× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
সরকার প্রধান মন্ত্রীরাও পেগাসাসের নজরদারিতে
google_news print-icon

সরকারপ্রধান, মন্ত্রীরাও পেগাসাসের নজরদারিতে

সরকারপ্রধান-মন্ত্রীরাও-পেগাসাসের-নজরদারিতে
বিশ্বজুড়ে পেগাসাসের (ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার) বিক্রেতা ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও জানিয়েছে, তাদের ক্লায়েন্টদের মধ্যে ‘পরীক্ষিত সরকার’ রয়েছে, যার সংখ্যা সম্ভবত ৩৬। যদিও কোম্পানিটি ক্লায়েন্টদের নাম জানাতে চায়নি।

কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একসঙ্গে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ব্যক্তিগত ফোনে এমন নজরদারি করছে, যার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার কোনো সম্পর্ক নেই। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্য অয়্যার এ নিয়ে বিশেষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য সেটি অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

একটি ইসরায়েলি নজরদারি প্রযুক্তি সংস্থার ফাঁস হওয়া ডেটাবেসে বিভিন্ন দেশের সরকারি ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে হাজারো টেলিফোন নম্বরের তালিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিন শরও বেশি ভারতীয় টেলিফোন নম্বর রয়েছে বলে উঠে এসেছে দ্য অয়্যার ও এর ১৬টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের তদন্তে। এই নম্বরগুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে আছেন মন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও অধিকার কর্মী।

এসব নম্বর ব্যবহারকারীদের ফোনের একটা ছোট অংশের ফরেনসিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর মধ্যে ৩৭টিতে পেগাসাস স্পাইওয়্যার টার্গেট করেছে। ওই ৩৭টির মধ্যে ১০টি ফোন ভারতীদের। এই ফোনগুলোর বিশদ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ না করে এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় যে, এতে সরাসরি আক্রমণ করা হয়েছে কি না বা এর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে কি না।

বিশ্বজুড়ে পেগাসাসের (ফোন হ্যাকিং সফটওয়্যার) বিক্রেতা ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও জানিয়েছে, তাদের ক্লায়েন্টদের মধ্যে ‘পরীক্ষিত সরকার’ রয়েছে, যার সংখ্যা সম্ভবত ৩৬। যদিও কোম্পানিটি ক্লায়েন্টদের নাম জানাতে চায়নি। তবে তাদের এই দাবি থেকে বোঝা যায় দ্য অয়্যার ও এর সহযোগীরা যে আক্রমণের কথা প্রকাশ করেছে সেটি কোনো ভারতীয় বা বৈশ্বিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঘটেনি।

ফাঁস হওয়া ডেটাবেসটি প্রথমে হাতে পায় প্যারিসভিত্তিক অলাভজনক সংবাদমাধ্যম ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যশনাল। যেটি তারা ‘দ্য পেগাসাস প্রজেক্ট’ নামের একটি সহযোগিতামূলক তদন্তের অংশ হিসেবে দ্য অয়্যার, ল্য মঁদ, দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট ও আরও ১৩টি মেক্সিকান, আরব ও ইউরোপীয় সংবাদ সংস্থার সঙ্গে শেয়ার করেছে।

ডেটাবেস হাতে পেয়ে ফরবিডেন স্টোরিজ জানায়, এতে এনএসও ক্লায়েন্টদের টার্গেট করা কিছু নির্বাচিত ফোন নম্বরের রেকর্ড আছে। তবে এনএসও আনুষ্ঠানিকভাবে এর সত্যতা অস্বীকার করেছে। তাদের মতে, এনএসও গ্রাহকরা হয়তো ওই নম্বরগুলো ‘অন্য কোনো উদ্দেশ্যে’ ব্যবহার করেছে।

তালিকার যে নম্বরগুলো চিহ্নিত হয়েছে সেগুলোর অধিকাংশ ভৌগলিক ভাবে ১০টি দেশের: ভারত, আজারবাইজান, বাহরাইন, হাঙ্গেরি, কাজাখস্তান, মেক্সিকো, মরক্কো, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

২০১৯ সালে এনএসও কোম্পানির বিরুদ্ধে হোয়্যাটসঅ্যাপে আক্রমণের বিষয়টি উদঘাটন করে টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল নজরদারি গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান ‘সিটিজেন ল্যাব’। সে সময় এই ১০টি দেশের প্রতিটিকেই পেগাসাস ক্লায়েন্টদের নিশানার অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি ল্যাবটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা ফর্বিডেন স্টোরিজের সমন্বয়ে গঠিত ৮০ জনেরও বেশি সাংবাদিকের একটি দল আক্রান্ত ফোন নম্বরগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের শনাক্ত করেছে।

এরপর ওই ডেটাবেসে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে তাদের ব্যবহৃত ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করার চেষ্টা চালানো হয়। ভারতীয় নম্বরগুলোর ক্ষেত্রে এই সময়সীমা ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

আইনিভাবে আড়িপাতার জন্য দ্য ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ও ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের অনুমোদিত উপায় অবলম্বন করা বাধ্যতামূলক। দেশ ভেদে আইন ভিন্ন, কিন্তু কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যক্তির ফোন হ্যাক করে নজরদারির স্পাইওয়্যার ঢুকিয়ে দেয়া ভারতের আইটি অ্যাক্টের অধীনে পুরোপুরি অপরাধ।

দ্য অয়্যার ধাপে ধাপে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাচাই করা নামগুলো আগামী কয়েকদিন তার অংশীদারদের সঙ্গে প্রকাশ করবে।

ডেটাবেসে যাদের নম্বর রয়েছে তাদের মধ্যে ৪০ জন সাংবাদিক, বিরোধী দলের তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা, একজন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের দুই মন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থার বর্তমান ও সাবেক প্রধান ও কর্মকর্তা ও অসংখ্য ব্যবসায়ী রয়েছেন।

ডেটাবেসে নম্বরের উপস্থিতিতে এটা নিশ্চিত যে, তাদেরকে নজরদারিতে রাখার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। তবে আসলেই ওই ফোনগুলো হ্যাক হয়েছে কি না বা আক্রান্ত হয়েছে কি না সেটা যাচাই করতে হলে ডিভাইসটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আইফোন হলে এটি সহজে করা সম্ভব।

পেগাসাস প্রজেক্টের ডেটাবেসের নম্বরগুলোর একটি বর্তমান সুপ্রিম কোর্টের বিচারকের নামে নিবন্ধিত ছিল। ওই নম্বরটি তিনি তালিকায় যোগ হওয়ার আগেই ব্যবহার বন্ধ করেছিলেন। তবে নম্বরটি নির্বাচন করার সময় তিনি হোয়্যাটসঅ্যপ বা অন্য এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করতেন কি না সে বিষয়ে অবশ্য দ্য অয়্যার নিশ্চিত হতে পারেনি। ওই সময়সীমার মধ্যে নম্বরটির প্রকৃত ব্যবহারকারীকে খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত দ্য অয়্যার ওই বিচারকের নাম প্রকাশ করবে না।

দ্য অয়্যার ও তার অংশীদাররা বিশ্বব্যাপী ১৩ জন রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের নাম ছাড়া, যে নামগুলো সন্ত্রাসবাদবিরোধী বা রাষ্ট্রীয় গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িত তাদের পরিচয় প্রকাশ করবে না।

গোপনীয়তার অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতির কথা বলছে ভারত

সপ্তাহের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পেগাসাস প্রজেক্টের পার্টনারদের পাঠানো বিশদ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (এমইআইটিওয়াই) জানায়, ‘ভারত একটি শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশ, যা তার সমস্ত নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

তারা এও জানায়, ‘নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সরকারি নজরদারি সম্পর্কিত অভিযোগগুলির কোনো দৃঢ় ভিত্তি একেবারেই নেই।’

সরকার পেগাসাস ব্যবহার করছে, এমনটা নির্দিষ্টভাবে অস্বীকার না করে এমইআইটিওয়াই তাদের উত্তরে জানায়, ‘বাধা, পর্যবেক্ষণ ও ডিক্রিপশনের প্রতিটি কেস উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে করা হয়… এই পদ্ধতি তাই নিশ্চিত করে যে, কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থার মাধ্যমে যে কোনো তথ্যে বাধা, পর্যবেক্ষণ বা ডিক্রিপশন আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসারেই সম্পন্ন করা হয়েছে।’

প্রকৃতপক্ষে, আইনি হস্তক্ষেপের প্রক্রিয়াটির প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু লিখিত ও সময়সীমাবদ্ধ অনুমোদনই অন্তর্ভুক্ত নয়, একই সঙ্গে যিনি হস্তক্ষেপের কাজটি করছেন সেই টেলিকম বা কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহারকারীও আছেন। সাধারণত যিনি এই কাজটি করেন তিনি আইটি আইনের ৪৩ ধারায় বর্ণিত ‘হ্যাকিং’ এর কার্যক্রমের আওয়ায় পড়েন না।

পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে কারও ওপর নজরদারি করার জন্য ব্যক্তিগত স্মার্টফোনে হ্যাক করাটা জরুরি।

এনএসও বলছে, ডেটা ‘হয়ত’ তাদের গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্কিত

এনএসও কোম্পানি বারবার বলে আসছে, ফাঁস হওয়া ডেটাবেসে ‘পেগাসাস ব্যবহার করে সরকারি নিশানায় থাকা নম্বরের তালিকা নেই।’ তবে তারা দ্য অয়্যার ও এর পার্টনারদের আইনজীবীদের মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে জানায়, তাদের ‘বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট কারণ’ আছে যে, ফাঁস করা তথ্য ‘বড় একটা তালিকার একটা অংশ, যেটা এনএসও গ্রুপের গ্রাহকেরা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছেন।’

এই ‘অন্য উদ্দেশ্য’ কী হতে পারে সেটি জিজ্ঞেস করায় অবস্থান পরিবর্তন করে এনএসও দাবি করে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডগুলো মূলত ‘সবার জন্যে সুলভ ও প্রকাশ্যে থাকা এইচএলআর লুকআপ সার্ভিসের মতো’ এবং এর সঙ্গে ‘পেগাসাসের গ্রাহকদের নিশানায় থাকা তালিকা কিংবা অন্য কোনো এনএসও প্রোডাক্টের কোনো সম্পর্ক নেই।’

এইচএল আর লুক আপ সার্ভিস হচ্ছে, কোনো ফোন নম্বর কোনো নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা সেটা যাচাই করার একটি ব্যবস্থা।

এনএসও যেমনটা বলছে, ফাঁস করা নম্বরগুলো আসলেই যদি এইচএলআর লুকআপ সার্ভিসের ফল হয়, তারপরও পেগাসাস গ্রাহকদের নজরে থাকা এলাকার দেশগুলোর থেকে পাওয়া ডেটা দুটো প্রশ্নের জন্ম দেয়: এগুলো কি সবই এক সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে পাওয়া গেছে? আর এগুলোকে কি একত্র করে একই জায়গায় বিশেষ কোনো উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে?

টেলিমার্কেটারদের জন্য এইচএলআর লুকআঅ্যাপের বাণিজ্যিক প্রয়োজনীয়তা আছে। তারপরেও টেলেকম নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলো আসলে স্পাইওয়্যার নির্ভর নজরদারি ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।

বার্লিনের সিকিউরিটি রিসার্চ ল্যাবসের প্রধান বিজ্ঞানী কার্স্টেন নোল পেগাসাস প্রজেক্টকে বলেন, ‘এইচএলআর লুকআপ ব্যবহার করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ফোনটা অন করা আছে।’ এর অর্থ হলো, হ্যাকিং করা সম্ভব।

৫০ হাজার ব্যক্তিকে পেগাসাস ব্যবহার করে নিশানায় রাখা হচ্ছে এমনটা অস্বীকার করে এনএসও বোঝাতে চেয়েছে, এর গ্রাহক সরকারগুলো সবমিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি নিশানার ওপর এটি ব্যবহার করে না।

যেসব সরকার সম্ভাব্য হ্যাকিং ও নজরদারি করার জন্য হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের নির্বাচন করে, তারা চাইবে না যে, তাদের নজরদারির বিস্তারিত তথ্য বা মেটাডাটা বিদেশি কেউ বা বেসরকারি কেউ জেনে যাক।

যে সরকারগুলোর নাম এসেছে তাদের এই ইস্যুতে পরিষ্কার কথা বলার কোনো উদ্যোগ নেই। যে দেশগুলোতে আইনের শাসন আছে, সেখানে রাজনীতিক ও সাংবাদিকসহ সমাজের নানা স্তরের বিশিষ্টজনের ওপর এমন বিশদ ও বেআইনি নজরদারি প্রোগ্রামের সম্ভাব্য ব্যবহার- নিশ্চিত ভাবেই গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি। যেটি একটি স্বাধীন তদন্ত দাবি করে।

আরও পড়ুন:
গোয়েন্দা হানা: বেশি অনিরাপদ আইফোন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Response to attack not now Iranian official

হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা

হামলার জবাব এখনই নয়: ইরানের কর্মকর্তা ইরানের রাজধানী তেহরানের উত্তরাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার ছবি সংবলিত ব্যানারের পাশ দিয়ে শুক্রবার হেঁটে যান এক নারী। ছবি: এপি
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানের ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’

ইরানের ইস্পাহানে শুক্রবার ‘ইসরায়েলের’ হামলার তাৎক্ষণিক জবাব দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ঘটনার বিদেশি উৎসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাইরের কোনো হামলার শিকার হইনি এবং আলোচনা হামলার চেয়ে বেশি হচ্ছে অনুপ্রবেশ নিয়ে।’

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।

ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।

আরও পড়ুন:
ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন
ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান
ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

বিশেষ
Oil prices jump on news of attack on Iran

ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন

ইরানে হামলার খবরে পুঁজিবাজারে ধস, তেলের দামে উল্লম্ফন যুক্তরাষ্ট্রের একটি পুঁজিবাজারে হতাশ বিনিয়োগকারী ও একটি তেলক্ষেত্র। ছবি: পিবিএস ও সিজিটিএন
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।

ইরানের ইস্পাহানে বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলের হামলার খবরে শুক্রবার পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, এশিয়ার শেয়ার ও বন্ডে ধস নামে, যেখানে উল্লম্ফন দেখা যায় স্বর্ণ ও অশোধিত জ্বালানি তেলের দামে।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি জানার পর পুঁজিবাজার ও তেলের বাজারে শুরুতে যে প্রভাব পড়ে, সেটি কমে এসেছে। হামলার পরিসর ছোট এবং কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি বলে ইরানের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন বাস্তবতা সৃষ্টি হয়।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিভিত্তিক এমএসসিআইয়ের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সূচকের পতন হয় দুই দশমিক ছয় শতাংশ, যেটি পরবর্তী সময়ে কমে দাঁড়ায় দুই শতাংশে।

অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার শঙ্কায় ব্রেন্টের অশোধিত জ্বালানি তেলের দাম শুরুতে চার দশমিক দুই শতাংশ বাড়লেও পরবর্তী সময়ে তা কমে বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় দুই দশমিক চার শতাংশ। মূল্যবৃদ্ধি কমার পর ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্টের অশোধিত তেলের দাম দাঁড়ায় ৮৯ দশমিক ২২ ডলারে।

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, ইস্পাহানের কাছে বিস্ফোরণের পর কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়। সেখানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়নি।

ইস্পাহান শহরের কাছে ইরানের কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে, যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে দাবি করেছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম।

আরও পড়ুন:
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

বিশেষ
Three Israeli drones shot down Iran

ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান

ইসরায়েলের তিন ড্রোন ভূপাতিত: ইরান ইসরায়েল কোয়াডকপ্টার দিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। ছবি: এক্স
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

ইসরায়েলের তিনটি ড্রোন ইরান ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করেছে দেশটির মহাকাশ সংস্থা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শুক্রবার কোয়াডকপ্টারের ছবি সংযুক্ত করে দেয়া পোস্টে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান লিখেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বলেছে যে, আমরা ৫০০ সুইসাইড ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছি...এখন তারা জবাব দিয়েছে এই তিন কোয়াডকপ্টার (ড্রোনসদৃশ আকাশযান) দিয়ে, যার সবগুলোকে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

হাসির ইমোজি দিয়ে ওই পোস্টে দালিরিয়ান আরও লিখেন, ‘তারা শুধু বলেছে যে, তারা (হামলার) আগে আমেরিকাকে জানায়নি।’

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

আরও পড়ুন:
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইরানের তেল বাণিজ্যে লাগাম টানতে পারে যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস

মন্তব্য

বিশেষ
Irans nuclear sites completely safe report

ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন

ইরানের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ: প্রতিবেদন ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ। ছবি: এএফপি
‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

ইসরায়েলের হামলার খবরের মধ্যে ইরানের স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম শুক্রবার বলেছে, দেশটির পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে।

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় নগর ইস্পাহানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

‘নির্ভরযোগ্য সূত্রের’ বরাত দিয়ে ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের খবরে বলা হয়, ‘ইস্পাহান প্রদেশের পরমাণু ক্ষেত্রগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ।’

এদিকে ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে লিখেন, দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সফলভাবে কিছু ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এ মুহূর্তে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কোনো খবর নেই।

ইস্পাহানের কাছে শেকারি সেনা বিমানঘাঁটিতে তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ।

আরও পড়ুন:
ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের
ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা
হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ড্রোন হামলায় ১৪ ইসরায়েলি সেনা আহত
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না

মন্তব্য

বিশেষ
Indias Lok Sabha polls begin amid chances of BJP hat trick

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু

বিজেপির হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনার মধ্যে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ভোট শুরু ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপে শুক্রবার ভোট দেয়ার পর আঙুলের কালি দেখাচ্ছেন তিন ভোটার। ছবি: প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া
ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হ্যাটট্রিক তথা টানা তৃতীয় জয়ের সম্ভাবনার মধ্যে শুক্রবার দেশটিতে লোকসভা নির্বাচনের ভোট শুরু হয়েছে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভারতের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে।

সাত ধাপের এ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সব আসনে ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ু (৩৯), রাজস্থান (১২), উত্তর প্রদেশ (৮), উত্তরাখণ্ড (৫), অরুণাচল প্রদেশ (২), মেঘালয় (২), আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (১), মিজোরাম (১), নাগাল্যান্ড (১), পুদুচেরি (১), সিকিম (১) ও লাক্ষাদ্বীপে (১)। এর বাইরে আসাম ও মহারাষ্ট্রের পাঁচটি করে আসনে, বিহারের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের তিনটি, মণিপুরের দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্রিশগড়ের একটি করে আসনে ভোট হচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চার রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশ বিধানসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিমে আজ ভোট।

ভারতে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের জন্য বড় পরীক্ষার এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপি লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে এককভাবে ৩৭০টিতে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তথা এনডিএ ৪০০টি আসনে জয়ী হোক, এমনটি চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এর আগে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোকসভায় ৩৫৩টি আসন পায় এনডিএ, যেখানে বিজেপির একক আসনের সংখ্যা ৩০৩টি।

লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট ১ জুন।

আরও পড়ুন:
লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু শুক্রবার

মন্তব্য

বিশেষ
Israels missile attack on Iran
এবিসির প্রতিবেদন

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের

ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইসরায়েলের ইসরায়েলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: ডিফেন্স এক্সপ্রেস
এবিসির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার জানায়, ইরানের কেন্দ্রস্থলে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

ইরানের একটি স্থানে ইসরায়েল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।

যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ খবর জানায়।

এবিসির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার জানায়, ইরানের কেন্দ্রস্থলে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।

সিরিয়ার দামেস্কে গত ১ এপ্রিল ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জবাবে গত শনিবার রাতে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর এক সপ্তাহের মধ্যেই ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া গেল।

এবিসির প্রতিবেদনের সত্যতা তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।

ইরানের বার্তা সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইস্পাহানের একটি বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, তবে কী কারণে এ বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি।

ইসলামি প্রজাতন্ত্রটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ইস্পাহান, সিরাজ ও তেহরানে বিমান চলাচল স্থগিত রাখা হয়েছে।

ইরানের বেশ কয়েকটি পারমাণবিক ক্ষেত্র রয়েছে ইস্পাহান প্রদেশে। অঞ্চলটিতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কেন্দ্রে থাকা নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রও রয়েছে।

গত শনিবারের হামলার জবাব দেয়ার কথা জানিয়েছিল ইসরায়েল। দেশটি বড় পরিসরে কোনো হামলা চালালে এবং এর জবাবে ইরানও পাল্টা হামলা করলে গাজা যুদ্ধ পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন:
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত
ইরানের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলায় অংশ নেবে না যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
ইসরায়েলে হামলার আগে সতর্ক করা হয়েছিল: ইরান
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

বিশেষ
New Western sanctions on Iran

ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের ওপর পশ্চিমাদের নতুন নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলে হামলার পর ১৪ এপ্রিল ইরানের সরকার-দলীয় সমর্থকরা তেহরানের প্যালেস্টাইন স্কোয়ারে একটি বিশাল ফিলিস্তিনি পতাকা নিয়ে উল্লাস করে। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘যারা ইরানকে হামলায় ইন্ধন দেয় ও তা সমর্থন করে, তাদের সবাইকে এটি স্পষ্ট করতে চাই যে, সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবে।’

ইসরায়েলে রকেট ও ড্রোন হামলার পর ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরায়েলের ঘনিষ্ট দুই মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্র। কারণ হিসেবে ইসরায়েলের ওপর তেহরানের ওই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক যুদ্ধের ইন্ধন যোগাতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েট প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি অফিস অফ ফরিন অ্যাসেট কন্ট্রোল (ওএফএসি) জানিয়েছে, ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন উৎপাদনে জাড়িত ইরানের ১৬ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এছাড়া ইরানের সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য নিষিদ্ধ গোষ্ঠীকে সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করার অভিযোগ এনে দেশটির ইস্পাত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত পাঁচটি সংস্থা ও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাহমান গ্রুপকেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওএফএসি।

অন্যদিকে, ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি ইরানি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাজ্য।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এসব অস্ত্রের বেশির ভাগ ভূপাতিত করে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলো।

হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটিতে কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলে জানা যায়। এ হামলায় সাত বছর বয়সী এক ইসরায়েলি শিশু মারাত্মক আহত হয়। এর বাইরে বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

ইতোমধ্যে ইরানের জবাবের পাল্টা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের অবশ্যই নিজেদের সুরক্ষা করার অধিকার রয়েছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের সামরিক তৎপরতাকে নিরুৎসাহিত করে, দেশটির ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ চালিয়ে যেতে ওএফএসিকে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘যারা ইরানকে হামলায় ইন্ধন দেয় ও তা সমর্থন করে, তাদের সবাইকে এটি স্পষ্ট করতে চাই যে, সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেবে।’

ট্রেজারি বিভাগের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও ইরানের বাণিজ্যিক গ্রেডের মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স খাতে ইরানের রাশ টেনে ধরতেই তাদের এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশটির বাইরে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

ইসরায়েলে হামলার পর এ অঞ্চলে ইরানের কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে চলতি সপ্তাহেই সতর্ক করে যুক্তরাষ্ট্র। তার পরপরই বৃহস্পতিবার এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল ওয়াশিংটন।

ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দেশ ইরান ও এর নেতাদের আর্থিক শাস্তির মুখোমুখি করতেই ক্যাপিটল হিলে তড়িঘড়ি করে এসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারাও ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে তেহরানের মিত্র দেশগুলো তথা গাজা, ইয়েমেন ও লেবাননে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবাহের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলছে।

এ বিষয়ে ইইউ-এর পররাষ্ট্র নীতি বিভাগের প্রধান জোসেফ বরেল বলেছেন, ‘তেহরানকে শাস্তি দিতে ও ইসরায়েলের ওপর ভবিষ্যত হামলা প্রতিরোধে সহায়তায় বিদ্যমান ইইউ নিষেধাজ্ঞা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী ও প্রসারিত করা হবে।’

তবে একইসঙ্গে ইসরায়েলকেও সংযমী হতে বলেছেন তিনি।

বরেল বলেন, ‘আমরা একটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি, মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক যুদ্ধ, যা বিশ্বের বাকি অংশ বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের এটি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।’

আরও পড়ুন:
২৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছোড়া হয়েছে গাজায়: জাতিসংঘের দূত
বড় হামলা করলে ইসরাইলের কিছুই অবশিষ্ট থাকত না
ইসরায়েল হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডেই জবাব: ইরান
ইরানকে কঠোর জবাব দেবে ইসরায়েল, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত

মন্তব্য

p
উপরে