× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
এসএ গেমসের পর বাংলাদেশ গেমসেও স্বর্ণ প্রিয়া অন্তরার
google_news print-icon

এসএ গেমসের পর বাংলাদেশ গেমসেও স্বর্ণ প্রিয়া-অন্তরার

এসএ-গেমসের-পর-বাংলাদেশ-গেমসেও-স্বর্ণ-প্রিয়া-অন্তরার
ছবি: সংগৃহীত
নারীদের ৫৫ কেজি কুমিতে সেনাবাহিনীর মারজান আক্তার প্রিয়া স্বর্ণ জিতেছেন। নারীদের ৬১ কেজি কুমিতে স্বর্ণ জেতেন আনসারের হুমায়রা আক্তার অন্তরা।

গেল নেপাল এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী দুই কারাতে কন্যা হুমায়রা আক্তার অন্তরা ও মারজান আক্তার প্রিয়া বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসেও স্বর্ণপদক জয় করেছেন।

বুধবার বান্দরবান জেলার জিমনেশিয়ামে প্রতিযোগিতার ইভেন্টগুলো হয়।

নারীদের ৫৫ কেজি কুমিতে সেনাবাহিনীর মারজান আক্তার প্রিয়া স্বর্ণ জিতেছেন। আনসারের জান্নাতুল ফেরদৌস সুমি রৌপ্য ও গাজীপুরের নাইমা সিকদার ও সুনামগঞ্জের কামরুন নাহার হ্যাপী ব্রোঞ্জপদক জেতেন।

নারীদের ৬১ কেজি কুমিতে স্বর্ণ জেতেন আনসারের হুমায়রা আক্তার অন্তরা। বান্দরবানের মেসাই ওয়াং রুপা ও পুলিশের তাসলিমা খাতুন ও সেনাবাহিনীর হাসিনা খাতুন ব্রোঞ্জপদক জেতেন।

পুরুষদের ৬০ কেজি কুমিতে সেনাবাহিনীর আল আমিন ইসলাম স্বর্ণ, স্পারসোর ইউসুফ আলী ও নারায়ণগঞ্জের রাব্বি আলী ব্রোঞ্জপদক জেতেন। এই ইভেন্টে আর কোনো প্রতিযোগী ছিল না।

পুরুষদের ৬৭ কেজি কুমিতে আনসারের জর্জিস আনোয়ার নাইম স্বর্ণ, সেনাবাহিনীর ফেরদাউস রুপা ও ঢাকার বাচিং মং মার্মা ও বিকেএসপির নাফিউল ইসলাম ব্রোঞ্জপদক জেতেন।

আরও পড়ুন:
নিজের রেকর্ড ভেঙে মাবিয়ার অলিম্পিক স্বপ্ন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
Demand to exclude Spain from hosting the 2030 World Cup

স্পেনকে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে বাদ দেয়ার দাবি

স্পেনকে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে বাদ দেয়ার দাবি বর্ণবাদ ইস্যুতে ২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিবাদে জড়ান ভিনিসিউস। ছবি: সংগৃহীত
পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় স্পেন।

বেশ কিছুদিন ধরে বর্ণবাদ ইস্যুতে উত্তপ্ত স্প্যানিশ ফুটবল। তবে সর্বশেষ ২১ মে ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড় ও সমর্থকদের তীব্র বর্ণবাদী আচরণের পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ফুটবলের ভক্ত থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারক ও সংবাদমাধ্যমগুলো।

বর্ণবাদী আচরণে ‘যথাযথ’ ব্যবস্থা না নেয়ায় পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথ আয়োজক হতে চাওয়া স্পেনকে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ সমস্যাটি সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। আর এ বিষয়টিতে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য স্পেন কতটা দায়িত্বশীল, ফিফা তা বিবেচনা করতে পারে।

দ্য টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘ইউরোপের অন্য দেশের মতো স্পেন লা লিগা সমর্থকদের শাস্তি দিতে পারে না। তারা কেবল পারে অভিযোগ দায়ের করে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বুঝিয়ে দিতে। তারা বলছে, লিগকে আরও ক্ষমতা প্রদানের জন্য তারা দেশটির সরকারকে আইন পরিবর্তন করতে বলবে।’

‘বিশ্বকাপ আয়োজনে এরপরও স্পেনকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবাই যায় না। ভিনিসিউসের মতো একজন তরুণ প্রতিভাকেই তারা যদি নিরাপত্তা দিতে না পারল, তাহলে বিশ্ব ফুটবলকে তারা আসলে কী বার্তা দেয়? ত্রিশ বছর আগে ব্রিটেনের মতো স্পেনকেও বিশ্বকাপ (আয়োজন) থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ।’

কয়েক বছর ধরে ফুবলাররা বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার হয়ে আসলেও মাস কয়েক আগে থেকে স্পেনে বিষয়টি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

প্রতিপক্ষের মাঠে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণার রোষানলে পড়তে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ্রের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভিনিসিউস জুনিয়রকে। বারবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও কোনো সুফল পাননি তিনি।

২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার সমর্থকদের তীব্র ঘৃণার শিকার হতে হয়েছে তাকে। ম্যাচ চলাকালিন প্রকাশ্যে ভিনিকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী গালিগালাজ করতে থাকেন স্টেডিয়ামের সমর্থকরা। কয়েকবার এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেও তিনি নিস্তার পাননি।

ম্যাচশেষের আগমুহূর্তে এ কারণে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লালকার্ডও দেখেন ভিনি।

ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এক পোস্টে ভিনিসিউস বলেন, ‘লা লিগায় বর্ণবাদ স্বাভাবিক বিষয়। কর্তৃপক্ষ এটাকে স্বাভাবিক বলেই ভাবে। এমনকি (স্প্যানিশ ফুটবল) ফেডারেশন এটিকে সমর্থন দেয়। আর প্রতিপক্ষরা এতে (বর্ণবাদ) উৎসাহ দেয়।

‘লা লিগা এক সময় রোনালদো, রোনালদিনিয়ো, মেসি ও ক্রিস্তিয়ানোদের থাকলেও বর্তমানে তা বর্ণবাদীদের দখলে।’

ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘যথেষ্ট মনের জোর আছে আমার। বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে আমি লড়াই করে যাব। আমাকে যদি এখান (স্পেন) থেকে বহুদূরেও যেতে হয়, আমি বর্ণবাদ নির্মূলে কাজ করব।’

এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, “মেস্তায়ায় যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যখন স্টেডিয়ামের দর্শকরা একজন খেলোয়াড়কে ‘বানর’ বলতে থাকে, আর কোচের ওই খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হতে হয়, তখন বুঝতে হবে লিগে নিশ্চয়ই সমস্যা আছে।”

এ ঘটনায় ২৩ মে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে স্পেনের পুলিশ।

লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাসও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমার হাতে যদি ‘পর্যাপ্ত ক্ষমতা’ থাকত, তবে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যেই লিগ থেকে বর্ণবাদ দূর করতে পারতাম।”

লিগের ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা না থাকায় আমরা শুধু এ বিষয়ে (ফেডারেশনে) অভিযোগই দাখিল করতে পারি।’

আরও পড়ুন:
ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে চায় সৌদি
১০ পয়েন্ট কাটাই গেল ইউভেন্তুসের

মন্তব্য

অন্যান্য
10 points were deducted for Juventus place in the European competition

১০ পয়েন্ট কাটাই গেল ইউভেন্তুসের

১০ পয়েন্ট কাটাই গেল ইউভেন্তুসের আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে ইউভেন্তুস। ছবি: সংগৃহীত
ইতালির লিগ ‘সেরি আ’ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৪ দল পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পঞ্চম দল ইউরোপা লিগ ও ষষ্ঠ দল উয়েফা কনফারেন্স লিগে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায়। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউভেন্তুসের অবস্থান এখন সপ্তম।

১৫ পয়েন্ট না হলেও ১০ পয়েন্ট ঠিকই কাটা গেল ইতালিয়ান ক্লাব ইউভেন্তুসের। এর ফলে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ তো দুরের কথা, ইউরোপা লিগ এমনকি উয়েফা কনফারেন্স লিগে স্থান পাওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

দলবদলের চুক্তি সম্পর্কিত নানা অনিয়মের অভিযোগে নতুন একটি শুনানির পর সেরি আ’তে চলতি মৌসুমে দলটির ১০ পয়েন্ট কেটে নেয়ার রায় দিয়েছে ইতালির একটি ক্রীড়া আদালত।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টায় এমপোলির সঙ্গে খেলা চলছিল ইউভেন্তুসের। ম্যাচটিতে এমপোলির কাছে ৪-১ গোলে হারে মাস্সিমিলিয়ানো আলেগ্রির দল। খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে এ রায়ের খবর আসে বলে গোল ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়।

এ মামলায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে এক রায়ে প্রথমে ১৫ পয়েন্ট কেটে নেয়া হয় ‘তুরিনের বুড়ি’দের; সাথে করা হয় জরিমানা। সে সময় পয়েন্ট টেবিলের দশম অবস্থানে নেমে যায় তারা। তবে এপ্রিলে ইতালির শীর্ষ ক্রীড়া আদালত রায়টি পর্যালোচনা করতে বললে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের স্পট ফিরে পায় তারা। পর্যালোচিত রায়ে জরিমানাও স্থগিত করা হয়। এরপর দারুণ খেলে তারা পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে।

কিন্তু মৌসুমের শেষ সময়ে ১০ পয়েন্ট কাটা এই শাস্তির ফলে পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম অবস্থানে নেমে গিয়েছে ইউভেন্তুস। এতে আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে দলটি।

ইতালির লিগ ‘সেরি আ’ থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ ৪ দল পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। পঞ্চম দল ইউরোপা লিগ ও ষষ্ঠ দল উয়েফা কনফারেন্স লিগে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পায়। ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে ইউভেন্তুসের অবস্থান এখন সপ্তম।

তবে এতকিছুর পরও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় খেলার সম্ভাবনা একেবারে হাতছাড়া হয়ে যায়নি তাদের।

৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এসি মিলান। ৬১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আতালান্তা ও ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রোমা। একটু খেয়াল করলে দেখা যায়, চতুর্থ অবস্থানে অর্থাৎ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ স্পটে থাকা এসি মিলানের চেয়ে ইউভেন্তুসের পয়েন্ট ব্যবধান ৫, আতালান্তা ও রোমার সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র ২ ও ১।

ইউভেন্তুসের হাতে এখনও দুই ম্যাচ রয়েছে যার একটি এসি মিলান ও অপরটি উদিনিসের সঙ্গে। রোববার (২৮ মে) এসি মিলানের সঙ্গে যদি জিততে পারে, তাহলে তাদের সঙ্গে ইউভেন্তুসের ব্যবধান কমে আসবে দুইয়ে। সে সঙ্গে আতালান্তা ও রোমা যদি শেষ দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারায়, আর ইউভেন্তুস পরের দুই ম্যাচই জেতে, তাহলে হয়ত ইউরোপা লিগ বা কনফারেন্স লিগে আগামী মৌসুমে দেখা যেতে পারে ‘ওল্ড লেডি’দের।

আরও পড়ুন:
আগামী মৌসুমে কোথায় খেলবেন মেসি?
ডিকশনারিতে নতুন শব্দ ‘পেলে’

মন্তব্য

অন্যান্য
Corruption scandals in the ultimate athletics competition

অ্যাথলেটিকসের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দ্বারার দুর্নীতির কলঙ্ক

অ্যাথলেটিকসের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় দ্বারার দুর্নীতির কলঙ্ক খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সাম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় সারা দেশের বিশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রী। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে ভুয়া প্রতিযোগী পাঠিয়ে পুরো আয়োজনকে বিতর্কিত করেছেন খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সাম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

বিশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ১৩ ও ১৪ মার্চ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে।

চূড়ান্ত পর্বে ভুয়া প্রতিযোগী পাঠিয়ে পুরো আয়োজনকে বিতর্কিত করেছেন খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সাম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারা। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন।

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ফাইনাল প্রতিযোগিতায় ১০ জন ভু্য়া অ্যাথলেট অংশ নেয়। তাদের মধ্যে খুলনা বিভাগেরই ছিল ৮ জন। বাকি দু’জন রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের।

নিয়ম অনুযায়ী, চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার জন্য এক প্রতিযোগীকে ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বিজয়ী হতে হয়।

খুলনা বিভাগ থেকে অংশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কয়েকজন প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল। তবে ভুয়া অ্যাথলেট হওয়ায় ওইদিন তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়নি। ফলে ৭ কোটি টাকা খরচের পুরো আয়োজনটি ভেস্তে যায়।

১০০ মিটার ‘ক’ ছাত্র গ্রুপে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রথম হয়েছিল মো. রামিম শেখ। খুলনা বিভাগ থেকে তাকে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হলেও সে পূর্ব বিভাগীয়, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো অ্যাথলেটিকসে অংশ নেয়নি। নিয়মবর্হিভূতভাবে অংশ নেয়ার কারণে তার পদক বাতিল করা হয়েছে।

১৫০০ মিটার ‘খ’ ছাত্র গ্রুপে চূড়ান্ত পর্যায়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল সাখাওয়াত হোসেন। খুলনা বিভাগের হয়ে অংশ নিলেও তার বাড়ি চট্টগ্রাম বিভাগে। সেও পূর্ব বিভাগীয়, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো অ্যাথলেটিকসে অংশগ্রহণ করেনি। সে কারণে তার পদক বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া খুলনা বিভাগ থেকে গিয়ে ২০০ মিটার ‘ক’ ছাত্র গ্রুপে চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রথম ও লং জাম্প ‘ক’ ছাত্র গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিল ইফতে আহম্মেদ দীপু। লং জাম্প ‘খ’ ছাত্র গ্রুপে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল মনিরুল মোল্যা। তাদেরও একই অভিযোগে পদক বাতিল করা হয়।

এছাড়াও খুলনা বিভাগ থেকে নিয়মবর্হিভূতভাবে রুমা খাতুনকে ৮০০ মিটার ইভেন্টে, নিশিতা কর্মকারকে ৪০০ মিটার ইভেন্টে ও রিলে ইভেন্টে একজনকে বিভাগের বাইরে থেকে অংশ নেয়ার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব (মন্টু) লিখিতভাবে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনারকে। তাতে বলা হয়েছে, অ্যাথলেটিকসের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় ফলের ভিত্তিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারীর নাম পাঠানোর কথা ছিল। তবে সাধারণ সম্পাদক এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারা স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত এন্ট্রিতে বহিরাগতদের নাম পাওয়া যায়। টিম ম্যানেজার বেনজির আহমেদ ও প্রশিক্ষক মুরাদুন ইসলাম তাদের বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অংশ নেয়ার প্রত্যয়ন দেখাতে পারেননি। শেখ কামালের নামে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বিনষ্টের পাঁয়তারায় লিপ্ত ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।

অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব (মন্টু) বলেন, ‘দেশের প্রতিভাদের উন্মেষণ করার জন্য আমরা যে চেষ্টা করছি তা ধুলিসাৎ করার জন্য কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার জন্য তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা করেছে। তারা দুর্নীতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।’

আয়োজকরা জানিয়েছেন, দেশের ৫০০টি উপজেলা, ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ১৪ জানুয়ারি শুরু হয় ‘শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’।

প্রতিটি পর্যায়ে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারীদের দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে সেরাদের নিয়ে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় জেলা পর্যায়ের খেলা। ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।

শ্রেণিভিত্তিক দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ গ্রুপ এবং নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘খ’ গ্রুপের হয়ে অংশ নেয় এই প্রতিযোগিতায়।

‘ক’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প ও লং জাম্পে অংশ নেয়। ‘খ’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড় এবং হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, বর্শা নিক্ষেপ, শর্টপুট, ডিসকাস থ্রো ও ৪ গুণীতক ১০০ মিটার রিলেতে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘একটা অত্যন্ত সেনসিটিভ কাজে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমাকে মুখ্য সচিব জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভা হয়। সেখানে সাধারণ সাম্পাদক এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তবে তিনি নত হসনি। তিনি বলছেন, বিদেশেও এমন দুর্নীতি করা হয়। তাকে প্রাথমিকভাবে শো-কজ করা হয়েছে। সদুত্তর না পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে তদন্ত কমিটি সুপারিশ করবে।’

বিষয়টি নিয়ে এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেন। বিষয়গুলো শুনে তিনি কোনো কথা না বলে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে তার নম্বরে আরও কয়েকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এসএম মোর্ত্তজা রশিদী দ্বারা প্রায় ১০ বছর ধরে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সাম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, খুলনা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মন্তব্য

অন্যান্য
Waiting for Erdoğans future to be determined

এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অপেক্ষা

এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অপেক্ষা
স্থানীয় সময় রোববার তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এদিন।

২০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ভবিষ্যৎ কী হবে সেই ঘোষণা আসছে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই।

স্থানীয় সময় রোববার তুরস্কে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনগণ দেশটির আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন এদিন।

বিবিসি বলছে, নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কুলুচদারুলু নাকি এরদোয়ানাই আবার ক্ষমতায় বসবেন তা নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। চলছে ভোট গণনা।

কেমাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোয়ান যে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন, তা বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি এক বৃহত্তর বিরোধী জোটের প্রার্থী এবং তার নির্বাচনে জেতার সত্যিকারের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।

নির্বাচনে জিততে হলে একজন প্রার্থীকে মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত ৫০ শতাংশ পেতে হবে। তা না হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট নেয়া হবে।

তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটাররা লাইন দিতে শুরু করেন।

তুরস্কের ভোটাররা এমন এক সময়ে এই নির্বাচনে ভোট দিলেন যখন তাদের কঠিন অর্থনৈতিক অবস্থার মোকাবিলা করতে হচ্ছে।

দেশটিতে মূল্যস্ফীতি এখন লাগামছাড়া। সরকারি হিসেবেই মূল্যস্ফীতির হার ৪৪ শতাংশ। কিন্তু অনেক মানুষের ধারণা এটি আসলে অনেক বেশি হবে।

অন্যদিকে তুরস্কের ১১ টি প্রদেশ সম্প্রতি দুই দফা ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে। এই ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে।

আরও পড়ুন:
অগ্নিপরীক্ষায় এরদোয়ান
লাইভে হঠাৎ অসুস্থ: ফের নির্বাচনী প্রচারে এরদোয়ান
তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার সেই শিশুর মায়ের খোঁজ

মন্তব্য

অন্যান্য
Messis dream of returning to Barca is another shock

মেসির বার্সায় ফেরার স্বপ্নে ফের ধাক্কা

মেসির বার্সায় ফেরার স্বপ্নে ফের ধাক্কা মেসির বার্সায় ফেরা নিয়ে চিন্তার মেঘ ঘন হচ্ছে ভক্তদের মাঝে। ছবি: সংগৃহীত
কয়েকদিন আগেই লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছিলেন, মেসিকে ফেরানো কঠিন হবে বার্সার জন্য। এবার বার্সার পাঠানো ‘সম্ভাব্যতার পরিকল্পনা’ নাকচ করে দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।

আর্থিক দুরবস্থার কারণে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ক্লাবের ইতিহাসের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে ব্যর্থ হয় কাতালান জায়ান্ট বার্সেলোনা। চোখের জলে প্রিয় ক্লাব থেকে বিদায় নেন ‘আর্জেন্টাইন মায়েস্ত্রো’। সেদিন তার সঙ্গে কেঁদেছিল বিশ্বজুড়ে অসংখ্য বার্সেলোনা ও মেসি ভক্ত-সমর্থকও।

এরপর মেসির ঠিকানা হয় প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। পুরনো বন্ধু নেইমারের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্যারিসের ক্লাবটিতে দুই মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। তখন থেকেই দিন গুনে চলেছে বার্সার অসংখ্য ভক্ত। বিশ্বাস, আবারও নিজের ‘ঘরে’ ফিরবেন ফুটবলের এই বিস্ময় প্রতিভা।

পিএসজিতে মেসির সেই দুই মৌসুমের মেয়াদ শেষ হতে আর বেশি দেরি নেই। এর মাঝে কাতালুনিয়ায়ও শুরু হয়েছে নতুন তোড়জোড়। ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানোর তোড়জোড়।

ইতোমধ্যে ক্লাবের পদস্থ কর্তারা যোগাযোগ শুরু করেছেন মেসির সঙ্গে। বন্ধু-সতীর্থ ও বর্তমান বার্সেলোনা ম্যানেজার শাভি এরনান্দেসও নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন মেসির। শোনা যায়, মেসিকে নিয়ে আগামী মৌসুমে তার খেলোয়াড়ি পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তাকে।

এরই মধ্যে ছেলেদের পুরনো স্কুলেও নাকি অগ্রিম আসন রিজার্ভ করে রেখেছেন, এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।

ক্লাব কর্তৃপক্ষও বসে নেই। মেসিকে ফেরাতে বার্সা স্টুডিওর অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ মালিকানাও বিক্রি করে দিয়েছে বলে বিভিন্ন স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। এমনকি মেসিকে ফেরাতে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য-সম্বলিত একটি ‘পরিকল্পনা’ও লা লিগা’র কাছে হস্তান্তর করেছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে খেলোয়াড় বিক্রি, খেলোয়াড়দের বেতন কমানোসহ বেশকিছু বিষয়।

সব বিষয় যখন মেসিকে ফেরানোর পরিকল্পনার দিকেই অগ্রসর হচ্ছিল, ভক্তরা যখন আবারও আশায় বুক বেঁধেছিল, ঠিক তখনই সেই আশায় বড় ধাক্কা লাগল।

কয়েকদিন আগেই লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস জানিয়েছিলেন, মেসিকে ফেরানো কঠিন হবে বার্সার জন্য। এবার বার্সার পাঠানো ‘সম্ভাব্যতার পরিকল্পনা’ নাকচ করে দিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ।

গোল ডটকম’র খবরে বলা হয়, বার্সেলোনার আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে এখনও প্রায় ২০০ মিলিয়ন ইউরো খরচ কমাতে হবে। এই অবস্থা থেকে উত্তীর্ণ হতে না পারলে নতুন খেলোয়াড় কেনা ও রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হবে না ক্লাবটির জন্য।

লা লিগা থেকে নির্দেশিত খরচ কমানোর জন্য বার্সেলোনা তিন বছর সময় চেয়েছিল। সে সঙ্গে বার্সা আশা করেছিল যে প্রস্তাবিত ‘সম্ভাব্যতার পরিকল্পনা’র মাধ্যমে লা লিগা কর্তৃপক্ষ ক্যাম্প ন্যু’তে হিসাবের ভারসাম্য ফেরাতে তাদের সহযোগিতা করবে।

কিন্তু হাভিয়ের তেবাস স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কাতালুনিয়া কর্তৃপক্ষকে খুব দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে (এই মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই) তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাবে ভারসাম্য আনতে হবে। লা লিগার অন্য ক্লাবগুলোর মতো বার্সেলোনাকেও আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর ফলে মেসিকে ফেরানোর পরিকল্পনা তো বটেই, নতুন ও লা মাসিয়ার তরুণ খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশন নিয়েও চিন্তায় পড়ে গেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।

চিন্তার মেঘ ঘন হচ্ছে বার্সার ভক্তদের মাঝেও। একটা চিন্তাই এখন সবার মনে উঁকি দিচ্ছে- মেসি ফিরবেন তো!

মন্তব্য

অন্যান্য
UN Special Envoy concerned about Sudan

সুদান নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ, যাচ্ছেন বিশেষ দূত

সুদান নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ, যাচ্ছেন বিশেষ দূত যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে সুদান। ফাইল ছবি
প্রতিদ্বন্দ্বি দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই দেশটিতে ব্যাপকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

সুদানে চলমান সংঘাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন সংস্থার একজন বিশেষ দূত।

জাতিসংঘর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রোববার এ কথা জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

প্রতিদ্বন্দ্বি দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণার পরপরই দেশটিতে ব্যাপকভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেছেন, ‘সুদানে যা উদ্ঘাটিত হচ্ছে তার মাত্রা এবং গতি নজিরবিহীন। আমরা সুদানের সমস্ত মানুষ এবং বৃহত্তর অঞ্চলের ওপর তাৎক্ষণিক এবং দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।’

গুতেরেসের মুখপাত্র বিবৃতিতে জানান, সুদানে দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকটের আলোকে জাতিসংঘ প্রধান তার মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকতা মার্টিন গ্রিফিথসকে অবিলম্বে এলাকায় পাঠাচ্ছেন।

সুদানের রাজধানী খার্তুম এবং দেশের অন্য অংশে সেনাবাহিনী এবং ভারী অস্ত্রে সজ্জিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে।

১৫ এপ্রিল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৫ শ’রও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং কয়েক হাজার লোককে দেশ বা বিদেশে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

কী নিয়ে সংঘাত

সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটিতে বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এই ঘটনা সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার মানুষ- যাদের বেশিরভাগ নারী এবং শিশু, সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশে আশ্রয় নেয়ার জন্য।

আরও পড়ুন:
সুদানে আটকা দেড় হাজার বাংলাদেশি, ফিরতে দ্রুত নিবন্ধনের আহ্বান
সুদান থেকে যেভাবে দেশে আনা হবে বাংলাদেশিদের
সুদান থেকে বাংলাদেশিসহ আরও ৫২ জনকে উদ্ধার করল সৌদি

মন্তব্য

অন্যান্য
Jabbars volleyball champion Shahjalal Bali

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী জব্বারের বলীখেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী। ছবি: নিউজবাংলা
জব্বারের বলীখেলার ১১৪তম আসরে রানার-আপ হয়েছেন গত আসরের চ্যাম্পিয়ন চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। এছাড়া তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা ও আনোয়ারার আব্দুর নূর।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শাহজালাল বলী। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় তাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেন রেফারিরা।

রানার-আপ হয়েছেন চকোরিয়ার তারেকুল ইসলাম জীবন। গতবারের আসরে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। আর এবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল গতবার রানার-আপ ছিলেন।

প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা ও আনোয়ারার আব্দুর নূর।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

প্রতিযোগিতায় দুই বলির চূড়ান্ত কুস্তি শুরু হয় বিকেল ৫টা ২৩ মিনিটে। ৭ মিনিটের মধ্যেই ফল বেরিয়ে আসে। চূড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয় শাহজালাল বলীকে।

জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী
চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে শাহজালাল বলী ও তারেকুল ইসলাম জীবন বলী। ছবি: নিউজবাংলা

বলীখেলার এবারের আসরে মোট ১১৪ জন কুস্তিগির অংশ নেন।

চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী প্রতিযোগিতা শেষে অভিব্যক্তি ব্যক্ত করে বলেন, ‘গত আসরের আগেরবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। কিন্তু গতবার চ্যাম্পিয়ন হতে না পেরে মন খারাপ হয়েছিল। এবার চ্যাম্পিয়ন হতে পেরে ভালো লাগছে।’

বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পাশাপাশি প্রাইজ মানি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা। এছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারীরা ট্রফির সঙ্গে পেয়েছেন যথাক্রমে ২০ হাজার, ১০ হাজার ও ৬ হাজার টাকা।

বলীখেলায় সেমিফাইনাল পর্যায়ের আগে মোট ৩০ রাউন্ড খেলা হয়। প্রাথমিক রাউন্ডে জয়লাভকারী প্রত্যেকে দেড় হাজার টাকা পেয়েছেন।

জব্বারের বলীখেলার ইতিহাস

১৯০৯ সালে বকশিরহাটের স্থানীয় ধনী বণিক বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জব্বার সওদাগর এই কুস্তি প্রতিযোগিতার সূচনা করেন। পরে তার নাম অনুসারেই এই আয়োজনের নামকরণ করা হয় ‘জব্বারের বলীখেলা’।

আয়োজক কমিটির সেক্রেটারি ও প্রতিযোগিতার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল জব্বারের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল বলেন, ‘আমার দাদা এই আয়োজনের সূচনা করলেও এটা এখন আর কেবল পারিবারিক ঐতিহ্য নয়। এটা চট্টগ্রামের সব মানুষের এবং তারা এই অনুষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রেখেছে।’

আরও পড়ুন:
দুই বছর পর জব্বারের ঐতিহাসিক বলীখেলা

মন্তব্য

p
উপরে