বড় অঘটন দিয়েই বাছাইপর্ব শুরু হলো বাংলাদেশের। আইসিসির সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হেরে গেছে মাহমদুল্লাহর দল। ১৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেটে ১৩৪ রানের বেশি করতে পারেনি সাকিব-মুশফিকরা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।
‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।
‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।
‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।
আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।
সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।
সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
সোমবার মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়েছে।
আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে হারায়। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওয়ায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।
অর্ধেক ওভার মাঠে গড়ানোর আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারিয়ে বসে। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।
ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির। ১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন।
এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২৫ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। ১৭ রানের বেশি নিতে পারেননি। মাহেদী হাসান ও সাইফউদ্দিন। দুটি বাউন্ডার ও একটু ছক্কা হাঁকালেও জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। হার মানতে হয় ছয় রানে।
শেষ ভরসা হিসেবে উইকেটে টিকে থাকা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বিদায়ে হার এখন অনেকটাই নিশ্চিত বাংলাদেশের। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ২৩ রান করে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশের সংগ্রহ সাত উইকেটে ১১৭।
১৪১ রান তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দল। ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে আফিফ হোসেন আউট হন ১৮ রান করে। ম্যাচ জিততে ১৫ বলে ৩৫ রান চাই বাংলাদেশের।
৪৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে সামাল দেওয়ার পর বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি মুশফিকুর রহিমও। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে ক্রিস গ্রিভসের বলে বোল্ড হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৮। বাংলাদেশের সংগ্রহ চার উইকেটে ৭৫।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে সামাল দেয়া সাকিব-মুশফিক জুটি ভাঙ্গতে সমর্থক হয়েছে স্কটল্যান্ড। ইনিংসের ১২তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ক্রিস গ্রিভসের বলে আউট হন সাকিব। ২৮ বলে ২০ রান আসে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৭১ রান।
১৮ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তৃতীয় উইকেটে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৪১ রানের জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান। তাদের জুটিতে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৯।
দুই ওপেনারকে দ্রুত হারানোর পর দেখেশুনে খেলছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৪১ রান তাড়া করছে টাইগাররা। উইকেটে আছেন দুই অভিজ্ঞ তারকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ২৫।
সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ টেকেননি তার ওপেনিং পার্টনার লিটন দাসও। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ব্র্যাড হুইলের পাঁচ রান করে আউট হন লিটন। বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেটে ১৮।
স্কটল্যান্ডের দেয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে পাঁচ রান করে আউট হন তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ এক উইকেটে আট রান।
শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে ১৪১ রানের টার্গেট দিয়েছে স্কটল্যান্ড। শেষ ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর নির্ধারিত ওভারে নয় উইকেটে ১০৪ রান সংগ্রহ করে স্কটিশরা।
স্কটল্যান্ডের শেষ ওভারে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে স্কটল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। জশ ডেভি ও ক্রিস গ্রিভসকে হারিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন দ্য ফিজ
৫৩ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর কিছুটা সামলে নিয়েছে স্কটল্যান্ড। ১০০ রান ছাড়াতে আর উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১০৪ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। তাসকিনের বলে ২২ করে ফেরেন মার্ক ওয়াট।
শুরুতে মারমুখী থাকলেও বাংলাদেশের দুই স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসানের স্পিনে কাবু স্কটল্যান্ড। এক উইকেটে ৩৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করা স্কটিশদের সামনে শত রান ছোঁয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। ১৫ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৮৭
ম্যাচের একাদশ ওভারে জোড়া আঘাত করে স্কটল্যান্ডকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে তিনি ফেরান রিচি ব্যারিংটনকে। এক বল পরই আউট করেন মাইকেল লিস্ককে। পরের ওভারে মাহেদী হাসান ক্যালাম ম্যাকলয়েডকে আউট করেন।
পাওয়ার প্লের শেষে স্কটল্যান্ড আক্রমণাত্মক ব্যাট করা শুরু করলেও মাহেদী হাসানের জোড়া আঘাতে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানের কিপ্টে বোলিং স্কটল্যান্ডকে স্কোর বড় করতে দেয়নি প্রথম ১০ ওভারে। ইনিংসের অর্ধেক শেষে স্কটিশদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৫১।
ক্রসকে ফেরানোর চার বল পরই জর্জ মানসিকে আউট করেন মাহেদী। ২৩ বলে ২৯ করা মানসি বোল্ড হন মাহেদীর বলে।
বিপজ্জনক হতে থাকা ম্যাথিউ ক্রসকে আউট করেছেন মাহেদী হাসান। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে টাইগার স্পিনারের বলে ১১ রান করে আউট হন ক্রস।
পাওয়ার প্লেতে এক উইকেটের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ড অধিনায়ক কাইল কোয়েটজারের উইকেট হারিয়ে প্রথম ছয় ওভার শেষে করেছে ৩৯ রান।
স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তিন পেইসার খেলানোর সুফলটা পেল বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে মাত্র চার রান দেন তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের ওভারটি ছিল মেইডেন। তৃতীয় ওভারের শেষ বলে চাপ বজায় রাখার সুফল পায় টাইগাররা। সাইফউদ্দিনের বলে শূন্য রানে বোল্ড হন স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক কাইল কোয়েটজার।
মন্তব্য