× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
গরুর আকারেও বাজিমাত
google_news print-icon

গরুর আকারেও বাজিমাত

গরুর-আকারেও-বাজিমাত
কোরবানিকে সামনে রেখে সারাদেশে লালনপালন করা বেশ বড় বড় গরুর খবর এসেছে গণমাধ্যমে।
এখন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, আয়ারশায়ার, গুয়েরেন্সি, ব্রাউন সুইস, সিন্ধি, শাহিওয়াল ও হরিয়ানা জাতের গরু উৎপাদন হচ্ছে। সংকরায়িত জাতগুলোতে দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়তি মাংসও পাওয়া যাচ্ছে। প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএলআরআই উদ্ভাবিত নতুন জাত বিসিবি-১ একটি ষাঁড় তিন বছর বয়সেই ৩৫০-৪৫০ কেজি ওজনের হচ্ছে, যা আগে ছিল ২০০-২৫০ কেজির মধ্যে। অর্থাৎ জাত উন্নয়নেও গরু থেকে দ্বিগুণ মাংস উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে বাংলাদেশ।

গরুর মাংসের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টাতেও সফল বাংলাদেশ। উৎপাদনে এসেছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। পৌঁছেছে উদ্বৃত্তস্তরেও।

কেবল পশুর সংখ্যা বাড়িয়ে এই সাফল্য আসেনি। নানা কৌশলে জাত উন্নয়ন ও খাবারে মুনশিয়ানা এনে প্রাণীগুলোর আকারও বড় করা হয়েছে। আগের তুলনায় দ্বিগুণ মাংস পাওয়া যাচ্ছে এখন ষাঁড়ে।

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ও নিরাপদ পদ্ধতিতে গরুর ওজন বৃদ্ধি করেই তা সম্ভব হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে জাদুকরি ভূমিকা রাখছে খড়ের সঙ্গে চিটাগুড়।

এ প্রক্রিয়ায় মাত্র তিন মাসেই একটি গরুর শরীরে দ্বিগুণ মাংস উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। গরুর জাত উন্নত হলে মাংস মিলছে তিন থেকে চার গুণ।

এ জন্য উদ্যোক্তা বা খামারিকে খুব বেশি কিছু করতে হচ্ছে না। প্রাকৃতিক খাবার- পর্যাপ্ত কাঁচা ঘাস, পরিমিত দানাদার খাদ্য (কুঁড়া, গমের ভুসি, চালের খুদ, খইল, কলাই, মটর, খেসারি) ও পানি খাওয়ালেই হচ্ছে।

আধুনিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা

গরু মোটাতাজা করার প্রক্রিয়াটি এখন আরও আধুনিক হয়েছে। গরুর শরীরের ওজন বা মাংসের উৎপাদন বাড়াতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ইউরিয়া মিশ্রিত প্রক্রিয়াজাত খড় কিংবা চিটাগুড় খাওয়ানো হচ্ছে। এতে আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন খামারিরা।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর গবেষণা বলছে, কোনো খামারি সরকারি ফর্মুলা অনুযায়ী আধুনিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু হৃষ্টপুষ্ট করলে তার লাভ ৫ থেকে ৭ গুণ বেশি হতে পারে। অর্থাৎ এ পদ্ধতিতে গরুকে সহজলভ্য খড়ের সঙ্গে ১ টাকার চিটাগুড় মিশিয়ে খাওয়ালে ৫ থেকে ৭ টাকার মাংস উৎপাদন সম্ভব।

পদ্ধতিটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারিভাবে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ‘আধুনিক প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক উপায়ে ও নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ’।

প্রকল্প পরিচালক প্রাণকৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, ‘প্রকল্পের যাত্রা মাত্র দুই বছর। সেটিও স্বল্প পরিসরের। কিন্তু এতেই মাংস উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া গেছে।’

তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে এবার ঈদুল আজহার জন্য সারা দেশের উপকারভোগী খামারি বা মালিক কর্তৃক ৭৪ হাজার হৃষ্টপুষ্ট গরুর বাজারজাত করা হয়েছে। নির্বাচিত গরুর ওজন শতভাগ বৃদ্ধি বা দ্বিগুণ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিন থেকে চার গুণ বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

প্রাণকৃষ্ণ হাওলাদার বলেন, প্রকল্পের আওতায় যে পরিমাণ হৃষ্টপুষ্ট গরু সরবরাহ দিয়েছে, তার চেয়েও বড় কাজ করেছে-তারা তাদের শিক্ষাটাকে এলাকার অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিয়েছে।

গরুর আকারেও বাজিমাত
এই গরুটি লালনপালন করেছেন বাগেরহাটের একজন খামারি। এটি দেখতে দূর থেকে মানুষ যায় তার কাছে

এর ফলে এখন বাণিজ্যিক খামারির পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ব্যক্তি উদ্যোগও নিরাপদ উপায়ে মাংস উৎপাদন বাড়ানোর প্রতি মনোযোগী হচ্ছেন।

গত তিনটি মৌসুমে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে স্থানীয় পশুতেই। চলতি বছর ১ কোটি ১৯ লাখের বেশি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। এর সরবরাহ দেয়া হচ্ছে দেশি পশুতেই। এর মধ্যে ৪৮ লাখের বেশি হৃষ্টপুষ্ট গরুর সরবরাহ রয়েছে।

জাত উন্নয়ন

এই প্রকল্প ছাড়াও পশুর কৃত্রিম প্রজনন, জাত উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, রোগ প্রতিরোধবিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমেও বাড়তি মাংস উৎপাদন শুরু হয়েছে। এ প্রচেষ্টা চলছে সরকারি ও বেসরকারি দুইভাবেই।

বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত বিভিন্ন খামারে গরুর মাংস উৎপাদন বাড়াতে জাত উন্নয়নের চেষ্টার অংশ হিসেবে এখন ফ্রিজিয়ান, জার্সি, আয়ারশায়ার, গুয়েরেন্সি, ব্রাউন সুইস, সিন্ধি, শাহিওয়াল ও হরিয়ানা জাতের গরু উৎপাদন হচ্ছে। সংকরায়িত জাতগুলোতে দুধ উৎপাদনের পাশাপাশি বাড়তি মাংসও পাওয়া যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় দেশি গরুর তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি মাংস পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর মহাসচিব শাহ ইমরান নিউজবাংলাকে জানান, তাদের সদস্যভুক্ত ৮ লাখের বেশি খামারি রয়েছে। তারা জাত উন্নয়নের মাধ্যমেও সংকরায়িত বিভিন্ন বিদেশি জাতের গরু বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালন ও উৎপাদন করছে।

গরুর আকারেও বাজিমাত
সাভারে পালা এই গরুটির নাম রাখা হয়েছে কালা পাহাড়

দেশি জাতের গরুর সংকরায়ন ও প্রজননের মাধ্যমে উন্নত জাতে রূপান্তর ঘটানো এই জাত বিএলআরআই ক্যাটেল ব্রিড-১ বা (বিসিবি-১) নামে পরিচিতি পাচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিএলআরআই) দাবি করছে, এ জাতের একটি ষাঁড় তিন বছর বয়সেই ৩৫০-৪৫০ কেজি ওজনের হচ্ছে, যা আগে ছিল ২০০-২৫০ কেজির মধ্যে। অর্থাৎ জাত উন্নয়নেও গরু থেকে দ্বিগুণ মাংস উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে বাংলাদেশ।

বিএলআরআই জানিয়েছে, দেশি জাতের গাভিতে বিদেশি জাতের ষাঁড়ের শুক্রাণু দিয়ে সংকরায়ন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিএলআরআই আরও অধিক মাংস উৎপাদনকারী জাত উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই কর্মসূচির আওতায় এখন বিসিবি-১ জাতের গাভিকে লিমোজিন জাতের সিমেন দ্বারা প্রজনন ঘটিয়ে লিমোজিন ক্রস বিসিবি-১, সিমেন্টাল জাতের সিমেন দ্বারা প্রজনন ঘটিয়ে সিমেন্টাল ক্রস বিসিবি-১ এবং শ্যারোলেইস প্রজাতিকে শ্যারোলেইস ক্রস বিসিবি-১ গরু উৎপাদন করা হচ্ছে।

সংকরায়নের ফলাফল কী?

প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, দেশি আবহাওয়ায় বেড়ে ওঠা উপযোগী এই সংকর জাতের গুরুগুলো দুই বছর বয়সেই ৫০০-৬০০ কেজি পর্যন্ত মাংস উৎপাদনে সক্ষম হচ্ছে। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন বা সর্বসাধারণের লালন-পালনের জন্য এখনও সেভাবে এই জাতগুলো উন্মুক্ত করা হয়নি। এসব জাতের আরও উন্নয়নের চেষ্টা চলছে, যা আগামীর বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনার হাতছানি দিয়েই ডাকছে।

একইভাবে ব্রাহমা জাতের সিমেন দ্বারা প্রজনন ঘটিয়ে ব্রাহমা ক্রস বিসিবি-১ সংকর জাতের গরু উৎপাদনের চেষ্টাও চলছে।

গরুর আকারেও বাজিমাত
সিলেটে বড় করা এই গরুটির মালিক আদর করে এর নাম রেখেছেন সাদা মাস্তান

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আজিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পশু পালনে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের নানা রকম নীতিসহায়তা রয়েছে। মূলত এই নীতিসহায়তার ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিবছর গড়ে ১৬ লাখ হারে বাড়ছে গরুর উৎপাদন। এর ধারাবাহিকতায় মাংস উৎপাদনেও দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২০ সালের তথ্য বলছে, দেশে এখন গরুর সংখ্যা ২ কোটি ৮৪ লাখ ৮৭ হাজার ৪১৫টি, যা ২০১৮ সালে গরুর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৯ লাখ। এই সময়ে উৎপাদন বেড়েছে ৪৬ লাখ।

দেশে মাথাপিছু মাংসের চাহিদা রয়েছে ১২০ গ্রাম হারে। এই চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মোট জনগোষ্ঠীর মাংসের বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ৭২ লাখ ৯৭ হাজার টন। এর বিপরীতে মাথাপিছু উৎপাদন হচ্ছে ১২৪.৯৯ গ্রাম হারে। এতে মোট উৎপাদন হচ্ছে ৭৫ লাখ ১৪ হাজার টন। মাথাপিছু উৎপাদন বেশি হচ্ছে গড়ে ৫ (৪.৯৯) গ্রাম।

মাংস উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব আরও, তবে সংকট অন্য জায়গায়

এই মাংসের উৎপাদন দেশে আরও বাড়ানো সম্ভব হতো, যদি সরকার ব্রাহমা জাতের সংকরায়িত জাত দেশে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের অনুমতি দিত। এটি হলে দেশের মানুষকে মাংসও খাওয়ানো যেতে অনেক কম দামে।

ব্রাহমা জাতের সিমেন দ্বারা প্রজনন ঘটিয়ে ব্রাহমা ক্রস বিসিবি-১ সংকর জাতের গরু উৎপাদন দক্ষতা মূল্যায়ন পর্যবেক্ষণের কাজ এখন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) চলমান রয়েছে। তবে এর আগেই মাংস উৎপাদন বাড়াতে সরকার দেশে ব্রাহমা জাত বিস্তারের লক্ষ্যে ‘বিফ ক্যাটেল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ গ্রহণ করে। প্রকল্পটির গবেষণা ও মূল্যায়নেও সাফল্য মেলে।

গরুর আকারেও বাজিমাত
এই গরুটি বড় হয়েছে বাগেরহাটের একটি খামারে

প্রকল্পের আওতায় এই জাতের সংকরায়িত একটি গরু থেকে ৯০০ কেজি থেকে ১১০০ কেজি পর্যন্ত মাংস সরবরাহ মিলত। কিন্তু জাতটি বেসরকারিভাবে ও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনে সরকারের অনুমোদনের আগেই কিছু কর্মকর্তা ও খামারির মাধ্যমে সারা দেশে স্বল্প পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে।

এতে মাংস উৎপাদন ও লাভ বেশি হয় দেখে অনেক দুগ্ধজাত খামারি তখন দুধ উৎপাদনের পরিবর্তে দেশি ও উন্নতজাতের গাভির সঙ্গে ব্রাহমা ষাঁড়ের শুক্রাণুর সংকরায়ন ও উৎপাদিত জাত বাণিজ্যিকভাবে পালনের চেষ্টা চালায়।

এতে দেখা দেয় নতুন বিপত্তি। কারণ, ব্রাহমার সিমেন যেই গাভিতে প্রয়োগ করা হয়, ওই গাভির দুধ উৎপাদন কমে যায়। এতে দেশে দুধ উৎপাদনে বড় ঘাটতির শঙ্কা দেখা দেয়।

বিবিএসের তথ্যমতে, মাথাপিছু দুধের চাহিদা হচ্ছে ২৫০ গ্রাম, এর বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ১৬৫.০৭ গ্রাম। সামগ্রিকভাবে দুধের বাৎসরিক চাহিদা আছে ১৫২ লাখ ২ হাজার টন। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ৯৯.২৩ লাখ টন। অর্থাৎ দেশে দুধের ঘাটতি দৃশ্যমান।

সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের মহাপরিচালক আব্দুল আউয়াল নিউজবাংলাকে জানান, মাংসের উপাদন বাড়াতে গিয়ে ব্যাহত হচ্ছিল দেশের চাহিদা অনুযায়ী দুধের উৎপাদন। এই পরিস্থিতিতে ‘বিফ ক্যাটেল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’-এর বাণিজ্যিক লক্ষ্য বন্ধ করা হয়। চাহিদার পরিমাণ দুধ উৎপাদনে না যাওয়া পর্যন্ত অধিক মাংস উৎপাদনশীল ব্রাহমা জাত বাংলাদেশে উৎপাদন, প্রজনন নিষিদ্ধ থাকবে।

গরুর আকারেও বাজিমাত
আমেরিকান জাত ব্রাহমা খুব দ্রুত বড় হয়। কিন্তু এই জাতের সংকরায়ন হলে গাভির দুধ কমে যায়। তাই অনুমতি দিচ্ছে না সরকার

তিনি বলেন, ‘তবে মাংস উৎপাদনের সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখতে ‘আধুনিক উপায়ে গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ’ প্রজেক্টসহ নানা ধরনের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। যার সাফল্য আমরা দেখছি। এর মানে এই নয়, বিএলআরআই-এর উন্নত জাত কার্যক্রম থেমে আছে।’

এ প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আজিজুর রহমান বলেন, ‘সরকার যা করে তার মূলে থাকে জনকল্যাণ ও দেশের স্বার্থ। ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোনো একটি অঞ্চলের লোকের সুবিধা দেখে না। মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর চেয়ে এই মুহূর্তে দুধের উৎপাদন বাড়ানো জরুরি। তাছাড়া দুধে পুষ্টিও বেশি। দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন এবং এর ভোক্তাও বেশি। সম্মিলিত স্বার্থের চিন্তা করেই অধিক মাংস উৎপাদনকারী ব্রাহমা জাতের বাণিজ্যিক উৎপাদন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

বিকল্প কী তবে?

দ্বিপক্ষীয় এই অবস্থানে কীভাবে সমন্বয় করে করা যায়- তা জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ বিশেষজ্ঞ ও এই বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক অজয় কুমার রায় নিউজবাংলাকে জানান, ‘আমাদের দুটোরই দরকার আছে। কোনো একটির উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে যাতে অপরটির ক্ষতি না হয় সে জন্য সমন্বিত ও বোঝাপড়ার ভিত্তিতে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা দরকার। সে ক্ষেত্রে মাংস ও দুধ উৎপাদনের পকেটগুলো অঞ্চলভেদে আলাদা আলাদা হওয়া দরকার।’

গরুর আকারেও বাজিমাত
গাজীপুরের বাহাদুরের ওজন হয়েছিল ২৭ মণ

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ধরুন, ঢাকায় দুধের চাহিদা প্রচুর। দামও মেলে বেশ। ঢাকার চারপাশে দুগ্ধ খামার গড়ে ওঠাই ভালো। এখানকার খামারিরা পশু থেকে দুধ উৎপাদন কোন প্রক্রিয়ায় বাড়াবে এবং কীভাবে তার সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে সেদিকে মনোযোগী হবে।

‘আবার চরাঞ্চলে দুধ ও মাংস উভয়েরই চাহিদা কম। কিন্তু সেখানে গবাদিপশু লালন-পালন ও স্বাস্থ্যসম্মত পশুখাদ্য নিশ্চিত করার মতো অনেক উপকরণ রয়েছে। অর্থাৎ সেসব জায়গায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাংস উৎপাদনকারী খামার গড়ে তুললে খরচ হবে অল্প। মাংস পাওয়া যাবে বেশি। সরকারি ব্যবস্থানার সহায়তায় একটি সুন্দর সাপ্লাই চেইন গড়ে তুলতে পারলে চরাঞ্চলে আরও বেশি মাংস উৎপাদন খামার গড়ে উঠবে।’

আরও পড়ুন:
হাটে ভারতীয় বোল্ডার এলো কোত্থেকে?
পশু ১ কোটি, প্রশিক্ষিত কসাই ১২ হাজার
ভিক্ষুক পুনর্বাসন কেন্দ্রে কোরবানির গরু দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
কোরবানির মৌসুমে মাদ্রাসা বন্ধ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ
গরম মসলার বাজারে ক্রেতা নেই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Death reference and appeal hearing to kill Major Sinha

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু

মেজর সিনহা হত্যার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই শুনানি শুরু হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

বিচারিক আদালতের রায়ের পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের দণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অন্যদিকে, দণ্ডিত আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The chief adviser participated in the roundtable in Doha

দোহায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

দোহায় গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা আর্থনা সম্মেলনের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বুধবার কাতারের দোহায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে একটি গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

‘বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তুচ্যুত জনগণের সামাজিক ও পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ - রোহিঙ্গা ইস্যু’ শীর্ষক এই বৈঠকে তিনি বক্তব্য দেবেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
The Red Notice of Interpol against former IGP Benazir issued

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। সম্প্রতি এই রেড নোটিশ জারি করা হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. ইনামুল হক সাগর গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, ‘তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে। আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারি করেছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।’

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ‘রেড নোটিশ’ জারির জন্য আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিদেশে পলাতক ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে পৃথক তিনটি ধাপে আবেদন করে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি)।

পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনাসহ যে ১২ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে আর্থিক অপরাধের অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে করা আবেদনে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার তথ্য-উপাত্ত যুক্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ প্রধান (আইজিপি) ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। এসব পদে দায়িত্ব পালনকালে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলেই ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধান চলাকালে গত বছরের ৪ মে সপরিবার দেশ ছাড়েন বেনজীর। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‍্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
In addition to primary education culture and sports need to be compulsory Tareq Rahman

প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা দরকার: তারেক রহমান

প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করা দরকার: তারেক রহমান লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কথা বলছেন। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি ও খেলাধুলা একটি বড় বিষয়। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যাতে বাধ্যতামূলকভাবে সংস্কৃতি ও খেলাধুলাসহ সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে শিশুদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই তাদের শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, পত্র-পত্রিকা খুললেই সংস্কার আর সংস্কার। সংস্কার কিন্তু শুরু করেছে বিএনপি। শহীদ জিয়া প্রথম সংস্কার শুরু করেছেন খাল খননের মধ্য দিয়ে। বিএনপি যদি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশের সব খাল খনন করে জীবিত করা হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথম কাজ হবে খাল খনন কর্মসূচি। নদীগুলোও খনন করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার লালমনিরহাট জেলা পরিষদ মিলনায়তন অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটির আয়োজিত এই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার শেষ বেলায় বিকেলে ভার্চুয়ালি যোগ দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশ যদিও ল্যান্ড ওয়াইজ (আয়তনের ক্ষেত্রে) বড় দেশ না, তবুও জনসংখ্যার ভিত্তিতে অনেক বড়। লালমনিরহাটের যেমন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কিছু বৈশিষ্ট্য আছে তেমনই কুড়িগ্রামের আছে, চট্টগ্রামের আছে, কুষ্টিয়ার ওইদিকেও আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কৃষ্টিকালচার সংস্কৃতি আছে। সে রকম আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্যও আছে। আর এই বৈশিষ্ট্যটাই হচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যতবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে দেশীয় কৃষ্টি-কালচারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। আমরা জানি গত ১৭ বছর বহু সংস্কৃতিকর্মী কষ্টে জীবনযাপন করেছেন। চিকিৎসার অভাবে কষ্টে দিনযাপন করেছেন। যখন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে সুযোগ ছিল এমন অনেক সংস্কৃতিকর্মীকে সহযোগিতা করা হয়েছিল। আমাদের সামগ্রিক চিন্তার মধ্যে যেটি রয়েছে তা হচ্ছে আমাদের এই কালচারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রেও কালচারাল একটি বিষয় থাকবে। খেলাধুলার বিষয় থাকবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুরা যেন বাধ্যতামূলকভাবে সব অ্যাক্টিভিটিসে যুক্ত থাকে। এর ফলে তাদের যেমন মানসিক বিকাশ ঘটবে তেমনই শারীরিক বিকাশও ঘটবে।

তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের লক্ষ্যে দেশের জনগণের স্বার্থে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি।

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে দলের যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদা বেগম হীরা, নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা ইকবাল হোসেন শ্যামল। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লালমনিহাট জেলার পাঁচ উপজেলার দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

কর্মশালায় অংশ নেওয়া বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে, সব সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত হবে, দেশে থাকবে না একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা।

এর আগে কর্মশালার প্রথম অধিবেশনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন হবে। একদলীয় শাসনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আর জিম্মি থাকবে না। ৩১ দফার মাধ্যমেই দেশে শান্তি ফিরে আসবে।

তিনি আরও বলেন, পাশ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশের মানুষকে মানুষ মনে করেনি, তারা তাদের মনঃপুত একটি দলকে প্রাধান্য দিয়েছে। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে, তারা বাইরের প্রভুত্ব মানে না।

মন্তব্য

বকেয়া বেতনের দাবি

সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

সড়কে ময়লা ফেলে প্রতিবাদ, তীব্র যানজট

বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজধানীর বাড্ডার নতুনবাজারে রামপুরা-কুড়িল সড়কের ওপরই এক পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতে যান চলাচলের জায়গা সরু হয়ে যাওয়ায় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এই আন্দোলন করেন পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বর্জ্যে ভরা ট্রাকগুলো সড়কের পাশে রাখা হয়েছে। সেগুলোর পাশেই ছড়িয়ে আছে ময়লার স্তূপ। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পোশাক পরিহিত কর্মীরা নিজ নিজ ভ্যান উল্টে সড়কের ওপর ময়লা ফেলে দিচ্ছেন।

বর্জ্যের কারণে সড়কে কিছু স্থান প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে গাড়িগুলোকে ধীরে ধীরে পাশ কাটিয়ে যেতে হচ্ছে, এতে যান চলাচলে মারাত্মকভাবে বিঘ্ন হচ্ছে, সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। আর বর্জ্যের দুর্গন্ধে এই পথে চলাচল করা পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, বারবার বলার পরও আমাদের বেতন পরিশোধ করেনি সংশ্লিষ্টরা। শেষে দাবি আদায় করতে আমরা রাস্তায় ময়লা ফেলে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস পেলেই আমরা সড়ক থেকে ময়লা তুলে সরিয়ে নেবো।

এ ঘটনায় ডিএনসিসির মুখপাত্র মকবুল হোসাইন বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছে, কিন্তু তাদের পাওনা সিটি কর্পোরেশনের কাছে নয়। তাদের দাবি তাদের পরিচালনা করা ঠিকাদার বা ইজারা যারা নিয়েছে তাদের কাছে। কেন তাদের বকেয়ে বেতন পরিশোধ করা হয়নি সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Thermal wave warning in four districts will increase all over the country

চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম

চার জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, সারা দেশে বাড়বে গরম

কয়েকদিন ধরে কমবেশি বৃষ্টিপাত এবং দিনের আকাশ বেশিরভাগ সময় মেঘাচ্ছন্ন থাকায় গ্রীষ্মের শুরুতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ছিল জনমনে। তবে বৃষ্টির প্রভাব সরে গিয়ে ফের আসছে গরম। এর মধ্যে আগামীকাল দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে আজ মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।

তবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো, বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আগামীকাল সারা দেশে দিন ও রাতের তাপামাত্রা সামান্য বাড়ার আভাস দিয়ে রাষ্ট্রী সংস্থাটি বলছে, পরের ২৪ ঘণ্টায়ও এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। এরপরের দুদিন দিন-রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থেকে পঞ্চম দিন (শনিবার) থেকে সারা দেশে আবারও বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে। এতে করে তাপমাত্রাও সামান্য কমতে পারে।

আজ (মঙ্গলবার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও যশোরে। ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল এই দুই জেলায়। এছাড়া সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় বান্দরবানে।

ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত হয় সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৩১ মিনিটে।

মন্তব্য

বিশেষ
Arrested across the country in a special police operation

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ১৬১০

রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত ২৪ ঘন্টায় ১ হাজার ৬১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ৯০৬ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৭০৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এসব অভিযানে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ১টি দেশীয় পাইপগান, ১টি একনালা বন্দুক, ১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা ও ২ রাউন্ড অকেজো কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত সোমবার ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১ হাজার ৬৩১ জনকে। তার মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১ হাজার ১৩ জন আসামি এবং অন্যান্য ঘটনায় ৬১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার আগে গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৫৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মন্তব্য

p
উপরে