× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
The government will ask Evali for a sustainable business plan
google_news print-icon

ইভ্যালিকে সময় দিতে চায় সরকার

ইভ্যালিকে-সময়-দিতে-চায়-সরকার
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইভ্যালি যা চায় তার পরিকল্পনা প্রস্তাব এখনও মন্ত্রণালয়ে আসেনি। লিখিত প্রস্তাব পেলে প্রয়োজনে আমরা তাদের ডাকব। বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে জানব। তা যদি আইনসিদ্ধ হয় এবং এতে যদি ভোক্তার পাওনা পাই টু পাই পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে, তাহলে সরকার ভোক্তার স্বার্থে ইভ্যালির ব্যবসা সচল রেখে পাওনা পরিশোধের উদ্যোগে যাবে।’

বহুল আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালির কাছে বিপুলসংখ্যক গ্রাহক ও মার্চেন্টের পাওনা পরিশোধের পথ খুলতে যাচ্ছে। স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে ফিরতে প্রতিষ্ঠানটিকে কিছুটা সময় দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছে সরকার। সেই সঙ্গে ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের তথ্যও এসেছে সংবাদমাধ্যমে।

সম্প্রতি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ফেসবুক লাইভে এসে সংকট কাটাতে ছয় মাসের সময় চান। এ সময়ের মধ্যে সব গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। দেশের শীর্ষ আইনজীবীরাও ভোক্তা সুরক্ষার স্বার্থে ইতিবাচক মত দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলছে, আনুষ্ঠানিক লিখিত প্রস্তাব পেলে ডাকা হতে পারে রাসেলকে। চাওয়া হতে পারে টেকসই বিজনেস প্ল্যান। কঠোর মনিটরিংয়ে রেখে তাকে একটি সময়ও দেয়া হতে পারে।

ইভ্যালির কাছে বর্তমানে আটকে আছে গ্রাহকের অগ্রিম ও মার্চেন্টদের বকেয়া ৪০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে থাকা ৬৫ কোটি টাকা দিয়ে ১৬.২২ শতাংশ গ্রাহকের পাওনা পরিশাধ করা সম্ভব। বাকি পাওনা নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

এ পরিস্থিতিতে গত ২৪ জুলাই রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল। তিনি দাবি করেন, ঘাটতি থাকা ওই টাকা তারা ইভ্যালির ব্যবসার ব্র্যান্ডিংয়ে খরচ করেছেন। তাদের ব্যবসার ব্র্যান্ডিং পলিসি হচ্ছে, ভোক্তাকে অস্বাভাবিক কম মূল্যে পণ্য দিয়ে বেশি ক্রেতা আকৃষ্ট করা।

তিনি বলেন, ‘এভাবে ইভ্যালিকে ব্র্যান্ডিং করতে বেশি দামের পণ্য অতি কম দামে দেয়ার কারণে তাদের সাময়িক লোকসান হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স সাইটগুলো প্রথমে এভাবেই লোকসান দিয়েছে। পরে তারা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ইভ্যালির ক্ষেত্রেও সেই লোকসানই হয়েছে। তবে এতে ইভ্যালির যে ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়েছে, সেই ব্র্যান্ড ভ্যালুই ব্যবসায় দেয়া লোকসান রিকভার করবে।’

ইভ্যালিকে সময় দিতে চায় সরকার
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল

মোহাম্মদ রাসেল মনে করছেন, দেশে-বিদেশে তাদের যে ব্র্যান্ডভ্যালু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা দিয়ে লোকসান পুনরুদ্ধার করে ইভ্যালিকে আগামী ১০০ বছরের জন্য টেকসই করা সম্ভব। তবে এর জন্য ইভ্যালিকে বন্ধ না করে স্বাভাবিক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে। কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে ছয় মাসের মধ্যে সমস্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনা পরিশোধের প্রতিশ্রতিও দেন মোহাম্মদ রাসেল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যবসায় লোকসান হতে পারে। তা যেকোনো কারণেই হোক। কিন্তু সেটি যদি রিকভার করার সুযোগ থাকে, এতে যদি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনা ফেরতের নিশ্চয়তা মেলে, তাহলে অবশ্যই সরকারের উচিত ভোক্তা সুরক্ষার স্বার্থে তাকে নির্দিষ্ট সময় দেয়া।’

ব্যবসাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান এ প্রসঙ্গে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইভ্যালির কাছে যেসব গ্রাহক ও মার্চেন্টরা টাকা পান, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সেই টাকা উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা নেই।

‘এখন ধরুন এ বিষয়ে মামলা হলো। তাকে গ্রেপ্তার এবং জেল দেয়া হলো। ইভ্যালির ব্যাংক হিসাব বা অন্যান্য সম্পদ জব্ধ করা হলো। আদালতও বলল ক্ষতিগ্রস্তের টাকা পুনরুদ্ধার করে তা পাওনাদারদের ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু যে পরিমাণ টাকা গ্রাহক ও মার্চেন্ট পায় বলে তথ্য রয়েছে, ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের কাছে তো ওই পরিমাণ অর্থ বা সম্পদ থাকতে হবে। না থাকলে ওই পাওনা পরিশোধের দায় তো সরকার নেবে না। নেয়া উচিতও না।

‘কারণ এখানে দুই পক্ষ ইভ্যালি ও ভোক্তা লেনদেন করেছে। পাওনা পরিশোধের দায়িত্ব ইভ্যালির ওপরই বর্তায়। সেখানে কর্তৃপক্ষের নগদ অর্থ, সম্পদ না থাকলে কোথা থেকে কী হবে। অর্থাৎ গ্রাহক ও মার্চেন্টদের পাওনা অপরিশোধই থেকে যাবে।’

সংকট কাটানোর উপায় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘উপায় একটাই হতে পারে– গ্রাহকের পাওনা ফিরিয়ে দেয়ার স্বার্থে ইভ্যালিকে বাঁচিয়ে রেখে বা ব্যবসা করতে দিয়ে নির্দিষ্ট সময় প্রদান করা। সেখানে কঠোর মনিটরিং বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত সরকার মনোনীত কোনো বিশেষজ্ঞ টিমকে ইভ্যালির ম্যানেজমেন্ট কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। তবে এর সবকিছুই নির্ভর করছে এই ঘটনার পর গ্রাহক বা ভোক্তা কতটা আস্থা রাখে তার ওপর।’

ইভ্যালিকে সময় দিতে চায় সরকার

ইভ্যালির ছয় মাস সময় চাওয়ার বিষয়ে সরকার কী ভাবছে, জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ইভ্যালি যা চায় তার পরিকল্পনা প্রস্তাব এখনও মন্ত্রণালয়ে আসেনি। লিখিত প্রস্তাব পেলে প্রয়োজনে আমরা তাদের ডাকব। বিজনেস প্ল্যান সম্পর্কে জানব। তা যদি আইনসিদ্ধ হয় এবং এতে যদি ভোক্তার পাওনা পাই টু পাই পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে, তাহলে সরকার ভোক্তার স্বার্থে ইভ্যালির ব্যবসা সচল রেখে পাওনা পরিশোধের উদ্যোগে যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে যে পরিমাণ দায় দেখানো হয়েছে এবং এর বিপরীতে ইভ্যালির কাছে যে অর্থের হদিস নেই বলে তথ্য এসেছে, তার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে বিষয়টি এখন অধিকতর তদন্তাধীন। এর বাইরে আরও অন্যান্য কাজও চলছে। যদি দেখা যায় ইভ্যালির কাছে পাওনা পরিশোধের মতো সম্পদ নেই এবং গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাহলে তো তাদেরকে জেলেই যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে পাওনা পরিশোধের বিষয়টি জটিলতায় পড়বে। সব মিলিয়ে ভোক্তা সুরক্ষার স্বার্থে সরকার সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্তটিই নেবে।’

অন্যদিকে, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কিন্তু আইনের মধ্যেই কাজ করতে হবে। কোনো ব্যক্তি যদি প্রতারিত হন তিনি মামলা করতে পারেন। তখন আদালত নির্ধারণ করে দেবে, তার যে ক্ষতি হয়েছে সেটা কীভাবে পূরণ করা হবে। ইভ্যালির ক্ষেত্রেও আমার মনে হয়, আদালতের মাধ্যমেই একটি নির্দেশনা আসতে হবে, ভোক্তাদের পাওনা অর্থ কোথা থেকে কীভাবে উদ্ধার করা যায় সে বিষয়ে।’

বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, ‘পেইডআপ ক্যাপিটালের সঙ্গে অ্যাসেটের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসেছে উনার ৬৫ কোটি টাকার সম্পদ তদন্তে পাওয়া গেছে। এর বাইরেও উনার সম্পদ আছে কি না, সেটি আমরা এখনও জানি না। এর বাইরেও সম্পদ থাকতে পারে। এ বিষয়টির অধিকতর তদন্ত চলছে। আমার মনে হয় সেই তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ জানার পরেই ব্যবস্থা নেয়া যাবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা ইভ্যালিসহ অভিযুক্ত আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের বিজনেস মডেল চেয়ে চিঠি দেব। ওই চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হলে এবং প্রচলিত বিজনেস মডেল যদি বাংলাদেশে আইনসিদ্ধ না হয়, তাহলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

যমুনা থেকে বিনিয়োগ পাওয়ার ঘোষণা

চলমান সংকটের মধ্যেই ইভ্যালিতে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপের ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে যমুনা। এরপর বিভিন্ন পর্যায়ে বিনিয়োগ করা হবে ১ হাজার কোটি টাকা।

ইভ্যালিকে সময় দিতে চায় সরকার

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইভ্যালির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। যমুনা গ্রুপ থেকেও তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির মূল বাজারদর (ভ্যালুয়েশন) প্রকাশ করেনি কোনো পক্ষ।

এমন বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘একটি দেশীয় উদ্যোগ হিসেবে আমাদের পাশে আরেকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘যমুনার এই বিনিয়োগ ধারাবাহিক বিনিয়োগের অংশ। পরবর্তী ধাপেও তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই বিনিয়োগ ইভ্যালির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং ব্যবসা পরিধি বৃদ্ধিতে ব্যয় করা হবে।’

গ্রাহকদের পুরোনো অর্ডার ডেলিভারি নিয়ে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘পুরোনো অর্ডার যেগুলো পেন্ডিং, সেগুলোর ডেলিভারির ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দিচ্ছি। প্রয়োজনে আমরা আরও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করব।’

ইভ্যালিতে বিনিয়োগ বিষয়ে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে আমরা দেখছি, স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে অ্যামাজন, চীনের ক্ষেত্রে আলিবাবা। তেমনি বাংলাদেশে ইতোমধ্যে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করেছে দেশীয় ই-কমার্স ইভ্যালি। শুধু দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্নপূরণে কাজ করে যাচ্ছে তারা।’

যমুনা গ্রুপ দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করছে উল্লেখ করে শামীম ইসলাম আরও বলেন, ‘এখন থেকে ইভ্যালি এবং যমুনা গ্রুপ সেই স্বপ্নপূরণে একে অপরের অংশীদার হলো।’

ইভ্যালিকে সময় দিতে চায় সরকার
ইভ্যালির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ধানমন্ডির এই ভবনে

ইভ্যালি ও যমুনা গ্রুপের এই অংশীদারত্বকে স্বাগত জানিয়ে যমুনা গ্রুপের গ্রুপ পরিচালক মনিকা ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা নিয়ে যমুনা গ্রুপ ব্যবসা করে আসছে। বাংলাদেশে সব থেকে বড় অফলাইন মার্কেটপ্লেস যমুনা ফিউচার পার্ক। আর এখন সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস গড়ে তোলার জন্য ইভ্যালির সঙ্গে থাকবে যমুনা।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং দেশের ই-কমার্স খাতকে একটা মজবুত অবস্থানে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ইভ্যালির সৎ ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যের প্রতি বিশ্বাস রেখে দেশের এই করোনাকালীন দুঃসময়ে দেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।’

যমুনা গ্রুপের পরিচালক (অ্যাকাউন্টস) শেখ ওয়াদুদ বলেন, ‘বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময়ে আমরা দেশীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চাই। এই বিনিয়োগ নিয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য আমরা ধাপে ধাপে প্রকাশ করব।’

আরও পড়ুন:
ইভ্যালিতে যমুনার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা
পুরোনো অর্ডার দিতে ৬ মাস সময় চাইল ইভ্যালি
ইভ্যালির কাছে ছয় প্রশ্নের জবাব চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
খেলাপি অর্ডারের বিষয়ে ঈদের পরে জানাবেন রাসেল
ইভ্যালির রাসেল দেশেই, আসতে পারেন ফেসবুক লাইভে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Bangladesh Bank has bought and 1 million at auction

নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

নিলামে ৪৭.৫০ মিলিয়ন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ডলারের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিগত তিন অর্থবছর ধরে রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ভিন্ন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ছয় দফায় মোট ৬৮ কোটি ডলারের বেশি কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবশেষ মঙ্গলবার ৮টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছ থেকে কেনা হয়েছে ৪৭.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, বাজারে বর্তমানে ডলারের চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি। এ কারণেই রিজার্ভ থেকে বিক্রি না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকেই ডলার কিনছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভবিষ্যতেও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ডলার কেনা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ (এফএক্স) নিলাম কমিটির মাধ্যমে, মাল্টিপল প্রাইস অকশন পদ্ধতিতে। এক ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত।

এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচ দফায় ডলার কেনে। ১৩ জুলাই ১৮ ব্যাংক থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কেনা হয়। এরপর ১৫ জুলাই একই দরে ৩১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, ২৩ জুলাই ১২১ টাকা ৯৫ পয়সা দরে এক কোটি ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৭ আগস্ট ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার, ১০ আগস্ট ১১ ব্যাংকের কাছ থেকে ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে মোট ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারের দাম হঠাৎ করে অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া- দুটোই অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। বর্তমানে দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং বিদেশি দায় পরিশোধও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ফলে নিকট ভবিষ্যতে ডলারের তীব্র চাহিদা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই ডলার ক্রয় রিজার্ভকে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এলে বিনিয়োগ বাড়বে, ফলে ডলারের চাহিদাও বাড়তে পারে।

মন্তব্য

বিশেষ
Dhaka Chamber calls to set up a commercial court to attract foreign investment

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অভিজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগের মাধ্যমে একটি ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপন করা এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রিতায় বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও দেশে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি, বিনিয়োগ ও মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক বিরোধ ক্রমাগত বাড়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থার আলোকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গতি আনতে একটি আলাদা কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপন এবং আইনি প্রক্রিয়ার সংস্কার একান্ত অপরিহার্য।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘ব্যবসায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও চুক্তি প্রয়োগ কার্যক্রমের অগ্রগতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ও ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, জনবহুল এদেশে আদালতে মামলার সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বিচারিক কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টিকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। যার ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে আরবিট্রেশন আইন করা হলেও, বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধসমূহ যদি প্রথাগত আদলতের বাইরে গিয়ে মেটানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন আদলতের উপর চাপ কমবে, সেই সঙ্গে বাণিজ্যের পরিবেশেরও উন্নয়ন হবে।

তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল কোর্ট স্থাপনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এটার খসড়া চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বাণিজ্যবিষয়ক আদালতসমূহে বিশেষজ্ঞ বিচারকদের নিয়োগ দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় সংষ্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বাংলাদেশ নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সংস্কারের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইইউ নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এ ধরনের সংস্কার দেশের মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহিম খান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শুধু যে এফডিআই আকর্ষন ব্যাহত হচ্ছে তা নয়। বরং বিষয়টি আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ ক্রমাগত আস্থা হারাচ্ছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিকট ব্যবসায়িক চুক্তির প্রয়োগের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক, যেখানে আমরা বেশ পিছিয়ে রয়েছি।

অনুষ্ঠানের নির্ধারিত আলোচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আরিফুল হক, ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর উপ আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দা রত্নে, বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার (বিয়াক)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে এ এম মাজেদুর রহমান, সিঙ্গাপুর ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রাজাহ অ্যান্ড থান-এর কো-হেড ভিকনা রাজা, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের স্পেশাল অফিসার বিচারপতি তারেক মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ড. কামাল হোসেন অ্যান্ড এসোসিয়েটস-এর পার্টনার ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোনায় ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের বেশ অভাব রয়েছে এবং এ অবস্থার উন্নয়ন না হলে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আসবে না। বাণিজ্যিক বিরোধগুলো সমাধানে আদালতে না গিয়ে, আরবিট্রেশন সেন্টারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে বেশি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট খাতের স্টেকহোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The price of LP gas has dropped to Rs

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩ টাকা

ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছে ৩ টাকা। নতুন মূল্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৭০ টাকা, যা গত মাসে ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন। নতুন দাম গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে ।

এছাড়া, গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও লিটারে ১৩ পয়সা কমিয়ে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিইআরসির ঘোষণায় বলা হয়, বেসরকারি খাতে ভ্যাটসহ প্রতি কেজি এলপিজির নতুন দাম ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা। সেখান থেকে বিভিন্ন ওজনের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারিত হবে।

তবে সরকারি কোম্পানির সরবরাহকৃত সাড়ে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সৌদি আরামকোর প্রপেন ও বিউটেনের আন্তর্জাতিক বাজারদরের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এ দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এই মূল্য নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Starts importing tomatoes with the port of Hilli

হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

হিলি বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি শুরু

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে টমেটো আমদানি শুরু হয়েছে।

চট্টগ্রামের বড় বাজারের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভারত থেকে টমেটো বোঝাই একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে টমেটো আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন ২৮ টন টমেটো আমদানি করা হয়েছে। প্রতিকেজি টমেটো আমদানি করতে শুল্কসহ খরচ গুণতে হচ্ছে ৬১ টাকা।

আমদানিকারক এনামুল হক বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ভারতের নাসিক রাজ্য থেকে এসব টমেটো আমদানি করা হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকলে আরও বেশি পরিমাণ টমেটো আমদানি করা হবে।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, গতকাল মঙ্গলবার হিলি বন্দর দিয়ে এক ট্রাকে ২৮ টন টমেটো আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত এসব টমেটো ৫০০ ডলারে শুল্কায়ণ করা হচ্ছে। যেহেতু টমেটো কাঁচাপণ্য তাই দ্রুত ছাড় করণে আমদানিকারককে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধের তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ৬ আগস্ট সবশেষ এই বন্দর দিয়ে টমেটো আমদানি করা হয়েছিল।

মন্তব্য

বিশেষ
Gold prices reached the record per ounce over and 5

স্বর্ণের দাম রেকর্ড, প্রতি আউন্স পৌঁছেছে ৩৫০০ ডলারের উপরে

স্বর্ণের দাম রেকর্ড, প্রতি আউন্স পৌঁছেছে ৩৫০০ ডলারের উপরে

বিশ্ব অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুঁজতে থাকায় মঙ্গলবার প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ ডলারের উপরে পৌঁছেছে।
এশিয়ায় প্রাথমিক লেনদেনের সময় মূল্যবান ধাতুটি প্রতি আউন্স ৩,৫০১ দশমিক ৫৯ ডলারে পৌঁছেছে, যা এপ্রিলে এর আগের রেকর্ড ৩,৫০০ দশমিক ১০ ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে।
হংকং থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিনিয়োগকারীরা দুর্বল মার্কিন ডলার ও ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নেওয়ায় সোনার দামের এই দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির একটি মূল্য সূচক দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার ওয়াল স্ট্রিট রেকর্ড সর্বোচ্চ থেকে পিছিয়ে এসেছে। একই সময়ে, ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
শ্রম দিবসের জন্য সোমবার ওয়াল স্ট্রিট বন্ধ ছিল, তখন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ডলার মিশ্র লেনদেন করেছে।
বন্ধকী জালিয়াতির অভিযোগে ফেডের গভর্নরকে তিরস্কার করার পর ট্রাম্প গত মাসে বলেছিলেন, ফেডারেল রিজার্ভের গভর্নর লিসা কুক পদত্যাগ না করলে, তিনি তাকে বরখাস্ত করবেন।
মার্কিন আপিল আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক শুল্ক, যা বিশ্ব বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সেগুলো অবৈধ বলে রায় দেওয়ার পরও এই রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছে।
তবে আদালত আপাতত এই ব্যবস্থাগুলো বহাল রাখার অনুমতি দেওয়ায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টে লড়াই করার জন্য সময় পেয়েছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Community Bank Startup Entrepreneurs with Bangladesh Bank Signature on Refinenceing Agreement

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের রিফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের রিফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কমিউনিটি ব্যাংকের স্টার্টআপ রিফাইন্যান্স স্কিমের অধীনে অংশীদারত্বমূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স সেন্টারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার এবং নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখার উপস্থিতিতে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এসএমইএসপিডি বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত পারস্পরিক অংশীদারত্বমূলক এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে- বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক হাফিয়া তাজরিয়ান, যুগ্ম পরিচালক মো. নুরুল কাওসার সাঈফ এবং কমিউনিটি ব্যাংকের হেড অব কর্পোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মোঃ আরিফুল ইসলাম, হেড অব এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শরিফ হাসান মামুনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ব্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Export income in July August is 5 percent growth

জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০.৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

জুলাই-আগস্টে রপ্তানি আয়ে ১০.৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে দেশের রপ্তানি আয় ১০.৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) আজ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-আগস্ট) রপ্তানি আয় ছিল ৭ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার।

তবে, সামগ্রিক এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরও ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

২০২৫ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৪ সালের আগস্টে অর্জিত ৪ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে সামান্য কম।

স্বাভাবিকভাবেই তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এই খাত থেকে আয় হয়েছে ৭ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে