× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
Hefazat in the new crisis over the death of Babungari
google_news print-icon

বাবুনগরীর মৃত্যুতে নতুন সংকটে হেফাজত

বাবুনগরীর-মৃত্যুতে-নতুন-সংকটে-হেফাজত
হেফাজতে ইসলামের সদ্যপ্রয়াত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। ছবি: সংগৃহীত
হেফাজতকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো একক নাম নেই। আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিচালকের পদই কাউকে দেয়া যায়নি প্রায় এক বছরেও। আবার গত কয়েক মাসে বাবুনগরী হেফাজতের ভেতর দুই পক্ষের কাউকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি। উল্টো সবার বিরাগভাজন হয়েছেন। নানা কারণে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হেফাজতের জন্য সহজ হবে না।

১০ বছরের নেতা শাহ আহমদ শফীর যতটা নিয়ন্ত্রণ ছিল হেফাজতে ইসলামে, ততটা ছিল না জুনায়েদ বাবুনগরীর।

তার নেতৃত্বে আসা নিয়ে সংগঠনে ভাঙন ধরে কমিটি গঠনের আগেই। আবার কমিটি গঠনের পরেও অন্তত দুইজন নায়েবে আমির বাবুনগরীর নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা দেখিয়ে সংগঠন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ঢাকার একজন নেতা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তার বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

তারপরেও হেফাজতে বাবুনগরীর দৃশ্যত কোনো বিকল্প ছিল না। যে কারণে সংগঠন কমিটি ভেঙে দেয়ার পরেও তিনিই ছিলেন নেতৃত্বে। আর গত এপ্রিলে ধরপাকড়ের পর থেকে তিনিই সরকারের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে গেছেন।

তার মৃ্ত্যু হয়েছে অকস্মাৎ। এটি সমর্থকদের জন্যও একটি আঘাত, সংগঠনের জন্যও তৈরি করেছে সমস্যা।

এর কারণ, নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তার সুযোগ আছে কি না, তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। আবার নেতৃত্বে আসার মতো একক কোনো নামও নেই সংগঠনে।

২০১০ সালে হেফাজত গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত নেতৃত্ব ধরে রেখেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা। হেফাজতের নেতৃত্ব তাদের মধ্যেই রাখতে আগ্রহী। কিন্তু দ্বন্দ্ব-বিরোধের আশঙ্কায় আল্লামা শফীর মৃত্যুর পর মাদ্রাসার মুহতামিমই নির্বাচিত করা যায়নি কাউকে। এই অবস্থায় হেফাজতের নেতৃত্বে একজনকে আনাটা কঠিন হবে তাদের জন্য।

সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুহিব্বুলাহ বাবুনগরীর একটি অবস্থান আছে হেফাজতে। কিন্তু তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষক নন। পাশাপাশি তার বয়স ৯০ বছরের বেশি। তাকে ভারপ্রাপ্ত আমির করা হলেও এই দুটি কারণে তিনি পূর্ণাঙ্গ আমিরের পদ পাবেন কি না, তা নিয়ে আছে সংশয়।

বাবুনগরীর মৃত্যুতে নতুন সংকটে হেফাজত

হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির আল্লামা মুফতি মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। ছবি: নিউজবাংলা

হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী এখন দৃশ্যত প্রধান নেতা। কিন্তু তার প্রভাব সংগঠনে কম। আর তিনি ঢাকার নেতা হিসেবে আমির হওয়ার তালিকায় তার নাম না থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

গত মার্চে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় শক্তি দেখাতে গিয়ে সংগঠনের অবস্থা এখন নিভু নিভু।

শতাধিক নাশকতার মামলা, শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার, আত্মগোপন, জ্যেষ্ঠ নেতাদের পদত্যাগ এবং হেফাজতে ইসলামের অপর একটি অংশের প্রকাশ্যে বর্তমান কমিটির বিরোধিতার কারণে ২০১৩ সালে ভীষণ প্রভাবশালী হয়ে ওঠা সংগঠনটি এখন আলোচনাতে নেই বললেই চলে। নানা হুমকিধমকি দিয়ে আসা নেতারা পরে সরকারের কাছে অনুনয় বিনয় করে আসছেন।

সব মিলিয়ে যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হলো বাবুনগরীর।

২০২০ সালে আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলোচিত এ ধর্মীয় সংগঠনটি গত নভেম্বরে যে জাতীয় সম্মেলন করে তাতে প্রয়াত আমির আল্লামা শফীর অনুসারীরা পদ-পদবি পাননি। তারপর থেকে ওই অংশ বর্তমান কমিটির বিরোধিতা করে আসছে।

ফলে এক দফা ভাঙনের মুখে পড়ে সংগঠনটি। বাবুনগরীর মৃত্যুর পর সংগঠনটি আরেক দফা ভাঙনের মুখে পড়বে কি না সেটি এখন দেখার বিষয়।

বাবুনগরীর অনুসারী হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস বৃহস্পতিবার বিকেলে হাটহাজারী মাদ্রাসায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবুনগরীর মৃত্যুর কারণে সংকট তৈরি হবে। তবে আশা করি সেটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না। সংকট দ্রুত কেটে যাবে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।’

সংগঠনের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন- এমন প্রশ্নে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল আওয়াল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখনও এ বিষয়ে কোনো সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে আমি এখন কিছুই বলতে পারব না। তবে দ্রুতই এ বিষয়ে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’

হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালকই নির্বাচন করা যায়নি

হেফাজতের নতুন নেতা বেছে নেয়া যে সহজ হবে না, তা হাটহাজারী মাদ্রাসার নেতৃত্বশূন্যতাই বলে দেয়।

কওমি অঙ্গনের শীর্ষ মুরব্বি হিসেবে এই মাদ্রাসা ও হেফাজতে আল্লামা শফীর একক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও তার মৃত্যুর পর চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। গত এক বছরে মাদ্রাসার নতুন মহাপরিচালক নির্বাচন সম্ভব হয়নি।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর আল্লামা শফীর মৃত্যু হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর দাফন শেষে মাদ্রাসার মজলিসে সুরার বৈঠকে মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য তিন শিক্ষক মুফতি আবদুস সালাম, মাওলানা শেখ আহমদ সাহেব ও মাওলানা ইয়াহইয়াকে নিয়ে আমেলা (পরিচালনা কমিটি) গঠন করা হয়। কিন্তু এই কমিটি এখনও একজনকে মাদ্রাসার পরিচালক বা মুহতামিম ঘোষণা করতে পারেনি।

হাটহাজারী মাদ্রাসার তাফসির বিভাগের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি নামে আছে। সবকিছু জুনায়েদ বাবুনগরী নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথায় মাদ্রাসার চলত। তিনি মারা যাওয়াতে মাদ্রাসায় নতুন মহাপরিচালক নির্বাচন নিয়ে সংকট তৈরি হবে।’

সংগঠনে ঐক্য নেই

গত বছরের সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাঙ্গামার কদিনের মধ্যেই আল্লামা শফীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফাটল ধরে সংগঠনে। মাদ্রাসায় হাঙ্গামার সময় তাকে চিকিৎসা দিতে বাধা, এমনকি অক্সিজেনের নল খুলে ফেলার মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছে প্রয়াত আমিরের পরিবার।

আর শফীর শ্যালক এই ঘটনায় হত্যা মামলা করেন বাবুনগরীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। এতে অবহেলাজনিত নরহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে এখনও বিচার শুরু হয়নি।

গত নভেম্বরে জাতীয় সম্মেলন করে বাবুনগরীকে আমির করে যে কমিটি ঘোষণা করা হয়, তাতে শফী অনুসারী কাউকে রাখা হয়নি। এই কমিটিতে স্থান দেয়া হয় বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক শতাধিক নেতাকে।

আর নতুন কমিটি গঠন করার পর হঠাৎ করেই তারা সরকারবিরোধী অবস্থান নিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিতে থাকে।

নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা করে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া তাণ্ডব ছিল নজিরবিহীন। হেফাজত নেতারা এ সময় বলতে থাকেন, দেশ চালাতে হলে সরকারকে তাদের কথা শুনেই চালাতে হবে।

কিন্তু এপ্রিলের শুরুতে হেফাজত নেতা মামুনুল হক নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী সঙ্গীসহ অবরুদ্ধ হওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টে যায়। হেফাজত নেতারা তাৎক্ষণিক সহিংসতা চালিয়ে ত্রাস তৈরি করলেও কয়েক দিন পরেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। সরকার যখন অভিযান শুরু করে, তখন হেফাজত চুপসে যায়।

গত ২৬ এপ্রিল নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় ব্যর্থ হওয়ার পর হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

নানা নাটকীয়তার পর গত ৭ জুন ৩৩ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগের কমিটির মধ্যে যারা বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক ছিলেন, তাদের সবাইকেই বাদ দেয়া হয়।

এই সিদ্ধান্ত আবার সংগঠনের বাদ পড়া নেতারা মেনে নিতে পারেননি। আগের কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী ফেসবুক স্ট্যাটাসেই বাবুনগরীর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন।

এভাবে বাবুনগরী সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে গিয়ে কার্যত একূল-ওকূল সবই হারান।

আল্লাম শফীর অনুসারীদের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে প্রয়াত আমিরের বড় ছেলে ইউসুফ মাদানীকে সহকারী মহাসচিব করা হয়। তবে ওই দিনই ইউসুফ মাদানী তা প্রত্যাখ্যান করেন।

হেফাজত যেভাবে আলোচনায়

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রস্তাবিত নারী নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে কওমি ঘরানায় গড়ে তোলা হয় হেফাজতে ইসলাম। নেতৃত্বে আল্লামা শফী। অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও এতে কওমি ঘরানার সব রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ ছিল।

তবে সংগঠনটি ব্যাপক আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে। সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে সারা দেশে গণজাগরণ নামে আন্দোলন চলছিল।

এই আন্দোলনকারীদের নাস্তিক দাবি করে মাঠে নামে হেফাজত। একপর্যায়ে ৫ মে ঢাকা অবরোধ ডাকে।

সেদিন বিকেলে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে তারা। সমাবেশ শেষে সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকার জানায়। একপর্যায়ে ডাক দেয় সরকার পতনের। তবে রাতে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশের যৌথ অভিযানে শাপলা চত্বর ছাড়ে তারা।

বাবুনগরীর মৃত্যুতে নতুন সংকটে হেফাজত

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

অভিযানে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর গুজব ছড়ালেও পরে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে এই বিষয়টিই সংগঠনটিকে দেশে-বিদেশে ব্যাপক পরিচিত করে তোলে। এই ঘটনার পর পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর হেফাজতের রাজনৈতিক গুরুত্বও তৈরি হয়।

আর একপর্যায়ে আল্লামা শফী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে ইসলামিক স্টাডিজে মাদ্রাসার সমমানের দাবি আদায় করেন।

আরও পড়ুন:
আহমদ শফীর পাশে বাবুনগরীর দাফন
হেফাজতের আমির বাবুনগরীর মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Detained with foreign pistols and shotgun in separate operations on the Kushtia border 2

কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২

কুষ্টিয়া সীমান্তে পৃথক অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও শর্টগানসহ আটক ২

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুটি অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ দুইজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি শর্টগান, একটি ম্যাগাজিন এবং তিন রাউন্ড গুলি।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি জানায়, মঙ্গলবার দিবাগতরাত আনুমানিক ২টা ৫০ মিনিটে দৌলতপুর উপজেলার ঠোটারপাড়া বিওপির আওতাধীন পাকুড়িয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে প্রথম অভিযান চালানো হয়। এসময় মৃত রহমত সর্দারের ছেলে মঞ্জিল সর্দার (৪৩) কে আটক করা হয়। তার বাড়ির উঠানে গোয়ালঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি শর্টগান ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে মঞ্জিল সর্দারের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে দ্বিতীয় দফা অভিযান চালানো হয় জয়পুর বিওপির আওতাধীন এলাকায়। অভিযানে মঞ্জিলের ভাতিজা শফিকুল সর্দারের ছেলে টুটুল সর্দার (২৫)-এর বাড়ি তল্লাশি করে একটি চালের ড্রামের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মঞ্জিল সর্দার স্বীকার করেন, দুই দিন আগে তারা ভারতীয় সীমান্ত এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহ করেছেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলির আনুমানিক বাজারমূল্য এক লাখ ১৬ হাজার ৬০০ টাকা।

এ বিষয়ে ৪৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহাবুব মুর্শেদ জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং তাদের দৌলতপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান রোধে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
Coxs Bazaar

কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

কক্সবাজারে সাগরে গোসলে নেমে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১ টার দিকে সৈকতের কবিতা চত্ত্বর পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।

মৃত্যু হওয়া রাইয়ান নূর আবু সামি (১৪) কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইলের ছেলে। সে কক্সবাজার বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

মৃতের বাবা মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সকালে বাসায় কাউকে না জানিয়ে প্রতিবেশী বন্ধুদের সাথে সমুদ্র সৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে তারা সৈকতে কবিতা চত্ত্বর পয়েন্ট সাগরে গোসলে নামে। এতে স্রোতের টানে ৩ জন ভেসে যেতে থাকে। এসময় সেখানে থাকা অন্য বন্ধুরা এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, “ পরে তাদের কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। “

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ( এডিআইজি ) আপেল মাহমুদ জানান, খবরটি তিনি শুনেছেন। কক্সবাজার সৈকতে ফুটবল খেলা নিষেধ থাকলে অনেকে তা অমান্য করে খেলাধুলা করছেন। এতে সৈকতের নজরদারি কম থাকা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটেছে।

স্কুলছাত্রের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

বিশেষ
DMP 2 case in violation of traffic law

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২,০৫৩ মামলা

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২,০৫৩ মামলা

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজর ৫৩টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ২৮০টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ১৩৮টি রেকার করা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।

এতে আরো বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য

বিশেষ
Notes on July one by postcard

‘নোটস্ অন জুলাই’ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে এক লাখ মানুষের গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ

‘নোটস্ অন জুলাই’ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে এক লাখ মানুষের গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ

‘নোটস্ অন জুলাই’ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে এক লাখ মানুষের গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক স্মৃতিকথা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে জেলা তথ্য অফিসসমূহে এসব পোস্টকার্ড প্রেরণ করা হয়েছে। জেলা তথ্য অফিসসমূহ সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে ‘নোটস্ অন জুলাই’ পোস্টকার্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের গণঅভ্যুত্থানকেন্দ্রিক স্মৃতিকথা ও অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করছে। আগামী ৫ই আগস্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। জনগণের স্মৃতিকথা-সংবলিত এসব পোস্টকার্ড গুরুত্বসহকারে সংরক্ষণ করা হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
National Fisheries Week starts in Jessore on July 22

যশোরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ২২ জুলাই



যশোরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ শুরু ২২ জুলাই

জেলা প্রশাসন ও যশোর মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে আগামী ২২ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হতে যাচ্ছে।

এদিন সকাল ১১ টায় র‌্যালি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর স্থানীয় পর্যায়ে সফল মৎস্য চাষি/ উদ্যোক্তাদের পদক প্রদান ও পৌর পার্কের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। সপ্তাহব্যাপী নানা আয়োজনে মধ্য দিয়ে আগামী ২৮ জুলাই এই মৎস্য সপ্তাহ শেষ হবে।
মঙ্গলবার যশোর কালেক্টরেট সভা কক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপত্বি করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল আলম, সভাটি পরিচালনা করেন জেলা মৎস্য অফিসার সরকার মো:রফিকুল আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন সদরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ। এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, জেলা সমবায় কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার প্রতিনিধি, জেলা সির্ভিল সার্জনের প্রতিনিধি, জেলা আনসার ভিডিভির প্রতিনিধি, আরআরএফ এনজিও প্রতিনিধি, জাগরনি চক্র প্রতিনিধি, হেচারী মালিক সমিতির সভাপতি প্রমুখ। এসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

বিশেষ
ACCs new secretary Khaled Rahim

দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম

দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম।

সচিব পদে পদোন্নতির পর তাকে দুদকের সচিব হিসেবে পদায়ন করে বুধবার (১৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীনকে অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার সুবিধার্থে গত ২৪ জুন বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

বিশেষ
Gopalganj was attacked by a police car at NCPs walk

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এনসিপির মাসজুড়ে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ (বুধবার) গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্কে পদযাত্রায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনের কথা রয়েছে। তাদের পদযাত্রা বানচাল করতে সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।’

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (আইসি) আহমেদ বিশ্বাস, কনস্টেবল কাওছার ও মিনহাজ। তাদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত জানি না। এতে পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন এবং একটি গাড়ি পুড়ে গেছে। আহত তিন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করবে দলটি।

মিজানুর রহমান জানান, আজ গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির পথসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। উলপুর-দুর্গাপুর সড়ক দিয়ে তাদের গাড়িবহর যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ওই এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। সেখানে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে