সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক। এই ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি রাব্বির।
দলে ডাক পাওয়া নতুন দুই তারকা মাহমুদুল হাসান জয় ও রেজাউর রহমানকে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দুই পেইসার খালেদ আহমেদ ও শহিদুল ইসলামেরও জায়গা হয়নি একাদশে।
মিরাজ, তাইজুল, আবু জায়েদ ও এবাদতের অভিজ্ঞ বোলিং আক্রমণ নিয়েই নামছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দলেও নতুন মুখ আছেন একজন। চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে অভিষেক হচ্ছে আব্দুল্লাহ শফিকের।
বাংলাদেশ একাদশ: নাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির রাব্বি, লিটন দাস, মেহেদী মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ: আব্দুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, বাবর আজম, ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাহিম আশরাফ, নুমান আলি, হাসান আলি, শাহিন আফ্রিদি, সাজিদ খান।
এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ১১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের একমাত্র অর্জন ২০১৫ সালের ড্র। বাকি সবগুলোতে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
আগামী ৭ জুন ইংল্যান্ডের ওভালে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে দ্বিতীয় আসরের।
ফাইনালের আগে দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ২০২১-২৩ চক্রের প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। খবর বাসসের।
৯ দলের দ্বিতীয় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সব মিলিয়ে ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার প্রাইজমানি নির্ধারণ করেছে আইসিসি। এর মধ্যে ১ লাখ ডলার পাবে বাংলাদেশ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেও প্রাইজমানির পরিমাণ একই ছিল।
এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। রানার্স-আপ দল পাবে ৮ লাখ ডলার। টেবিলের শীর্ষ দুই দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট পায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।
টেবিলের তৃতীয় স্থানে থকা দক্ষিণ আফ্রিকা পাবে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। চতুর্থ স্থানের দল ইংল্যান্ড পাবে ৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
সিরিজের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে ছিল শ্রীলংকা। শেষ পর্যন্ত ফাইনালের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয় তারা। টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকায় ২ লাখ ডলার পাচ্ছে লঙ্কানরা।
টেবিলের ষষ্ঠ থেকে নবমস্থানে থাকা দলগুলো সমান এক লাখ ডলার করে পাবে। ষষ্ঠ থেকে নবমস্থানে থাকা দলগুলো হলো গেল আসরের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ।
প্রথম আসরের ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো নিউজিল্যান্ড।
এবার টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে কিউইরা। সপ্তম ও অষ্টমস্থান আছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
টেবিলের নবম ও শেষস্থানে থেকে আসর শেষ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন:আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখায় দলের পারফরমেন্সে খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বিশেষ করে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জয়ের কারণে বেশি খুশি হয়েছেন তিনি। তার মতে, এমন পরিস্থিতি বিশ্বকাপের আগে দলের আত্মবিশ্বাসকে আরও শক্তিশালী করবে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণ শেষে তিনি এ সব কথা বলেন। খবর বাসসের
পাপন বলেন, ‘দুর্দান্ত পারফরমেন্স ছিল। খেলোয়াড়রা সত্যিই ভালো খেলেছে। কিন্তু তাদের মনোভাবের জন্য আমি বিশেষভাবে খুশি। তাদের মধ্যে কখনও হেরে যাবার মনোভাব ছিল না। কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিতেছে তারা। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাবার পর দ্বিতীয়টিতে আয়ারল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।
পাপন বলেন, ‘আমার মনে হয় বৃষ্টি না হলে আমরা প্রথম ম্যাচও জিততে পারতাম। আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে মানসিক শক্তি প্রদর্শন করেছি এবং হারের মুখ থেকে ম্যাচটি জিতেছি। মুশফিক, হৃদয়, শান্তরা পুরো সিরিজেই ভালো ব্যাটিং করেছে।’
দল নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একজন স্পিনার খেলাতেন বলে জানান তৃতীয় ম্যাচের আগে দেশে ফেরা পাপন। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, ইনজুরির কারণে সাকিব আল হাসান না থাকায় তৃতীয় ম্যাচে আমাদের একজন স্পিনার দরকার ছিলো। আমরা প্রথম দুই ম্যাচে তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলেছি এবং এরপর হঠাৎ করেই তৃতীয় ম্যাচে একজন স্পিনার খেলালাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনজন স্পিনার খেলালে আয়ারল্যান্ড এতদূর যেতে পারতো না। এটা ভালো যে শান্ত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এনে দিয়েছে। আমাকে জানানো হয়েছিলো, সে কিছু বোলিং করে তবে নিয়মিত স্পিনার নন। তারপরও কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জিততে পেরেছি, এটা সত্যিই সন্তোষজনক।’
বিশ্বকাপ দল নিয়ে কিছুটা ধারণাও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। শেষ দুই সিরিজে সুযোগ না পেলেও এখনও বিবেচনায় আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
পাপন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ব্যাটিং পজিশনে ১ থেকে ৬ নম্বর পর্যন্ত ঠিক হয়ে গেছে। পেস এবং স্পিন বিভাগও থিতু হয়ে গেছে। ধারাবাহিক পারফর্ম করলে ওপেনিংয়ে ফিরতে পারেন নাইম শেখ, এনামুল হক বিজয়রা। একমাত্র ৭ নম্বর জায়গাটা আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। মাহমুদুল্লাহসহ অনেকেই এই পজিশনের জন্য রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে এই পজিশনে ইয়াসির রাব্বিকে খেলিয়েছি। তবে আফিফ, মাহমুদুল্লাহ এমনকি মোসাদ্দেককেও এই পজিশনের জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে। আমি নিশ্চিত না. এসব আমার অনুমান। ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্ধারণ করবেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং ম্যাচের জন্য চূড়ান্ত একাদশ ঠিক করবেন অধিনায়ক।’
সামনের সময়গুলোতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকায় এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপ নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তাপ রয়েছে। হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করে কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে এবং কিছু ম্যাচ দুবাইয়ে আয়োজন করা যেতে পারে। বাংলাদেশকে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো কিন্তু আমরা না বলেছি। কারণ এখানে এ মাসগুলোতে বৃষ্টি হবে। যদি এটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয় তাহলে আমরা ঝুঁকি নিতে পারতাম কিন্তু এটি ওয়ানডে ফরম্যাটে হবে।’
আরও পড়ুন:আফগানিস্তান ক্রিকেট দল ১০ জুন বাংলাদেশ সফরে আসছে।
সফরে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের মোকাবিলা করতে হবে আফগানদের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বুধবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সিরিজের সূচি ঘোষণা করে। খবর বাসসের।
সূচি অনুযায়ী ১৪ জুন মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্ট দিয়ে খেলা শুরু হবে।
১৯ জুন ভারত সফরে যাবে আফগানিস্তান। ভারতের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা।
পরে বাংলাদেশে ফিরে ৫, ৮ ও ১১ জুলাই ওয়ানডে খেলবে দুই দল। সব খেলাই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
পরে সিলেটের মাটিতে ১৪ ও ১৬ জুলাই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে টাইগাররা আফগানদের মোকাবিলা করবে।
এখন পর্যন্ত একবার টেস্ট ফরম্যাটে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রামের মাটিতে হওয়া ঐ টেস্টে আফগানদের কাছে ২২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সঙ্গে আফগানিস্তানের দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা ছিল, কিন্তু ভারত সফরে যেতে একটি করে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি বাতিল করার অনুরোধ করে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিবি সেই অনুরোধ আমলে নিয়ে আফগানিস্তানের সফর সূচি সমন্বয় করে।
আরও পড়ুন:ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন দেশটির সাবেক বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি।
তাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দলের কোচ নিয়োগ করা হয়। আর আন্দ্রে কোলি টেস্ট ও ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন।
ড্যারেন স্যামি ফিল সিমন্সের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ফিল সিমন্স গত অক্টোবরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদায়ের পর কোচের দায়িত্ব ছাড়েন।
এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কোলি।
স্যামির নেতৃত্বে ২০১২ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নতুন দায়িত্ব পেয়ে নিজেকে আবারও প্রমাণ করতে চান এ সাবেক ক্রিকেটার।
এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত এবং আমি উচ্ছ্বসিত। আমাদের খেলোয়াড়দের প্রতিভা কাজে লাগাতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খেলোয়াড় থাকতে যেভাবে খেলেছি, সেভাবে দলকে এগিয়ে নিতে চাই। আমি সাফল্যের জন্য মরিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে ভালোবাসি।’
জুন মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন স্যামি।
আর কোলির অ্যাসাইনমেন্ট ভারতকে ধরাশায়ী করা।
আরও পড়ুন:ওয়ানডের পর শ্রীলঙ্কার কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজও হারল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
শুক্রবার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৪৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা।
এর আগে ৬ উইকেটের জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৬ রানে শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রাবেয়া খান। এরপর সপ্তম ওভারে শ্রীলংকার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুকে ৩২ রানে বিদায় করেন বাঁ-হাতি স্পিনার নাহিদা আকতার।
দশম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান আরেক লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। ৫৬ রানে ৩ ব্যাটারকে শিকার করে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ সৃষ্টি করেন বাংলাদেশের বোলাররা।
তবে চতুর্থ উইকেটে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হন শ্রীলঙ্কার হর্ষিতা সামারাবিক্রমা ও নিলাক্ষী ডি সিলভা। ৬৫ বলে ১০২ রান যোগ করেন তারা। সামারাবিক্রমা ও ডি সিলভার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান শ্রীলঙ্কার।
৬টি চারে ৪২ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন সামারাবিক্রমা। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৩৯ বলে অনবদ্য ৬৩ রান করেন ডি সিলভা। বাংলাদেশের রাবেয়া-নাহিদা ও ফাহিমা ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার রুবিয়া হায়দারকে হারায় বাংলাদেশ। খালি হাতে ফিরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন ফারজানা হক ও সোবহানা মোস্তারি। ৫০ রানের মধ্যে বিদায় নেন তারা। ফারজানা ১০ ও মোস্তারি ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ বলে ৩০ রান করেন।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও মুরশিদা খাতুন ৩৩ রান যোগ করলেও বাংলাদেশের আস্কিং রেট ততক্ষণে ১২ ছাড়িয়ে যায়। ২টি চারে ৩৩ বলে ৩১ রানে থামেন নিগার। শেষ ৫ ওভারে দ্রুত রান তোলার প্রয়োজন পড়লেও সেটি করতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রান করে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। শেষদিকে রিতু মনি ১১ ও মুরশিদা ৮ রান করেন।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:
প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাটিং নৈপুন্যে দুর্দান্ত জয়ের পর ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই হেরে গেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বৃহস্পতিবার সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো শ্রীলঙ্কা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে টস হেরে প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশকে ২৬ বলে ২৮ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও রুবিয়া হায়দার। ৩টি চারে ১৬ রান করে আউট হন রুবিয়া।
দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে দলের রান ৫০ পার করেন শামিমা। ৬১ রানের মধ্যে বিদায় নেন শামিমা ও মোস্তারি। শামিমা ৩টি চারে ও মোস্তারি ২টি বাউন্ডারিতে ১৮ রান করে করেন।
এরপর নিগার ও রিতু মনির সাথে জুটি বেঁধে দলের রান ৮৫তে নেন মুরশিদা খাতুন। আগের ম্যাচে ৫১ বলে ৭৫ রান করা নিগার আজ ৭ রানে আউট হন। রিতু করেন ৫ রান। এতে ৮৫ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তাদের বিদায়ের পর ব্যাটিং ধস নামে বাংলাদেশের। ১১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮ দশমিক ৩ ওভারে ১০০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে দু অংকের কোটা স্পর্শ করে ১০ বলে ১৪ রান করেন মুরশিদা।
১০১ রানের সহজ টার্গেট স্পর্শ করতে বেগ পেতে হয়নি শ্রীলঙ্কাকে। ৯ বল বাকিরেখেই জয়ের স্বাদ পায় লঙ্কানকরা। অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু ৩৩ ও হর্ষিতা সামারাবিক্রমা অপরাজিত ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন ২টি ও রাবেয়া খান ১টি উইকেট নেন।
শুক্রবার একই ভেন্যুতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ নারী দল। সূত্র: বাসস
আরও পড়ুন:সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার এক বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানের লক্ষ্য টপকে যায় তারা।
এর মাধ্যমে দীর্ঘ ৯ বছর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই সংস্করণে এটাই প্রথম জয় বাংলাদেশের। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মেয়েরা ঘরের মাঠে জিতেছিল ৩ রানে।
পাঁচ ওভারের মধ্যে ফেরেন দুই ওপেনার। শামিমা সুলতানা ৫ আর রুবাইয়া হায়দার করেন ৯ রান। দারুণ নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক নিগার। অপরাজিত থেকে করেছেন ৭৫ রান।
২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান করে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা। এক বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ম্যাচে একই মাঠে মুখোমুখি হবে দুই দল।
মন্তব্য