× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
বরাদ্দ টাকায় কি এমন ঘর সম্ভব?
google_news print-icon

বরাদ্দ টাকায় কি এমন ঘর সম্ভব?

বরাদ্দ-টাকায়-কি-এমন-ঘর-সম্ভব?
বগুড়ায় ধসে পড়ছে সরকারের দেয়া উপহারের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা
স্থপতিবিদেরা বলছেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপহারের বাড়ির যে নকশা, সে অনুযায়ী বাজেট কম ধরা হয়েছে। সব জায়গায় এ বাজেটে মানসম্পন্ন নির্মাণকাজ সম্ভব নয়। আবার পূর্ত প্রকৌশলীরা বলছেন, বাজেট ঠিক আছে। সমস্যা নির্মাণকাজের মানে।   

মুজিববর্ষে উপহার হিসেবে দেয়া ঘরের যে বাজেট, তাতে এই নকশায় তা নির্মাণ সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নির্মাণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত পেশাজীবীরা। তারা বলছেন, এভাবে বানানো ঘরকে টেকসই ঘর বলা যাবে না। এমন নকশাতে একটি ঘর বানাতে প্রয়োজন আরও অর্থ ও সমন্বয়।

আবার অনেকে বলছেন, নির্মাণেও গাফিলতি হয়েছে।

মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে গত ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজার গৃহহীন পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’ স্লোগান সামনে রেখে গৃহহীন পরিবারগুলোকে বিনা মূল্যে ঘর করে দিয়েছে সরকার।

২০ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও ৫৩ হাজার ৩৪০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া হয়।

উপহারের ঘরের প্রতিটিতে রয়েছে দুটি করে শয়নকক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট ও একটি লম্বা বারান্দা। ঘরের নকশা পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই।

প্রতিটি বাড়ির নির্মাণে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে এ প্রকল্পে খরচ হয়েছে ২ হাজার ২৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষার কারণে কয়েকটি এলাকায় এ উপহারের ঘর ভেঙে গিয়েছে। কোথাও কোথাও ঘরের নিচের মাটি সরে গিয়েছে। ঘরের নির্মাণকর্মের মান নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে।

বরাদ্দ টাকায় কি এমন ঘর সম্ভব?
বগুড়ার শেরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত উপহারের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা

বাড়ি নির্মাণে ত্রুটির বিষয়টি সামনে এলে নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে দায়িত্বে অবহেলার জন্য ৫ সরকারি কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে চলছে তদন্তও। গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে নামেন।

প্রকল্পের প্রধান মাহবুব হোসেন বলেছেন, অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। মেরামত করলেই ঘরগুলো থাকার উপযোগী হবে।

তবে দেশের স্থপতিবিদদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, এত কম বাজেটে বাংলাদেশের সব স্থানে একই মডেলের ঘর তোলা সম্ভব নয়। কারণ সব জায়গার মাটি একরকম নয়। ঘরের যে নকশা দেয়া হয়েছে, তা টেকসই ও সম্পূর্ণ করতে দরকার আরও বাজেট।

স্থপতি ইকবাল হাবিব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখানে তিনটি বিষয় কাজ করছে। প্রথমত, বাংলাদেশে ভূমিরূপ হচ্ছে পাঁচ রকমের। হবিগঞ্জের ভূমিরূপ আপনি কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে পাবেন না। আবার ঢাকার ভূমিরূপ দিনাজপুরে পাওয়া যাবে না। সেখানে পাথুরে ভূমি।’

স্থপতি ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘যে জমিতে ঘর বানানো হয়েছে, সেগুলো সব খাস জমি। যেগুলোর সয়েল কন্ডিশন ভালো থাকার কথা না। তার মানে এটাকে আপনি একটা ইউনিফর্ম মডেল বলতে পারবেন না। সারা দেশে যদি আপনি একই মডেল করেন, তবে সেটা সম্ভব না। টেকসই হতে পারে না।’

এটি স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিদ্যার প্রতিফলন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা আপনি খেয়ালখুশিমতো তৈরি করলে হবে না। যদিও সরকার বলছে তারা কারিগরি ম্যানুয়াল তৈরি করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাকেও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার নির্বাচনি এলাকা সিংড়ার জন্য বরাদ্দ ঘরের ছবি পাঠিয়ে আমাকে বলেছিলেন, সেটি ঠিক করে দিতে। আমি এক দিন পরে তাকে ফোন করে বলি, এটা তো এই বাজেটে হবেই না। এটার যে কাঠামো, তার জন্য বেজ নেই। ভূমির সাথে যে পতিত হওয়া, সেটা সম্ভব না। স্ট্রাকচার দেখেই আমি বুঝেছি এটা আলগা।’

ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় তাকে জানিয়েছিলাম, এই নকশাতে ঘর করতে হলে সাড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা লাগবে।’

ইকবাল হাবিবের মতে, যথোপযুক্ত আর্থিক ও কারিগরি বিশ্লেষণের অভাব, প্রকল্প বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো এবং সরকারের কোনো কোনো স্তরে তোষামোদ ও লোকরঞ্জনের জন্য অনেক কম খরচ দেখিয়ে প্রকল্পকে বাস্তবায়নযোগ্য বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।

বরাদ্দ টাকায় কি এমন ঘর সম্ভব?

অল্প বৃষ্টিতেই মাটি সরে ভেঙে পড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ছবি: নিউজবাংলা

তবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ মনে করেন, এ বাজেটে এ রকম বাড়ি তৈরি অসম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দকৃত ঘর দুই শতক জায়গার ওপর তৈরি হয়েছে। ঘরের আয়তন ৩৯৪ বর্গফুট। খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি বর্গফুটে খরচ ধরা হয়েছে ৪৩৪ টাকা করে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়ি ৩৯৪ বর্গফুটের হলে এটা হয়ে যাওয়ার কথা। এখানে জায়গার দাম প্রযোজ্য না। কারণ এটি খাস জমিতে হয়েছে। তার মানে এটি হয়ে যাওয়ার কথা এই টাকায়।’

তিনি ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এখানে তো দামি কোনো ফিটিংস দেয়া হবে না। নরমাল ফিটিংস দেয়া হবে।’

সে ক্ষেত্রে কিছু ভবন ধসে পড়া বা ভেঙে পড়ার কারণ কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নির্মাণকাজের মানের জন্যে হতে পারে। এখানে ঘরের জন্য ছোট ছোট কলাম আছে, যেগুলোর কংক্রিট ঠিকমতো দেয়া হয়নি। রড ঠিকমতো দেয়া হয়নি। তিন-চারটা গ্রেড বিম আছে। সেটাও ঠিকমতো করা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘ছবি দেখে মনে হয়েছে, এই তিনটা জিনিস ফেইল করেছে। গ্রেড বিমটা বসে যাওয়ায় দেয়ালে ফাটল চলে এসেছে। নির্মাণকাজের মান খারাপ হওয়ার জন্যই এটা হয়েছে। এখানে ডিজাইনে কোনো সমস্যা নেই।

‘‌যারা ডিজাইন করেছেন, তারা হিসাব করেই দেবেন। একটা ডিজাইনে তো অনেকগুলো হবে। তাই এখানে না বুঝে দেয়ার কথা না। যারা বাস্তবায়ন করেছেন, সেখানে যদি মান ঠিক না হয়, তবে ধসে পড়বে।’

মাটির সমস্যাও থাকতে পারে বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘কোথাও কোথাও মাটি খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে। ডিজাইনটা হয়তো সাইট স্পেসিফিক হয়নি। যে জায়গার মাটি খারাপ, সেখানে দেবে যেতে পারে। আর একদিকে দেবে গেলে বিম, কলাম, দেয়াল সবকিছুতে ফাটল দেখা দেবে।’

বরাদ্দ টাকায় কি এমন ঘর সম্ভব?
দেশের বিভিন্ন জায়গায় উপহারের ঘরে দেখা গেছে ফাটল। ছবি: সংগৃহীত

এই বিষয়ে জানার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক মাহাবুব হেসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলে তিনি কোনো উত্তর দেননি। তাকে একাধিকবার ফোন করা হয় ও খুদেবার্তা পাঠানো হয়।

উপহারের ঘর নির্মাণে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে পাঁচটি অনুসন্ধান দল করে দেয়া হয়েছে, তার একটির নেতৃত্বে আছেন এই ঘর নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা।

প্রথম দিন মুন্সিগঞ্জের পর দ্বিতীয় দিন তার নেতৃত্বাধীন দলটি যায় বগুড়ায়। সেখানে সদর, শেরপুর ও শাহজাহানপুরে যাওয়ার কথা আগে জানানো হলেও দলটি যায় কেবল শেরপুরের খানপুর ও সীমাবাড়িতে।

এর মধ্যে খানপুর পরিদর্শন করে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘এসব ঘর অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ভেঙে পড়েনি। ভূমিধসের কারণে পাকঘর ও টয়লেট ধসে পড়েছে। এগুলো টেকসই করতে আরসিসি পিলার দিয়েও রক্ষা করা যায়নি।’

আরও পড়ুন:
উপহারের ৮ ঘর ফিরিয়ে আবার গৃহহীন
ঘর ভেঙে ভাইরাল হওয়া সেই কিশোরীর পাল্টা অভিযোগ
তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক-নিরাপত্তাকর্মী সংঘর্ষে আহত ৩
উপহারের নির্মাণাধীন ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ 
ধসে পড়ছে দেখেও প্রতিনিধি দলের মূল্যায়ন, ‘অনিয়ম হয়নি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
The corona test kit is not in the government hospital in Rajbari

রাজবাড়ীর ৫ সরকারী হাসপাতালে নেই করোনা টেস্টের কিট

রাজবাড়ীর ৫ সরকারী হাসপাতালে নেই করোনা টেস্টের কিট

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও রাজবাড়ী জেলার সরকারী কোনো হাসপাতালেই নেই করোনা পরীক্ষার কিট। এমনকি হাসপাতালে কর্মরতরাও পায়নি সুরক্ষা সামগ্রী। এখনও প্রস্তুত করা হয়নি আইসিইউ ইউনিট। এতে হতাশ রোগী ও স্বজনরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে কিট চেয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর সিভিল সার্জন দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইআরপিপি প্রকল্পের আওতায় হাসপাতালটিতে আইসিইউ ইউনিটের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের শেষের দিকে এখনও শুরু হয়নি কার্যক্রম। অথচ হাসপাতালের প্রবেশপথেই টাঙিয়ে রাখা হয়েছে আইসিইউ সেবার সাইনবোর্ড। বিয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ঘুরে জানা গেছে, ‘প্রতিদিনই জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথাসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য আসছেন রোগীরা। কিন্তু করোনা পরীক্ষার কীট ও জনবল সংকটের কারণে ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। কোনো প্রকার উপায় না পেয়ে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে ফরিদপুর-কুষ্টিয়া ও ঢাকায়।

হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে হতাশা আর দুশ্চিন্তা নিয়ে ফেরা রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেন, সংকটের কারণে সুচিকিৎসা হচ্ছে না। করোনা পরীক্ষা না করায় আরো বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে এ জেলার মানুষ।

এদিকে যারা রোগীর পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা দিবেন সেই সব সেবিকা ও কর্মীদেরও দেওয়া হয়নি কোন ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী। ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন তারা।

এ সময় স্যাম্পল সংগ্রহকারী সেবিকা হিরা আক্তার বলেন, ‘এর আগে করোনার সময় হাসপাতাল থেকে মাস্ক, পিপি, হ্যান্ডসেনিটাইজারসহ নানা ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল। এখন প্রতিদিন জ্বর, সর্দি, শরীর ব্যাথাসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের সেবা দিতে হচ্ছে। কীট নেই করোনা পরীক্ষা হচ্ছে না কিন্তু অন্যান্য পরীক্ষা হচ্ছে। যে কারণে হাসপাতালের সেবিকাসহ সবাই ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছি। নিজেরা নিজেদের মত করে সুরক্ষা মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. ফরিদ শেখ বলেন, এত বড় হাসপাতাল শত শত রোগী। এত সব রোগীর পরীক্ষার জন্য মাত্র দুজন টেকনোলজিস্ট দিয়ে চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এতে রিপোর্ট প্রদান করতেও সময় লাগছে বেশি।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. এস এম এ হান্নান বলেন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে আগের সুরক্ষা সামগ্রীগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে নষ্ট হয়েছে। নতুন করে ৩০ হাজার কীট চেয়ে আবেদন করা হলেও পাওয়া যায়নি। ওই কীটগুলো পাওয়া গেলে করোনা টেস্ট কার্যক্রম শুরু হবে। আর আইসিইউ ইউনিটের কাজ শেষে দিকে জনবল না থাকায় সেটিও চালু করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলেন, রাজবাড়ী জেলার শুধু সদর হাসপাতাল নয়! কোনো হাসপাতালেই করোনা পরীক্ষার কীট নেই। জেলা প্রশাসনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। কীট না পাওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা প্রতিহত করতে হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
If any of the banned organization smells of tatat will not be exempted DIG Dhaka Range

নিষিদ্ধ সংগঠনের কারও সঙ্গে আঁতাতের গন্ধ পেলে ছাড় দেয়া হবে না: ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

নিষিদ্ধ সংগঠনের কারও সঙ্গে আঁতাতের গন্ধ পেলে ছাড় দেয়া হবে না: ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ

পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের কারও সঙ্গে আঁতাতের গন্ধ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের যারা রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, তা নাহলে জুলাই শহীদদের প্রতি অবমাননা করা হবে।’

ফরিদপুর জেলা পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক আজ মঙ্গলবার এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ফরিদপুরের সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় না দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।

ডিআইজি বলেন, কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এমনকি দুর্নীতি করলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোনো অপরাধ পরিলক্ষিত হয় তাহলে পুলিশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো রকম অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না।

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবেন। কোনো সেবাগ্রহীতা যেন থানায় এসে ভোগান্তির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশের যা করণীয় তা করতে হবে। আমি শুনতে চাই না, কোনো সেবাগ্রহীতা থানায় এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলার যাতে কোনো অবনতি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

সভাশেষে জুলাই আন্দোলনে শহীদদের স্বজনদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। পরে ফিতা কেটে জেলা পুলিশের মাল্টিপারপাস হলের উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল আজম, আজমির হোসেন এবং সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Inauguration of the week long documentary program on the anniversary of the mass uprising

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল।

এ কর্মসূচির আওতায় ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে।

সপ্তাহব্যাপী এই প্রদর্শনীর প্রথম দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় নির্মিত ‘শ্রাবণ বিদ্রোহ’, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই) প্রযোজিত ‘সময়ের বীর শহিদ তানভীর’ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ নির্মিত ‘দ্য মনসুন রেভুলেশন’ প্রদর্শিত হয়।

প্রদর্শনীতে গ্লোবাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২০০ জন উপস্থিত ছিলেন।

প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো. আবদুল জলিল বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
Mohin again remanded in the murder case of business Sohag

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় মহিন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা মামলায় মহিন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে মাথা থেঁতলে হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে ফের ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তাকে প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

রিমান্ড শেষে এদিন আদালতে হাজির করে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। পরে আদালত আদেশ দেন।

এর আগে গত বুধবার বিকালে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে প্রকাশ্যে কংক্রিট বোল্ডার দিয়ে শরীর ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয় ভাঙারি ও পুরোনো ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে।

এ ঘটনায় নিহতের বোন মঞ্জুয়ারা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলা করেন। এরপর পুলিশ মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এরপর শুক্রবার (১১ জুলাই) কেরানীগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতাল থেকে আলমগীর (২৮) ও মনির ওরফে লম্বা মনির (৩২) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। শুক্রবার (১১ জুলাই) গভীররাতে টিটন গাজী (৩২) নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (১৪ জুলাই) রাতে কাজী নান্নুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নান্নুকে ধরার মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তির সংখ্যা আটজন।

মন্তব্য

বিশেষ
Malaria is becoming terrifying again in Rangamati

রাঙামাটিতে ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়া

জেলায় আক্রান্ত ৬৭৬, মৃত্যু ১ 
রাঙামাটিতে ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়া

পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে ফের ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব। সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলা জুরাছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে দিন দিন বেড়েই চলেছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই চার উপজেলায় ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। অন্যদিকে পুরো জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬৭৬ জন ছাড়িয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসের আংশিক প্রতিবেদনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে বাঘাইছড়িতে ১৬৪ জন, জুরাছড়িতে ২৪৭ জন, বিলাইছড়িতে ১৮৫ জন ও বরকল উপজেলায় ১৮০ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ছয় উপজেলায় জুন মাস পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১৭৮ জন।
চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই বাড়তে থাকে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বছরই এ রোগের সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে।

জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অনন্যা চাকমা জানান, আগে বর্ষাকালেই ম্যালেরিয়া বেশি হতো। এখন বছরের অন্য সময়েও বৃষ্টির কারণে স্থায়ী জলাবদ্ধতায় মশার বিস্তার হচ্ছে। ফলে সারা বছরই রোগী পাওয়া যাচ্ছে।এখন সেটি হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালে জেলার মোট ৪ হাজার ৭১৪ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০২৪ সালে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৭৬৮ জন। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৬ জন।

এদিকে সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলাগুলোতে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় অনেকেই সময়মতো চিকিৎসা নিতে পারছেন না। এই অবহেলা প্রাণঘাতী পরিণতি ডেকে আনছে।

রাঙামাটি সদরের বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের নোয়াদম গ্রামের স্কুলছাত্রী সুদীপ্তা চাকমা (১০) ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার (১২ জুলাই) রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মারা যায়। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানান, স্কুল ছাত্রীটি এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে তার জ্বর বেশি ওঠে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে হাসপাতালে আনার পর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শওকত আকবর খান জানান, হাসপাতালে বতমানে ২ জন ম্যালরিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ম্যালেরিয়ার জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর জ্বর, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, শারীরিক দুর্বলতা, রক্তাল্পতা, জন্ডিস, খিচুনি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে কিডনি বিকল, কোমা এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

এদিকে, স্বাস্থ্য বিভাগ এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক যৌথভাবে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা কার্যক্রম চালাচ্ছে। পাশাপাশি ম্যালেরিয়া নির্ণয় ও বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ম্যালেরিয়া বাড়ে। এবছর আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বেশি। তবে সরকার ম্যালেরিয়া নির্মূলে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রত্যন্ত এলাকায় টিম পাঠানো হচ্ছে। পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা।’ শনিবার (১২ জুলাই) সকালে সুদীপ্তা চাকমা নামে এক স্কুল ছাত্রী ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, রোগীটি এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে জ্বর বেশি আসার পর শনিবার (১২ জুলাই) সকালে যখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তখন তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়ার মতো অবস্থায় ছিল না।
ডা. নূয়েন খীসা আরো বলেন, ‘ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুর্গম ও অসচেতনতার কারণে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মেয়েটি মারা গেছে। আমরা চিকিৎসা করার সুযোগ পাইনি। ‘জ্বর হলে কেউ অবহেলা করবেন না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, মশারি ব্যবহার করা এবং ম্যালেরিয়ার উপসর্গ দেখলেই পরীক্ষা করানোই এর প্রতিরোধের উপায়।’ ২০১৬ সাল থেকে রাঙামাটিতে ম্যালেরিয়া শূন্য কোটায় নিয়ে আসা হয়েছে। দীর্ঘ ৯ বছর পর নতুন করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।’

মন্তব্য

বিশেষ
In the Nilphamari the mango paradise is built in the hands of Ruma

নীলফামারীতে রুমার হাতে গড়ে ওঠেছে আমের স্বর্গরাজ্য

নীলফামারীতে রুমার হাতে গড়ে ওঠেছে আমের স্বর্গরাজ্য

রুমা অধিকারীর শৈল্পিক শখ এখন পরিণত হয়েছে এক সম্ভাবনাময় কৃষি উদ্যোগে। স্বামী পুলিশের চাকরির সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন রংপুরে। সেখানে বসবাসকালে ইউটিউবে বড় বড় বিদেশি আমের ভিডিও দেখে তার মনে জাগে আম চাষের আগ্রহ। শখ থেকেই শুরু। ২০২৩ সালের শেষের দিকে রংপুর থেকে ফিরে স্বামীর বাড়ি, নীলফামারী সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়ায় এক একর জমিতে শুরু করেন নানা জাতের আমের চাষ।

রোপণকৃত ৩০০টি আমগাছের মধ্যে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় ১০টি ভিন্ন ভিন্ন জাতের আম। এর মধ্যে রয়েছে জাপানের কিং অফ চাকাপাত, চীনের চ্যাং মাই, ডকমাই, ব্যানানা আম এবং আমেরিকার রেড পালমার, হানি ডিউসহ আরও নানা জাতের উন্নত মানের আম।

এই আমগাছগুলোতে মার্চ মাসে মুকুল আসে এবং জুলাই-আগস্ট মাসে পরিপক্ব হয়। লেট ভ্যারাইটির হওয়ায় এসব আম তুলনামূলক দেরিতে পাকে, ফলে দেশীয় আমের মৌসুম শেষে বাজারে এই আমের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। বাজারে দেশীয় আমের সরবরাহ যখন কমে যায়, তখন রুমার বাগানের আমই হয় বিকল্প উৎস। এতে যেমন চাষিরা লাভবান হন, তেমনি বাজারেও মেলে উন্নত জাতের আম।

আজ তার সেই আমবাগান যেন রঙিন এক আমের স্বর্গরাজ্য। যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই নানা আকৃতি, রং ও স্বাদের আম। রুমা অধিকারী নিজেই পরম যত্নে গাছগুলো পরিচর্যা করেন। স্বামী দুলাল অধিকারী ছুটিতে বাড়ি এলে তিনিও সহায়তা করেন এই কর্মযজ্ঞে। শুরুটা ছিল স্বল্প পুঁজি নিয়ে, কিন্তু রুমা অধিকারীর স্বপ্ন অনেক বড়।

জানতে চাইলে রুমা অধিকারী বলেন, ‘প্রথমে তো এটা ছিল শুধুই একটা শখ, কিন্তু এখন এটা আমার স্বপ্ন। আমি চাই, দেশের মানুষের কাছে ভিন্ন জাতের উন্নতমানের আম পৌঁছাক, যেন আম আমরাও বিশ্বমানের ফল চাষে পিছিয়ে না থাকি। নিজের হাতে গাছ লাগানো, পরিচর্যা করা, আর একেক সময় ফল আসতে দেখা- এই আনন্দ ভাষায় বোঝানো যায় না। আমি বিশ্বাস করি, নারী হয়েও সফল কৃষি উদ্যোগ গড়ে তোলা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমার স্বপ্ন হলো- এই আমবাগানকে আরও বড় করে তোলা, যাতে এলাকার আরও মানুষ কাজের সুযোগ পায়। সরকার যদি সুদমুক্ত ঋণ দেয়, তাহলে আমি এই উদ্যোগকে বাণিজ্যিকভাবে আরও শক্ত অবস্থানে নিতে পারব।’

রুমা অধিকারীর স্বামী দুলাল অধিকারী বলেন, ‘আমি যখনই ছুটি পাই তখনই বাসায় আসি। এখানে এসে আমার স্ত্রীকে আম বাগানের পরিচর্যায় সহযোগিতা করি।’

স্থানীয় উত্তম রায় নামে এক যুবক বলেন, ‘রুমা বৌদি যে পরিশ্রম করে তার আম বাগান সাজিয়েছে, তা আমরা যুবকরাই পারব কি না, সন্দেহ। তার আম চাষ দেখে আমাদেরও আম চাষের অনুপ্রেরণা জুগছে।’

শওকত ইসলাম নামে আরেক যুবক বলেন, ‘মানুষের মুখে শুনেছিলাম এখানে বিভিন্ন ধরনের আম গাছ আছে। তাই আমগুলো দেখতে এবং খেতে এসেছিলাম। আমগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, ‘আম চাষে রুমা অধিকারীকে শুরু থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তার সফলতা শুধু একটি ব্যক্তিগত গল্প নয়, বরং এটি একটি উদাহরণ। যা দেখিয়ে দেয় পরিকল্পনা, শ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকলে কৃষিতেও গড়ে তোলা সম্ভব টেকসই ভবিষ্যৎ। যদি এমনভাবে তরুণ-তরুণীরা কৃষি খাতে এগিয়ে আসে, তবে তা দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী ও সম্ভাবনাময় করে তুলবে।’

মন্তব্য

বিশেষ
There will be no new dictatorship on the ground of Bengal Nahid Islam

বাংলার মাটিতে আর কোনো নব্য স্বৈরাচারের স্থান হবে না : নাহিদ ইসলাম

বাংলার মাটিতে আর কোনো নব্য স্বৈরাচারের স্থান হবে না : নাহিদ ইসলাম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা স্বৈরাচার হাসিনাকে হটিয়েছি, আর কোনো নব্য স্বৈরাচারের স্থান এ বাংলার মাটিতে হবে না।

তিনি বলেন, ‘আগামীতে আমরা ইনসাফের বাংলাদেশ গড়বো, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবেনা। যেখানে মানুষের মাঝে কোনো ভেদাভেদ থাকবেনা, চাঁদাবাজ, ধর্ষক, লুটেরাদের স্থান থাকবেনা, আমরা এমন বাংলাদেশ চাই।’

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় ভোলা শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এনসিপির জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে চলমান সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গ্যাসের শহর ভোলা। এ জেলার গ্যাস দেশের বিভিন্ন জেলায় যায় অথচ ভোলার জনগণকে গ্যাস থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। ভোলাবাসীর সাথে বৈষম্য করা হচ্ছে।

জুলাই বিপ্লবে দ্বীপ জেলা ভোলার ৫৭ শহীদকে স্মরণ করে নাহিদ বলেন.‘কোনো একক জেলা হিসেবে জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন ভোলাতে। তাই আজ আমরা এসেছি ভোলাবাসীকে আপন করে নিতে। ভোলাবাসীর সাথে আর বৈষম্য করা হবে না। জাতীয় নাগরিক পার্টি আপনাদের পাশে থাকবে।’

এনসিপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা স্বৈরাচার হাসিনাকে তাড়িয়েছি আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান এ দেশের মাটিতে হবে না। প্রতিবাদের জায়গা হলো ভোলা। ভোলার বীর সেনারা জুলাই আগস্টের আন্দোলনে যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, সেই ভোলার মানুষ কোন চাঁদাবাজ, ধর্ষককে স্থান দেবে না।

তিনি বলেন, ‘ভোলায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত খারাপ। এখানকার হাসপাতালটি অকেজো। ভোলার যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটা পিছিয়ে যা অন্য কোথাও নেই। আপনাদের জাতীয় নাগরিক পার্টি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে এ ভোলা হবে একটি সুন্দর সমৃদ্ধশালী জেলা।’

ভোলা জেলা এনসিপি আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাকসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মশিউর রহমান, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আক্তার মিতু, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন। জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত হাসনাইন, সংগঠনের ভোলা জেলা সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও সমন্বয়কারী ইয়াসির আরাফাত।

ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জেলার ৭ উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহণ করে।

এর আগে এনসিপি কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ ভোলা শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকা থেকে শুরু করে সমাবেশস্থল পর্যন্ত এক পদযাত্রায় অংশ নেন।

মন্তব্য

p
উপরে