বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে স্কটল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে টাইগারদের সামনে ১৪০ রানের পুঁজি সংগ্রহ করেছে তারা।
ওমানের আল এমিরেটস ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে স্কটল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। স্পিন নির্ভর বাংলাদেশ এদিন খেলতে নামে তিন পেইসার নিয়ে।
ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি স্কটল্যান্ডের। দলীয় ৫ রানেই সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
দ্রুত উইকেট পতনে বিপর্যয় এড়াতে দলকে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন জর্জ মানসি। সঙ্গে নেন ম্যাথিউ ক্রসকে।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ক্রসকে ফেরান মাহেদী তার স্পিন ভেল্কিতে। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
সেই ওভারের শেষ বলেই মানসিকে সাজঘরে পাঠান মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন এই স্পিনারের বলে।
এরপর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিব ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেলেন টি-টোয়েন্টিতে লাসিথ মালিঙ্গার করা ১০৭ উইকেটের রেকর্ড।
এক বল পরই মাইকেল লিস্ককে সাজঘরে ফিরিয়ে বাঁহাতি অলরাউন্ডার নাম লেখান টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হিসেবে।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে সাময়িক সময়ের জন্য কাবু হয়ে পড়ে স্কটল্যান্ড।
সেই বিপর্যয় সামলে উঠে টাইগার বোলারদের ওপর মারমুখী হয়ে ওঠেন ক্রিস গ্রেভস ও মার্ক ওয়াট।
১৭ বলে ২২ করে ওয়াট থামলেও আক্রমণ আব্যাহত রাখেন গ্রেভস। টেনে নিয়ে যেতে থাকেন দলকে বড় সংগ্রহের দিকে।
২৮ বলে ৩৫ করা গ্রেভস ফিজের বলে সাকিবের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে। কিন্তু ততক্ষণে বড় সংগ্রহ করে ফেলেছে স্কটল্যান্ড। গ্রেভসকে ফিরিয়েই পরের বলে ফিজের দুর্দান্ত এক ফুল লেংথের বলে বোল্ড হন জশ ডেভি।
শেষতক ৯ উইকেটের খরচায় ডমিঙ্গোর শিষ্যদের সামনে ১৪১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে মাঠ ছাড়ে স্কটিশরা।
বাংলাদেশের হয়ে ১৯ রানের খরচায় তিন উইকেট নেন মাহেদী হাসান। দুটি করে উইকেট পান সাকিব ও মুস্তাফিজ। আর একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরেন তাসকিন ও সাইফউদ্দিন।
আরও পড়ুন:Scotland post a score of 140/9 in their 20 overs 🏏
— T20 World Cup (@T20WorldCup) October 17, 2021
Can Bangladesh chase this down? #T20WorldCup | #BANvSCO | https://t.co/zPRN3SpDCs pic.twitter.com/sqNUTTAADU
অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ নারী দল।
বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ১১৮ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ উইকেটে হেরেছিল টাইগ্রেসরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো দ্বিপাক্ষীক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নেমেই হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেল নিগার সুলতানার দল। এই প্রথমবার ঘরের মাঠে প্রথম কোন ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগ্রেসরা। তবে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে তিন ম্যাচের সিরিজে এই নিয়ে তৃতীয়বার হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ। এর আগে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের কাছে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলো টাইগ্রেসরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে সিরিজে প্রথমবার টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সুমাইয়া আকতার। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ৫ রান করা ফারজানা হক।
৮ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মুরশিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু ২৮ বলে ১৬ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। ২১ বলে ১টি চারে ৮ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন মুরশিদা।
১১তম ওভারে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পাঁচ নম্বরে নামা রিতু মনি ১ ও ফাহিমা খাতুন খালি হাতে বিদায় নেন। এতে ৩২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় দলকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন নিগার ও স্বর্ণা আকতার। সাবধানে জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন তারা।
কিন্তু দলীয় ৫৩ রানে বিচ্ছিন্ন নিগার ও স্বর্ণা। ২টি চারে ৩৯ বলে ১৬ রান করেন নিগার। জুটিতে ৩৯ বলে ২১ রান যোগ করেন নিগার ও স্বর্ণা।
এরপর ১০ রানের ব্যবধানে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে যাবার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৬৩ রানে নবম উইকেট পতন হয় তাদের। কিন্তু দশম উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের উপর চড়াও হন শেষ দুই ব্যাটার সুলতানা খাতুন ও মারুফা আকতার। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১শর রানের এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সুলতানা আউট হলে ৮৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। শেষ উইকেটে ২২ বল খেলে ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬ রানের জুটি গড়েন সুলতানা-মারুফা। ২টি চারে ১০ রানে সুলতানা আউট হলেও ১টি বাউন্ডারিতে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফা। অস্ট্রেলিয়ার কিম গ্যারেথ ১১ রানে ও অ্যাশলে গার্ডনার ২৫ রানে ৩টি করে উইকেট নেন।
৯০ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ বল বাকী রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া নারী দল। নবম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট শিকার করেন অফ-স্পিনার সুলতানা। ফোবি লিচফিল্ডকে ১২ রানে আউট করেন সুলতানা। ১৩তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ৩৩ রানে আউট করেন লেগ-স্পিনার রাবেয়া খান। তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত করেন এলিসা পেরি ও বেথ মুনি। পেরি ২৭ ও মুনি ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের সুলতানা ও রাবেয়া ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন গ্যারেথ ও সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেন গার্ডনার।
সিরিজটি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ ছিলো। এখন অবধি ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। সমানসংখ্যাক ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তমস্থানে আছে বাংলাদেশ। আগামী ৩১ মার্চ থেকে মিরপুরের ভেন্যুতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকছেন না হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ব্যক্তিগত কারণে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন তিনি।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়ে বিসিবি জানায়, দ্বিতীয় টেস্টে হাথুরুসিংহের পরিবর্তে দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী কোচ নিক পোথাস।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারলেও ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। এরপর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
আগামী ৩০শে মার্চ চট্টগ্রামে মাঠে গড়াবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্টের জন্য দলে ডাক পেয়েছেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই টেস্টে দলে ফিরছেন সাকিব আল হাসান, ফেরানো হয়েছে পেসার হাসান মাহমুদকেও।
সাকিব ফেরায় কপাল পুড়েছে তৌহিদ হৃদয়ের। ফলে লাল বলের ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষাটা তার আরও দীর্ঘ হচ্ছে।
আগামী ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম ম্যাচে শোচনীয় হারের পর সাকিব দলে ফেরায় তাই দলের আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও বাড়বে।
গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সাকিব। এরপর বিশ্রাম ও চোটের কারণে প্রায় এক বছর সাদা পোশাকে মাঠে নামা হয়নি তার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজেও বিশ্রামে ছিলেন এ অলরাউন্ডার।
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে সাকিবের পরিসংখ্যানটা দারুণ। এই ফরম্যাটে ৯ টেস্ট ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৮.১৮ গড়ে ৬১১ রান করেছেন সাকিব। এছাড়া বল হাতে নিয়েছেন ৩৮ উইকেট।
এ ছাড়াও দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার মুশফিক হাসান। প্রথম ম্যাচে না খেললেও চট্টগ্রাম টেস্টের আগে চোটে পড়েছেন তিনি। গোড়ালির চোটের কারণে তিনি ছিটকে যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন হাসান মাহমুদ।
চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, লিটন দাস, মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, শাহাদাত হোসেন দিপু, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
আরও পড়ুন:সিলেটে শুক্রবার শুরু হওয়া টেস্টের এক দিন বাকি থাকতেই শোচনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
শ্রীলঙ্কার দেয়া ৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিন সোমবার পার না হতেই ৩২৮ রানে হেরেছে স্বাগতিকরা।
সফরকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ শিবিরে ধস নামান কাসুন রাজিথা, যিনি ১৪ ওভার বল করে ৫৬ রান খরচায় তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। এ ছাড়া বিশ্ব ফার্নান্দো তিনটি ও লাহিরু কুমারা পান দুটি করে উইকেট।
টস হেরে প্রথম ইনিংসে আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা করেছিল ২৮০ রান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ধনঞ্জয় ডি সিলভার ১০২ রানের পর দ্বিতীয়টিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৮ রান। দলের টেস্ট অধিনায়কের জোড়া এ শতকের সুবাদে দুই ইনিংসেই রানের ভিত মজবুত করার সুযোগ পায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪১৮ করে পাঁচ শর বেশি রানের লিড নিয়ে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে শ্রীলঙ্কা।
দলটির দেয়া বিশাল এ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ইনিংসের চেয়ে কম ১৮২ রান করে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম টেস্টে পরপর দুই সেঞ্চুরি করে দলের জয়ে মূল ভূমিকা রাখা ধনঞ্জয় ডি সিলভা হয়েছেন প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ।
আরও পড়ুন:সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল সংগ্রহ করতে না পারলেও এরই মধ্যে আড়াই শর বেশি রানের লিড নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচের তৃতীয় দিন রোববার এ প্রতিবেদন লেখার সময় ৫১ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে সফরকারী দলটি।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের চাকা। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দুই শর আগেই স্বাগতিকদের সব উইকেট তুলে নেয়া শ্রীলঙ্কা লিড পায় ৯২ রানের, তবে প্রায় ১০০ রানে এগিয়ে থাকা দলটি দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ব্যাটিংয়ে দাপট দেখাতে পারেনি।
দলীয় ১৯ রানে নিশান মাদুশকা আউট হওয়ার পর ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। এ ছাড়া ৬০ রানের মাথায় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও ৬৪ রানের সময় প্যাভিলিয়নে ফেরেন দিনেশ চান্ডিমাল।
এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন দিমুথ করুণারত্নে। তার ৫২ রানের সুবাদে ধীরে ধীরে রান বাড়তে থাকে শ্রীলঙ্কার। এর সঙ্গে অপরাজিত দুই ব্যাটার ধনঞ্জয় ডি সিলভার ৫৪ ও কামিন্দু মেন্ডিসের ২৫ রান লিড বাড়াচ্ছে সফরকারীদের।
এর আগে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা।
আরও পড়ুন:সিলেট টেস্টে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কার করা ২৮০ রানের জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান করেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের প্রথম দিন শুক্রবার ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার দ্বিতীয় দিন শুরু করে স্বাগতিকরা। মাঠে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ব্যাটাররা।
চতুর্থ উইকেটে দলীয় ৫৩ রানে মাহমুদুল হাসান জয়ের পতনের পর লিড নেয়ার মতো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
তাইজুল ইসলামের ৪৭ ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি কেউই। এর ফলে ৯২ রানে পিছিয়ে থেকেই প্রথম ইনিংসে থামতে হয় টাইগারদের।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বিশ্ব ফার্নান্দো চারটি এবং কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা তিনটি করে উইকেট পান।
সিলেট টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেট হাতে রেখে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু করল বাংলাদেশ।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু হওয়া প্রথম টেস্টে শুক্রবার টস জিতে বোলিং নেয় টাইগাররা। দ্বিতীয় ওভারে খালেদ আহমেদের করা ষষ্ঠ বলেই প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে আটকে দিলেও শুক্রবার শেষ বিকেলে তিন উইকেট খুইয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ৩২ রান তুলেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। ফলে ২৪৮ রানে পিছিয়ে শান্ত অ্যান্ড কোং।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যক্তিগত ২ রান করে মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার নিশান মদুশকা, যার মধ্য দিয়ে বেকথ্রু পায় স্বাগতিকরা।
বোলিংয়ে বাংলাদেশের এ সাফল্য অব্যাহত থাকে পঞ্চম উইকেট পর্যন্ত। মদুশকাকে ফেরানোর পর ১৭ রান করা দিমুথ করুণারত্নে ও ১৬ রান নেয়া কুশল মেন্ডিসের উইকেটও শিকার করেন খালেদ।
দলীয় ৪০ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ৪১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় শ্রীলঙ্কার। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরতে পারেননি বাকি দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
শান্তর হাতে রান আউট হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৫ রান। শ্রীলঙ্কা ততক্ষণে ৪৭ রানে হারায় চারটি উইকেট।
ম্যাথিউসকে হারানোর পর ১০ রান তুলে ফের উইকেট খোয়ায় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় শরিফুল ইসলামের বলে মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ৯ রান নেয়া দিনেশ চান্ডিমালকে।
শুক্রবারের ম্যাচের সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৬৮ ওভারে ২৮০
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১০ ওভারে ৩২/৩
আরও পড়ুন:
মন্তব্য