লম্বা সময় ধরেই হাসতে দেখা যায়নি লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাট। তবে শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন তারা ছিলেন দুর্দান্ত।
দিনের শুরুতে ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন হাল ভাঙা তরির মতো বেসামাল, ঠিক সে সময় দলের জন্য ত্রাতা হয়ে আসেন লিটন-মুশফিক। তবে দ্বিতীয় দিন সেই ধারা ধরে রাখতে পারেননি তারা।
লিটন আগের দিনের ব্যক্তিগত ১১৩ রানের সঙ্গে ১ রান যোগ করে ফেরেন সাজঘরে। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম দিন ৮২ রানে অপরাজিত থাকা মুশফিক।
শেষ পর্যন্ত পারলেন না। ফাহিম আশরাফের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে। তার সংগ্রহ ৯১ রান।
মুশফিক-লিটনের অনবদ্য ২০৪ রানের জুটিতে লড়াইয়ের পথ খুঁজে পেয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন চট্টলাবাসী অপেক্ষায় ছিলেন মুশফিকের সেঞ্চুরি দেখার জন্য। পারলেন না মুশফিক। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার ৯ রান বাকি থাকতেই ফিরতে হয়েছে তাকে।
আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ভারতকে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে জিততে হয়েছে ১৪তম দল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ ২২৫ রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ২২১ রান সংগ্রহ করে। এতে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৪ রানে জয় পেয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল।
দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৭ উইকেটের জয় পায় সফরকারী ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে ২-০তে সিরিজ জিতে আইরিশদের ক্লিনসুইপ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে দ্য ভিলেজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।
ব্যাট করতে নেমে দীপক হুদার ৫৭ বলের ১০৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে ভর করেই ভারত পাহাড়সম ২২৫ রান টার্গেট দেয় আইরিশদের। প্রথম ম্যাচে ৪৭ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর পর এবার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন হুদা।
তার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৭৬ রান যোগ করেন সানজু স্যামসন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪২ বলে ৭৭ রানের মারকুটে ইনিংস।
স্যামসন ও হুদা আউট হলে সূর্যকুমার যাদব ৫ বলে ১৫ এবং অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ৯ বলে ১৩ রান করেন।
দীনেশ কার্তিক, হার্শাল প্যাটেল ও অক্ষর প্যাটেল আউট হন শূন্য রানে।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার শিকার করেন তিন উইকেট। জশ লিটল ও ক্রেইগ ইয়ং নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আইরিশরাও কম যায়নি। ভারতের মতো দলের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২২৫ রান তাড়া করে ২২১ করে হার মানাটা জয়ের সমান।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পল স্টার্লিং ও অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি ৫ ওভার ৪ বলে ৭২ রান তুলে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন স্বাগতিকদের। ১৮ বল খেলে ৪০ রান করে আউট হন স্টার্লিং।
গ্যারেথ ডেলানি শূন্য রানে আউট হলে ব্যালবার্নি ও হ্যারি টেকটর দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিতে থাকেন, তবে দলীয় ১১৭ রানে অধিনায়ক ব্যালবার্নি ফিরেন ৩৭ বলে ৬০ রান করে।
নতুন ব্যাটার লরকান টুকার ৫ রান করে আউট হলে বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ড।
পরে টেকটর ও জর্জ ডকরেল জয়ের বন্দরের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে। ১৭ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৮৯।
জেতার জন্য শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ৩৭ রান, টি-টোয়েন্টিতে যা মোটেও অসম্ভব নয়, তবে ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই টেকটর আউট হলে জয়ের আসা ছেড়ে দিতে হয় আইরিশদের। এ যাত্রায় তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ রান।
তারপরও ডকরেল ও মার্ক আডায়ার চেষ্টা করেন দলকে জয় উপহার দিতে। ম্যাচ নিয়ে যান শেষ বল পর্যন্ত। শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে পারলেই জিতে যেত তারা, কিন্তু উমরান মালিকের করা শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি আয়ারল্যান্ড।
এতে করে ২০ ওভার শেষে ২২১ রানেই থামতে হয় আইরিশদের। ডকরেল ও আডায়ার দুজনই থাকেন অপরাজিত।
ভারতের পক্ষে সবাই খরুচে বোলিং করেছে, তবে মিতব্যয়ী ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। দুই ওভারে দিয়েছেন ১২ রান।
উমরান মালিক চার ওভার বোলিংয়ে ৪২ রান খরচায় নিয়েছেন এক উইকেট।
সিরিজ ও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের ব্যাটার দীপক হুদা।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের সময় সাকিব আল হাসান ছুটিতে থাকবেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট চলার সময় থেকেই গুঞ্জনটি ছিল, কিন্তু সেই বিষয়টিতে ছিল না যথার্থ নিশ্চয়তা।
অবশেষে গুঞ্জনকে সত্য প্রমাণ করে দিয়ে ওয়ানডে সিরিজের জন্য বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়েছেন সাকিব।
উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেই বোর্ডের কাছে মৌখিকভাবে পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছেন টেস্ট দলপতি সাকিব, তবে এখনও লিখিতভাবে বোর্ড সভাপতির কাছে আবেদনটি পাঠানো হয়নি।
জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সাকিব ওয়ানডে সিরিজ থেকে মৌখিকভাবে ছুটি চেয়েছে, তবে এ বিষয়ে বোর্ড সভাপতিকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’
২, ৩ ও ৭ জুলাই মাঠে গড়াবে উইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিনটি ম্যাচ। এরপর ওয়ানডে সিরিজের তিনটি ম্যাচ হবে ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই ।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর্ব চুকিয়ে বাকি দুই সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে উইন্ডিজ দলে প্রথমবারের মতো সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রভম্যান পাওয়েলকে। অপরদিকে ওয়ানডের দলে ইনজুরি কাটিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ওবেদ ম্যাকয়।
একইসঙ্গে দলে ফিরেছেন ডেভন থমাস ও কিমো পল। আর ওয়ানডে সিরিজে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন গুদাকেশ মোতি।
২ জুলাই অ্যান্টিগায় গড়াবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ৩ ও ৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডে হবে ১০ জুলাই। সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে মাঠে গড়াবে ১৩ ও ১৬ জুলাই।
টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রভম্যান পাওয়েল (সহ-অধিনায়ক), শামার ব্রুকস, আকিল হোসেন, আলঝারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মায়ের্স, ওবেদ ম্যাকয়, কিমো পল, রোমারিও শেফার্ড, ওডিন স্মিথ, ডেভন থমাস ও হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র।
ওয়ানডে স্কোয়াড
নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), শাই হোপ (সহ-অধিনায়ক), শামার ব্রুকস, কেচি কার্টি, আকিল হোসেন, আলঝারি জোসেফ, ব্রেন্ডন কিং, কাইল মায়ের্স, গুদাকেশ মোতি, কিমো পল, অ্যান্ডারসন ফিলিপ, রবম্যান পাওয়েল ও জেইডেন সিলস।
আরও পড়ুন:ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ২০০০ সালে। সেই থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাংলাদেশ কাটিয়ে দিয়েছে ২২টি বছর। এই দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশ টেস্ট খেলেছে ১৩৪টি। এর মধ্যে জয়ের দেখা মিলেছে মাত্র ১৮টিতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শোচনীয় পরাজয়ের মধ্য দিয়ে হারের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের।
জয়ের দেখা মেলা ১৮ ম্যাচের ভেতর ১০টিই বাংলাদেশ খেলেছে ঘরের মাঠে। এই ১০ ম্যাচে জয় বাগিয়ে নিতে তামিম-সাকিবদের খেলতে হয় ৬৯ ম্যাচ। একইসঙ্গে নিজেদের মাটিতে সবশেষ ৬ টেস্টেও জয়ের দেখা মেলেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের অবস্থা যে শোচনীয় তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। ১০ টেস্টে জয় পাওয়ার বিপরীতে বাংলাদেশের ৬৯ ম্যাচ খেলার পরিসংখ্যান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এখনও বনেদি ফরম্যাটের ক্রিকেটে কতটা অপরিপক্ব, কতটা দুর্বল বাংলাদেশ। ২২ বছর ধরে খেলেও সম্ভব হয়নি অবস্থার উন্নতি ঘটানো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেইন্ট লিসিয়া টেস্ট শেষে দলপতি সাকিব আল হাসান ঘরের মাঠে টেস্টে পরাজয় এড়ানোর প্রতি বার বার জোর দিয়েছেন। তার সুরে সুর মিলিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। টেস্টে উন্নতি করতে হলে ঘরের মাঠে জয় ও ড্র ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই বলে মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজ বাসভবনে মাশরাফি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একদম শতভাগ একমত। একটু আগেও আমি কথাটা বলছিলাম। ওয়ানডে ক্রিকেটেও কিন্তু আমরা এভাবে পরিবর্তন এনেছি। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা ছিল ঘরের মাঠে যতটা সম্ভব ম্যাচ জিতব। সেক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ ম্যাচ আমরা কিভাবে জিততে পারি সেদিকে দৃষ্টি দেয়া।’
‘টেস্ট ক্রিকেটেও আমরা অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিলাম। ওই জায়গা থেকে একটু পিছিয়ে সমস্যা হয়ে গেছে। তবে হোমে ম্যাক্সিমাম ম্যাচ এখন আমাদের জিততে হবে। হোমে খেললে কিন্তু ড্র করার সুযোগ কমে যাবে। কারণ স্পিনিং উইকেট বানালে ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কমে। আমাদের ম্যাচ জিততে হবে ওই পরিকল্পনা করে। আমি মনে করি সাকিব আক্রমণাত্মক চিন্তা-ভাবনা করছে, যা ইতিবাচক।’
আরও পড়ুন:যেমনটা শোনা যাচ্ছিল তেমনটাই সত্যি হলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ওইন মর্গান। মঙ্গলবার বিকেলে এক বিবৃতিতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সোমবার মর্গানের অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার আগে প্রতিবেদন করে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, অফফর্ম ও ইনজুরির কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চাইছেন তিনি।
পরদিনই এলো তার ঘোষণা। ইসিবি প্রকাশিত এক বিবৃততে ৩৫ বছর বয়সী মর্গান বলেন, অবসর নেয়ার জন্য এটাই তার কাছে উপযুক্ত সময় মনে হয়েছে।
তিনি যোগ করেন, ‘অনেক ভাবনা-চিন্তার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উপভোগ্য অধ্যায়কে বিদায় বলাটা নিঃসন্দেহে সহজ ছিল না। কিন্তু আমি মনে করি এটাই আমার নিজের ও ইংল্যান্ডের সাদা বলের দলের জন্য অবসরের জন্য সঠিক সময়।’
মর্গানের পর দলের দায়িত্ব কে নেবে সেটা এখনও ঘোষনা করেনি ইসিবি। তবে, তাদের বিবেচনায় এগিয়ে আছেন মর্গানের ডেপুটির দায়িত্বে থাকা জস বাটলার।
২০১৪ সালে ইংল্যান্ড দলের দায়িত্ব নেন মর্গান। তার হাত ধরেই ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ শিরোপা জেতে থ্রি লায়নস। জাতীয় দলের জার্সিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মর্গান। ওয়ানডেতে ৬,৯৫৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ২,৪৫৮ রান করেছেন তিনি।
খেলেছেন ২২৫ ওয়ানডে ও ১১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আগে আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন মর্গান। ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি আইরিশদের হয়ে।
দুই দলের হয়ে তার ওয়ানডে রান ৭৭০১। সেঞ্চুরি রয়েছে ১৪টি। আর হাফ সেঞ্চুরি ৪৭টি।
গত এক মৌসুম অফফর্ম ও চোটের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। ২৬ ইনিংসে মাত্র ১টি ফিফটি ছিল তার। যে কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগের বছর দলকে ভারমুক্ত করতে চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হচ্ছে বুধবার। গলে শুরু হতে যাওয়া ‘ওয়ার্ন-মুরালিধরন’ সিরিজের প্রথম টেস্টটি এবার বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এ টেস্ট উৎসর্গ করা হচ্ছে প্রয়াত কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের স্মৃতিতে।
দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সম্মতিতেই ওয়ার্নের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হবে টেস্ট। গল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওয়ার্নের ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক ৫০০ টেস্ট উইকেটের সাক্ষী। ভারতীয় মহাসাগরে সুনামিতে গল স্টেডিয়াম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ওয়ার্ন নিজ উদ্যোগে সেটি সংস্কার ও পুর্নগঠনের লক্ষ্যে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
যে কারণে ওয়ার্নের প্রতি গলবাসীর রয়েছে আলাদা ভালোবাসার জায়গা।
বিশেষ এ টেস্ট উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়াও নিয়েছে বিশেষ প্রস্তুতি। একাদশে অভিজ্ঞ অফ স্পিনার নেইথান লায়নের সঙ্গে লেগস্পিনার মিচেল সোয়েপসনকে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিনস।
টেস্টের আগের দিন গলে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা সোয়েপসনকে নিয়ে খুশি। তার বোলিং নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ও এ ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। পাকিস্তান সিরিজের চেয়ে এখানে তার ভূমিকাটা ভিন্ন হবে। পাকিস্তানে ধৈর্যের সঙ্গে বোলিং করতে হয়েছে। যে কারণে ভালো বোলিং করলেও সে হয়তো অনেক উইকেট পায়নি।’
অন্যদিকে, অনুমিতভাবে শ্রীলঙ্কা নিজ ঘরে স্পিন সুবিধা নেয়ার জন্যে একাদশে রাখছে তিন স্পিনার। লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ও প্রাভিন জয়াউইক্রামার সঙ্গে বুধবার অভিষেক হতে পারে রিস্ট স্পিনার জেফ্রি ভ্যান্ডারসের।
গলে ২৮ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার রঙ্গনা হেরাথ। স্বাগতিক অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে আত্মবিশ্বাসী যে, তার স্পিনাররা হেরাথের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, ‘এ উইকেটে এম্বুলদেনিয়ার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মেন্ডিস, প্রাভিন ও ভ্যান্ডারসেও আছে দলে। আমার মনে হয়, ওরা সবাই হেরাথের মতো সাফল্য পেতে পারে।’
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টেস্ট সিরিজের ২-০ ব্যবধানে ক্লিন সুইপ হয়েছে সফরকারী দল। ১০ উইকেটে দ্বিতীয় টেস্ট হারের পর সেটা নিয়ে পড়ে থাকার খুব বেশি সময় নেই সাকিব-মিরাজদের। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে দুই দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বছরে দ্রুত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মনোনিবেশ করতে চান বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি এ সিরিজ দিয়ে শুরু করতে প্রস্তুত টাইগাররা, এমনটা মনে করছেন তিনি।
মঙ্গলবার ভোরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টির বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এ সিরিজের পর আমরা এশিয়া কাপ খেলব। আমাদের হাতে খুব একটা সময় নেই। সেই হিসাবে এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো একটা দলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি খেলতে পারাটা বড় একটা চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য।
‘যদি এখানে ভালো করতে পারি, তাহলে আত্মবিশ্বাসটা কাজে আসবে শ্রীলঙ্কায়। ভালো একটা মানসিক অবস্থা নিয়ে যাওয়া যাবে সেখানে।’
টেস্ট সিরিজে ভরাডুবি নিয়ে বেশি ভাবতে চান না সাকিব। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও বাংলাদেশ সেরা দল নয় মানছেন তিনি।
ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান- আমি বলব যে এশিয়ার ভেতরে খুব ভালো টি-টোয়েন্টি দল। আমাদের টাফ চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হবে। শ্রীলঙ্কাও এখন ভালো খেলছে, নিয়মিত ভালো খেলছে। তো অবশ্যই আমাদের অনেক জায়গা আছে, যেখানে আমাদের ইম্প্রুভ করতে হবে। যদি আমরা দলগতভাবে খেলতে পারি, আমি বিশ্বাস করি যে এই সিরিজ আমাদের কাজে দেবে।
মন্তব্য