× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
মানজুকিচের সতীর্থ বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার এখন কিংসে
google_news print-icon

মানজুকিচের সতীর্থ বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার এখন কিংসে

মানজুকিচের-সতীর্থ-বাংলাদেশি-প্রবাসী-ফুটবলার-এখন-কিংসে
মানজুকিচের সঙ্গে অনুশীলনে ওবাইদ। ছবি: সংগৃহীত
২০০৬ সালে পরিবারের সঙ্গে কাতারে পাড়ি জমান ওবাইদ রহমান। দেশটির বিখ্যাত এসপায়ার অ্যাকাডেমিতে খেলার পর কাতারের শীর্ষ লিগের দল আল দুহাইল এফসির রিজার্ভ দলে সুযোগ পান এই মিডফিল্ডার কাম উইঙ্গার। পরে ২০১৯-২০ মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নিয়ে দুটি ম্যাচও খেলেন।

ক্রোয়েশিয়ার সুপারস্টার মারিও মানজুকিচের সঙ্গে একই সাজঘর শেয়ার করা বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলারকে দলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ট্রায়ালের মাধ্যমে এই ফুটবলারকে মনে ধরেছে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবটির।

তার নাম ওবাইদ রহমান। ইতোমধ্যে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন ফেনীতে জন্ম নেয়া প্রবাসী এই ফুটবলার।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন দলের মিডিয়া ম্যানেজার আহমেদ শায়েক।

তিনি বলেন, ‘সে প্রায় এক মাস যাবৎ আমাদের সঙ্গে অনুশীলন করছে। ট্রায়ালে তার খেলা পছন্দ হয়েছে ক্লাব ম্যানেজমেন্টের। কোচ অস্কার ব্রুজনসহ দলের পছন্দ হওয়ায় তার সঙ্গে চুক্তিতে যাচ্ছে কিংস। শিগগিরই তার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তি করা হবে।’

২০০৬ সালে পরিবারের সঙ্গে কাতারে পাড়ি জমান ওবাইদ রহমান। দেশটির বিখ্যাত এসপায়ার অ্যাকাডেমিতে খেলার পর কাতারের শীর্ষ লিগের দল আল দুহাইল এফসির রিজার্ভ দলে সুযোগ পান এই মিডফিল্ডার কাম উইঙ্গার। পরে ২০১৯-২০ মৌসুমে ক্লাবটির মূল দলে জায়গা করে নিয়ে দুটি ম্যাচও খেলেন।

সপ্তাহখানেকের ট্রায়ালে তাকে মনে ধরেছে ক্লাব ম্যানেজমেন্টের।

ওবাইদের ব্যাপারে আশাবাদী দলটির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর বায়েজিদ জুবায়ের নিপু বলেন, ‘এক সপ্তাহের ট্রায়ালে তাকে পছন্দ হয়েছে সবার। ফুটবলে তার ব্যাসিক সেন্স ভালো। যেটা দরকার। মিডফিল্ড আর উইঙ্গে খেলতে পছন্দ করে সে। আমাদের স্থানীয় ফুটবলারদের থেকে ভালো খেলে এই ফুটবলার।’

দলে মাঝমাঠে মাসুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ ও ইমন বাবুর মতো পরীক্ষিত আছে। সঙ্গে উইঙ্গে ইব্রাহিম, মতিন মিয়া ও মাহবুবুর রহমান সুফিলের মতো ফুটবলার খেলছেন।

তারকা নির্ভর এমন দলে ওবাইদের সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন হতে পারে এমন প্রশ্নে নিপু বলেন, ‘মতিনদের বিট করে তাকে সুযোগ করে নিতে হবে। তবে কোচের ভাবনা হচ্ছে শাফেল করে তাকে সুযোগ করে দিতে চায় অস্কার ব্রুজন। ওবাইদের সংযুক্তির মাধ্যমে কিংসের বেঞ্চও শক্তিশালী হচ্ছে। করোনার এই সময়ে যেকোনো সময় ভালো ফুটবলারের প্রয়োজন থেকেই তাকে দলে নেয়া।’

ওবাইদের পাশাপাশি দলে আরও দুই বাংলাদেশি প্রবাসী ফুটবলার তারিক কাজী ও মাহাদী খেলছে কিংসের জার্সিতে। সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া এলিটা কিংসলের সঙ্গে ইতোমধ্যে অনুশীলন শুরু করেছেন ২২ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সামনে এএফসি কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বে কিংসের জার্সিতে অভিষেক হতে পারে এই ফুটবলারের।

আল দুহাইলে থাকাকালীন গত রাশিয়া বিশ্বকাপের রানার আপ ক্রোয়েশিয়ার সুপারস্টার মানজুকিচ খেলেছেন একই দলে। ইউভেন্তাসের সাবেক এই ফুটবলারের সঙ্গে অনুশীলন থেকে শুরু করে ড্রেসিং রুম শেয়ার করেছেন ওবাইদ।

আরও পড়ুন:
কিংসে কিংসলে, থাকছে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ
রবসন-বেসেরার গোলে সেমিতে কিংস
লাতিন ছন্দে উড়ন্ত শুরু কিংসের
১৫ গোলের জয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন কিংস
সাবিনার রেকর্ডের দিনে কিংসের গোল বন্যা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
Most of the roads in Comilla metropolis

কুমিল্লা মহানগরের অধিকাংশ সড়কই যেন একেকটি মরণফাঁদ

কুমিল্লা মহানগরের অধিকাংশ সড়কই যেন একেকটি মরণফাঁদ

কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশ পথের প্রধান সড়কগুলো যেন এখন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছমব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর এবং টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি,

সড়কে জায়গায় জায়গায় বিশাল গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের নতুন নাম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব ঝুঁকিপূর্ণ পথে চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ঢেকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর এমন করুণ দশা কর্তৃপক্ষের অবহেলারই প্রমাণ। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। যদিও বর্ষার দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কগুলোর সংস্কার নিয়ে দায়সারা কথা বলছেন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে আলেখারচর বিশ্বরোডের অন্তত এক কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত, উঠে যাওয়া পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর সব মিলিয়ে সড়ক নয়, যেন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। অথচ এই সড়কটি নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এখানে রয়েছে কুমিল্লা নগরের বৃহত্তম বাসস্ট্যান্ড 'শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড'। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় হাজার হাজার মানুষের চলাচল৷

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা নগরে প্রবেশের অন্যতম এই ব্যস্ত সড়কটির কথা ভুলেই গিয়েছেন প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এই গর্তগুলো সড়কে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এক সময় গর্তগুলো ছোট ছোট থাকলেও এখন সেগুলো বড় হয়ে রূপ নিয়েছে ভয়ংকর।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বর্ষার পানিতে সেই ক্ষত আরও বেড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। পানিতে গর্তগুলো ঢেকে যাওয়ায় না বুঝে গাড়ি সেখান দিয়ে চলাচল করলেই ঘটে দূর্ঘটনা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে কুমিল্লা নগরী থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে দুর্গাপুর এলাকার দিঘীরপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটির প্রবেশমুখেই সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা,

দুরবস্থার কারণে চালকরা গর্ত এড়িয়ে এঁকেবেঁকে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও, গর্ত থাকায় হেলে দুলে চলছে গাড়িগুলো। এতে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। রোগী বহনের ক্ষেত্রেও এই সড়ক প্রায় অচল। অথচ এটি কুমিল্লার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের অন্যতম যোগাযোগপথ।

এই সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাসপোর্ট অফিস পার হয়ে ওষুধ মার্কেট এলাকা, শাসনগাছা ফ্লাইওভারের দুই পাশে, দুর্গাপুর দিঘিরপার বাজার ও আলেখারচর এলাকায়। প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, শত শত বাস, ট্রাক, পণ্যবাহী গাড়ি ও তেলের লরি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

যাত্রীদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্ষায় তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হওয়া অন্তত পাঁচজন পথচারী ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, বড় যানবাহন কষ্ট করে চললেও অটোরিকশা নিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে পড়ে, এতে যাত্রীরা আহত হন। কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মালামাল নিয়ে যাতায়াত এখন অনেকটাই অসম্ভব। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?

স্থানীয়দের দাবি, যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা। টমসমব্রীজ-বাখরাবাদ সড়ক। বড় বড় গর্তে জমে থাকা পানি দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন জলাশয়। প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যান, পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থী এ পথে চলাচল করেন। পথে রয়েছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ, বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড,সহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই সড়ককে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বলা চলে।

এই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে এমন আশার দৃশ্য সিটি কর্পোরেশন থেকে দেখানো হলেও বর্ষার দোহাই দিয়ে সেটিও বন্ধ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এতে খানাখন্দ যেন আরো বেড়ে গিয়েছে। যদিও সিটি কর্পোরেশন বলছে আগের তুলনায় এই সড়ক অনেক বেশি চলাচল উপযোগী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড ১ নং গেইট পর্যন্ত সড়ক যেন দাঁড়িয়েছে মরণফাঁদ হয়ে। এই সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে। বড় বড় গর্তে পড়ে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির ইঞ্জিন। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়াও রোগীবাহী এম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়েও সঠিক সময়ে রোগী নিয়ে পৌঁছাতে পারেন না মেডিকেলের জরুরী বিভাগের সামনে। এতে অনেক সময় রোগীর জীবনের ঝুঁকির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

টমসমব্রীজ-মেডিকেল সড়কে প্রতিদিন চলাচল করা অন্তত ১০ জন যাত্রী এই বলেন, এই সড়কে রোগী নিয়ে গেলে গর্তে ধাক্কা খেয়ে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় তো গর্ত দেখা যায় না, তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ। পানি ময়লা, আবার সড়ক পিচ্ছিল। এতে যাত্রীদের অনেক সময় পড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। এই সড়ক দিয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে রোগী আসলে রোগীর সাথে যারা আসে তারাও অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত এই সড়ক পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।

হেলে দুলে গাড়ি চলছে নগরীর কান্দিরপাড়-ধর্মপুর সড়কে

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভোগান্তী চরমে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর সড়ক। নগর বাসীর দাবি দ্রুত সড়ক গুলো মেরামত করা হোক, এবং অবৈধ দখল, পার্কিং,অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে স্বস্তি দেওয়া হোক।

মন্তব্য

দুর্নীতির আখড়া রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস

দুর্নীতির আখড়া রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ অফিসে কর্মরতদের চাহিদা মত ঘুষ দিলেই হয় সব কাজ, না দিলেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ- ঘুস বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা, প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ। তারা তিনজন জন মিলেমিশে এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে যেন ঘুসের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ও মিরাট ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল একটি কাশিমপুরে। ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত এলাকা মিরাট ইউনিয়নের জন্য গত প্রায় সাত মাস আগে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর বাজার এলাকায় নতুন করে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস করা হয়। ওই ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন দুরুল হুদা। আর প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ।

অভিযোগ উঠেছে খাজনার অনুমোদন, খাজনার চেক করে দিতে, খারিজের প্রতিবেদন-প্রস্তাব, হোল্ডিং এন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন দিতে দুই হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার, ২০ হাজার, এমনকি লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা। সেবাপ্রত্যাশীরা তাকে চাহিদা মত ঘুস দিলেই মিলে কাজ, না দিলেই সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানিতে পরতে হয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অফিসে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ। তার মদদে অফিসের স্টাফদের মতো দুইজন দালাল থাকেন সব সময় অফিসে। দালালদের মধ্যস্ততায় সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকেও হাজার হাজার টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেন তারা।

অফিসের প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগের বিরুদ্ধেও যেন অভিযোগর শেষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- জায়গা-জমির খারিজ (নামজারী) করিয়ে দিতে তারা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ৭ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। খারিজের জন্য কেউ ঘুষ দিয়েও ঘুরছে দিনের পর দিন। আবার নিয়ম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে তারা দু’জন গোপনে দেন প্রস্তাবিত খতিয়ান। খারিজ শেষে কেউ হোল্ডিং খুলতে গেলে বা কেউ খাজনা দিতে গেলে সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানি করেন। পরে তাদের কব্জায় ফেলে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে দেন।

উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া গ্রামের মোছা. মেঘনা নামে ভুক্তভোগী এক নারী জানান, জমি খারিজের পর খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। কিন্তু অফিসের নায়েব অনুমোদন দেননি। আবার আবেদন করেছি। প্রায় ৬ মাস ধরে অফিসে ঘুরছি। অফিসের পিওন সোহাগের কাছেও ঘুরেছি। এখনো অনুমোদন মেলেনি, খাজনাও দিতে পারিনি।

জালালাবাদ গ্রামের রায়হান রাফু জানান, আমাদের একটি জমির খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ মিসকেস করেছে। এই মিসকেস থেকে কিভাবে উদ্ধার হওয়া যায় সেজন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের কাছে যাই। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও তার সাথে থাকা একজন দালাল আমাদের জমির সকল সম্যসা সমাধান করে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। পরে তারা দুইজন মিয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও দালাল বলে এই সাম্যান্য টাকা দিয়ে কাজ হবে না। পরে তারা দুইজন আমাদের সাথে ৯৭ হাজার টাকা চুক্তি করেন। কয়েক ধাপে নায়েব ও তার দালাল ৯৭ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই কাজের কোন সমাধান হয়নি বা নায়েব আমাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। তার পিছনে তিন মাস ধরে ঘুরছি। আমি এর প্রতিকার চাই।

পার্শবতী মান্দা উপজেলার তুরুকবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে নায়েবের কাছে গেলে তার একজন দালাল আমার কাছ থেকে জমির কাগজপত্র নিয়ে নেয়। পরে কিজানি ইন্টি করতে হবে এজন্য ২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। আমি তাদের চাহিদামত টাকা দিইনি তাই খাজনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া চলতি বছরে আমার কয়েক দাগে জমির খারিজ করে নিয়েছি। সেই খাজিরের ৪৬ শতাংশ জমির খাজনা দিতে অফিসে গেলে নায়েব দুরুল হুদা আমার কাছে ৩১ হাজার ৮১৮ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা তাকে না দেওয়ায় আর খাজনা দেওয়া হয়নি। পরে নায়েবের কাছে আবার গেলে তিনি আমার জমির হোল্ডিং বের করে জমির নানা সমস্য তুলে ধরেন। এরপর টাকা না পেয়ে হোল্ডিংয়ে লাল কালির চিহ্ন দিয়ে দেয়।

হরিশপুর গ্রামের সোলাইমান জানান, আমার ৪৫ শতাংশ জমির খাজনা দেওয়ার জন্য পিওন সোহাগ খাজনার চেক করে দিবে বলে ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন। সেইদিন চাহিদামত টাকা দিইনি দেখে

মিরাট উত্তরপাড়া গ্রামের ফাহাদ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে গেলে অফিসের কুদ্দুস ও সোহাগ ১০ হাজার টাকা চায়। এরপর তারা আমাকে বেশ কয়েকদিন ঘুরিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাত্র ৭৭২ টাকার খাজনার চেক করে দিয়েছে।

মিরাট গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ছাত্তার জানান, আমার তিন দলিলে ৮ শতাংশ জমি খারিজের জন্য অফিসের সোহাগ প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৭ হাজার টাকা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ঘুরিয়ে খারিজ করে দিয়েছে। এখন হোল্ডিং খোলার জন্য অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। হয়রানির কথা জানালেন ফজলু সরদার ও মজনু সরদার দুই ভাই। তারা কয়েক মাস আগে পৃথক দলিলে ৬ শতাংশ জমির খারিজের জন্য সোহাগের হাতে ঘুষ দিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। কাজ হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী আরও ৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছে না অসহায় ওই দুই ভাই।

স্থানীয় ইয়াকুব নামের এক লোকের কাছে প্রস্তাবিত খতিয়ান দিয়ে দুই হাজার দুইশ’ টাকা ঘুষ নিয়েছে কুদ্দুস ও সোহাগ। ইয়াকুব জানালেন, কুদ্দুস ও সোহাগ দুজনেই খুব খাইখোর। তারা ঘুষ ছাড়া কিছুই বোঝে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সাথে আমি কোন কথা বলবো না।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পিওন সোহাগও ফোন রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, বিষয়গুলো আমার জানা নেই। কেউ কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Mother daughter chose suicide by being infected with a lack of illness R loan

অভাব অসুস্থতা আর-ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন মা-মেয়ে

অভাব অসুস্থতা আর-ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা পথ বেছে নিলেন মা-মেয়ে

স্বামী নেই। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়ে হয়েছে। অসুস্থ হয়েও সংসারের চালাতে চাকরি নেন একটি মিলে। তবে সংসারে অভাব দূর করতে পারেন নি। অসুস্থতা অভাব আর ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নমিতা রানী পাল (৪২) ও তার মেয়ে তন্বী রানী পাল(১৮)।

বুধবার সকাল ৯ টায় হৃদয়বিদারক এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মৃত জীবন চন্দ্র পালের স্ত্রী নমিতা রাণি পালের তিন মেয়ে ছিল। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ে তন্বী এখনও অবিবাহিত ছিল। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন নমিতা রাণি, যিনি স্থানীয় দেবপুর স্পিনিং মিলে চাকরি করতেন। তবে গত দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকায় কাজে যেতে পারছিলেন না। এতে পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে যায় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে তারা চরম মানসিক চাপে ছিলেন।

বুধবার সকালে মা ও মেয়ে দুজনেই বিষপান করেন। প্রতিবেশীরা দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল্লাহ প্রধান বলেন, “খবর পেয়ে বেলা আড়াইটায় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি।”

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।

মন্তব্য

অন্যান্য
3000 people deprived of health care

স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ৩৫ হাজার মানুষ

স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ৩৫ হাজার মানুষ

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে একজনও নেই জনবল। সৃষ্ট ৬ টি পদ থাকলেও সবকয়টি পদই শূন্য। জনবলের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ভঙ্গুর দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শ্রীকাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি বন্ধ। নেই কোনো চিকিৎসক। রোগী এসে ফেরত চলে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন মানুষ। প্রস্রাব ও আবর্জনার তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। রেগীরা সুস্থ হতে এসে আরো বেশি অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভূতাইল গ্রামের সুজন মুন্সি (২৮) বলেন, প্রতিদিন শতো শতো রোগী এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফেরত যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী খুবই দরিদ্র। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নাই। বাউন্ডারি নাই। দুটি ভবন পুরোপুরি পরিত্যাক্ত। চারদিকে খোলা মেলা ও ঝোপঝাড় থাকায় এটি এখন জনসাধারণের নিরাপদ প্রস্রাব কেন্দ্র। তৃণমূলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতলটি চালু করা খুবই জরুরি।

স্বাস্য কেন্দ্রের পাশের বাড়ীর তাজুল ইসলাম (৬০) জানান, যেকোনো রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শ্রীকাইল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রই একমাত্র ভরসা। শ্রীকাইল থেকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। জেলার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা কিংবা জেলায় পৌঁছানোর আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে যায়।

সোনাকান্দা বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মফিজুল ইসলাম জানান, ১ নং শ্রীকাইল ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাধীনতার পূর্বে শ্রীকাইলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি চালু করা হয়। সময়ের পরিবর্তনের সাথে নামেরও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান নাম ইউনিয়ন উপস্বাস্হ্য কেন্দ্র। চিকিৎসক না থাকায় কেন্দ্রটি প্রায়ই বন্ধ থাকে। একারণে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত থেকে হচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনটি ভবনই পরিত্যক্ত। ঝরাজীর্ণ একটি কক্ষে সপ্তাহে দুই দিন বসে রোগী দেখেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম। তিনার কর্মস্থল রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র।

অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মাজহারুল ইসলাম জানান, রোগীর চাহিদা আছে। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। গড়ে প্রতিদিন ১'শ রোগী দেখা হয়। জনবলের অভাবে রোগীরা এসে ফিরে যায়। সরকার নতুন করে সৃষ্ট পদসমূহে জনবল দিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবল শূণ্য হওয়ায় চিকিৎসা সেবা ব্যবহত হচ্ছে। আমরা চাহিদা দিয়ে রাখছি। নিয়োগ হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Rabindra students stopped the Dhaka Northbang Railway for 4 hours

৬ ঘন্টা ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথ আটকে দিয়েছিলো রবীন্দ্র শিক্ষার্থীরা

৬ ঘন্টা ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথ আটকে দিয়েছিলো রবীন্দ্র শিক্ষার্থীরা

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে দির্ঘ ৬ ঘন্টা ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের পর এবার উত্তরবঙ্গের রেলপথ আটকে দিয়েছিলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ৯টায় জেলার উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় উত্তরাঞ্চলের রেলপথ আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। টানা ৬ ঘন্টা আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে মহা সড়ক ও রেলপথ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ওই দিন ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপরও সরকারের কোন পক্ষের ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আমাদের দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে উল্লাপাড়া স্টেশনে শিক্ষার্থীরা অবস্থন নিয়ে রেলপথ ব্লকেড করা হয়।

জাকারিয়া ও হৃদয়সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৮ বছরেও ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি, এটি দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই। ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না। এদিকে রেলপথ অবরোধ করায় উভয় প্রান্তে একাধিক ট্রেন আটকা পড়েছে।

উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে, চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে এবং ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে অবরোধের কারণে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আপাতত ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সাাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুই পাড়ে মোট ৫ টি ট্রেন আটকে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে, চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে এবং ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে অবরোধের কারণে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আপাতত ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সাাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন ঘোষ জানান, জামতৈল স্টেশনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে আটকা পড়েছে। অন্যান্য স্টেশনেও আরও ট্রেন থাকতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

অন্যান্য
Tourists are disappointed with the hanging bridge of sinking rangamati for 3 days

১৫ দিন ধরে ডুবন্ত রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু, হতাশ পর্যটকরা

১৫ দিন ধরে ডুবন্ত রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু, হতাশ পর্যটকরা

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ ও জেলার আইকন খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি টানা ১৫ দিন ধরে পানির নিচে ডুবে রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর উপর চলাচল নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সেতুতে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন জানিয়েছেন, গত ৩০ জুলাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। বুধবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত সেতুর পাটাতন ৬ ইঞ্চি পানির নিচে রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও ছাড়া হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেতুটি পানির উপরে উঠে আসতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুতে পর্যটক কম থাকায় একপাশে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে রাখা হয়েছে পর্যটন বোটগুলো। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন বোটচালকরা। তবে সেতুতে উঠতে না পারলেও অনেকে সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন এবং বোটে করে আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আগত পর্যটকরা।

রাজশাহী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রুবিনা ও মাসুদ রানা বলেন, “অনেক দূর থেকে সেতু দেখতে এসেছি। কিন্তু উঠতে না পারায় খারাপ লাগছে। তবে রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে।”

চট্টগ্রাম থেকে আসা রাহুল বলেন, “ছবি ও টিভিতে দেখা এই সেতুটি দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সম্ভব হলো না, যদিও এটা প্রাকৃতিক ঘটনা, তাই কিছু করার নেই।”

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হ্রদের পানি উচ্চতা ১০৭.০৭ ফুট মিনস সি লেভেল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে এবং সর্বোচ্চ ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ।

এ প্রসঙ্গে সিএইচটি ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “সেতুটি নির্মাণের সময় পানির উচ্চতা বিবেচনা না করায় বর্ষায় প্রতি বছরই ডুবে যায়। এতে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও কোনো সংস্কার হয়নি। নতুন বা আধুনিক সেতু নির্মাণে পর্যটন করপোরেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ এগিয়ে আসা উচিত।”

পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “সেতুটি ৪০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য উন্নয়ন বোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে পর্যটকদের জন্য উন্নত মানের ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কাপ্তাই হ্রদের উপর এই আইকনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে, যা রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম প্রতীক।

মন্তব্য

অন্যান্য
Five more garment factories get environmentally friendly lead certificates

আরো পাঁচটি পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব লিড সনদ

আরো পাঁচটি পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব লিড সনদ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত সবুজ শিল্পায়নের পথে আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল মাইলফলক স্পর্শ করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউএসজিবিসি থেকে লিড সনদ পেয়েছে দেশের আরও পাঁচটি কারখানা।

এ নিয়ে দেশে মোট লিড সার্টিফায়েড কারখানার সংখ্যা দাঁড়াল ২৫৮টি, যার মধ্যে ১০৯টি প্লাটিনাম ও ১৩৩টি গোল্ড সনদপ্রাপ্ত কারখানা। এ অর্জনের ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিবেশবান্ধব পোশাক কারখানার সংখ্যায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে।

নতুন যে পাঁচটি কারখানা লিড সনদ পেয়েছে, সেগুলো হলো- ১. ঢাকার আশুলিয়ায় অবস্থিত সাউথ অ্যান্ড সুয়েটার কোং লিমিটেড, যা ৮৫ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে, ২. সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অবস্থিত পুরবাণী ফ্যাশন লিমিটেড, যা ৮৩ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে, ৩. চট্টগ্রামের কেডিএস ফ্যাশন লিমিটেড, যা ৮৪ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে, ৪. ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত রাইদা কালেকশন, যা সবচেয়ে বেশি ৯০ পয়েন্ট পেয়ে প্লাটিনাম সনদ অর্জন করেছে, ৫. গাজীপুরে অবস্থিত টেক্সইউরোপ বিডি লিমিটেড, যা ৭০ পয়েন্ট পেয়ে গোল্ড সনদ অর্জন করেছে।

উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্বোচ্চ রেটিংপ্রাপ্ত শীর্ষ ১০০টি লিড সার্টিফায়েড ভবনের মধ্যে ৬৮টিই এখন বাংলাদেশে, যা বৈশ্বিক অঙ্গনে দেশের অসাধারণ সবুজ পারফরম্যান্সের প্রতিফলন।

এই অর্জন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক এবং বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, শিল্পের এই অর্জন এমন সময়ে এসেছে, যখন আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের চাপ এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসার ধারাবাহিকতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। তবুও উদ্যোক্তারা টেকসই অবকাঠামো ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদন পদ্ধতিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছেন, যা তাদের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ও স্থিতিশীলতার প্রমাণ।

তিনি বলেন, প্রতিটি লিড-সনদপ্রাপ্ত কারখানা কেবল একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি। এমন নেতৃত্ব ও অগ্রযাত্রা আমাদের শুধু আশাবাদীই করে না, বরং বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে টেকসই শিল্পের রোল মডেল হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে।

মন্তব্য

p
উপরে