প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ‘জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা টুর্নামেন্ট’-এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হয়েছে।
রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় এ আয়োজন। তবে বিভিন্ন রাউন্ডের খেলা রোববারই শুরু হয়েছে বিজয়নগরের হোটেল ৭১-এ।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন আয়োজিত ৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন ও সাউথ এশিয়ান দাবা কাউন্সিলের সভাপতি পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ্, দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, ফেডারেশনের আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মল্লিক এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো একজন মহীয়সী নারীর নামে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত ও আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের জন্য মাত্র ৭০ মিলিয়ন ডলার উন্নয়ন সহায়তা জোগাড় করতে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে প্যারিসে জবাবদিহি করতে হতো। অথচ এখন সেই বাংলাদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কাকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে, সুদানকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে।’
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে। আমরা এর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) যখন দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসেন, তখন বাংলাদেশের ৪৫ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করত। আর এখন সেটি ৯ ভাগের নিচে। করোনা মহামারি না এলে দারিদ্র্যসীমা এতদিনে হয়তো আরও নিচে নামত।’
চলতি বছর থেকে জেলা ও স্কুল পর্যায়ে দাবা টুর্নামেন্ট শুরুর ঘোষণা দেন দাবা ফেডারেশনের সভাপতি।
এ ছাড়া শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে অক্টোবরে আরও একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ‘আজ যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন আমরা করতে যাচ্ছি সেটি একজন অনন্য নেতার নামে। শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, পৃথিবীর সর্বত্র তাকে মানবতার জননী ও একজন শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক চিন্তাবিদ হিসেবে মানুষ শ্রদ্ধা করে। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়িত হয়েছে অনন্য এক নেতার কয়েক দশকের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। আমাদের গণতন্ত্র, উন্নয়ন, জীবনমান, সমৃদ্ধ অর্থনীতি- সবকিছুই অর্জন সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের মাধ্যমে।’
তিনি বলেন, ‘সুন্দর মন মানুষের মর্যাদার পক্ষে কথা বলে। যে কারণে আমাদের গত বছরের দাবার আসর এতটা সাফল্য পেয়েছিল। অংশগ্রহণকারী, আয়োজক, সাংবাদিক ও স্টেকহোল্ডাররা জন্মদিন উদযাপনের এই টুর্নামেন্টের অংশ হতে পারাকে সত্যিকারের সম্মানের বিষয় হিসেবে বিবেচনা করেছেন।
“কারণ এই উদযাপন বাধ্যবাধকতা নয় বরং এটি ‘মানবতার জননীর’ প্রতি শ্রদ্ধা থেকে করা হয়েছে।”
আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম টুর্নামেন্ট আয়োজনে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দেয়াসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়ায় চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ-এর প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ এ আরাফাত ক্রীড়া ও শিল্পের বিকাশে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর ওপর জোর দেন। টুর্নামেন্ট আয়োজনে সহায়তা দেয়ায় চৌধুরী নাফিজ সরাফাতকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বক্তব্য শেষে দাবার বোর্ডে ঘুঁটির চাল দিয়ে এবং ফিতা কেটে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গত বছরের সেপ্টেম্বরে হয়েছিল জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা টুর্নামেন্ট। ওই টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ এবং সহসভাপতি চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রতিবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট আয়োজন করার। সে ঘোষণা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত হচ্ছে এবারের টুর্নামেন্ট।
এর আগে গত শুক্রবার টুর্নামেন্টের বিস্তারিত জানাতে বনানীর হোটেল শেরাটনে সংবাদ সম্মেলন করেন আয়োজকেরা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ্, দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শোয়েব রিয়াজ আলম।
বাংলাদেশসহ ১০টি দেশের ১২ জন গ্র্যান্ডমাস্টার, ১৬ জন আন্তর্জাতিক মাস্টার ও তিনজন নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার এই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন। বিদেশি খেলোয়াড়রা হচ্ছেন: গ্র্যান্ডমাস্টার দীপ দাস গুপ্ত (ভারত), এহসান ঘাইম মাগামি (ইরান), মাসোউদ মোসাদেগপোর (ইরান), ভাদিম মালাখাটকো (বেলজিয়াম), অড্রে সুমেটস (ইউক্রেন), জুভারেভ আলেক্সান্ডার (ইউক্রেন) ও আলেক্সেই কিসলিনসি (চেক রিপাবলিক)।
আন্তর্জাতিক, ফিদে ও ক্যান্ডিডেট মাস্টারেরা হলেন শেখ মোহাম্মদ নুবাইর শাহ (ভারত), আবদিহাপার আসিলবেক (কিরগিজস্তান), মাহমুদ লোদি (পাকিস্তান), অরোক ঘোষ (ভারত), কোস্তোভ চ্যাটার্জি (ভারত), চক্রবর্তী রেড্ডি মেরেড্ডি (ভারত), মিত্রভা গুহ (ভারত), মোকশকুমার অমিতকুমার দোশি (ভারত), নিলাশ সাহা (ভারত), সামেদ সেকুয়ার সেটি (ভারত), সায়ন্তন দাস (ভারত), সোমক পালিত (ভারত), শ্রীজিত পাল (ভারত), শুভায়ন কুণ্ডু (ভারত), সংকল্প গুপ্ত (ভারত), সংকেত চক্রবর্তী (ভারত), সৌরথ বিশ্বাস (ভারত), অরপিতা মুখার্জি (ডব্লিউআইএম, ভারত), লিয়ানাগে রানিদু দিলশান (সিএম, শ্রীলঙ্কা), সাসিথ নিপুন পিউমান্থা (এফএম, শ্রীলঙ্কা) এবং রুপেশ জসওয়াল (এফএম, নেপাল)।
দেশের পাঁচ গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ, জিয়াউর রহমান, রিফাত বিন সাত্তার, মোল্লা আব্দুল্লাহ আল রাকিব, এনামুল হোসেন রাজীব; তিন আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সফিয়ান শাকিল, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান, দুই নারী আন্তর্জাতিক মাস্টার রানী হামিদ ও শারমীন সুলতানা শিরিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
৯ রাউন্ড সুইস লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠেয় এ প্রতিযোগিতায় গ্র্যান্ডমাস্টার, আন্তর্জাতিক মাস্টার, নারী গ্র্যান্ডমাস্টার ও নারী আন্তর্জাতিক মাস্টারের নর্ম অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিযোগিতায় মোট নগদ ১৫ হাজার আমেরিকান ডলার অর্থ পুরস্কার দেয়া হবে।
এর মধ্যে মূল পুরস্কার থাকবে ১৩ হাজার ডলার (চ্যাম্পিয়ন ৪০০০, রানার-আপ ২৫০০, তৃতীয় ১৫০০, চতুর্থ ১০০০, পঞ্চম ১০০০, ষষ্ঠ ১০০০, সপ্তম ১০০০, অষ্টম ১০০০ ডলার)।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য দুই হাজার আমেরিকান ডলার (প্রথম ৭০০, দ্বিতীয় ৫০০, তৃতীয় ৪০০, চতুর্থ ২০০ এবং পঞ্চমকে ২০০ ডলার) পুরস্কার দেয়া হবে।
বনানীর হোটেল শেরাটনে ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হবে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য