× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Performing on stage after the bikini was challenging Mau
google_news print-icon

বিকিনিতে স্টেজে পারফর্ম করা ছিল চ্যালেঞ্জিং: বডিবিল্ডার মৌ

বিকিনিতে-স্টেজে-পারফর্ম-করা-ছিল-চ্যালেঞ্জিং-বডিবিল্ডার-মৌ
বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তার মৌ। ছবি: সংগৃহীত
মুম্বাইয়ের সফর শেষে অভিজ্ঞতা, নতুনত্ব, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাকসুদা আক্তার মৌ। দেশে ফেরার সময় নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেন মৌ।

ভারতের মুম্বাইয়ে আইএইচএফএফ অলিম্পিয়া অ্যামেচার বডিবিল্ডিংয়ে প্রথমবার অংশ নিয়ে পদক জেতেন বাংলাদেশের মাকসুদা আক্তার মৌ। দেশের বাইরে গিয়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা ৩০ বডিবিল্ডারদের মধ্যে পারফর্ম করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে জানান তিনি।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে নিজেকে মেলে ধরা কঠিন মনে হয়েছে তার। সব বাধা পেরিয়ে নজর কেড়েছেন। আসরের বিচারকদেরও প্রশংসা পেয়েছেন।

মুম্বাইয়ের সফর শেষে অভিজ্ঞতা, নতুনত্ব, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মাকসুদা আক্তার মৌ। দেশে ফেরার সময় নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেন মৌ। তার সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।

প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক ট্যুরে গেলেন? কেমন হলো মুম্বাই সফর?

একটা সলো ট্যুর ছিল। একাই আসছি। অনেক কিছু শিখলাম। অনেক দেশের বডিবিল্ডার এসেছিল। জ্ঞান হলো, অভিজ্ঞতা হলো। পরবর্তী প্রতিযোগিতায় এসব সাহায্য করবে।

আমাদের দেশে ওভাবে আসলে কোনো বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা হয় না বা এক্সপো হয় না। এটা আসলে একটা হেল্থ ও ফিটনেস এক্সপো বলতে পারেন। বিশ্বের আনাচ-কানাচে থেকে প্রতিযোগী আসছে। এখানে অনেক ধরনের ব্র্যান্ড ছিল যেগুলো আমাদের দেশে নাই। এটা আমার জন্য ভালো অভিজ্ঞতা ছিল।

মুম্বাইয়ের অ্যামেচার বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতা থেকে কীভাবে অনুপ্রাণিত হলেন?

এখানে যারা বিচারক ছিলেন, প্রতিযোগিতার শেষে তারা আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা এটাই বললেন যে, বাংলাদেশেও যে বডিবিল্ডার নারী আছে বা ওখানেও যে বডিবিল্ডিং হয়, তাতে ওরা অবাক হয়েছে। এমন ফিজিক্যাল কন্ডিশন নিয়ে আসছে কোন নারী।

আমি যাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করি তারা মূলত ৩৭-৩৮ বছর বয়সী বডিবিল্ডার। ওরা ১৬-১৭ বছর ধরে প্রতিযোগিতা করে। যেখানে আমি ২০১৯ সাল থেকে শুরু করি। নিজেকে প্রস্তুত করি। আমার পিঠে অনেক ইনজুরি ছিল। সেখান থেকে সেরে উঠে প্রস্তুতিতে নামি।

বিকিনিতে স্টেজে পারফর্ম করা ছিল চ্যালেঞ্জিং: বডিবিল্ডার মৌ
মাকসুদা আক্তার মৌয়ের পদক ও পোজ। ছবি: সংগৃহীত

মুম্বাইয়ে বডিবিল্ডিং নিয়ে নতুন কী শিখলেন?

এখানে প্রশংসা বেশি পেয়েছি। আমার কিছু দুর্বলতা ছিল, যা বের করার চেষ্টা করেছি। যারা প্রথম বা দ্বিতীয় হয়েছে ওদের অবস্থা কী বা আমার উন্নতি করতে হবে কোথায়, সেগুলো বের করার চেষ্টা করছি। ওরা অনেক বছর ধরে করছে তাই তাদের পেশি বেশি পরিপক্ব। বিচারকরা বললেন, আমার কন্ডিশনিংটা ভালো। আমি যেহেতু কম দিনে প্রস্তুত করেছি নিজেকে, তাই পেশিগুলো কম পরিপক্ব হয়েছে। আমি যদি আরও কয়েক বছর ধরে চালিয়ে যাই, তাহলে আরও ভালো করব।

ওনারা যেভাবে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন যে যদি আরও দু-তিন বছর লেগে থাকি তাহলে বড় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারব। ওই অনুপ্রেরণা আসলেই ভালো ছিল।

দেশের বাইরে গিয়ে বড় কোনো টুর্নামেন্টে নেমে প্রথমবারই পদক পাবেন বলে আশা করেছিলেন?

না। সত্যিকার অর্থে ২০২০ সালে যখন বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় নামি, তখনই বলছি পরের বছরে আমি প্রতিযোগিতা করব। আমার লক্ষ্য ছিল এখানে আসা। পুরো বছর প্রস্তুতি নিয়েছি। চোটের পর বিশ্রামেও ছিলাম অনেক দিন। ফিজিও নিয়ে ঠিক হয়েছি।

বাংলাদেশে আপনি জানেন যে, আমরা নারীরা হাফ স্লিভ বা প্যান্ট পরে প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আর এখানে বিকিনি পরে স্টেজে উঠতে হয়েছে। পারফর্ম করতে হয়েছে। বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং ছিল। ওখানে ছোট ছোট ভুলগুলো অনেক বড় করে দেখা হয়।

আমার কোচ ছিলেন বাংলাদেশ থেকে। আমি গর্ব বোধ করি যে বাংলাদেশে এই কন্ডিশনিংয়ের ওপরে কোচ আছেন।

২০১৯ সালের আগে সেভাবে বডিবিল্ডিংয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কী কাজ করেছে মূলত এই খেলায় আসার ব্যাপারে?

বডিবিল্ডিংয়ের প্রক্রিয়া একেবারে আলাদা। ডায়েটিং থেকে শুরু করে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ ও মেনে চলতে হয়। ২০১৯ সালে যখন ‍শুরু করি তখন একটা টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় হই। তখন ভেবেছি যদি একটু ভালো কন্ডিশনিং নিয়ে আসি তাহলে আরও ভালো করব।

বিকিনিতে স্টেজে পারফর্ম করা ছিল চ্যালেঞ্জিং: বডিবিল্ডার মৌ
কঠোর পরিশ্রমে দুই বছরে যে শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন মৌ। ছবি: সংগৃহীত

পুরো বিষয়টা তো অনেক পরিশ্রমের। পরিবার-আত্মীয়স্বজন নিয়ে কীভাবে প্রস্তুতি নিলেন?

সবশেষ চার মাস আমার কোনো পারিবারিক জীবন ছিল না। একা ছিলাম প্রায় সময়। শুধু প্রস্তুতিতে মনোযোগ দিয়েছি। এটা কঠিন ছিল।

ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য জিম করা আর বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হওয়া দুটি ভিন্ন বিষয়। ফিটনেস থেকে এই খেলায় আসার মানসিক প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন?

ঢাকায় আমার যারা ট্রেইনার ছিলেন তারা মূলত দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। ফিটনেস থেকে বডিবিল্ডিংয়ে প্রবেশ করাটা আমার জন্য সমস্যা ছিল না। সারা দিন আমাকে যদি কেউ ফোন দেয় তাহলে আমাকে জিমেই পাবে। আমি নিজেও যেহেতু ট্রেইনার, তাই সেভাবে মানিয়ে চলি। মানসিকতা ঠিক থাকলে কঠিন মনে হবে না।

এই খেলায় দেশের নারীদের জন্য আইডলে পরিণত হয়েছেন। দেশে বডিবিল্ডিংয়ে নারীদের খুব একটা উৎসাহিত করা হয় না। কীভাবে তাদের অনুপ্রাণিত করবেন?

প্রথমত বিষয়টা পরিবার থেকে আসে। আমার পরিবারের কেউ বলেনি তুমি জিমে যাও। আমাদের সমাজে গতানুগতিক চিন্তা করে মানুষ। একটা সন্তান হলে সর্বোচ্চ নাচ-গান করার অনুমতি পাওয়া যায়। তবে জিমের ক্ষেত্রে মেয়েদের ওভাবে বলে না। এখনও সমাজব্যবস্থায় ওভাবে চিন্তাটা আসেনি।

কারও যদি ইচ্ছা থাকে আমি বলব পেশাদারভাবে নেয়ার বিষয়টি। দুদিন আসলাম খেললাম! এমনভাবে হয় না। তাকে আসতে হলে চিন্তা করতে হবে যে সে পারবে কী না। মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। চিন্তা করতে হবে আমি যেতে পারব কী না।

এই পেশাটা আসলেই প্রগতিশীল। ফিটনেস বা বডিবিল্ডিংয়ের এতো ক্রেজ! ভারতের দিকে তাকান। আমাদের দেশের মানুষ সাপ্লিমেন্ট পায় না। ওখানে এক্সপোতে ফ্রিতে দেয়া হয়। আমাদের দেশে সাপ্লিমেন্টের দাম ৮-১০ হাজার টাকা। ওখানে ফ্রি! ফ্রিতে প্রোটিন দিচ্ছে। এখান থেকে বোঝা যায় যে তাদের ক্রেজ কত বেশি। এগুলো আসলে আমার ক্ষেত্রে বেশি কাজ করেছে যে বাইরের দেশ যদি পারে তাহলে আমি নই কেন?

ভবিষ্যতে দেশের নারীদের নিয়ে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেয়ার পরিকল্পনা আছে?

চিন্তা আছে। আমি যখন চট্টগ্রামে শুরু করি আমি অনেক নারীকে নিয়ে কাজ করতাম। কাপ্তাই থেকে শুরু করে অনেক ছোট ছোট জিমে গিয়েছি। ওখানে নারীরা আসতেন। বোরকা পরেও অনেকে আসতেন। তাদের সম্ভাবনা থাকলেও কেউ মানসিকভাবে শক্ত ছিল না। বাসায় কী বলবে, সমাজ কী বলবে এসব চিন্তা করে অনেকে আসে না। এখানে কাজ করতে হবে। এখন অনেকেই কাজ করছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কেমন পার্থক্য দেখলেন?

আপনি দেখবেন ফিটনেস আর ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি আলাদা। আমাদের দেশে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি আছে কিন্তু ফিটনেস ইন্ডাস্ট্রি নাই। কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী আছে যাদের সিক্স প্যাক আছে? আরিফিন শুভ আসে আমাদের জিমে। এছাড়া আসলে কেউই আসে না। আমি বলব না এটা ওদের দোষ। মূলত ওভাবে গাইডলাইনটা পায় না।

পরবর্তী লক্ষ্য কী?

এরপরে আমি ফ্রান্সে যাচ্ছি। বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপের প্রাক-বাছাইয়ে অংশ নেব। ১৫ ডিসেম্বর রওনা দেব। আমার অভিজ্ঞতাও হবে। জানি না ফল কী হবে। কিন্তু আমি চালিয়ে যাব। দেশে ৮ তারিখ এসে ভিসার কাজটা শুরু করব। তারপর নিজেকে প্রস্তুত করব। যেহেতু এখন কন্ডিশনিং আছে শরীরের। তাই খুব একটা সমস্যা হবে না। আরও কন্ডিশনিং হবে। দোয়া করবেন।

নিউজবাংলাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

নিউজবাংলাকেও ধন্যবাদ

আরও পড়ুন:
বিদেশে প্রথম চেষ্টাতেই সফল বাংলাদেশের মৌ
রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বডিবিল্ডার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Threatened the wife to protest the husbands immoral act

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হুমকি

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হুমকি

স্বামীর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে প্রান নাশের হুমকি দেয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের একটি চাইনিজ হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সন্মলনে নীলফামারী প্রাথমিক জেলা অফিসের অফিস সহায়ক সুমি আকতার কল্পনা বলেন, আমার স্বামী হাবিবুল্লাহ পায়েল আমাকে নাকি তালাক দিয়েছে, এখনো তালাকনামা হাতে পাইনি। হাবিবুল্লাহ পায়েল নীলফামারী প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরী পদে চাকরি করতেন। চাকরি করার সুবাদে তিনি বিভিন্ন ব‍্যক্তিকে চাকরির লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে টাকা নিতেন। ফলে চাকরি প্রত‍্যাশিরা চাকরি না তাকে খুঁজতে বাসায় আসলে আত্নগোপনে চলে যায় হাবিবুল্লাহ। ফলে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। বাসার খরচও দিতো না। তার অনৈতিকতা নিয়ে আমাদের সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে ওঠে। ফলে সে আমার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে। তার অপকর্মের কারণে চাকরিচ‍্যুতও হয়। এসব কারণে সে আমাকে দোষারুপ করে সন্ত্রাসী দিয়ে বাসায় হামলা করে বাসা ছাড়া করেছে। এ ব‍্যপারে পুলিশকে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার। বর্তমানে সে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমাকে চাকরি হারা করতে কর্মস্থলে যেতে বাধার সৃষ্টি করছে। আমি নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত আছি। আমাকে চাকরি হারা করতে সে আমার চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। সামজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর তাকে সহযোগিতা করছে আব্দুর নূর, আবু তালেব, মোঃ মামুন, মেজবাউল হক, মতিয়ার রহমান, শ‍্যামল কুমার, মানিক হোসেন ও মোঃ লিমন।

তিনি বলেন, আমি চাকরি হারা হলে আমার নাবালক বারো বছর বয়সি সন্তান, আমার বৃদ্ধ মা, আমার ছোট বোন ও মিলে চার সদস‍্যের পরিবার রাস্তায় নামা ছাড়া অন‍্যকোন পথ থাকবে না।

সংবাদ সন্মেলনে সুমি আকতার কল্পনার সাথে ছিলেন নাবালক ছেলে আহনাফ আবিদ শিহাব, মা আলেয়া খাতুন, ছোটবোন মৌ আকতারসহ সুহৃদজনরা।

মন্তব্য

খেলা
Distribution of sari among tea workers on the occasion of Shardi Durga Puja

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি চা বাগানে বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দের শতাধিক দরিদ্র্য চা শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শ্রীমঙ্গল মাইজদিহি চা বাগানে এই কাপড়গুলো বিতরণ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাদিরা আক্তার নীরা, ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোক্তার হোসেন, ট্যুারিস্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান, সাংবাদক আহাদ মিয়া, সালাহ উদ্দিন শুভসহ স্থানীয় বাগান পঞ্চায়েত সদস্য, চা বাগানের বাবু ও সাংবাদিকরা।

চা শ্রমিকরা জানান, বিসমিল্লাহ এন এম জুলফিকার ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে পূজার আগেই নতুন কাপড় পেলাম। তাদের জন্য প্রাণভরে আশীর্বাদ করছি। নতুন পোষাক হাতে পেয়ে আনন্দে বিমোহিত হয়ে পূজার আগেই আনন্দের হাসি নিয়ে ঘরে ফিরছে মাইজদিহি চা বাগানের শ্রমিকরা।

বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিক্ষানবিশ আইনজীবী নাদিরা আক্তার নীরা বলেন, আমরা ঢাকা সোনারগাঁও থেকে সম্প্রীতি মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ঘুড়তে আসি। শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি চা বাগানে ঘুরতে আসলে হঠাৎ খাবার পানির প্রয়োজন হয়। তখন চা শ্রমিকদের কাছ থেকে আমি পানি পান করি। তাদের সুখ দুঃখের বিষয় নিয়ে অনেক আলাপ হয়েছে। তখন সেই শ্রমিকদের আবদার ছিল পূজার আগে তাদের কিছু সহযোগিতা করতে। আমিও তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম। আজ সকালে শতাধিক চা শ্রমিকদের জন্য শাড়ি কিনে এনে তাদের হাতে শাড়িগুলো তুলে দিলাম।

তিনি আরও বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সবসময় সুবিধাবঞ্চিত। তাই শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগানের নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের জন্য আমরা বিসমিল্লাহ এনএম জুলফিকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কিছু শাড়ি নিয়ে আমরা উপস্থিত হয়েছি। যাতে শ্রমিকরা একটু হলেও আনন্দ পায়। সামর্থ অনুযায়ী আমরা এসেছি আশাকরি অন্য সামাজিক সংগঠনও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াবে।

মন্তব্য

খেলা
Shah Shuja Jame Mosque stands as witnesses of time

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

কুমিল্লার মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪০০ বছরের স্মৃতি 
কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে শাহ সুজা জামে মসজিদ

মোগল সাম্রাজ্যের প্রায় পৌনে ৪০০ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে কুমিল্লার শাহ সুজা জামে মসজিদ। মসজিদটির অবস্থান কুমিল্লা শহরের মোগলটুলি এলাকায়। ১৬৫৮ সালে এটি নির্মাণ করেন মোগল সম্রাট শাহজাহানের ছেলে বাংলার সুবেদার শাহ সুজা। বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠ ছয়টি মসজিদের একটি শাহ সুজা জামে মসজিদ।

আয়তনের দিক দিয়ে এ মসজিদ খুব বেশি বড় না হলেও এর কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সার্বিক অবয়ব আভিজাত্যের প্রতীক বহন করে। এর বাহ্যিক কারুকাজ প্রমাণ করে তৎসময়ে এর প্রতিষ্ঠাতাদের স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য। মোগল আমলের ঐতিহ্য আর আভিজাত্যের প্রতীক মোগলটুলী শাহ সুজা মসজিদ যেন ইতিহাসের এক জ্বলন্ত প্রদীপ।

জানা গেছে, বাংলার ইতিহাসে মোগল অধ্যায়ের একটি উজ্জ্বল নাম ছিলেন শাহ সুজা। তিনি মোগল সম্রাট শাহজাহানের দ্বিতীয় ছেলে। তিনি ১৬৩৯ সাল থেকে ১৬৬০ সাল পর্যন্ত বাংলার সুবেদার ছিলেন। ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মিত হয়। এ মসজিদটি কুমিল্লা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ হিসেবে খ্যাত। ইতিহাস-ঐতিহ্যে জেলার তথ্য বাতায়নে এই মসজিদের নাম ও ছবি স্থান করে নিয়েছে।

এ মসজিদের প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ কৈলাসচন্দ্র সিংহ তার রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস গ্রন্থে বলেন, ‘গোমতী নদীর তীরে কুমিল্লা নগরীতে সুজা মসজিদ নামক একটি ইষ্টক নির্মিত বৃহৎ মসজিদ অদ্যাপি দৃষ্ট হয়ে থাকে। এ মসজিদ সম্পর্কে দুই ধরনের মতবাদ রয়েছে। প্রথমত, সুজা ত্রিপুরা জয় করে বিজয় বৃত্তান্ত চিরস্মরণীয় করার জন্য এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয়ত, মহারাজ গোবিন্দ মানিক্য সুজার নাম চিরস্মরণীয় করার জন্য নিমচা তরবারি ও হিরকাঙ্গুরীয়ের বিনিময়ে বহু অর্থ ব্যয় করে এ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, মসজিদটির বাইরের আয়তাকার দৈর্ঘ্য ১৭ দশমিক ৬৮ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ৫৩ মিটার। প্রাচীরগুলো ১ দশমিক ৭৫ মিটার পুরু। মসজিদের চার কোণে চারটি অষ্টকোণাকার বুরুজ রয়েছে। এগুলো কার্নিশের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ।

মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলোর উভয় পাশে ও উপরে প্যানেল নকশা অলংকৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে তিনটি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়। এটি ফুল, লতাপাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত। দুইটি পার্শ্ব খিলান দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তর তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এ অংশের চার কোণে চারটি সরু মিনার কার্নিশের উপরে উঠেছে। অষ্টকোণাকার ড্রামের ওপর নির্মিত তিনটি গোলাকার গম্বুজ দ্বারা মসজিদের ছাদ ঢাকা। মধ্যেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। গম্বুজগুলোর শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত।

মসজিদের কার্নিশের নিচের অংশ মারলোন নকশায় অলংকৃত। বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭ দশমিক ৩২ মিটার প্রস্থের সমতল ছাদবিশিষ্ট বারান্দাটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুই পার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এ মসজিদের নামকরণ, প্রতিষ্ঠাতার নাম ও প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এ মসজিদ যে পাক-ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম সে বিষয়ে কারও সন্দেহ নেই। প্রাচীন এ মসজিদটি দেখতে মহানগরীর মোগলটুলী এলাকায় প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। বিশেষ করে জুমা, শবে বরাত, শবে কদরসহ বিশেষ দিনগুলোয় এখানে মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের বেশি ভিড় হয়।

স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি বলেন, মসজিদটি সংস্কারের নামে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নষ্ট করা হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে অনুরোধ তারা যেন মসজিদটির ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখে।

মসজিদের ইমাম মুফতি খিজির আহমদ বলেন, কালের সাক্ষী এ মসজিদে অসংখ্য দর্শনার্থী এবং মুসল্লি এসে নামাজ আদায় করতে চান, কিন্তু স্থান সংকুলানের কারণে আমরা আগত মুসল্লি এবং দর্শনার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে পারি না। মূল কাঠামো ঠিক রেখে মসজিদটির পরিধি বাড়ানো খুবই দরকার।

শাহ সুজা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি বলেন, এটি একটি প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি শুধু কুমিল্লা নয়, সারা দেশের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের পরিধি বাড়ানোর জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও সমাজ সেবক মাহবুবুল আলম চপল জানান, মসজিদটি অনেক বার সৌন্দর্য বর্ধনে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় উভয় দিকে সম্প্রসারণ করা হয় এবং সাথে মাদ্রাসা, পানির ঝর্ণা, অযুখানা নির্মাণ করা হয়। প্রধান ফটক কারুকার্য শোভিত করে তৈরি করা হয়। আমরা ছোট বেলা এই মসজিদেই বাবা সাথে নামাজ পড়তে যেতাম, তখন এখনকার মতো ঘনঘন মসজিদ ছিল না।

মন্তব্য

খেলা
Massage

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

অভিযোগ নিষ্পতিতে ফটিকছড়ি উএনওর কার্যালয়ে গণশুনানী

ফটিকছড়িতে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী কার্যক্রম। স্থানীয়দের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসা কিংবা সমস্যা নিষ্পতিতে দ্রুত সমাধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়টি এখন আশার প্রদীপ হয়ে উঠেছে।

সরকারি এমন উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সর্বমহলের কাছে প্রশংসিত হচ্ছেন উপজেলা নিরাবাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। বিশেষ করে গেল বছরের ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধির একটি বড় অংশ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় সৃষ্ট বিরোধের সমাধান চাইতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ভুক্তভোগিদের।

মুলত এর পর থেকেই নির্বাহী অফিসারের গণশুনানী বিচার প্রার্থীদের কাছে আস্থার জায়গায় পরিণত হতে থাকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জায়গা-জমি বিরোধ, চলাচলের পথ, কাবিনমার টাকা ও ব্যবসায়িক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মাসে অন্তত অর্ধশতাধিক আবেদন জমা হয় এখানে। প্রতি বুধবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১৫ থেকে ২০টি অভিযোগ গণশুনানীতে ওঠে। এর আগে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে এসব শুনানী অনুষ্টিত হয়। এতে বাদী-বিবাদী ছাড়াও উপস্থিত থাকেন উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা। বেশিরভাগ অভিযোগ প্রথম দফার বৈঠকে সমাধান হলেও কিছু অভিযোগ পরবর্তী শুনানীতে গিয়ে নিষ্পত্তি হয়।

গত বুধবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে একটি শুনানী চলছে। বারান্দায় আরো বেশ কয়েকটি পক্ষ অপেক্ষামান। এসময় লেলাং ইউনিয়ন থেকে আসা মোবারক হোসেন বলেন প্রতিবেশীর তালাকের একটি বিষয় নিয়ে এসেছিলাম। ইউএনও মহোদয় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেছেন। বিয়েটি যাতে ভেঙ্গে না যায়, সে জন্য আরো ভাবতে বলে শেষ করেছেন।

একই দিন পাইন্দং আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে একত্র হয়ে উপস্থিত হন পাঁচ বোন। তাদের সাথে কথা হলে জানান ভাই- বোনের সম্পত্তির ভাগ নিয়ে বিরোধ চলছে।বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে জানানোর পর তিনি উভয় পক্ষকে ডেকেছেন।

উপজেলা নির্বাহী আফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুনী বলেন, গণশুনানী করা কেবিনেট ডিভিশনের সীদ্ধান্ত। বিভিন্ন অভিযোগের সমাধান চায়তে মানুষ আমার অফিসে আসে। অভিযেগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে অফিসে ডেকে গণশুনানি করি

তিনি আরো বলেন সেসেঞ্জার-ওয়ার্টসাপে সাধারণ মানুষ নানাবিদ সমস্যার কথা আমাকে জানায়। এর মধ্যে যেগুলো তাৎক্ষণিক সমাধান যোগ্য সেগুলো সমাধান করে দিই। তবে যেসব অভিযোগ সময় নিয়ে করতে হবে, সেগুলো গণশুনানির মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি।

মন্তব্য

খেলা
Rohingya birth certificate is getting money

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

টাকায় মিলছে রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ!

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ২ নং নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১৫/ ২০ হাজার টাকা দিয়েই রোহিঙ্গারা জন্ম সনদ নিচ্ছে। তিনি জালিয়াতি মাধ্যমে অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধনে বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে বিপুল অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম নিবেদন সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিন। পরে গত ৩ জুন বিকাল তিনটায় দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসে ওই জন্মনিবন্ধন নিয়ে ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা যুবক নুরুল আমিনসহ স্থানীয় দুই দালাল আটক হয়।

পরে নির্বাচন অফিসের মা. ইউসুফ স্ক্যানিং এন্ড ইকুপমেন্ট মেইনটেনেন্স

অপারেটর এনআইডি বাদী হয়ে রোহিঙ্গা নাগরিকনুরুল আমিন, নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ, ভাবপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজগর হোসেন, জয়াগ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহিন উদ্দিনসহ ৭ জন দালালকে বিবাদী করে থানা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৫। এ মামলায় ইউপি সচিব হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আবারো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের নতুন জন্ম নিবন্ধন দিচ্ছে। আবার অন্য ইউনিয়ন ও উপজেলার বাসিন্দাদের এ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্মনিবন্ধন দিচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। ইউপি সচিব ইউসুফ পার্শ্ববর্তী বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মার্চ মাসের ২০১৮ সালে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের বদলি হয়ে আসেন। এখানে এসেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া এই ইউনিয়ন পরিষদে তিনি কোন কাজে করেন না। টাকা দিলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেন। গত ২ বছর পূর্বে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করতে সরকারি ফির চেয়েও ৩ গুণ বেশি নিয়েছেন।

এ নিয়ে তৎকালীন নদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ সোনাইমুড়ী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় অভিযোগ উপস্থাপন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন তাকে শোকজ করেন। এরপরও তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেননি। বর্তমানে তিনি রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে জন্ম নিবন্ধন দেয়া ও অন্য ইউনিয়নের বাসিন্দাদের জন্ম নিবন্ধন করে বিপুল অঙ্গের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সচিবের নেতৃত্বে এই ইউনিয়নে ঝক্কি-ঝামেল মুক্ত সনদ পাইয়ে দিতে সৃষ্টি হয়েছে শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট। ফলের সেবা গ্রহীতারা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন প্রতারিত।

অভিযোগ রয়েছে, সোনাইমুড়ীর চাষির হাট ইউনিয়নের পোরকরা গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র আবুল কালাম স্বাধীনতা যুদ্ধের পূর্বে সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। সেখানে তার নাগরিত্ব রয়েছে । কিন্তু সে ৩ মে ১৯৬২ ইং বয়স দিয়ে জন্মসূত্রে বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষির হাট ইউনিয়নের পরকরা গ্রামে হলেও নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে মোখলেছুর রহমানের জন্ম নিবন্ধন এই ইউনিয়নে রয়েছে। সে ২১ জুন ১৯৮৮ বয়স দিয়ে পার্শ্ববর্তী নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে আরেকটি জন্ম নিবন্ধন করেছেন। সোনাইমুড়ীর ছনগাঁও গ্রামের আক্কাছ মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম নদনা ইউনিয়ন পরিষদের দালাল চক্রকে টাকা দিয়ে একইভাবে ১ জানুয়ারি ১৯৫৯ বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবন্ধন করেছেন।

সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের ঘোষকামতা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র মামুন হোসেন তার ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন থাকলেও ১০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে বয়স বৃদ্ধি করে নদনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম নিবেদন করেছেন। উপজেলা সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও খোরশেদ আলমের পুত্র খলিলুর রহমান গত ৩১ আগস্ট ২০২৫ ইং তারিখে বয়স এক মেয়ে ২০০৩ সাল দেখিয়ে, একইভাবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে বজরা ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবুল কালামের পুত্র সালমান খান ১ জানুয়ারি ২০২৪ ইং বয়স বাড়িয়ে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে জন্ম সনদ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সোনাইমুড়ী বাজার, বজরা ইসলামগঞ্জ বাজার, কাশিপুর বাজার, নদনা বাজার, জয়াগ বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদারদের সাথে নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফের সাথে গোপন যোগাযোগ রয়েছে। ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে এসব জন্ম নিবন্ধন চলে যাচ্ছে রোহিঙ্গাসহ অপরাধীদের হাতে। তৈরি হচ্ছে পাসপোর্টও। বাংলাদেশি পরিচয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আর এ সুযোগে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াত চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অংকের টাকা।

সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার মুঠো ফোনে জানান, বিষয়টি তার জান ছিল না।তবে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

সোনাইমুড়ীর নদনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ইউসুফ জানান, জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ে তাকে টাকা দিলেই বয়স কমিয়ে ও বাড়িয়ে জন্ম নিবন্ধন করে দিয়ে থাকেন। এটা সত্য। তবে তার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একজন রোহিঙ্গা নাগরিক জন্ম সনদ করায় মামলা হয়েছে। তিনি ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন।

মন্তব্য

খেলা
The death of two brothers with disabilities drowned in the pond water in Raninagar

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

রাণীনগরে পুকুরের পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী দুই ভাইয়ের মৃত্যু

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ঘোষগ্রাম মন্ডলপাড়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে মানসিক প্রতিবন্ধী দুই সহোদরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই ভাই হলেন, মফিজ প্রামানিক (৬৫) ও হবিজ প্রামানিক (৪৫)। তারা উভয়েই একই গ্রামের মৃত হায়ের প্রামানিকের সন্তান।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মফিজ ও হবিজ দীর্ঘদিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে জীবনযাপন করছিলেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও তারা দুপুরের আগে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন। হঠাৎ করে কোনো এক সময় অসাবধানতাবশত বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা একটি পুকুরে পড়ে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যান তারা।

দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন লোক পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে দ্রুত বাড়িতে খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ও আশপাশের মানুষ ছুটে এসে মফিজ প্রামানিকের মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হবিজ প্রামানিককেও নিথর অবস্থায় পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে পুরো গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। হৃদয়বিদারক এই ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

নিহতদের ছোট ভাই বেলাল প্রামানিক জানান, ‘আমার দুই ভাই-ই জন্ম থেকেই মানসিক প্রতিবন্ধী। তারা একে অপরের ছায়াসঙ্গী ছিল। কখন যে পুকুরে পড়ে গেল বুঝতেই পারিনি। স্থানীয়দের কাছ থেকেই খবর পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি—সব শেষ।’

রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল হাফিজ মো. রায়হান জানান, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পাঠানো হয়। ঘটনাটি একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এই করুণ ঘটনায় গ্রামের মানুষ একসাথে শোক প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশীরা জানান, দুই ভাইয়ের মৃত্যু শুধু তাদের পরিবারের নয়, পুরো গ্রামেরই অপূরণীয় ক্ষতি।

মন্তব্য

খেলা
3 days of milk with the cow

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সঙ্গে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিনের বাছুর!

গাভীর সাথে দুধ দিচ্ছে ১৭ দিন বয়সি একটি বাছুরও। এমন আজব ঘটনায় ঐ খামারির বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কেউ দাড়িয়ে দেখছেন দুধদোহন আবার কেউ তুলছেন ছবি। খামারির বাড়িতে এখন উৎসুক জনতার ভিড় লেগেই আছে।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচরকরণশী গ্রামে হারুনুর রশিদের খামারে ঘটেছে এমন ঘটনা। খামারিসহ স্থানীয়রা বলছেন, এটি মহান আল্লাহর খুদরত। তবে বিষয়টিকে ব্যতিক্রমী ঘটনা বলছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও।
খামারি হারুনুর রশিদ বলেন, দুই বছর পূর্বে ৭৫ হাজার টাকায় একটি বকনা বাছুর কিনেছিলেন তিনি। সেটি এবার প্রথমবার একটি বাছুর জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বাছুরটির জন্মের পর থেকে দেখেন সেটির ওলান অন্যান্য বাছুরের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বয়সের তুলনায় অনেকটা বড়। পরে ওলানে হাত দিয়ে দেখেন দুধও আসে। ঘটনাটি তিনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদেরকে জানালে তারাও এসে দেখে গেছেন। হারুনুর রশীদ আরও বলেন, এই বাছুরের দুধ দেখতে এবং স্বাদেও গাভীর মতোই। বিষয়টিকে আল্লাহর নিয়ামত বলেও মনে করেন তিনি। হারুন বলেন, এই বাছুরের দুধ আমি নিজেও খেয়েছি, আমার সন্তানদেরও খাইয়েছি।
হারুনুর রশীদের বাবা আব্দুল কাদির বাচ্চু বলেন, তার ৭০ বছর বয়সে এমন ঘটনা শুনেনওনি, দেখেনওনি। এমনকি তাদের পূর্বপুরুষদের মুখেও এমন ঘটনার কথা শুনেননি।
একই এলাকায় বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীতে চাকুরির সুবাদে দেশে-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরেছেন। কিন্তু কোথাও এমন ঘটনা তার চোখে পড়েনি। তিনি বলেন, বাছুরটি জন্মের পর থেকেই দুধ দিচ্ছে শুনে হারুনের খামারে এসেছেন। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও এখন তিনি নিজ চোখে দেখেছেন। মিজানুর বলেন, নিজের চোখে না দেখলে এটি কেউই বিশ্বাস করবে না।
করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এম. এম. এ আউয়াল তালুকদার জানান, তার দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। প্রলেকটিন হরমোন নির্গত হওয়ার কারণে এমনটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি। এই কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। তিনিও এই বিষয়টিকে আল্লাহ পাকের কুদরত বলে মনে করেন। এই কর্মকর্তা বলেন, এই বাছুরের দুধ পান করলে কোন সমস্যা হবে না। গাভীর দুধ দেখতে ও স্বাদ যেমন, বাছুরের দুধও তেমনি হবে।

মন্তব্য

p
উপরে