মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্লিন সুইপ হয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর চট্টগ্রামে ফরম্যাট বদলে জয়ের ধারায় ফিরতে চেয়েছিল টাইগাররা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে হারলেও শুরুতে লড়াই জমিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সাগরিকার ফ্ল্যাট উইকেটে ব্যাটিং ইউনিট ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে বোলিং ইউনিট।
স্বাগতিকদের পেইসাররা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি সেই উইকেটে। তবে নিজ আলোয় উজ্জ্বল ছিলেন তাইজুল-মিরাজরা।
রাত পোহালে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে শেরে বাংলায় মুখোমুখি হবে দুই দল। আর এ ম্যাচেও সাগরিকার মতো উইকেট আশা করছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।
শুক্রবার ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি।
মুমিনুল বলেন, ‘এটা সবাই জানে, উপমহাদেশের ব্যাটসম্যানরা স্পিন ভালো খেলে। তাই এখানকার দলগুলোর বিপক্ষে স্পিন উইকেটে না খেলা ভালো। কেবল আমি নই, বিশ্বের সব দলই তাই করবে। তাই আমার মনে হয় ফ্ল্যাট উইকেটে খেলাটা ভালো হবে।’
শেরে বাংলার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে উইকেটে বোলারদের প্রাধান্য থাকে। তবে টেস্টে সেই সুবিধা বোলাররা পাবেননা বলে মনে করছেন মুমিনুল। তার মতে, নতুন বলের ব্যবহারের ভিন্নতার কারণে আসন্ন টেস্টে ব্যাটাররা বেশি সুবিধা পাবেন।
মুমিনুল বলেন, ‘সাদা বলে কিন্তু মিরপুরের উইকেট আলাদা। দুই পাশ থেকে নতুন বল থাকে তখন হয়তো ভিন্ন কিছু সামলাতে হয় ব্যাটসম্যানদের। লাল বল একটা দিয়ে হয়। তাই লাল বলে সাদা বলের চেয়ে ভালো উইকেট হবে।’
ইতোমধ্যেই সিরিজের প্রথম টেস্ট হেরে ১-০ তে পিছিয়ে রয়েছে মুমিনুল বাহিনী। হার দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করলেও দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের ধারায় ফিরতে মরিয়া টাইগাররা।
আরও পড়ুন:ব্যাটারদের কল্যাণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টেস্টের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইংল্যান্ড। লিডস টেস্টের পঞ্চম দিন তাদের দরকার আরও ১১৩ রান। চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৮৩ রান।
তৃতীয় দিন ৫ উইকেটে ১৬৮ রান নিয়ে খেলতে নেমে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দলকে সামাল দেন টম ব্লান্ডেল ও ড্যারিল মিচেল।
দুইজনের ব্যাট থেকে আসে ফিফটি। মিচেল ৫৬ ও ব্লান্ডেল ৮৮ রান করে আউট হন। এ দুই জনের বিদায়ের পর আর কেউই ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেননি। ফলে, ২৯৫ রানের লিড নিয়ে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে জ্যাক লিচ ৬৬ রানে ৫টি ও ম্যাথিউ পটস ৬৬ রানে ৩টি উইকেট নেন।
২৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস ও জ্যাক ক্রলিকে দ্রুত হারায় ইংল্যান্ড। লিস ৯ রানে রানআউট হন। আর ক্রলিকে ২৫ রানে আউট করেন মাইকেল ব্রেসওয়েল।
এরপরই ক্রিজে জুটি গড়েন ওলি পোপ ও জো রুট। তৃতীয় উইকেটে ১৩২ রান যোগ করে দিনশেষে অবিচ্ছিন্ন থাকেন দুই জন।
শেষ দিন ৮১ রান নিয়ে খেলা শুরু করবেন পোপ। আর রুট খেলবেন ৫৫ রান নিয়ে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের হয়ে মাত্র ৯ টেস্টের ক্যারিয়ার খালেদ আহমেদের। এর মধ্যে সোমবার ভোরেই পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। তার নৈপুণ্যে উইন্ডিজকে ৪০৮ রানে আটকে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ।
৩১.৩ ওভার বল করে ১০৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই পেইসার। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি।
এমন সাফল্যের পরও দলীয় সাফল্য না আসায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন খালেদ। তার পারফরম্যান্সের চেয়ে দলীয় পারফরম্যান্সের দিকে মনোযোগ বেশি তার।
দিনের খেলা শেষে বিসিবির পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় খালেদ বলেন, ‘সব খেলোয়াড়ের ইচ্ছা থাকে যে তার মাইলফলকে যেন দলের লাভ হয়। টেস্টে আসলে আমাদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। সামনে দেখবেন এমন সময় আসবে যখন অনেক কিছু ভালোভাবে হবে। সবাই জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে কীভাবে আরও মেলে ধরা যায় নিজেকে।’
দেশের চেয়ে বাইরে সফল বেশি খালেদ। ২৯ বছর বয়সী এ পেইসার দেশে ৪ টেস্ট খেলে পেয়েছেন ১ উইকেট। আর দেশের বাইরে ৫ টেস্টে তার শিকার ১৮ উইকেট। দেশ ও দেশের বাইরে সমান ধারাবাহিক হতে চান খালেদ।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর ৫ উইকেট পেলাম। খুব ভালো লাগছে। আগে একবার সুযোগ পেয়েছিলাম। সেটা মিস করেছি। এবার তাই ৫ উইকেটের চেষ্টা ছিল। এই ধারা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
খালেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও সেইন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে হারের মুখে রয়েছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে সফরকারী দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩২। এখন উইন্ডিজের সংগ্রহের চেয়ে ৪২ রানে পিছিয়ে টাইগাররা।
আরও পড়ুন:টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় টেস্ট ক্রিকেটে ১০০তম হারের শঙ্কা নিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১৭৪ রানের লিডের জবাবে ৬ উইকেট ১৩২ রান তুলে দিন শেষ করে সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয়দের থেকে এখনও ৪২ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। দিন শেষে ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। রানের খাতা না খুলে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ক্যারিবীয়দের লিড অল্পতেই আটকে দিয়ে নিজেদের শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে দলীয় ও নিজের ৪ রানেই কিমার রোচের বলে উইকেটের পেছনে জশুয়া ডি সিলভার হাতে ধরা পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তামিম।
তার বিদায়ে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন মাহমুদুল হাসান জয়। দেখেশুনে খেলতে থাকলেও ইনিংসের সপ্তম ওভারে রোচের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। খেই হারিয়ে ব্ল্যাকউডের তালুবন্দি হয়ে ২১ বলে ১৩ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
রোচের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ব্যর্থতার খাতায় নাম ওঠান এনামুল হক বিজয়ও। এক ওভার বাদেই সরাসরি স্টাম্প হারিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
৩২ রানেই তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে পালছেঁড়া নৌকার মতো দিশেহারা হয়ে পড়া বাংলাদেশের শিবিরে ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন এ দুই ব্যাটার। সেই চেষ্টা পুরোপুরি বানচাল করে দেন জেইডেন সিলস।
এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে লিটন দাসকে ফেরান ১৯ রানে। এতে করে ৫৭ রানে পতন ঘটে বাংলাদেশের চতুর্থ উইকেটের।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রেখে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সাকিবের সঙ্গে গড়া তার ৪৭ রানের জুটিতে ছন্দ ফিরে পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ১০৪ রানে শান্তকে সাজঘরে ফেরান জোসেফ। এর আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ রান।
শান্তর বিদায়ের রেশ না কাটতেই ১৬ রানে জোসেফ মাঠছাড়া করেন সাকিবকেও। আর তাতেই আরও একবার বড় পরাজয় চোখ রাঙানি দেয় বাংলাদেশকে।
দিনের শেষ ভাগে এসে আর বিপদ হতে দেননি সোহান ও মিরাজ। অপরাজিত থেকে ১৩২ রানের পুঁজি তুলে দিন শেষ করেন এই দুই ব্যাটার।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলার শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। নিজে উইকেটে থিতু হয়ে বসলেও সঙ্গী জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই।
উইকেটের পেছনে খালেদ আহমেদের বলে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
পরে মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে টিকিয়ে রাখতে শুরু করেন লড়াই, কিন্তু বাদ সাধে বৃষ্টি।
দিনের দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের খেলা।
বৃষ্টিবাধা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে কাইল মায়ার্স ফেরেন খালেদের শিকার হয়ে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান।
শেষের দিকে কিমার রোচের অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপের ৯ ও জেইডেন সিলসের ৫ রানে ভর করে ৪০০ রান পেরোয় উইন্ডিজ।
শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭৪ রানের লিড দিয়েই ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশি বোলাররা।
আরও পড়ুন:বৃষ্টিবিঘ্নিত সেইন্ট লুসিয়া টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল আউট করে দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সামনে ৪০৮ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে ক্যারিবীয়রা। সেই সুবাদে দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগারদের সামনে লিড ১৭৪ রানের।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। নিজে উইকেটে থিতু হয়ে বসলেও সঙ্গী জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। উইকেটের পেছনে খালেদ আহমেদের বলে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে টিকিয়ে রাখতে শুরু করেন লড়াই। কিন্তু বাধ সাধে বৃষ্টি। দিনের দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। এতে বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের খেলা।
বৃষ্টিবাধা কাটিয়ে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে কাইল মায়ারস ফেরেন খালেদের শিকার হন। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৬ রান।
শেষদিকে কিমার রোচের অপরাজিত ১৮, অ্যান্ডারসন ফিলিপের ৯ ও জেইডেন সিলসের ৫ রানে ভর করে দলীয় সংগ্রহ ৪০০ পেরোয় উইন্ডিজরা।
শেষ পর্যন্ত বেশি দূর যাওয়া হয়নি স্বাগতিকদের। ১৭৪ রানের লিড দিয়েই ইনিংসের ইতি টেনে দেন বাংলাদেশী বোলাররা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা সময় খুব প্রচলিত শব্দ ছিল ‘সেশনজট’। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও এই জটের নজির দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এই সেশনজট চলে এসেছিল ক্রিকেট কমিটি অফ ঢাকা মেট্রোপলিসেও (সিসিডিএম)। যে কারণে গেল ১৫ বছর ঢাকার ক্লাবগুলো দেখেনি কোনো পুরস্কারের মুখ।
অবশেষে ২০২২ সালে এসে কাটলো সেই ‘সেশনজট’। রোববার ঘটা করেই ১৫ বছরের ৮৪টি ট্রফি ঢাকার বিভিন্ন ক্লাব ও ক্রিকেটারদের কাছে হস্তান্তর করল সিসিডিএম।
২০০৭-২০০৮ মৌসুম থেকে শুরু করে ২০২১-২২ মৌসুম পর্যন্ত ক্লাব ও ক্রিকেটারদের আটকে থাকা পুরস্কার বিতরণ করেছে ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ঘটা করে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করে সকল বকেয়া ট্রফি পরিশোধ করল সিসিডিএম।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট থেকে শুরু করে তৃতীয় বিভাগ পর্যন্ত ক্রিকেটারদের পুরস্কার বিতরণ করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতে সেইন্ট লুসিয়ায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি। এ অবস্থায় ১০ ওভার পরই বন্ধ করে দেয়া হয় দিনের প্রথম সেশনের খেলা। এই ১০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৩৬ রান যোগ করেছে স্বাগতিকরা। অপরদিকে পতন ঘটেছে তাদের দুটি উইকেটের।
১১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৭ উইকেটের খরচায় ৩৭৬ রান। লিড ১৪২ রানের। ১৪০ রানে অপরাজিত কাইল মায়ার্স। তাকে ৭ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন কিমার রোচ।
প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে দিনের শুরুতেই স্বাগতিকরা হারায় আগের দিনের অপরাজিত থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে। দিনের দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
তবে উইকেটের এক প্রান্ত আগলে ধরে আলজারি জোসেফকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কাইল মায়ার্স। তবে জোসেফকে ফিরতে হয় ৬ রান করেই। খালেদ আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ধরা দিয়ে দলীয় ৩৬৩ রানের মাথায় বিদায় নেন তিনি।
এরপর মায়ার্সের সঙ্গী হন কিমার রোচ। দলকে বড় লিডের পথে নিতে তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের যাত্রায় বিঘ্ন ঘটায় বৃষ্টি। দিনের শুরুতে দশম ওভারের পরপরই সেইন্ট লুসিয়ায় নেমে আসে বৃষ্টি। যার কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় খেলা।
গত বছর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন কাইল মায়ার্স। সেই ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ৩৯৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে তিনি একাই তুলেন ২১০ রান। এর আগে কোনো ব্যাটারই অভিষেক ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়তে পারেনি।
কাইল মায়ার্স দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবারও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন চাপে তখন তার অসাধরাণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। কোনো উইকেট না হারিয়ে দলীয় ১০০ রান করে ৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয় স্বাগতিকরা। ব্যাটিংয়ে এমন বিপর্যয়ে মায়ার্স-জারমেইন জুটি পঞ্চম উইকেটে ১১৬ রান যোগ করে বাংলাদেশের ২৩৪ রান পেরিয়ে যায়।
শনিবার সেন্ট লুসিয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১২৬ রান তুলে অপরাজিত আছেন অলরাউন্ডার কাইল মায়ার্স।
তবে মায়ার্সের সঙ্গে এক মধুর লড়াই রয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। অভিষেক টেস্টেই মিরাজের শিকার হয়ে ৪০ রান করেই থামতে হয়েছিল ক্যারিবীয় এই ব্যাটারকে। সেই ইনিংসে অর্ধশতক বাগিয়ে না নিলেও পরের ইনিংসেই মায়ার্সের ব্যাট থেকে এসেছিল অপরাজিত ২১০ রানের এক ইনিংস।
এরপর বাংলাদেশের বিপক্ষের চলতি সিরিজের প্রথম টেস্টেও সেই মিরাজের শিকার হয়েই থামতে হয়েছিল তাকে মাত্র ৭ রানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলা ৬ ইনিংসের ভেতর (চলমান টেস্ট সহ) ৪টিতে আউট হয়েছেন মায়ার্স। এর মধ্যে দুইবার তাকে শিকারে পরিণত করেছেন মিরাজ। আর বাকি দুইবার আবু জায়েদ রাহী।
উদ্বোধনী সেশনে মিরাজ-খালেদের বোলিং তোপে সাময়িক বিপর্যয়ে পড়লেও স্বাগতিকদের খেলায় ফিরিয়ে আনতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজের আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছেন বলে জানান কাইল মায়ার্স। একই সঙ্গে মিরাজের সঙ্গে তার আলাদা কোনো লড়াই নেই, বরং তাকে নামে না দেখে বলের হিসেবেই দেখেন বলেও মন্তব্য করেন ক্যারিবীয়ান এই তারকা।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সে (মিরাজ) একজন ভালো বোলার। আগেও সে আমাকে আউট করেছে, এটা মাথায় ছিল না। একজন বোলার ভালো ডেলিভারি করলে যে কাউকে আউট করতে পারে। আমি কোনো নামের খেলোয়াড়ের বিষয়ে যাচ্ছি না। আমি শুধু বল খেলি।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য