সিরিজের শেষ টেস্টের শুরুর ঘণ্টা রাঙাতে না পারলেও সেশনের শেষটা স্বস্তির হয়েছে বাংলাদেশের। পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে মুমিনুল বাহিনী।
মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই উইকেটের বিনিময়ে ৭৮ রান। ৬ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন আজহার আলি। তার সঙ্গী বাবর আজম খেলছেন ৮ রানে।
দুটি উইকেটই গিয়েছে তাইজুলের ঝুলিতে।
দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকে পাকিস্তান। শুরুতে বাংলাদেশি বোলাররা দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আবদুল্লাহ শফিকের কাছে পাত্তা না পেলেও দ্বিতীয় ঘণ্টায় বদলে যায় দৃশ্যপট।
ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারে তাইজুলের শিকার বনে ২৫ রানে সাজঘরের পথ ধরতে হয় আবদুল্লাহ শফিককে। সাজঘরে ফেরার আগে আবিদ আলির সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি।
পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাতটিও হানেন তাইজুল। তাইজুলের স্পিন সামাল দিতে না পেরে ৩৯ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ওপেনার।
সকালে টস জিতে মিরপুরের ফ্ল্যাট উইকেটে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে মাহমুদুল হাসান জয়ের। টাইগারদের ৯৯তম টেস্ট খেলোয়াড় হিসেবে ক্যাপ পেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান প্রথম টেস্টের একাদশে কোনো বদল আনেনি।
আরও পড়ুন:Pakistan lost their openers in the morning session of day one, going to lunch at 78/2.#WTC23 | #BANvPAK | https://t.co/sUmFzGbNZ5 pic.twitter.com/V77gM3eBQR
— ICC (@ICC) December 4, 2021
গত ফ্রেব্রুয়ারিতে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশ টাইগার্সের’ প্রথম ক্যাম্প। সেই সফল ক্যাম্পের পর আবার টাইগার্স ক্যাম্পের জন্য ২৯ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৭ মে থেকে শুরু হবে বিশেষ এই ক্যাম্প।
এবারের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাব্বির রহমান। একই সঙ্গে রাখা হয়েছে ওপেনার সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম ও পেইসার আবু জায়েদ রাহীকে।
ঢাকায় ক্যাম্প শুরুর দিন থেকে ৫ জুন পর্যন্ত হবে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। এরপর এক সপ্তাহের বিরতি দিয়ে ১২ জুন থেকে শুরু হবে স্কিল টেস্ট।
ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে বাদ পড়া বা নতুন ক্রিকেটারদের জন্যই মূলত এই বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করেছে বিসিবি। প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও উঠতি ক্রিকেটারদের সম্ভাবনার জায়গা তৈরি করতেই বিশেষ এই ক্যাম্পের আয়োজন।
ক্যাম্পে যারা আছেন ডাক পেয়েছেন:
সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান, জাকির হাসান, ফজলে রাব্বি, মোহাম্মদ মিঠুন, আশিক উল আলম, নাহিদুল হক, সানজামুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, আলামিন হোসেন, আবু হায়দার রনি, মেহেদী হাসান রানা, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাঈম ইসলাম, রনি তালুকদার, পিনাক ঘোষ, জাকির আলী অনিক, সাজ্জাদুল রিপন, শাহীন আলম, জাকিরুল আহমেদ, আবদুল হালিম, মাইশুকুর রিয়াল, হাসান মাহমুদ, রাকিব আহমেদ, সৈকত আলী, নাজমুল ইসলাম অপু।
আরও পড়ুন:সাকিব আল হাসান এমন একজন ক্রিকেটার দলে যার উপস্থিতি টনিকের মতো কাজ করে বাকিদের জন্য। তিনি দলে থাকা মানে একজন অতিরিক্ত বোলার ও ব্যাটারের সার্ভিস পাওয়া। নিজের পারফরম্যান্স ও রেকর্ড দিয়ে বিশ্বসেরা তো বটেই সর্বকালের সেরাদের সঙ্গেও টেক্কা দিচ্ছেন টাইগার অলরাউন্ডার।
চলতি শ্রীলঙ্কা টেস্টে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও বল হাতে ঘাটতি পূরণ করে দিচ্ছেন সাকিব। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের ৫ উইকেটের ৩টিই গেছে সাকিবের ঝুলিতে।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন সাকিব দুর্দান্ত এক আর্ম বলে করুনারত্নকে বোল্ড করেন। সেই ডেলিভারিটির সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে শেন ওয়ার্নের করা একটি বলের। ২০০৫ সালের অ্যাশেজে ইংলিশ তারকা ব্যাটার অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে ঠিক এমনই এক ডেলিভারিতে মাঠছাড়া করেছিলেন ওয়ার্ন।
সাকিবের পাফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে জাতীয় দলের পেইস বোলিং কোচ অ্যালান ডনাল্ডকে। এতোটাই যে সাকিবকে তিনি বসিয়ে দিয়েছেন স্পিন কিংবদন্তী শেন ওয়ার্নের পাশে।
সাকিবের প্রশংসা করে সংবাদসম্মেলনে ডনাল্ড বলেন, ‘সাকিবের মতো ছেলেকে কী শেখাব? শেন ওয়ার্নের মতো তার অনেক অভিজ্ঞতা। পুরো বিশ্বে ঘুরে বেড়ায়। আমি জানি ওর আর হেরাথের খুবই গাঢ় সম্পর্ক। যখনই তাদের দরকার হয় কথা বলে।’
চতুর্থ দিন শেরে বাংলার উইকেট থেকে স্পিনারদের কিছুটা বেশি সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটি কাজে লাগিয়ে ৫ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরতে সক্ষম হবেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার, এমনটাই আশা করছেন প্রোটিয়া এই কোচ।
ডনাল্ড বলেন, ‘এবি ডি ভিলিয়ার্স আমাকে বলেছিল যে সাকিবের বিপক্ষে খেল কঠিন। সে একজন স্মার্ট বোলার। সে খুবই সূক্ষ্মভাবে তার গতি বদলায়। কাল যদি সে ৫ উইকেট নিতে পারে তাহলে অসাধারণ হবে। তাকে দলে পাওয়া দুর্দান্ত বিষয়। তার অভিজ্ঞতা বা নেতৃত্ব দলের জন্য অমূল্য।’
আরও পড়ুন:বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় দিন শেষে ২৮২ রানের পুঁজি পেয়েছে সফরকারী দল। হাতে রয়েছে ৫ উইকেট।
টেস্টে এখনও বাকি দুই দিন। দুই দিন আগেই জয়ের স্বপ্ন বোনা শুরু করেছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরু থেকে যদি উইকেট স্পিন বান্ধব আচরণ করে তবে ফল নিজেদের দিকে আসবে বলে মনে করছেন শ্রীলঙ্কার সহকারী কোচ নাভিদ নেওয়াজ।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনের একটি সেশন ধুয়ে গেছে বৃষ্টিতে। যে কারণে লঙ্কানদের লিডের সম্ভাবনা জাগলেও সেটিও ধুয়ে দেয় বৃষ্টি। দেড় দিন ব্যাটিং করেও বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রান টপকাতে পারেনি লঙ্কানরা।
চতুর্থ দিন অল আউট হওয়ার আগে লিড নিয়ে মাঠ ছাড়ার বিষয়ে আশাবাদী লঙ্কান এই কোচ। এরপর স্পিন বিষে নীল করে বাংলাদেশকে অল্পতে গুটিয়ে দিতে চায় তারা।
বুধবার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদসম্মেলনে নাভিদ বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা একটি সেশন মিস করেছি বৃষ্টির জন্য। আগামীকাল খুব কঠিন একটি দিন হতে যাচ্ছে। যদি উইকেটে আরও কিছুটা স্পিন ধরে চতুর্থ দিনের শেষে ও পঞ্চম দিনে, তাহলে আমি আশাবাদী আমাদের জয়ের বিষয়ে।’
বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনটা নিজেদের হাতে রেখে শেষ করল বাংলাদেশ। এবাদতের উইকেটে দিন শুরুর পর শেষ করেছেন সাকিব আল হাসান। দিন শেষে পাঁচ উইকেটের খরচায় শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ২৮২ রান।
এখনও প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ৮৩ রানে পিছিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দিন শেষে ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তাকে ১০ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন দিনেশ চান্ডিমাল।
বুধবার ২২২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করা লঙ্কানরা দিনের শুরুতে হারায় কাসুন রাজিথাকে। দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে বোল্ড করেন এবাদত হোসেন।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার।
বেলা ১২টায় মিরপুরের বৃষ্টির বাধায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সেই সময় ঘোষণা করা হয় মধ্যাহ্ন বিরতিও। ৪০ মিনিট বিরতির জন্য নির্ধারিত থাকলেও বৃষ্টি না থামায় মাঠে নামা হয়নি ক্রিকেটারদের। বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় পুরো দ্বিতীয় সেশনের খেলাও।
বৃষ্টি থামার পর ২টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয় মাঠের কভার সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া। মোট ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৪টায় শুরু হয় তৃতীয় সেশন।
খেলা শুরুর পর দৃঢ় হাতে উইকেট আগলে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ১০০ রানের জুটি গড়ার পথে দুই জন তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতক।
দলীয় ২৬৬ রানে সাকিবের বলে ডি সিলভা ধরা দেন উইকেটের পেছনে। উইকেটের পেছনে থাকা লিটন দাস ও মাহমুদুল জয়ের আপিলে আম্পায়ার সায় না দিলে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুমিনুল হক।
সেই রিভিউ থেকে ডি সিলভাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান। দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন ম্যাথিউস ও দিনেশ চান্ডিমাল মিলে।
আরও পড়ুন:আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটিং তালিকায় উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের। শ্রীলংকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
তামিম ১৩৩ ও মুশফিক ১০৫ রান করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ৫ হাজার রানও পূর্ণ করেন মুশফিক। ঐ ইনিংসে ৮৮ রান করেন লিটন। ফলে আইসিসি তালিকায় উন্নতি হয়েছে এ তিন ব্যাটারের।
বুধবার প্রকাশিত আইসিসির টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ থেকে ২৭ তম অবস্থানে উঠে এসেছেন তামিম। তিন ধাপ উঠে এসেছেন লিটন দাস। ৬৬২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের ১৭ নম্বরে অবস্থান করছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৪ ধাপ এগিয়ে ২৫ নম্বরে অবস্থান করছেন মুশফিকুর রহিম।
চট্টগ্রাম টেস্টে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন নাঈম হাসান। একই সঙ্গে বল হাতে আলো ছড়ান সাকিবও।
দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিক। শতক হাঁকিয়েছেন লিটন দাসও। দলকে খাদের কিনারা থেকে এই দুই ব্যাটার টেনে নিয়ে গেছেন নিরাপত্তার দিকে।
সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে তামিম, লিটন, মুশফিক, সাকিব ও নাঈমের।
হালনাগাদ হওয়া বোলারদের নতুন র্যাঙ্কিংয়ে একধাপ এগিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ৫৭০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তার অবস্থান ২৯ নম্বরে। আর র্যাঙ্কিংয়ে ৯ ধাপ উন্নতি করে ৫৩তে অবস্থান করছেন নাঈম।
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টি বাধায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা। বৃষ্টিতে ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে মাঠে নেমেছে দুই দল। বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটের খরচায় ২১০ রান।
দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারে কাসুন রাজিথাকে ফিরিয়ে শুভসূচনা করেন এবাদত হোসেন। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে বোল্ড করে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার।
এরপর বেলা ১২টায় বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। সেই সময় ঘোষণা করা হয় মধ্যাহ্ন বিরতিও। ৪০ মিনিট বিরতির জন্য নির্ধারিত থাকলেও বৃষ্টি না থামায় মাঠে নামা হয়নি ক্রিকেটারদের। একইসঙ্গে বৃষ্টিতে ধুয়ে যায় পুরো দ্বিতীয় সেশনের খেলা।
বৃষ্টি থামার পর ২টা ৩৮ মিনিট থেকে শুরু হয় মাঠের কভার সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া। প্রায় ৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটে শুরু হয় তৃতীয় সেশনের খেলা।
আরও পড়ুন:ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন আঘাত হেনেছে বৃষ্টি। বেলা ১২টায় বৃষ্টি হানা দেয়ায় বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা। আম্পায়াররা মধ্যাহ্ন বিরতির ঘোষণা করে দেন। এরপর বৃষ্টি না কমায় দ্বিতীয় সেশনেও আর খেলা হয়নি।
বুধবার প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটের খরচায় ২১০ রান। এখনও বাংলাদেশের চেয়ে ১৫৫ রানে পিছিয়ে আছে লঙ্কানরা।
দিনের প্রথম ওভারে কাসুন রাজিথাকে ফেরান এবাদত। ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে বোল্ড করে পতন ঘটান লঙ্কানদের তৃতীয় উইকেটের।
এরপর উইকেটের একপ্রান্ত আগলে সেঞ্চুরির দিকে ব্যাট চালাতে শুরু করা দিমুথ করুনারত্নেকে ফেরান সাকিব। দুর্দান্ত এক আর্ম বলে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প হারান লঙ্কান দলপতি।
মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৮০ রান। এর মধ্য দিয়ে ১৬৪ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটল শ্রীলঙ্কার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানদের সংগ্রহ ১৪৩ রান। বাংলাদেশ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য