মোংলার রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম ওরফে শাফী। বেশি উপার্জনের আশায় নিজের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে বিতর্কিত বিভিন্ন ভিডিও আপ করে ‘হইচই’ ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ৩৫ বছর বয়সী এই যুবক ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য মনগড়া ও উসকানিমূলক বিভিন্ন ভিডিও আপ করার কথা আদালতেও স্বীকার করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার ইউটিউব চ্যানেলে ‘শান্তির আহ্বান’-এর সাবস্ক্রাইবার ৩ লাখ ২ হাজার। একই নামে ফেসবুক পেজে ফলোয়ার সংখ্যাও কাছাকাছি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মোংলা বন্দরের শ্রমিক ফজলুল হকের ছেলে শাফীর সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত আলিয়া মাদ্রাসায় যাতায়াত ছিল। আর্থিক সংকটে মাদ্রাসা ছেড়ে রিকশা চালানো শুরু করেন তিনি; ভ্যান-টমটম চালানোও বাদ দেননি। একটা পর্যায়ে বেশি উপার্জনের জন্য মোংলা থেকে চলে যান চট্টগ্রাম শহরে। সেখানে কিছুদিন রিকশা চালানোর পর চাকরি নেন একটি পোশাক কারখানায়।
পরে রাজধানী ঢাকায় এসেও পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাতেও সুবিধা করতে না পেরে বেশি উপার্জনের আশায় ইউটিউবার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কেনেন পুরোনো একটি স্মার্টফোন। সেটি দিয়ে কিছুদিন কৌতুক ও হাস্যরসাত্মক ভিডিও আপ করেন। সেগুলোর আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে শুরু করেন। ‘ইমাম মাহদীর আগমনের আলামত’ শিরোনামে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরপরই তিনি ইউটিউবারের পরিচিতি পান।
এরপর আরও বেশি উপার্জনের লোভে কোরআন-হাদিস নিয়ে অপব্যাখ্যা দিয়ে একের পর এক ভিডিও আপ করতে থাকেন। এভাবে বিভিন্ন বিতর্কিত ভিডিও আপ করে মাসে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় করতেন শাফী।
সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়েও আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেন তিনি। এ অভিযোগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ডিএমপির সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের উপকমিশনার (ডিসি) আ ফ ম আল কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভিউ বাড়াতে সরকার ও ধর্ম নিয়ে মিথ্যা, মনগড়া ভিডিও বানিয়ে আপলোড করার অভিযোগে শাফীকে ২৮ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।’
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের কর্মকর্তারা জানান, শাফীর কাছ থেকে উদ্ধারকৃত শত শত ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, এই রিকশাচালক গুগল থেকে কনটেন্ট সংগ্রহ করতেন। পরে সেগুলোতে ভয়েস দিয়ে বিতর্কিত ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপ করতেন। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিতর্কিত নানা ইস্যুকে পুঁজি করতেন তিনি। এভাবে ‘বিকৃত ভিডিও’ বানিয়ে ভিউয়ার ও সাবস্ক্রাইবার বাড়ানোর চেষ্টা করতেন।
কর্মকর্তারা আরও জানান, সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে তার ‘শান্তির আহ্বান’ নামে ফেসবুক পেজের সন্ধান পাওয়া যায়। এই পেজ থেকে বিভিন্ন হাদিস অস্বীকার করা হতো। হাদিসের অপব্যাখ্যা করে ভিডিও শেয়ার করা হতো। ‘শান্তির আহ্বান’ নামেরই ইউটিউব চ্যানেল থেকেও একই ধরনের কনটেন্ট আপ করা হতো।
শাফী জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের অংশবিশেষ নিয়ে জোড়াতালি দিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে তার ইউটিউব চ্যানেলে দিতেন। চ্যানেলটি ব্রাউজ করে আরও দেখা গেছে, আলোচিত প্রায় সব ঘটনা নিয়েই ভিডিও বানাতেন তিনি। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে মনগড়া বিভিন্ন বক্তব্যের সঙ্গে ছবি যুক্ত করতেন শাফী।
এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্ম, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালান তিনি। প্রযুক্তির সহায়তায় তার ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল শনাক্ত করা হয়। সিটিটিসির সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপের নেতৃত্বে ২৮ জুলাই ঝালকাঠি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তার মোবাইল ফোনে ‘শান্তির আহ্বান’ নামের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ লগইন অবস্থায় পাওয়া যায়। ইউটিউব চ্যানেলটিতে এ ধরনের পাঁচ শতাধিক ভিডিও পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। সেই মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিমান্ডে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য মনগড়া ও উসকানিমূলক ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও প্রচারের কথা স্বীকার করেছেন শাফী।
সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ নিউজবাংলাকে জানান, রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে প্রায় সব অভিযোগই স্বীকার করেছেন তিনি। মোংলায় রিকশা চালিয়ে তেমন আয় না হওয়ায় ২০০১ সালের দিকে চট্টগ্রামের কলসি দিঘিরপাড় এলাকায় চলে যান শাফী। সেখানে কিছুদিন রিকশা চালানোর পর একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেখানে একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সম্পর্কের অবনতি হলে ২০১১ সালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় চলে যান। সেখানকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেখানেও আরেক মেয়ের সঙ্গে তার প্রেম হয়। ২০১২ সালের মে মাসে তারা বিয়ে করেন। কিছুদিন পর শাফীর বাবা ঢাকায় তার বাসায় আসেন। কিছুদিন থাকার পর তিনি মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের শেষ দিকে স্ত্রীসহ মোংলায় মায়ের কাছে চলে যান শাফী।
সেখানে গিয়ে রিকশা, ভ্যান ও টমটম যখন যেটা সুবিধাজনক মনে হতো সেটাই চালাতেন। ২০১৪ সালের মে মাসে তিনি বাবা হন। উপার্জন কম হওয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টানাটানিতে পড়েন। এ অবস্থায় চলতে থাকলে ২০১৮ সালের দিকে একটি পুরোনো স্মার্টফোন কেনেন। ফেসবকু, ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো ব্যবহার শুরু করেন। কিছুদিন পর জানতে পারেন, ইউটিউবে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়। সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখা শুরু করেন।
পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, শাফী ভ্যান-রিকশা চালানোর পাশাপাশি অবসর সময়ে ইউটিউবের ভিডিওতে দেখানো টিউটরিয়াল অনুসরণ করতে থাকেন। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু সেসব চ্যানেলে আপ করা ভিডিওগুলোর পর্যাপ্ত ভিউ হচ্ছিল না। সেসব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারও কম থাকায় অর্থ পাচ্ছিলেন না। তখন তিনি হাস্যরসাত্মক ছোট ছোট ভিডিও তৈরি করে সেগুলো ওই সব চ্যানেলে আপ করতে থাকেন। কিন্তু সেগুলোও ভাইরাল না হওয়ায় অর্থ পেতেন না। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল ‘শান্তির আহ্বান’ নামে আরও একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন।
এই চ্যানেলের জন্য গুগল ও ফেসবুক থেকে কিছু ইসলামিক আর্টিকেল সংগ্রহ করেন। সেগুলোর সঙ্গে নিজের মনগড়া বক্তব্য জুড়ে দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপ করতে থাকেন। একই বছরের সেপ্টেম্বরে আরেকটি ছেলে হয় তাদের; বেড়ে যায় সংসারের খরচও। তখন ইউটিউব থেকে উপার্জনের জন্য আরও মনোযোগী হন। এর মধ্যে এক সন্তানের চিকিৎসার খরচ বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে ভিডিওর ভিউ বাড়াতে মনগড়া ও উসকানিমূলক আরও ভিডিও আপ করতে থাকেন।
একপর্যায়ে ‘ইমাম মাহদীর আগমের আলামত’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপ করেন, যেটি ভাইরাল হয়। এরপর গুগল ও ফেসবুক থেকে ‘ইমাম মাহদী’-সম্পর্কিত বিভিন্ন আর্টকেল নিয়ে নিজের মনগড়া বক্তব্য জুড়ে ভিডিও বানাতে থাকেন। এর আগে তিনি প্রায় এক বছর ইউটিউব থেকেই ভিডিও এডিটিং শেখেন। কীভাবে ভিডিও আপলোড ও থাম্বনেল করতে হয় তাও শিখে নেন।
পুলিশ কর্মকর্তা ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ জানান, ইউটিউব চ্যানেল খোলা থেকে শুরু করে ভিডিও এডিটিং, আপলোড, থাম্বনেল বানানো, অ্যাডসেন্সের সঙ্গে চ্যানেল যুক্ত করা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করে টাকা উত্তোলন পর্যন্ত সবকিছুই ইউটিউব থেকে শেখেন। তার দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার তিন-চার মাস পর ‘শান্তির আহ্বান’ চ্যানেল অর্থ উপার্জনের উপযুক্ত হয়। তবে ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় স্ত্রীকে দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের মোংলা শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন।
এই ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রথম উপার্জন হিসেবে প্রায় ৩৭ হাজার টাকা তোলেন তারা। এরপর প্রায় প্রতি মাসেই ৩০-৪০ হাজার টাকা করে তুলেছেন। এ পর্যায়ে ভ্যান ও রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে ইউটিউবের প্রতি আরও মনোযোগী হন শাফী। এর মধ্যে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে একটি ভিডিও আপ করেন। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়। তখন থেকেই তিনি ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বিতর্কিত ভিডিও তৈরি করতে থাকেন। তার আয়ও বাড়তে থাকে।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, সরকারি বিষয় ছাড়া অন্য কোনো নিয়ে কথা বললে তেমন ভিউ হয় না। এ জন্য শাফী ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েই সরকারবিরোধী ভিডিও বানিয়ে আপ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে একটি ভিডিও তৈরি করেন। যে ভিডিওতে তিনি মনগড়া নানা প্রশ্ন রেকর্ড করেন আর প্রধানমন্ত্রীর কথা কেটে কেটে জোড়া লাগান। একইভাবে কোরআনের একটি সুরারও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ভিডিও বানিয়ে আপ করেন।
আরও পড়ুন:নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব রুবেলকে কারণ দর্শোনোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত চিঠিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশার মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা প্রদান, মারপিট ও অপহরণের ঘটনা যা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয় এবং উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি সুমনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আপনার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যা দলীয় আচরণবিধি পরিপন্থির সামিল।
‘এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার জবাব আগামী ৩ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
ওই সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
শোকজের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় দলীয় তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাবের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন সোমবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন পাশা অনলাইনে আবেদনের পর জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে আসেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে আবারও বেধড়ক মারধর করে বাড়ির সামনে ফেলে যায়। সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের পরিবার লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করে আসছে। ইতোমধ্যে তাদের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সুমন নামের এক আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, লুৎফুল হাবীব রুবেলের পক্ষ নিয়েই সুমনসহ অন্য আসামিরা দেলোয়ার হোসেন পাশাকে অপহরণ ও মারধর করেছেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় রুবেলকে শোকজ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
লুৎফুল হাবীব রুবেল উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে তার। তিনি প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক।
আরও পড়ুন:জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন, যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ৪০ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে।
আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন, ৫০ বছর বয়সী সাজু হুদী, জামাত ফকির ও নুর বেগম, ৫৫ বছর বয়সী মানু প্রামানিক, ৬০ বছর বয়সী মোসলেম উদ্দিন, ৩৫ বছর বয়সী খোকন প্রামাণিক, জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক ও মো. মিঠুন এবং ৩০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনাও ঘটে। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তারা ফের সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই খাইরুল নিহত হন। আর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান স্থানীয়রা। তাদদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় টাকা না পেয়ে আব্দুল কাদের নামে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর পলাতক রয়েছে আরিফ হোসেন নামের ওই যুবক।
উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘টাকার জন্য প্রায়ই বাবাকে চাপ দিত ২০ বছর বয়সী আরিফ। সম্প্রতি বাবার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল কেনে সে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে আবারও ১০ হাজার টাকা চাইলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান আব্দুল কাদের। এতে আরিফ ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করার হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুল কাদের পাশে বড় ছেলের বাড়িতে যাওয়ার উদ্যোগ নিলে পেছন থেকে বাবার পেটে ও পিঠে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় আরিফ। এ সময় স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আরিফ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারি এলাকায় পৃথক ঘটনায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোর ৫টা ও বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভাটিয়ারী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে রেলওয়ে পুলিশ জানায়, এদিন ভোরে ভাটিয়ারি এলাকায় চট্টগ্রাম অভিমুখী তুর্ণা নিশিতা এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়ে মারা যান ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের বিপ্লব দাশ নামের ২৩ বছর বয়সী এক যুবক।
পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের নিচে কাটা পড়েন স্থানীয় ভাটিয়ারী বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির সিভিল স্টাফ ২৪ বছর বয়সী মো. আসিফ উদ্দিন।
দুটি ঘটনার পরই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ফৌজদারহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হওয়া বিপ্লব মানসিক সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।’
গাইবান্ধা জেলা কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগের পর প্রধান অভিযুক্ত কারাগারের প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামসহ দুই কারারক্ষীকে বদলি করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে তাদের বদলির বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বদলি করা হয় বলে জানান তিনি।
বদলি হওয়া অপর কারারক্ষীর নাম সাবানা খাতুন। তাদের মধ্যে প্রধান কারারক্ষী আশরাফুল ইসলামকে দিনাজপুর কারাগার এবং সাবানা খাতুনকে ঠাঁকুরগাও কারাগারে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের ভেতর আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলায় বিষয়টি জানাজানির ভয়ে নারী হাজতি সীমাকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন ভুক্তভোগীর মা করিমন নেছা।
লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে হাজতি সীমার উন্নত চিকিৎসা ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগও দেন করিমন নেছা।
ওই অভিযোগপত্রে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী (সুবেদার) আশরাফুল ইসলাম, নারী কারারক্ষী সাবানা খাতুন ও তহমিনা, কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা, সিআইডি আনিছ ও হাবিলদার মোস্তফাকে অভিযুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলা প্রশাসককে দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, হাজতি মোর্শেদা খাতুন সীমা একটি মামলায় (হাজতি নম্বর-৫০৮) প্রায় ৫ বছর ধরে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে বন্দি। কিছুদিন আগে কারাগারে কর্মরত সুবেদার আশরাফুল ইসলাম ও মহিলা কয়েদি (রাইটার) মেঘলা খাতুনের মধ্যে চলমান অবৈধ কার্যকলাপ দেখে ফেলেন সীমা।
বিষয়টি জানতে পেরে সুবেদার আশরাফুল ও মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন সীমার ওপর ক্ষিপ্ত হন। ঘটনা জানাজানির ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে তারা কারাগারের ভেতরে সীমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন।
একপর্যায়ে সুবেদার আশরাফুল ও তার সহযোগীরা হাজতি সীমার স্বামী খোকন মিয়াকে গাইবান্ধা কারাগারে ডেকে আনেন। তারা অভিযুক্তরা সীমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও আপত্তিকর তথ্য দিয়ে সীমার সংসার ভেঙে দেন।
এতসবের পর হাজতি সীমা এসব ঘটনা জানিয়ে জেল সুপারের কাছে বিচার দেবেন জানালে সুবেদার আশরাফুল তাকে ভয়-ভীতি ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে ২০ মার্চ দুপুরে সুবেদার আশরাফুলের নেতৃত্বে মহিলা কয়েদি মেঘলা খাতুন, রেহেনা ও আলেফা এবং কারারক্ষী তহমিনা ও সাবানা কারাগারের মহিলা ইউনিটের ভেতরের বারান্দায় লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। পরে সেলের ভেতরে নিয়ে সীমাকে হাতকড়া পরিয়ে রশি দিয়ে দুই পা বেঁধে আবারও মারধর করেন। উপরন্তু নির্যাতনের এসব ঘটনা বাইরে প্রকাশ করলে সীমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, করিমন নেছা একাধিকবার তার মেয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও সে সুযোগ দেয়া হয়নি। অবশেষে হাজিরার তারিখে আদালতে মেয়ের সাক্ষাৎ পান মা করিমন নেছা। সেদিন সীমা মায়ের কাছে নির্যাতনের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখান।
অভিযোগ পেয়ে গত ১৬ এপ্রিল ঘটনার তদন্তে জেলা কারাগারে যান গাইবান্ধা জেলা প্রশাসাকের কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিসি) মো. মশিউর রহমান।
সেদিন নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুত জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। এরপরই জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।’
শুক্রবার অভিযুক্তদের বদলির বিষয়ে জানতে চাইলে নিউজবাংলাকে তা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা কারাগারের জেল সুপার জাভেদ মেহেদী।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা হবে।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে সে দেশ থেকে বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১৩ সদস্য।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিব) সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এক বার্তায় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার নতুন করে আরও ১১ জন (জীম্বংখালী -৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি-৮ জন) বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে।
বিজিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশে ঢোকা বিজিপি সদস্যদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শেরপুরের নকলায় বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এক নারীর লাঠির আঘাতে প্রতিবেশি মোরাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর ওই নারী ও তার মেয়েকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার টালকী ইউনিয়নের পূর্বটালকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ৫৫ বছর বয়সী মোরাদ হোসেন নকলার পূর্বটালকী গ্রামের মৃত রহিম মাস্টারের ছেলে। চাকরির সুবাদে রাজধানী ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি।
নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, নকলার মোরাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে চাকরি করতেন। অনেকদিন থেকে তার প্রতিবেশি চাচাতো ভাই জালাল উদ্দিনের সঙ্গে বসতবাড়ির সীমানা নির্ধার্ণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার সকালে ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন মোরাদ। বাড়িতে প্রবেশ করার পর তার প্রতিবেশি চাচাত ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই নারী লাঠি দিয়ে মোরাদের মাথার পেছনে আঘাত করেন। এতে আহত হয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা মোরাদকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন।
ঘটনার পর জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশ।
নকলা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’
মন্তব্য