নায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে পর্নোগ্রাফি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির নাম ও ছবি পাওয়া গেছে। তাদের অনেকেই এসব মডেল ও অভিনেত্রীর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন। বিষয়টিকে সেক্সটরশন বা যৌন চাঁদাবাজি বলছেন সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা।
নিউজবাংলাকে তারা জানিয়েছেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এখন সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত অপরাধ। বাড়ছে সেক্সটরশনের মতো হয়রানি। প্রায় প্রতিদিনই এ ধরনের অভিযোগ জমা পড়ছে।
পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। সেক্সটরশনের শিকারদের বেশির ভাগই নারী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছর। ২০২০ সালে এই নারীদের মধ্যে ১০১ জন সেক্সটরশনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পুরুষদের মধ্যে এ অভিযোগ করেছেন ৪৩ জন।
সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ ধরনের অভিযোগ আরও বেড়েছে। নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সেক্সটরশনের শিকার হচ্ছেন। তবে মানসম্মানের ভয়ে অধিকাংশই মামলা না করে প্রতিকার চাইছেন।
তারা জানান, সেক্সটরশনের মাধ্যমে একজনের আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে টাকা বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করা হয়। টাকা দিতে রাজি না হলে সেই ছবি ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই সেক্সটরশনের শিকার হলেও সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নারী অভিনয়শিল্পীদের কাছে অনেক ভিআইপি পুরুষের এই চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পরীমনি, পিয়াসা ও মৌকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেক্সটরশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির নাম ও ছবি মিলেছে। তাদের অনেককেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছেন তারা। সম্মানহানির আশঙ্কায় হয়রানির শিকার এসব পুরুষ নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চান না।
কর্মকর্তারা বলছেন, সেক্সটরশনের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তদন্ত ও বিচার করার সুযোগ রয়েছে।
পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এ বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি-মর্যাদাহানি করিলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায় বা কোনো ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোনো পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
আইনে ‘পর্নোগ্রাফি’ বলতে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য, যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যেগুলোর কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই, সেসব কন্টেন্টকে বোঝানো হয়েছে। যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেটও পর্নোগ্রাফির আওতায় পড়ে।
অভিযোগ আছে, যৌন হয়রানি-সম্পর্কিত অনেক অপরাধ ইন্টারনেট-সম্পর্কিত হওয়ার পরও সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ফেলা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপকমিশনার (ডিসি) আ ফ ম আল কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধের ইনগ্রেডিয়েন্ট বিশ্লেষণ করেই নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করা হয়। কোনো কোনো অভিযোগের বেলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ- দুই আইনের ধারায়ই অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
‘কাজেই ইন্টারনেট-সম্পর্কিত হলেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত সেক্সটরশনের মতো অপরাধসমূহ অ্যাড্রেস করার জন্য পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের নির্দিষ্ট ধারায় সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।’
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে সাইবার জগতে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ও সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত অপরাধ। বাড়ছে সেক্সটরশনের মতো ঘটনা।’
এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘করোনায় বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দি। এই সময়ে সাইবার স্পেসে নারীঘটিত মানহানি, রাজনৈতিক মানহানি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ বাড়ছে। প্রাইভেট মেসেঞ্জার বা এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও শেয়ার করার প্রবণতা বেড়েছে। আর এসব কনটেন্ট যখন কোনো অসাধু ব্যক্তির দখলে চলে যায়, তখনই ঘটে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা। এভাবে করোনাকালে ব্ল্যাকমেইলের সংখ্যাও বাড়ছে।’
পুলিশ কর্মকর্তা ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ জানান, করোনা পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে কিছু অপরাধী নিয়মিত অন্যের রূপ ধারণ করে সাইবার স্পেসে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি অনলাইনে কেনাবেচা করতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে।
কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ। গত ১ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মৌয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিডিএমএস) তথ্য বলছে, ২০২০ সালে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগ করেন ৩৬৭ জন পুরুষ ও ৩৫৮ জন নারী। ই-মেইল আইডি হ্যাকের অভিযোগ করেন ৩৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। ফেক আইডি খোলার অভিযোগ করেন ১৬৩ জন পুরুষ ও ২৩১ জন নারী। সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অভিযোগ করেন ৩১০ জন পুরুষ ও ১০২ জন নারী। অন্যান্য ‘হ্যারেজমেন্টের’ অভিযোগ করেন ২৪৭ জন পুরুষ ও ১৯৩ জন নারী।
ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের তথ্য বলছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২০১৯ সালে ৮৭১টি, ২০২০ সালে ১৩৩৬ ও ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে ৬০৫টি মামলা হয়। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৯ সালে ৫৬৩, ২০২০ সালে ৬৮৩ ও ২১ সালের ছয় মাসে ৪৪২ মামলা হয়। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের শিকার ৮২৭ জন ভিকটিমকে সেবা দেয়া হয়। এ সময়ে অনলাইনে সাহায্য করা হয় ৮ হাজার ৭৭০ জনকে।
আরও পড়ুন:নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
বেগম খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণে সব অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তাদের মামলার দায় থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বাসসকে খালাসের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এ মামলা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।
অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলার বিচার চলাকালীন ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন:খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে বুধবার তারুণ্যের উৎসবে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপাতত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। আগে তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের মতো দলকে নির্মূল করা উচিত।
এর আগে মঙ্গলবার ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। তাদের অধিকাংশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা জেলা শাখার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার ২০২৪ সালে বাংলাদেশে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাববিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীনের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উন্মোচন করা হয়।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট পরিচালিত এ গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে উবার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সমমূল্যের অবদান রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে উবার মটো ও অটো সার্ভিস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৯২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অবদান রেখেছে। শহরের ব্যস্ত জীবনে সহজ ও সাশ্রয়ী মূল্যের পরিবহন হিসেবে এ সার্ভিসগুলো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। উবার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় সাশ্রয় করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ যাত্রী অফিসে যাতায়াতের জন্য উবার ব্যবহার করেছেন। এতে প্রতি বছর আনুমানিক ১১ লাখ কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হয়েছে, যা ৯৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী উবারের অর্থনৈতিক অবদানের প্রধান দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
উপার্জনের সুযোগ: উবার চালকরা তাদের অন্যান্য বিকল্প কর্মসংস্থানের তুলনায় ৪২% বেশি আয় করছেন।
স্থানীয় পর্যটনে ভূমিকা: ২০২৩ সালে উবার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে অতিরিক্ত ২৯০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে ও ২০২৪ সালে ২১ লাখ ৪০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
ভোক্তা উপযোগিতা: ২০২৪ সালে উবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীরা মোট ৬৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ভোক্তা উপযোগিতা লাভ করেছে।
কাজের সুযোগ: ৫০ শতাংশ চালক মনে করেন, উবার প্ল্যাটফর্ম না থাকলে তাদের জন্য কাজের সুযোগ কমে যেত।
প্রথম আয়: ৭৬ শতাংশ চালক বলেছেন যে, উবার তাদের প্রথম আয়ের প্ল্যাটফর্ম।
সহজে যাতায়াত: ৮১ শতাংশ যাত্রী একমত হয়েছেন উবারের মাধ্যমে রাইড বুক করা রাস্তা থেকে গাড়ি নেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ।
পরিবহন প্রযুক্তির উদ্ভাবন: ৮৬ শতাংশ যাত্রী উবার অ্যাপকে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবহন উদ্ভাবন হিসেবে মনে করেন।
নারীদের নিরাপত্তা: ৯৫ শতাংশ নারী যাত্রী বলেছেন, নিরাপত্তাই তাদের উবার ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ। ৮৯ শতাংশ যাত্রী উবারকে রাতে বাড়ি ফেরার সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম বলে মনে করেন।
সহজ চলাচল: ৮৭ শতাংশ যাত্রী উবারের কারণে শহরে যাতায়াত সহজ হয়েছে বলে মনে করেন। ৭৮ শতাংশ যাত্রী বলেছেন, উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস না থাকলে রাতে নিরাপদ যাতায়াত কঠিন হতো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রেক্ষাপটে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করা ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উবারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
‘রাইডশেয়ারিং শিল্প, যার মধ্যে উবারও অন্তর্ভুক্ত, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে পরিবহন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।’
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, ‘২০২৪ অর্থনৈতিক প্রভাব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে উবার দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে বদলে দিচ্ছে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আমরা আমাদের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে গর্বিত ও ভবিষ্যতে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে পাবলিক ফার্স্ট-এর টেক, মিডিয়া ও টেলিকম প্রধান এমি প্রাইস প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্যানেল সদস্যরা ছিলেন বিআরটিএর পরিচালক সীতাংশু শেখর বিশ্বাস, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং পার্টনার শামস জামান ও উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল। সেখানে তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:যুবসমাজের জন্য সার্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি), যাতে দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ অংশগ্রহণ করতে পারেন।
ওসমানী মিলনায়তনে মঙ্গলবার ডিসি সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশনে তারা এ প্রস্তাব দেন।
অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘সিভিল মিলিটারি কোঅপারেশন কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকরা প্রশ্ন করেছিলেন। সিভিল প্রশাসনের অফিসাররা যে অরিয়েন্টেশন করেন, ডিভিশন পর্যায়ে এই অরিয়েন্টেশনগুলা করা সম্ভব কি না, যাতে সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি কীভাবে করা যায়।’
‘আর একটা প্রশ্ন ছিল, আমাদের যুব সমাজের জন্য একটি ইউনিভার্সেল মিলিটারি (সর্বজনীন সামরিক) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় কি না, যেখানে যুবসমাজের যারা আছেন, তারা মিলিটারি ট্রেনিং পেতে পারেন এবং দেশের প্রতিরক্ষায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘তারা নিজ নিজ কয়েকটি জেলায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে চান সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। রিমোট জায়গায় বা চরাঞ্চলে যেখানে হয়তো বেশি পরিমাণ ফোর্স দরকার বা লজিস্টিক নিয়ে যেতে হবে এই ধরনের এলাকায় তারা অভিযান পরিচালনা করতে চান। সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নেভির কাছে প্রশ্ন ছিল কীভাবে জাটকাবিরোধী অভিযানের বা আমাদের নদীতে যে সম্পদ আছে, সেই সম্পদ রক্ষায় তারা আরও কীভাবে ওতপ্রোতভাবে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারেন।
‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।’
আবদুল হাফিজ বলেন, ‘দুই-একটি জেলায় অস্ত্র এবং গোলাবারুদ নষ্ট হয়ে গেছে। সেগুলো কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সে বিষয়ে প্রশ্ন ছিল। এ ধরনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তারা উত্থাপন করেছিলেন।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, ‘আমি উল্লেখ করেছি, স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় একত্রিত হচ্ছে এবং কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে একটা অরাজকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে সোমবার রাতে চাপাতি দিয়ে দম্পতির ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফুটপাতের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ওই ঘটনায় জড়িত মোবারক (২৪) ও রবিকে (২১) গ্রেপ্তার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।
ওসি জানান, অভিযুক্তদের বহনকারী মোটরসাইকেল একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে গ্রেপ্তারকৃতরা ওই দম্পতির সঙ্গে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে চালক অজ্ঞাত এক সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে চাপাতি বের করে ওই দম্পতির ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও জানান, হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ধরে ফেলে এবং মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চাপাতি হাতে হামলাকারী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ তাকে একটি চক্রের সদস্য হিসেবে শনাক্ত করে।
আহত দুজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন:কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মঙ্গলবার সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কে কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া এলাকায় সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী আকবর (১৩) মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। সে মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. ফারুকের ছেলে। অন্যদিকে নিহত জুনায়েদ (১২) একই এলাকার ফেরদৌসের ছেলে। সে মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্য, বিদ্যালয়ের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য তারা একটি মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিল। মধ্যপাড়া সড়কে একটি বাস তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আলী আকবর নিহত ও জুনায়েদ আহত হয়। জুনায়েদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সড়ক অবরোধ ও ভাঙচুর
ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ঘটনার পর থেকে দীর্ঘক্ষণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ইউএনওসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আরও পড়ুন:জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ মত তুলে ধরেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘সারা দেশে জনপ্রতিনিধি না থাকায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্তি পেতে তারাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান।’
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কারভাবে বলেছি, জাতীয় নির্বাচন আগে হতে হবে, তারপর স্থানীয় সরকার নির্বাচন।’
অন্যদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জনগণের দাবি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, তারাও এ মতের পক্ষে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি যাচ্ছে। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় জনপ্রতিনিধিরা নেই। তাদের দায়িত্বগুলো বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকরা পালন করছেন।
‘সেই জায়গা থেকে তাদের যে সমস্যাগুলো তৈরি হচ্ছে, আজকের ডিসি সম্মেলনে আমরা সেগুলো শুনেছি এবং এগুলো অ্যাড্রেস করেছি।’
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভাগীয় কমিশনারদের প্রত্যেকেই মূল দায়িত্বের বাইরে কিছু না কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। জেলা প্রশাসকদের অতিরিক্ত সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সমস্যাটা হলো একজন অফিসার যখন নিজ দায়িত্বের বাইরে আরও দুই-তিনটা দায়িত্ব পালন করেন, তার পক্ষে কোনোটাই যথাযথভাবে পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না, যে কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই স্থানীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বে নিয়ে আসা উচিত।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সর্বশেষ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়েও স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনও চলমান আছে। চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনও সরকার নেয়নি।
‘আশা করছি খুব দ্রুতই কোনো একটা সিদ্ধান্ত আসবে। হয় আমরা দ্রুতই জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করব, অন্যথায় প্রশাসক নিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য