× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বিশেষ
দুদকের সুপারিশ ফাইলবন্দি মন্ত্রণালয়ে
google_news print-icon

দুদকের সুপারিশ ফাইলবন্দি মন্ত্রণালয়ে

দুদকের-সুপারিশ-ফাইলবন্দি-মন্ত্রণালয়ে
দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা সংস্থাগুলোর দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করে। এরপর কার্যপ্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু তা আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বন্ধ হচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি।

অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া সুপারিশ আমলে নিচ্ছে না বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ঘুষ-বাণিজ্য, নিয়োগে অনিয়ম, ক্রয়-বিক্রয়ে পুকুর চুরি, টেন্ডারবাজি ও জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম বন্ধে দুদকের দেয়া সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়েই হয়ে আছে ফাইলবন্দি।

সুপারিশ বাস্তবায়ন পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ দুদক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দুদক কমিশনার বলেন, ‘সরকারি সেবাদানে বিদ্যমান দুর্নীতি, হয়রানি নিরসনে পদ্ধতিগত সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই। দুদকের সুপারিশ বিচার-বিশ্লেষণ করে বাস্তবায়ন করা হলে জনগণ উপকৃত হবে। কিন্তু তা না করে, সুপারিশগুলো দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা দুদকের সুপারিশের আলোকে কাজ করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন। তবে এর বাইরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন তারা।

দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর বা সংস্থাগুলোর দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করে। এরপর কার্যপ্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নিতে সুপারিশ পাঠায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে। কিন্তু তা আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বন্ধ হচ্ছে না প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি।

দুদকের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন, বিধিবিধান, পরিচালন পদ্ধতি, সরকারি অর্থ অপচয়ের দিকগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে ওই প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা, প্রতিবন্ধকতা, দুর্নীতির সম্ভাব্য উৎস ও তা প্রতিরোধের নিমিত্ত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন। অথচ তা ফাইলবন্দি থেকে যায় অবহেলায়।

দুদক গত কয়েক বছরে সরকারি সেবায় অনিয়ম-দুর্নীতি-দীর্ঘসূত্রতা রোধে খাতভিত্তিক বেশকিছু সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে। এতে সুনির্দিষ্টভাবে ২৩টি খাত বা বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ঢাকা ওয়াসা, গণপূর্ত অধিদপ্তর, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় (ওসিজিএ), সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), কাস্টমস ও ভ্যাট, আয়কর বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ঢাকা মহানগরের সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, দেশের সব স্থলবন্দর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

দুদক ২০১৬ সাল থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে আইনের বিধিবিধান অনুসরণ করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অথবা এদের অধীন দপ্তর বা সংস্থাগুলোর কার্যপ্রক্রিয়া পদ্ধতিগত সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ দিয়ে আসছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে কার্যত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো তেমন কার্যক্রম পরিচালনা করেনি। সুপারিশ বাস্তবায়ন করার তাগাদা দিয়ে দুদক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় দফা চিঠি দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

এর মধ্যে হাসপাতালের যন্ত্রাংশ, ওষুধ, আসবাবপত্র ও আধুনিক প্রযুক্তি কেনায় দুর্নীতি-অনিয়মের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে তা বন্ধে ২০১৭ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বেশকিছু সুপারিশ পাঠিয়েছিল দুদক। এক বছরেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগাদা দিয়ে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় সংস্থাটি। কিন্তু এসব সুপারিশের অধিকাংশই কানে তোলেনি মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালেও স্বাস্থ্য খাতে দুদকের সুপারিশের ফলাফল শূন্য।

এদিকে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ নভেম্বর স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি রোধে দুদকের দেয়া ২৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

এর আগে গত বছরের জুনে মন্ত্রণালয় কেবল ১৪টি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে। সুপারিশ কার্যকর করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সর্বশেষ চলতি বছরের মার্চে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে দ্বিতীয় দফা চিঠি দেয় দুদক।

তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদক থেকে যেসব সুপারিশ দেয়া হয়েছে, আমরা প্রায় অধিকাংশ সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছি। অনেকগুলো বাস্তবায়িত হয়েছে। এবং যেখানে যেখানে আমরা দুর্নীতি দেখেছি সেখানেই আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। স্বাস্থ্য বিভাগে যারা অন্যায় করছে, আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আগামীতেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’

একই ঘটনা ঘটে বিমানের ক্ষেত্রেও। বিমানের দুর্নীতির বিভিন্ন উৎস ও তা প্রতিরোধে সুপারিশ করে ২০১৭ সালে চিঠি দেয় দুদক। এক বছরে তারাও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় ২০১৮ সালে দ্বিতীয় দফা চিঠি দেয়া হয়। স্বাস্থ্য ও বিমানের মতো গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুবার চিঠি গিয়েছে দুদক থেকে। দুর্নীতি বন্ধে এ সুপারিশ বাস্তবায়নে তারাও নির্বিকার।

এ বিষয়ে সদ্যবিদায়ী দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে মাঠপর্যায় থেকে উচ্চপর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি বিদ্যমান। দুদকের কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দুর্নীতি চিহ্নিত করে তা বন্ধে সুপারিশ করেছিলেন, অথচ সরকারি দপ্তরগুলো এসব সুপারিশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না কিংবা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ কারণে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত নিয়ে কাজ শুরু করি। কারণ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে এ দুই খাতের দুর্নীতি রোধ করা দরকার ছিল। অথচ তা সম্ভব হয়নি। দুদকের সুপারিশ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না তার সঠিক চিত্র আমাদের কাছে নেই। হয়তো কিছু কিছু বাস্তবায়ন হচ্ছে, আবার কিছু কিছু হচ্ছে না।

‘পদ্ধতিগত দিক থেকে দুর্নীতির ফাঁক-ফোকরগুলো বন্ধ করা হলে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি অনেকাংশ কমে আসবে। জনগণ সরকারের সেবা নিতে এসে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, যা আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। অথচ সেবা পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। দেশের মানুষ যাতে সহজে সেবা পায়, সে জন্যই আমরা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধের সুপারিশ করেছি।’

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে সুপারিশ প্রদান করে দুদক প্রশংসনীয় কাজ করেছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত ছিল দুদকের সুপারিশগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া।

‘কিন্তু তা না করায় ব্যর্থতার দায়ে নিজেদেরই জবাবদিহি করা উচিত; তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরই জবাবদিহি নিশ্চিত করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা দরকার। একই সঙ্গে দুদকের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে সরকারকেও সহায়তা করতে হবে। অর্থাৎ উভয় পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব হবে না।’

আরও পড়ুন:
পাসপোর্ট কর্মকর্তা ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিমানের ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বিশেষ
How the looted fertilizer worth crores was recovered with the help of bulkhead staff

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার সার যেভাবে উদ্ধার

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার সার যেভাবে উদ্ধার

বাল্কহেডের স্টাফদের সহায়তায় লুট হওয়া কোটি টাকার ডিএপি সার উদ্ধার করেছে নৌপুলিশ। এঘটনায় ৩জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কুমিল্লার নিকটবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। রবিবার ঢাকা নৌ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার করা হয় মূল আসামি (মাস্টার মাইন্ড) নরসিংদীর আলমগীর (৩৬), কিশোরগঞ্জের জসিম উদ্দিন (৩৭) এবং বাগেরহাটের মোঃ আঃ রহিম খানকে ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,গত ০৮ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর হতে বাল্কহেড এম.বি. হাসান নৌ পরিবহন, এম-২৫২৭৪ যোগে ৬৩৪০ বস্তা আমদানি করা কোটি টাকার ডিএপি সার সুনামগঞ্জের বিএডিসি গোডাউনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে। সার বোঝাই বাল্কহেড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার মানিকনগর ঘাটে নোঙর করে। ইঞ্জিনের ত্রুটির কথা বলে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত একই ঘাটে অবস্থান করে। গত ১০ অক্টোবর বাল্কহেডটি পুনরায় চলা শুরু করে। আনুমানিক ঘন্টা খানেক চলার পরে মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের গতি কমিয়ে দিলে একটা ট্রলার উক্ত বাল্কহেডের সাথে রশি দিয়ে বেঁধে আরও ২ জন বাল্কহেডে থাকা স্টাফদের সাথে যোগ দেয়। পরবর্তীতে সারের ডিলারের এজেন্টকে হাত-মুখ বেঁধে ভয় দেখিয়ে ট্রলারে উঠায়। এদিকে সার বহনকারী বাল্কহেড অন্যত্র চলে যায়। সে সময়ে উক্ত ট্রলারে থাকা ২ জনের সাথে বাল্কহেডের ২ জন স্টাফও ট্রলারে নেমে যায়। সারের ডিলারের প্রতিনিধকে নিয়ে ট্রলারটা মেঘনা নদীতে বিভিন্ন স্থান ঘোরাঘুরি করে ঐ দিন বিকালে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আব্দুল্লাহর চর নামক স্থানে তাকে মারধর করে নামিয়ে দেয়। এরপর থেকে উক্ত বাল্কহেডের কোন স্টাফের সাথে সারের ডিলার এবং তাদের অফিসের কেউ কোন প্রকার যোগাযোগ করেতে পারেননি। সকল স্টাফের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযোগ পেয়ে নৌ পুলিশের একাধিক টিম প্রযুক্তির সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নোয়াগাঁও বাজার সংলগ্ন তিতাস নদীর শাখা দেওজুড়ী খালের মধ্য হতে সার বহনকারী বাল্কহেড, স্থানীয় বাজারের এক গোডাউন এবং তিতাস নদী তীরবর্তী গ্রামের এক বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত সার উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে মূল আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাত আলমগীরের বিরুদ্ধে ডাকাতি/ চাঁদাবাজির ০৭টি, ডাকাত জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ০১ টি, ডাকাত আঃ রহিমের (৪৩) বিরুদ্ধে মারামারি/ নারী ও শিশু আইনে ০২ টি মামলা রয়েছে । অন্যান্য আইনী পদক্ষেপ গ্রহণসহ পলাতক আসামি গ্রেফতারে নৌ পুলিশ, ঢাকা অঞ্চলের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মন্তব্য

বিশেষ
All imported goods destroyed by fire Adviser Bashir

আমদানি করা সব পণ্য আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে: উপদেষ্টা বশির

আমদানি করা সব পণ্য আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে: উপদেষ্টা বশির

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন বলেন, আমদানি করা যত পণ্য ছিল সব আগুনে পুড়ে ধ্বংস হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত সেটা আমরা খাতভিত্তিক নির্দিষ্ট করার চেষ্টা করছি।

রোববার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুড়ে যাওয়া কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যত ধরনের অভিযোগ আছে, প্রত্যেকটা অভিযোগ আমলে নিয়ে অনুসন্ধান চলছে। এখানে কারো কোনও ব্যত্যয় আছে কিনা সব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপদেষ্ট আরো বলেন, আমাদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আগুনের পূর্ববর্তী এবং বর্তমান অবস্থান পুরো ঘটনা অনুসন্ধান করবে। তারপর অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু করে সব তদন্ত সংস্থার সবাইকে একত্র করে এ রহস্য উদঘাটন করব।

তিনি বলেন, এখন যেসব পণ্য আসছে, কার্গো থেকে এসব পণ্য সরবরাহে যাতে কোনও জটিলতা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগামী সাতদিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করবো। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ইন্সুরেন্স কভারেজ কী আছে এবং আমাদের বিমানবন্দরের ইন্সুরেন্স কাভারেজ কী আছে সবকিছু আমলে নিয়ে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হব।

তিনি বলেন, গতকালকে ২১টির মত ফ্লাইট ক্যানসেল হয়েছে। এসব ফ্লাইটের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আগামী তিন দিন অতিরিক্ত ফ্লাইটের সব ধরনের চার্জ মওকুফ করেছে সরকার।

মন্তব্য

বিশেষ
Because he could not go abroad he hired a mic and abused the local people

বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল

বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসীকে গালাগাল

বিদেশ যেতে না পেরে ক্ষোভে মাইক ভাড়া করে পুরো এলাকাবাসীকে গালাগাল করেছেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার এক যুবক। পরে সেই ভিডিও নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পানান গ্রামে। ওই যুবকের নাম সারোয়ার হোসেন রাব্বি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তিনি বিদেশ যেতে পারেননি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাব্বি বিভিন্ন এনজিও ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কেউ সহযোগিতা না করায় তার মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তিনি ক্ষোভের বশে ৫০০ টাকা খরচ করে একটি মাইক ভাড়া নেন এবং পুরো গ্রামজুড়ে মাইকযোগে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গালাগাল করেন।

পরে তিনি গালাগালের ভিডিও নিজ ফেসবুক আইডিতে আপলোড করেন। ভিডিওতে রাব্বি অভিযোগ করেন, তিন-চার মাস ধরে সৌদি যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও মাত্র এক লাখ টাকা জোগাড় করতে না পারায় তার ভিসা ও মেডিকেল মেয়াদ (৩০ অক্টোবর) শেষ হতে যাচ্ছে।

বিভিন্ন সমিতির কাছে ঋণ চাইলেও কেউ সহযোগিতা করেনি। এমনকি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকেও লোন নিতে গেলে ২৫ হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।

রাব্বি বলেন, “মানুষের কারণে আগেও দু’বার আমার ভিসা নষ্ট হয়েছে। এবারও কেউ সাহায্য করল না। তাই রাগের মাথায় ভুল করেছি।”

ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে লিখেছেনন “প্রথমে ক্ষমা চাইছি। আমি অনেক খারাপ ভাষায় গালাগাল করেছি। আমি কেন এমন করেছি, শুনুন।”

রাব্বি জানান, তিনি বিবাহিত এবং এক ছোট সন্তানের পিতা। জীবিকার তাগিদে তিনি অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি বিকাশের কাজ করেন।

এ ঘটনায় এলাকাবাসীরা প্রথমে বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে ভিডিওটি ভাইরাল হলে অনেকে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হন। কেউ কেউ আবার রাব্বির মানসিক কষ্ট ও পারিবারিক চাপের প্রতি সহানুভূতিও প্রকাশ করেছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। তবে এখন চায়ের দোকান থেকে ঘরোয়া আড্ডা সব জায়গায় রাব্বির ঘটনাই আলোচনার বিষয়।”

মন্তব্য

বিশেষ
ECs remote control is in other hands Hasnat Abdullah

ইসির রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে: হাসনাত আবদুল্লাহ

ইসির রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম স্বৈরাচারের মতো, তাদের রিমোট কন্ট্রোল অন্যের হাতে।

রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে শাপলা অর্জন করা হবে। মধ্যযুগীয় রাজা বাদশাদের মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। গণবিশ্বাসী ও জনবান্ধব আচরণ হওয়া উচিত ছিল।

এনসিপির এ নেতা বলেন, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার মতো বর্তমান কমিশনের কোনো যোগ্যতা নেই। নুরুল হুদার মতো পরিণতি যাতে না হয় এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

রাজনৈতিক দলের জন্য তৈরি করা প্রতীক তালিকায় শাপলা না থাকায় এনসিপির আবেদন বারবারই নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মন্তব্য

বিশেষ
Students protest at Farmgate demanding safe occupation free roads

নিরাপদ-দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিরাপদ-দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নিরাপদ ও দখলমুক্ত সড়কের দাবিতে ফার্মগেটে বিক্ষোভ করেছে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ ও সরকারি সাইন্স হাই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে।

রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ফার্মগেট মোড়ে শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে প্রথমে মানববন্ধন করে। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের স্কুল ও কলেজের সামনে অটোরিকশাগুলো জ্যাম তৈরি করে। গেটের সামনে রিকশাগুলো লাইন ধরে থাকে। এই এলাকায় স্কুল, কলেজ ও বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টার রয়েছে। প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে হয়। অটোরিকশা একটার পর একটা থাকায় জ্যাম সৃষ্টি করে। রাস্তা পারাপারের সমস্যা হয়। রাস্তা যখন ফাঁকা থাকে, তখন তারা ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালায়। অটোরিকশার যে ব্রেক, তা দিয়ে কন্ট্রোল করা সম্ভব না। অনেক সময় তারা শিক্ষার্থীর উপরে রিকশা তুলে দেয়। ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার হতে হয়।

পাঁচ দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনের সড়কে অবিলম্বে স্পিড ব্রেকার স্থাপন করতে হবে। পর্যাপ্ত ল্যাম্প পোস্ট লাগাতে হবে। লেন ডিভাইডার এবং ট্রাফিক আইল্যান্ড স্থাপন করতে হবে। ফুটপাথ থেকে সব অবৈধ দোকান, অস্থায়ী স্থাপনা, পার্কিং স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে।

মন্তব্য

বিশেষ
Teachers announced to continue protest rejection

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান, আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা শিক্ষকদের

বাড়িভাড়ার ৫ শতাংশ বাড়ানোর বিষয়ে দেওয়া অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পরপরই এ নিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী।

নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া ভাতার প্রজ্ঞাপন আমাদের আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয়। কিন্তু ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আমাদের সব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রোববার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় শহিদ মিনারে ৮ম দিনের মতো অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। নতুন কর্মসূচি হিসেবে দুপুর ১২টায় শিক্ষাভবন অভিমুখে ভুখা মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

বাড়ি ভাড়া ভাতা ২০ শতাংশ, মেডিকেল ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা ও উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

এর আগে এদিন সকালে বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে এবং সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা বৃদ্ধিতে সম্মতি দেয় অর্থ বিভাগ।

উপসচিব মিতু মরিয়মের স্বাক্ষর করা এক অফিস আদেশে বলা হয়, ৬ শর্ত পালন সাপেক্ষে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) দেওয়া হবে। আদেশ আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মন্তব্য

বিশেষ
Even after 21 hours smoke is still rising from the wreckage of the airport

২১ ঘণ্টা পরও বিমানবন্দরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে

২১ ঘণ্টা পরও বিমানবন্দরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নং গেটের কার্গো ভিলেজ আগুনে পুড়ে যাওয়ার ২১ ঘণ্টা পরও ধ্বংসস্তূপ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তবে ধ্বংসস্তূপ ভবনে এখনও পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।

রোববার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার পরও এমন চিত্র দেখা গেছে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, আগুন এখনও পুরোপুরি নির্বাপণে আসেনি। এজন্য ধোঁয়া উড়ছে। তবে আমাদের ২২ ইউনিট আগুন নির্বাপণের কাজ করছে। আগুন যেন বাড়তে না পারে সেজন্য অনবরত পানি ছিটানো হচ্ছে।

এদিকে, সকাল থেকেই বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ধ্বংসস্তূপ দেখতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। তবে ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টে কর্মরত রেজাউল করিম রনি বলেন, শুক্র-শনিবার আমদানি বন্ধ থাকে। কিন্তু রপ্তানি সবসময় খোলা থাকে। সেই সুবাদে শনিবার দিন সকালে আমি এক্সপোর্ট করতে আসি। বৃহস্পতিবার আমরা টাকাও জমা দিয়েছি। কিন্তু মালামাল নিতে পারিনি। রোববার নেওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আগুনের প্রভাব পড়বে দেশের তৈরি পোশাক কারখানায়। কারণ এখানে এমন পণ্য সবচেয়ে বেশি ছিল। তবে শনিবার বা ছুটির দিন এমন ঘটনা স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। এছাড়া আগুনে হাজারও কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে শনিবার দুপুর সোয়া ২টায় বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট। একইসঙ্গে কাজ করেন নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবিসহ পুলিশ-আনসার সদস্যরা।

সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজটি মূলত পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি জায়গায় বা আট নম্বর গেটের পাশে। আর আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এখানে আমদানি করা পণ্য রাখা হয়। আগুনে এখানকার প্রায় সব মালামাল পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ভয়াবহ আগুনের কারণে বিমানবন্দরে সব ধরনের উড়োজাহাজ ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ঢাকার বদলে সব বিমান চট্টগ্রাম ও সিলেটে অবতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে, তিনটি ফ্লাইট সিলেটে, চেন্নাই ও দিল্লি থেকে দুটি ফ্লাইট কলকাতায় অবতরণ করে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাত ৯টার পর উড়োজাহাজ ওঠানামা শুরু হয়। তবে ছয় ঘণ্টায় ২৩টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।

তথ্য মতে, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার, সিভিল অ্যাভিয়েশন, আনসারসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আনসার সদস্যই রয়েছেন ২৫ জন। তাদের সিএমএইচ ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিমানবন্দরের সূত্রমতে, তৈরি পোশাক কারখানার জন্য আমদানি করা বিপুল পরিমাণ কাপড় ও বিভিন্ন ধরনের দাহ্য পদার্থ ছিল আগুন লাগা ভবনে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি সময় লেগেছে। কবে নাগাদ ফের কার্গো ভিলেজ চালু করা যাবে তা পরে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা।

মন্তব্য

p
উপরে