× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

খেলা
Ronaldo in the Guinness Book
google_news print-icon

গিনেস বুকে রোনালডো

গিনেস-বুকে-রোনালডো
গিনেস বুকের স্বীকৃতি হাতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। ছবি: টুইটার
পর্তুগালের জার্সি গায়ে রোনালডোর গোল ১১১টি। এর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল ইরানের সাবেক ফুটবলার আলি দাইয়ির। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তার গোল ছিল ১০৯টি।

আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পরদিন দারুণ এক স্বীকৃতি পেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস স্বীকৃতি দিয়েছে পর্তুগিজ অধিনায়কের এই রেকর্ডকে।

ইরানের আলি দাইয়ির ১০৯ গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন রোনালডো। তার গোল এখন ১১১টি।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে বুধবার রাতের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল পর্তুগাল। সে ম্যাচে ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখিয়ে নেন পর্তুগিজ তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো।

জোড়া গোলে দলকে জয় এনে দেয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হন পর্তুগালের এ তারকা ফরোয়ার্ড।

পর্তুগালের জার্সি গায়ে রোনালডোর গোল ১১১টি। এর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি ছিল ইরানের সাবেক ফুটবলার আলি দাইয়ির। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তার গোল ছিল ১০৯টি।

ঘরের মাঠে আইরিশদের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে রোনালডোর পর্তুগাল। এরপর ম্যাচের ১৫ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ পেয়েও দলকে সমতায় ফেরাতে ব্যর্থ হন সিআর সেভেন।

প্রথমার্ধে ১-০তে পিছিয়ে থেকে ম্যাচের শেষ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান রোনালডো। গনসালো গুডেসের ভাসিয়ে দেয়া বল হেড করে জালের ঠিকানা খুঁজে দাইয়ির রেকর্ড ভাঙেন পর্তুগিজ এই তারকা। এরপর অতিরিক্ত সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে জোয়াও মারিওর বাতাসে ভাসানো বল ফের হেড করে নিশ্চিত করেন দলের জয়।

দাইয়ির রেকর্ড ভাঙতে রোনালডোর খেলতে হয়েছে ১৮০ ম্যাচ। রেকর্ড করতে সাবেক ইরানি ফুটবলারের লেগেছিল ১৪৯ ম্যাচ।

আরও পড়ুন:
স্যার অ্যালেক্সের কথায় ১২ বছর পর ইউনাইটেডে রোনালডো
ক্লাব ছাড়ছেন রোনালডো, নিশ্চিত করলেন আলেগ্রি
মেসির গুরু হতে যাচ্ছেন রোনালডোর গুরু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

খেলা
Citys dream Champions League win

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির ২৩তম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। ছবি: সংগৃহীত
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল তারা।

অবশেষে অপেক্ষার অবসান। সকল হতাশা আর আক্ষেপের অবসান ঘটিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল ম্যানচেস্টার সিটি। ২৩তম দল হিসেবে ইউরোপ সেরার খেতাব জিতল জোসেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

তুরস্কের ইস্তানবুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ চ্যাম্পিয়নরা।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

বাংলাদেশ সময় রাত একটায় ম্যাচটি শুরু হয়। ম্যাচের শুরু থেকেই সতর্কতার সঙ্গে খেলতে থাকে দুই দল। ফলে মাঝমাঠে বল দখলের একটা তাড়না থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মধ্যে নিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল দুই দলকেই।

ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় ম্যানচেস্টার সিটি। ম্যাচের ২৭তম মিনিটে জন স্টোনসের বাড়ানো বল পেয়ে ইন্টারের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সের মধ্যে ঢুকে যান আর্লিং হলান্ড। কিন্তু প্রথম টাচটি জোরে লাগায় বল একটুখানি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তার। ফলে পরে বাঁ পা প্রসারিত করে গোলে শট নিলেও পা দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন ইন্টার মিলানের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। এর দুই মিনিট পর মাঝমাঠ থেকে কয়েকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরে শট নেন ডি ব্রুইনে। কিন্তু শটটি গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।

প্রথমার্ধে দুই দলের কেউ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও বড় ধাক্কা খায় সিটি। খেলার ৩০তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগে কেভিন ডি ব্রুইনের। তৎক্ষণাৎ মাঠের বাইরে নিয়ে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবার ফেরানো হয় মাঠে। কিন্তু খেলার ৩৬তম মিনিটে তিনি খেলতে না পারার ইঙ্গিত দিলে তাকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন পেপ গার্দিওলা। এ সময় ডি ব্রুইনের পরিবর্তে ফিল ফোডেনকে নামান কোচ।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

প্রথমার্ধে দুই দলের কেউই তেমন চমক জাগানো পারফর্ম্যান্স দেখাতে না পারলেও দুই ইন্টেরিয়রে ইন্টার মিলানের ডেনসেল ডুমফ্রিস ও ফেদেরিকো দিমারকোর পারফর্ম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। রাইট ব্যাক পজিশনে নেমে এসে একাই জ্যাক গ্রিলিশ ও আর্লিং হলান্ড আটকে রেখেছিলেন ডুমফ্রিস। অন্যপাশে বল উদ্ধার ও দারুণ কিছু পাস দিয়ে নিজের দক্ষতার জানান দেন দিমারকো।

তবে দুই দলের কেউই তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে না পারায় গোলশূন্য অবস্থায় ড্রেসিং রুমে ফেরে খেলোয়াড়রা।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দশ মিনিটেই ইনজুরি পড়েন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার এডিন জেকো। ফলে ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে তাকে উঠিয়ে চেলসি থেকে ধারে খেলা রোমেলু লুকাকুকে মাঠে নামান সিমোনে ইনজাগি।

এক মিনিট পরই ম্যাচের সবচেয়ে বড় সুযোগ পান ইন্টারের লাউতারো মার্তিনেস। বেরনার্দো সিলভার ব্যাকপাস টের না পেয়ে তা রিসিভ করতে ব্যর্থ হন মানুয়েল আকাঞ্জি। ভুলের সুযোগ নিয়ে বল ধরে বাঁ পাশ দিয়ে এগিয়ে যান লাউতারো মার্তিনেস। কিন্তু খানিকটা সামনে এগিয়ে এসে লাউতারোর স্পেস কমিয়ে দেন সিটির গোলরক্ষক এদেরসন মোরায়েস। ফলে এদেরসনের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠানোর চেষ্টা করলেও তা ঠেকিয়ে দেন তিনি।

এসময় বল রিসিভ করে দ্রুত পাস দিলে বল ধরে এগোতে থাকেন ফোডেন। বিপদের শঙ্কায় ডি-বক্সের বাইরে ফোডেনকে প্রফেশনাল ফাউল করে এসময় হলুদ কার্ড দেখেন নিকোলো বারেল্লা।

খেলার ৬৮তম মিনিটে আসে সেই আকাঙ্খিত মুহূর্ত। একটি মজবুত গেম ডেভেলপমেন্টের পর মানুয়েল আকাঞ্জি পাস দেন ডান পাশ দিয়ে ফাঁকা হয়ে যাওয়া সিলভাকে। ডি-বক্সে পাঠানো সিলভার পাস ইন্টারের একজন ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করলে তা গিয়ে পড়ে সিটির রদ্রির পায়ে। জোরালো সোজাসুজি শটে তিনি তা পাঠিয়ে দেন জালে। আর উল্লাসে ফেটে পড়ে সিটির সমর্থক, খেলোয়াড় ও কোচং স্টফরা। ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় সিটি।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

এর কিছুক্ষণ পরেই ভাগ্যের ফেরে গোলবঞ্চিত হয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের ৭১তম মিনিটে উড়ন্ত বল পেয়ে এদেরসনের মাথার উপর দিয়ে হেড দেন দিমারকো। কিন্তু বল গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসলে আবারও মাথায় পেয়ে যান দিমারকো। এবার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে হেড দিলেও বল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লুকাকুর শরীরে লেগে ফিরে আসে।

তার দুই মিনিট পর থ্রু বল পেয়ে দুইজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে রুবেন দিয়াসের দুই পায়ের মাঝ দিয়ে শট দেন লুকাকু। কিন্তু বল গোলপোস্টের মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে গোল দেয়ার দুটি ভালো সম্ভাবনা তৈরি করলেও শেষ পর্যন্ত আর তার দেখা পায়নি ইন্টার। ফলে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট শেষে বেজে ওঠে শেষের বাঁশি। আর মাঠে ভেঙে পড়ে সিটির আনন্দের বাঁধ।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

নিজেদের প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতে আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি অনেক খেলোয়াড়ই। মাঠের মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। কাঁদেন এই আনন্দ ভাগ করে নিতে ইংল্যান্ড থেকে তুরস্কে আসা অসংখ্য সিটি সমর্থকও।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

ঘরোয়া লিগে প্রতি মৌসুমে লিগ ও বিভিন্ন ঘরোয়া ট্রফি জিতলেও ইউরোপের মঞ্চে বার বার হোঁচট খাচ্ছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ২০২১ সালে একবার ফাইনালে উঠেও লিগ প্রতিপক্ষ চেলসির কাছে হেরে সে বার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। তাই এবারের জয়টি আসলেই সিটির খেলোয়াড় ও সমর্থকদের কাছে বিশেষ কিছু।

এদিকে বার্সেলোনার হয়ে সবশেষ ২০১২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর বায়ার্ন মিউনিখ ও পরে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হয়েও এতবছর ইউরোপ সেরার এই ট্রফিটি ছোঁয়া হয়নি পেপ গার্দিওলার। প্রতিবছর কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে শক্তিশালী স্কোয়াড তৈরি করেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ফিরে আসতে হয়েছে তাকে। এ জয়ে ফলে ১১ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো তার।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বিরল এক মৌসুম শেষ করল ম্যানচেস্টার সিটি। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দল হিসেবে ট্রেবল জিতল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি।

তাছাড়া দুইবার ট্রেবল জয়ের রেকর্ড এখন শুধুই স্প্যানিশ এ ম্যানেজারের। এর আগে ২০০৮-২০০৯ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ট্রেবল জিতেছিলেন তিনি।

শুধু তাই নয়, সবশেষ তিন সপ্তাহ একেবারে স্বপ্নের মতো কাটলো স্কাই ব্লুজদের। এ সময় প্রতি সপ্তাহে একটি একটি করে ট্রফি জিতে স্বপ্নীল এক মৌসুম শেষ করলো ‘ম্যানচেস্টার ইজ ব্লু’ স্লোগানের দলটি।

স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় সিটির

আরও পড়ুন:
মহারণের আগের হিসাব-নিকাশ
ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ের পথে বাধা ইন্টার মিলান

মন্তব্য

খেলা
Accounts before Maharan

মহারণের আগের হিসাব-নিকাশ

মহারণের আগের হিসাব-নিকাশ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
স্লো গেইম খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই গতি পাল্টে প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়কে অতিক্রম করে থ্রু বল বাড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে সিটির বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রুইনের। অন্যদিকে ইনজাগির ভরসার জায়গা ব্রোজোভিচ।

আর মাত্র ঘণ্টা দুইয়ের অপেক্ষা। এর পরই শুরু হতে চলেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। এবারের আসরের দুই ফাইনালিস্টের ব্যাপারে এক কথায় বলতে গেলে বলতে হয় ‘অদ্ভূত’।

গোটা মৌসুমে দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করে আসার ম্যানচেস্টার সিটি ইতোমধ্যে প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপ জিতে রয়েছে ট্রেবল জয়ের মুখে। অন্যদিকে কোনোমতে শেষ চারে থেকে লিগ শেষ করতে পারলেও ঘরোয়া দুটি শিরোপা জিতেছে ইন্টার। ফলে দুই দলের জন্যই রয়েছে ‘ট্রেবল’ জয়ের হাতছানি।

কাতারি মালিকানায় যাওয়ার পর থেকে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে দল গঠন ও গত ছয় মৌসুমে পাঁচবারই লিগ জয় করলেও ইউরোপ সেরার এ মঞ্চে বার বার হোঁচট খেতে হয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটির। তবে অন্য যে কোনো মৌসুমের তুলনায় এবার তার দলের অবস্থা ভিন্ন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও তেমন কোনো ভুলই করেনি গার্দিওলার শিষ্যরা। ফলে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদেরই ফেবারিট হিসেবে দেখছেন বেশিরভাগ ফুটবল বোদ্ধারা।

আর এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘আন্ডারডগ’ হিসেবে ফাইনালে উঠেছে সিমোনে ইনজাগির ইন্তারনাৎসিওনালে। গ্রুপপর্বে বায়ার্ন মিউনিখ ও বার্সেলোনার মতো দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেও নকআউট পর্বে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের (পোর্তো, বেনফিকা, এসি মিলান) মোকাবিলা করে তারা এসেছে ফাইনালে।

অন্যদিকে নকআউট পর্বে লাইপসিগ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো দলকে হারিয়ে ফাইনালে সিটি।

তবে আন্ডারডগ হলেও বেশকিছু ব্যাপারে ইন্টার মিলানকে একেবারেই শিরোপা জয় থেকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১২ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ছয় ম্যাচে অর্থাৎ নকআউট পর্বের ম্যাচগুলোতে মাত্র তিন গোল হজম করেছে সিমোনে ইনজাগির শিষ্যরা। সেটাও আবার মাত্র এক ম্যাচেই। জমাট রক্ষণ ও নির্ভরযোগ্য মাঝমাঠই তাদের এমন প্রাপ্তির কারণ।

ফাইনালের উত্তেজনা

শক্তিমত্তা আর ট্যাকটিক্সে যতই পার্থক্য থাকুক না কেন, ফাইনালে যে দল ভালো খেলবে, তারাই চ্যাম্পিয়ন হবে। আবার শুরুতে যে কোনো দল খারাপ খেলে গোল হজম করে বসলে তার খেসারত দিতে হতে পারে পুরো ম্যাচজুড়ে। সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে প্রথমার্ধের খারাপ পারফর্ম্যান্স যেমন ভুগিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদকে, আজকের ম্যাচেও তা হতে পারে যে কোন দলের ক্ষেত্রে।

ফাইনাল স্পেশালিস্ট ইনজাগি

ইন্টার মিলানকে তুলনামূলক দুর্বল ভাবা হলেও তাদের ডাগআউটে থাকবেন সিমোনে ইনজাগি। ২০১৬-১৭ মৌসুমে লাৎসিওর দায়িত্বে থাকা ৪৭ বছর বয়সী এ কোচ প্রথম কোপা ইতালিয়ার ফাইনাল হারেন। এর পর থেকে পর পর সাতটি ফাইনাল জিতেছে তার কোচিংয়ে থাকা দল। এ মৌসুমেই দুটি ঘরোয়া লিগের ফাইনালে উঠে দুটিতেই সফল তিনি। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে কী কৌশলে দলকে খেলাবেন, সেটা মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ‘ট্যাকটিক্সের বস’ খ্যাত পেপ গার্দিওলার জন্য।

আবার রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচে দুর্দান্ত আর্লিং হালান্ডকে কৌশলের মারপ্যাঁচে আটকে রেখেছিলেন লক ব্লাংকোস বস কার্লো আনচেলত্তি। আজ রাতেও আরেক ইতালিয়ান কোচের মুখোমুখি হবেন স্প্যানিশ কোচ গার্দিওলা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে নিজেদের সহজাত ফুটবলের পরিবর্তে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে হারার বদনাম রয়েছে সিটি বসের। আজ কী করবেন, সেটা সময়ই বলে দেবে।

সিটির পজেশন বনাম ইন্টারের কাউন্টার অ্যাটাক

পজেশন ধরে রেখে খেলতেই অভ্যস্ত জোসেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। এটাই গার্দিওলার খেলোয়াড়ি দর্শন। এর ফলও ইতিবাচক। পজেশন ধরে রেখে খেললে সহজেই প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা যায়, ভুলের সম্ভাবনা কমে যায় ও সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে ম্যাচে এগোনো যায়। সেটাই করবে সিটি। আবার কেভিন ডি ব্রুইনে ও আর্লিং হালান্ডের মতো ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন খেলোয়াড় থাকায় প্রতিপক্ষের একটি-দুটি ভুলকেও গতি আর পাসের নিপুণতায় কাজে লাগাতে সক্ষম স্কাই ব্লুজ’রা।

আবার ৩-২-৪-১ ফর্মেশনে খেলা সিটির দলে মিডফিল্ডারই থাকবে ৬ জন। ফলে মাঝমাঠের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ যে তাদের কাছেই থাকবে, তা আগে থেকেই বলে দেয়া যায়। আবার দলের প্রয়েজনে বের্নার্দো সিলভা ও জ্যাক গ্রিলিশ যেমন উইঙ্গার হয়ে উঠে ক্রস দেবেন বার বার, তেমনই মাঝমাঠ সামলানোর সময় নিচে নেমে গেলেও আক্রমণের সময় স্ট্রাইকিং-এন্ডে দেখা যাবে কেভিন ডি ব্রুইনে ও ইলকায় গুনডোগানকে। ফলে ৩-২-৪-১ ফর্মেশন থেকে কখন ৩-৪-৩-এ পরিবর্তন হয়ে যাবে, বুঝে তা সামলাতে ইন্টারের মাঝমাঠ ও রক্ষণভাগকে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।

অন্যদিকে ইন্টার মিলানের শক্তি তাদের মিডফিল্ডে। মার্সেলো ব্রোজোভিচ, নিকোলো বারেল্লা ও হাকান চালানোলুরা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত মিডফিল্ডার। ইউরোপিয়ান ফুটবলে তারকাখ্যাতি না জুটলেও ম্যাচ বাই ম্যাচ তাদের পারফরম্যান্স স্থিতিশীল। আবার মাঝ মাঠের দুই উইংয়ে থাকা ফেদেরিকো দিমারকো ও ডেনসেল ডুমফ্রিসও প্রতিভাবান খেলোয়াড়। দলের প্রয়োজনে নিচে নেমে পাঁচজনের শক্তিশালী রক্ষণ তৈরির পাশাপাশি মুহূর্তের মধ্যে কাউন্টারে গিয়ে উইঙ্গার হয়ে উঠতে পারেন যে কোনো সময়। আবার স্বাভাবিক খেলার সময় পাঁচজনের ডিফেন্স হয়ে খেলবেন তারা। ফলে ৩-৫-২ ফর্মেশনে খেললেও ম্যাচের প্রায় সবসময়ই ৫-৫-৪ দেখা যেতে পারে ইন্টার মিলানকে।

আবার বিশ্বকাপ জয়ী লাউতারো মার্তিনেস ও এদিন জেকোর মতো অভিজ্ঞ ও ক্ষিপ্রগতির স্ট্রাইকাররা সুযোগ পেলে যে কোনো সময় বোকা বানিয়ে দিতে পারে সিটির রক্ষণকে। ব্রোজোভিচের মতো অভিজ্ঞ ও দক্ষ মিডফিল্ডারের একটি-দুটি চুলচেরা পাসেই বিপদ হয়ে যেতে পারে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।

আর শুরুতে দুই-এক গোল দিয়ে দিতে পারলে, রক্ষণে ইন্টার কতটা শক্তিশালী, তা তো বার্সেলোনার সঙ্গের গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেই ভালোভাবে জানান দিয়েছে তারা।

তুরুপের তাস

তবে এদিন স্ট্রাইকাররা তেমন নজর কাড়তে না পারলেও দুই দলের দুই মিডফিল্ডার হতে পারে তুরুপের তাস।

স্লো গেইম খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই গতি পাল্টে প্রতিপক্ষের একাধিক খেলোয়াড়কে অতিক্রম করে থ্রু বল বাড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে সিটির বেলজিয়ান তারকা কেভিন ডি ব্রুইনের। আর সে থ্রু বল ধরে ফিনিশ করার জন্যই মূলত ম্যাচজুড়ে অপেক্ষা করবে আর্লিং হালান্ড। আবার ফলস্ নাইনে দক্ষতা দেখাতে পারেন কেভিন। গুনডোগান বা সিলভাবে সঙ্গে নিয়ে ওয়ান-টু-ওয়ান করে দুরের শটেও গোল করার দক্ষতা রয়েছে তার।

অন্যদিকে ইনজাগির ভরসার জায়গা ব্রোজোভিচ। ঠাণ্ডা মাথার এ মিডফিল্ডার যে কোনো সময় লং পাসে বল দিতে পারেন স্ট্রাইকারদের। সিটির পজেশনভিত্তিক খেলার মোড় ঘুরিয়ে যে কোনো সময় কাউন্টারে পাঠাতে পারেন তার স্কোরারদের।

তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে ফাইনাল। মাঠের খেলায় বলে দেবে, কারা উঁচু করে ধরবে ইউরোপিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নেরর শিরোপা। ম্যানচেস্টার সিটির আজীবনের অপেক্ষা, নাকি ইন্টার মিলানের ১২ বছরের।

স্কোর প্রেডিকশন: ম্যানচেস্টার সিটি ২-১ ইন্টার মিলান।

আরও পড়ুন:
ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ের পথে বাধা ইন্টার মিলান
ইউরোপা লিগে সেভিয়ার সপ্তম শিরোপা

মন্তব্য

খেলা
Champion Union Bank beat Al Arafa
শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩

আল আরাফাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন ব্যাংক

আল আরাফাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন ব্যাংক আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন ব্যাংক দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বিএবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার, টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল এ সময় উপস্থিত ছিলেন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি ও ৫০ লাখ টাকা এবং রানার্স-আপ দলকে ৪০ লাখ টাকা দেয়া হয়। তৃতীয় হওয়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক দলকে ৩০ লাখ এবং চতুর্থ স্থান অর্জন করা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দল ২০ লাখ টাকা প্রাইজমানি পায়।

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউনিয়ন ব্যাংক। রাজধানীর বনানীতে আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংককে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ণিল আয়োজনে টুর্নামেন্টের এই ফাইনাল খেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি ও প্রাইজমানির চেক তুলে দেন।

পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি ও ৫০ লাখ টাকা এবং রানার্স-আপ দলকে ৪০ লাখ টাকা দেয়া হয়। এ ছাড়াও টুর্নামেন্টে তৃতীয় হওয়া গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক দলকে ৩০ লাখ এবং চতুর্থ স্থান অর্জন করা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দল ২০ লাখ টাকা প্রাইজমানি পায়।

আল আরাফাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন ব্যাংক
টুর্নামেন্টে চতুর্থ স্থান অর্জন করা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দলের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: নিউজবাংলা

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস (বিএবি) প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করে। দেশে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।

দেশের ৩৪টি বেসরকারি ব্যাংক দল এতে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ড।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ ১৩ মে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন। এক মাসব্যাপী এই ক্রীড়া আয়োজনে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস মাঠ ও মিরপুর পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট মাঠে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ফাইনাল ম্যাচে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতে নেয় ইউনিয়ন ব্যাংক। নির্ধারিত ৫০ মিনিটের এই ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেন ইউনিয়ন ব্যাংক দলের খেলোয়াড়রা। সে সুবাদে প্রথমার্ধের প্রথম মিনিটেই কর্নার আদায় করে নেয় দলটি।

ওই কর্নার থেকে গোল আদায় করতে না পারলেও ম্যাচের চার মিনিটের মাথায়ই গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। মাঠের বাম প্রান্ত থেকে গোছানো আক্রমণে জাহিদের বাড়ানো পাসে দারুণ ফিনিশিং দেন ইউনিয়ন ব্যাংকের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় জমির।

আল আরাফাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইউনিয়ন ব্যাংক
টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথি ও আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ। ছবি: নিউজবাংলা

১-০ গোলে এগিয়ে থাকা ইউনিয়ন ব্যাংকের আক্রমণে নাজেহাল হয়ে পড়ে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক দল। উপর্যুপরি আক্রমণের এই ধারাবাহিকতায়ই ম্যাচের ১৯ মিনিটের মাথায় আরেকটি গোলের দেখা পেয়ে যায় ইউনিয়ন ব্যাংক দল। মাঝ মাঠের খেলোয়াড় শাহেদকে ডি-বক্সের মধ্যে আল-আরাফাহ ব্যাংকের মিজান ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইউনিয়ন ব্যাংক। তা থেকে গোল করে দলটি ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

ম্যাচের ২০ মিনিটে সহজ একটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। এছাড়া প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। এভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর ২ গোলে পিছিয়ে থেকে মাঠে নামা আল আরাফাহ ব্যাংক দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দলটি প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে। তাদের একের পর এক আক্রমণে রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ইউনিয়ন ব্যাংক।

১০ মিনিটের মাথায় স্ট্রাইকার সৌরভ দারুণ এক গোল করে আল আরাফাহ ব্যাংককে ম্যাচে ফেরার আশা দেখাচ্ছিলেন। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে সমতায় ফেরার সেই সুযোগটিও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায় আল আরাফাহ ব্যাংকের।

শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে প্রতিপক্ষকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইউনিয়ন ব্যাংক। আর রানার্স-আপ হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক দলকে।

আরও পড়ুন:
পর্দা উঠল শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের
শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন

মন্তব্য

খেলা
Inter bank football tournament adds new dimension to sports PM

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী বিএবির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। ওই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই দেশে ফুটবলের উৎকর্ষ সাধন হবে। একসময় আমরা ফুটবলের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হতে পারব বলে আমি মনে করি। সেভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা সারাদেশে অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের খেলাধুলার ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই দেশে ফুটবলের উৎকর্ষ সাধন হবে। এক সময় আমরা ফুটবলের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হতে পারব বলে আমি মনে করি। সেভাবেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে।

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিকেলে আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩’-এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার আর্মি স্টেডিয়ামে শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস

টুর্নামেন্টের ফাইনালে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংককে ২-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে ইউনিয়ন ব্যাংক। প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে প্রাইজমানি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চা করলে মানুষের মেধা বিকশিত হয়। একইসঙ্গে দেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ বাড়ে। এই আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়।

‘এ ধরনের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করায় বাংলাদেশ অ্যাসিয়েশন অফ ব্যাংকসকে (বিএবি) ধন্যবাদ জানাচ্ছি। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ দলকেও অভিনন্দন জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। আমার দাদাও প্লেয়ার ছিলেন। আমার ভাই শেখ কামাল ছিল আধুনিক ফুটবলের উদ্যোক্তা। কাজেই সেই দৃষ্টিতে দেখলে ফুটবলের সঙ্গে আমার অন্যরকম সম্পর্ক রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ফুটবল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। যে কারণে ফুটবল খেলাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দেই। আমরা সরকারে আসার পর থেকে খেলাকে সবসময় গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা উদ্যোগ নিয়ে পুরো বাংলাদেশে মিনি স্টেডিয়াম করে দিয়েছি।

‘আমি বলেছি- সেখানে সারাবছর যেন খেলাধুলা হয়। একইসঙ্গে আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকে আরও গুরুত্ব দিয়ে চর্চা করা হয়। আমাদের ছেলেমেয়েরাও যাতে পড়াশোনার পাশাপাশি বেশি বেশি খেলাধুলা করে সেটি-ই আমি চাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট ভালো ছিলাম। দুর্ভাগ্যের বিষয়, কোডিভ অতিমারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের সবার একটু কষ্ট হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মানুষ কষ্টে আছে।

‘আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। গত কয়েক দিন তীব্র গরমে দেশের মানুষ কষ্ট পাচ্ছিল। অবশেষে বৃষ্টি আমাদের জন্য শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছে।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বের সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি-অগ্রগতিতে দেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

‘আমরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে সবসময় মাথা উচুঁ করে আমরা চলব। এই আত্মবিশ্বাস নিশ্চয়ই আমাদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে থাকবে। আত্মবিশ্বাস থাকলে যেকোনো অসাধ্য সাধন করা যায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য একটা স্টেডিয়ামের আবদার করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই স্টেডিয়াম করে দেবো। পূর্বাচলে ইতোমধ্যে ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে। সেটির পাশেই আরেকটি ফুটবল স্টেডিয়ামসহ স্পোর্টসের জন্য যাতে একটা স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থা আমরা করব।’

আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: নিউজবাংলা

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত কয়েক দিন তীব্র দাবদাহের পর প্রশান্তির বৃষ্টি আমাদের খেলার পরিবেশ বদলে দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত সুন্দরভাবে এই টুর্নামেন্ট সম্পন্ন করতে পেরেছি।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা ও সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। এই টুর্নামেন্ট প্রধানমন্ত্রীর নামে নামকরণ করায় তা সব খেলোয়াড় ও কর্মকর্তার মধ্যে সাহস এবং উদ্দীপনা জুগিয়েছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে টুর্নামেন্টের নামকরণ দেশের খেলাধুলায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকস দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে।

‘তবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন প্রমাণ করে তারা শুধু দেশের অর্থনীতি নয়, খেলাধুলায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে। দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও সবসময় কাজ করে যাবে।

বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ‘ছেলেদের জন্য আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়েছে। মেয়ে কর্মকর্তাদের নিয়ে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আন্তঃব্যাংক ব্যাডমিন্টন বা টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। সেই টুর্নামেন্টও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে হবে। উনি আমাদের অনুমতি দিয়েছেন।

‘এই টুর্নামেন্টে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের একটি করে বোনাস দেয়ার জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যানদেরকে বলেছিলাম। এমনকি যেসব কর্মকর্তা খেলায় অংশগ্রহণ করেননি তাদেরকেও অর্ধেক বোনাস দেয়ার কথা বলা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, শেখ হাসিনা আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুল, সদস্য সচিব ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, সেনা ক্রীড়া বোর্ডের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৩৪ ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

খেলা
Fascinated by the people of Naogaon Suman also spread fascination

নওগাঁর মানুষে মুগ্ধ সুমন ছড়ালেন মুগ্ধতাও

নওগাঁর মানুষে মুগ্ধ সুমন ছড়ালেন মুগ্ধতাও নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রীতি ফুটবল ম্যাচ শুরুর আগে বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা
নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচের আগে বক্তব্যে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘নওগাঁর আমের মতোই সুমিষ্ট এই জেলার মানুষগুলোর ব্যবহার। এটা জানা থাকলে আরও আগেই এ জেলা ঘুরে যেতাম। প্রায় ৬শ কিলোমিটার দূর থেকে খেলতে এসেও আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্তি বোধ করছেন না।’

নওগাঁয় চলছে মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলা স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করে ক্রীড়া সংস্থা। এতে মুখোমুখি হন ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি ও নওগাঁ জেলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা।

এই আয়োজনে বাড়তি আকর্ষণ ছিলো ফুটবল মাঠে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের উপস্থিতি। ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সরবতার সুবাদে প্রায়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন এই আইনজীবী।

নওগাঁর মানুষে মুগ্ধ সুমন ছড়ালেন মুগ্ধতাও
নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রীতি ম্যাচ শুরুর আগে নিজ দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ওয়ার্মআপ করেন ব্যারিস্টার সুমন। ছবি: নিউজবাংলা

খেলা শুরুর আগে মাঠে নেমেই গ্যালারিতে বসা দর্শকদের উদ্দেশে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘নওগাঁর আমের মতোই সুমিষ্ট এই জেলার মানুষগুলোর ব্যবহার। এটা জানা থাকলে আরও আগেই এ জেলা ঘুরে যেতাম। প্রায় ৬শ কিলোমিটার দূর থেকে খেলতে এসেও আমাদের খেলোয়াড়রা ক্লান্তি বোধ করছেন না। তবে জলিল ভাইয়ের নওগাঁর টিমকে হারানো কঠিন।’

জয়পুরহাট থেকে আসা শফিউল হক বলেন, ‘ফেসবুকে ব্যারিস্টার সুমনের প্রতিটি পোস্টে নজর রাখি। সমাজের দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার তিনি। পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য তিনি অনেক ভালো কাজ করেন। এটা দেখে আমিও ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা পাই। তাই গরমের মধ্যেও সুমন ভাইকে এক নজর দেখতে ছুটে এসেছি।’

বগুড়ার শান্তাহার থেকে এসেছেন তারেকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফুটবল, ক্রিকেট সবকিছুই আমার পছন্দের খেলা। নিজেও ক্রিকেট খেলি। একজন আইনজীবী হয়েও সুমন ভাই দেশীয় ফুটবলকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগে। নওগাঁয় তিনি আসছেন জেনে চলে এলাম।’

নওগাঁর মানুষে মুগ্ধ সুমন ছড়ালেন মুগ্ধতাও
গ্যালারি উপচে পড়া দর্শক উপস্থিতির বড় কারণ ছিল ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি। ছবি: নিউজবাংলা

নওগাঁ শহরের হাট নওগাঁ মহল্লা থেকে এসেছেন সুজন, সাকিব, নোহান, আশিকসহ অন্তত ৩০ জন। তারা বলেন, ‘টিভির পর্দায় এবং ফেসবুকে সুমন ভাইকে দেখেছি। এখন সামনাসামনি দেখতে পেয়ে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে। আজ স্টেডিয়ামে এতো দর্শকের উপস্থিতির বড় কারণ ব্যারিস্টার সুমনের উপস্থিতি।’

আরও পড়ুন:
‘নিউ ইয়র্কে গোলাপের ৯ বাড়ি’: দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ
নিউ ইয়র্কে গোলাপের ৯ বাড়ির অনুসন্ধান চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট
সালাম মুর্শেদীর বাড়ি নিয়ে ভিডিও সরাতে ব্যারিস্টার সুমনকে নির্দেশ
ব্যারিস্টার সুমনের রিটে সালাম মুর্শেদীর বাড়ির কাগজ জমার নির্দেশ
সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ, হাইকোর্টে ব্যারিস্টার সুমন

মন্তব্য

খেলা
Inter Milan is the obstacle on the way of winning the treble of Manchester City

ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ের পথে বাধা ইন্টার মিলান

ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ের পথে বাধা ইন্টার মিলান
এ ম্যাচ জিতলে ম্যানসিটি ঠাই পেয়ে যাবে ট্রেবল জয়ের রেকর্ড বইয়ে। এর আগে শুধুমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে জয় করেছিল প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা।

তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে শনিবার হতে যাচ্ছে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। মুখোমুখি হবে সদ্য প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করা ম্যানচেস্টার সিটি ও সিরি এ লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান। যেখানে দারুণভাবে ফেভারিট পেপ গার্দিওলার দল।

এ ম্যাচ জিতলে ম্যানসিটি ঠাই পেয়ে যাবে ট্রেবল জয়ের রেকর্ড বইয়ে। এর আগে শুধুমাত্র ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের একমাত্র ক্লাব হিসেবে এক মৌসুমে জয় করেছিল প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা।

২০০৮ সালে আবুধাবীর ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানায় আসার পর থেকে সিটিজেনরা অপেক্ষা করছে এমন একটি মুহূর্তের জন্য। ইতোমধ্যে ইংল্যান্ডের প্রভাবশালী দলে পরিণত হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। বিগত ১২টি মৌসুমের মধ্যে সাতবার জিতে নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে তারা ঘরে তোলে এফএ কাপের ট্রফিও।

একই সঙ্গে বিশ্ব অর্থনিতির বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ডেলটের দাবি ম্যানচেস্টার সিটি এখন বিশ্ব ফুটবলের সর্বাধিক রাজস্ব উপার্জনকারী ক্লাবে পরিণত হয়েছে। গত মৌসুমে তাদের আয় হয়েছে ৭৩১ মিলিয়ন ইউরো।

তাদের এমন সাফল্যকে ঘিরে রীতিমত প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সিটির বিরুদ্ধে ১১৫টি আর্থিক নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে প্রিমিয়ার লিগ। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্লাবটি এই অনিয়ম করেছে বলে দাবী করেছে লিগ কর্তৃপক্ষ।

ইউরোপেও অভিযোগের কমতি নেই ম্যানচেস্টার সিটিকে নিয়ে। ২০১৪ সালে আর্থিক ফেয়ার প্লে সীমা লঙ্গনের দায়ে দলটিকে ৬০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করেছিল ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা ‘আর্থিক ফেয়ার প্লে’র গুরুতর লংঘনের ’ দায়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্লাবটিকে দুই বছরের জন্য উয়েফা টুর্নামেন্ট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু স্পোর্টস আর্বিট্রেশন আদালতের আদেশে পরে সেটি প্রত্যাহার হয়।

শনিবার আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানকে হারাতে পারলেই ট্রেবল শিরোপা জয় করে অ্যালেক্স ফার্গুসনের ইউনাইটেডের সহাবস্থানে পৌঁছাতে পারবে সিটি। ১৯৯৯ সালে ট্রেবল জয় করেছিল ম্যানইউ।

গত বছর সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছিল সিটি। এবার স্প্যানিশ ওই ক্লাবকে হারিয়েই মধুর প্রতিশোধ নেয়ার পাশাপাাশি সিটিজেনরা পৌঁছে গেছে ফাইনালে। আর্লিং হালান্ডের অন্তর্ভুক্তিতে পেপ গার্দিওলার দলটি নতুন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে।

বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে সিটিতে যোগ দেয়ার পর প্রথম মৌসুমেই ক্লাবটির হয়ে রেকর্ড ব্রেকিং ৫২ গোল করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তুর্কিগামী দলটি তাদের সর্বশেষ ২৭ ম্যাচের মধ্যে শুধুমাত্র একটিতে পরাজিত হয়েছে। আর ওই পরাজয়টি তারা বরণ করেছে ব্রাইটনের বিপক্ষে প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে। অবশ্য এর আগেই লিগ শিরোপা নিশ্চিত করেছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।

এই মৌসুমে ইউরোপে একটি ম্যাচেও হারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। নকআউট পর্বে হেভিওয়েট ক্লাব আরবি লিপজিগ, বায়ার্ন মিউনিখ ও রিয়াল মাদ্রিদকে পরাজিত করেছে তারা। সুতরাং ফাইনালে ইন্টার মিলানকে নিয়েও খুব একটা ভীত নয় ম্যানচেস্টার সিটি।

কেভিন ডি ব্রুইনা বলেন,‘ আমরা এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করতে পারিনি। আট বছর ধরে আমি এখানে আছি এবং দারুন সময় পার করছি। আট বছরে এতগুলো শিরোপা জয় করতে পারব, তা কি ভাবতে পেরেছিলাম? সম্ভবত পারিনি। তবে একটি শিরোপাই আমাদের অধরা থেকে গেছে, আর সেটি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আশা করছি শনিবার সেটি জয় করতে পারব।’

তবে ক্যারিয়ারের তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ের পথে ইন্টার মিলানের হুকিকে উপেক্ষা করতে পাছেননা সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। কারণ বার্সেলোনা, পোর্তো, বেনফিকা ও নগর প্রতিপপক্ষ এসি মিলানকে হটিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে সিরি এ’ লিগের ক্লাবটি।

তারা হয়তো সিটির মতো দক্ষ দলের মোকাবেলা করেনি। কিন্তু কোপা ইতালিয়ার শিরোপা ধরে রেখে তারা নিজেদের লড়াইয়ের বার্তাটি দিয়ে রেখেছে। ইন্টার জানে তারা আরো উজ্জীবিত হয়েছে। দলে রয়েছে ৩৭ বছর বয়সি এডিন জেকোর মতো অভিজ্ঞ তারকা। ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিটিতে কাটিয়েছেন তিনি। এই মৌসুমে ১৪ গোল করেছেন। আরেক ফরোয়ার্ড লটারো মাটিনেজের সঙ্গেও রয়েছে তার দারুণ বোঝাপড়া।

হয়তো সিটির মতো তারকা মহাতারকায় পরিপূর্ণ নয় সিমোন ইনজাগির দলটি। কিন্তু তাদের রয়েছে সুদৃঢ় রক্ষণ, বিপজ্জনক উইং এবং পরিশ্রমী মধ্যমাঠ, যার নেতৃত্বে আছেন নিকোলো বারেলা।

ইনজাগি বলেন, ‘আমরা এমন একটি ফুটবল ম্যাচের কথা বলছি, যেখানে ভয়ের কোনো কারণ নেই।’ ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো বাস্তোনি যোগ করেন, ‘আপনি একজন খুনিকে ভয় পেতে পারেন, ফুটবল খেলোয়াড়কে নয়। ভয়ের কথা বলাটা ভুল হবে।’

এর আগে ২০১০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছিল হোসে মরিনহোর নেতৃত্বাধীন ইন্টার মিলান। সেটি ছিল ইতালীয় কোনো ক্লাবের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। সূত্র: বাসস

আরও পড়ুন:
ইউরোপা লিগে সেভিয়ার সপ্তম শিরোপা
দায়িত্ব ছাড়ছেন নারী ফুটবল দলের কোচ ছোটন
স্পেনকে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে বাদ দেয়ার দাবি

মন্তব্য

খেলা
Messi is going to the United States to end the dream of One Last Dance

‘ওয়ান লাস্ট ড্যান্স’-এর স্বপ্ন শেষ, যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন মেসি

‘ওয়ান লাস্ট ড্যান্স’-এর স্বপ্ন শেষ, যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন মেসি বার্সেলোনা ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের পাঠ চুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পথে লিওনেল মেসি। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
রিশাদ রহমান জানিয়েছেন, মেসি ইতোমধ্যে তার সিদ্ধান্ত বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি ফিরছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

ফের বার্সেলোনা সমর্থকদের স্বপ্নভঙ্গ। বার্সার জন্য আর অপেক্ষা করবেন না লিওনেল মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

প্যারিসে দুই বছর কাটানোর পর পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নয়বায়ন না করায় মেসির বার্সায় ফেরার সম্ভাবনা জেগেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনের বিভিন্ন জটিলতা ও অনিশ্চয়তা শেষে সে সম্ভাবনার শেষ হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যেই তার পরবর্তী গন্তব্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো। যদিও ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবটির চুক্তিতে এখনও স্বাক্ষর করেননি, এমএলএসের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতেই খেলবেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন দ’র জয়ী ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

স্প্যানিশ ক্রিড়াজগতের একাধিক সাংবাদিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্প্যানিশ ক্রিড়াপত্রিকা মার্কা ও রেডিও মার্কার সমন্বয়কারী লুইস রোহো এ টুইটে জানিয়েছেন, মেসি আগামী নিশ্চিতভাবে মৌসুমে ইন্টার মায়ামিতে খেলবেন।

কাতালুনিয়ার বার্সেলোনা বিষয়ক প্রখ্যাত সাংবাদিক জেরার্দ রোমেরো তার টুইটে বলেন, (মেসি-বার্সা) কাহিনী সমাপ্ত।

স্প্যানিশ ক্রিড়া সাংবাদিক মিগেল রিগোর বরাতে বার্সেলোনার খবর প্রাপ্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব রিশাদ রহমান জানিয়েছেন, মেসি ইতোমধ্যে তার সিদ্ধান্ত বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তিনি ফিরছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি।

এ বিষয়ে মুন্দো দেপর্তিভো ও স্পোর্তকে মেসির দেয়া স্বাক্ষাতকার আজ রাতেই প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিশাদ।

মেসিকে বার্সেলোনায় ফেরাতে যথাসম্ভব চেষ্টা করেন ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা, ম্যানেজার শাভি এরনান্দেস ও পরিচালনা পর্ষদ। বার বারই সংবাদমাধ্যমে তারা বলে এসেছেন, বার্সায় ফেরার বিষয়টি মেসির ওপরই সম্পূর্ণ নির্ভর করছে।

আর্থিক জটিলতার কারণে তারা সময়মতো মেসিকে প্রস্তাবও পাঠাতে পারেনি। গতকাল লা লিগা বার্সেলোনার আর্থিক পরিকল্পনার (ভায়াবিলিটি প্ল্যান) অনুমোদন দিলেও অনেকগুলো জটিল সমীকরণ মেলানোর প্রয়োজন ছিল ক্লাবের। মেসিকে দলে ভেড়ানোর আগে ক্লাব থেকে অন্তত দুজন খেলোয়াড় বিক্রি ও ৪০ মিলিয়ন ইউরো আয় করতে হতো তাদের।

যদিও তারা আজ মেসিকে একটি অফিশিয়াল প্রস্তাব দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু মেসির ক্যাম্প বার্সেলোনার পক্ষ থেকে মেসিকে রেজিস্ট্রেশনের শতভাগ নিশ্চয়তা চায়। কিন্তু এ মুহূর্তে তা দেয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয়। তার জন্য মেসিকে অন্তত আগস্ট মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানায় তারা। এরপর মেসি ও তার ক্যাম্প আর ঝুঁকি নিতে চাননি।

ক্লাবকে তাই জানিয়ে দেয়া হয় যে, খেলোয়াড় হিসেবে বার্সায় আর ফেরা হচ্ছে না মেসির। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামির প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন তিনি।

অবশ্য সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল থেকেও ১ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব ছিল মেসির জন্য। কিন্তু মরুর দেশে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতে চাননি তিনি। পরিবারেরও এ বিষয়ে অমত ছিল। তাই সে প্রস্তাব আর গ্রহণ করেননি তিনি।

অবশ্য তার বাবা ও এজেন্ট হোর্গে মেসি শুরুতে সৌদিতে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। তবে ছেলে ও তারা পরিবারের কথা মেনে নিয়ে পরে ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে জেরার্দ রোমেরোর বক্তব্য, ‘এ ঘটনায় কোনো পক্ষকেই দোষ দেয়া যায় না। ২০২১ সালের ঘটনাটি অনেকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মেসি কেন আরও কিছুদিন অপেক্ষা করল না, সে বিষয়ে কথা উঠতে পারে। আবার বার্সারও সময়মতো জটিলতা দূর করা উচিত ছিল, যা তারা করেনি। আসলে বিষয়টি যা হয়েছে, এভাবেই ভাবা উচিত।’

আরও পড়ুন:
বাবা ও স্ত্রীর দ্বিমুখী চাপে মেসি
মেসির বার্সায় ফেরার স্বপ্নে ফের ধাক্কা
মেসিকে বছরে ৪০ কোটি ইউরোর প্রস্তাব আল-হিলালের

মন্তব্য

p
উপরে