× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
ভিক্ষু থেকে অস্ত্র হাতে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই
google_news print-icon

ভিক্ষু থেকে অস্ত্র হাতে জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই

ভিক্ষু-থেকে-অস্ত্র-হাতে-জান্তার-বিরুদ্ধে-লড়াই
মিয়ানমারের বৌদ্ধ ভিক্ষু চিয়াও সোয়ার হিতা এখন জর্জ মাইকেল নাম নিয়ে সশস্ত্র লাড়াই করছেন সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে। ছবি: ভাইস
বিহারের শান্ত সৌম্য পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে দমন পীড়নের বিরুদ্ধে ভিক্ষুদের বিক্ষোভে যোগ দেয়ার অতীত ইতিহাস আছে। এবারও সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কিছু সংখ্যক ভিক্ষুর অবস্থান পরিষ্কার।

মিয়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের ওপর চলছে সামরিক জান্তার নির্মম নির্যাতন। এমন অবস্থায় অনেকেই বেছে নিয়েছেন সশস্ত্র সংগ্রামের পথ। এমনই একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন কাহিনী তুলে ধরেছে সংবাদ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সভিত্তিক সাইট ভাইস। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন রুবাইদ ইফতেখার

বেশ কয়েকবার নাম বদলানো চিয়াও সোয়ার হিতা একজন সাবেক ভিক্ষু। এখন পরিচয় দেন জর্জ মাইকেল নামে। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার সময় তার মনে হয়, এটাই বোধহয় শেষ খাওয়া। প্রয়োজনে তিনি ও তার সহযোদ্ধারা জীবন দিতেও প্রস্তুত। প্রত্যেকের ইউনিফর্মের বুক পকেটে একটা করে গ্রেনেড। যেটি শত্রুর দিকে ছুড়ে মারার জন্য নয়, রাখা হয়েছে মিয়ানমারের সৈনিকদের হাতে ধরা পড়ার আগে নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার জন্য।

৩৩ বছর বয়সী এই ভিক্ষুর সঙ্গে যোগাযোগ হয় ফোনে। পূর্ব মিয়ানমারের অজ্ঞাত কোনো জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় তিনি বলেন, ‘আমরা কখনওই আত্মসমর্পণ করব না। তারা আমাদের ধরতে পারলেও, শুধু আমাদের মৃতদেহই পাবে। জীবিত পাবে না। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমরা লড়ে যাব।’

১ ফ্রেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চিকে উৎখাতের পর মিয়ানমারের ওই অঞ্চলেই জান্তাবিরোধীরা জড়ো হয়েছেন।

অস্ত্র হাতে লড়াইরত এই সাবেক ভিক্ষুর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়গুলো তার বদলাতে থাকা নামের মধ্যেই পাওয়া যায়। নাম পালটানো মিয়ানমারে স্বাভাবিক ঘটনা। চিয়াও সোয়ার হিতায় হিসেবেই আগে তাকে সবাই চিনতেন। ভিক্ষু হওয়ার পর উ চেয়থারা নাম গ্রহণ করেন তিনি। সবশেষ ভিক্ষুর পোশাক ত্যাগের পর নিজেকে জর্জ মাইকেল হিসেবে পরিচয় দেন। বিখ্যাত পপস্টারের নাম হলেও এই মিল আসলে কাকতালীয়।

কিছুদিন আগেও কারেন রাজ্যের একেবেঁকে চলা পাহাড়ি পথ ও জঙ্গলগুলোতে আদিবাসী সশস্ত্র দলগুলোর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ লেগে থাকত। কিন্তু গণতন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়া অভ্যুত্থানের পর থাইল্যান্ডের সীমান্তের কাছের এই জঙ্গলে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামে যোগ দিয়েছেন কবি, গায়ক, এমনকি সাবেক এক সুন্দরী মডেলও।

ধীরে ধীরে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও প্রতিবাদের জায়গা নিয়েছে নতুন পদ্ধতি, যেখানে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি শহরেও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।

মিয়ানমারের দ্বিতীয় বড় শহর মান্দালায়ের গত মাসে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণ, গোলাগুলি ও সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষের খবর নিয়মিত শিরোনাম হতে থাকে।

বিহারের শান্ত সৌম্য পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসে দমন পীড়নের বিরুদ্ধে ভিক্ষুদের বিক্ষোভে যোগ দেয়ার অতীত ইতিহাস আছে। এবারও সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে কিছু সংখ্যক ভিক্ষুর অবস্থান পরিষ্কার। তবে বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির ধর্মীয় নেতাদের কয়েক জন সামরিক জান্তার সঙ্গে হাতও মিলিয়েছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ রিচার্ড হরসি বলেন, ‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে অনেকেই সশস্ত্র আন্দোলন করেছেন; তাদেরই একজন ছিলেন সায়া সান। যিনি ভিক্ষুর বেশ ত্যাগ করে ব্রিটিশবিরোধী কৃষক আন্দোলনে অংশ নেন।’

এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে ৯০ এর দশকে ভিক্ষু উ থুজানা ডেমোক্র্যাটিক কারেন বুদ্ধিস্ট আর্মির বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।

হরসি আরও বলেন, ‘ভিক্ষুদের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নেয়াটা খুব অস্বাভাবিক বিষয় নয়। মিয়ানমারের নানা শ্রেণির মানুষ অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করছেন এবং জনগণের ওপর শাসকদের নিপীড়নের জন্য সবাই ক্ষুব্ধ। সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতায় যাওয়া থেকে বিরত রাখতে অস্ত্র হাতে নেওয়া নেয়াসহ যেকোনো কিছু করতেই তারা প্রস্তুত।’

২০০৭ সালে তৎকালীন সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে স্যাফ্রন রেভোল্যুশন সংঘটিত হয়, যাকে কঠোর ভাবে দমন করে সামরিক বাহিনী। ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা উ গামবিরা এবার মাইকেলের লড়াই নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

২০০৭ আন্দোলনে অংশ নেয়ার কারণে চার বছর জেল খাটতে হয় গামবিরাকে। তাকে কারাগারে নির্যাতন করা হয়, যার যন্ত্রণা তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০১২ সালে সাধারণ ক্ষমায় মুক্তি পান গামবিরা। তবে রাজনৈতিক বন্দি হওয়ার কারণে কোনো বিহার তাকে গ্রহণ করেনি। ভিক্ষু পরিচয় ছেড়ে তাকে অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হয়েছে।

মাইকেল বিহার ছেড়ে দেয়ায় কষ্ট পেয়েছেন গামবিরা। তবে একই সঙ্গে তার কিছুটা গর্ববোধও রয়েছে। গামবিরা বলেন, ‘এটা তার (মাইকেল) ব্যক্তিগত চাওয়া ছিল না। দেশ ও জনগণের ডাকে তিনি ভিক্ষুর জীবন ত্যাগ করেছেন।’

কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রেডিও ফ্রি এশিয়ার মিয়ানমার শাখাকে মাইকেল তার পুরনো এবং বর্তমান জীবন ও দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক ফারাকের কথা জানান।

সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যখন ভিক্ষু ছিলাম তখন হত্যা করা নিষেধ ছিল। আর এখন আমরা হত্যার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। আমি জানি না যুদ্ধে আমি আসলেই কাউকে হত্যা করতে পারব কিনা। আগে কাউকে হত্যা করা তো দূরের কথা, অন্যদেরকে আমি হত্যা করতে বারণ করতাম। অথচ এখন সৈনিক হিসেবে আমি হত্যা করতে প্রস্তুত।’

মাইকেল এখন অধিকাংশ সময় জঙ্গলে কাটান। তিনি জানান, সঙ্গে ছোট একটা দল আছে, যারা মিয়ানমারের সৈনিকদের বিরুদ্ধে ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ করছে। এখন তিনি ‘পিছু না হটার’ নীতিতে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, “আমাদের স্লোগান হচ্ছে ‘ম্যাগাজিন খালি হয়ে গেলে তাদের লাকড়ি দিয়ে মার।’”

ইয়াঙ্গুনে জন্ম ও বেড়ে ওঠা মাইকেল, চার সদস্যের পরিবারের ছোট ছেলে। ছোটবেলায় তার পরিবার হ্লাইং থারিয়ার অঞ্চলে আসেন। মাইকেলের বয়স যখন ১০ বছর তখন তার বাবা মারা যান। তারপরও তার শৈশব আনন্দে কেটেছে। আর পারিবারিক ব্যবসাও ভালো যাচ্ছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি দারুণ একটা জীবন পেয়েছি। মাঝে মাঝে আমার পরিবারের কাছ থেকে মাত্রাতিরিক্ত আদরও পেতাম।’

২০ বছর বয়সে মা তাকে ভিক্ষু হতে বলেন। ক্যান্সারের রোগী হিসেবে ছেলেকে ভিক্ষুর গেরুয়া পোশাকে দেখতে পাওয়ার তার জন্য ছিল শান্তির।

শ্রমজীবী মানুষ ও পোশাক শ্রমিকেরা থাকেন হ্লাইং থারিয়ারে, যেটি ইয়াংগুনের দরিদ্রতম এলাকাগুলোর একটি। দাতব্য কাজের জন্য মাইকেলের বিহারটি দ্রুত পরিচিতি লাভ করে।

তিনি জানান, গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় ও খাবার এবং জনসাধারণকে জরুরি সহায়তা দিতেন ভিক্ষু থাকার সময়।

তবে দেশের অনেকের মতোই ১ ফেব্রুয়ারির পরের দিনগুলোতে মাইকেল তার চোখের সামনে ঘটা দৃশ্যে প্রচণ্ড মর্মাহত হন। ওইদিন অং সান সুচিকে গ্রেপ্তারের পর ইন্টারনেট কেটে দেয়া হয় এবং ভয়াবহ শক্তি প্রয়োগের আগে মাত্র কয়েক দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন মেনে নেয়া হয়।

শুরুর দিককার নৃশংস দমন পীড়ন দেখে মাইকেল তার বিহার ছেড়ে সেফ হাউসে ওঠেন এবং বিক্ষোভে অংশ নিতে শুরু করেন। আন্দোলনের একটি ছবিতে তাকে দেখা যায় ফুলের তৈরি হার্ট আকৃতির মালা উঁচিয়ে রেখেছেন। মার্চে হ্লাইন থারিয়ারে অসংখ্য লোককে হত্যা করা হলে তিনি ভিন্ন পথ অবলম্বনের চেষ্টা করেন।

মাইকেল বলেন, ‘তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। যে কারণে বিপ্লবীদের আন্দোলনে যোগ দেই, আমি তখন ভীষণ ক্ষুব্ধ ছিলাম।’

মার্চে যখন মাইকেল পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন মায়ের মৃত্যুর সংবাদ পান। তবে তাকে দ্রুত পালাতে হয়, কারণ সামরিক জান্তা তার বিপ্লবী কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে জেনে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘মাকে বিদায় জানানোর যথেষ্ট সময় পাইনি। আমি তার সমাধিফলকের রংটাও জানি না।’

বাসে চেপে ইয়াংগুন থেকে পালান মাইকেল। ভিক্ষু বেশের কারণে বিভিন্ন চেকপয়েন্টে তাকে সৈন্যরা খেয়াল করেনি।

পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে তিনি দেশের অন্যতম বড় সশস্ত্র বাহিনী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন অধিকৃত মুক্ত অঞ্চলে পৌঁছান।

মাইকেল ওই এলাকায় নতুন আসা অন্যদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। শিগগিরই তিনি ফ্রন্ট লাইনারদের ছোট একটা গ্রুপের নেতৃত্ব পান ও কৌশলগত পোস্টগুলি রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত হন।

তারা এখন প্রতিদিন ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠেন। মাইকেলের অধীনে অস্ত্র পরীক্ষা করা হয়। সবাই সকালের অনুশীলন শেষে ৮টার দিকে নাস্তা সারেন। এরপর দুপুরে খাওয়ার আগ পর্যন্ত আবার চলে প্রশিক্ষণ। দুপুরের পর চলে ক্লাস। ৬টায় রাতের খাবার খেয়ে তারা জঙ্গলে ফিরে যান ও রাতের শোবার জন্য একটা যুতসই জায়গা খুঁজে বের করেন।

সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে রক্ষা পেতে তারা কেউ ক্যাম্পে ঘুমান না। বহু বছর পর ওই এলাকায় বিমান হামলা শুরু হয়েছে।

মাইকেল জানান, তার জীবন পালটে গেলেও মানুষকে সেবা করার মানসিকতা বদলায়নি। এখন তিনি তাদেরকে সাহায্য করছেন, যারা ‘গণতন্ত্র ও সত্যের’ পক্ষে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
Trump Modi called a friend again after a bitterness

তিক্ততা কাটিয়ে ফের বন্ধু বলে ডাকলেন ট্রাম্প-মোদি

তিক্ততা কাটিয়ে ফের বন্ধু বলে ডাকলেন ট্রাম্প-মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৭৫তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তিক্ততার মাঝেই গতকাল মঙ্গলবার দুই নেতার ফোনালাপ হয়েছে।

ট্রাম্প-মোদির এই ফোনালাপকে সম্পর্কের শীতলতা কাটার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফোনালাপের পর ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। লিখেছেন, মোদি একটি অসাধারণ কাজ করছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে সহায়তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ।

রাশিয়ার কাছে থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে সম্প্রতি ভারতের ওপর শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। পারস্পরিক মিলিয়ে দেশটির ওপর আরোপ হওয়া মোট শুল্কের পরিমাণ ৫০ শতাংশ। বিবিসি বলছে, এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পর মোদির সঙ্গে এটিই ট্রাম্পের প্রথম ফোনালাপ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুভেচ্ছা বার্তার জবাবও দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এক্সে লিখেছেন, ‘জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমার বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ। আপনার মতো আমিও ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আপনার পদক্ষেপে আমাদের সমর্থন আছে।’

এর আগে শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে উভয় নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ভারত ট্রাম্প প্রশাসনের বাড়তি শুল্ককে ‘অন্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করেছিল। আর ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেছিলেন ট্রাম্প। উভয়পক্ষের তীক্ষ্ণ মন্তব্য আদানপ্রদানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনাগুলোও স্থগিত হয়।

তবে গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন বাণিজ্য আলোচক ব্রেন্ডান লিঞ্চের নেতৃত্বে একটি দল দিল্লিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

দিল্লির কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের বৈঠককে কোনো বাণিজ্য আলোচনার শুরু হিসেবে দেখা ঠিক হবে না। এটি আলোচনা করার চেষ্টা মাত্র।

মন্তব্য

বিশেষ
Landmine explosion in Pakistan killed 5 soldiers

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচ সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে সামা টিভির খবরে বলা হয়েছে।

গত সোমবার কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) নিশ্চিত করেছে।

আইএসপিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা উচ্ছেদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী একটি অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, যার ফলে পাঁচজন সেনা নিহত হন।

নিহত সেনারা হলেন ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের এই আত্মত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভারত-পৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিরাপত্তা বাহিনী জাতির সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ গত এক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন।

এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন। নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালাচ্ছিল।

মন্তব্য

বিশেষ
China invites Bangladesh to join Global Governance Initiative

বাংলাদেশকে গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে যোগদানের আমন্ত্রণ চীনের

বাংলাদেশকে গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভে যোগদানের আমন্ত্রণ চীনের চীনা দূতাবাস । ছবি: সংগৃহীত

ন্যায়সঙ্গত ও অধিক ভারসাম্যপূর্ণ বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকেও গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভ (জিজিআই) এ অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন।

চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিংয়ের উদ্যোগে গৃহীত এ কর্মসূচির লক্ষ্য বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ‘চীনা সমাধান’ উপস্থাপন করা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন গত সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়ামের সঙ্গে বৈঠককালে এ আমন্ত্রণ জানান।

মঙ্গলবার ঢাকার চীনা দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোমবারের বৈঠকে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, প্রত্যক্ষ সহযোগিতা, বৈশ্বিক শাসন উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, উভয় দেশই সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা নির্বিঘ্নে চলছে এবং বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দু’দেশের নেতাদের মধ্যে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।

পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম (গ্লোবাল গভর্ন্যান্স ইনিশিয়েটিভকে (বৈশ্বিক শাসন উদ্যোগ) স্বাগত জানিয়ে এর প্রশংসা করেন। তিনি এটিকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সি জিনপিংয়ের সময়োপযোগী উদ্যোগ হিসেবেও উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ এবং দুই দেশের জনগণের কল্যাণে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে সহযোগিতা গভীর করার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

বিশেষ
Israel has become one

ইসরায়েল একঘরে হয়ে পড়েছে

স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু
ইসরায়েল একঘরে হয়ে পড়েছে

ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়েছে বলে প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গাজায় চলমান যুদ্ধ ও কট্টর উগ্র ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি বলেছেন, দেশকে এখন স্বনির্ভর অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। গত সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ ও তার সরকারের কট্টর ডানপন্থি নীতির কারণে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপে পড়ে অবশেষে প্রথমবারের মতো ইসরাইলের একঘরে হয়ে পড়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এক ধরনের বিচ্ছিন্নতার মধ্যে চলে যাচ্ছি, আর আমাদের ধীরে ধীরে এমন এক অর্থনীতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে যেখানে স্বনির্ভরতার বৈশিষ্ট্য থাকবে।’

মূলত নেতানিয়াহুর সরকার এতদিন কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিল। তবে মাসের পর মাস নানা সতর্কবার্তার পর নেতানিয়াহুর এই বক্তব্যকে বড় ধরনের স্বীকারোক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ইসরায়েলি দৈনিক দ্য মার্কারও নেতানিয়াহুর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তিনি বলেছেন- দেশ এখন ‘এক ধরনের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার’ মধ্যে আছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাইরের ওপর নির্ভরতা এড়াতে ইসরায়েলকে নিজেদের অস্ত্র নিজেকেই তৈরি করতে হবে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাজ্য, স্পেন ও কানাডা ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করেছে। অন্যদিকে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, নরওয়ে ও যুক্তরাজ্যসহ আরও কয়েকটি দেশ চলতি মাসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে নেতানিয়াহুর এই মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী নেতা ইয়ার লাপিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতা ভাগ্য নয়, এটা নেতানিয়াহুর ভুল ও ব্যর্থ নীতির ফল। তিনি ইসরায়েলকে তৃতীয় বিশ্বের দেশে পরিণত করছেন এবং পথ বদলানোরও চেষ্টা করছেন না।’

মন্তব্য

বিশেষ
Israels ground campaign begins in Gaza

গাজায় এবার ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

গাজায় এবার ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরু

গাজা সিটিতে মঙ্গলবার ভোরের আগে ইসরায়েল তাদের বহুল প্রতীক্ষিত স্থল হামলা চালিয়েছে। এর কিছুক্ষণ আগেই সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গাজায় হামাস নির্মূল করার ইসরায়েলের লক্ষ্যকে সমর্থন জানান।

এদিকে জাতিসংঘের এক তদন্তে অভিযোগ আনা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের উসকানির জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।

রাতে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণ চালায় এবং একইসঙ্গে ওই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় নগরকেন্দ্রে স্থলবাহিনী অগ্রসর হয়।

সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত রাতে আমরা গাজা সিটির পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে, মূল ধাপে প্রবেশ করেছি... বাহিনী হামাসের প্রধান ঘাঁটি গাজা সিটিতে স্থল অভিযান সম্প্রসারিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা গাজা সিটির কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’ সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করেন, সেনারা শহরের কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করেছে কি না, তখন তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ।’

সেনাদের হিসাব অনুযায়ী, ওই এলাকায় প্রায় ‘দুই হাজার থেকে তিন হাজার হামাস যোদ্ধা’ সক্রিয় রয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেন, গাজা সিটি এখন ‘আগুনে জ্বলছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইডিএফ (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সন্ত্রাসী অবকাঠামোর ওপর লোহার মুঠোয় আঘাত হানছে, আর আইডিএফ সেনারা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করছে যাতে জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা এএফপিকে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণ চলছে—অক্টোবর ২০২৩-এ হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি হামলার কারণে যার অনেকাংশই ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

২৫ বছর বয়সি বাসিন্দা আহমেদ গাজাল বলেছেন, ‘আমরা তাদের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি।’

গত সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে রুবিও এই সামরিক অভিযানে জোরালো সমর্থন দেন। নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজা সিটি দখলের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসরায়েল ছাড়ার সময় রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মনে করি একটি চুক্তি হওয়ার জন্য সময় খুবই সীমিত। আর মাস নয়, আমাদের হাতে হয়তো কেবল কয়েক দিন কিংবা হয়তো কয়েক সপ্তাহ আছে।’

তিনি বলেন, হামাসকে নিরস্ত্র করার কূটনৈতিক সমাধানই যুক্তরাষ্ট্রের অগ্রাধিকার রয়ে গেছে।

তবে তিনি যোগ করেন, ‘কখনো কখনো যখন হামাসের মতো বর্বরদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, তখন সেটা সম্ভব হয় না। তবু আমরা আশা করি এটি ঘটতে পারে।’

জেরুজালেমে গত সোমবার গাজায় আটক জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রুবিও। তিনি স্বীকার করেন, জিম্মিদের হাতে রেখে হামাস বর্তমানে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

তিনি বলেন, ‘যদি কোনো জিম্মি না থাকত আর কোনো বেসামরিক নাগরিক বাধা হয়ে না দাঁড়াত, তবে এই যুদ্ধ এক বছর ছয় মাস আগেই শেষ হয়ে যেত।’

অন্যদিকে জিম্মিদের পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী একটি সংগঠন জানিয়েছে, নেতানিয়াহু হামলার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা তাদের প্রিয়জনদের জন্য ‘ভয়ে আতঙ্কিত।’

তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘তিনি (নেতানিয়াহু) এমন সবকিছু করছেন যাতে কোনো চুক্তি না হয় এবং যাতে তাদের (জিম্মিদের) ফেরত আনা না যায়।’

মন্তব্য

বিশেষ
The United States declares to give Israel a constant support for the Gaza conflict

গাজা সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

গাজা সংঘাত নিয়ে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

ফিলিস্তিনের গাজায় নৃশংস হামলা ও হত্যাযজ্ঞের মধ্যে ইসরায়েল সফর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাতে ইসরায়েলকে ‘অবিচল সমর্থন’ দিয়ে যাবে তার দেশ। উপত্যকাটি থেকে হামাসকে নির্মূল করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

রুবিও ইসরায়েলে পৌঁছান গত রোববার। এরপর গত সোমবার জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, এমন পদক্ষেপ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না। তা শুধু হামাসকে আরও সাহসী করে তুলবে।

রুবিও বলেন, ভালো একটি ভবিষ্যৎ গাজার বাসিন্দাদের প্রাপ্য। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত হামাসকে নির্মূল না করা হবে, ততক্ষণ তারা কোনো ভালো ভবিষ্যৎ পাবে না। নেতানিয়াহুর উদ্দেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি আমাদের অব্যাহত সমর্থন ও অঙ্গীকারের ওপর নির্ভর করতে পারেন।’ গাজা নগরী দখলে ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করেন নেতানিয়াহু। তাকে সম্বোধন করেন ইসরায়েলের ‘সর্বকালের সবচেয়ে ভালো বন্ধু’ হিসেবে। নেতানিয়াহু বলেন, রুবিওর সফর স্পষ্টভাবে এই বার্তা দিচ্ছে যে ইসরায়েলিদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

এমন সময় রুবিও ইসরায়েলকে সমর্থনের ঘোষণা দিলেন, যখন আজ শুধু গাজার উত্তরে গাজা নগরীতেই অন্তত ২৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর আগের দিনও শহর এলাকায় অন্তত ৫৩ জনকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলের হামলা ও হুমকির মুখে সেখান থেকে পালাচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এর বাইরে পুরো উপত্যকায় চলছে ইসরায়েলের হামলা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন। জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয় প্রায় ২৫০ জনকে। সেদিন থেকেই গাজায় তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর পর থেকে ২৩ মাসের বেশি সময়ে উপত্যকাটিতে হামলায় প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৬৩ হাজারের বেশি মানুষ।

মধ্যপ্রাচ্যে নানা বিষয় নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যেই ৯ সেপ্টেম্বর কাতারের রাজধানী দোহায় হামলা চালায় ইসরায়েল। দোহায় অবস্থান করা হামাস নেতাদের উদ্দেশ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর। তবে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কাতার। বন্ধুদেশের ওপর হামলার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্পও।

এমন পরিস্থিতিতে আজ থেকে দোহায় শুরু হয়েছে আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে আরব ও মুসলিম দেশের নেতারা কাতারে পৌঁছেছেন। এর আগের দিন এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি ইসরায়েলের ব্যাপক সমালোচনা করেন। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানানোয় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, কাতারের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আইনি ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

মন্তব্য

বিশেষ
Russias warning to seize wealth

সম্পদ জব্দ নিয়ে ইউরোপকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

সম্পদ জব্দ নিয়ে ইউরোপকে রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

জব্দ সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা নিয়ে ইউরোপকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলেছে, রাশিয়ার সম্পদ কেড়ে নেওয়া ইউরোপের যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে লেনদেন সীমাবদ্ধ করে। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ জব্দ করে।

বিপুল পরিমাণ এই সম্পদ এখন ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় দেশগুলো। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন একটা নতুন উপায় খুঁজছেন যার মাধ্যমে ওইসব সম্পদ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহার করা যায়।

এমন প্রতিবেদন সামনে আসার পর গত সোমবার রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, যদি এমনটা ঘটে, চলতি শতকের শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে ধাওয়া করবে রাশিয়া।

তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি যারা রাশিয়ার সম্পদ দখলে জড়িত থাকবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোকেও ছাড়া হবে না। তিনি বলেন, রাশিয়া সম্ভাব্য সব উপায়ে, সব আন্তর্জাতিক ও জাতীয় আদালতে এবং আদালতের বাইরেও ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোকে ধাওয়া করবে।

জব্দ সম্পদ নিয়ে রাশিয়া বলছে, তাদের সম্পদ দখল মানে চুরি করা। এতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বন্ড ও মুদ্রার ওপর আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর বক্তব্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধে ইউক্রেন ধ্বংসের জন্য রাশিয়াই দায়ী। তাই মস্কোর সঙ্গে জোর করে হলেও ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে।

তবে কিছু ব্যাংকার সতর্ক করে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ জব্দের নজির বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে পশ্চিমা দেশগুলোর বন্ড কেনায় নিরুৎসাহিত করতে পারে এবং পশ্চিমা দেশগুলোর বিনিয়োগে আস্থা কমতে পারে।

মন্তব্য

p
উপরে