× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
Perimani piyasadera arms sextorson
google_news print-icon

পরীমনি-পিয়াসাদের বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ

পরীমনি-পিয়াসাদের--বিরুদ্ধে-যৌন-চাঁদাবাজির-অভিযোগ-
প্রতীকী ছবি
পুলিশ কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, সেক্সটরশনের মাধ্যমে একজনের আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে টাকা বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করা হয়। টাকা দিতে রাজি না হলে সেই ছবি ইন্টারনেট বা অন্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই সেক্সটরশনের শিকার হলেও সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নারী অভিনয়শিল্পীদের কাছে অনেক ভিআইপি পুরুষের এই চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

নায়িকা পরীমনি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ এবং মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গ্রেপ্তার হওয়ার পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে পর্নোগ্রাফি। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল ডিভাইসে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির নাম ও ছবি পাওয়া গেছে। তাদের অনেকেই এসব মডেল ও অভিনেত্রীর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন। বিষয়টিকে সেক্সটরশন বা যৌন চাঁদাবাজি বলছেন সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা।

নিউজবাংলাকে তারা জানিয়েছেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এখন সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পর্নোগ্রাফি-সংক্রান্ত অপরাধ। বাড়ছে সেক্সটরশনের মতো হয়রানি। প্রায় প্রতিদিনই এ ধরনের অভিযোগ জমা পড়ছে।

পুলিশের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালে দেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। সেক্সটরশনের শিকারদের বেশির ভাগই নারী। তাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৫ বছর। ২০২০ সালে এই নারীদের মধ্যে ১০১ জন সেক্সটরশনের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। পুরুষদের মধ্যে এ অভিযোগ করেছেন ৪৩ জন।

সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করা পুলিশ কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানান, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ ধরনের অভিযোগ আরও বেড়েছে। নারীদের পাশাপাশি অনেক পুরুষও সেক্সটরশনের শিকার হচ্ছেন। তবে মানসম্মানের ভয়ে অধিকাংশই মামলা না করে প্রতিকার চাইছেন।

তারা জানান, সেক্সটরশনের মাধ্যমে একজনের আপত্তিকর ছবি দেখিয়ে টাকা বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করা হয়। টাকা দিতে রাজি না হলে সেই ছবি ইন্টারনেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বাংলাদেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরাই সেক্সটরশনের শিকার হলেও সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নারী অভিনয়শিল্পীদের কাছে অনেক ভিআইপি পুরুষের এই চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, পরীমনি, পিয়াসা ও মৌকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেক্সটরশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মোবাইল ও ডিজিটাল ডিভাইসে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ব্যক্তির নাম ও ছবি মিলেছে। তাদের অনেককেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছেন তারা। সম্মানহানির আশঙ্কায় হয়রানির শিকার এসব পুরুষ নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে চান না।

পরীমনি-পিয়াসাদের  বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
গ্রেপ্তারের পর পরীমনিকে মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

কর্মকর্তারা বলছেন, সেক্সটরশনের মতো অভিযোগের ক্ষেত্রে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তদন্ত ও বিচার করার সুযোগ রয়েছে।

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২-এ বলা আছে, ‘কোনো ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোনো ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি-মর্যাদাহানি করিলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোনো সুবিধা আদায় বা কোনো ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোনো পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

আইনে ‘পর্নোগ্রাফি’ বলতে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য, যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থিরচিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোনো উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যেগুলোর কোনো শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই, সেসব কন্টেন্টকে বোঝানো হয়েছে। যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেটও পর্নোগ্রাফির আওতায় পড়ে।

পরীমনি-পিয়াসাদের  বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
প্রযোজক-পরিচালক নজরুল ইসলাম রাজের সঙ্গে পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

অভিযোগ আছে, যৌন হয়রানি-সম্পর্কিত অনেক অপরাধ ইন্টারনেট-সম্পর্কিত হওয়ার পরও সেগুলো ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে ফেলা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপকমিশনার (ডিসি) আ ফ ম আল কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংঘটিত অপরাধের ইনগ্রেডিয়েন্ট বিশ্লেষণ করেই নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত করা হয়। কোনো কোনো অভিযোগের বেলায় ডিজিটাল সিকিউরিটি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ- দুই আইনের ধারায়ই অভিযোগপত্র দেয়া হয়।

‘কাজেই ইন্টারনেট-সম্পর্কিত হলেই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে মামলা করতে হবে- এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বরং ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত সেক্সটরশনের মতো অপরাধসমূহ অ্যাড্রেস করার জন্য পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের নির্দিষ্ট ধারায় সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে।’

পরীমনি-পিয়াসাদের  বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
তিনটি মামলায় রিমান্ডে আছেন কথিত মডেল পিয়াসা। ছবি: নিউজবাংলা

সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে সাইবার জগতে সবচেয়ে বেশি হচ্ছে পর্নোগ্রাফি ও সাইবার বুলিং-সংক্রান্ত অপরাধ। বাড়ছে সেক্সটরশনের মতো ঘটনা।’

এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘করোনায় বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দি। এই সময়ে সাইবার স্পেসে নারীঘটিত মানহানি, রাজনৈতিক মানহানি ও ব্যক্তিগত আক্রমণ বাড়ছে। প্রাইভেট মেসেঞ্জার বা এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও শেয়ার করার প্রবণতা বেড়েছে। আর এসব কনটেন্ট যখন কোনো অসাধু ব্যক্তির দখলে চলে যায়, তখনই ঘটে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনা। এভাবে করোনাকালে ব্ল্যাকমেইলের সংখ্যাও বাড়ছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ জানান, করোনা পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে কিছু অপরাধী নিয়মিত অন্যের রূপ ধারণ করে সাইবার স্পেসে মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিচ্ছে। এমনকি অনলাইনে কেনাবেচা করতে গিয়েও প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকে।

পরীমনি-পিয়াসাদের  বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ

কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ। গত ১ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মৌয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিডিএমএস) তথ্য বলছে, ২০২০ সালে সারা দেশের বিভিন্ন থানায় সাইবার ক্রাইম-সংক্রান্ত ২ হাজার ১৯২টি মামলা হয়। এর মধ্যে ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগ করেন ৩৬৭ জন পুরুষ ও ৩৫৮ জন নারী। ই-মেইল আইডি হ্যাকের অভিযোগ করেন ৩৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। ফেক আইডি খোলার অভিযোগ করেন ১৬৩ জন পুরুষ ও ২৩১ জন নারী। সেক্সটরশনের অভিযোগ করেন ৫৫ জন পুরুষ ও ১১৮ জন নারী। মোবাইল ব্যাংকিং-সংক্রান্ত অভিযোগ করেন ৩১০ জন পুরুষ ও ১০২ জন নারী। অন্যান্য ‘হ্যারেজমেন্টের’ অভিযোগ করেন ২৪৭ জন পুরুষ ও ১৯৩ জন নারী।

ডিএমপির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের তথ্য বলছে, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২০১৯ সালে ৮৭১টি, ২০২০ সালে ১৩৩৬ ও ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে ৬০৫টি মামলা হয়। পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ২০১৯ সালে ৫৬৩, ২০২০ সালে ৬৮৩ ও ২১ সালের ছয় মাসে ৪৪২ মামলা হয়। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে সাইবার অপরাধীদের শিকার ৮২৭ জন ভিকটিমকে সেবা দেয়া হয়। এ সময়ে অনলাইনে সাহায্য করা হয় ৮ হাজার ৭৭০ জনকে।

আরও পড়ুন:
পিয়াসা-পরীমনির ‘ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার’ কারা?
পরীমনি-পিয়াসাদের বাসায় সিআইডি
শিল্পী সমিতিতে ‘নেই’ পরীমনি
মামলা তদন্তের সময় পরীমনি-সাকলায়েন ‘প্রেম’
৩ দিনের রিমান্ডে জিমি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
BSF has returned 5 people to the Kazipur border

কাজিপুর সিমান্তে দিয়ে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

কাজিপুর সিমান্তে দিয়ে ১৮ জনকে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ

পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সিমান্তরক্ষী বাহিনীর যৌথ সম্মতিতে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে কারাভোগ শেষে ১৮ জন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর সিমান্তের ১৪৭ নম্বর আন্তর্জাতিক মেইন পিলার কাছে বিজিবি সদস্যদের হাতে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সকলেই বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা।

কুষ্টিয়া বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিন কাজিপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার শাহাব উদ্দিন জানান, দেশের বিভিন্ন সিমান্ত দিয়ে বাংলাদশি নাগরিকরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ভারতীয় সিমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে।

পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে দেওয়া সাজা ভোগ শেষে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ সদস্যরা বিজিবিকে হস্তান্তর করে।

ফেরত আসা ১৮ জনের তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে গাংনী থানায় সৌপর্দ করা হবে।

ভারতের গান্দিনা বিএসএফ ১১ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের এসি সুনিল কুমার যাদবসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

ভারত থেকে কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসারা হলো, পটুয়াাখালী জেলার মেহেদী, চুয়াডাঙ্গার নুরজাহান, নড়াইলের ফরিদ শেখ, ঝিনাইদহের জিসান মণ্ডল, সাইদুল ইসলাম, চাঁদপুরের খোকন বেপারী, সাতক্ষীরার মাজেদা ঢালী, শামিম হোসেন, মিঠুন ঘোষ, খালিদা সরদার, মিলন কুমার, রাজশাহীর আব্দুল কুদ্দুস, যশোরের আহমেদ আলী, মৌলভীবাজারের লিটন দেব, চট্টগ্রামের শুভ মজুমদার, ঢাকার স্বাধীন রাজবংশী, মাদারিপুরের মহিউদ্দিন ফকির, নাসিমা শেখ কুষ্টিয়া।

মন্তব্য

বিশেষ
Jhenaidah Ropa Aman Majra Poker is a peasant farmer

ঝিনাইদহে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

ঝিনাইদহে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

ঝিনাইদহে রোপা আমন মৌসুমের শুরুতেই ধানের জমিতে দেখা দিয়েছে মাজরা পোকার আক্রমণ। সদ্য রোপণ করা চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। নানা কীটনাশক ব্যবহার করেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না এ পোকা। এতে উৎপাদন খরচ যেমন বেড়ে যাচ্ছে, তেমনি ফলন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কৃষকদের আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে তারা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়বেন।

জানা গেছে, জেলার শৈলকুপা, সদর, কালীগঞ্জ, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরসহ সব উপজেলাতেই একই পরিস্থিতি। ধান গাছের গোড়ায় আক্রমণ করছে মাজরা পোকা। এতে অনেক গাছ শুকিয়ে সাদা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ধানের স্বাভাবিক বৃদ্ধি। কৃষকরা বলছেন, বারবার কীটনাশক স্প্রে করেও কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় ১ লাখ ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন। তবে মৌসুমের শুরুতেই পোকার এমন আক্রমণ কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কৃষির প্রধান ভরসা হচ্ছে আমন ধান। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই যদি পোকা আক্রমণ করে, তাহলে আমরা কীভাবে বাঁচব? সরকারি দিকনির্দেশনা আর সহযোগিতা ছাড়া আমাদের সামনে অন্ধকার ছাড়া কিছু নেই।’

শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘এখনো আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কৃষকরা যদি আমাদের নির্দেশনা মেনে চলেন, তাহলে পোকার আক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আমরা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’

মন্তব্য

বিশেষ
Indian drugs seized Tk

শ্যামনগরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় ওষুধ জব্দ

শ্যামনগরে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ভারতীয় ওষুধ জব্দ

শ্যামনগরে অবৈধভাবে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে আসা ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট কার্ড কৈখালী। কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুনতাসীর ইবনে মহসিন বলেন, একটি অসাধু চক্র ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ বাংলাদেশে নিয়ে আসবে এমন প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার দুপুরে কোস্ট গার্ড স্টেশন কৈখালী কর্তৃক সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানাধীন মীরগ্যাং ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযানে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে আসা প্রায় ১ কোটি ২০ লাক টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় ওষুধ জব্দ করা হয়।

মন্তব্য

বিশেষ
The body of the engineer recovered from a residential hotel in Chuadanga

চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় আবাসিক হোটেল থেকে প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে মামুনুর রহমান মাসুম (৩৫) নামে এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মামুনের কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। নিহত মামুনুর রহমান মাসুম চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কেদারগঞ্জ সবুজপাড়ার মুজিবর রহমানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। অতিরিক্ত নেশা করার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, মামুনুর রহমান পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করতেন। গত বৃহস্পতিবার মামুন তিন বন্ধুর সঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় ঘুরতে এসে আবাসিক হোটেলে ওঠেন। তারা তিনজনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরে মামুনের দুই বন্ধু চলে গেলেও তিনি হোটেলেই থেকে যান।

হোটেলের ম্যানেজার সাগর আলী জানান, সকালে হোটেলে এসে মামুনের মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে দেখেন স্বজনরা। তখন জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দেন তারা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি খালেদুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিষয়টি সিআইডি ও পিআইবির টিম তদন্ত করবে।

মন্তব্য

বিশেষ
BSC aim to buy 22 ships in five years

পাঁচ বছরে ২২টি জাহাজ কেনার লক্ষ্য বিএসসির

মার্কিন দুই জাহাজ কেনার চুক্তি আজ 
পাঁচ বছরে ২২টি জাহাজ কেনার লক্ষ্য বিএসসির

চীনে উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুটি জাহাজ কিনছে সরকার। আজ রোববার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) সঙ্গে জাহাজ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির চুক্তি স্বাক্ষর হবে। দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হচ্ছে। গত ১৭ আগস্ট দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ ক্রয় সম্পর্কিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশ অনুমোদন করে। গত ৩ জুন এক হাজার ১৬২ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় জাহাজ কেনার উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন হয়। পরদিন অর্থাৎ ৪ জুন আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে বিএসসি। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরেই বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে।

চাইলে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, আগামী ৫ বছরে আমাদের মোট ২২টি জাহাজ সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। দুটি জাহাজ সংগ্রহের মধ্যদিয়ে এই কাজে গতি বাড়ছে। এরই মধ্যে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে। নতুন দুই জাহাজ বিএসসিতে যুক্ত হলে বছরে ১৫০ কোটি টাকা ফরেন কারেন্সি (বৈদেশিক মুদ্রা) আয় বাড়বে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা দক্ষ শিপিং সেবা দিতে পারব। একই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব গ্রিন শিপিংয়ের সম্মান অর্জন করবে।

বিএসসি সূত্র বলছে, প্রস্তাবে আসা জাহাজগুলোর বিভিন্ন কারিগরি বিষয়াদি যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মূল্যায়ন কমিটি সরেজমিনে জাহাজের নির্মাণ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। জাহাজের স্পেসিফিকেশন প্রস্তুত এবং জাহাজের কারিগরি মূল্যায়নে বিশেষজ্ঞ সেবা গ্রহণ করা হয়। তারপর কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন পরবর্তীতে হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারসের প্রস্তাবিত দুটি জাহাজের মোট দাম ৭৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি দাপ্তরিক প্রাক্কলিত মূল্য ৮০.৪০ মিলিয়নের চেয়ে ৪.৬০ শতাংশ কম।

বিএসসির বহরে যুক্ত হতে যাওয়া জাহাজগুলোতে- জ্বালানি খরচ হ্রাস ও পরিচালন দক্ষতা বেশি; বাতাসের বাধা কমিয়ে গতি ও জ্বালানি সাশ্রয় নিশ্চিত করে; হাইড্রোডাইনামিক ড্র্যাগ কমিয়ে জাহাজের গতি বৃদ্ধি ও জ্বালানি সাশ্রয় করে; প্রধান ইঞ্জিন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, যা পরিবেশ দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়; নকশা ও প্রযুক্তিগত সমাধানগুলো জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশগত মানদণ্ডসম্মত এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থার নির্ধারিত সর্বশেষ পরিবেশগত মানদণ্ড পূরণ করে। জাহাজে উচ্চমানের ইউরোপীয় ও জাপানি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। জার্মান লাইসেন্সে জাহাজগুলো চীনে উৎপাদন করা হয়েছে। স্পেনের পাম্প ও নরওয়ের কম্প্রেসার ব্যবহার করা হয়েছে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর আগামী অক্টোবরে প্রথম জাহাজ এবং আগামী ডিসেম্বরে দ্বিতীয় জাহাজ বিএসসিকে হস্তান্তর করা হবে। আধুনিক কারিগরি বৈশিষ্ট্য ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এই দুটি জাহাজ বহরে যুক্ত হলে বিএসসির নিজস্ব পরিবহন সক্ষমতা প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ডিডব্লিউটি বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন হবে।

৫৩ বছর আগে যাত্রা করা বিএসসির বহরে শুরুর দিকে মাত্র দুটি জাহাজ ছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে ৪৪টি যুক্ত হয়। তবে আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে যাওয়ায় নব্বইয়ের দশকের শেষে ৩৬টিকেই পাঠানো হয় অবসরে। কমতে কমতে জাহাজের সংখ্যা আবারও দুটিতে নেমে আসে। ২০১৮ সালে চীনের কাছ থেকে কেনা ছয়টি যুক্ত হলে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়ায় আটটিতে।

তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘এমটি বাংলার জ্যোতি’ ও ‘এমটি বাংলার সৌরভ’। পরে এ দুটি জাহাজ স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা কমে পাঁচটিতে নেমে এসেছে, যা সংস্থাটির নতুন জাহাজ সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা আরও বাড়িয়ে তুলে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বিএসসির জন্য আরেও তিনটি জাহাজ কেনার বিষয় প্রক্রিয়াধীন। সব মিলিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে বিএসসির জন্য পাঁচটি জাহাজ কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আরও ছয়টি জাহাজ কেনার বিষয়েও প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে বিএসসির পর্ষদ।

মন্তব্য

বিশেষ
The people have to be on the side of the people Tareq Rahman

জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে: তারেক রহমান

জনগণের পাশে থাকতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দেশ ও জনগণ আমাদের কাছে বড়। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের পাশে থাকতে হবে এবং জনগণকে পাশে রাখতে হবে।

শনিবার বিকালে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করে স্বৈরাচারকে সরিয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে আনা। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণের রায়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। স্বৈরাচার পতনের পর আমরা যে ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছি, তাতে দেশের শিশু, যুবক, নারীসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের অধিকারের কথা রয়েছে। এই ৩১ দফা দিয়ে নেতাকর্মীদেরকে মানুষের কাছে যেতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কেউ যেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল এবং জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা কোনো ব্যক্তির কর্মী নই, আমরা ধানের শীষের কর্মী, জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্মী।

দলের নীতিনির্ধারণী মহল যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে তা মেনে চলা এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অপপ্রচার করা হচ্ছে একটি বিশেষ মহল থেকে। বলা হচ্ছে, বিএনপি ইসলাম ধর্ম বিশ্বাস করেনা। অথচ বিএনপি সংবিধানে বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছে। যারা এই অপপ্রচার করছে তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে এদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। তারাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির ৩১ দফার মধ্যেই সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশ উন্নত, আদর্শ, সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক দেশে পরিণত হবে।

সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, দেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। একটি ভারতের আধিপত্যবাদের পক্ষে, অন্যটি আধিপত্যবাদের বিপক্ষে। বিএনপির জন্মই হয়েছে সকল আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিএনপি ডানপন্থী নয়, বামপন্থীও নয়, বিএনপি মধ্যপন্থী। বিএনপি সকল মানুষের অধিকারের পক্ষে।

প্রধান বক্তা বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল বলেন, জামায়াতে ইসলামী বেহেশতের টিকিট বিক্রি শুরু করছে। এরা ধর্মের নামে ব্যবসা করছে, মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এরা একাত্তরে পাকবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধদের হত্যা করেছে। তাদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

দুপুরে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়ামে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান মিল্লাত, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি লায়লা বেগম, রেজাউল করিম খান চুন্নু, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, রুহুল হোসাইন, এডভোকেট জালাল মো. গাউস, এডভোকেট শরীফুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন মধু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, আমিনুল ইসলাম আশফাক প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

সম্মেলনে ২১ টি ইউনিটের কাউন্সিলর ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
The Grand Opening of Tripology began in Dhaka

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।

উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”

ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।

ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।

মন্তব্য

p
উপরে