ব্যস্ত নগরী ঢাকার বাসিন্দা রুমা আক্তার (ছদ্মনাম)। ত্রিশ পেরোনো এই নারীর স্বামী যেন থেকেও নেই। জীবনযুদ্ধে পাশে পাননি স্বামীকে। কিন্তু তাতে দমেও যাননি। দুই সন্তানকে মানুষ করতে বেছে নিয়েছেন কঠিন পেশা। থাকছেন সৎবোনের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে। কষ্টকে জয় করতে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম।
তবে দিনের পর দিন সাদেক নামে স্থানীয় এক বখাটের অত্যাচার এবং তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, এর অংশ হিসেবে মাস দুয়েক আগে তাদের বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান সাদেক; ব্যর্থ হয়ে সেই থেকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। কিন্তু থানা-পুলিশকে পাশে পাচ্ছেন না তিনি।
নিউজবাংলাকে এই নারী বলেছেন, তার দুটি মেয়েই স্কুলপড়ুয়া। তারা বাসায় থেকেই পড়াশোনা করে। বৃদ্ধ মা ও দুই কন্যাকে বাসায় রেখে কাজের কারণে প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয় তাকে। কিন্তু ফরহাদ হোসেন বাবু নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ডিশ লাইন ব্যবসার লাইনম্যান সাদেক দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছেন। পরিবারের সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছেন। বিষয়টি তিনি ডিশ ব্যবসায়ী বাবুকে জানান, বিচারও চান। কিন্তু তিনি বিচার না করে উল্টো কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে তাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় যেদিন (গত ২৯ এপ্রিল) তিনি একা ছিলেন, সেদিন সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সাদেক। তিনি নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে ওই বখাটে জ্বলন্ত সিগারেট তার ডান হাতে চেপে ধরেন। এরপর চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরেন সাদেক। একপর্যায়ে বাসায় লোকজন আসার শব্দ পেয়ে দুই মেয়েসহ তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে দ্রুত চলে যান।
তাই ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই প্রতিটি মুহূর্তই প্রাণভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হয় এই নারীকে। কিন্তু মুখ খুলতে পারছেন না। এর মাঝে তিনি থানা-পুলিশের দারস্থ হয়েছেন; মামলার আবেদনও করেছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরায়। আর স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ মামলার আবেদন গ্রহণ না করে মীমাংসার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা সফল না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে ৪ মে। সর্বশেষ মামলার আবেদন নিয়ে গত ১৮ জুন আবারও থানায় যান তিনি। সেই আবেদন হাতে হাতে গ্রহণ করা হলেও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।
এই নারী মনে করেন, নায়িকা পরীমনির মতো অবস্থান থাকলে তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন সমাজের সবাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এই নারীর সঙ্গে আগেও অন্যায় হয়েছিল। যে ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি সুবিচার পান। কিন্তু এবারের বিষয়টি (ধর্ষণচেষ্টার পর দুই সন্তানসসহ হত্যার হুমকি) নিয়ে তিনি আতঙ্কিত। তাই নীরবেই চেষ্টা করছেন বখাটে যুবকের শাস্তি নিশ্চিতের। আর তার এই নীরবতার সুযোগটাই প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় কিছু লোক নিচ্ছে।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, এমনিতেই তার পেশা নিয়ে মানুষজন কটাক্ষ করে ‘পুরুষের কাজ’ বলে। তার দুটি কন্যাসন্তান থাকায় মা হিসেবে তিনি যে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন, তা প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। এসব কারণে সপরিবারে হত্যার হুমকির মুখেও কোনোভাবেই পরিচয় ও পেশা জানাতে চান না।
তাহলে বিচার নিশ্চিত হবে কী করে- নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই নারী বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, আমার অভিযোগের বিচার না করতে পারেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা যে অপবাদ দিচ্ছে, সেই অভিযোগের প্রমাণ করুন। আপনাদের তদন্তে আমি খারাপ প্রমাণিত হলে যে শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব। প্রয়োজনে দুই সন্তান নিয়ে চিরদিনের জন্য ঢাকা ছেড়ে যাব।’
মেয়েটি যে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন, তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা।
গত কয়েক দিন এলাকাটি ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছেলেটি বিবাহিত, বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। নিয়মিত ইয়াবার স্পটে দেখা যায় তাকে। ডিশ সংযোগের লাইনম্যান হওয়ায় বিভিন্ন বাসায় তার যাতায়াত। এই সুযোগে অনেক অসহায় নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক বাসায় ঢুকে এমন ঘটনার পর মারধরের শিকার হন।
নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক এলাকা ঘুরে সংবাদ সংগ্রহের পর ডিশ ব্যবসায়ী বাবু মেয়েটির এক আত্মীয়র বাসায় গিয়ে ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সম্পর্কে মেয়েটি বলেন, ‘নিউজবাংলা থেকে লোক এসেছিলেন বলে বাবু নামের লোকটি আজ (২২ জুন) আমার খালার বাসায় গিয়েছিলেন। তাদের মনে ভয় সৃষ্টি করে গেছেন। বলে গেছেন, আমি যেন আর কোনো রকম এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি। প্রয়োজনে উনি (বাবু) বসে অপরাধীকে (সাদেক) সামনে রেখে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। যেহেতু আসামি ক্ষমা চাইবে, তাই আসামির বিরুদ্ধে থানায় করা অভিযোগ (জিডি) প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন।
‘তারপরও যদি আমি ওনার (বাবু) কোনো কথা না শুনি, তবে উনি বসে থাকবেন না। উনি চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন বলে হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি খালাকে বলেছি, অপরাধী যদি কোনো দোষ না করে, কোনো অপরাধ না করে, তাহলে কেন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে?’
তিনি বলেন, ‘আমার নিরাপত্তায় কোনো রকম সহায়তা পাচ্ছি না। উল্টো আরও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। জানি না কখন কী হয়ে যায় আমার, আমার পরিবারের।’
মেয়েটি বলছেন, গত কয়েক দিন দুটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে আজেবাজে কথা বলা হচ্ছে, হুমকি দেয়া হচ্ছে। নম্বর দুটি হচ্ছে +৮৮০১৭২০-৮২১৯৯২ ও +৮৮০১৪০৮৫০৩৯৫৪।
এই দুটি নম্বরে ফোন দিয়েছে নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক। একটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরেকটি নম্বরে পাওয়া যায় একজনকে। তিনি বলছেন, তার নাম সুমন, থাকেন মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায়।
ওই নারীকে হুমকি দিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সাদেককে চেনেন কি না, জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে চেনেন না বলে দাবি করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নিউজবাংলার কাছে আক্ষেপ করে ওই নারী বলেন, ‘আপনারাও আমার জন্য কিছু করলেন না। আসলে আমারই ভুল। আমার বোঝা উচিত ছিল, আমি নায়িকা পরীমনি না যে, আমি বললেই আমার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই পৃথিবীতে মিথ্যা এবং পাপীদের জয় হয়। সত্য পুণ্যের কোনো জয় নাই।’
শনিবার রাতে আবারও নিউজবাংলার এই প্রতিবেদককে নাম-পরিচয় না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমার নাম বললে সবাই চিনবে। পরিচয় প্রকাশ করবেন না। আমার দুইটা মেয়ে আছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই মা হিসেবে আমার নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে ঘটনার বিচার চাইছি আপনাদের কাছে।’
এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে থানা-পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বাবুর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে ভালো ছেলে, এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে।’ সাদেককে চেনেন না বলে জানান তিনি।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি শোনার পর একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তদন্ত করে আমাকে জানিয়েছিলেন, মেয়েটিই খারাপ। ডিশের বিল দেয় নাই। এটা নিয়েই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ডিসি, এডিসি স্যার সবাই জানেন।’
মেয়েটি বলছেন, তার বাসায় কোনো ডিশের লাইন নেই। তাহলে বিল কেন দেবেন- এমন প্রশ্নে ওসি পারভেজ বলেন, ‘আপনি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। কারণ ঘটনা ঘটেছিল আমি আসার আগেই। বিষয়টি পুরোপুরি জানিও না।’
মেয়েটির অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাবু ও সাদেকের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় পল্লবী থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন কাজী ওয়াজেদ আলী, যিনি মাস দেড়েক আগে ডিএমপির ডিবিতে বদলি হয়েছেন।
সেই সময় মামলা না নিয়ে জিডি গ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী ওয়াজেদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত ঘটনা ঘটে পল্লবী থানায়। আমার এখন মনে নেই। কিছুই বলতে পারব না।’
মেয়েটি যখন থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন, সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করেছিলেন এসআই শহিদুল ইসলাম। রোববার নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মেয়েটি জানিয়েছিল। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাই নাই।
‘তা ছাড়া এলাকার ডিশ সংযোগ কেটে দেয়ায় মেয়েটি নাকি ডিশ সংযোগকারীদের হুমকি দিয়ে বলেছিল, তাদের জেলের ভাত খাওয়াবে। এসব বিষয় থানায় জানিয়েছি। তারপর কী হয়েছে আমি আর বলতে পারব না।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে গত কয়েক দিন নিউজবাংলা মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিনের সঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপেও বার্তা পাঠানো হয় তাকে। বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে নিউজবাংলা কথা বলেছে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘একজন নারী নিগৃহ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যজনক হলো তারা সহযোগিতা করে না। পুরুষ ডমিনেটিং সমাজে নারীর অবস্থা এমনিতেই ভালনারেবল, সে ক্ষেত্রে তিনি যদি কর্মজীবী হন, তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে থাকে।’
নূর খান লিটন বলেন, ‘আমাদের সবাইকে কর্মজীবী নারীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা উচিত। এই নারীর ক্ষেত্রে পুলিশ যে ভূমিকা নিয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন:বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।
তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।
আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী পার্বত্য ফল উৎসব ও মেলা।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র মেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকছে।
আজ বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রাজধানীর বেইলি রোডে পার্বত্য কমপ্লেক্সে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন পাহাড়ি সংস্থা পাহাড়ি ফলমূল নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছেন।
মেলা উপলক্ষে ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান- বিজয় সরণি, সার্ক ফোয়ারা, রমনা পার্ক, বেইলি রোডের পশ্চিম পাশে রমনা পার্ক সংলগ্ন ও পূর্ব পাশে অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন, টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স-এর সম্মুখে একটি বেলুন স্থাপন করা হয়েছে।
রাজধানীর ৩৩ বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন এই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনা কমিটির ৭ম (সপ্তম) কর্পোরেশন সভা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা কমিটির ২৫ (পঁচিশ) জন সদস্য আজ সোমবার নগর ভবনে উপর্যুক্ত সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে ০৫ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ কর্পোরেশনের সভার কার্য বিবরণী দৃঢ়ীকরণ এবং বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। পরবর্তীতে সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (অতি. দা.) জনাব আলী মনসুর। পরবর্তীতে, পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের ৩৮৪১.৩৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রদান করেন।
বাজেট আলোচনায় অংশগ্রহণ ও অনুমোদন প্রদান করায় পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এর প্রশাসক বলেন, “ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাজেট কেবল গাণিতিক সংখ্যা নয়। এই বাজেট আমাদের কাছে সম্মানীত করদাতাদের আমানত। এই বাজেট সফলভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করছে আমাদের সবার প্রিয় এই নগরীর ব্যবস্থাপনা এবং আমাদের দৈনন্দিন নাগরিক সমস্যার সমাধান।”
সভায় ১৯৯৮ সাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী নগরবাসীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী ‘আরবান প্রাইমারী হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারী প্রকল্প-২ পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বিদ্যমান প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারী এনজিওসমূহের মধ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
পরবর্তীতে, অর্থ বিভাগের পরিপত্র অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত সাময়িক শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৬০০/- (ছয় শত) টাকা হতে ৮০০/- (আট শত) টাকা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া, মন্ত্রীপাড়ায় অবস্থিত অস্থায়ী মসজিদটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক একটি তিনতলাবিশিষ্ট নান্দনিক মসজিদে রূপান্তরের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয়গণ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মতিঝিলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ৩০ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনায় তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র মতিঝিল থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি ও নগদ ৮৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. শামিম রহমান (২৯), মো. মিজান রহমান (৫১) ও রবিউল ইসলাম জুয়েল (৪২)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৭-২৯ জুন ঢাকা ও ঝালকাঠিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় শামিমের হেফাজতে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়ি, মিজানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও জুয়েলের কাছ থেকে নয় হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি’র মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ জুন রাজধানীর ওয়ারীর নবাবপুরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মো. খলিল মিয়া (২৬) ও ইব্রাহীম হোসেন রিফাত (২৪) নামের দুই ব্যক্তি নগদ ৩০ লক্ষ টাকা মতিঝিল সিটি ব্যাংক শাখায় জমা দেওয়ার জন্য একটি স্কুটিতে করে রওয়ানা দেন।
দুপুর পৌনে ১টার দিকে মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেলের সামনে পৌঁছা মাত্রই ৬/৭ জনের একটি দল নিজেদের ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ডিবি লেখা একটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়।
পরে দুজনকে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে হাত-পা বেঁধে সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ময়লার ডাস্টবিনে ফেলে পালিয়ে যান।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইদুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপি’র মতিঝিল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিজানের নামে ঝালকাঠির রাজাপুর ও নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানায় আরো দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও লুন্ঠন হওয়া অন্যান্য টাকা উদ্ধারসহ আত্মগোপনে থাকা ডাকাতদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রাজধানীর হাজারীবাগের একটি বাসায় পানির ট্যাংক পরিষ্কারের সময় বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় হাজারীবাগের জিগাতলা ট্যানারি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হয়।
আহতরা হলেন- মো. জিয়াউর রহমান (৪৫) ও তার দুই মেয়ে ফারিয়া (৮) ও রাইফা (৪) এবং ট্যাংক পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক বেলাল হোসেন (২৮)।
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শাহপরান জানান, চাচার বাসায় বেলাল হোসেন নামের এক শ্রমিক ট্যাংক পরিষ্কার করছিলেন, এ সময় চাচা জিয়াউর রহমান ট্যাংকে পর্যাপ্ত আলো না থাকায় একটি বৈদ্যুতিক বাল্ব চালু করার পরই এ বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা গ্যাস থেকে এমনটা হয়েছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘বেলাল হোসেনের শরীরের ১৭ শতাংশ, জিয়াউর রহমানের ৪ শতাংশ, ফারিয়ার ৫ শতাংশ এবং রাইফার ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।’
বর্তমানে তারা সবাই শঙ্কামুক্ত এবং জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় দ্রুতগামী ট্রাকের ধাক্কায় একই পরিবারের তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত (২৩), তার আত্মীয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নাইমুল হক (৩২) এবং জাবেদ আলম খান (৫৫)।
উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান, শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন আজমপুর মোড়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এ সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন বলে জানান তিনি। ওসি বলেন, অপরজনকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই মারা যান।
তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
নিহতরা কাছাকাছি একটি হাসপাতালে রোগী দেখতে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে এবং এর চালক রাকিবুল ইসলামকে (৪২) আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
রাজধানীর উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে ‘হোটেল মিলিনা’ নামের একটি আবাসিক হোটেল দখলের চেষ্টা করা হয়। এমন অভিযোগে ৯ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
রোববার র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার দুপুরে শফিক মোল্লা নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে হোটেল মিলিনিার মালিক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে পূর্বের ব্যবসায়িক সূত্র ধরে ‘মব’ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। সেসময় ১০টি মোটরসাইকেলে করে কমপক্ষে ২৪ জন জোরপূর্বক হোটেলটি দখল করতে যায়।
এ সময় দূর থেকে ওই ঘটনার কিছু ছবি ধারণ করেন র্যাব-১ এর এক গোয়েন্দা সদস্য। ছবি ধারণের সময় ‘মব’ সৃষ্টিকারীরা র্যাব সদস্যদের ঘেরাও করে এবং ছবি তুলতে বাধা দেয়। এ ঘটনার পর র্যাব-১ এবং উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের টহল দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাধা দেওয়া এবং ‘মব’ সৃষ্টির অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে মোট ৯ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৮), মো. শফিক মোল্লা (৩০), মো. আরিফুল ইসলাম (৩০), মো. তন্ময় হোসেন শাওন (২৭), মো. রবিউল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন আশিক (২৭), মো. সাইফুল ইসলাম সাগর (২৭), মো. জালাল খান (৩০) ও মো. আমির (২১)।
আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য