ই-কমার্স সাইট ই-অরেঞ্জের ইস্যুতে আবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি মোর্ত্তজা। সোমবার তার মিরপুরের বাসায় আবারও হাজির হন ই-অরেঞ্জে বিনিয়োগ করে বিপাকে পড়া গ্রাহকেরা।
গ্রাহকদের বরাত দিয়ে একটি সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে যে মাশরাফি তাদেরকে বলেছেন, ই-অরেঞ্জের কাছে পাওনা টাকা ‘জানের সদকা’ হিসেবে ধরে নিতে। এমন খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কঠোর ভাষায় মাশরাফির সমালোচনা করেছেন অনেকে।
তবে এই ধরনের সংবাদে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মাশরাফি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, এগুলো অপসাংবাদিকতা ছাড়া আর কিছুই না।
নিউজবাংলাকে মাশরাফি বলেন, ‘ইচ্ছা করে কেউ যদি এগুলো করে তাহলে তো আমার কিছু করার নাই। আমি কী করিনি তাদের জন্য বা কোনো চেষ্টা কি করতেসি না? ইয়েলো জার্নালিজম করলে তো কিছু করার নাই। ভুল তথ্য দিয়ে... এই যে কালকে দেখলাম জানের সদকা বলা। এগুলা তো ইয়েলো জার্নালিজম।’
ই-অরেঞ্জের ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের পাশে থাকবেন বলে ফের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ওদেরকে আমি বলেছি যে আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি আমি চেষ্টা করব। আমারও সীমাবদ্ধতা আছে। এখন তো সবাই ওরা জেলে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে বিষয়টা। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তো কিছু বলা যাবে না।’
ই-অরেঞ্জের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মাশরাফি চুক্তি করলেও সেটা শেষ হয় গত জুলাই মাসে। তারপরও বিতর্কিত এই ই-কমার্স সাইটটির সঙ্গে তার নাম জড়ানোতে বেশ বিরক্ত সাবেক এই পেইসার।
মাশরাফি বলেন, ‘শুরু থেকে বলে আসছি আমি আছি তাদের (গ্রাহক) সঙ্গে। এখনও বলছি। একজন মানুষ তো দুইরকম কথা বলতে পারে না।’
এর আগেও মাশরাফির বাসার সামনে ভিড় করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকেরা। মাশরাফি বারবার বলে এসেছেন ই-অরেঞ্জের সঙ্গে তার চুক্তি এখন আর নেই।
আরও পড়ুন:আফগানদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজে অভিজ্ঞদের না নিয়ে তরুণদের সুযোগ করে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে তাদের এই এক্সপেরিমেন্ট মুখ থুবড়ে পড়েছে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেই। পাকিস্তান দলকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে তাদের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। প্রতিবেশিদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক শাদাব খান। তবে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে শুরু থেকেই নাকাল হয় তার দল। ফজল হক ফারুকির গতির সঙ্গে মুজিব-রশিদ-নবী ত্রয়ীর ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯২ রান তোলে দলটি, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যা তাদের পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর।
আফগান বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন পেসার ফারুকি। সমান সংখ্যক ওভার বোলিং করে ৯ রানে ২ উইকেট পান স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। ৩ ওভারে ১২ রানে ২ উইকেট যায় মোহাম্মদ নবীর ঝুলিতে, নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট জোটে রশিদ খানেরও।
৯৩ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্ষণিকের জন্য বিপদে পড়েছিল আফগানরাও। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা, স্কোরবোর্ডে রান তখন মোটে ২৭। তবে ব্যাটিং বিপর্যয়ের শঙ্কায় কাবু আফগানদের ত্রাতা হয়ে আসেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নবী। পঞ্চম উইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানের সঙ্গে তার অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতে ৬ উইকেট আর ১৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান। ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচসেরা নবী।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় একই মাঠে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান।
পাকিস্তানের মাটিতেই হতে পারে আসন্ন এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। তবে ভারত তার ম্যাচগুলো খেলবে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে। এ ভেন্যুর তালিকায় শ্রীলংকা, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইংল্যান্ডের নাম রয়েছে।
ক্রীড়া বিষয়ক ওয়েবসাইট ইসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এশিয়া কাপের ভেন্যু নিয়ে সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য একত্রে কাজ করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
ভারতীয় দলের ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ ভেন্যু এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ভারত-পাকিস্তানসহ পাঁচটি ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছরের সেপ্টেম্বরে ওয়ানডে ফরম্যাটের ছয় দলের এশিয়া কাপে একই গ্রুপে রয়েছে দুই চিরপ্রতিন্দ্বন্দি ভারত ও পাকিস্তান। অন্য গ্রুপে রয়েছে- বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান। ফাইনালসহ ১৩ দিনে মোট ১৩টি ম্যাচ হবে।
২০২২ সালের এশিয়া কাপের নিয়মনুসারে, প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দু’টি দল সুপার ফোরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সুপার ফোরের শীর্ষ দু’দল ফাইনালে ওঠে। এতে আসরে তিনবার দেখা হবার সম্ভাবনা থাকছে ভারত ও পাকিস্তানের।
এমন জটিল পরিস্থিতির কারণে চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নেয়ার আগে সম্প্রচার ও ভ্রমন পরিকল্পনার জন্য সংক্ষিপ্ত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। পাকিস্তানের বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আবহাওয়া বড় ভূমিকা রাখবে। তাই পাকিস্তানের বাইরের ম্যাচগুলোর জন্য এশিয়ার ভেন্যুকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে।
বোলারদের পর ওপেনারদের দাপটে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ।
লিটন দাসের ৫০ আর তামিম ইকবালের ৪১ রানের ওপর ভর করে ১৩.১ ওভারেই আইরিশদের দেয়া ১০২ রানের টার্গেট পেরিয়ে যায় টাইগাররা। এতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তামিমবাহিনী।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী আয়ারল্যান্ড।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।
বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।
হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।
২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।
এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।
আরও পড়ুন:সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০১ রানে অলআউট হয়ে গেছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০২ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট হাতে নেমে বাংলাদেশ দল এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ ওভার ৪ বলে ২৩ রান তুলেছে। উদ্বোধনী জুটি হিসেবে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
বৃহস্পতিবার বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পর এই ম্যাচের টস অনুষ্ঠিত হয়। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সফরকারীরা।
বল হাতে মাঠে নেমে স্বাগতিকরা শুরু থেকেই আইরিশ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার স্টেফেন ডোহেনিকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ডোহেনি ব্যক্তিগত ৮ রানে ফিরে যাওয়ার পর দলীয় ২৬ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ডোহেনির পর অন্য ওপেনার পল স্টার্লিং ৭ রান করেন। চার নম্বরে নামা হ্যারি টেক্টর রানের খাতাই খুলতে পারেননি। একই ওভারে লেফ বিফোরের ফাঁদে ফেলে এই দুই ব্যাটারকে ফেরান এই বাংলাদেশি পেসার।
হাসান মাহমুদের উইকেট শিকারের উৎসবে এরপর শামিল হন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের দশম ওভারে তার বলে স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দি হন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
পাওয়ার প্লের মাঝে ৪ উইকেট হারানো আইরিশরা কিছুটা স্বস্তি পায় পঞ্চম উইকেটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারের জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি থেকে আসে ৫৭ বলে ৪২ রান। তবে ১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে টাকার (২৮) ও নতুন ক্রিজে আসা জর্জ ডকরেলকে (০) ফিরিয়ে আবারও আইরিশদের ব্যাকফুটে ঠেলে দেন ইবাদত হোসেন।
২২তম ওভারে ফের জোড়া উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এ যাত্রায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (১) ও মার্ক এডেইরকে (০) ফেরান তাসকিন।
এক প্রান্ত আগলে ব্যাট করে যাওয়া ক্যাম্ফারকে (৩৬) ইনিংসে নিজের চতুর্থ শিকার বানান হাসান। আর নিজের নবম ওভারের প্রথম বলে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট। ৮ ওভার ১ বল করে এক মেডেনসহ ৩২ রানে ৫ উইকেট পান তিনি। বাকি পাঁচ উইকেট ভাগাভাগি করে অন্য দুই পেসার তাসকিন (১০-১-২৬-৩) ও ইবাদত (৬-০-২৯-২)।
দ্বিতীয় ওয়ানডে একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটার ইয়াসির আলির পরিবর্তে একাদশে সুযোগ হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের। আয়ারল্যান্ড একাদশ অপরিবর্তিত দল নিয়েই মাঠে নেমেছে।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ১৮৩ রানে হারায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের সুবাদে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড এ পর্যন্ত ১২ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে আটটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। এর বিপরীতে দু’টিতে জয় পেয়েছে আয়ারল্যান্ড। বাকি ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: অ্যান্ড্রু বলবির্নি (অধিনায়ক), পল স্টার্লিং, স্টেফেন ডোহেনি, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার, ম্যাথিউ হামফ্রেস, জর্জ ডকরেল, কার্টিস ক্যাম্পার, অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন, মার্ক অ্যাডায়ার ও গ্রাহাম হুম।
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার কাছে বুধবার তৃতীয় ওয়ানডেতে ২১ রানে হেরে সিরিজ খুইয়েছে ভারত। এর ধাক্কাটা পড়েছে আইসিসির দলগত ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও। সিরিজ হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট কমেছে ভারতের। ফলে এক থেকে দুয়ে নেমে গেছে তারা। আর তিন ওয়ানডের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।
চেন্নাইয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পরেই নতুন র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৩৯৬৫। রেটিং পয়েন্ট ১১৩। সমান রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে ভারত। যদিও রোহিতদের পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার থেকে অনেকটাই বেশি ৫২৯৪। তালিকায় তিনে থাকা নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৩২২৯।
বুধবার চেন্নাইয়ে তৃতীয় ওয়ানডের আগে সিরিজে সমতা ছিল ১-১-এ। অলিখিত ফাইনালের রূপ নেয়া শেষ ওয়ানডেতে ভারত ফাইনালের মতো খেলতে ব্যর্থ। প্রথমে ব্যাট করে কোনো ব্যক্তিগত ফিফটি ছাড়াই ২৬৯ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে ব্যাট করতে এসে বিরাট কোহলি ৫৪, হার্দিক পান্ডিয়া ৪০ করলেও ২৪৮ রানে অলআউট ভারত।
আসছে অক্টোবরেই ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে ভারত। তার আগে এই সিরিজ হার স্বাগতিকদের জন্য বড় একটা ধাক্কাই।
ভারত যে ফর্মে নেই তার বড় একটা উদাহরণ হতে পারে সূর্যকুমার যাদব। যার ব্যাটিং বুকে কাঁপন ধরায় বিশ্বসেরা সব বোলারদের, সেই সূর্যকুমার আগের দুই ম্যাচের মতো গতকালও ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরেছেন।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ বিষয়ে বিমান ও সাকিবের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় মঙ্গলবার বিকেলে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে সাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সাকিব আল হাসান বলাকায় এলে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় সাকিবের সৌজন্যে একটি কেক কাটা হয়।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাকিব আল হাসান বিমান নিয়ে তার শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, ‘শৈশবে খেলার মাঠে মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে গেলে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করত।
‘বিমানের অসংখ্য ভালো দিক আছে। এগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে পারলে বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিমানের সক্ষমতা বাড়বে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ইস্যুতে বিমান কখনও আপোষ করে না। এ ধরনের ইতিবাচক বিষয়গুলো প্রচার হওয়া দরকার।’
মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বিমানের ব্র্যান্ডিং ও খেলাধুলা বিষয়ে সহযোগিতার জন্য সাকিব আল হাসানকে ধন্যবাদ জানান।
শফিউল আজিম বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের কার্যক্রম আমাদের অনুপ্রাণিত করে। আমরা সততা, দক্ষতা ও উন্নত সেবার মাধ্যমে এভিয়েশন খাতে বিমানকে সুপ্রিতিষ্ঠিত করতে একযোগে কাজ করব।’
বিমান জানায়, সাকিব আল হাসান এক সময় বিমান ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক চারজন সদস্য বর্তমানে বিমানে বিভিন্ন পদে কর্মরত। বিশ্ববিখ্যাত গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদ, ১৬ বার জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিনেস বুকে নাম লেখানো জোবেরা রহমান লিনু এক সময় বিমানের হয়ে খেলতেন।
আরও পড়ুন:সিলেটে সোমবার মুশফিকুর রহিম আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ইনিংস খেললেন, তাতে মুগ্ধতা সহজে কাটবে না কারও। মুশফিকের এমন ইনিংসের সৌজন্যে বাংলাদেশও গড়েছে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ আছে, তবে মুশফিকের মুগ্ধতা কাটছে না। ম্যাচ শেষে লিটন দাসের কথায় বোঝা গেল, তিনিও মুগ্ধ মুশফিকের এমন ইনিংসে।
৬০ বল, ১৪ চার, ২ ছক্কা, অপরাজিত ১০০ রান। ইনিংসের ৩৪তম ওভারে নেমেও ইনিংসের শেষ বলে পৌঁছে গেলেন সেঞ্চুরিতে। তাও যে-সে সেঞ্চুরি নয়, বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিই এটি।
সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের ইনিংস নিয়ে প্রশ্নে লিটন বলেন, ‘আমি যতদিন ধরে খেলছি, বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারই এমন শেষের দিকে গিয়ে সেঞ্চুরি করতে পারেননি। কোনো দলে কেউ এমন সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো লাগে, আর সেটা যদি সিনিয়র কেউ করেন, তখন তো আরও বেশি ভালো লাগে।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুশফিক ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন, কিন্তু সেদিন ২৬ বলে ৪৪ রানে আউট হয়ে গেছেন।
সোমবার সেঞ্চুরির প্রশংসায় লিটন আগের ইনিংসের প্রসঙ্গও টেনে এনে বলেন, ‘মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস শুধু সোমবারের না, আগের ইনিংসটিও অসাধারণ ছিল। যদিও রান অত বেশি না, ৪০ এর মতো। তবে সেটা কিন্তু অনেক পার্থক্য গড়ে দেয় ৩০০ রান তোলার জন্য। সোমবারেও মুশফিক ভাইয়ের ইনিংস একদম খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।’
শেষে আরেকবার গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের দাপুটে ব্যাটিং নিয়ে যখন প্রশ্ন হলো, আবার মুশফিকের ইনিংসের প্রসঙ্গ লিটনের কণ্ঠে।
সোমবার নিজের আর শান্তর ৭০-ঊর্ধ্ব দুই ইনিংসের কথা টেনে লিটন বলেন, ‘মুশফিক ভাই যে ইনিংসটা খেলেছেন, এটা দেখার মতো ছিল। শান্ত এবং আমার ইনিংস থেকেও বেশি ভালো ছিল।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য