হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাবেক পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ইনজামাম উল হক। বুকে ব্যথা ওঠার কারণে সোমবার তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে ইনজামামের এনজিওপ্লাস্টি করানো হয়েছে।
কিছুদিন ধরেই বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন ইনজামাম। ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় সোমবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর পরীক্ষা করার পর তার হৃদযন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়ে।
ইতিমধ্যেই হার্ট অ্যাটাকও হয়েছে ইনজামামের, যার কারণেই দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
ইনজামামের এজেন্টের বরাত দিয়ে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাক করলেও বর্তমানে চিন্তার কিছু নেই। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
সুস্থ থাকলেও এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাচ্ছেন না ৫১ বছর বয়সি সাবেক এই ক্রিকেটার। আরও কিছুদিন চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকার পর তারা সিদ্ধান্ত নেবেন ছাড়পত্র দেবেন কি না।
১৯৯১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষিক্ত হয়ে জাতীয় দলের হয়ে ১৬ বছর খেলেছেন সাবেক এই ব্যাটসম্যান।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থকে অবসর নেয়ার আগে ৩৭৫ ম্যাচে ১১ হাজার ৭০১ রান তুলেছিলেন ইনজামাম। আর টেস্টে ১১৯ ম্যাচ খেলে ৮ হাজার ৮২৯ রান করেছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
খেলা থেকে অবসর নেয়ার পরও ক্রিকেট ছাড়েননি ‘ইনজি’। যুক্ত হন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে। ছিলেন পাকিস্তান দলের ব্যাটিং পরামর্শক, আফগানিস্তানের প্রধান কোচ ও পাকিস্তান ক্রিকেটের প্রধান নির্বাচকও।
আরও পড়ুন:শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে টেস্টের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ২৯২ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা। মুশফিক অপরাজিত আছেন ১০৫ রানে। আর শান্ত আছেন ১৩৬ রানে।
গতকাল মঙ্গলবার গেল সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি টাইগারদের। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ইনিংসের সূচনা করতে নামেন এনামুল হক বিজয়। ১০ বল মোকাবিলা করেও বিজয় অবশ্য রানের খাতা খুলতে পারেননি। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৫ রানে। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছিলেন সাদমান ও মুমিনুল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটিটি ৩৪ রানের চেয়ে বেশি লম্বা হাতে পারেনি। সাদমানের উইকেট পতনের মাধ্যমে জুটি ভাঙে। ৫৩ বলে ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাদমান।
তবে সাদমান বিদায় নেওয়ার পর থামতে হয় মুমিনুলকেও। ওয়ানডে মেজাজে ৩৩ বলে ২৯ রান করে দলীয় ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক। তবে দলীয় ৪৫ রানে তিন উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মুশফিকের ব্যাটিংয়ে ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
এদিন ২০২ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করেন টাইগার অধিনায়ক শান্ত। এর কিছুক্ষণ পর মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি হাঁকালেন। প্রায় ১০ মাস পর ১৭৬ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। তার শতকের কিছুক্ষণ পরই প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় বেঙ্গালুরু শহরে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।
বুধবার (৪ জুন) আইপিএল উদযাপনের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে খবরে জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএলের বিজয় উদযাপন করতে হাজার হাজার ক্রিকেটভক্ত জড়ো হয়েছিল। এতেই এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলোর ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ আহত এবং অচেতন হয়ে পড়া ব্যক্তিদের অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনা ও হতাহতের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন গ্যারি লিনেকার। ম্যারাডোনার কারণে ওই বিশ্বকাপে আলোর নিচে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডের বিস্তৃত ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার লিনেকার। ফুটবলের মাঠ থেকে সরে গিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন ফুটবল বিশ্লেষক এবং উপস্থাপনার কাজে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির হয়ে ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ সঞ্চালনা করেছিলেন দীর্ঘ ২৫ বছর। কিন্তু ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে চাকরিটাই হারালেন তিনি।
ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টোরি শেয়ার করার এক সপ্তাহের মাঝে বিবিসি থেকে ছাঁটাই করা হলো লিনেকারকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচডের পর লিনেকারের সঙ্গে ২৫ বছরের সম্পর্ক শেষ করছে বিবিসি। লিনেকারের সঙ্গে বিবিসির ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি ছিল। কিন্তু সেটাও আর হচ্ছে না।
একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে বিতর্কের পরই মূলত বিবিসিতে নড়বড়ে হয়ে যায় গ্যারি লিনেকারের অবস্থান। ওই পোস্টে তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিলেন। পরে অবশ্য তিনি তা মুছে দেন। ৬৪ বছর বয়সি লিনেকার দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, তিনি যে ছবি শেয়ার করেছিলেন, তাতে অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি প্রতীক ছিল যার সঙ্গে অতীতে ইহুদিবিরোধী ধারণা জড়িয়েছিল।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছে, লিনেকারের বিদায় পশ্চিমা গণমাধ্যমে একটি ক্রমবর্ধমান প্রবণতার অংশ। যেখানে যারা ইসরায়েলের সমালোচক বা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেন, তাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তাদের ভাষ্য, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিকে মনে করিয়ে দেয়, যেখানে সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, এমনকি বিনোদন জগতের ব্যক্তিরাও ফিলিস্তিনপন্থি মতপ্রকাশ করায় চাকরি হারিয়েছেন।
তবে বিবিসির পক্ষ থেকে চাপের মুখে পড়লেও লিনেকারের পক্ষে জনগণের ব্যাপক সমর্থন দেখা গিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভক্ত, সাংবাদিক, সাবেক খেলোয়াড় ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা সাবেক এই ইংলিশ স্ট্রাইকারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বছর তিনেক হলো জাতীয় দলের বাইরে অলরাউন্ডার রুমানা আক্তার। মাঝখানে একবার ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন ‘আর নয় ক্রিকেট’। সেই ফেসবুক পোস্টেই এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রুমানা আহমেদ। রুমানার দাবি, তার সঙ্গে অন্যায়-অবিচার হয়েছে। এবং তিনি সেটার বিচার চাইলেন ক্রিকেট বোর্ডের কাছে।
গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে রুমানা পোস্ট দিয়েছেন বিসিবির কাছে খোলা চিঠির মতো করে। তিনি লিখেছেন, ‘বিসিবির সম্মানিত অভিভাবকদের বলছি। আমি খেলি কিংবা না খেলি, এমন অনৈতিক-নৈরাজ্যমূলক ঘটনা চলতে পারে না। দয়া করে আমাকে চূড়ান্ত সমাধান দিন। কোনো কারণ ছাড়াই তিন বছর তো কোনো কৌতুকের কিছু না। আমি কখনোই বাজে ক্রিকেট খেলিনি। অনৈতিক কাজও করিনি। জ্যেষ্ঠতা কখনোই অভিশাপ হতে পারে না। যারা আমার উজ্জ্বল ক্রিকেট ক্যারিয়ার ধ্বংস করেছে, তার বিচার চাই।’
২০২৩ সালের আগস্টে সামাজিক মাধ্যমে হঠাৎই রুমানা পোস্ট দিয়েছিলেন, ‘আর ক্রিকেট নয়।’ সেই পোস্টের আগে বাংলাদেশ যে শ্রীলঙ্কা-ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছিল, কোনোটিতেই তিনি ছিলেন না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দল ঘোষণার পর বিসিবি জানিয়েছিল, তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।
বিসিবির এই দাবির বিপক্ষে পাল্টা দাবি করেছিলেন বাংলাদেশ দলের এই লেগস্পিনিং অলরাউন্ডার। সে সময় রুমানা বলেছিলেন- বিশ্রাম নয়, তাকে বাদই দেওয়া হয়েছিল। টিম ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবাদমাধ্যমে এমন মন্তব্য করায় রুমানাকে তলবও করেছিল বোর্ড।
দুই বছর আগে ‘নো মোর ক্রিকেট’ পোস্ট নিয়ে বিসিবি তখন বিব্রত হয়েছিল। নারী বিভাগের তৎকালীন প্রধান শফিউল আলম নাদেল সে সময় বলেছিলেন, ‘আমরা সব সময় আমাদের ক্রিকেটারদের প্রতি সদয় বা সৎ। ওকে এটা শুধু মনে করিয়ে দিলাম, সেতো চাইলে বোর্ড- আমাদের বিভাগ থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), বোর্ড সভাপতি; সবার সঙ্গেই তো কথা বলার সুযোগ আছে। এটা সে না করলেও পারত।’
৩৩ বছর বয়সী রুমানা ২০১১ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন ৫০ ও ৮৭ ম্যাচ। দুই সংস্করণেই ৮০০-এর বেশি রান করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার উইকেট ১২৫।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান বরাবরই ডেথ ওভারের নির্ভরতার নাম। এবার সেই খ্যাতিকে ছাড়িয়ে গেলেন পরিসংখ্যানেও। শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচে শেষ দিকে করা সাতটি ডট বলে গড়েছেন নজিরবিহীন এক রেকর্ড। ডেথ ওভারে সবচেয়ে বেশি ডট বলের মালিক এখন মুস্তাফিজুর রহমান।
এই ম্যাচে শেষ দিকে দুটি ওভার করেন তিনি। সেখানে মাত্র একটি উইকেট পেলেও, মূল কাজটা করে দেন ডট বলেই। এই ৭ ডট বল নিয়ে ডেথ ওভারে তার ডট বলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০০-তে, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার কোনো বোলারের এমন কীর্তি।
এই তালিকায় অনেক আগেই শীর্ষে ছিলেন মুস্তাফিজ। তবে শনিবার রাতে তা পৌঁছে যায় নতুন এক উচ্চতায়। তার পেছনে আছেন ইংল্যান্ডের ক্রিস জর্ডান (২৪১), নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি (২৪০), পাকিস্তানের হারিস রউফ (২২২) ও ভারতের জাসপ্রিত বুমরাহ (২০৮)।
রান খরচের দিক থেকেও প্রশংসার দাবি রাখেন মুস্তাফিজ। ডেথ ওভারে ৮৭ ইনিংসে ৭২৫ বল করে খরচ করেছেন ৯৯০ রান। এই তালিকায় কম রান দিয়ে তার ওপরে রয়েছেন শুধু বুমরাহ (৪৯৫ বলে ৫৬৩ রান) ও রউফ (৫৮৬ বলে ৭৮২ রান)।
উইকেট শিকারের দিক দিয়ে মুস্তাফিজ আছেন দ্বিতীয় স্থানে। এই তালিকায় ১০০ ইনিংসে ৬৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। ৮৭ ইনিংসে মুস্তাফিজের ডেথ ওভারে উইকেট সংখ্যা ৬৩।
শুধু আন্তর্জাতিক নয়, সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়েও ডেথ ওভারে ডট বলের তালিকায় মুস্তাফিজ তৃতীয় স্থানে। তার ডট বল সংখ্যা ৮১৬। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভো (১১৬৪) ও দ্বিতীয় স্থানে আছেন ক্রিস জর্ডান (৮৯৩)।
গত সপ্তাহেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তার এক সপ্তাহ না পেরোতেই একই পথে হাঁটছেন বিরাট কোহিলও। ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণকে বিদায় বলে দিতে যাচ্ছেন কোহলি। নিজের অবসর নিয়ে ইতোমধ্যেই বোর্ডকে জানিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন কোহলি। তিনি অবসর নিতে চান- এটা জানিয়েছেন ক্রিকেট বোর্ডকে। এমনকি মাসখানেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে এই আলোচনা।
কোহলি বিদায় নিলে মোটামুটি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কমে যাবে ভারতীয় দলে। এরই মধ্যে রোহিত অবসর বলে দিয়েছেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে গেছেন। চেতশ্বর পূজারা ও আজিঙ্কা রাহানেও নেই দলে। এখনো টেস্ট খেলার মতো ফিটনেসে আসেননি মোহাম্মদ শামি।
আগামী মাসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা ভারতের। কোহলি অবসর নিলে নতুন অধিনায়কের জন্য বড় চাপ যাবে ইংল্যান্ড সিরিজে। তবে বিসিসিআইয়ের আশা- ইংল্যান্ড সিরিজে খেলবেন তিনি।
যদি কোহলি সিদ্ধান্ত না বদলান, তবে ১৪ বছরের এক গৌরবময় টেস্ট ক্যারিয়ারের অবসান ঘটবে। যেখানে তিনি ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন, এর মধ্যে ৬৮ টেস্টে ছিলেন অধিনায়ক। টেস্টে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার করেছেন ৯২৩০ রান, গড় ৪৬.৮৫। সেঞ্চুরি ৩০টি।
যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) কোহলিকে অনুরোধ করেছে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করার। কিন্তু কোহলি সেই অনুরোধ মানবেন কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। ভারতীয় বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সে এখনো অবিশ্বাস্যরকমের ফিট ও ক্ষুধার্ত। ড্রেসিংরুমে তার উপস্থিতি পুরো দলকে উজ্জীবিত করে। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যেন কিছুটা সময় নিয়ে ভাবে।’
টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছে না কোহলির। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে ৫ টেস্ট খেলে মাত্র ২৩.৭৫ গড়ে ১৯০ রান করেছেন। আটটি ডিসমিসালের মধ্যে সাতটিতে তিনি আউট হয়েছেন অফস্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে। একটা সময় টেস্টে তার গড় ছিল ৫০-এরও বেশি। কিন্তু শেষ পাঁচ বছরে পারফরম্যান্সের গ্রাফকে শুধুই নিচে নিয়ে গেছেন তিনি। ৩৭ ম্যাচ খেলে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র তিনটি। যা তার নামের সঙ্গে বেশ বেমানান।
অস্ট্রেলিয়া সফরের পর তাই কোহলি অবসরের ছোটখাটো একটা ইঙ্গিত দিয়ে রাখেন। কিন্তু সেই খবর যে এত দ্রুত সংবাদমাধ্যমে ভাসবে, তা হয়তো কেউই টের পাননি। গত মার্চে তিনি বলেছিলেন, ‘হয়তো চার বছর পর আমার আর অস্ট্রেলিয়া সফর করার সুযোগই থাকবে না।’
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনার মাঝে এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
খবরে বলা হয়েছে, চলমান উত্তেজনার মাঝে আইপিএলে অংশ নেওয়া বিদেশি খেলোয়াড়দের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছিল। তাদের প্রাথমিক উদ্বেগগুলোর মধ্যে ছিল নিরাপদে চলাচলের মতো বিষয়।
গতরাতে ধর্মশালায় দিল্লি ক্যাপিটালসকে আতিথ্য দেয় পাঞ্জাব কিংস। প্রথম ইনিংসের অর্ধেক খেলা হতেই কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় ম্যাচ। শুরুতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ম্যাচ বন্ধ থাকলেও পরে নিরাপত্তার কারণে ১০ মিনিটের মাথায় ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দল, খেলোয়াড়, সম্প্রচারকর্মী ও অন্যান্য লিগ স্টাফসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ধর্মশালা থেকে নয়াদিল্লিতে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আজ (শুক্রবার) সংশ্লিষ্টদের ধর্মশালার হোটেল থেকে বাসে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা কোথা থেকে দিল্লিগামী ট্রেনে উঠবেন, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ক্রিকবাজ জানিয়েছে, এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত তারা বাসেই আছেন এবং গন্তব্য সম্পর্কে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।
টুর্নামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আসরের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। সব বিকল্প খতিয়ে দেখার পরই সাময়িকভাবে আইপিএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
সংঘাত শুরু হওয়ার পর আইপিএল সভাপতি অরুণ ধুমাল জানিয়েছিলেন, পরবর্তী যেকোনো সিদ্ধান্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। এটি একটি চলমান অবস্থা এবং সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো নির্দেশনা পাইনি। অংশীদারদের সর্বোত্তম স্বার্থের দিকটি মাথায় রেখে এবং সব রকম কৌশলগত বিষয় বিবেচনা করেই যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ধর্মশালার বাতিল হওয়া ম্যাচটিসহ আইপিএলের এবারের আসরে এ পর্যন্ত ৫৮টি ম্যাচ খেলা হয়েছে। গ্রুপ পর্বে এখনও ১২টি ম্যাচ খেলা বাকি।
মন্তব্য