অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ জানায় ওই চার্টার্ড ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের মধ্যে একজনের কোভিড ধরা পড়েছে। ফলে বিমানের বাকিদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের তিন সপ্তাহ আগে মেলবোর্নে এসেছেন প্রতিযোগিরা। শনিবার সকালে লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ১৫টি বিশেষ চার্টার্ড বিমানে মেলবোর্নে নিয়ে আসা হয় তাদের।
এসেই বিপাকে পড়েন তারা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ জানায় ওই চার্টার্ড ফ্লাইটগুলোর যাত্রীদের মধ্যে দুইজনের কোভিড ধরা পড়েছে। ফলে বিমানের বাকিদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
দুইবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী তারকা ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাও ছিলেন ওই বিশেষ ফ্লাইটগুলোর একটিতে। তাকে মেলবোর্নের হোটেলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে।
২০১২ ও ২০১৩ সালে টুর্নামেন্ট জেতা এই বেলারুশিয়ান টুইট করেন, ‘মেলবোর্নে এসে পৌঁছেছি। এটা সম্ভব করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। না জানি কত ঘণ্টার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টায় এমনটা সম্ভব হয়েছে! ধন্যবাদ।’
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় তিন তারকা নোভাক জকোভিচ, রাফায়েল নাদাল ও সেরিনা উইলিয়ামস অবশ্য মেলবোর্নে নামেননি। তারা সরাসরি গেছেন অ্যাডেলেইডে।
সেখানে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ওয়ার্ম আপ টুর্নামেন্ট শুরু হবে ২৯ জানুয়ারি। যে কারণে তারা অ্যাডেলেইডেই কোয়ারিন্ট পার করবেন।
বিগ থ্রির দুই জন অংশ নিলেও সর্বকালের সেরা রজার ফেডেরার টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছেন না। চোটের কারণে তিন সপ্তাহ আগে নাম প্রত্যাহার করে নেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা।
কোভিড মহামারির কারণে প্রায় তিন সপ্তাহ পিছিয়ে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শুরু হচ্ছে ৮ ফেব্রুয়ারি। শেষ হবে ২১ ফেব্রুয়ারি।
Made it to Melbourne! Thank you everyone so much for making it happen. I can only imagine how many hours of work and compromise it took for us to be here! Thank you 🙏🏻 pic.twitter.com/Jt0ywFIEj4
— victoria azarenka (@vika7) January 15, 2021
পাঁচ কিলোমিটারের এই ম্যারাথনে অংশ নেন তিন শতাধিক শখের দৌড়বিদ। ছবি: নিউজবাংলা
শনিবার বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ম্যারাথনে বিভিন্ন বয়সীরা অংশ নেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মাগুরায় আয়োজন করা হয়েছে ‘মিনি ম্যারাথান’। শনিবার বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে ম্যারাথনে বিভিন্ন বয়সীরা অংশ নেন।
পাঁচ কিলোমিটারের এই ম্যারাথনে অংশ নেন তিন শতাধিক শখের দৌড়বিদ। স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে মাগুরা-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দিয়ে আবালপুর নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল হয়ে স্টেডিয়ামে এসেই শেষ হয় দৌড়।
ম্যারাথন জিতে গোল্ড মেডেল পান শাহিন হোসেন সুমন। সিলভার মেডেল জেতেন লাভলু মিয়া। তৃতীয় হন সাইমন হোসেন। পান ব্রোঞ্জ মেডেল।
মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পাওয়াদের হাতে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও প্রত্যয়নপত্র তুলে দেন।
জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন।
সকাল সাড়ে ৮টায় গোমতী নদীর শেখ কামাল ক্রীড়াপল্লি থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। দৌড়ে ৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
কুমিল্লায় হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ম্যারাথন। শনিবার সকাল ৮টায় এর উদ্বোধন করেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
কুমিল্লা সেনানিবাসের ৪৪ পদাতিক ব্রিগেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই ম্যারাথন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের সঙ্গে প্রতিযোগী ও অতিথিরা জাতীয় সংগীতে অংশ নেন।
সকাল সাড়ে ৮টায় গোমতী নদীর শেখ কামাল ক্রীড়াপল্লি থেকে ম্যারাথন শুরু হয়। দৌড়ে ৫০ জন প্রতিযোগী অংশ নেন।
ম্যারাথন ৫ কিলোমিটার দূরে সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ী এলাকায় শেষ হয়।
প্রথম হন আরিফুল ইসলাম অন্তর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় হন জসিম ও জামাল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ও ৩১ বীর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির হাসান।
আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত, স্থানীর সরকার কুমিল্লা অঞ্চলের উপপরিচালক শওকত ওসমান, কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম টুটুল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেনসহ অন্যান্য অতিথি।
তিনটি স্বর্ণ জেতেন বিকেএসপির আলিফ
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পাঁচটি স্বর্ণ ও দুটি সিলভার মেডেল পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আর্মি আর্চারি ক্লাব।
ব্রোঞ্জ জিতেই জাতীয় আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপের যাত্রা থেমেছে দেশসেরা তীরন্দাজ রোমান সানার। তাকে ছাপিয়ে এবার চ্যাম্পিয়নশিপের সব আলো যেন আব্দুর রহমান আলিফকে ঘিরে। সর্বোচ্চ তিনটি স্বর্ণ জিতেছেন বিকেএসপির এই তীরন্দাজ।
আর টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ পাঁচটি স্বর্ণ ও দুটি সিলভার মেডেল পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আর্মি আর্চারি ক্লাব।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বর্ণ নির্ধারণের ম্যাচগুলো হয়।
রিকার্ভ পুরুষ একক ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হন বিকেএসপির আব্দুর রহমান আলিফ। বাংলাদেশ পুলিশের হাকিম আহমেদ রুবেলকে ৭-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে হারান তিনি।
আর রিকার্ভ মহিলা একক ইভেন্টে ঢাকা আর্মি দলের মেহেনাজ আক্তার মনিরা ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুনকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন।
রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে বিকেএসপি আব্দুর রহমান আলিফ ও প্রদীপ্ত চাকমা ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আফজাল হোসেন, সাগর ইসলাম ও মিশাদ প্রধানকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতে।
রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টে ঢাকা আর্মির মেহেনাজ আক্তার মনিরা, নাসরিন আক্তার ও রাবেয়া আক্তার ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বিকেএসপির দিয়া সিদ্দিকী, ফাহমিদা সুলতানা নিশা ও উম্যা চিং মার্মাকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন।
রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টে বিকেএসপির আব্দুর রহমান আলিফ ও দিয়া সিদ্দিকী ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশ পুলিশের মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম ও বিউটি রায়কে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন।
রিকার্ভ মিশ্র দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ আনসারের শাকিব মোল্লা ও মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুন ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা জেলার সাগর ইসলাম ও রজনী আক্তারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এ দিকে কম্পাউন্ড পুরুষ একক ইভেন্টে বাংলাদেশ আনসারের ঐশ্চর্য রহমান ১৪০-১৩৬ স্কোরের ব্যবধানে বিকেএসপির হিমু বাছাড়কে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন। কম্পাউন্ড মহিলা একক ইভেন্টে ঢাকা আর্মির সুস্মিতা বণিক ১৪৩-১৪১ স্কোরের ব্যবধানে একই দলের রোকসানা আক্তারকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন।
কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ পুলিশের অসীম কুমার দাস, মো. আশিকুজ্জামান ও ভানরুম বম ২২৪-২১৬ স্কোরের ব্যবধানে ঢাকা আর্মির জাবেদ আলম, মিঠু রহমান ও সোহেল রানাকে হারিয়ে স্বর্ণ জেতেন।
কম্পাউন্ড মহিলা দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন ঢাকা আর্মির রোকসানা আক্তার, সুস্মিতা বনিক ও তানিয়া রীমা এবং কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন ঢাকা আর্মির রোকসানা আক্তার ও মিঠু রহমান।
কম্পাউন্ড মিশ্র দলগত ইভেন্টে স্বর্ণ জেতেন বাংলাদেশ আনসারের ঐশ্চর্য্য রহমান ও বন্যা আক্তার।
বিকালে টুর্নামেন্টের সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল করিম এনডিসি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম (অব:), সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান দিপু, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল, প্রতিযোগিতা ও মাঠ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত।
বুধবার স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল
আধুনিক এই স্টেডিয়ামটিতে ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবলসহ সকল ধরনের ইনডোর খেলার ব্যবস্থা থাকবে। স্টেডিয়ামটিতে দর্শক আসন সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। এ ছাড়া স্টেডিয়ামটিতে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য জিমনেসিয়ামও থাকছে।
কক্সবাজারে প্রায় ২১ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ইনডোর স্টেডিয়াম। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হচ্ছে এই স্টেডিয়াম। বুধবার স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
এ সময় তিনি স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন কাজেরও উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের পর্যটনকে বিকশিত করতে স্পোর্টসকে কাজে লাগাতে হবে। এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে এখানে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
‘স্টেডিয়ামের নকশা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। এর পাশেই আরও একটি আন্তর্জাতিক ফুটবল স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। সেটির কাজ আমরা করেছি। আমরা বিশ্ব দরবারে কক্সবাজারকে স্পোর্টস টুরিজমের একটি হাব হিসেবে তৈরি করাতে চাই।’
আধুনিক এই স্টেডিয়ামটিতে ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবলসহ সকল ধরনের ইনডোর খেলার ব্যবস্থা থাকবে। স্টেডিয়ামটিতে দর্শক আসন সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। এ ছাড়া স্টেডিয়ামটিতে ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য জিমনেসিয়ামও থাকছে।
মূল ভবন নির্মাণে ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আর স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন কাজে ব্যয় হবে ৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ কাজের মধ্যে রয়েছে নতুন গ্যালারী নির্মাণ সহ বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ওয়াকওয়ে ও মাঠের উন্নয়ন।
এবার টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি রোমান সানা। ছবি: ফাইল ছবি
রিকার্ভ পুরুষ একক ইভেন্টে মো: রোমান সানা (বাংলাদেশ আনসার) ৬-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা আর্মি আর্চারি ক্লাবের মো: আশিকুর রহমানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন।
টোকিও অলিম্পিকে সরাসরি খেলার সুযোগ পাওয়া একমাত্র ক্রীড়াবিদ রোমান সানার পারফরম্যান্সে অবনতি হয়েছে। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ খুইয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন এই দেশসেরা তীরন্দাজ।
কক্সবাজারস্থ শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার বঙ্গবন্ধু ১২ তম চ্যাম্পিয়নশিপের ২য় দিনে এলিমিনেশন রাউন্ডে আটটি ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচ হয়।
রিকার্ভ পুরুষ একক ইভেন্টে রোমান সানা (বাংলাদেশ আনসার) ৬-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা আর্মি আর্চারি ক্লাবের মো: আশিকুর রহমানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন।
রিকার্ভ মহিলা একক ইভেন্টে দিয়া সিদ্দিকী (বিকেএসপি) ৬-০ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশ পুলিশের মোসাম্মৎ ইতি খাতুনকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন।
কম্পাউন্ড পুরুষ একক ইভেন্টে পুলিশের মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ১৪৪-১৪২ স্কোরের ব্যবধানে হারান অসীম কুমার দাসকে। কম্পাউন্ড মহিলা একক ইভেন্টে পুলিশের রিতু আক্তার ১৩৬-১৩৫ স্কোরের ব্যবধানে বন্যা আক্তার হারিয়ে ব্রোঞ্জ পান।
রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ পুলিশ ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশ আনসারকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জেতে। রিকার্ভ মহিলা দলগত ইভেন্টেও ব্রোঞ্জ জেতে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশ আনসারকে ৫-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
এ ছাড়া কম্পাউন্ড পুরুষ দলগত ইভেন্টে বিকেএসপি ২২২-২১৮ স্কোরের ব্যবধানে বাংলাদেশ আনসারকে পরাজিক করে ব্রোঞ্জ এবং কম্পাউন্ড মহিলা দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশ আনসার ২২২-২১৫ স্কোরের ব্যবধানে এএসপিটিএস আর্চারি ক্লাবকে হারিয়ে করে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করে।
আগামীকাল বিকেল চারটায় চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল।
দেশটির জন্য প্রস্তুত সংস্কার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস। আগামী কয়েকবছরে দেশটির সামনে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ডোপ টেস্টিং এর বিস্তার।
আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসে ফেরার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে রাশিয়ার। দেশটির জন্য প্রস্তুত সংস্কার পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস। আগামী কয়েকবছরে দেশটির সামনে বেশ কিছু লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ডোপ টেস্টিং এর বিস্তার।
ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের সভাপতি লর্ড কো এই সংস্কার পরিকল্পনাকে ‘আস্থা পুনস্থাপনের রোডম্যাপ’ উল্লেখ করে বিবিসি স্পোর্টকে বলেন, ‘এখানেই শেষ নয়। একটা দীর্ঘ যাত্রার শুরু। রাশিয়ান অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন (রুসাফ) কে আস্থা ফিরে পাওয়ার জন্য এখন প্রচুর কাজ করতে হবে।’
অ্যাথলেটিকসে রাশিয়ার ফিরে আসার কোনো তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দেশটির অ্যাথলেটিকস প্রশাসন, তহবিল, অ্যান্টি-ডোপিং ব্যবস্থা ও ক্রীড়াবিদদের শিক্ষার বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে যেটি পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে।
যে পরিবর্তনগুলো চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে হুইসলব্লোয়ারদের উৎসাহ দেয়ার নীতিমালা প্রনয়ণ, পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী বিভাগগুলোকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা ও দেশের খেলাধুলা কীভাবে চলছে তা নিয়ে ক্রীড়াবিদদের মতামত দেয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করা।
ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকসের ৩১ পাতার সংস্কার প্রস্তাবনা প্রতিবেদনটিতে বলা হয় রুসাফের দৃঢ় বিশ্বাস তারা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে তবে স্থায়ী পরিবর্তন আনতে অনেক সময় লেগে যাবে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরও জানায় ডোপিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা টোকিও অলিম্পিকসে অংশ নিতে পারবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কাউন্সিল সভায়। ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস কাউন্সিলের সভা বসছে ১৭ ও ১৮ মার্চ।
ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (ওয়াডা) প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসের সব আসর থেকে নিষিদ্ধ করে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস। ওয়াডার প্রতিবেদনে বলা হয় দেশটি অ্যাথলিটদের সাফল্যের জন্য ড্রাগ ব্যবহার করতে উৎসাহী করেছে।
.@WorldAthletics president @sebcoe said a roadmap for Russia's reintegration to the sport was just the beginning of a long journey aimed at "rebuilding trust"https://t.co/gCM04g82Ty
— Firstpost Sports (@FirstpostSports) March 2, 2021
সোমবার সবশেষ প্রকাশিত এটিপি র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে আছেন ১৮টি স্ল্যাম জয়ী জকোভিচ। এতে করে ফেডেরারের মোট ৩১০ সপ্তাহ শীর্ষে থাকার রেকর্ড ছুঁয়ে দিলেন তিনি।
গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যায় এখনও রজার ফেডেরারের চেয়ে দুটি শিরোপা পেছানো নোভাক জকোভিচ। তবে সবচেয়ে বেশি সময় র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকার রেকর্ডে ঠিকই ফেডেরারের সঙ্গে ভাগ বসিয়েছেন এই সার্বিয়ান তারকা।
সোমবার সবশেষ প্রকাশিত এটিপি র্যাংকিংয়ে এক নম্বরে আছেন ১৮টি স্ল্যাম জয়ী জকোভিচ। এতে করে ফেডেরারের মোট ৩১০ সপ্তাহ শীর্ষে থাকার রেকর্ড ছুঁয়ে দিলেন তিনি।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিবিসি স্পোর্টকে এই টেনিস গ্রেট জানান আপাতত গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের দিকে নজর দেবেন তিনি।
‘সবচেয়ে বেশি সময় এক নম্বর থাকার ঐতিহাসিক অর্জনের পর কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি। এখন আমার সমস্ত মনোযোগ স্ল্যাম টুর্নামেন্টগুলোতে দিতে পারব।’
সবশেষ র্যাংকিংয়ে ১২,০৩০ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছেন জকোভিচ। নাদাল আছেন দুই নম্বরে। তার পয়েন্ট ৯,৮৫০। জকোভিচের কাছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে হেরে যাওয়া রাশান তারকা দানিল মেদভেদেভ আছেন তিনে। তার সংগ্রহ ৯,৭৩৫ পয়েন্ট।
সর্বকালের সেরাদের তালিকায় ৩১০ সপ্তাহ শীর্ষে থাকার রেকর্ডের এক নম্বরে এখন জকোভিচ ও ফেডেরার। দুইয়ে আছেন সাবেক আমেরিকান তারকা পিট স্যাম্প্রাস। তিনি মোট ২৮৬ সপ্তাহ এক নম্বরে ছিলেন।
নারী ও পুরুষ একক মিলিয়ে মোট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে হিসেবে এখনও সবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে স্টেফি গ্রাফ। জার্মান কিংবদন্তি ক্যারিয়ারের মোট ৩৭৭ সপ্তাহ এক নম্বরে ছিলেন।
মন্তব্য