ব্যস্ত নগরী ঢাকার বাসিন্দা রুমা আক্তার (ছদ্মনাম)। ত্রিশ পেরোনো এই নারীর স্বামী যেন থেকেও নেই। জীবনযুদ্ধে পাশে পাননি স্বামীকে। কিন্তু তাতে দমেও যাননি। দুই সন্তানকে মানুষ করতে বেছে নিয়েছেন কঠিন পেশা। থাকছেন সৎবোনের বাসায় কেয়ারটেকার হিসেবে। কষ্টকে জয় করতে রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম।
তবে দিনের পর দিন সাদেক নামে স্থানীয় এক বখাটের অত্যাচার এবং তার আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের কারণে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, এর অংশ হিসেবে মাস দুয়েক আগে তাদের বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান সাদেক; ব্যর্থ হয়ে সেই থেকে সপরিবারে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। কিন্তু থানা-পুলিশকে পাশে পাচ্ছেন না তিনি।
নিউজবাংলাকে এই নারী বলেছেন, তার দুটি মেয়েই স্কুলপড়ুয়া। তারা বাসায় থেকেই পড়াশোনা করে। বৃদ্ধ মা ও দুই কন্যাকে বাসায় রেখে কাজের কারণে প্রতিদিনই বাইরে বের হতে হয় তাকে। কিন্তু ফরহাদ হোসেন বাবু নামের স্থানীয় এক প্রভাবশালীর ডিশ লাইন ব্যবসার লাইনম্যান সাদেক দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করছেন। পরিবারের সবাইকে বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে আসছেন। বিষয়টি তিনি ডিশ ব্যবসায়ী বাবুকে জানান, বিচারও চান। কিন্তু তিনি বিচার না করে উল্টো কর্মচারীর পক্ষ নিয়ে তাকে নানা রকম হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
এরই ধারাবাহিকতায় যেদিন (গত ২৯ এপ্রিল) তিনি একা ছিলেন, সেদিন সন্ধ্যায় বাসায় ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন সাদেক। তিনি নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে ওই বখাটে জ্বলন্ত সিগারেট তার ডান হাতে চেপে ধরেন। এরপর চিৎকার করার চেষ্টা করলে তার মুখ চেপে ধরেন সাদেক। একপর্যায়ে বাসায় লোকজন আসার শব্দ পেয়ে দুই মেয়েসহ তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে দ্রুত চলে যান।
তাই ঘরে-বাইরে সব জায়গায়ই প্রতিটি মুহূর্তই প্রাণভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে থাকতে হয় এই নারীকে। কিন্তু মুখ খুলতে পারছেন না। এর মাঝে তিনি থানা-পুলিশের দারস্থ হয়েছেন; মামলার আবেদনও করেছেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে ঘোরায়। আর স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ মামলার আবেদন গ্রহণ না করে মীমাংসার চেষ্টা করে। এই চেষ্টা সফল না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করে ৪ মে। সর্বশেষ মামলার আবেদন নিয়ে গত ১৮ জুন আবারও থানায় যান তিনি। সেই আবেদন হাতে হাতে গ্রহণ করা হলেও মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি।
এই নারী মনে করেন, নায়িকা পরীমনির মতো অবস্থান থাকলে তার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তেন সমাজের সবাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এই নারীর সঙ্গে আগেও অন্যায় হয়েছিল। যে ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর তিনি সুবিচার পান। কিন্তু এবারের বিষয়টি (ধর্ষণচেষ্টার পর দুই সন্তানসসহ হত্যার হুমকি) নিয়ে তিনি আতঙ্কিত। তাই নীরবেই চেষ্টা করছেন বখাটে যুবকের শাস্তি নিশ্চিতের। আর তার এই নীরবতার সুযোগটাই প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত স্থানীয় কিছু লোক নিচ্ছে।
মেয়েটির ভাষ্যমতে, এমনিতেই তার পেশা নিয়ে মানুষজন কটাক্ষ করে ‘পুরুষের কাজ’ বলে। তার দুটি কন্যাসন্তান থাকায় মা হিসেবে তিনি যে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন, তা প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না। এসব কারণে সপরিবারে হত্যার হুমকির মুখেও কোনোভাবেই পরিচয় ও পেশা জানাতে চান না।
তাহলে বিচার নিশ্চিত হবে কী করে- নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই নারী বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, আমার অভিযোগের বিচার না করতে পারেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযুক্তরা যে অপবাদ দিচ্ছে, সেই অভিযোগের প্রমাণ করুন। আপনাদের তদন্তে আমি খারাপ প্রমাণিত হলে যে শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব। প্রয়োজনে দুই সন্তান নিয়ে চিরদিনের জন্য ঢাকা ছেড়ে যাব।’
মেয়েটি যে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন, তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা।
গত কয়েক দিন এলাকাটি ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছেলেটি বিবাহিত, বয়স আনুমানিক ২৩ বছর। নিয়মিত ইয়াবার স্পটে দেখা যায় তাকে। ডিশ সংযোগের লাইনম্যান হওয়ায় বিভিন্ন বাসায় তার যাতায়াত। এই সুযোগে অনেক অসহায় নারীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন তিনি। সম্প্রতি এক বাসায় ঢুকে এমন ঘটনার পর মারধরের শিকার হন।
নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক এলাকা ঘুরে সংবাদ সংগ্রহের পর ডিশ ব্যবসায়ী বাবু মেয়েটির এক আত্মীয়র বাসায় গিয়ে ‘বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এ সম্পর্কে মেয়েটি বলেন, ‘নিউজবাংলা থেকে লোক এসেছিলেন বলে বাবু নামের লোকটি আজ (২২ জুন) আমার খালার বাসায় গিয়েছিলেন। তাদের মনে ভয় সৃষ্টি করে গেছেন। বলে গেছেন, আমি যেন আর কোনো রকম এই বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করি। প্রয়োজনে উনি (বাবু) বসে অপরাধীকে (সাদেক) সামনে রেখে আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। যেহেতু আসামি ক্ষমা চাইবে, তাই আসামির বিরুদ্ধে থানায় করা অভিযোগ (জিডি) প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছেন।
‘তারপরও যদি আমি ওনার (বাবু) কোনো কথা না শুনি, তবে উনি বসে থাকবেন না। উনি চাইলে অনেক কিছু করতে পারেন বলে হুমকি দিয়ে গেছেন। আমি খালাকে বলেছি, অপরাধী যদি কোনো দোষ না করে, কোনো অপরাধ না করে, তাহলে কেন আমার কাছে ক্ষমা চাইবে?’
তিনি বলেন, ‘আমার নিরাপত্তায় কোনো রকম সহায়তা পাচ্ছি না। উল্টো আরও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। জানি না কখন কী হয়ে যায় আমার, আমার পরিবারের।’
মেয়েটি বলছেন, গত কয়েক দিন দুটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে ফোন দিয়ে তাকে আজেবাজে কথা বলা হচ্ছে, হুমকি দেয়া হচ্ছে। নম্বর দুটি হচ্ছে +৮৮০১৭২০-৮২১৯৯২ ও +৮৮০১৪০৮৫০৩৯৫৪।
এই দুটি নম্বরে ফোন দিয়েছে নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক। একটি বন্ধ পাওয়া যায়। আরেকটি নম্বরে পাওয়া যায় একজনকে। তিনি বলছেন, তার নাম সুমন, থাকেন মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায়।
ওই নারীকে হুমকি দিয়েছিলেন কি না, জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সাদেককে চেনেন কি না, জানতে চাইলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে চেনেন না বলে দাবি করেন।
এমন পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার নিউজবাংলার কাছে আক্ষেপ করে ওই নারী বলেন, ‘আপনারাও আমার জন্য কিছু করলেন না। আসলে আমারই ভুল। আমার বোঝা উচিত ছিল, আমি নায়িকা পরীমনি না যে, আমি বললেই আমার জন্য কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই পৃথিবীতে মিথ্যা এবং পাপীদের জয় হয়। সত্য পুণ্যের কোনো জয় নাই।’
শনিবার রাতে আবারও নিউজবাংলার এই প্রতিবেদককে নাম-পরিচয় না প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমার নাম বললে সবাই চিনবে। পরিচয় প্রকাশ করবেন না। আমার দুইটা মেয়ে আছে। তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই মা হিসেবে আমার নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে ঘটনার বিচার চাইছি আপনাদের কাছে।’
এসব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম বাপ্পী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির সঙ্গে যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে থানা-পুলিশ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ বাবুর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে ভালো ছেলে, এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য করে।’ সাদেককে চেনেন না বলে জানান তিনি।
পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেয়েটির কাছ থেকে বিষয়টি শোনার পর একজন অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তদন্ত করে আমাকে জানিয়েছিলেন, মেয়েটিই খারাপ। ডিশের বিল দেয় নাই। এটা নিয়েই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছিলেন। বিষয়টি ডিসি, এডিসি স্যার সবাই জানেন।’
মেয়েটি বলছেন, তার বাসায় কোনো ডিশের লাইন নেই। তাহলে বিল কেন দেবেন- এমন প্রশ্নে ওসি পারভেজ বলেন, ‘আপনি ডিসি স্যারের সঙ্গে কথা বলেন। কারণ ঘটনা ঘটেছিল আমি আসার আগেই। বিষয়টি পুরোপুরি জানিও না।’
মেয়েটির অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বাবু ও সাদেকের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সময় পল্লবী থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন কাজী ওয়াজেদ আলী, যিনি মাস দেড়েক আগে ডিএমপির ডিবিতে বদলি হয়েছেন।
সেই সময় মামলা না নিয়ে জিডি গ্রহণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী ওয়াজেদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এত ঘটনা ঘটে পল্লবী থানায়। আমার এখন মনে নেই। কিছুই বলতে পারব না।’
মেয়েটি যখন থানায় অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন, সেই অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করেছিলেন এসআই শহিদুল ইসলাম। রোববার নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘মেয়েটিকে সঙ্গে নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে বলে মেয়েটি জানিয়েছিল। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পাই নাই।
‘তা ছাড়া এলাকার ডিশ সংযোগ কেটে দেয়ায় মেয়েটি নাকি ডিশ সংযোগকারীদের হুমকি দিয়ে বলেছিল, তাদের জেলের ভাত খাওয়াবে। এসব বিষয় থানায় জানিয়েছি। তারপর কী হয়েছে আমি আর বলতে পারব না।’
ঘটনা সম্পর্কে জানতে গত কয়েক দিন নিউজবাংলা মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিনের সঙ্গে। হোয়াটসঅ্যাপেও বার্তা পাঠানো হয় তাকে। বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার কোনো সাড়া মেলেনি।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকেলে নিউজবাংলা কথা বলেছে মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘একজন নারী নিগৃহ হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে যাবে, এটাই স্বাভাবিক। দুর্ভাগ্যজনক হলো তারা সহযোগিতা করে না। পুরুষ ডমিনেটিং সমাজে নারীর অবস্থা এমনিতেই ভালনারেবল, সে ক্ষেত্রে তিনি যদি কর্মজীবী হন, তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে থাকে।’
নূর খান লিটন বলেন, ‘আমাদের সবাইকে কর্মজীবী নারীকে শ্রদ্ধার চোখে দেখা উচিত। এই নারীর ক্ষেত্রে পুলিশ যে ভূমিকা নিয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
গ্যাস পাইপলাইনে জরুরি কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে। খবর ইএনবির
তিতাস জানায়, যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
এ সময় আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে তিতাস। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে কোম্পানি।
রাজধানীর মুগদায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
মুগদার বড়বাজারের সামনে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো মাহিন আহমেদ (১৩) মতিঝিল সরকারি আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে পরিবারের সঙ্গে উত্তর মুগদার মদিনাবাগে একটি বাসায় থাকত।
মাহিনের খলাত ভাই হিমেল জানান, মাহিনের বাবা একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মাহিন দ্বিতীয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল মাহিন, ওই সময় ময়লার গাড়িটি তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে মাহিনের মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ করে চালককে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:মেট্রোরেলের চলমান প্রকল্পটি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মেট্রোরেলের এমআরাটি-৫ ও এমআরটি-৬-এর চলমান প্রকল্পটি হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ অথবা দিয়াবাড়ি থেকে সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পে সরকার যদি কোনোরকম জটিলতা মনে করে তাহলে এমআরটি-৬ প্রকল্প উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে বিরুলিয়া হয়ে সাভার রেডিও কলোনি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে তা নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সম্প্রসারণের দাবিও জানান তারা।
কর্মসূচিতে সড়কের উপর দিয়ে সম্ভব না হলে মাটির নিচ দিয়ে মেট্রোরেলের যে প্রকল্প রয়েছে, সেই প্রকল্পে সাভারকে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন সাভার নাগরিক কমিটির সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সভাপতি কামরুজামান খান।
তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের প্রকল্প সাভার পৌর এলাকার শেষ সীমানা পর্যন্ত সম্প্রসারণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিবকে এ ব্যাপারে অবগতপত্র দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রেলমন্ত্রী, সচিব ও মহাপরিচালকে পত্র দিয়ে এবং সরাসরি সবকিছু অবগত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত সাভারবাসী রেলসেবা পাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছে। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাভারের লাখ লাখ মানুষ মেট্রেরেলের সুবিধা প্রত্যাশা করেন। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হক, সাভার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষানুরাগী সালাহউদ্দিন খান নঈম, সাভার পৌর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মিজানুর রহমান মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী স্বরণ সাহা, প্রভাত ডি রোজারিও, বন্ধুরহাট যুব সংগঠনের আলোকুর রহমান, জাগরণী থিয়েটারের সভাপতি আজিম উদ্দিনসহ আরও অনেকে।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, ‘পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দুহাত ভরে তার বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলাসহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডিপিডিটির মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরিন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।’
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, শুধু প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একই সঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি (বিজ্ঞাপন), ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।’
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়।
সেগুলো হলো যথাক্রমে- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা।
এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
টেলিভিশন ক্যামেরাম্যান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (টিসিএ) উদ্যোগে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু ও সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাস সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করেন তাদেরকে আমরা মননশীল মনে করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?
নারকীয় এই হামলায় নেতৃত্ব দেয়া জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বোসহ হামলায় জড়িত সবাইকে শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে আরও অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত বিনোদন বিটের সাংবাদিকরা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকেলে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বোর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা হয়। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চারজন।
তদন্ত কমিটি
এদিকে হামলার ঘটনা তদন্তে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।
দশজনের তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয় ও আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য