× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
দুদকের সুপারিশ ফাইলবন্দি মন্ত্রণালয়ে
google_news print-icon

দুদকের সুপারিশ ফাইলবন্দি মন্ত্রণালয়ে

দুদকের-সুপারিশ-ফাইলবন্দি-মন্ত্রণালয়ে
দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা সংস্থাগুলোর দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করে। এরপর কার্যপ্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু তা আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বন্ধ হচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি।

অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া সুপারিশ আমলে নিচ্ছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ঘুষ-বাণিজ্য, নিয়োগে অনিয়ম, ক্রয়-বিক্রয়ে পুকুর চুরি, টেন্ডারবাজি ও জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম বন্ধে দুদকের দেয়া সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই হয়ে আছে ফাইলবন্দি।

সুপারিশ বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ দুদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দুদক কমিশনার বলেন, ‘সরকারি সেবাদানে বিদ্যমান দুর্নীতি, হয়রানি নিরসনে পদ্ধতিগত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। দুদকের সুপারিশ বিচার-বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়ন করা হলে জনগণ উপকৃত হবে। কিন্তু তা না করে, সুপারিশগুলো দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দুদকের সুপারিশের আলোকে কাজ করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন। তবে এর বাইরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা সংস্থাগুলোর দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করে। এরপর কার্যপ্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু তা আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বন্ধ হচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি।

দুদকের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা, দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস ও তা প্রতিরোধের নিমিত্ত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন। অথচ তা ফাইলবন্দি থেকে যায় অবহেলায়।

দুদক গত কয়েক বছরে সরকারি সেবায় অনিয়ম-দুর্নীতি-দীর্ঘসূত্রতা রোধে খাতভিত্তিক বেশকিছু সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে। এতে সুনির্দিষ্টভাবে ২৩টি খাত বা বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা ওয়াসা, গণপূর্ত অধিদপ্তর, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (ওসিজিএ), সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), কাস্টমস ও ভ্যাট, আয়কর বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ঢাকা মহানগরের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, দেশের সব স্থলবন্দর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

দুদক ২০১৬ সাল থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আইনের বিধিবিধান অনুসরণ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অথবা এদের অধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর কার্যপ্রক্রিয়া পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ দিয়ে আসছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে কার্যত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো তেমন কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। সুপারিশ বাস্তবায়ন করার তাগাদা দিয়ে দুদক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এর মধ্যে হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, ওষুধ, আসবাবপত্র ও আধুনিক প্রযুক্তি কেনায় দুর্নীতি-অনিয়মের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে তা বন্ধে ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বেশকিছু সুপারিশ পাঠিয়েছিল দুদক। এক বছরেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগাদা দিয়ে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় সংস্থাটি। কিন্তু এসব সুপারিশের অধিকাংশই কানে তোলেনি মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালেও স্বাস্থ্য খাতে দুদকের সুপারিশের ফলাফল শূন্য।

এদিকে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ নভেম্বর স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি রোধে দুদকের দেয়া ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে গত বছরের জুনে মন্ত্রণালয় কেবল ১৪টি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে। সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে দ্বিতীয় দফা চিঠি দেয় দুদক।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদক থেকে যেসব সুপারিশ দেয়া হয়েছে, আমরা প্রায় অধিকাংশ সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছি। অনেকগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং যেখানে যেখানে আমরা দুর্নীতি দেখেছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। স্বাস্থ্য বিভাগে যারা অন্যায় করছে, আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামীতেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

একই ঘটনা ঘটে বিমানের ক্ষেত্রেও। বিমানের দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস ও তা প্রতিরোধে সুপারিশ করে ২০১৭ সালে চিঠি দেয় দুদক। এক বছরে তারাও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফা চিঠি দেয়া হয়। স্বাস্থ্য ও বিমানের মতো গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুবার চিঠি গিয়েছে দুদক থেকে। দুর্নীতি বন্ধে এ সুপারিশ বাস্তবায়নে তারাও নির্বিকার।

এ বিষয়ে সদ্যবিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মাঠপর্যায় থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি বিদ্যমান। দুদকের কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতি চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুপারিশ করেছিলেন, অথচ সরকারি দপ্তরগুলো এসব সুপারিশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কিংবা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ কারণে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত নিয়ে কাজ শুরু করি। কারণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ দুই খাতের দুর্নীতি রোধ করা দরকার ছিল। অথচ তা সম্ভব হয়নি। দুদকের সুপারিশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার সঠিক চিত্র আমাদের কাছে নেই। হয়তো কিছু কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে, আবার কিছু কিছু হচ্ছে না।

‘পদ্ধতিগত দিক থেকে দুর্নীতির ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করা হলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি অনেকাংশ কমে আসবে। জনগণ সরকারের সেবা নিতে এসে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, যা আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। অথচ সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। দেশের মানুষ যাতে সহজে সেবা পায়, সে জন্যই আমরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধের সুপারিশ করেছি।’

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সুপারিশ প্রদান করে দুদক প্রশংসনীয় কাজ করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত ছিল দুদকের সুপারিশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া।

‘কিন্তু তা না করায় ব্যর্থতার দায়ে নিজেদেরই জবাবদিহি করা উচিত; তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরই জবাবদিহি নিশ্চিত করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একই সঙ্গে দুদকের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে সরকারকেও সহায়তা করতে হবে। অর্থাৎ উভয় পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।’

আরও পড়ুন:
পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিমানের ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
In Kurigram

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের কালোর ও জিঞ্জিরাম নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন সীমান্তবর্তি ভন্দুরচর গ্রামে পরিকল্পিত ভাবে একই পরিবারের তিনজনক হত্যা করা হয় গত ২৪জুলাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬জুলাই শনিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে এই কর্মসূচি করা হয়। রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করে স্বজন ও এলাকাবাসী। এসময় বক্তব্য রাখেন, ওয়াজেদ আলী,ইকতার হোসেন, আনোয়ার হোসেন,নিহত বুলু মিয়ার স্ত্রী আসকেতারা বেওয়া,কন্যা শাপলা বেগম,ফুলবাবুর স্ত্রী ফুলোরানী বেওয়া এবং নুরুল আমিনের স্ত্রী আনজু আরা বেওয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য,গত ১৯ জুলাই ভন্দুর চরের রাজু আহমেদের গরু প্রতিবেশি শাহজামালের বীজতলার ধানের চারা খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহজামালের লোকজন গরু বেঁধে রাখতে বলে। এরই জেরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রায় ২০/২৫জনের একটি দল শাহজামালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মহিলাদেরকে মারধর করে ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ২০জুলাই আহত নুরজাহান বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ করেন। কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে বাদীপক্ষকে মীমাংসা করে নিতে বলে পুলিশ। থানায় অভিযোগ দেবার জের ধরে গত ২৪জুলাই আবারও রাজু আহমেদের গ্রপের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ শাহজামালদের উপর। দিনদুপুরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যা করে। নিহতরা হলেন,শাহজামালের দুই ভাই ফুলবাবু,বুলু মিয়া এবং ভাতিজা নুরুল আমিন। উভয় পক্ষের প্রায় ১০জন আহত হয়। এই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রৌমারী থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে।

পরে শাহজামাল বাদী হয়ে ২৪জুলাই ৩৪জনের নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা ৮/১০জনকে আসামী করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮জনকে গ্রেফতার করেছে।

এই বিষয়ে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

বিশেষ
People go abroad to seek treatment with disturbance and innocent Asif Nazrul

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

মানুষ বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা নিতে বিদেশে যায়: আসিফ নজরুল

প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের উদ্দেশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আপনাদের মতে চিকিৎসা খাতে ৪-৫ বিলিয়ন ডলারের একটা বাজার আছে। এই বাজার আপনারা নিতে পারেন না? কেন মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চায়? ভারত, ব্যাংককে এমন মানুষও চিকিৎসা নিতে যায়, যারা কখনও ঢাকায় আসেনি। তারা বিরক্ত ও নিরুপায় হয়ে যায়। তাদের যাওয়া বন্ধ করেন। এখানে সেবা দিলে মানুষ কখনোই বিদেশ যাবে না। যাওয়ার কোনও কারণই নাই। এই বাজার দখল করলে আপনাদের লাভ, দেশেরও লাভ।

শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শহীদ আবু সাইদ ইন্টারন্যাশনাল কনভনেশন সেন্টারে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, অনেক চিকিৎসক অনর্থক টেস্ট দেন। আমার বাসার হেল্পিং হ্যান্ড, গরিব ছেলে, ঢাকার একটি হাসপাতালে ১৪টি টেস্ট দিয়েছে। সে রাগ করে বাড়ি চলে গেছে। সেখান থেকে টেস্ট ছাড়া ভালো হয়ে ফেরত এসেছে। ওখানে তার পরিচিত ডাক্তার ছিল। এই অত্যাচার বন্ধ হয় নাই। গরিব রোগীদের অনর্থক ১৪-১৫টা টেস্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার। আরেকটা বিষয় হলো, নির্দিষ্ট ওষুধ কিনতে হবে, কেন? পৃথিবীতে কোন জায়গায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে ডাক্তারের। আপনারা কি ওষুধ কোম্পানির দালাল, এ দেশের বড় বড় হাসপাতালের ডাক্তাররা কি ওষুধ কোম্পানির মধ্যসত্ত্বভোগী? কোন জায়গায় নামান আপনারা নিজেদের!

আইন উপদেষ্টা বলেন, আরেকটা অভিযোগ করা হয়, টেস্টের রেজাল্ট ভুল। অনেক জায়গায় অনেক ভালো রেজাল্ট হয়, আমি খারাপ জায়গার কথা বলছি। একটা জেনারেল কমপ্লেইন যেটা আমার কাছে হৃদয়বিদারক লাগে, নার্সদের ব্যবহার খারাপ। নার্সদের মন খারাপ থাকে, হাসপাতালের কর্মচারীদের মন খারাপ থাকে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন, ভালো সেবা দিতে চায় না। কেন চায় না– নার্সদের বেতন ১২ হাজার টাকা, আপনারা কি কম টাকা লাভ করেন? আপনারা যারা অনেকে হাসপাতালের মালিক আছেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, আপনাদের কোটি টাকার বাগানবাড়ি থাকতে পারে, নার্সদের ভালো বেতন দিতে পারেন না? নার্স যদি ১২ হাজার টাকা বেতন পায়, তাহলে কি ভালো সেবা দেবে? সে তো বিরক্ত হয়ে থাকবে। আপনারা লাভ করেন কিন্তু ন্যায্যভাবে করেন।

তিনি বলেন, আজ মানুষ ভারত-থাইল্যান্ড যেতে চায় না। আপনাদের চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা আছে। আপনারা করোনাকালে প্রমাণ করেছেন। নিজের জীবন উৎসর্গ করে সেবা দিয়েছেন। কর্মীর যদি বেতন বাড়িয়ে দেন সামান্য লাভ থেকে কতো টাকা চলে যাবে? যদি ১০০ কোটি টাকা লাভ করেন, তাহলে ১০ শতাংশ কম লাভ হয়। ১০ শতাংশ কম লাভের বিনিময় সেই কর্মী যে সেবা দেবে সেটা দিয়ে পূরণ হয়ে যায়। আপনারা এদিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন।

মন্তব্য

বিশেষ
Mirza Fakhruls best wishes on the occasion of Janmastami

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মির্জা ফখরুলের শুভেচ্ছা

শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাতে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি সকলের সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেন।

শুভেচ্ছা বার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পুণ্যতিথি ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। এটি শুধু আনন্দ-উৎসবের দিন নয়, বরং ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার এক মহামিলন ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, জন্মাষ্টমী সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য অবারিত উৎসবের প্রাঙ্গণ সৃষ্টি করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের সমাজ সংস্কৃতির মূল ভিত্তি হলো ধর্মীয় সম্প্রীতি। ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। আমরা সব ধর্মের মানুষের সমঅধিকারে বিশ্বাসী। হিংসা, বিদ্বেষ, অশান্তি, হানাহানি, বৈষম্য ও অবিচার দূর করে সমাজকে শান্তিময় করে তুলতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব এ সময় দেশবাসীর প্রতি সম্প্রীতি, শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান।

মন্তব্য

বিশেষ
Four drug dealers arrested with yaba in bear

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ভালুকায় ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

ময়মনসিংহের ভালুকায় বিশেষ অভিযানে ৪৩ পিস ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার জামিরদিয়া এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

থানা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা মডেল থানার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—জামিরদিয়ার মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ সজিব মিয়া (২৬), একই এলাকার মোঃ নাবিল হোসেন নবীর ছেলে মোঃ আলী হোসেন ওরফে নাজমুল (২৫), গাজীপুরের শ্রীপুরের উদয়খালী এলাকার মোঃ মফিজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম (২৭) এবং ডুমবারিরচালা এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে মোঃ নাঈম খান (২৫)।

এসময় সময় তাদের কাছ থেকে ৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মাদক নির্মূলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।

মন্তব্য

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁয় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

নওগাঁর আত্রাই নদীর একটি স্থানে কয়েক সেন্টিমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ঢুকছে পানি।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে মান্দা উপজেলার কসব ইউনিয়নের তালপাতিলা এলাকায় এই বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে তালপাতিলা গ্রামসহ আশেপাশের চকবালু, চকরামপুরসহ কয়েকটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে। পানি বন্দী হয়ে পড়েন কয়েকশ পরিবার।

স্থানীয়রা বলছে, এই একই স্থানে গেলো বছর ভেঙ্গে যায়। এরপর মাসখানেক আগে বেড়িবাঁধের এই অংশটুকু মেরামত করা হয়। কিন্তু নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ভেঙে গেছে।

বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথী। এসময় তিনি উক্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন।

এদিকে দুপুর ১২টার দিকে দেওয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আত্রাই নদীর মান্দা উপজেলার জোত বাজার পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ও রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও নওগাঁর ছোট যমুনা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বিদসীমার নিচে থাকলেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হওযায় মান্দা উপজেলার চকরামপুর, উত্তর চকরামপুর, কয়লাবাড়ী, জোকাহাট, দ্বারিয়াপুর, নুরুল্লাবাদ, পারনুরুল্লাবাদ ও তালপাতিলা এলাকার অন্তত ১০টি বেড়িবাঁধকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ মূল বাধের লক্ষ্মীরামপুর, আয়াপুর, পাঁজরভাঙ্গা, পলাশবাড়ী, মিঠাপুর, নিখিরাপাড়া ও গোয়ালমান্দাসহ অন্তত ২০টি পয়েন্টকে উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
Home Advisor visited Mohammadpur Agricultural Market

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিনের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণন রোধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই মার্কেট পরিদর্শন করেন ।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটে যান। এরপর তিনি কৃষিমার্কেটের বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দোকানিদের পলিথিন ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করেন এবং পলিথিন ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরেন ।

মন্তব্য

বিশেষ
Case in the case of stone loot in Sylhet All 2000 accused are unknown

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটে পাথর লুটের ঘটনায় মামলা: ২ হাজার আসামির সবাই অজ্ঞাত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও লুটের ঘটনায় মামলা করেছে খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিএমডি মহাপরিচালক আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, অজ্ঞাতনামা কিছু দুষ্কৃতিকারীর মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার গেজেভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ বা অননুমোদিতভাবে সম্প্রতি কোটি কোটি টাকার পাথর লুট করা হয়েছে মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, পাথর লুটপাটে অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়নি। সরকারের গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে লুট বা চুরি এ ধরনের কর্মকাণ্ড খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২) (ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা ২০১২-এর বিধি ৯৩ (১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় মৌখিক নির্দেশনায় খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এর ৫ ধারা অপরাধে ও দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৩৭৯ নম্বর ধারা ও ৪৩১ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি স্বার্থে ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় দায়ী অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সিলেটের দুই পর্যটনকেন্দ্র কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং থেকে পাথর লুটের ঘটনা ঘটে। সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি করা এ ঘটনায় হাইকোর্ট পাথর উদ্ধার করে যথাস্থানে প্রতিস্থাপন এবং লুটেরাদের তালিকা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেন।

এরপর সিলেটসহ সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযানে নামে র‌্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনী। গত তিন দিনে জাফলং ও সাদাপাথর থেকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে অবশ্য নারায়ণগঞ্জ থেকে গত বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হওয়া ৪০ হাজার টন পাথরও রয়েছে।

সর্বশেষ সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানাধীন আসাম পাড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ পাথর উদ্ধার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব-৯-এর টহল দল, সাদা পোশাকধারী সদস্য এবং সিলেট জেলা প্রশাসনের সহায়তায় একটি যৌথ আভিযানিক দল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসাম পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৭ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

মন্তব্য

p
উপরে