পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে তাদের ব্যাটিং ইউনিটটা। প্রতিপক্ষের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে প্রায় প্রতি ম্যাচেই।
সবচেয়ে বেশি যেটা ভুগিয়েছে সেটা হল পাওয়ার হিটারের শূন্যতা। পাওয়ার প্লেতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ব্যাটারের উপস্থিতি ছিল না দলে। যার ফলে প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে ধুঁকতে হয়েছে সৌম্য-লিটনদের।
বিশ্বকাপের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দল ঢাকা ফেরার পরের দিনই টিম ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই তিনি শুরু করে দিয়েছেন দলকে ঝালাইয়ের কাজ।
আসন্ন এই সিরিজকে সামনে ৭ তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, পারভেজ ইমন, ইয়াসির আলী রাব্বি, তৌহিদ হৃদয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও তানভির ইসলামকে নিয়ে ইতোমধ্যেই শেরে বাংলায় অনুশীলন শুরু করেছেন খালেদ মাহমুদ।
যেই পাওয়ার হিটারের অভাব জাতীয় দলে, সেটির চাহিদা মেটানোই মূল লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
আর সে লক্ষ্যেই ডাক পেয়ে নিজেকে পাওয়ার হিটার হিসেবে প্রস্তুত করতে চান ইয়াসির আলি রাব্বি। তিন ফরম্যাটে দলকে প্রতিনিধিত্ব করে দলের প্রয়োজনে নিজের সর্বোস্ব উজাড় করে দিতে প্রস্তুত তিনি।
সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে পাওয়ার হিটিং না ... সবসময় চাই তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। তবে আমার দলের লক্ষ্যটা যদি এমন হয় আমাকে পাওয়ার হিটিং করতে হবে তাহলে আমি নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করবো এইতো।’
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন ক্রিকেট বদলাচ্ছে, ক্রিকেট আধুনিক হচ্ছে। তো এই জিনিসগুলো যদি আমরা এখন না জানি ... এ কারণেই আসলে ইংল্যান্ড, ভারত, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে আমরা পিছিয়ে থাকি। তো এই জিনিসগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এসব আমাদের ১৯ থেকে ২০ এ নিয়ে যায়।’
একই সঙ্গে রাব্বি মনে করেন কৌশলের পাশাপাশি পাওয়ার হিটার হতে সাহসের প্রয়োজন। সাহস বাড়াতে পারলেই পাওয়ার হিটিং চলে আসবে বলেও মনে করেন এই ব্যাটার।
রাব্বি বলেন, ‘সাহসটা তো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাহস না থাকলে আপনি কখনো ছয় মারতে পারবেন না। আমার কাছে মনে হয় এ জিনিসটা একটা ব্যাটসম্যানের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সাহস থাকতে হবে ছয় মারার জন্য।’
১৯ নভেম্বর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও দুই ম্যাচের টেস্ট ম্যাচের সিরিজ শুরু হবে। ১৯, ২০ ও ২২ নভেম্বর মাঠে গড়াবে টি-টয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এরপর ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। ৪ ডিসেম্বর শেরে বাংলায় গড়াবে সিরিজের শেষ টেস্টটি।
সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ১২ নভেম্বর থেকে অনুশীলনে নামবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। এর আগে ১০ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে বাংলাদেশের প্রাথমিক দল।
আরও পড়ুন:ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বর্তমানে তিনি মধ্যপ্রাচ্যের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে তাকে হত্যার হুমকি দেয় তেলআবিব ও ওয়াশিংটন। তবে ক্ষমতায় আসা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী নেতা হওয়াটা খামেনির পক্ষে এতটা সহজ ছিল না। তার শুরুর জীবনটা ছিল কষ্টে ভরা। দীর্ঘ আট মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল তাকে। এই সময়টিকে তিনি তার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় বলে বর্ণনা করেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের আগে শাহ রেজা পাহলভির শাসনামলে যে কারাগারটিতে তাকে বন্দি করা হয়েছিল, তা এখন এব্রাত জাদুঘর নামে পরিচিত। তেহরানের একসময়ের কুখ্যাত কারাগার এব্রাত জাদুঘর কেবল তার নৃশংস ইতিহাসের জন্যই নয়, বরং এখানে অনেক বিশিষ্ট রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব বন্দি ছিলেন বলেও পরিচিত।
কারাগারে খামেনির সময়কাল
পাহলভি শাসনের বিরুদ্ধে ইসলামী বিপ্লবী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময়ে পাহলভির গোপন পুলিশ বাহিনী ‘সাভাক’ খামেনির ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। তাকে এব্রাত জাদুঘরে সে সময়ের ‘জয়েন্ট কমিটি অ্যাগেইনস্ট সাবোটেজ’ কারাগারে ছয়বার বন্দি করে রাখা হয়। জাদুঘরের একটি সংকীর্ণ করিডোরে বন্দিদের ছবি রয়েছে, যার মধ্যে বাদামি ফ্রেমে আয়াতুল্লাহ খামেনির একটি ছবিও রয়েছে। তার নামের নিচে ফার্সি ভাষায় লেখা, আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি।
জাদুঘরটিতে একটি ছোট, আবছা আলোকিত কক্ষও রয়েছে, যেখানে খামেনিকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সেই কক্ষে কালো পাগড়ি, গোলাকার চশমা এবং বাদামি পোশাক পরা খামেনির একটি মোমের মূর্তি রয়েছে, যার তার কষ্ট ও সংকল্পের প্রতীক।
খামেনিকে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন
১৯৬২ সালে খামেনি শাহের যুক্তরাষ্ট্রপন্থি ও ইসলাম-বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে কোমে ইমাম খোমেনির নেতৃত্বে বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি মাশহাদের আয়াতুল্লাহ মিলানি এবং অন্যান্য ধর্মগুরুদের কাছে ইমাম খোমেনির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৩ সালে, তিনি প্রথমবারের মতো বিরজান্দে গ্রেপ্তার হন এবং এক রাত কারাগারে থাকেন।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে, খামেনি মাশহাদের তিনটি ভিন্ন মসজিদে কোরআন এবং ইসলামী আদর্শের ওপর ক্লাস নেন। তার বক্তৃতা, বিশেষ করে ইমাম আলীর নাহজ আল-বালাগার ওপর হাজার হাজার যুবক এবং ছাত্রকে আকৃষ্ট করেছিল। এর ফলে ১৯৭৫ সালে মাশহাদে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ষষ্ঠবারের মতো তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার বই ও নোট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এবার, তাকে তেহরানের কুখ্যাত ‘পুলিশ-সাভাক যৌথ কারাগার’ (বর্তমানে ইব্রাত জাদুঘর) এ কয়েক মাস আটক করে রাখা হয়।
ইসলামী বিপ্লবে খামেনির অবদান
খামেনির বিপ্লবী কর্মকাণ্ড শুরু হয় ১৯৬০-এর দশকে যখন তিনি ইমাম খোমেনির শিষ্য হন। তিনি শাহের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর যখন শাহের শাসনের পতন ঘটে এবং খোমেনি প্যারিস থেকে তেহরানে ফিরে আসেন তখন খামেনির ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পদমর্যাদা বৃদ্ধি পায়। তাকে উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করা হয় এবং তেহরানে জুম্মার নামাজের ইমাম হন তিনি, এই পদে এখনো অধিষ্ঠিত তিনি। এরপর ১৯৮৯ সালে, তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচিত হন।
জাদুঘরে খামেনির স্মৃতি
এব্রাত জাদুঘরে খামেনির ছবি এবং মোমের মূর্তি রয়েছে, যা শাহের শাসনামলে তার বিপ্লবী সংগ্রাম এবং কষ্টের প্রতিফলন। জাদুঘরের এক কর্মকর্তার মতে, ‘আল্লাহ খামেনিকে জাতির নেতা হিসেব নির্ধারিত করেছিলেন।’
এব্রাত জাদুঘর ভবনটি ১৯৩২ সালে নির্মিত হয়েছিল। রেজা শাহ পাহলভির নির্দেশে জার্মান প্রকৌশলীরা এটি নির্মাণ করেন। ইরানের প্রথম আধুনিক কারাগার হিসেবে এটির নকশা করা হয়, যা প্রাথমিকভাবে নাজিমিয়া কমপ্লেক্সের অংশ ছিল। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে এটি দেশের প্রথম নারী কারাগার হয়ে ওঠে। তবে, এর সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যবহার ছিল ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে মোহাম্মদ রেজা পাহলভির (দ্বিতীয় পাহলভি) রাজত্বকালে। সেসময় এটি ইসলামী বিপ্লবী আন্দোলনের বিরোধীদের আটক ও নির্যাতন করার জন্য ব্যবহৃত হত। এই সময়কালে, কারাগারটি সাভাকের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর কারাগারটির নামকরণ করা হয় ‘তোহিদ কারাগার’ এবং ২০০০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। পরে মানবাধিকার সংস্থার তদন্তের পর এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০২ সালে, ইরানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংস্থা এটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করে, যা এখন দর্শনার্থীদের সেই যুগের বর্বরতা এবং নিপীড়নের গল্প বলে।
রাশিয়া তালেবান সরকারের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে, যা দেশটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার অংশ হিসেবে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই স্বীকৃতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় নতুন গতিপ্রবাহ তৈরি করবে।
আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাশিয়ার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই সাহসী সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এখন যেহেতু স্বীকৃতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, রাশিয়া সবার আগেই এগিয়ে গেলো।
তবে রাশিয়ার এই স্বীকৃতি ওয়াশিংটনের নিকট গভীরভাবে পর্যবেক্ষণযোগ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের শীর্ষ নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সম্পদ এখনো ফ্রিজ করে রেখেছে, যার ফলে দেশটির ব্যাংকখাত আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করছে।
২০২১ সালের আগস্টে, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সরে গেলে তালেবান সরকার ক্ষমতা দখল করে। রাশিয়া তখন থেকেই এই ক্ষমতা দখলকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা বলে অভিহিত করে এবং তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেয়।
২০২২ ও ২০২৪ সালে তালেবান প্রতিনিধিরা রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ অর্থনৈতিক ফোরামে অংশ নেন। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে, তালেবানের শীর্ষ কূটনীতিক মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তালেবানকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মিত্র বলে আখ্যা দেন।
নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাষাভাষীদের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’য় উপস্থাপক হিসেবে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের অভিষেক হচ্ছে। নাম ‘ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান’। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
জায়েদ খান প্রতি শুক্রবার রাতে দর্শকদের সামনে হাজির হবেন ভিন্ন ভিন্ন অতিথি নিয়ে। প্রথম পর্বে অতিথি হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (০৪ জুলাই ) রাত ৮টায় অনুষ্ঠানটি প্রচার হয়।
টক শো সঞ্চালক হিসেবে নিজের অভিষেক প্রসঙ্গে নিউইয়র্ক থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খান বলেন, ‘এটা আমার জন্য এক নতুন যাত্রা। আমি এমন একটি অনুষ্ঠান উপহার দিতে চাই, যেখানে আমাদের সেই গল্পগুলো উঠে আসবে- যেগুলো বাস্তব, অনুপ্রেরণাদায়ক এবং চেতনাকে নাড়া দেওয়ার মতো।’
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন এই ঢালিউড তারকা। হলিউডে সিনেমা করার বিষয়েও পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।
বলা দরকার, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে টিক্কা খানের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন জায়েদ খান। কয়েক সেকেন্ড পর্দায় দেখা গিয়েছিল তাকে। তার জন্য বরাদ্দ ছিল একবাক্যের একটি সংলাপ। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি। জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। চলতি বছরের শুরুতে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ হোসেন। এতে আরও অভিনয় করেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন ও পাপিয়া মাহি।
নারী ফুটবলে বুধবার (০২ জুলাই) বড় এক সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম বারের মতো নিশ্চিত হয়ে গেছে এশিয়া কাপে অংশগ্রহণ। এবার বাংলাদেশ সুখবর পেল হকি থেকেও। অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই হারিয়ে দিয়েছে হংকংকে। শুরু থেকে দাপট ধরে রেখে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে কোচ মউদুদুর রহমানের শিষ্যরা।
চীনের দাজু হকি ট্রেইনিং সেন্টারে বুধবার (০২ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় হংকংয়ের। শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম কোয়ার্টারে অবশ্য গোলের দেখা পায়নি দলটা।
গোলের দেখা মিলেছে ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে। ২০ মিনিটে দ্বীন ইসলাম পেয়ে যান ফিল্ড গোল। ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পরের দুটি গোলই এসেছে পেনাল্টি কর্নার থেকে। ২৬ মিনিটে আবারও গোলের খাতায় নাম লেখান দ্বীন ইসলাম।
৪৩ মিনিটে ওই পেনাল্টি কর্নার থেকেই আবারও গোল পায় বাংলাদেশ। এবার লক্ষ্যভেদ করেন হাসান অমিত। তাতেই হংকংয়ের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে যায়। বাংলাদেশ শেষে মাঠ ছাড়ে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে। দুই গোল করে ও দারুণ খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা জেতেন দ্বীন ইসলাম।
বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে আছে পুল ‘এ’-তে। এই পুলে বাংলাদেশের গ্রুপসঙ্গী হংকং ছাড়াও আছে স্বাগতিক চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। দ্বীন ইসলামদের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আগামী ৫ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩-৩০ মিনিটে এই লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ।
চীনে একই সময়ে মাঠে গড়াচ্ছে নারী অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপও। সেখানেও বাংলাদেশ খেলছে। আগামী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় জাপানের মুখোমুখি হবে দলটি।
এএফসি উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এবার ঋতুপর্ণাদের শিকার ফিফা র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমার।
ইয়াঙ্গুনের থুউন্না স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচের প্রথমার্ধে ঋতুপর্ণা চাকমার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৭১ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেই ঋতুপর্ণাই। মিয়ানমার যদিও শেষ দিকে ১ গোল শোধ করেছে, তাতে বাংলাদেশের জয় আটকায়নি। ম্যাচটা ২-১ গোলে জিতে এশিয়ান কাপের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল মেয়েরা। ৫ জুলাই গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে না হারলেই প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠে যাবে পিটার বাটলারের দল।
মিয়ানমারের ঘরের মাঠে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে স্বাগতিক দর্শকদের গর্জনে প্রকম্পিত থাকে থুউন্নার গ্যালারি। কিন্তু সেই গর্জনও থামাতে পারেনি বাংলাদেশকে। ১৮ মিনিটে পুরো স্টেডিয়ামকে স্তব্ধ করে দেন ঋতুপর্ণা, বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ১-০ গোলে। বিরতিতে যাওয়ার আগপর্যন্ত স্কোরলাইন সমান করার অনেক চেষ্টা করেও পারেনি মিয়ানমার, উল্টো বিরতির পর ঋতুপর্ণার চোখধাঁধানো শটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।
প্রথমার্ধে একটু এলমেল ছিল বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। ম্যাচের ১১ ও ১২ মিনিটে দুবার বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে আক্রমণ শাণায় মিয়ানমার। দুটি আক্রমণই পোস্ট ছেড়ে রুখে দেন গোলকিপার রুপনা চাকমা। এর মধ্যে ১৭ মিনিটে ড্রিবল করে ডি-বক্সে ঢোকার পথে ফাউলের শিকার হন শামসুন্নাহার জুনিয়র। তাতেই ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে সেই ফ্রি-কিক থেকে বাঁপায়ের নিখুঁত শটে মিয়ানমারের জালে বল জড়ান ঋতুপর্ণা। প্রথম দফায় ঋতুপর্ণার শট প্রতিপক্ষের রক্ষণে লেগে ফিরে আসে, ফিরতি শটে পোস্টের কোনাকুনি দিয়ে বল জালে পাঠান এই ফরোয়ার্ড।
১ গোলে এগিয়ে থাকার পর আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। ২৩ মিনিটে পেয়ে যায় গোলের আরেকটি সুযোগ। কিন্তু বাঁ-প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠার পর ঋতুপর্ণার ক্রসে শট নিলেও বল পোস্টে রাখতে পারেননি শামসুন্নাহার জুনিয়র। মিয়ানমারও থেমে ছিল না। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ করে। ৩৫ মিনিটে অফসাইডের ফাঁদে না পড়লে স্কোর সমান হয়ে যেত। এর এক মিনিট পর বাংলাদেশের ছেঁড়া রক্ষণের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় মিয়ানমার। আর ৪২ মিনিটে ফ্রি-কিক পাওয়া মিয়ানমার তিন-তিনবার বাংলাদেশের গোলমুখে শট নিয়েও লক্ষ্যে বল পৌঁছাতে পারেনি।
বিরতির পর আরও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করে মিয়ানমার। ৫৭ ও ৫৮ মিনিটে স্বাগতিক দলের দুই আক্রমণ রুখে দেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ৬০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে আশা জাগালেও গোলদাতা ঋতুপর্ণার শট খুঁজে পায়নি কাঙ্ক্ষিত নিশানা। এরপর ৬৫ মিনিটে কর্ণার পায় বাংলাদেশ, তবে সেই কর্ণার থেকে আশানুরূপ সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি অতিথিরা। ৭১ মিনিটে আরও একবার মিয়ানমার দেখে ঋতুপর্ণার ঝলক। এবার প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে পেনাল্টি বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে বাঁপায়ের শটে দারুণ এক গোল পেয়ে যান ঋতুপর্ণা। বাঁক খেয়ে জালে ঢুকে যাওয়া সেই শট চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না প্রতিপক্ষ গোলকিপার মিয়ো মায়ার। দেরিতে হলেও ১ গোল শোধ করে মিয়ানমার। ৮৯ মিনিটে বাংলাদেশের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোলটা করেন উইন উইন।
আগামী ১৩ আগস্ট বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের। সূচি অনুযায়ী খেলার কথা ছিল তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
প্রায় দুই মাস আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল এই দ্বিপক্ষীয় সিরিজের দিনক্ষণ। কিন্তু সব পরিকল্পনা আপাতত অনিশ্চয়তার মুখে। কারণ, এখনো ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সফরের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি বিসিসিআই।
দিল্লির একাধিক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণেই বাংলাদেশ সফর নিয়ে ইতস্তত করছে ভারত সরকার। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের দাবি, বর্তমান কূটনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ সফর কোনো ইতিবাচক বার্তা দেবে না, এমন ভাবনা থেকেই সফরে সম্মতি দিচ্ছে না দিল্লি।
এই অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ ১৭ আগস্ট থেকে মিরপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, সিরিজটি আয়োজন হওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। সূচি অনুযায়ী সিরিজটি শেষ হওয়ার কথা ৩১ আগস্ট, আর ১ সেপ্টেম্বর ভারত দলের বাংলাদেশ ত্যাগের কথা। কিন্তু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার মতে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ঘিরে বাংলাদেশের এক সাবেক সামরিক কর্মকর্তার বিতর্কিত মন্তব্য, সফর অনিশ্চয়তার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ওই মন্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দ্রুত সাড়া দিয়েছিল। তারা স্পষ্ট জানায়, সাবেক কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তবু ভারতীয় প্রশাসনের অনীহা কাটেনি।
ভারতের আরেকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিসিসিআই শুরু থেকেই অনাগ্রহী ছিল। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে তারা। আর সেই উদ্বেগের কারণে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ ছাড়া বিসিসিআই এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সিরিজটি পূর্ব নির্ধারিত সময়েই আয়োজন করতে চাইছি। তবে ভারত যদি আগস্টে সফরে না আসে, তাহলে ভবিষ্যতের ফাঁকা সময়ে সিরিজটি আয়োজনের চেষ্টা করা হবে। ’ তিনি আরও জানান, ‘সফর নিয়ে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং শুধু বাংলাদেশ নয়, আরও কয়েকটি সফরের ক্ষেত্রেও ভারত সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ’
তবে বাস্তবতা বলছে, সফর পিছিয়ে গেলে ২০২৫ সালের মধ্যে আর সিরিজ আয়োজনের সুযোগ পাওয়া কঠিন। কারণ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি। এরপর অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড সিরিজ। ডিসেম্বরে বিপিএল, আর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
সব মিলিয়ে ভারত সফর না করলে, ঘরের মাঠে ভারতকে পাওয়া বাংলাদেশের জন্য এ বছর আর সম্ভব হচ্ছে না বললেই চলে। এখন দেখার বিষয়, কূটনৈতিক টানাপড়েনের এই আবহে বিসিসিআই আদৌ সরকারের অনুমোদন আদায় করে সফরের দিনক্ষণ ঠিক রাখতে পারে কি না।
বাংলাদেশের ৩২তম ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসেবে ৫০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজে আজ কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে ক্যারিয়ারের ৫০তম ম্যাচ খেলতে নামেন শান্ত।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আবু ধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয় শান্তর। এরপর ৪৯ ম্যাচের ৪৮ ইনিংসে ৩ সেঞ্চুরি ও ১০ হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৪ দশমিক ৭৭ গড়ে ১,৫৬৫ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে আয়ারল্যান্ড-আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।
২০২৪ সালের মার্চে চট্টগ্রামে শ্রীলংকার বিপক্ষে অপরাজিত ১২২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। শান্তর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ।
শান্তর আগে বাংলাদেশের হয়ে ৩১জন ক্রিকেটার ৫০ বা তার বেশি ওয়ানডে খেলেছেন। দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ২৭৪ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। গত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন মুশি।
মন্তব্য