বিসিবি নতুন পরিচালক পর্ষদের নতুন মুখ ইফতেখার রহমান মিঠু। সাবেক এই ক্রিকেটার ও বর্তমানে ক্রিকেট সংগঠক ঢাকার ক্লাব পাড়ায় পরিচিত নাম প্রায় তিন দশক ধরে। লাইমলাইটে খুব একটা না থাকলেও, প্রথমবার নির্বাচন করে সাফল্যে পেয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন।
ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত মিঠু। বিসিবিতে জায়গা করে নেয়ার পর সেদিকটাতেই নজর থাকতে বেশি এমনটাই জানালেন নিউজবাংলাকে। নির্বাচনের পর কোনো সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে প্রথম বিস্তারিত আলাপচারিতায় মিঠু কথা বলেছেন ক্লাব ক্রিকেট ছাড়াও ঢাকা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা দিক নিয়ে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য তার সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
প্রথমবার নির্বাচন করেই সফলতা। নির্বাচনের আগে কি কোনো শঙ্কা ছিল জয় নিয়ে?
নির্বাচনে সবসময়ই ভয় থাকে। দুশ্চিন্তা একটা থাকেই। আমার আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমি ক্লাবের একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে যেহেতু এসেছি আর আমার বন্ধু বান্ধবরা যারা কাউন্সিলর, তারাও বিভিন্ন ক্লাব থেকে এসেছেন। সে দিক থেকে নিজেকে একটু এগিয়ে রেখেছিলাম।
আমি ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে জড়িত অনেক বছর। ১৯৯৫ সাল থেকে নানা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করেছি। বোর্ডের পরিচালক না হলেও বোর্ডের কার্যকলাপে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলাম। তাই খুব একটা চ্যালেঞ্জিং লাগছে না। একটাই পরিবর্তন এসেছে। আগে কারো অধীনে ছিলাম, এখন আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি।
একজন বোর্ড পরিচালক হিসেবে ক্রিকেটের কোন বিষয়গুলো আপনার কাছে অগ্রাধিকার পাবে?
আমার প্রথম পরিচয় হচ্ছে আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার। আমরা যারা বোর্ড পরিচালক রয়েছি, আকরাম আছে, সুজন আছে, মাহবুব আছেন সবারই প্রধান লক্ষ্য ক্রিকেটের উন্নতি করা।
যখন ক্রিকেট খেলতাম ৯০-এর দশকে, তখন ক্লাব ক্রিকেট খুব জনপ্রিয় ছিল। আবাহনী-মোহামেডান ক্রিকেট ম্যাচে তখন ৬০ হাজার লোক হতো। সেই উন্মাদনা এখন আর নেই। ব্যক্তিগতভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশি কাজ করে একে আরও জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা করব।
সৌরভ গাঙ্গুলির বিসিসিআই থেকে বিসিবির ক্রিকেট উন্নয়নে কতোটা সমর্থন আপনি বন্ধু হিসেবে আশা করেন?
দেখেন সৌরভ আমার ছোটবেলার বন্ধু। সে এখন ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। তার নিজের কিছু প্রফেশনাল বিষয় আছে। তার বাইরে বন্ধু হিসেবে যতটুকু সাহায্য করতে পারবে লিমিটেশনের ভেতর থেকে সেটাই করবে। আমি মনে করি বন্ধু হিসেবে তার থেকে সেটি আমি আদায় করে নিতে পারব।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের শক্তিশালী কাঠামো থেকে কোন বিষয়গুলো আমরা নিজেদের ক্রিকেটে ব্যবহার করতে পারি?
তাদের উপদেশ, তারা যেই পরিকল্পনা করেছে সেগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি।
ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতিতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বলে আপনি মনে করেন?
আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট একটা দারুণ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি করতে না পারলে সেটির পরিধি বাড়ানো সম্ভব হবে না। ক্রিকেটের উন্নয়ন করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতি করতে হবে। তাতে খেলোয়াড়রা বের হয়ে আসতে পারবে। অবকাঠামোর অনেক বেশি উন্নতি করতে হবে। আমাদের খেলার মাঠ কম। তবে ভালো খবর হচ্ছে সভাপতি প্রথম সভাতে বলে দিয়েছেন যে আমাদের খেলার মাঠ তৈরি করতে।
জনপ্রিয়তা ফেরাতে হলে ভালো মাঠে খেলানো, ভালো কোয়ালিটির লোকাল ও বিদেশি প্লেয়ারকে খেলাতে হবে। সবচেয়ে জরুরি যেই বিষয়টা যথার্থ সূচী যদি করা সম্ভব হয়, যেমন ধরুন গরমে (জুন-জুলাইয়ে) খেলা না ফেলে যদি একটা গ্যাপ বের করে বিদেশি ট্যুরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভালো একটা সময় বের করা যায়, তাতে জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে তারকা খেলোয়াড়দের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না?
বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার যেই ১৫-১৬ জন আছেন তাদের কিন্তু ফুল টাইম কখনও পাওয়া যাবে না। কারণ আইসিসির একটা সূচি রয়েছে। এটা সবসময়ই আমাদের সমস্যা ছিল। এফটিপিতে যদি খেলা কম থাকে তাহলে তাদের অংশগ্রহণ বেশি হয়। বিপিএলে আপনি পান কেন? বিপিএল১৫ দিনের একটা স্লটে খেলা হয়। ডিপিএলের কথা যদি বলেন, সেটি হয় দুই-তিন মাস জুড়ে। তাই স্বভাবতই তিন মাস ধরে আপনি জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে পাবেন না।
ঘরোয়া ক্রিকেটের গুরুত্ব ফিরিয়ে আনতে আর কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে বলে মনে করেন?
আমরা সবাই চাচ্ছি ঘরোয়া ক্রিকেটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে। তার জন্য প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হলো সূচি নির্দিষ্ট করতে হবে। জুন-জুলাইয়ের পরিবর্তে যদি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে আয়োজন করা যায়, লোকজন কিছুটা হলেও উৎসাহী হবে। কারণ কেউ জুন-জুলাইয়ের গরমের ভেতর, বৃষ্টির ভেতর বসে খেলা দেখতে চায় না। তাই এটা শীতকালে করতে পারলে প্রিমিয়ার লিগে আগ্রহ চলে আসবে।
সেই সাথে মাঠ বাড়াতে হবে। এরপর ক্রিকেটারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দেয়া, দলগুলোকে মোটিভেট করা, খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ অনেক কিছু আছে। এটা শুধু ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব না, এখানে আন্তরিকতা থাকতে হবে ক্লাব মালিকদেরও। সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব কোনটা ভালো হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নতিতে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের টিভি সম্প্রচার বাড়ানো সম্ভব কি না?
এটা একটা দুর্দান্ত কথা বলেছেন। সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে বসে, কোচ ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসে আমরা যদি মতবিনিময় করতে পারি তাহলে এমন আরও দুর্দান্ত মত উঠে আসবে। প্রতিদিন যদি কোনো রেডিও বা টিভিতে খেলার কমেন্ট্রি সম্প্রচার হয়, সংবাদমাধ্যমগুলো যদি খেলাগুলোকে আরও বেশি কাভারেজ দেয় তাহলে মানুষের আগ্রহ বাড়বে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবব। একই সঙ্গে আমাদের দেখতে হবে খেলা সম্প্রচারের সম্ভাবনা কেমন। খেলা সম্প্রচার কিন্তু সহজ বিষয় না।
প্রথমে আমরা দুটো ম্যাচ করলাম। আস্তে আস্তে সম্প্রচারের পরিধি বাড়ালাম। শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামটা যখন হয়ে যাবে তখন দুটো স্টেডিয়ামে আমরা ম্যাচ ফেলতে পারব। সুযোগ সুবিধা দিতে পারব। ম্যাচও ব্রডকাস্ট করতে পারব। ঘরোয়া ক্রিকেট ব্রডকাস্ট করতে পারলে সেটির জনপ্রিয়তা অবশ্যই বাড়বে।
আম্পায়ারিং নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগে অনেক বিতর্ক হয়। আছে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও, কীভাবে মোকাবিলা করবেন?
প্রথম দিনের সংবাদসম্মেলনে আমাদের বোর্ড সভাপতি খুব ভালো একটা কথা বলেছেন। কেন চাপ দেয়া হয় আম্পায়ারকে, সেটা বের করতে হবে। চ্যাম্পিয়ন দলসহ চার-পাঁচটা দল ছিল, সেসব ম্যাচে চাপ তৈরি হতো। কারণ তারা রেলিগেশনে চলে গেলে বেশ সিরিয়াস ইস্যু তৈরি হত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগের কোনো কাউন্সিলরশিপ নেই। সব লিগে যখন কাউন্সিলরশিপ চলে যাবে তখন কিন্তু এমনিতেই আম্পায়ারিংয়ে চাপ কমে যাবে।
সেই সঙ্গে আমাদের আরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সাবেক খেলোয়াড়রা যত আসবেন, আম্পায়ারিংয়ের মান ততো উন্নত হবে।
আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে কোন অবস্থানে দেখতে চান?
এখন আমরা সাত নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে আছি ওয়ানডেতে। আমাদের লক্ষ্য পাঁচ অথবা চারে যাওয়ার। টেস্টে একদম নিচে আছি। সেখান থেকে দুই ধাপ উঠে আসা। টেস্টে দুই ধাপ উন্নতি কিন্তু বিশাল ব্যপার। আমার নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হচ্ছে ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট ও লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেটের যেন আরও উন্নতি করা যায়।
বাংলাদেশ আগামী ১০ বছরে দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায়, প্রশাসনিক ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে কতখানি প্রস্তুত বিসিবি?
আমরা ২০১১ বিশ্বকাপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছি। ২০১৪ সবগুলো দল নিয়ে সফলভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ করেছি। এরপর এশিয়া কাপ, অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি। মোটামুটি ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অবকাঠামোর অনেক পরিবর্তন এসেছে। নতুন যে স্টেডিয়ামটা হবে, যেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে করা হচ্ছে, সেটা হয়ে গেলে অবকাঠামোর আরও উন্নতি হবে।
ঢাকার বাইরে ফতুল্লা ও খুলনার মতো আন্তর্জাতিক ভেন্যুগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি?
আমাদের জাতীয় দলকে দিয়ে এ সব জায়গায় খেলানো খুব কঠিন। এইসব ভেন্যুতে হোটেলের একটা সমস্যা রয়েছে। পর্যাপ্ত রুম নেই। সিলেটে মোটামুটি আছে। আপনি দেখবেন ঢাকা ও চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক খেলাগুলো হয়। আন্তর্জাতিক খেলায় হোটেলে বেশি কক্ষের প্রয়োজন হয়। টিভি ক্রু থাকে। দুটো দল ও তাদের অতিথিরা থাকেন। প্রধান দুর্বলতাটাই হচ্ছে হোটেল। দ্বিতীয় স্তরে যারা রয়েছে, এ-দল, এইচপি, অনূর্ধ্ব ১৯ তাদের খেলা অবশ্য ওই ভেন্যুগুলোতে দেয়া যায়।
এ সমস্যাগুলো জানি আমরা, তারপরও কেন সেটি সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না?
বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে মেইনটেন্যান্স। করে ফেলা যায় খুব সহজে। এর পরের মেইনটেনেন্সের বিষয়ে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। সেটির উন্নয়ন করে স্টেডিয়ামগুলোকে ব্যবহার উপযোগী করার বিষয়ে বোর্ডের হয়ে যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটের দায়িত্বে আসবেন, তার সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেয়া হবে। আমরা আসলে দিনে দিনে উন্নতি করছি। এখন আর নিচে নামার কোনো সুযোগ নেই।
নিয়মিত ক্রিকেটার হান্ট আবার চালু করার কোনো চিন্তা ভাবনা আছে কিনা?
বোর্ডের এরকম একটা পরিকল্পনা আছে। পেইসার হান্টের মতো প্রোগ্রাম আমাদের আগে ছিল। মাঝে সব কিছু নিয়ে এতো ব্যস্ততা, তাতে ওরকম প্রোগ্রামে ভাটা পড়েছে। বোর্ডের সদস্য হিসেবে আমার পরামর্শ হল, একটা লেগ স্পিনারের ক্যাম্প যদি করা যায় তাহলে সেখান থেকে ক্রিকেটার উঠে আসবে। আমরা যখন ক্রিকেট খেলতাম তখন ক্যাম্প থেকে ক্রিকেটার উঠে আসত। এখন ক্রিকেটের অবস্থা যেমনটা হয়েছে, অনেক কোচের অধীনে থেকে ভাগ হয়ে যাচ্ছে সব। সেসব ক্যাম্প থেকে সবাই আসে। আমি ব্যক্তিগতভাবে গেম ডেভেলপমেন্টের দায়িত্ব যিনি পাবেন তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত প্রার্থী বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ দিনে হঠাৎ বিসিবিতে উপস্থিত হয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন তিনি।
বুধবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খোলা হয় বিসিবির নির্বাচনী কার্যালয়। আর তামিম সেখানে উপস্থিত হন সকাল ১০টা ২০ মিনিটে।
নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়ে তামিম কিছু জানাননি তিনি। তবে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ দিয়ে আসছিলেন তিনি।
আজ দুপুর ১২টায় পরিচালক পদের প্রার্থীতা বাতিলের শেষ সময়। আর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে দুপুর ২টায়।
এই সময়ের মধ্যে তামিম ছাড়াও আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে, জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে রান আসছেই না। গল টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি। আসিথা ফার্নান্ডোর বাউন্সার বলটিকে ব্যাটের ভেতরের ধার লাগিয়ে স্টাম্পে পাঠান এনামুল, যা যেন তার চলমান দুর্দশারই প্রতীক।
মজার বিষয় হলো, এই আউট হওয়ার আগে দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফার্নান্ডোরই একটি বল স্লিপে ক্যাচ তুলে দিলেও উইকেটকিপার তা হাতছাড়া করেন। পরের বলেও একই অঞ্চলে ক্যাচের সুযোগ তৈরি হয়, কিন্তু বলটি নিচু হওয়ায় ফিল্ডাররা ধরতে ব্যর্থ হন।
এনামুলের এই সফরটা যেন ভাগ্যের সাথে লুকোচুরির খেলা। গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রানের পর এবার আবার শূন্য। ক্রিজে দাঁড়ালেই কীভাবে যেন রান না পাওয়ার অভিশাপ তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট, প্রতিটি বলই যেন তার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এমন সময়ে প্রশ্ন উঠছে, দলের ওপেনিং জুটিতে এনামুলের স্থান কতটা যৌক্তিক? নাকি দ্রুত কোনো বিকল্প খুঁজে বের করার সময় এসেছে? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ইনিংসটিই হয়তো তার জন্য শেষ সুযোগ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।
তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’
সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।
‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।
‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’
তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’
এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’
আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’
এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।
‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’
আরও পড়ুন:বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।
বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।
‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:চেক ডিজঅনার মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সাকিব আল হাসানের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান বাদীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতের পেশকার রিপন মিয়া বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে আইএফআইসি ব্যাংকের পক্ষে শাহিবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। অপর তিনজন হলেন সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের এমডি গাজী শাহাগীর হোসাইন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইমদাদুল হক ও মালাইকা বেগম।
আদালত ১৫ ডিসেম্বর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ১৯ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৯ জানুয়ারি সাকিবের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তিনি পরে এ মামলায় জামিন নেন।
আজ গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। বাদীপক্ষ সাকিবের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সাকিবের মালিকানাধীন অ্যাগ্রো ফার্ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় আইএফআইসি ব্যাংকের বনানী শাখা থেকে ঋণ গ্রহণ করে। তার বিপরীতে দুটি চেক ইস্যু করে সাকিবের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তা ডিজঅনার হয়। দুই চেকে টাকার পরিমাণ প্রায় চার কোটি ১৫ লাখ।
আরও পড়ুন:ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তামিম ইকবাল।
তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ইউএনবিকে সোমবার দুপুরে এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে বিকেএসপির পাশে ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিকেএসপি থেকে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক সবকিছুসহ তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। আমাদের কর্মকর্তা ও ক্রিকেটের প্রশিক্ষকরা ওখানে আছেন।
‘ঢাকা থেকেও টিম আসছে। আমাদের কর্মকর্তা-চিকিৎসক সেখানে আছে। বিকেএসপির মাঠে হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে। দেখি কী করা যায়।’
টাইগারদের সাবেক এ ক্যাপ্টেনের শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে জানিয়ে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘সম্ভবত একটা এনজিওগ্রাম হয়েছে। এরপর তিনি স্থিতিশীল আছেন।’
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ইকবাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমরা সবাই তার সুস্থতা কামনা করছি।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।
এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। তিনি সেখানে ভর্তি রয়েছেন।
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তামিমকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য