× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অন্যান্য
তায়কোয়ানডোতে প্রথম স্বর্ণ রুমার দাপট আনসারের
google_news print-icon

তায়কোয়ানডোতে প্রথম স্বর্ণ রুমার, দাপট আনসারের

তায়কোয়ানডোতে-প্রথম-স্বর্ণ-রুমার-দাপট-আনসারের
ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়েই স্বর্ণ জিতেছেন রুমা। স্বর্ণ পদক জিতে উচ্ছসিত তিনি, ‘এটা আমার প্রথম বাংলাদেশ গেমস। আর প্রথমবারই স্বর্ণ জিতেছি। বলে বোঝাতে পারব না কত ভাল লাগছে।’

বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের তায়কোয়ানডো ডিসিপ্লিনে প্রথম স্বর্ণ বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির রুমা খাতুনের। মঙ্গলবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমন্যাশিয়ামে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় সিনিয়র নারী পুমস (১৭-২৪ বছর) ইভেন্টে ৭.৭০ স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন ফরিদপুর থেকে ওঠে আসা এ অ্যাথলেট।

৭.৬০ স্কোর করে রুপা জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আনিকা আক্তার। ৭.৩০ স্কোর কওে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইসরাত জাহান রিয়া ও ৬.৯০ স্কোর করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার জান্নাতুলৈ তামান্না তাবাসসুম ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ গেমসে অংশ নিয়েই স্বর্ণ জিতেছেন রুমা। স্বর্ণ পদক জিতে উচ্ছসিত তিনি, ‘এটা আমার প্রথম বাংলাদেশ গেমস। আর প্রথমবারই স্বর্ণ জিতেছি। বলে বোঝাতে পারব না কত ভাল লাগছে।’

তায়কোয়ানডোতে নারী দ্বৈতে সেনাবাহিনীর স্বর্ণ
সিনিয়র নারী পুমস দ্বৈতে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুমাইয়া ইসলাম অ্যানি ও আনিকা আক্তার। (১৭-২৪ বছর) ক্যাটাগরিতে অ্যানি ও আনিকা স্কোর করেন ৭.৩০।

রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির রুমা খাতুন এবং লোবনা আক্তারের স্কোর হলো ৭.১০। ৬.৯০ স্কোর করে গাজীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার তাসনিম জেরিন খান ও ফারিয়া নওশিন এবং ৬.৮০ স্কোর করা কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার ইসরাত জাহান রিয়া ও রাহিমা ইসলাম রিপা যৌথভাবে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

তায়কোয়ানডো পুমস নারী দলীয় ইভেন্টে আনসারের স্বর্ণ
নারী পুমস সিনিয়র (১৭-২৪ বছর) দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। ৭.১০ স্কোর করে আনসারকে সোনার পদক এনে দেন রুমা খাতুন, আশিফা আরজু ও রিমা খাতুন। ৬.৯৫ স্কোর করে রৌপ্য জিতেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার তুহিন খাতুন, মোছা:ইভা ও মোছা:ময়না। ৬.৮০ স্কোর করে বান্দরবান জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিং রাম কিম বম, জিং রোয়াত ইয়াং বম, মিলিনিয়াম পার এবং ৬.৭০ স্কোর করে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উম্মে কুলসুম তুলি, মারিয়া জান্নাত ও ইরিন আহমেদ চৌধুরী রিয়া ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

তায়কোয়ানডোতে নূর উদ্দিনের ডাবল
পুরুষ পুমস সিনিয়র (১৭-২৪ বছর) ইভেন্টে দুটি স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নূরুদ্দীন হোসাইন। ছেলেদের ব্যক্তিগত পুমস ইভেন্টে ৭.৬০ স্কোর কওে স্বর্ণ জিতেন নূরুদ্দীন হোসাইন। রৌপ্য জেতেন সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফয়সাল আহমেদ (৭.২০)। ৭.১৫ স্কোর করে বাংলাদেশ পুলিশের রেদুয়ান আহমেদ এবং ৭.১০ স্কোর করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রুম্মান চৌধুরী ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।

সিনিয়র পুরুষ দ্বৈতে মো: সাগর শেখকে নিয়ে স্বর্ণ জেতেন নূরুদ্দীন। এই ইভেন্টে ৭.৩০ স্কোর করে প্রথম হন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নূরুদ্দীন হোসাইন ও সাগর। ৭.১০ স্কোর করে রৌপ্য জেতেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মো. রুম্মান চৌধুরী এবং মো: ইমন। ৬.৯০ স্কোর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মো: সাইফুর রহমান ও সবিনয় মারমা এবং ৬.৮৫ স্কোর করে বাংলাদেশ পুলিশের মো: মেহেদি আল সোহান ও মো: জিহাদ ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।

পুমসে পুরুষ দলীয় ইভেন্টে আনসারের স্বর্ণ
পুরুষ পুমসে সিনিয়র (১৭-২৪ বছর) দলীয় ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। ৭.৩০ স্কোর করে এই ইভেন্টে আনসারকে স্বর্ণ এনে দেন মো: সবুজ শেখ, মো: ইলিয়াস ও মেহেদি হাসান জীবন। সিফাত হোসাইন, রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান রানা ৬.৯০ স্কোর করে বাংলাদেশ পুলিশকে এনে দিয়েছেন রৌপ্য। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সবিনয় মারমা, মো: হাসান শেখ, মো: রাসেল ৬.৮০ এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার মো. সানিম আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ ও মো. আকাশ আহমেদ ৬.৮০ স্কোর কওে জিতেছেন ব্রোঞ্জ।

পুমসে (+২৯ বছর) সিনিয়র নারী ইভেন্ট এককে সালমার স্বর্ণ
বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের পুমসে (+২৯ বছর) সিনিয়র নারী ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জান্নাতুল সুলতানা সালমা। সোনার পদক জেতা সালমার স্কোর ৭.০০। এই ইভেন্টে ৬.৭০ স্কোর করে রৌপ্য জিতেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নাজমা পারভীন তোরাবী। ৬.৩০ স্কোর করে সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাহারা আক্তার সাথী এবং ৬.১০ স্কোর করে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেশমা হোসেন ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

নারী দ্বৈতে তোরাবী ও সুস্মিতার সোনালী হাসি
পুমসে (+২৯ বছর) নারী দ্বৈতে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি নাজমা পারভীন তোরাবী এবং সুস্মিতা ইসলাম। দু’জন মিলে স্কোর করেন ৬.৯০। এই ইভেন্টে রৌপ্য জেতা কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সৈয়দা আদনীন সুলতানা স্কোর করেন ৬.৫০। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফাতেমা বেগম ও রাবেয়া আক্তার ৬.১০ স্কোর এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাহার আক্তার সাথী ও নাইমা সুলতান ৫.৯০ স্কোর কওে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

নারী দলগত ইভেন্টে আনসারের স্বর্ণ জয়
পুমসে (+২৯ বছর) নারী দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি। ৭.০০ স্কোর করে আনসারকে স্বর্ণ এনে দেন নাজমা পারভীন তোরাবী, সুস্মিতা ইসলাম ও আরজুমা আক্তার রোমা। ৬.৮০ স্কোর কওে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে রৌপ্য পদক এনে দিয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস, সৈয়দা আদনীন সুলতানা এবং রেশমা হোসেন। ৬.৫০ স্কোর করে কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ফাতেমা বেগম, রাবেয়া আক্তার ও ফিহিমা তাজরিয়ান এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাহার আক্তার সাথী, নাঈমা সুলতান, এবং সাবেরা আক্তার ৬.২০ স্কোর কওে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

তায়কোয়ানডো পুমসে (২৪-২৯ বছর) সিনিয়র নারী ইভেন্ট এককে নূর আক্তারের স্বর্ণ

বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের পুমসে (২৪-২৯ বছর) সিনিয়র নারী ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নূর নাহার আক্তার। সোনা জেতার পথে তিনি স্কোর করেন ৭.২০। রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুমনা মুন্নি স্কোর করেন ৭.০০। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সফিনা রহমান নোলক ৬.১০ স্কোর এবং দিনাজপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার ৫.৮০ স্কোর কওে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন বাবলী আক্তার।

দ্বৈতে নিগার ও মার্জিয়ার স্বর্ণ
পুমসে (২৪-২৯ বছর) সিনিয়র নারী দৈত ইভেন্টে ৬.৯০ স্কোর করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে স্বর্ণ জিতিয়েছেন নিগার সুলতানা ও মাজিয়া সুলতানা। এই ইভেন্টে রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির নূও নাহার আক্তার এবং প্রভা চাকমা স্কোর করেন ৬.৮৫। ৬.১০ স্কোর করা রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্ণালী চৌধুরী ও সুলতানা এবং ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার মরিয়হ হাসনাত ও নাসরিন জাহান ৫.৯০ স্কোর করে ব্রোঞ্জ জিতেছেন।

দলগত ইভেন্টে আনসারের স্বর্ণ
পুমসে (২৪-২৯ বছর) সিনিয়র নারী দলগত ইভেন্টে ৬.৯০ স্কোর করে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিকে স্বর্ণ এনে দিয়েছেন মাইনু মারমা, শ্রাবনী বিশ্বাস ও শাহানারা খাতুন। ৬.৮০ স্কোর কওে রৌপ্য পদক জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুমনা মুন্নি, সাথী খাতুন ও শ্যামলী খাতুন। রাঙ্গামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্ণালী আক্তার, সুলতানা, মিলি আক্তার ৬.২০ স্কোর কওে এবং ব্রাক্ষনবাড়িয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার মরিয়ম হাসনাত, নাসরিন জাহান এবং ইসরাত জাহান আসমানী ৬.১০ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

পুমসে (২৫-৩২ বছর) সিনিয়র পুরুষ ইভেন্টের এককে মেহেদি হাসানের স্বর্ণ
পুমসে (২৫-৩২ বছর) সিনিয়র পুরুষ একক ইভেন্টে ৭.৪০ স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মো: মেহেদি হাসান। রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির উজ্জল কুমার দেবের স্কোর হলো ৭.০০। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মো. আরশাদ মিয়া ৬.৫০ স্কোর করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের শ্রীমান সুশান্ত কুমার ৬.৫০ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।

পুরুষ দৈতে মফিদুল ও হামজার স্বর্ণ
পুমসে (২৫-৩২ বছর) পুরুষ দৈতে ৬.৯৯ স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মো: মফিদুল ইসলাম এবং হামজা মাহমুদ। এই ইভেন্টে রৌপ্য জেতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেহেদি হাসান ও উজ্জল সরকার স্কোর করেন ৬.৯০। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হুমায়ন কবির ও সাইফুল রহমান ৬.৭০ স্কোর এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার তুষার কুমার দে ও মোহাম্মদ মামুন ৬.৬০ স্কোর কওে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।

দলগতে সেরা আনসার
পুমসে (২৫-৩২ বছর) পুরুষ দলগত ইভেন্টে ৬.৯০ স্কোর কওে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিকে স্বর্ণ এনে দিয়েছেন উজ্জল কুমার দেব, মো. রশিদ ও জাহিদুল ইসলাম। ৬.৮০ স্কোর কওে রুপা জেতেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পারভেজ মোশাররফ, নাসির পারভেজ ও মাসুদ পারভেজ।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রুবেল সরকার, আরশাদ মিয়া ও পারভেজ আলম ৬.৬০ স্কোর কওে এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার তুষার কুমার দে, মামুন এবং ওমর ফারুক ৬.৫০ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে।

আরও পড়ুন:
রাজত্ব হারালেন প্রীতি, টেনিসে চ্যাম্পিয়ন জেরিন
টিটির রাজা হৃদয় রাণী মৌ
শ্যুটিংয়ে শ্রেষ্ঠত্ব আর্মির
সাইক্লিংয়ের শেষ দিনে আরও ৫ রেকর্ড
সাঁতারের তৃতীয় দিনে আরও দুই রেকর্ড

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অন্যান্য
Jabbar Bowling First time champion Bagha Sharif

জব্বারের বলীখেলা: প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’

জব্বারের বলীখেলা: প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’ প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শরীফ। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরবর্তীতে সেটি আব্দুল জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত হয়। এর জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার হোমনার বাঘা শরীফ। প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন শরীফ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার আরেক সন্তান রাশেদ বলীকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন শরীফ।

কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ স্থানীয়দের কাছে ‘বাঘা শরীফ’ নামে পরিচিত।

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় এবারের আসরের বলীখেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আজম নাছির উদ্দিন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ৮৪ জন বলী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

দুপুরে খেলা শুরুর আগেই দর্শকে পূর্ণ হয়ে যায় নগরীর লালদীঘি ময়দান। ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে জড়ো হন হাজারো দর্শক। ঢোল-বাজনার তালে তালে আর করতালিতে তারা বলীদের সমর্থন জোগাতে থাকেন।

প্রায় ১১ মিনিট খেলার পর রাশেদ নিজ থেকেই পরাজয় শিকার করে শরীফের হাত তুলে ধরেন। ফলে রেফারি শরীফকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জব্বারের বলীখেলা: প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’

এ সময় চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’ নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী খেলায় অংশ না নিয়ে আমাকে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।’

অন্যদিকে রানার্স আপ মো. রাশেদ বলেন, ‘আমি আগে বলীখেলায় অংশ নেইনি। আমাকে জব্বারের বলীখেলায় নিয়ে এসেছেন শরীফ ভাই। তিনি আমার সিনিয়র। তাই তাকে জয়ী করে দিয়েছি। চ্যাম্পিয়ন শরীফ ভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমার জন্যেও দোয়া করবেন।’

খেলা শুরুর আগেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন শাহজালাল বলী ও রানার্স আপ তরিকুল ইসলাম জীবন বলী। বাঘা শরীফকে সুযোগ করে দিতেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান তারা।

এবারের প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন খাগড়াছড়ির সৃজন চাকমা। চতুর্থ হয়েছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার রাসেল বলী।

জব্বারের বলীখেলা: প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন ‘বাঘা শরীফ’
বলীখেলা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী চলে বৈশাখী মেলা। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম রাউন্ডের ৩৫ জন বিজয়ীর প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়। রানার আপকে ২০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও একটি সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) দেয়া হয়। চ্যাম্পিয়ন পান ৩০ হাজার টাকা প্রাইজমানি ও একটি ক্রেস্ট।

খেলা শেষে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রাম নগরীর লালদিঘী মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা। পরবর্তীতে সেটি আব্দুল জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিত হয়। এর জনপ্রিয়তা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখ মাসের ১২ তারিখে লালদিঘীর ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় এই খেলা। খেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত তিন ধরে লালদিঘীর মাঠ ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।

মন্তব্য

অন্যান্য
Sports provide physical and mental strength PM

দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী

দেশীয় খেলাকে সমান গুরুত্ব দিন: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। ছবি: পিআইডি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’

অন্যান্য খেলার সঙ্গে দেশীয় খেলাধুলাকে সমান গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, সমানভাবে সুযোগ পায়। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে।’

রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।

খেলাধুলা ও শরীর চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই সরকারে এসেছি চেষ্টা করেছি খেলাধুলার প্রতি আমাদের ছেলেমেয়েদের আরও বেশি অনুরাগী করতে। খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তি যোগায় এবং দেশপ্রেম শেখায়, আনুগত্য শেখায়। সে সঙ্গে তাদেরকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে দেশক পরিচিত করতে পারি।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ক্ষুদে ফুটবল খেলোয়াড় যারা আজকে এখান থেকে শুরু করেছে, একদিন তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জন্য আরও বেশি সম্মান বয়ে আনবে।

খেলাধুলার প্রসারে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে টানা চারবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলেমেয়েরা সারা বছর ধরে যেন খেলাধুলা করতে পারে সে জন্য বর্তমান সরকার প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিকদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করছে।’

প্রধানমন্ত্রী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং লালমনিরহাটের পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যকার ফাইনাল খেলার দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে পাটগ্রাম টেপুরগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হয়।

পৃথক ম্যাচে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে রংপুরের মিঠাপুকুর তালিমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় জামালপুরের মাদারগঞ্জ চরগোলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রধানমন্ত্রী দুই টুর্নামেন্টের বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমেদ।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে নববর্ষ: প্রধানমন্ত্রী
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

অন্যান্য
Shakib Tamim Jyoti Happy New Year to the countrymen

দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের

দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের সাকিব আল হাসান, নিগার সুলতানা জ্যোতি ও তামিম ইকবাল। কোলাজ: নিউজবাংলা
নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের আলোচিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও নিগার সুলতানা জ্যোতি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।

নতুন বছরের আগের দিন শনিবার রাতে ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে সাকিব লিখেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’

নিজ ভেরিফায়েড পেজে ‘শুভ নববর্ষ ১৪৩১’ লেখা একটি পোস্টার শেয়ার করে ওপেনার তামিম ইকবাল এক বাক্যে লিখেন, ‘সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।’

এ দুই তারকা ছাড়াও অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ সকলকে।’

নিজ ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ লিখেন, ‘আনন্দ, উন্নতি ও শুভকামনার বার্তা নিয়ে নতুন বছরের সূচনায় ভরে উঠুক সকলের জীবন। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ ১৪৩১।’

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেন, ‘নববর্ষে নবরূপ রাঙিয়ে দিক প্রতিটি মুহূর্ত। সুন্দর সমৃদ্ধ হোক আগামীর দিনগুলো। শুভ নববর্ষ।’

আরও পড়ুন:
‘কী কথা, কাহার সনে’, লাইভে জানাবেন তামিম
বেটিং তদন্তে উঠে এল সাকিবের বোনের নাম
ওয়ানডে অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান হারালেন সাকিব
সব ফরম্যাটে অধিনায়ক শান্ত, বিসিবির একাধিক পদে পরিবর্তন
চোখের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাকিব

মন্তব্য

অন্যান্য
Shakib Jyotira congratulated the countrymen on Eid

দেশবাসীকে সাকিব জ্যোতি তামিমদের ঈদের শুভেচ্ছা

দেশবাসীকে সাকিব জ্যোতি তামিমদের ঈদের শুভেচ্ছা কোলাজ: নিউজবাংলা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের ঈদের আনন্দঘন মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে দেশবাসী তথা ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাকিব-তামিম-জ্যোতিরা।

নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব লিখেছেন, ‘আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে ঈদ মোবারক। এই আনন্দের দিন আপনার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি এবং অফুরন্ত রহমত নিয়ে আসুক।’

শুভেচ্ছা জানিয়েছে দেশের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ফেসবুকে তামিম লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক! সবাইকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।’

ফেসবুকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ লিখেছেন, ‘ঈদ মোবারক। এই বিশেষ দিনটি ভালবাসা, আনন্দ এবং আশীর্বাদে ভরে উঠুক।’

দলের অন্য সেরা পেসারদের একজন তাসকিন আহমেদ লিখেছেন, ‘এই শুভ দিনে, আল্লাহর রহমত আপনার পথকে আলোকিত করুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপে সুখ বয়ে আনুক। ঈদ মোবারক।’

স্পিন অলরাউন্ডার মিরাজ লিখেছেন, ‘ঈদের এই শুভ দিনে আমার সকল শুভাকাঙ্খীদের আন্তরিকভাবে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা। আসুন সকল ভেদাভেদ, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে, ঈদ মোবারক।’

নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি লিখেছেন, ‘ঈদ-উল-ফিতরের এই বরকতময় উপলক্ষে আল্লাহর রহমতে আপনার জীবন আনন্দ, শান্তি এবং সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক। ঈদ মোবারক!’

আরও পড়ুন:
শোলাকিয়ায় ‘স্মরণকালের বৃহত্তম’ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন

মন্তব্য

অন্যান্য
Prime Minister gave gifts to women cricketers

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী ছবি: ফোকাস বাংলা
মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল।

বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার গণভবনে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে নারী দলের প্রত্যেককে উপহার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেটারদেরও গণভবনে ডেকে নেন প্রধানমন্ত্রী। তার আমন্ত্রণে দুই দলের নারী ক্রিকেটাররা ক্রীড়াপ্রেমী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার পুরো ক্রিকেট দলের সঙ্গে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলের ১৫ স্কোয়াডের সদস্যরা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এর বাইরে ক্রীড়ামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল উপস্থিত ছিলেন সেখানে।

সেখানে নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সবাইকে নিয়ে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ক্রিকেটারদের হাতে উপহার তুলে দেন তিনি। সাদা রংয়ের একটি প্যাকেট তুলে দেওয়া হয় মারুফা-নিগারদের হাতে।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বিসিবির পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদেল জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী দুই দলের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সুযোগ সুবিধার খোঁজ খবরও নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো খেলতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছেন। ক্রিকেটারদের হাতে উপহারও তুলে দিয়েছেন।’

তিনি জানান, ‘সবাইকে ঈদের পর আবার দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেসময় আমাদের সাবেক অনেক ক্রিকেটারসহ পুরো দলকে যেতে বলেছেন তিনি।’

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছে অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল। ওয়ানডে সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছে অজিরা। মঙ্গলবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে।

গত ১৭ মার্চ ঢাকায় পা রাখে অ্যালিসা হিলির দল। ২১ মার্চ থেকে শুরু হয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।

নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত এই সিরিজে বাংলাদেশ ধবলধোলাই হয়েছে। এরপর এক ম্যাচ হাতে রেখে টি-টোয়েন্টি সিরিজও ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা। বৃহস্পতিবার সিরিজের শেষ ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

মাঠের খেলায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সম্পর্কের দিক থেকে এগিয়ে থাকল। বন্ধুত্বের জায়গা থেকে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে ঢাকাইয়া জামদানি শাড়ি উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।

মন্তব্য

অন্যান্য
Sania in the polling field

ভোটের মাঠে সানিয়া

ভোটের মাঠে সানিয়া সানিয়া মির্জা
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে কংগ্রেস তাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বলে সূত্রের বরাতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তার সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়ণ সাংসদ হয়েছিলেন।

সূত্রের খবর, সানিয়ার নাম প্রস্তাব করেছিলেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।

আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।

এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি হায়দরাবাদ, এই অঞ্চলে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

১৯৮৪ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন।

এর পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।

এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যাদবকে প্রার্থী করেছে।

৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।

মন্তব্য

অন্যান্য
Debt of crores after losing bet in IPL suicide of wife

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা

আইপিএলে বাজি হেরে কোটি টাকার ঋণ, স্ত্রীর আত্মহত্যা ছবি: এনডিটিভি
জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট ফ্র্যাঞ্জাইচিগুলোর একটি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কাড়ি কাড়ি টাকা খরচায় এই টুর্নামেন্টে যেমন দেখা যায় তারকার ছড়াছড়ি, তেমনই কোটি কোটি টাকার জুয়া বাণিজ্য চলে আইপিএল চলাকালে।

তেমনই আইপিএলে বাজি ধরে বারবার হেরে কোটি রুপির বেশি ঋণী হয়ে পড়েছিলেন ভারতের কর্ণাটকের দর্শন বাবু নামের এক ইঞ্জিনিয়ার। তবে টাকা সময়মতো পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় পাওনাদারদের ক্রমাগত হয়রানিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুয়ার নেশায় টাকা ধার করতে করতে ঋণের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায় দর্শনের। তার পরও ধার করে বাজি ধরতে থাকেন তিনি।

দেড় কোটি টাকা ধার নেয়ার পর পাওনাদাররা তার বাড়িতে এসে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিকে শুরু করেন। শুধু তা-ই নয়, ওই প্রকৌশলীকে বাড়িতে না পেয়ে তার স্ত্রী রঞ্জিতাকে হেনস্থা করা হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।

আর পাওনাদারদের হয়রানি সহ্য করতে না পেরেই রঞ্জিতা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ কর্ণাটকের চিত্রদুর্গায় নিজের বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

স্থানীয় পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ১৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।

চিত্রদুর্গের বাসিন্দা দর্শন সেচ দপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।

স্থানীয়দের দাবি, দর্শন মাঝেমধ্যেই অনলাইনে জুয়া খেলতেন। সেই নেশার কারণে ধারের বোঝা বাড়ছিল তার।

যদিও দর্শনের শ্বশুরের পাল্টা দাবি, তার জামাই নির্দোষ। তাকে এই জুয়া খেলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল টাকা ধার নিতেও। যাদের কাছে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন, তারাই এই কাজ করিয়েছিলেন তার জামাইকে দিয়ে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য দর্শনকে লোভ দেখানো হয়। তারপর তাকে ফাঁদে ফেলা হয়েছে।

এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ জানিয়েছে, দর্শনের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেটি রঞ্জিতা লিখেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ওই সুইসাইড নোটে ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন রঞ্জিতা।

তার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে এরইমধ্যে শিবু, গিরিশ এবং ভেঙ্কটেশ নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

মন্তব্য

p
উপরে