× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
জাত ফুটবলার থেকে জহিরের দেশসেরা স্প্রিন্টার হওয়ার গল্প
google_news print-icon

জাত ফুটবলার থেকে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির

জাত-ফুটবলার-থেকে-দেশসেরা-স্প্রিন্টার-জহির
শেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলনে জহির। ছবি: নিউজবাংলা
প্রথমে বাবা মা বকাবকি করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে ফুটবল অনুশীলন করার জন্য ভর্তি করায় ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধান বসাকের কাছে। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়। এখান থেকেই জন্ম হয় দেশসেরা স্প্রিন্টার জহিরের।

জহিরের জীবন সিনেমা থেকে কোনো অংশে কম নয়। ছিলেন প্রচণ্ড ডানপিটে। ভীষণ খেলা পাগল ছেলে। পড়াশুনায় একেবারে অমনোযোগী। স্কুলে অনিয়মিত এই ছেলেটা একসময় হতে চেয়েছিলেন ফুটবলার।

তেমনটা হয়নি। ফুটবলার হতে না পারলেও ক্রীড়ার আরেক ক্ষেত্রে সুনাম কুড়িয়েছেন জহির। শেরপুরের ফুটবল জগত ছেড়ে হয়ে গেছেন দেশসেরা স্প্রিন্টার। আঞ্চলিক থেকে জাতীয় পর্যায়ে শুধু স্বর্ণই জেতেননি ভেঙে গড়েছেন নতুন রেকর্ডও।

গল্পের শুরুটা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে।

নিজ পুত্র সন্তানদের ভালোভাবে লেখাপড়া করানোর জন্য স্কুল শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের দীঘলদি গ্রামের বাড়ী ছেড়ে বসবাস শুরু করেন শেরপুর জেলা শহরের বাইরে পাড়া মহল্লায়।

শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান বড় ছেলে রাসেল ও দ্বিতীয় পুত্র জহির রায়হানকে। বড় ছেলে রাসেল নিয়মিত স্কুল করলেও ৩য় শ্রেণীতে ওঠার পর খেলা-ধুলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে জহির রায়হান। স্কুলেও উপস্থিত থাকত অনিয়মিত।

প্রথমে বাবা মা বকাবকি করলেও শেষ পর্যন্ত তাকে ফুটবল অনুশীলন করার জন্য ভর্তি করায় ‘ফর ফুটবল শেরপুর’ এর কোচ সাধান বসাকের কাছে। সেখানে সে ভালো ফুটবলার হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে সক্ষম হয়।

পরবর্তীতে বিকেএসপি প্রতিভা অন্বেষণ টিম আসে শেরপুরে খেলোয়াড় বাছাই করার জন্য। প্রথম বার বিকেএসপিতে জায়গা না করতে পারলেও পরেরবার ২০১২ সালে অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে সুযোগ করে নেন জহির।

প্রথমে একমাস প্রশিক্ষণ করে বাছাইয়ে টিকে যান। পরে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিকেএসপিতে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পান জহির। এর পর থেকেই তার সামনে চলা।

জহির রায়হান দেশের বড়বড় আসরে অনেক পুরস্কার জিতেছেন। ৪০০ মিটারে ৪৬.৮৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দেশীয় আসরে ৩২ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

এছাড়া ওয়ার্ল্ড ২০১৭ সালের কেনিয়ার ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস ও থাইল্যান্ডের এশিয়ান ইয়ুথ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০মিটার ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে হিটে উত্তীর্ণ হয়ে সেমিফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন।

জাত ফুটবলার থেকে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির
শেরপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছেন জহির। ছবি: নিউজবাংলা

এছাড়া ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কায় সাউথ এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৯ সালে কাতারে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস, ২৩তম এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ এবং নেপালে ১৩তম সাউথ এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন জহির। তার এ সাফল্য দেখে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে তাকে পেটি অফিসার হিসেবে চাকুরী দেয়া হয়। এতে খুশি জহির ও তার পরিবার।

গত সপ্তাহে স্বপ্নপূরণ হয় এই স্প্রিন্টারের। ওয়াইল্ড কার্ডে অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পান। ফুটবলার থেকে স্প্রিন্টার হওয়ার গল্পটা নিজের মুখেই নিউজবাংলাকে জানালেন শেরপুরের এই কৃতি অ্যাথলেট।

বলেন, ‘আমি ছোট থেকেই খেলা পাগল ছিলাম। প্রথমে আমার বাবা মা আমাকে লেখা পড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলেও পরবর্তীতে সহযোগিতা করেছেন। প্রথমে ফুটবল দিয়ে শুরু করলেও পরবর্তীতে বাবার ইচ্ছেতে অ্যাথলেটিকসে বিকেএসপিতে ভর্তি হতে সক্ষম হই।’

অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ার মাধ্যমে বাবা-মার স্বপ্নও পূরণ হয়েছে বলে জানান জহির, ‘আমার বাবা-মার আশা পুরণ করতে পেরেছি। এ জন্য আমার কোচ স্যারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আর সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন টোকিও অলিম্পিকে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে পারি।’

ছেলের সাফল্যে খুশি তারা বাবা আব্দুর রাজ্জাক ও মা শিখা বেগম। বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমার ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করালেও তার খেলার প্রতি টান ছিলো বেশী। তাই আমার বড় ছেলের পরামর্শে আমি তাকে খেলাধুলার চর্চা করাতে আগ্রহী হয়ে ওঠি।

জাত ফুটবলার থেকে দেশসেরা স্প্রিন্টার জহির
জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে উপহার নিচ্ছেন অ্যাথলেট জহির। ছবি: নিউজবাংলা

পরিবারের দ্বিতীয় পুত্র জহির। ছেলের জন্য দোয়া চাইলেন তার মা শিখা বেগম, ‘আমার ছেলে যাতে আরো সাফল্য অর্জন করতে পারে এ জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’

জহির রায়হানের প্রথম কোচ সাধন বসাক জানান, 'জহির প্রথমে আমার কাছে অনুশীলন করে। তাকে অনুশীলন দেখে প্রথম থেকেই আমি ভেবেছি সে একদিন বড় কিছু করতে পারবে। আজ সেটাই বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এতে আমি খুবই খুশি।’

শেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সম্পাদক মানিক দত্ত জানান, ‘শেরপুরের ক্রীড়াপ্রেমিসহ সর্বস্তরের মানুষ খুশি জহিরের এ কৃতিত্বের জন্যে। এ জন্য তাকে শেরপুর জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্থানে সংবর্ধনাও দেয়া হচ্ছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থাও টোকিও অলিম্পিকে জহির ভালো করবে এ প্রত্যাশা করছে।’

টোকিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ পাওয়ায় জাতীয় ৪০০ মিটার চ্যাম্পিয়ন স্প্রিন্টার জহিরকে সংবর্ধনা দিয়েছে শেরপুর জেলা প্রশাসন।

গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। ওই সময় ক্রীড়া সরঞ্জামাদি কেনার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা নগদ অনুদান দেয়া হয়।

জেলার প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, ‘জহির আমাদের অহঙ্কার। সে শুধু শেরপুর নয় সারাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করছে। আমরা আশা করবো, টোকিও অলিম্পিকে সে দেশের জন্য আরও বড় গৌরব বয়ে আনবে।’

আরও পড়ুন:
অলিম্পিকে পদকজয়ী খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার
অলিম্পিকে যাচ্ছেন স্প্রিন্টার জহির
বিশ্বকাপ আর্চারিতে বাজে শুরু বাংলাদেশের
অলিম্পিকস বাতিলের দাবি টোকিওর চিকিৎসকদের
বিশ্বকাপ রূপকথার অপেক্ষায় রোমানরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
Sania in the polling field

ভোটের মাঠে সানিয়া

ভোটের মাঠে সানিয়া সানিয়া মির্জা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।

আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।

এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।

এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।

এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।

৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Debt of crores after losing bet in IPL suicide of wife

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা ছবি: এনডিটিভি
জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।

তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।

যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।

তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Tamim came live and opened up about the phone conversation

লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম ছবি: ফেসবুক লাইভ থেকে
বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।

ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে নানা গুঞ্জনের মধ্যেই এ নিয়ে কথা বলতে ফেসবুক লাইভে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ঘোষণা অনুযায়ী তিনি তার কথা রেখেছেন।

লাইভে তামিম জানান, মূলত মোবাইল আর্থিক লেনদেনের প্রতিষ্ঠান নগদের একটি বিজ্ঞাপনের প্রচারণায় ফোনালাপ ফাঁসের অভিনয় করেন তারা। লাইভে তামিম-মিরাজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে তামিম ইকবাল ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওই ফোনালাপ প্রচারিত হয় টিভি চ্যানেলে। পরে এটি ভাইরাল হয় ফেসবুকে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তামিম ও মিরাজকে কথা বলতে শোনা যায়। এতে তামিম মুশফিকের কোনো আচরণে ক্ষুব্ধ হওয়ার কথা জানান মিরাজকে।

সেই ফোনালাপ প্রচার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করতে থাকেন।

অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম। জানালেন, নগদের ক্যাম্পেইনের প্রচারণার জন্য তারা এই নাটক করেছেন।

লাইভে তামিম জানান, ঈদ উপলক্ষে নগদের একটি ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। যেখানে ২৪ জন গ্রাহককে জমি উপহার দেয়া হবে। সেই ক্যাম্পেইনে জয়ের জন্য দুই বা তিনজন করে দল গঠন করে লেনদেন করতে হবে, যে দলে মুশফিককে রেখেছিলেন তামিম। তবে মুশফিক বের হয়ে গেছেন। মূলত এসব ঘিরেই ছিল এই ফোনালাপ।

আরও পড়ুন:
‘কী কথা, কাহার সনে’, লাইভে জানাবেন তামিম

মন্তব্য

অন্যান্য
Walton Ima Media Cup Cricket 2024 held at Banani

বনানীতে ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত

বনানীতে ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেটে বিজয়ী দল গান বাংলার সঙ্গে মেয়র আতিক। কোলাজ: নিউজবাংলা
এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি।

রাজধানীর বনানীতে শহীদ জায়ান চৌধুরী খেলার মাঠে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া মার্কেটিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইমা) ব্যবস্থাপনায় ‘ওয়ালটন-ইমা মিডিয়া কাপ ক্রিকেট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ালটন ইমা কাপ ক্রিকেট রোববার শেষ হয়।

এবারের টুর্নামেন্টে ২৪ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল অংশ নেয়। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। রানার্স-আপ হয় দীপ্ত টিভি ।

এ খেলায় ফাইনালে দীপ্ত টিভিকে ছয় উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গান বাংলা টিভি। বল হাতে ৩ উইকেট ও ব্যাট হাতে ৩৫ রান করে ম্যাচসেরা হন গান বাংলার শাওন।

ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

এ সময় পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. রবিউল ইসলাম মিলটন, ইমার সভাপতি আনিসুর রহমান তারেক ও সাধারণ সম্পাদক তছলিম চৌধুরী, গান বাংলা টেলিভিশনের চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি, প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপস, চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নীরব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ওয়ালটন ১২তম জাতীয় সার্ভিসেস কুস্তি প্রতিযোগিতা
ওয়ালটন প্লাজার ‘চ্যালেঞ্জার্স সামিট’ অনুষ্ঠিত
বিক্রয় বৃদ্ধিতে অসামান্য অবদান রাখায় ৩৮১ জনকে পুরস্কৃত করল ওয়ালটন
ওয়ালটনের নতুন ‘নেক্সজি এন২৫’ সিরিজের স্মার্টফোন বাজারে
ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় যুব হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা শুরু

মন্তব্য

অন্যান্য
Mujib Barsha 18th Fizz Up Cup Golf Tournament held at Mainamati

ময়নামতিতে মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

ময়নামতিতে মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত ময়নামতিতে শনিবার সকালে 'মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
টুর্নামেন্ট শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
কুমিল্লা সেনানিবাসের ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবে ‘মুজিব বর্ষ ১৮তম ফিজ আপ কাপ গলফ টুর্নামেন্ট-২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিন শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে শতাধিক গলফার অংশ নেন।
টুর্নামেন্ট শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার বিতরণ করেন ময়নামতি গলফ অ্যান্ড কান্ট্রি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অফ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ।

মন্তব্য

অন্যান্য
The Corporate Futsal Cup went to the home of the Asian group

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ
ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

গায়ে রঙ-বেরঙের টি-শার্ট, মুখে ভুভুজেলা বাঁশির সুর। শত শত ফুটবল সমর্থক গলা ফাটাচ্ছেন এক নাগাড়ে, সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে হাততালি আর ড্রাম বাজানো তো আছেই। আর যাদের ঘিরে এত এত আবেগের বিস্ফোরণ টার্ফের সবুজ গালিচায়, তারা লড়ছেন বুক চিতিয়ে। এর মাঝে এক ঘণ্টার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয় তুলে নেয় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

এশিয়ান গ্রুপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ফুটসাল টার্ফের বৃহস্পতিবার রাতের চিত্র এটি। এশিয়ান গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হওয়া ‘করপোরেট ফুটসাল কাপ’ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ছিল এদিন।

ফাইনালে ম্যাফ সুজ ফুটবল দলকে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয় পায় এশিয়ান গ্রুপ ফুটবল দল।

২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় এই করপোরেট টুর্নামেন্ট। আট গ্রুপে ২৪ করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ফুটবল দল অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে পর্দা নামল এই টুর্নামেন্টের।

ফাইনাল ম্যাচ শেষে আয়োজন করা হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের।

এশিয়ান গ্রুপের ঘরেই গেল করপোরেট ফুটসাল কাপ

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউর করিম চৌধুরী।

মেয়র তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সুন্দর এই আয়োজনের জন্য এশিয়ান গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই খেলার মধ্যে দিয়ে এশিয়ান গ্রুপ প্রমাণ করেছে মাদক-মোবাইলের নেশা থেকে খেলার নেশায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই প্রতিযোগিতা বারবার হোক, তরুণ সমাজও উদ্বুদ্ধ হোক। খেলায় যে উদ্দীপনা দেখছি যেন গণজোয়ার ফিরে আসছে।’

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এতদিন টেলিভিশনে ফুটবল দেখেছি। আজকে প্রথম সামনে সামনে দেখলাম। সত্যি আমি আনন্দিত। ছেলেমেয়েরা মোবাইল-মাদক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা যদি ভালো সুযোগ পায় তাহলে তারা ভালোভাবে গড়ে উঠবে।

‘যে দেশ খেলাধুলায় উন্নত, সেই দেশ এগিয়েও। সেজন্য আমাদের খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে। এশিয়ান গ্রুপকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে এশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম বলেন, ‘এশিয়ান গ্রুপ তরুণদের ভালো উদ্যোগের সঙ্গে, খেলাধুলার সঙ্গে সবসময় আছে। সামনের দিনগুলোতেও থাকবে।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এশিয়ান গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ সালাম, পরিচালক ওয়াসিফ সালাম, তরুণ উদ্যোক্তা বোরহানুল হাসান চৌধুরী, তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, কাউন্সিলর মোরশেদুল আলম প্রমুখ।

মন্তব্য

অন্যান্য
MTB cycle race in tea garden

চা বাগানে এমটিবি সাইকেল রেস

চা বাগানে এমটিবি সাইকেল রেস সিলেটের মালনিছড়া চা-বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় শুক্রবার সকালে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা। ছবি; সংগৃহীত
সিলেটের মালনিছড়া চা বাগানের পাহাড়ি রাস্তায় এই প্রতিযোগিতায় দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।

সবুজ শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড়-টিলায় ঘেরা সিলেট। আর এই পাহাড়-টিলা জুড়ে রয়েছে অজস্র চা-বাগান। সেই চা বাগানের মাঝ পাশে ও মাঝখান দিয়ে থাকা পাহাড়ি পথে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হলো রোমাঞ্চকর এমটিবি সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা।

মাউন্টেন সাইক্লিং বিশ্বের বহু দেশে বেশ জনপ্রিয়। পাহাড়ের রাস্তায় বা উঁচু টিলায় আয়োজন করা হয় এই মাউন্টেন সাইক্লিং। সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির আয়োজনে শুক্রবার সকাল ৭টায় মালনিছড়া চা বাগানে এসসিসি এমটিবি চ্যালেঞ্জ-২০২৪ পাওয়ারড বাই গ্লোবাল হেলথকেয়ার সাইকেল রেস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

দুই বিভাগে সারা দেশের ১৩৫ জন রেসার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। নারী বিভাগে ৭ জন রেসার প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পুরুষদের জন্য ২৭ কিলোমিটার আর নারীদের জন্য ছিলো ১৭ কিলোমিটার।

পুরুষ বিভাগে বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কাওসার পয়দা, দ্বিতীয় এম ডি শহীদ হোসেইন ও তৃতীয় হয়েছেন এম ডি জালাল। আর নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাবাসসুম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সানজিদা রহমান।

বিজয়ীদের ছাড়াও শীর্ষ ১০ জন রেসারকে নগদ অর্থ পুরস্কার দেয়া হয়।

প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সৈয়দ সুহাগ, মামুনুর রহমান, নুসরাত জাহান ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।

সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন এবং আয়োজক কমিটির সদস্য ডা. ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, ‘আমরা সব সময় তরুণদের নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা চাই খেলাধুলায় তরুণদের আগ্রহ বাড়ুক।

‘সাইক্লিং করলে মানুষ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ের খেলা। আমরা মনে করি সাইক্লিস্টরা এমন রেসের মাধ্যমে নিজেদের তৈরি করতে পারবে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সাইক্লিংয়ে মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর।’

নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাবাসসুম বলেন, ‘চা বাগানের ভেতরে এমন একটি সুন্দর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। এই রেসের মাধ্যমে আমার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতে আর ভালো কিছু করতে পারবো।’

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল হেলথকেয়ার সেন্টারের হেড অফ মার্কেটিং এহতেশাম চৌধুরী।

রেস পরিচালনায় ছিলেন ডা. ওরাকাতুল জান্নাত। রেসের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বে ছিলেন সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটির অ্যাডমিন সৈয়দ সুহাগ ও হাসান আহমেদ।

মন্তব্য

p
উপরে