× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
তালেবান সুনজর পেতে উদগ্রীব ভারত
google_news print-icon

তালেবানের সুনজর পেতে উদ্গ্রীব ভারত

তালেবানের-সুনজর-পেতে-উদ্গ্রীব-ভারত
আফগানিস্তানের হেরাতে সালমা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনে ২০১৬ সালে দেশটি সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: এএফপি
ভারতীয় বিশ্লেষকরা এখন এই বিতর্কে লিপ্ত যে, তালেবানের যখন নয়াদিল্লির স্বীকৃতি দরকার ছিল, তখন তাদের আরও কাছে পৌঁছানো উচিত ছিল কি না। আফগানিস্তানে ভারতীয় সাবেক রাষ্ট্রদূত আমার সিনহা জানান, তিনি গত সেপ্টেম্বরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে তালেবান বাহিনীর প্রভাব বাড়ছে দেশটিতে। তালেবানের এই প্রভাব নিয়ে চিন্তিত উপমহাদেশীয় পরাশক্তি ভারত। সংবাদ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সভিত্তিক ম্যাগাজিন সাইট ‘ফরেন পলিসির’ এক নিবন্ধে তালেবানের সঙ্গে ভারতের নতুন সমীকরণ নিয়ে লিখেছেন সাংবাদিক আঁচল ভোহরা। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য নিবন্ধটি অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার।

ভারত বেশ চিন্তিত। আফগানিস্তান থেকে সবশেষ আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার করায় নয়াদিল্লির শঙ্কা খুব স্পষ্ট। তালেবানদের ক্ষমতায় ফিরে আসার মানে ভারতে আক্রমণ করা পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জিহাদি দলগুলোর ফের সক্রিয় হওয়া। সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে, আফগানিস্তানে ভারতীয় সেনা মোতায়েনের আহ্বান জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা।

ভারত সরকার একা নয়, রাশিয়া, ইরান ও চীনও আফগান গৃহযুদ্ধের পরিণাম নিয়ে চিন্তিত। দুশ্চিন্তার অন্যতম হচ্ছে শরণার্থীর আগমন। ভারত এদিক থেকে সবচেয়ে অসুবিধায় আছে।

বেশ কয়েক বছর আগেই রাশিয়া, চীন ও ইরান তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করে যেন ক্ষমতায় ফিরে এলে তাদের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে সরাসরি আলোচনায় বসা সম্ভব হয়। তখন ভারত আদর্শগতভাবে তালেবানের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তান সরকারের মিত্রদের সমর্থন দিয়েছে।

এখন যখন আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা যখন মেনে নিচ্ছেন, আফগান সরকারের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব শুধু শহরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ থাকতে চলছে, তখন নয়াদিল্লি তড়িঘড়ি করে তালেবানকে সমাধানমূলক বার্তা পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছে। সেই একই বার্তা তারা পাঠাচ্ছে, এতদিন যেগুলোর কোনো উত্তর আসেনি।

তালেবানের সুনজর পেতে উদ্গ্রীব ভারত

আফগান সরকার বিষয়টিতে খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারছে না। তারা বরং ভারতকে তাদের বিপদের সময় সহায়তা ও সমর্থনের মাত্রা আরও বাড়াতে অনুরোধ করেছে।

ফরেন পলিসিকে এক উচ্চপদস্থ আফগান কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে দেশটিকে বছরে ৪৫০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যার অধিকাংশ ব্যয় হবে আফগান প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ২৯টি ব্ল্যাকহক কমব্যাট হেলিকপ্টারের পেছনে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আরও ব্ল্যাকহক পেলে যুদ্ধের অঙ্কের হিসাব আমাদের দিকে থাকবে।’

আফগান সরকার ভারতের কাছ থেকে এখনও সামরিক সহায়তা চায়নি, কিন্তু ভারতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ফারিদ মামুন্দজাই ফরেন পলিসিকে বলেছেন, তাদের এই সাহায্য চাইতে হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘তালেবানের সঙ্গে যদি আমরা অচলাবস্থায় পৌঁছাই, তাহলে হয়তো ভারতের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা চাইতে হতে পারে।’

আফগান রাষ্ট্রের পতনের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত তা ঘটতে পারে। আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের পতন হতে পারে।

জাতিসংঘে ভারতের সাবেক দূত ও জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিক সৈয়দ আকবরউদ্দিনের মতে, আফগানিস্তানে ভারতীয় সেনা মোতায়েনের কোনো সম্ভাবনাই নেই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের সীমান্তেই সমস্যা আছে। এমন অবস্থায় আমার মনে হয় না রাজনৈতিক বা জনসমর্থন পাবে বিষয়টি।’

ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক রাহুল বেদি এর সঙ্গে যোগ করেন, বিদেশের মাটিতে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের মতো জায়গায় যেখানে অধিকাংশ বিদেশি সেনাবাহিনী পরাজিত হয়েছে, সেখানে ভারত সেনা মোতায়েন করতে চায় না।

তালেবানের সুনজর পেতে উদ্গ্রীব ভারত

বেদি বলেন, ‘ভারত সামরিক অস্ত্রশস্ত্র যেমন চারটি হেলিকপ্টার, যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করার মতো গোলাবারুদ, ছোট অস্ত্র, গুলি এগুলো দিয়েছে। ৯০-এর দশকে আফগান আর্মির সোভিয়েত হেলিকপ্টার দেখভালের জন্য সেখানে কর্মীও রেখেছে তারা।’

বেদির মতে, ভারত হয়তো তাদের প্রকল্পগুলো থেকে সরে আসবে ও বিভিন্ন পুনর্গঠনমূলক প্রকল্পে নিয়োজিত থাকা ৩ হাজার ১০০ নাগরিক, যাদের অধিকাংশই ইঞ্জিনিয়ার, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনবে।

তিনি বলেন, ‘ভারত আরও সামরিক অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে পারে, হয়তো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে সমমনা মিলিশিয়াদেরও সহযোগিতা করবে, কিন্তু তারা সেনা পাঠাবে না।’

আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে ভারত সামরিক খেলোয়াড় হিসেবে বেশ সচেতন, তবে কিছু আফগানের দাবি, জাতিসংঘের পতাকার নিচে ভারত তার শান্তিরক্ষীদের পাঠাতে পারে।

আফগান বিশ্লেষক দাভুদ মোরাদিয়ান এক মন্তব্যে লিখেছেন, জাতিসংঘের এখানে মূল ভূমিকা পালন করা উচিত। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে শান্তিরক্ষী মিশনের সেনাদের মোতায়েন করে প্রকট হতে থাকা নিরাপত্তাব্যবস্থার শূন্যতা পূরণ করা।

তিনি লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন অরাজকতা ও রাষ্ট্রীয় ভাঙনের দিকে দেশটির পতন রোধে পাকিস্তান ও ভারতকে একত্রিত করতে পারে।’

এক আফগান জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিক জানান, কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর প্রস্তাব প্রথম উত্থাপন করেন, আফগান-আমেরিকান কূটনীতিবিদ ও তালেবানের সঙ্গে কাতারের দোহায় আমেরিকার শান্তিচুক্তির মূল কারিগর জালমায় খালিলজাদ।

তালেবানের সুনজর পেতে উদ্গ্রীব ভারত

চীনও একদল শান্তিরক্ষী পাঠাতে পারে আফগানিস্তানে। এর মিত্র দেশ পাকিস্তান, যারা কিনা তালেবানের পৃষ্ঠপোষক। ভারতীয়রা বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান।

সাবেক দূত আকবরউদ্দিন বলেন, ‘আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে জাতিসংঘের বিরাট কোনো শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোয় কাজ হবে না। শান্তিরক্ষীরা এমন একটা পরিবেশে কাজ করে, যেখানে শান্তি আছে ও সেটাকে বজায় রাখতে হবে। তাদের কাজের জায়গা এম কোথাও নয়, যেখানে শান্তিই নেই। যুদ্ধে লিপ্ত একটি পক্ষে পাকিস্তানের সমর্থন রয়েছে। সুতরাং তাদের শান্তিরক্ষী হিসেবে মেনে নেয়া যাবে না। তারাও ভারতকে সেখানে চাইবে না। আফগানিস্তানে ভারত ও পাকিস্তানের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সম্ভাবনাটা ওখানেই শেষ।’

ভারতীয় বিশ্লেষকেরা এখন এই বিতর্কে লিপ্ত যে, তালেবানের যখন নয়াদিল্লির স্বীকৃতি দরকার ছিল, তখন তাদের আরও কাছে পৌঁছানো উচিত ছিল কি না। আফগানিস্তানে ভারতীয় সাবেক রাষ্ট্রদূত আমার সিনহা জানান, তিনি গত সেপ্টেম্বরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

সিনহা বলেন, ‘আফগান সরকার ও তালেবান যখন আলোচনায় বসেছিল, তখন তাদের সঙ্গে আমাদের কথা বলা দরকার ছিল। তখন কেন আমরা কথা বলিনি, যখন অন্য সবাই বলছিল? ঠিক যেমনটা আমরা অন্য দলগুলোর সঙ্গেও বসি, তেমনি তাদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনায় বসতে হবে।’

তালেবানের দোহা শাখার প্রধান মোল্লা সৈয়দ তায়াব আগার কাজিন, সৈয়দ আকবর আগা ২০১৬ সালে কাবুলে আমাকে বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সন্ধি করতে পারলে তালেবান খুশিই হবে।

আগা বলেছিলেন, ‘হিন্দুস্তানের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা তাদের শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিতে চাই।’

এমন একটা সময়ে তারা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে এই বার্তা দিতে চাচ্ছিল, যখন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তালেবানকে আন্তর্জাতিকভাবে বৈধতা দিতে পারত। ২০১৮ সালে দুই সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তালেবানের উপস্থিতিতে আফগানিস্তানে রাশিয়ার আঞ্চলিক ফোরামের পর্যবেক্ষক হিসেবে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন।

আলোচনায় উপস্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, তালেবান প্রতিনিধিরা তখন সরাসরি ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দূরত্ব হ্রাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এখন তারা যখন যুদ্ধের ময়দানে জিতে চলেছে, তখন তাদের সুর পাল্টে গেছে এবং সেই কোমল স্বর আর নেই।

তালেবানের সুনজর পেতে উদ্গ্রীব ভারত

তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন মস্কো থেকে ফিরে আসার পর দোহা থেকে ফরেন পলিসিকে জানান, তিনি ও তার সহযোগীরা সাবেক সোভিয়েত রাজ্যগুলোর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার বিষয়ে রাশিয়াকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আশ্বাস দেন।

শাহিনের দাবি, ভারতকে তার নিরপেক্ষতা প্রমাণ করতে হবে, যদি তারা তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়।

তিনি বলেন, ‘রাশিয়া, ইরান ও চীনের সঙ্গে আমাদের এক বা দুই বছর নয়, বহু বছর ধরে রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। আমি তাদের দেশে বহুবার গিয়েছি ও তাদের আশ্বস্ত করেছি যে, আমরা আফগান এলাকাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেব না। ভারত বিদেশিদের বসানো সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তারা আমাদের সঙ্গে নেই। তারা যদি জোর করে আফগানিস্তানে বসানো সরকারকে সমর্থন করার নীতিতে অটল থাকে, তাহলে তাদের চিন্তিত হওয়াই উচিত। এটা একটা ভুল নীতি যেটা তাদের কোনো উপকারে আসবে না।’

শাহিনের অভিযোগ, ভারত আফগান সরকারকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে, যার কারণে নাখোশ তালেবান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কমান্ডারদের কাছ থেকে জেনেছি, ভারত প্রতিপক্ষকে অস্ত্র দিচ্ছে। এটা কী করে সম্ভব যে তারা কাবুলকে অস্ত্র, ড্রোন সবকিছু দিচ্ছে আবার তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়? এটা তো দুমুখো আচরণ হয়ে গেল।’

ভারতীয় বিশ্লেষকরা বলেছেন, আফগান সরকারকে সামরিক সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে ভারত সরকার সতর্ক ছিল। তাদের মতে, স্বেচ্ছাসেবক বা মিলিশিয়াদের সমর্থন করার ক্ষেত্রে ভারত তড়িঘড়ি করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রতিনিধিদল তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে কি না তা স্পষ্ট নয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রতিবেদনগুলো অস্বীকার করেছে, তবে এও বলেছে, ভারত সরকার ‘বিভিন্ন পক্ষের’ সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর একই সময়ে রাশিয়া ও ইরানে ছিলেন, যখন আফগান সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তালেবান প্রতিনিধিদল ওখানে গিয়েছিল। ইরান ও রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে জয়শংকর ভারতের চিন্তার জায়গাটি নিয়ে আলোচনা করেন।

পুরো বিশ্ব যখন কাবুল পতনের শঙ্কায়, তখন আফগান সরকার ও তাদের ভারতীয় মিত্ররাই একমাত্র এর টিকে থাকা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। তবে একটা পর্যায়ের পর ভারত এমন একটা যুদ্ধে জড়াতে চায় না, যেখানে শক্তিশালী ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী হেরে গেছে।

ভারতকে হয়তো পাকিস্তানের সঙ্গে এর লাইন অফ কন্ট্রোলের (এলওসি) নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। আর আশায় থাকতে হবে, যুক্তরাষ্ট্র আফগান সরকারকে টিকিয়ে রাখবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত সিনহা বলেন, ‘তালেবান এমন আচরণ করছে যে তারা এরই মধ্যে যুদ্ধ জিতে গেছে। জনগণের সঙ্গে তারা কেমন আচরণ করে, সেটার ওপরই নির্ভর করবে তাদের বৈধতা।’

আরও পড়ুন:
তালেবানের প্রতি সহানুভূতি তৈরিতে কারা, চলছে নজরদারি
পাকিস্তানেও সক্রিয় হচ্ছে তালেবান
নিরস্ত্র ২২ আফগান কমান্ডোকে হত্যা করল তালেবান
আফগানিস্তানে কঠোর শাসন কায়েম করছে তালেবান
তালেবানের কবজায় যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Palestinian prisoners are not being given enough food
ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট

ফিলিস্তিনি বন্দিদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না

ফিলিস্তিনি বন্দিদের পর্যাপ্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে না

ইসরায়েল সরকার ফিলিস্তিনি বন্দিদের ন্যূনতম খাদ্য সরবরাহ থেকেও বঞ্চিত রাখছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট। গত রোববার এক ঐতিহাসিক রায়ে এ কথা জানান দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, বন্দিদের জন্য উন্নত মানের খাবারসহ নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রায় ২৩ মাসে এই প্রথম ইসরায়েলের আদালত দেশটির সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এভাবে রায় দিলেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে ফিলিস্তিনিদের গণহারে আটক করেছে তারা। গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে আটক হওয়া অনেককে মাসের পর মাস শিবির ও কারাগারে রাখার পর অভিযোগ ছাড়াই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়, অল্প খাবার, চিকিৎসার অভাবসহ রোগের প্রাদুর্ভাব রয়েছে।

তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মত রায়ে বলেন, সরকারকে আইন অনুযায়ী প্রতিদিন তিনবেলা খাবার সরবরাহ করতেই হবে, যাতে বন্দিদের ‘মৌলিক বেঁচে থাকার শর্ত’ নিশ্চিত হয়।

দুই-এক ভোটে আদালত আরও স্বীকার করেছেন, সরকারের ইচ্ছাকৃত খাদ্যসংকোচন নীতি বন্দিদের মধ্যে অপুষ্টি ও অনাহার সৃষ্টি করেছে।

রায়ে বলা হয়, এখানে আরামদায়ক জীবন বা বিলাসিতার কথা নয়, বরং আইনে নির্ধারিত ন্যূনতম বেঁচে থাকার শর্ত পূরণের কথা বলা হচ্ছে। আমাদের সবচেয়ে খারাপ শত্রুর পথ অনুসরণ করা উচিত নয়।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের দাবি, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অন্তত ৬১ বন্দি ইসরায়েলের হেফাজতে মারা গেছেন। এর মধ্যে চলতি বছরের মার্চে এক কিশোর (১৭) অনাহারে মারা গেছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

কারাগার তদারকির দায়িত্বে থাকা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বরাবরের মতো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বন্দিদের শুধু ‘আইনে নির্ধারিত সর্বনিম্ন শর্তেই’ রাখা হবে। আদালতের রায়কে তিনি ‘ইসরায়েলের জন্য লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

রায়টি আদালতে আবেদন করা মানবাধিকার সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর সিভিল রাইটস ইন ইসরায়েল (এসিআরআই) ও গিশার বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এএসিআরআই সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে, ইসরায়েলের কারাগারগুলোকে সরকার ‘নির্যাতন শিবিরে’ পরিণত করেছে।

সংগঠনটির ভাষায়, কোনও রাষ্ট্রের উচিত নয় মানুষকে অনাহারে রাখা। মানুষ মানুষকে না খাইয়ে রাখবে না—সে যা-ই করে থাকুক না কেন। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা, এপি

মন্তব্য

বিশেষ
Trump has upset US invaluable health agency Hu Main

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ‘অমূল্য’ স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিপর্যস্ত করেছেন: ‘হু’ প্রধান

ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ‘অমূল্য’ স্বাস্থ্য সংস্থাকে বিপর্যস্ত করেছেন: ‘হু’ প্রধান

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়াসুস যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় জনস্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘অমূল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের কারণে তা আজ বিপর্যস্ত।

রোববার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানই নিখুঁত নয় এবং সর্বশেষ বিজ্ঞান এবং বাস্তব সময়ে উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলোর ক্ষেত্রে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে অব্যাহত উন্নতি প্রয়োজন। তবে মার্কিন সিডিসির কাজ অমূল্য এবং এটিকে সুরক্ষিত রাখতে হবে!’

কিন্তু, ট্রাম্পের সরকার তার পরিচালক সু মোনারেজকে তার চাকরির মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই বরখাস্ত করার পর মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) চরম অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে। মোনারেজ মার্কিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়রের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিজ্ঞানীদের বরখাস্ত করেছিলেন এবং দেশের টিকা নীতিগুলো পুনর্গঠন করেছিলেন।

টেড্রোস বলেছেন, সিডিসি ‘দীর্ঘদিন ধরেই উৎকর্ষের কেন্দ্র’ ছিল। অনেক দেশ এটি অনুকরণ করেছে। তিনি বলেছেন, সিডিসির সাথে ‘হু’-এর ‘ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্ব’ রয়েছে। ‘হু’র সবচেয়ে বড় দাতা দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশের অধীনে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বেরিয়ে আসে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি তহবিল দিয়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এক বছর সময় লেগেছে। মোনারেজ কেনেডির টিকা নীতি পরিবর্তনকে সমর্থন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

তার পদচ্যুতির ফলে কমপক্ষে চারজন শীর্ষ সিডিসি কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন। ফলে মার্কিন সংস্থায় বিশৃঙ্খলা আরো গভীর করে তোলে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কেনেডি কোভিড-১৯ টিকা কারা গ্রহণ করতে পারবেন তা সীমিত করেছেন।

লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচানোর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্ত ‘এমআরএনএ’ প্রযুক্তির জন্য ফেডারেল গবেষণা অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন এবং অটিজম সম্পর্কে মিথ্যা দাবির ওপর নতুন গবেষণা ঘোষণা করেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Indias Persian magazine is closing after 5 years

৬০ বছর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতের ‘পারসিয়ানা’ সাময়িকী

৬০ বছর পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ভারতের ‘পারসিয়ানা’ সাময়িকী

ভারতের মুম্বাইয়ের ফোর্ট এলাকায় নতুন গথিক স্থাপত্যশৈলীর একটি ভবন। পুরোনো ভবনটির একটি ছোট্ট অফিস থেকে ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে বের হচ্ছে পারসি সম্প্রদায়ের সাময়িকী ‘পারসিয়ানা’। ঐতিহ্যবাহী সাময়িকীটি আগামী অক্টোবর মাস থেকে আর বের হবে না। গত আগস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসক পেস্টনজি ওয়ার্ডেন ১৯৬৪ সালে ইংরেজি ভাষার সাময়িকীটি প্রকাশ করা শুরু করেছিলেন। মুম্বাইয়ের পারসি সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও ঘটনাবলি নথিবদ্ধ করাই ছিল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। সপ্তম-অষ্টম শতকে ইরান বা পারস্য থেকে ভারতে আসা জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মানুষজন পারসি সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত।

১৯৭৩ সালে মাত্র এক রুপিতে সাময়িকীটি কিনে নেন সাংবাদিক জেহাঙ্গীর প্যাটেল। এর পর থেকে তিনিই এর সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর একটির বদলে মাসে দুটি করে সংখ্যা বের করা শুরু করেন তিনি। সাহসী প্রতিবেদন, ব্যঙ্গাত্মক কলাম ও চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে সাময়িকীটি দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮৭ সালে আন্ত:ধর্মীয় বিয়ের বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সাময়িকীটি আলোড়ন তৈরি করেছিল।

ছয় দশকে পারসিয়ানা কেবল একটি সাময়িকী নয়; বরং সারা বিশ্বের জরথুস্ত্র ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সেতুবন্ধের মাধ্যম হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানভিত্তিক এক পাঠক বলেন, ‘এটি শুধু প্রকাশনা ছিল না। ছিল আমাদের সঙ্গী ও সেতুবন্ধ।’ যুক্তরাষ্ট্রের এক পাঠক লিখেছেন, ‘এই সাময়িকী বিতর্কিত বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসত।’

আগস্টে পারসিয়ানার এক সম্পাদকীয়তে সাময়িকীটি বন্ধের কারণ হিসেবে বলা হয়, গ্রাহকসংখ্যা কমেছে, তহবিলের সংকট বেড়েছে ও প্রকাশনার কাজ চালিয়ে যাওয়ার মতো উত্তরসূরি পাওয়া যায়নি।

৮০ বছর বয়সি জেহাঙ্গীর ১৫ সদস্যের একটি দল নিয়ে পারসিয়ানা বের করতেন। তার সহকর্মীদের প্রায় সবার বয়স ৬০ ও ৭০–এর মধ্যে। পারসিয়ানা বন্ধ হয়ে যাওয়াকে ‘কষ্টের’ উল্লেখ করে জেহাঙ্গীর বলেন, ‘শেষ দিনে কোনো কেক বা উৎসব থাকবে না। এটা দুঃখের সময়।’

মন্তব্য

বিশেষ
Israels explosive robot in Gaza

গাজায় ইসরায়েলের ‘বিস্ফোরক রোবট’, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

গাজায় ইসরায়েলের ‘বিস্ফোরক রোবট’, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

গাজা উপত্যকার গাজা শহরে ইসরায়েলের দূরনিয়ন্ত্রিত ও বিস্ফোরকভর্তি 'রোবট' দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে, যা সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

হামজা শাবান নামের ৩৫ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি মিডল ইস্ট আইকে বলেন, ‘আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাকালাম, রোবটটি কোথায় আছে। আমার কাছে, নাকি কাছাকাছি?’ পরে দেখা গেল রোবটটি প্রায় ১০০ মিটার দূরে ছিল। এরপর আরেকটি বিস্ফোরণে তিনি জানালা থেকে দুই মিটার দূরে ছিটকে পড়েন। হামজা শাবান বলেন, ‘আমি হামাগুড়ি দিয়ে শোবার ঘরের দিকে পালাতে শুরু করলাম। আমি শুনতে পাচ্ছিলাম, উড়ন্ত ধ্বংসাবশেষ ও অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ একটার সঙ্গে আরেকটায় আঘাত করছে। ভয়ানক শব্দ।’

হামজা শাবানের এই অভিজ্ঞতা এখন গাজা নগরীর বাসিন্দাদের জন্য একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠেছে। গত মাসে ইসরায়েল প্রায় ১০ লাখ মানুষের গাজা নগরীতে হামলা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতি রাতেই বড় বড় বিস্ফোরণে শহরটি কেঁপে উঠছে।

ইসরায়েল ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় স্থলসেনা মোতায়েনের পরিবর্তে দূরনিয়ন্ত্রিত ও বিস্ফোরকভর্তি এপিসি (আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার) পাঠাচ্ছে। এই নতুন যুদ্ধকৌশলের কেন্দ্রে আছে এই দূরনিয়ন্ত্রিত যানগুলো, যা দূর থেকে নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানো হয় এবং তারপর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়।

কিছু ক্ষেত্রে এই যানগুলো রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরকভর্তি ব্যারেল ফেলে এবং পরে একসঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যাতে পুরো এলাকার সর্বোচ্চ ক্ষতি হয়। হামজা শাবান জানান, সাধারণত রাত ১০টা বা ১১টার দিকে যখন মানুষ ঘুমাতে যায়, তখনই বিস্ফোরণ শুরু হয় এবং প্রতি রাতেই এমন ৮ থেকে ১০টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘এসব বিস্ফোরণ ভীষণ শক্তিশালী, যা পুরো ভবনকে গুঁড়িয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে।’

হামজা শাবান ইসরায়েলের অনেক যুদ্ধ দেখেছেন এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হামলার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গেও পরিচিত। তবে এবারের ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা সম্পূর্ণ ভিন্ন বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, ‘এসব রোবটের সঙ্গে কোনো কিছুরই তুলনা হয় না। এগুলো বিমান হামলার চেয়েও অনেক বেশি বিধ্বংসী।’

হামাস একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করলেও ইসরায়েল সেটি বাতিল করে দেয়। এরপর ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা পুরো গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করে, যার শুরু গাজা নগরী থেকে। এর পর থেকে ইসরায়েল আকাশ ও স্থল হামলা আরও জোরদার করেছে। গাজাভিত্তিক সরকারি গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ আগস্ট থেকে উপত্যকার জনবহুল এলাকায় অন্তত ১০০টি বিস্ফোরক রোবট ব্যবহার করা হয়েছে।

অলাভজনক সংস্থা ইউরো-মেডিটেরেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, এসব বিস্ফোরণে প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি আবাসিক ইউনিট ধ্বংস হচ্ছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি রোবটে প্রায় সাত টন পর্যন্ত প্রচণ্ড শক্তিশালী বিস্ফোরক ভরা থাকে। এই রোবটগুলোর ব্যবহার গাজা নগরীর উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণের এলাকাগুলোতে বেশি হচ্ছে।

ইউরো-মেড মনিটর বলছে, এই রোবটগুলো এমন এক ‘অভূতপূর্ব গতিতে’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা গাজা নগরীকে ‘মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার’ কৌশলের ইঙ্গিত দেয়। সংস্থাটি আরও বলেছে যে, বর্তমান গতিধারা চলতে থাকলে দুই মাসের মধ্যে নগরীর বাকি অংশও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিপুল সামরিক শক্তি এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে তাদের অপরাধ ঠেকাতে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ না থাকায় এই সময়সীমা আরও কমে আসতে পারে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ওয়ালা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনী বিস্ফোরক রোবটের ব্যবহার তিন গুণ বাড়িয়েছে এবং গাজায় আরও শত শত রোবট পাঠানো হচ্ছে। এই যানগুলো এমনভাবে তৈরি যে তা অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ক্ষতি করে এবং হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সরাসরি সংঘর্ষ কমিয়ে স্থল অভিযানে ইসরায়েলি সেনাদের ঝুঁকি হ্রাস করে।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

মন্তব্য

বিশেষ
Tosmitsu Motagi is the Japanese prime minister candidate

তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

তোশিমিৎসু মোতেগি জাপানের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী

প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর সোমবার জাপানের পরবর্তী নেতা হওয়ার দৌড়ে প্রথম প্রার্থী হিসেবে যোগ দিলেন ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ নামে পরিচিত সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিৎসু মোতেগি।

টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, মোতেগি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। জয়লাভ করলে তাকে জাপানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও এর গুরুত্বপূর্ণ অটো সেক্টরে মার্কিন শুল্কের ফলে সৃষ্ট নতুন অস্থিরতা সামাল দেওয়ার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবেন।

দুটি নির্বাচনে দীর্ঘদিনের প্রভাবশালী দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপির) ভরাডুবি হলে ইশিবা গত রোববার পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং এরপর অক্টোবরের শুরুতে তার দল নতুন প্রধানকে নির্বাচন করবে বলে জানা গেছে।

দলের হেভিওয়েট প্রার্থী মোতেগি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মনস্থির করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ও বিদেশে কঠিন সমস্যা সমাধান করে আমাদের দেশ জাপানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’

১১ মাসের অস্থিরতার মধ্যে, ইশিবাকে আগে নির্ভরযোগ্য হিসেবে দেখা হতো। তবে তিনি সংসদের উভয় কক্ষেই তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেন।

১৯৫৫ সাল থেকে প্রায় ধারাবাহিকভাবে শাসন করে আসা এলডিপির জন্য এটি একটি বড় ধরনের ধাক্কা। ৬৯ বছর বয়সি এলডিপির সাবেক মহাসচিব মোতেগি আগামী দিনে আবির্ভূত হতে পারেন, এমন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন।

হার্ভার্ড-শিক্ষিত এই রাজনীতিবিদকে শক্তিশালী ইংরেজিতে কথা বলার জন্য ‘ট্রাম্প হুইস্পেরার’ বলা হতো। কারণ তিনি মার্কিন-জাপান বাণিজ্য আলোচনায় দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছিলেন।

আরেকজন প্রার্থী হলেন ৬৪ বছর বয়সি কট্টর জাতীয়তাবাদী এবং এক সময়ের হেভি মেটাল ড্রামার সানা তাকাইচি। তিনি ২০২৪ সালে ইশিবার কাছে হেরে গিয়েছিলেন। শিনজিরো কোইজুমিও (৪৪) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

শিনজিরো সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে। তিনি সম্প্রতি ইশিবার কৃষিমন্ত্রী হিসেবে চালের দাম কমানোর দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে ইশিবার শীর্ষ সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি ও সাবেক অর্থনৈতিক নিরাপত্তামন্ত্রী তাকায়ুকি কোবায়াশি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন।

দলের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, এলডিপি এই সপ্তাহে কখন এবং কীভাবে তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন- তা নিয়ে আলোচনা করবে। তবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নতুন নেতার এখনো সংসদের উভয় কক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Netanyahu

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ-অঞ্চল নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’স্বপ্ন দেখছেন নেতানিয়াহু

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশ-অঞ্চল নিয়ে ‘বৃহত্তর ইসরায়েলের’স্বপ্ন দেখছেন নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মাস খানেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি নিজেকে ‘ব্যাপকভাবে’ ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার সঙ্গে যুক্ত মনে করেন। তার এই বক্তব্যের পর, অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগে ওঠে যে, নেতানিয়াহু আসলে বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে কোন কোন দেশ বা অঞ্চলকে বোঝাচ্ছেন।

নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’সংক্রান্ত মন্তব্যের পরে অনেক আরব দেশ নিন্দা জানিয়েছে। দেশগুলো নেতানিয়াহুর মন্তব্যকে তাদের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণাটিকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে এই ধারণা মূলত দীর্ঘ সময় ধরে চরম জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি তথা জায়নবাদীদের মধ্যে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এই ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ প্রায়শই এমন এক ভিশন হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, যেখানে ভূখণ্ড সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাশাপাশি সিরিয়া, ইরাক, মিশর এবং সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অংশও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

তবে সংকীর্ণ অর্থে ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় যেসব ভূখণ্ড দখল করেছিল, সেগুলো বোঝাতেও এই শব্দবন্ধ ব্যবহৃত হয়। সে সময় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করেছিল।

যদিও নেতানিয়াহুর এই মন্তব্য সাম্প্রতিক এবং ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটি নতুন নয় এবং স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িতও নয়, তারপরও কিছু মানুষের কাছে, গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যা এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের আলোকে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে।

‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ধারণাটির জনক রাজনৈতিক জায়নবাদের জনক থিওডর হার্জল। তিনি তার ডায়েরিতে লিখেছিলেন যে ইহুদি রাষ্ট্র ‘মিসরের প্রবাহ (নীলনদ) থেকে (ইরাকের ইউফ্রেটিস (ফোরাত নদী) পর্যন্ত’ বিস্তৃত হওয়া উচিত। এই বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল বা তানাখের আদিপুস্তকের জেনেসিস অংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। যেখানে আল্লাহ ইব্রাহিম এবং তার বংশধরদের ‘মিসরের প্রবাহ থেকে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত’ বিশাল ভূমি প্রদান করেছেন।

কিছু ইসরায়েলি আবার ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ বলতে তুলনামূলক কম বিস্তৃত একটি এলাকাকে বোঝেন। এই বিষয়ে ইহুদি ধর্মগ্রন্থ বুক অব ডিউটেরোনমি বা যা দ্বিতীয় আইন বইতে উল্লেখ রয়েছে। যেখানে আল্লাহ মূসাকে (আ.) নির্দেশ দেন ফিলিস্তিন, লেবানন, এবং মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার অংশ দখল করতে। আবার অনেকে শামুয়েলের কিতাব থেকে উদাহরণ টানেন। যেখানে রাজা শৌল ও দাউদের অধীনে দখলকৃত ভূখণ্ডের বর্ণনা আছে, যার মধ্যে ফিলিস্তিন, লেবানন এবং জর্ডান ও সিরিয়ার কিছু অংশ রয়েছে।

ইহুদিদের অনেকেই এই ধারণাকে কেবল রাজনৈতিক ধারণা মনে করেন না। বরং তাদের কাছে এটি এক ঐশ্বরিক আদেশ পূরণ এবং তারা যা নিজেদের জন্য অধিকারভুক্ত মনে করে সেই ভূমি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশটির সীমান্ত অস্থির ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময়, ইসরায়েল গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর, সিরিয়ার গোলান মালভূমি এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে। এটি ইসরায়েলের ভূখণ্ড সম্প্রসারণের প্রথম বড় সামরিক প্রচেষ্টা ছিল। পরে সিনাই মিসরের কাছে ফেরত দেওয়া হয় শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে, আর গোলান হাইটস আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা হয়।

এই যুদ্ধের পর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণা নতুনভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, বিশেষ করে ধর্মীয় জায়োনিস্টদের মধ্যে। ২০ শতকের শেষ দিকে, এই শব্দ বন্ধটিকে কিছু ইসরায়েলি ইতিহাস ও ধর্মীয় লক্ষ্য পূরণের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৭ সালে ‘মুভমেন্ট ফর গ্রেটার ইসরায়েল’ নামক রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়, যা ১৯৭০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। এটি দখলকৃত ভূখণ্ড রক্ষা এবং ইহুদি নাগরিকদের বসতি স্থাপনের পক্ষে কাজ করত।

বর্তমান ইসরায়েলি সরকার ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ উল্লেখ আরও সাধারণ হয়ে গেছে। গত বছর অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মতরিচ ইসরায়েলের সীমান্ত সম্প্রসারণের পক্ষে বক্তব্য দেন, যেখানে তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেন।

তিনি বলেছিলেন, ইসরায়েল ক্রমশ সব ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড এবং জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক ও সৌদি আরবের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত করবে। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ধারণার উল্লেখ করে ধর্মীয় সূত্র টেনে তিনি বলেন, ‘লিখিত আছে যে, জেরুজালেমের ভবিষ্যৎ হলো দামেস্ক পর্যন্ত প্রসারিত হওয়া।’

স্মতরিচ ২০২৩ সালে প্যারিসে ইসরায়েলে ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির কর্মীর স্মরণসভায়ও একই ধরনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন। জর্ডানসহ ইসরায়েলের মানচিত্রের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ নামে কোনো কিছু নেই।’ অন্যান্য মন্ত্রী এবং এমপিরাও গাজায় ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করার পক্ষে বক্তব্য রেখেছেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Trial successful Russia
নিয়মিত চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত

ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন

ট্রায়ালে সফল রাশিয়ার যুগান্তকারী ক্যানসার ভ্যাকসিন

মরণব্যধি ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সফল হয়েছে। যা এখন সব রোগীর ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত। রাশিয়ার ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্টসোভা ইস্টার্ন অর্থনৈতিক ফোরামে এ ঘোষণা দেন।

নতুন ভ্যাকসিনটির নাম এন্টারোমিক্স। এটি তৈরি হয়েছে এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করার পর এটি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করে।

নতুন এই ভ্যাকসিন দুর্বল ভাইরাস ব্যবহারের পরিবর্তে মানব শরীরের কোষগুলোকে প্রোটিন তৈরিতে প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর শরীর এমন প্রোটিন তৈরি করে যা ক্যানসার কোষগুলোকে আক্রমণ করে।

পরীক্ষায় কী দেখা গেছে?

ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, ভ্যাকসিনটি তিন বছরের প্রাক-ক্লিনিকাল পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, বারবার ডোজ দেওয়ার পরেও এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। সবচেয়ে ভালো ফলাফল হলো, কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সারের ধরনের ওপর নির্ভর করে টিউমারের আকার ৬০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছোট হয়েছে বা সেগুলোর বৃদ্ধি অনেক কমে গেছে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে, এই ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

কোন ক্যান্সারে এটি কাজ করবে?

প্রাথমিকভাবে, এই ভ্যাকসিনটি কোলন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে। তবে বিজ্ঞানীরা গ্লিওব্লাস্টোমা (এক ধরনের দ্রুত বর্ধনশীল মস্তিষ্কের ক্যান্সার) এবং বিভিন্ন ধরনের মেলানোমা (গুরুতর ত্বকের ক্যানসার, যার মধ্যে চোখের মেলানোমাও অন্তর্ভুক্ত) এর জন্যও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

মন্তব্য

p
উপরে