
There is no substitute for training and monitoring to improve umpiring Mithu
google_news print-icon

আম্পায়ারিং শুধরাতে প্রশিক্ষণ ও মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই: মিঠু

আম্পায়ারিং-শুধরাতে-প্রশিক্ষণ-ও-মনিটরিংয়ের-বিকল্প-নেই-মিঠু
বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
দেশের আম্পায়ারিংয়ের সমস্যা ও এর সমাধানের খুঁটিনাটি নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু। জানিয়েছেন বিতর্কের জায়গা থেকে ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগকে সরিয়ে আনতে যথাযথ ট্রেনিং ও কঠোর মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই।

পরোক্ষভাবে দুই যুগের বেশি সময় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর এবারই প্রথম সরাসরি বোর্ডের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দায়িত্ব পেয়েছেন বোর্ড পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু। নতুন দায়িত্ব নেয়া বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে তাকে।

লম্বা সময় ধরে দেশের আম্পায়ারিং প্রশ্নবিদ্ধ। সেই প্রশ্নবিদ্ধ শাখার দায়িত্বভার তুলে দেয়া হয়েছে সফল এই ক্রীড়া সংগঠকের হাতে।

দায়িত্ব বুঝে নিয়ে আম্পায়ারিং বিতর্কের সঙ্গে জড়িতদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মিঠু। শক্তহাতে আম্পায়ারিংকে বিতর্কের জায়গা থেকে বের করে আনতে চান স্বচ্ছতার জায়গায়।

দেশের আম্পায়ারিংয়ের সমস্যা ও এর সমাধানের খুঁটিনাটি নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। জানিয়েছেন বিতর্কের জায়গা থেকে ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এই বিভাগকে সরিয়ে আনতে যথাযথ ট্রেনিং ও কঠোর মনিটরিংয়ের বিকল্প নেই।

নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য তার সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

প্রথমবার বোর্ডে আসলেন, আর এসেই দায়িত্ব পেলেন, কেমন লাগছে?

প্রথমবার বোর্ড ডিরেক্টর হতে পারি কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে আমি গত ২৫ বছর ধরে আছি। সুতরাং আমার কাছে নতুন না। ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও জড়িত ছিলাম। মাঝে ৬-৭ বছর ছিলাম না। তবে বোর্ডে আসায় নিশ্চিতভাবে আনন্দবোধ করছি। নতুন একটা দায়িত্ব দিয়েছে। সেটায় আমার শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করব।



আম্পায়ারদের চাপ নেয়ার কিছু নেই। যদি নিতে হয় সেটা আমি নেব। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করে তবে সেটা বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

নতুন কমিটিতে এসে কঠিন একটা বিভাগের দায়িত্ব পাওয়াটা কতটা চ্যালেঞ্জিং?

নিশ্চিতভাবে চ্যালেঞ্জিং। কারণ আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি গত কয়েক বছর এই জায়গাটা নিচের দিকে নেমে গেছে। বিষয়টা এতদিন শুনে এসেছি, সবার থেকে শুনেছি। তেমনটা যদি হয়ে থাকে, এটার জন্য কাজ করতে হবে।


ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় সময় পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়, এখানে কীভাবে স্বচ্ছতা ফেরাবেন?

শোনেন, পক্ষপাতমূলক হতে পারে দুটো জিনিসের জন্য। একটা হচ্ছে চাপের কারণে একটা ভুল করে ফেলে। আরেকটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত। চাপের কারণে যেটা হয়, সেটা বিভিন্ন কোর্স করিয়ে কিংবা অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নতি করানো সম্ভব। এই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি সবার সঙ্গে আছি।

অন্য কোনো চাপ আসলে আমি নিশ্চিতভাবে মোকাবিলা করব। আমি যে বার্তা দিতে চাই তা হলো, আম্পায়ারদের চাপ নেয়ার কিছু নেই। যদি নিতে হয় সেটা আমি নেব। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করে তবে সেটা বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। সেটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।


দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের রেলিগেশন জোনে আম্পায়ারিংয়ের স্বচ্ছতা ফেরানো কতটা চ্যালেঞ্জিং?

আপনি কোন মানের আম্পায়ার বা আপনার অ্যাসেসমেন্টটা যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে এমনটা ঘটে। যদি দেখি আপনি দিনের পর দিন ইচ্ছাকৃতভাবে কারও পক্ষ নিয়ে আম্পায়ারিং করছেন, ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, তাহলে এটা থামানোর দুটো উপায় আছে; এক হচ্ছে ট্রেনিং। দুই তাদের সতর্ক করা যে ভবিষ্যতে যদি প্রমাণ পাই তোমরা ইচ্ছাকৃতভাবে করছ, তাহলে আমরা যা করার করব।


বাংলাদেশ থেকে আইসিসির এলিট প্যানেলে আম্পয়ার না থাকার কারণ কী দেখছেন?

আমি দুই সপ্তাহ হলো দায়িত্ব পেয়েছি। সবকিছু জানতে হলে কিছু সময় দিতে হবে। আমার প্রথম কাজ হলো যেকোনো পরিবর্তন আনার জন্য লোকজনের সঙ্গে কথা বলা। সিনিয়র আম্পায়ার, ক্রিকেট প্লেয়ার, সিনিয়র ক্রিকেটার, সাংবাদিক কিংবা আমাদের যে কমিটি আছে সবার সঙ্গে আলাপ করে সমস্যাটা কোথায় সেটা বের করা।

যদি দেখি যে আমাদের অ্যাপ্রোচ ঠিক নাই আইসিসিতে, তাহলে সেটা ঠিক করব। এমনও হতে পারে যে আমাদের আইসিসির স্ট্যান্ডার্ড ঠিক না বলে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যন্ত দিচ্ছে। তেমনটা হলে আমাদের আম্পায়ারদের আরও অনুশীলন করাতে হবে। যদি আমাদের তদবির ঠিক না হয়, সেখানেও উন্নতির চেষ্টা করব।


আম্পায়ারিংয়ে স্বচ্ছতা ফেরাতে কোন সিদ্ধান্তগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নেয়া উচিত বলে মনে করেন?

সবাই আমাকে একটা কথাই বলেছে যে গত কয়েক বছরে আম্পায়ারিংয়ের মানটা নিচের দিকে। এর মানে তারা সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারছে না। এর একটা কারণ ফিজিক্যাল ফিটনেস হতে পারে। স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। এগুলো আমাদের খুঁটিয়ে দেখা দরকার। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো দরকার। কারোর যদি ডায়াবেটিক সমস্যা থাকে এবং সেদিন সারা দিন ধরে আম্পায়ারিং করেন, তাহলে দিনের শেষে তিনি ক্লান্ত হতে পারেন।

এমনও হতে পারে কেউ স্বাভাবিকভাবেই ভালো আম্পায়ার। আবার কেউ হয়তো তা নয়। তাদের রিডিং ও শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে হবে।


ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব, তাদের সঙ্গে কি এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা হয়েছে?

শুধু উনিই আমার বন্ধু না। বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট বোর্ডেই আমার বন্ধু আছেন। সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। এখানে আমি তো একমাত্র এক্সপার্ট না। সাংবাদিক, ক্রিকেটার কিংবা বিদেশি বিশেষজ্ঞরা মিলে মূলত সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। এতে করে আমরা আমাদের মানে উন্নতি আনতে পারব। এটা নিশ্চয়তা দিতে পারি যে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এটা বলতে পারবেন না যে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সময় দিইনি বা আমার ইচ্ছে ছিল না।

এমনও হতে পারে কেউ স্বাভাবিকভাবেই ভালো আম্পায়ার। আবার কেউ হয়তো তা নয়। তাদের রিডিং ও শারীরিক ফিটনেস বাড়াতে হবে।


আম্পায়ারিং উন্নতিতে দেশের বাইরে থেকে প্রশিক্ষক আনানো যায় কি না?

এটাও ভাবছি। একটা এজেন্ডা তৈরি করব। প্লেয়ার কিংবা পুরোনোদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মতামত নেব। স্থানীয় প্রশিক্ষক বানাতে হবে। প্রতি মাসে অন্তত পাঁচজন করে হলেও অনুশীলন করাতে হবে। মনে করেন, একজন প্রশিক্ষিত বিমানের পাইলটকেও কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পরপর অনুশীলন করতে হয়।

এখন প্রযুক্তিও এসেছে। চেষ্টা করব ধাপে ধাপে কাজ করতে। আপাতত আমি তথ্য সংগ্রহ করছি। এমনকি আম্পায়ারিং খারাপের জন্য যদি তাদের বাসে যাতায়াত সমস্যা হয়ে থাকে, তবে সেটাও সমাধানের নতুন পথ খুঁজব।

আমি শুনেছি সাভার আসতে-যেতে ছয় ঘণ্টার মতো লাগে। তাহলে চিন্তা করে দেখেন একজন আম্পায়ার ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে গিয়ে খেলা পরিচালনা করলে তার মানসিক সমস্যা হতে পারে। এটাও আমরা দেখব। দরকার হলে আমরা তাকে এক দিন আগেই সেখানে পাঠিয়ে দেব যেন পরদিন ম্যাচ পরিচালনা করতে পারি।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ক্রিকেটে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) কি আনা যায়?

ডিআরএস সিস্টেমটা আসলে একটু কঠিন। এটি ছাড়াও রেকর্ডিং, মনিটরিং এগুলো করা যায়। এগুলো করাটা সহজ। ডিআরএস সিস্টেমটা আসলে শীর্ষ পর্যায়ের ম্যাচের জন্য করা হয়। এটা করাও খরচের ব্যাপার।

আমরা যেটা করতে পারি সেটা হলো সিদ্ধান্ত ও আপিলগুলো রেকর্ড করে পর্যালোচনা করতে পারি। আম্পায়ারিংয়ের মান বাড়াতে একজন আম্পায়ার কীভাবে আম্পায়ারিং করছে সেটা বিচার করতে হবে। সেটি পরীক্ষার জন্য আমি হয়তো ১০ দিন মাঠে থাকতে পারি। সে ১০ দিন হয়তো ভালো করবে। বা সাংবাদিক আছে বলে ভালো করল, মনোযোগ দিয়ে আম্পায়ারিং করল। কিন্তু তারপর? সুতরাং আমাদের রেকর্ডিংয়ের একটা সিস্টেম করতে হবে।

এই রেকর্ডিংয়ের সিস্টেমটা আগে থেকে কেন করা হয়নি?

দেখেন আমি আবারও বলছি, আগে কী হয়েছে বা হয়নি সেসবের ভেতর যাচ্ছি না। আমি মনে করি ট্রেনিং ও মনিটরিং বাড়ালে তাদের উন্নতি হবে। এতেও যদি ঠিক না হয়, আরও নতুন আম্পায়ার নিতে হবে। ক্রিকেটারদের আম্পায়ার হিসেবে নিতে হবে। আমরা যেটা শুনেছি যে ক্রিকেটাররা আম্পায়ার হিসেবে ভালো সিদ্ধান্ত দেন। তাই সাবেক ক্রিকেটার যারা আছেন, ক্রিকেট থেকে নতুন করে যারা অবসরে যাচ্ছেন, তাদের পাইপলাইনে আনতে হবে।

আমাদের দেশে আম্পায়ারিংকে প্রধান পেশা হিসেবে খুব একটা দেখা যায় না। পেশা হিসেবে এটিকে দাঁড় করানোর জন্য কোনো উদ্যোগ নেয়া যায় কি না?

এটা নিয়ে আমি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করব। বোর্ডের উচিত বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে তদন্ত করা। এটা আসলে হার্টের মতো। আপনি যদি হার্ট ঠিক না করেন, আপনার চলাচল, পারফরম্যান্স কিন্তু ভালো হবে না। তাই এই জায়গাটাতে আমাদের আরও বেশি সিরিয়াস হতে হবে।

ধরেন একটা খেলোয়াড় পাঁচটা সিদ্ধান্ত পক্ষে পেয়ে ৫০০ রান করল, আর একজন খেলোয়াড় কোনো সিদ্ধান্ত পক্ষে না পেয়ে ৭০ রান করল এক মৌসুমে। সেই ৫০০-এর চেয়ে ৭০ রান কিন্তু বেশি কার্যকরী। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে।

অনেকেই বলেন আম্পায়ারিং পেশা হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ ও বোর্ডের দেয়া বেতন-ভাতায় তাদের দিন যাপন কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এই বিষয়টির কোনো সমাধান ভেবেছেন?

আমি তো নিজে কোনো দিন আম্পায়ার ছিলাম না। আমি ক্রিকেটার ছিলাম। আমি কোনো দিন এই কমিটিও পাইনি। এখন নানা দেশের সঙ্গে আলাপ করব। ভারতের কাছে জিজ্ঞেস করব, তাদের সিস্টেম কেমন। তারা কি হাফ প্রফেশনাল না ফুল প্রফেশনাল? যদি ফুল প্রফেশনাল হলে ভালো কিছু পাওয়া যায় তখন আমাকে ফুল প্রফেশনাল হতে হবে। বোর্ডের কাছে প্রস্তাব রাখতে হবে।

এটা তো আমার সিদ্ধান্ত না। হয়তো মোট ১৫টা বিষয় আছে এ সংক্রান্ত। এর ৭-৮টা হয়তো আমি নিজে সমাধান করে দেব। আর্থিক বিষয়গুলো তো আমার হাতে নেই। আগে যে ৭-৮টা সমাধানের উপায় রয়েছে সেগুলো সমাধান করে দেখি। এরপর ধীরে ধীরে বাকিগুলোতে যাব।

আমরা যেটা শুনেছি যে ক্রিকেটাররা আম্পায়ার হিসেবে ভালো সিদ্ধান্ত দেন। তাই সাবেক ক্রিকেটার যারা আছেন, ক্রিকেট থেকে নতুন করে যারা অবসরে যাচ্ছেন, তাদের পাইপলাইনে আনতে হবে।




আপনার মালিকানায় থাকা দল ফেয়ার ফাইটার্সকে ২০১৭ সালে আম্পায়ারিং ইস্যুতে নিষিদ্ধ করা হয়। প্রায় সময় দেখা যায় আম্পায়ারিং ইস্যুতে দলগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে। ক্লাবের সঙ্গে কথা বলা বা পরামর্শ নেয়ার বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবছেন কি না?

আমাদের পুরো ক্রিকেটে আম্পায়াররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ। এরপর আছেন ক্লাব অফিশিয়ালরা। যারা এটার সাথে জড়িত, আমি সকলের সঙ্গে কথা বলব।

যেমন, আমার ফেয়ার ফাইটার্সের সমস্যা হয়েছে। যদি বেনিফিট অফ ডাউট আম্পায়ারদের দিই, যে তাদের ভুলেই হয়েছে এমনটা। সে ক্ষেত্রে ভুলগুলো যেন আর না হয় সে জন্য দ্রুত আম্পায়ারদের গ্রুপে ভাগ করে একটা কোর্স করালে ও পরীক্ষা নিলে তাদের মান বোঝা যাবে।

এটা প্রথম কথা। দ্বিতীয়ত, এখন সব টিভি ক্যামেরা চলে যাচ্ছে মাঠে। আমরা সেগুলো দেখে ১০ দিনের একটা রিভিউ করব যে কী রকম সিদ্ধান্ত দিচ্ছে। সেগুলো দেখলেই তো বুঝতে পারব। কেউ যদি একই বিষয়ে বারবার ভুল করে যেমন এলবিডব্লিউ, তখন তাকে ওইটাতে ট্রেনিং দেয়া লাগবে।

আবার ধরেন দুপুরে লাঞ্চের পর ঘুম ঘুম ভাব আসল, তখন তাদের ডায়েট চার্ট বদলে দেয়া হবে। ছোট ছোট জিনিসগুলো আগে খুঁজে বের করতে হবে। চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন:
২০২২ সালে ব্যস্ত সূচি সাকিব-তামিমদের
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১০০ পার বাংলাদেশের
মিরাজ-নৈপুণ্যে ৩২৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড
৬৭ বছর পর বিরল টেস্টে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড
প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তি ৫ উইকেট

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!
গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সী একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তুু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তুু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

খেলা
Bangladesh and China will move forward with their hands the chief adviser

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে, যা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এক ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৬তম বার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং জনগণের সেবার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অর্জিত উল্লেখযোগ্য সাফল্যের পাশাপাশি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি এর অনুপ্রেরণা ও অবদানের প্রশংসা করেন।

চীনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২৫ সাল কেবল গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও।

তিনি আট দশক আগে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় চীনের অপরিসীম ত্যাগের কথা স্মরণ করেন এবং শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শক্তিশালী রেকর্ডসহ একটি প্রধান শক্তিতে রূপান্তরিত হওয়ার কথা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, “চীনের কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্বে, চীনা জনগণ নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে। চীন সর্বদা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য একটি শক্তি হিসেবে থাকবে।”

রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের উপর জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছেন, যা বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার একটি নজির।

ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি বলেন, দুই দেশ শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন ও সমান সমান সহযোগিতার দ্বারা পরিচালিত সুসম্পর্কেও ভিত্তিতে সর্বদা "ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "চীন বাংলাদেশকে তার আধুনিকীকরণের যাত্রায় সহায়তা ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি চীন-বাংলাদেশ সম্প্রদায় গঠনে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত।"

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবাতে চীনের অবদানের প্রশংসা করেন এবং জোর দিয়ে বলেন যে, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশী জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা প্রদান করেছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুটি দেশ জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন গড়ে তুলেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, প্রধান রাজনৈতিক দলের জ্যেষ্ঠ নেতা, বিদেশী কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, চীনা সম্প্রদায়ের সদস্য, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞ সহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যায় ইউনান গোল্ডেন অ্যান্ড সিলভার বার্ড আর্ট ট্রুপ এবং কোয়ানঝো আর্ট ট্রুপের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, জাতিগত নৃত্য, অ্যাক্রোব্যাটিক্স এবং ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। দর্শকদের কাছে তা খুবই উপভোগ্য ছিল।

অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদ বিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।

অনুষ্ঠানস্থলে এন্টারপ্রাইজ বুথ, পর্যটন প্রচারণা এবং সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা কর্নারও ছিল, যা দর্শকদেরও ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল।

মন্তব্য

খেলা
PR system has no basis Mirza Fakhrul

পিআর পদ্ধতির কোনো ভিত্তি নেই: মির্জা ফখরুল

‘আলোচনা মধ্যে কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়’
পিআর পদ্ধতির কোনো ভিত্তি নেই: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পিআরের (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পক্ষে নয় বিএনপি। এটার কোনো ভিত্তি নেই। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে গতকাল বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে হবে এবং সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে। যেকোনো বিষয় আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হবে মনে করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আলোচনার মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার অর্থ হচ্ছে অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা। এটি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। রাজপথে নামলেই সমস্যার সমাধান হবে কি? আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি কোনো ইস্যুতেই আন্দোলনে যায়নি। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ সময় বিএনপি কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের আগামী অধিবেশনে যোগ দেব। কিন্তু এজেন্ডা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

খেলা
Export of 1 20 metric tons of hilsa in two days

দুই দিনে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি

দুই দিনে ৫৬.২৫ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি

অনুমোদিত ১,২০০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে সরবরাহ সীমিত থাকায় গত দুই দিনে মোট ৫৬.২৫ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে ৩৭.৪৬ মেট্রিক টন এবং বৃহস্পতিবার ১৮.৭৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পাঠানো হয়েছে।

বেনাপোল মৎস্য কোয়ারেন্টিন অফিসার সজীব সাহা, মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা নিশ্চিত করেছি যে রপ্তানির জন্য নির্বাচিত প্রতিটি ইলিশ স্বাস্থ্যসম্মত, রোগমুক্ত এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী যোগ্য। এই পরীক্ষা ও মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যে প্রতিটি চালান নিরাপদ ও উচ্চমানের। এছাড়া সরবরাহ সীমিত থাকায় দুই দিনের রপ্তানি অনুমোদিত পরিমাণের তুলনায় কম হলেও আমাদের মূল লক্ষ্য মানসম্পন্ন ইলিশ রপ্তানি বজায় রাখা।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত বছর ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩,৯৫০ টনের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সব মিলিয়ে ইলিশ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৮০২ টন। এর মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে একাই রপ্তানি হয়েছে ৫৩২.৩ মেট্রিক টন।

স্থানীয় ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিশের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, দুর্গাপূজা ও আসন্ন উৎসবের কারণে ইলিশের চাহিদা বেশি। আমরা চেষ্টা করছি বাজার চাহিদা অনুযায়ী ইলিশ সরবরাহ বজায় রাখতে। তবে মাছের সীমিত পরিমাণ রপ্তানিতে কিছুটা বাধা থাকলেও আমাদের কার্যক্রম সচল রয়েছে।

মন্তব্য

খেলা
The student who reads the teacher will see the book neutrally DC Sultana Akhter

শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক, তার খাতা নিরপেক্ষভাবে দেখবেন — ডিসি সুলতানা আক্তার

শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক, তার খাতা নিরপেক্ষভাবে দেখবেন — ডিসি সুলতানা আক্তার

"একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষকের কাছে পড়লে আপনি তাকে কম মার্কস দিবেন, আপনার কাছে পড়লে প্র্যাক্টিক্যালে ভালো মার্কস দিবেন, তার সাথে ভালো আচরণ করবেন এটাও কিন্তু এক ধরণের দুর্নীতি। দুর্নীতি কিন্তু শুধু টাকা খাওয়া না, শুধু অন্যায় করা না। শিক্ষার্থী যে শিক্ষকের কাছেই পড়ুক না কেন তার খাতাটি আপনি নিরপেক্ষভাবে দেখবেন। আপনারা কখনোই শিক্ষার্থীদের সাথে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করবেন না। দুর্নীতি করে কিন্তু কেউই বেশি দূর এগোতে পারে না। পরকালের কথা বাদ দিয়ে ইহকালেও কিন্তু দুর্নীতি করে কেউ সফল হতে পারেনি। কাজেই আপনার শিক্ষার্থীদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করুন।"

এসময় পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ভালো ফলাফল পেতে হলে তোমাদেরকে পরিশ্রম করতে হবে। পরীক্ষা ভয় পাওয়ার বিষয় নয়, এটি জীবনের একটি ধাপ মাত্র। নিয়মিত পড়াশোনা, সঠিক সময় ব্যবস্থাপনা ও আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তোমাদের পরিশ্রম, সততা ও অধ্যবসায় একদিন পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য গর্বের কারণ হবে।”
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আপনারা আপনাদের বাচ্চাদেরকে সময় দিন। অফিস থেকে এসে রিলাক্স মুডে মোবাইল দেখবেন না, ঘণ্টার পর ঘণ্টা আত্মীয়-স্বজনের সাথে কথা বলবেন না। আপনি সন্তানের সামনে মোবাইল ব্যবহার করলে ও কিন্তু ভালো কিছু শিখবে না।"

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজবাড়ীর পাংশায় এস.এস.সি-২০২৬ পরীক্ষার প্রস্তুতি, শিক্ষার মান উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তির কুফল সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক মন্ডলীর উপস্থিতিতে অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা আক্তার এসব কথা বলেন।

পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন পাংশা পৌরসভার পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কাজী আব্দুল মাজেদ একাডেমি ও এয়াকুব আলী চৌধুরী বিদ্যাপীঠের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. আবু দারদা'র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মো. বাহারাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ।
সঞ্চালনায় ছিলেন উদয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুল আলম (সোহরাব)। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন পাংশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সান্ত্বনা দাস।
শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের প্রস্তুতি, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ করা হয়। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক ৩টি বিদ্যালয়ের মাঝে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করেন।

মন্তব্য

খেলা
Following the foundation stone of construction

নান্দাইলে আধুনিক পৌর পার্ক নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

নান্দাইলে আধুনিক পৌর পার্ক নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আধুনিক পৌর পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নান্দাইল মডেল থানার সংলগ্ন এ পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার।

এ সময় পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তারকে ঘিরে শুরু হয় প্রশংসার ঢল। স্থানীয়রা মন্তব্য করছেন, তাঁর দূরদর্শী উদ্যোগ ও সাহসী পদক্ষেপের কারণেই অবশেষে নান্দাইলবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে ইউএনও সারমিনা সাত্তার বলেন, “এ পার্ক হবে নান্দাইলবাসীর জন্য একটি উন্মুক্ত বিনোদনকেন্দ্র। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ এখানে সময় কাটাতে পারবেন। একইসঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খেলাধুলা এবং সামাজিক আড্ডার একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে এটি ব্যবহৃত হবে।”

তিনি আরও জানান, পার্কে বসার স্থান, ফুলের বাগান, হাঁটার ট্র্যাকসহ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নান্দাইলে দীর্ঘদিন ধরে একটি মানসম্মত বিনোদনকেন্দ্রের অভাব ছিল। পরিবার নিয়ে বেড়ানো কিংবা শিশুদের খেলাধুলার জন্য উপযুক্ত জায়গার অভাবে অনেক সময় ভোগান্তি পোহাতে হতো। নতুন এ পৌর পার্ক সেই শূন্যতা পূরণ করবে বলেই মনে করছেন তারা।

ফেসবুকে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, নান্দাইলের সৌন্দর্যবর্ধনে ইউএনও সারমিনা সাত্তারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। কেউ কেউ লিখেছেন, “এ পার্ক শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠবে।”

উপস্থিত বক্তারাও একে নান্দাইলের জন্য যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা বলেন, এ পার্ক উদ্বোধনের পর থেকে পুরো এলাকা প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

উল্লেখ্য, নান্দাইল পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। কাজ শেষ হলে এটি শুধু বিনোদন কেন্দ্র নয়, বরং নান্দাইল পৌরসভার সৌন্দর্যবর্ধনেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

খেলা
Followed

বাগেরহাটে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালিত

বাগেরহাটে তৃতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালিত

চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে টানা তৃতীয় দিনের মতো জেলা ও ৯টি উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেন। কর্মসূচি চলাকলীন নির্বাচন অফিসের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

কর্মসূচি শেষে কমিটির কোকনভেনার এম এ সালাম জানান, (আজ) শুক্রবার ও (কাল) শনিবার কোনো কর্মসূচি না থাকলেও আগামী রোববার ও সোমবার দুই দিন আবারও ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। এবং সোমবারের কর্মসূচি চলাকালীন পরবর্তী আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করীম বলেন, আপনারা ইতোমধ্যেই দেখেছেন বাগেরহাটবাসী তাদের দাবি আদায়ে একত্র হয়েছে এবং রাজপথে নেমেছে। তবুও নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিকে আমলে নিচ্ছে না। কমিশন যদি আমাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে যেভাবে আন্দোলন করলে দাবি আদায় সম্ভব, বাগেরহাটবাসী সেভাবেই আন্দোলন চালাবে।

সর্বদলীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ মুহাম্মাদ ইউনুস জানিয়েছেন, গত ১৭ বছর আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি। যার কারণে মামলা-হামলাকে আমরা ভয় পাই না। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হবে ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

এদিকে চারটি আসন বহালের দাবিতে দায়ের করা রিটে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে, যেখানে নির্বাচন কমিশনকে ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে