ব্যস্ত নগরী ঢাকার বাসিন্দা রুমা আক্তার (ছদ্মনাম)। ত্রিশ পেরোনো এই নারীর স্বামী যেন থেকেও নেই। জীবনযুদ্ধে পাশে পাননি স্বামীকে। কিন্তু তাতে দমেও যাননি। দুই সন্তানকে মানুষ করতে বেছে নিয়েছেন কঠিন পেশা। থাকছেন সৎবোনের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে। কষ্টকে জয় করতে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম।
তবে দিনের পর দিন সাদেক নামে স্থানীয় এক বখাটের অত্যাচার এবং তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, এর অংশ হিসেবে মাস দুয়েক আগে তাদের বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান সাদেক; ব্যর্থ হয়ে সেই থেকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। কিন্তু থানা-পুলিশকে পাশে পাচ্ছেন না তিনি।
নিউজবাংলাকে এই নারী বলেছেন, তার দুটি মেয়েই স্কুলপড়ুয়া। তারা বাসায় থেকেই পড়াশোনা করে। বৃদ্ধ মা ও দুই কন্যাকে বাসায় রেখে কাজের কারণে প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয় তাকে। কিন্তু ফরহাদ হোসেন বাবু নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ডিশ লাইন ব্যবসার লাইনম্যান সাদেক দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছেন। পরিবারের সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছেন। বিষয়টি তিনি ডিশ ব্যবসায়ী বাবুকে জানান, বিচারও চান। কিন্তু তিনি বিচার না করে উল্টো কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে তাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় যেদিন (গত ২৯ এপ্রিল) তিনি একা ছিলেন, সেদিন সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সাদেক। তিনি নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে ওই বখাটে জ্বলন্ত সিগারেট তার ডান হাতে চেপে ধরেন। এরপর চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরেন সাদেক। একপর্যায়ে বাসায় লোকজন আসার শব্দ পেয়ে দুই মেয়েসহ তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে দ্রুত চলে যান।
তাই ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই প্রতিটি মুহূর্তই প্রাণভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হয় এই নারীকে। কিন্তু মুখ খুলতে পারছেন না। এর মাঝে তিনি থানা-পুলিশের দারস্থ হয়েছেন; মামলার আবেদনও করেছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরায়। আর স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ মামলার আবেদন গ্রহণ না করে মীমাংসার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা সফল না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে ৪ মে। সর্বশেষ মামলার আবেদন নিয়ে গত ১৮ জুন আবারও থানায় যান তিনি। সেই আবেদন হাতে হাতে গ্রহণ করা হলেও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।
এই নারী মনে করেন, নায়িকা পরীমনির মতো অবস্থান থাকলে তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন সমাজের সবাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এই নারীর সঙ্গে আগেও অন্যায় হয়েছিল। যে ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি সুবিচার পান। কিন্তু এবারের বিষয়টি (ধর্ষণচেষ্টার পর দুই সন্তানসসহ হত্যার হুমকি) নিয়ে তিনি আতঙ্কিত। তাই নীরবেই চেষ্টা করছেন বখাটে যুবকের শাস্তি নিশ্চিতের। আর তার এই নীরবতার সুযোগটাই প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় কিছু লোক নিচ্ছে।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, এমনিতেই তার পেশা নিয়ে মানুষজন কটাক্ষ করে ‘পুরুষের কাজ’ বলে। তার দুটি কন্যাসন্তান থাকায় মা হিসেবে তিনি যে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন, তা প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। এসব কারণে সপরিবারে হত্যার হুমকির মুখেও কোনোভাবেই পরিচয় ও পেশা জানাতে চান না।
তাহলে বিচার নিশ্চিত হবে কী করে- নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই নারী বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, আমার অভিযোগের বিচার না করতে পারেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা যে অপবাদ দিচ্ছে, সেই অভিযোগের প্রমাণ করুন। আপনাদের তদন্তে আমি খারাপ প্রমাণিত হলে যে শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব। প্রয়োজনে দুই সন্তান নিয়ে চিরদিনের জন্য ঢাকা ছেড়ে যাব।’
মেয়েটি যে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন, তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা।
গত কয়েক দিন এলাকাটি ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছেলেটি বিবাহিত, বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। নিয়মিত ইয়াবার স্পটে দেখা যায় তাকে। ডিশ সংযোগের লাইনম্যান হওয়ায় বিভিন্ন বাসায় তার যাতায়াত। এই সুযোগে অনেক অসহায় নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক বাসায় ঢুকে এমন ঘটনার পর মারধরের শিকার হন।
নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক এলাকা ঘুরে সংবাদ সংগ্রহের পর ডিশ ব্যবসায়ী বাবু মেয়েটির এক আত্মীয়র বাসায় গিয়ে ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সম্পর্কে মেয়েটি বলেন, ‘নিউজবাংলা থেকে লোক এসেছিলেন বলে বাবু নামের লোকটি আজ (২২ জুন) আমার খালার বাসায় গিয়েছিলেন। তাদের মনে ভয় সৃষ্টি করে গেছেন। বলে গেছেন, আমি যেন আর কোনো রকম এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি। প্রয়োজনে উনি (বাবু) বসে অপরাধীকে (সাদেক) সামনে রেখে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। যেহেতু আসামি ক্ষমা চাইবে, তাই আসামির বিরুদ্ধে থানায় করা অভিযোগ (জিডি) প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন।
‘তারপরও যদি আমি ওনার (বাবু) কোনো কথা না শুনি, তবে উনি বসে থাকবেন না। উনি চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন বলে হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি খালাকে বলেছি, অপরাধী যদি কোনো দোষ না করে, কোনো অপরাধ না করে, তাহলে কেন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে?’
তিনি বলেন, ‘আমার নিরাপত্তায় কোনো রকম সহায়তা পাচ্ছি না। উল্টো আরও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। জানি না কখন কী হয়ে যায় আমার, আমার পরিবারের।’
মেয়েটি বলছেন, গত কয়েক দিন দুটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে আজেবাজে কথা বলা হচ্ছে, হুমকি দেয়া হচ্ছে। নম্বর দুটি হচ্ছে +৮৮০১৭২০-৮২১৯৯২ ও +৮৮০১৪০৮৫০৩৯৫৪।
এই দুটি নম্বরে ফোন দিয়েছে নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক। একটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরেকটি নম্বরে পাওয়া যায় একজনকে। তিনি বলছেন, তার নাম সুমন, থাকেন মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায়।
ওই নারীকে হুমকি দিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সাদেককে চেনেন কি না, জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে চেনেন না বলে দাবি করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নিউজবাংলার কাছে আক্ষেপ করে ওই নারী বলেন, ‘আপনারাও আমার জন্য কিছু করলেন না। আসলে আমারই ভুল। আমার বোঝা উচিত ছিল, আমি নায়িকা পরীমনি না যে, আমি বললেই আমার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই পৃথিবীতে মিথ্যা এবং পাপীদের জয় হয়। সত্য পুণ্যের কোনো জয় নাই।’
শনিবার রাতে আবারও নিউজবাংলার এই প্রতিবেদককে নাম-পরিচয় না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমার নাম বললে সবাই চিনবে। পরিচয় প্রকাশ করবেন না। আমার দুইটা মেয়ে আছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই মা হিসেবে আমার নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে ঘটনার বিচার চাইছি আপনাদের কাছে।’
এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে থানা-পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বাবুর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে ভালো ছেলে, এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে।’ সাদেককে চেনেন না বলে জানান তিনি।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি শোনার পর একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তদন্ত করে আমাকে জানিয়েছিলেন, মেয়েটিই খারাপ। ডিশের বিল দেয় নাই। এটা নিয়েই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ডিসি, এডিসি স্যার সবাই জানেন।’
মেয়েটি বলছেন, তার বাসায় কোনো ডিশের লাইন নেই। তাহলে বিল কেন দেবেন- এমন প্রশ্নে ওসি পারভেজ বলেন, ‘আপনি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। কারণ ঘটনা ঘটেছিল আমি আসার আগেই। বিষয়টি পুরোপুরি জানিও না।’
মেয়েটির অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাবু ও সাদেকের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় পল্লবী থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন কাজী ওয়াজেদ আলী, যিনি মাস দেড়েক আগে ডিএমপির ডিবিতে বদলি হয়েছেন।
সেই সময় মামলা না নিয়ে জিডি গ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী ওয়াজেদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত ঘটনা ঘটে পল্লবী থানায়। আমার এখন মনে নেই। কিছুই বলতে পারব না।’
মেয়েটি যখন থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন, সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করেছিলেন এসআই শহিদুল ইসলাম। রোববার নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মেয়েটি জানিয়েছিল। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাই নাই।
‘তা ছাড়া এলাকার ডিশ সংযোগ কেটে দেয়ায় মেয়েটি নাকি ডিশ সংযোগকারীদের হুমকি দিয়ে বলেছিল, তাদের জেলের ভাত খাওয়াবে। এসব বিষয় থানায় জানিয়েছি। তারপর কী হয়েছে আমি আর বলতে পারব না।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে গত কয়েক দিন নিউজবাংলা মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিনের সঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপেও বার্তা পাঠানো হয় তাকে। বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে নিউজবাংলা কথা বলেছে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘একজন নারী নিগৃহ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যজনক হলো তারা সহযোগিতা করে না। পুরুষ ডমিনেটিং সমাজে নারীর অবস্থা এমনিতেই ভালনারেবল, সে ক্ষেত্রে তিনি যদি কর্মজীবী হন, তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে থাকে।’
নূর খান লিটন বলেন, ‘আমাদের সবাইকে কর্মজীবী নারীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা উচিত। এই নারীর ক্ষেত্রে পুলিশ যে ভূমিকা নিয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন:২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়ার দাবিতে দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে রাজধানীর প্রেস ক্লাব এলাকায়। পুলিশের বাধার মুখে সেখান থেকে সরে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সেখানে সরে গিয়ে ওই স্থান থেকেই তারা লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি এখন থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলবে। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকেই কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের শীর্ষ নেতারা এরইমধ্যে শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। যারা এখনো প্রেস ক্লাবে আছেন, তাদের অনুরোধ করছি মিছিলসহ শহীদ মিনারে চলে আসতে। আমরা এখান থেকেই আমাদের আন্দোলন পরিচালনা করব এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে লাগাতার আন্দোলনকে সাজাবো ইনশাআল্লাহ।
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি—যতক্ষণ পর্যন্ত জাতীয়করণের প্রজ্ঞাপন জারি না হবে, আমরা শহীদ মিনার ছাড়ব না, ঢাকার রাজপথও ছাড়ব না। আলোচনার মাধ্যমে, সহযোগিতার মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন নিয়েই বিজয়ী বেশে আমরা শ্রেণিকক্ষে ফিরব।
অন্যদিকে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক করেন। ছবি: ফেসবুক
বাংলাদেশে আগামী বছর একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সাথে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সারাহ কুক বলেন, ‘যুক্তরাজ্য কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে বৈঠকে খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাজ্যের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচন কমিশন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করি। যুক্তরাজ্য বিশেষ করে জাতীয় নাগরিক শিক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে, বিশেষ করে দেশের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির জন্য এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করছে। তাই আমাদের এজেন্ডা ছিল নির্বাচন কমিশনের সাথে যুক্তরাজ্যের সমর্থন নিয়ে আলোচনা করা। যেমনটি আমি বলেছি, জাতীয় নাগরিক শিক্ষা এবং ভোটগ্রহণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্যও আমরা কাজ করছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আজ নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা করেছি।'
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি যে যুক্তরাজ্য আগামী বছর বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন করছে।’
রাজধানীর উত্তরার কবি জসীমউদ্দীন রোডে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এক মোটরবাইক চালক নিহত হয়েছেন। মোহাম্মদ আরমান মির্জা (২১) নামের ওই তরুণ কলেজ শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পথচারীরা আহত আরমানকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান।
নিহতের খালা নাজনীন আক্তার জানান, ‘খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেল জরুরি বিভাগে এসে আমার ভাগিনা আরমানের মরদেহ দেখতে পাই। সে আব্দুল্লাহপুরের নবাব হাবিবুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছে। গভীর রাতে আরমান মোটরবাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় জসিম উদ্দিন রোডে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, আরমানের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ থানার পূর্ব হাতিআলা গ্রামে।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টিতব্য লঘূচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে, রাত হতে রাজধানীতে বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বেশ কিছু এলাকায় অস্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ডিএসসিসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া, ওয়ার্ডভিত্তিক ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (Emergency Response Team) কাজ করে চলেছে। গ্রীন রোড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শান্তিনগর, বেইলি রোড, কাকরাইল, পল্টন, সাত মসজিদ রোড, ধানমণ্ডি এলাকার জলাবদ্ধতা ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। তবে, পানি নির্গমনের আউটলেট অংশ এবং খাল-নদীর অংশের পানির লেভেল প্রায় একই হওয়ার ফলে পানি নিষ্কাশনের ধীরগতি বিদ্যমান থাকায় কিছু এলাকার পানি নামতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সব এলাকা থেকে অস্থায়ী পোর্টেবল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, কমলাপুরে স্থাপিত হাই প্রেসার ভার্টিক্যাল পাম্পের মাধ্যমে দ্রুত পানি নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ (01709900888) মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি অব্যাহত রয়েছে।
রাজধানীতে গতকাল রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি। মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টি আজ সোমবার সকালেও থামেনি। বৃষ্টির সঙ্গে ছিলো বজ্রপাতও। মুষলধারে হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমেছে। ফলে সড়কে আটকে আছে গণপরিবহন। এতে সাতসকালেও ঘর থেকে কাজে বের হওয়া লোকজন পরেছেন ভোগান্তিতে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ধানমন্ডি, আসাদগেট, কলাবাগান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ১০, মিরপুর শেওড়াপাড়া, নিউমার্কেট, মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পানি জমতে দেখা যায়। এসব এলাকায় কোথাও হাঁটুপানি পরিমাণ জমলেও আসাদগেট, মগবাজার, মিরপুরের শেওড়াপাড়ায় ছিল কোমরসমান পানি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর আরেকটি লঘূচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি ঘণীভূত হতে পারে।
এদিকে রাজধানীতে সকালে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষ। শ্যামলী থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তায় আসতে গিয়ে আসাদগেট কোমরসমান পানিতে আটকা পড়েন ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হলেও বৃষ্টির কারণে সময়মত অফিসের জন্য বের হতে পারিনি। কোনোভাবে যাও বের হয়েছিলাম, তা পথের বিভিন্ন জায়গায় হাঁটুসমান থেকে কোমরসমান পানির জন্য আটকে থাকতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় পানি জমে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে। অফিসগামী লোকজনদের পরতে হয়েছে দুর্ভোগে।
এছাড়া শেওড়াপাড়া থেকে ফাহিম নামের এক তরুণ বলেন, বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। রাস্তায় এত পরিমাণ পানি জমেছে যে, হেঁটে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই। রিকশায়ও ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম ছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার ও রোববার রাজধানীর আকাশ খানিকটা ঘোলাটে ছিল। তবে আজ সোমবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করলো ভ্রমণ ও পর্যটনভিত্তিক নতুন প্রতিষ্ঠান ট্রিপোলজি। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জুই গার্ডেনে অবস্থিত ট্রিপোলজির অফিসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল ব্লগার শিশির দেব। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও যোগ দেন ইউনিভার্সেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: আশীষ কুমার চক্রবর্ত্তী এবং কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা।
উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল রিবন কাটিং, অফিসিয়াল ফটো সেশন এবং দর্শকদের জন্য বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট সেশন। অনুষ্ঠান ঘিরে ভ্রমণপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় এবং তারা বাংলাদেশের ভ্রমণ শিল্পে ট্রিপোলজির সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রিপোলজির কো-ফাউন্ডার তাজরিন আখতার, আবু বক্কর সিদ্দিক ও তৌহিদুল ইসলাম জানান, তাদের লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বাংলাদেশে ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়া। কোম্পানির সিইও ইমতিয়াজ কাইসুল বলেন, “ট্রিপোলজি শুধুমাত্র একটি ট্রাভেল এজেন্সি নয়; আমরা চাই মানুষ যেন ভ্রমণের প্রতিটি ধাপে নিশ্চিন্ত সেবা পায়। ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং ও হলিডে প্যাকেজ সবকিছুতেই আমরা সর্বোচ্চ পেশাদার মান নিশ্চিত করতে চাই।”
ট্রিপোলজি বর্তমানে প্রথম বিশ্বের দেশগুলোর ভিসা প্রসেসিংয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। পাশাপাশি সব ধরনের দেশি-বিদেশি হলিডে প্যাকেজ, এয়ার টিকিট, হোটেল বুকিং, থার্ড ওয়ার্ল্ড ভিসা প্রসেসিং ও স্টুডেন্ট ভিসা সংক্রান্ত সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন, ট্রিপোলজির উদ্যোগ বাংলাদেশের ভ্রমণশিল্পকে আরও গতিশীল করবে।
ঠিকানা: জুই গার্ডেন, হাউস ২/এ, লেভেল-৭, ব্লক এল, রোড ২/১, বনানী-১২১৩, ঢাকা।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩১৩টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১০২টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বুধবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য