ভালো একটা চাকরি আর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে ১৪ বছর আগে বরিশাল থেকে রাজধানী ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান। ভর্তি হন তিতুমীর কলেজে। খরচ জোগাতে শুরু করেন ‘ছোটখাটো’ চাকরি। এভাবে সেখানে স্নাতক শেষে ঢাকা কলেজ থেকে করেন স্নাতকোত্তরও। এরপর পুরোদমে চাকরি শুরু করেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে; করেন বিয়েও।
ওই চাকরি দিয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিল মনিরুজ্জামানের দিনকাল। আরেকটু ভালো থাকতে সরকারি চাকরির আশায় পরিচিত একজনকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েও চাকরিটা পাননি।
তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভালো একটা চাকরির। সেটা নিশ্চিতও হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের প্রথম দিকে করোনা লণ্ডভণ্ড করে দেয় তার স্বপ্ন। নিশ্চিত চাকরিটাও করতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে লাজলজ্জা ভুলে এক বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার করে রাস্তার পাশে দেন পান-সিগারেটের দোকান। এই দোকান থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনসংগ্রাম। পাশাপাশি খুঁজছেন স্বপ্নের সেই চাকরি। কিন্তু করোনার কারণে কোথাও ঢুকতে পারছেন না। এদিকে বয়সও বাড়ছে। সব মিলিয়ে চরম হতাশার মধ্যে রয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই যুবক।
সম্প্রতি ধানমন্ডির শংকর এলাকায় পান-সিগারেটের ওই দোকানে তার সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। মনিরুজ্জামান জানান, তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। ছয় বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। তার বউ-বাচ্চা থাকেন বরিশালের গ্রামের বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে।
তিনি জানান, গত বছর করোনার শুরুতেই বন্ধুর কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ধার করে দোকানটি দেন, ওই বন্ধুর বাসায়ই থাকছেন তিনি। মাসে ৫-৬ হাজার টাকা বাড়ি পাঠান। কিন্তু বন্ধুর পরিবার আসছে সামনের মাসেই। তাই তাকে ভাড়া বাসায় উঠতে হবে। তাহলে গ্রামে বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের জন্য টাকা পাঠাবেন কীভাবে, সে চিন্তায় যেন ‘ঘুম হারাম’ তার।
এই যুবক জানান, গত বছরের মার্চ মাসে করোনা মহামারি শুরুর আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কাস্টমার সার্ভিসে রিপোর্ট ডেলিভারিম্যান পদে চাকরি করতেন। ওই চাকরি দিয়ে মোটামুটি ভালোই চলছিল। তবে গত বছর লকডাউনের আগে হঠাৎ রাজশাহীতে বদলি করায় সেই চাকরি ছেড়ে দেন।
তিনি বলেন, ‘সে সময় রাজধানীর আরেকটি হাসপাতালে অন্য একটা চাকরি হয়েই গিয়েছিল। এপ্রিলে সেখানে যোগ দেয়ারও কথা ছিল। কিন্তু মার্চে লকডাউন শুরু হলে তারা ওই নিয়োগ স্থগিত করে দেয়, আর লোক নেয়নি।’
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এরপর আমি চরম হতাশায় পড়ে যাই। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। পরে আমার এক কাছের বন্ধুর পরামর্শে তার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা ধার করে এই পান-সিগারেটের দোকান দিই।
‘লজ্জা নিয়ে বসে থাকলে তো আর আমার জীবন চলবে না। কিছু একটা তো আমাকে করতেই হবে। গ্রামের বাড়ি স্ত্রী ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে আছে। তারা থাকছে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের সঙ্গে। তাদের তো বাঁচাতে হবে।’
‘করোনা হয়ে একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে’
করোনার কারণেই বেকার হয়ে রাস্তার পাশে দোকানদারি করলেও একদিক থেকে ভালোই হয়েছে বলে মনে করেন এই যুবক।
বলেন, ‘করোনা হয়ে একদিক দিয়ে ভালোই হয়েছে। মাস্ক পরে দোকানদারি করি। রাস্তা দিয়ে অনেক পরিচিত চলে যায়। কেউ কলেজের বন্ধু, কেউ দেশের বাড়ির পরিচিত, আরও কত পরিচিত আছে। মাস্ক পরা থাকার করণে তারা আমাকে চিনতে পারে না। আর চিনলেইবা কী? আমার কাজ আমি করি। এই কাজ করেই জীবন চালাই।’
‘সবাই বলছে, করোনায় কোনো নিয়োগ হবে না’
এভাবে নিজেকে একপ্রকার সান্ত্বনা দিলেও ভেতরে ভেতরে সারাক্ষণই যে দুশ্চিন্তা করেন, চরম হতাশায় ভোগেন, তাও তিনি জানিয়েছেন নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে।
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখন খুব হতাশার মধ্যে আছি ভাই। আমার বয়স ৩২ বছর চলছে। ৩৫ বছর পর আর কোনো বেসরকারি চাকরিও হবে না আমার। এক জায়গায় ইন্টারভিউ দিয়েছি, চাকরি হয়নি। আরও কয়েক জায়গায় কথা বলেছি। সবাই বলছে, করোনার ভেতরে কোনো নিয়োগ হবে না।
‘আর এই করোনা কবে যাবে, সেটাও তো বলা যাচ্ছে না। লাজলজ্জা ভুলে বেঁচে থাকার তাগিদে এই ব্যবসা হয়তো কিছু দিন করা যাবে। কিন্তু সারা জীবন তো আর করা যাবে না। সব মিলিয়ে চরম হতাশার মধ্যে আছি, ভাই।’
‘কেউই জানত না পান-সিগারেটের ব্যবসা করি’
লজ্জায় প্রথম দিকে পরিবারের কাউকেও পান-সিগারেটের দোকান দেয়ার কথা জানাতে পারেননি এই যুবক।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘প্রথম দিকে আমার পরিবারের কেউই জানত না আমি পান-সিগারেটের ব্যবসা করি। সবাই জানত একটা বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করি। কিন্তু কত দিন আর লুকানো যায় বলেন? তাই পাঁচ মাস আগে বউকে এই ব্যবসার কথা প্রথম জানাই। আস্তে আস্তে মা-বাবাসহ পরিবারের সবাই জেনে যায়।’
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ছয় বছর আগে বিয়ে করে সংসার গড়ি। দেড় বছরের একটা মেয়ে আছে আমার। বউ আর মেয়ে আমার মা-বাবার সঙ্গে গ্রামের বাড়ি থাকে। আমরা তিন ভাই ও দুই বোন। আমি সবার ছোট।’
কেমন চলছে দোকান, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তিন-চার হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। সেখান থেকে চার-পাঁচ শ টাকা লাভ থাকে। এই টাকা থেকে প্রতি মাসে বাড়িতে পাঁচ-ছয় হাজার পাঠাই। বাকি টাকা দিয়ে আমি ঢাকায় চলি। এর মধ্যে যে টাকা জমাতে পারি, দুই-তিন মাস পরপর বাড়ি গেলেই তা শেষ হয়ে যায়।’
‘বড় চিন্তা সামনের মাস থেকে থাকব কই’
মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকায় আমি আমার ওই বন্ধুর বাসায় থাকি। সে আমার সবই জানে। তাই আমার কাছ থেকে বাসা ভাড়া নেয় না। আমি শুধু মাঝে মাঝে বাজার করে দিই। কিন্তু কয়েক দিন পরেই বন্ধু তার পরিবারকে ঢাকায় নিয়ে আসবে। তাই তার বাসা আমাকে ছেড়ে দিতে হবে। এখন বড় চিন্তা সামনের মাস থেকে আমি কই থাকব। এখন তো বাড়ি ভাড়া দেয়া লাগে না। অন্যখানে গেলে তো বাড়ি ভাড়া, খাওয়া খরচ সব লাগবে। তখন চলব কীভাবে?’
শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাইলে এই যুবক বলেন, ‘এসএসসিতে এ গ্রেড পেয়েছি, এইচএসসিতে বি গ্রেড পেয়ে তিতুমীর কলেজে ইসলামিক স্টাডিজে অনার্সে ভর্তি হই, সেকেন্ড ক্লাস পাই। পরে মাস্টার্স করার জন্য ঢাকা কলেজে ভর্তি হই। ২০১৩ সালে ফার্স্ট ক্লাস নিয়ে বের হই।’
‘সব শেষ হয়ে যায় ২ বছর আগেই’
মনিরুজ্জামান জানান, ঢাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। সরকারি এক হাসপাতালে চাকরির আশায় সেই সঞ্চয় এবং ধার করে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন এক পরিচিতকে। কিন্তু সেই চাকরি হয়নি, টাকাও ফেরত পাননি। পেয়েছেন শুধু ঋণের বোঝা।
তিনি বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে যায় দুই বছর আগেই। পড়াশোনা করা অবস্থায় চাকরি করে কিছু টাকা জমাইছিলাম। হঠাৎ পরিচিত একজন আমার কাছে প্রস্তাব দেয় সাড়ে তিন লাখ টাকা দিলে আগারগাঁওয়ের সরকারি চক্ষু হাসপাতালে একটা চাকরি দিয়ে দেবে। আমি লোভে পড়ে আমার জমানো কিছু টাকা আর ধারদেনা করে তাকে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা দিই। এরপর সেই চাকরিও আমার হলো না, আর সেই টাকাও পাইলাম না। তখনই আমার সবকিছু শেষ হয়ে যায়।’
‘মাস্ক পরা ছবি তোলেন, ভিডিও কইরেন না ভাই’
মনিরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভাই, আমার ভিডিও কইরেন না। রিপোর্টের জন্য ছবি দরকার হলে মাস্ক পরা ছবি দিয়েন।’
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বোঝেনই তো ভাই। পরিবারের লোকজন জানে আমি পান-সিগারেট বেচি। কিন্তু বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, এলাকার মানুষজন তো জানে না। আমার সহপাঠীদের কেউ সরকারি কর্মকর্তা, কেউ সরকারি শিক্ষক, কেউ ব্যাংকার। এভাবে রাস্তায় পান-সিগারেট বেচতে দেখলে তারাও অনেক কষ্ট পাবে।’
আরও পড়ুন:রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বরে মানি এক্সচেঞ্জে ব্যবসায়ীর ২২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনার পর আসামিদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের সূত্র ধরেই অস্ত্রসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গত মঙ্গলবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-চক্রের হোতা মো. জলিল মোল্লা (৫২), মো. জাফর (৩৩), মোস্তাফিজুর রহমান (৪০), সৈকত হোসেন ওরফে দিপু মৃধা (৫২), মো. সোহাগ হাসান (৩৪) ও পলাশ আহমেদ (২৬)। এ ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, তিনটি মোটরসাইকেল, পিস্তল, গুলি, জাল টাকা ও লুণ্ঠিত টাকা-বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করা হয়েছে।
পেশাদার চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতি করে আসছিল। চক্রটি দীর্ঘদিন মানি এক্সচেঞ্জের মালিকের ওপর নজরদারি করে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাহমুদ মানি এক্সচেঞ্জের মালিক রাসেল ও তার ভগ্নিপতি জাহিদুল হক চৌধুরী মিরপুর-১১ সি-ব্লকের বাসা থেকে ২১ লাখ টাকা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা নিয়ে হেঁটে মিরপুর-১০ নম্বরের অফিসে যাচ্ছিলেন। শেরে বাংলা স্টেডিয়াম ও ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি গলির মুখে পৌঁছালে মোটরসাইকেলযোগে ওত পেতে থাকা ৭ থেকে ৮ জন মুখোশধারী ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। তাদের একজন পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে আরেকজন গুলি ছোড়ে এবং একজন ধারালো চাপাতি দিয়ে জাহিদুলের কোমরে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। ডাকাতরা চারটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার ভিডিও একজন পথচারী মোবাইল ফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় আহত জাহিদুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। ঘটনার পরপরই ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে ডিবির একাধিক টিম মাঠে নামে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিবি প্রথমে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস শনাক্ত করে। মাইক্রোবাসের চালক জাফরকে (৩৩) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাফর ছিনতাইয়ের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে তথ্য বিশ্লেষণ করে একযোগে ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ময়মনসিংহ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূল পরিকল্পনাকারী জলিল মোল্লাসহ চক্রের আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা ও অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে ডাকাতির ৫ লাখ ৩ হাজার টাকা, ১০৬টি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, ২ লাখ ১২ হাজার টাকার জাল নোট, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি গুলি, একটি চাপাতি এবং তিনটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এ চক্র আগেও ভয়াবহ কয়েকটি ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় গুলি করে ৫০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই এবং ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে গুলি চালিয়ে ৫২ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামিরা।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতি চালাতে এ চক্র আধুনিক প্রযুক্তি, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিভিন্ন ছদ্মবেশে কার্যক্রম পরিচালনা করতো। বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত সম্পদ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে যুগ্ম-কমিশনার ডিবি (দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করা না হলে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তাছাড়া, অধ্যাদেশটি বাতিল না হওয়ার পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি।
বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আন্দোলনকালে এসব কথা জানান তিনি।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক। এ ছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারী, আমরা নিয়ম-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। অধ্যাদেশ বাতিল না হলে রবিবার (২২ জুন) আরও বৃহত্তর আন্দোলন আসবে।’
এর আগে, চাকরি অধ্যাদেশ পুরোপুরি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর।
গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া বাতিলের দাবিতে গত ২৪ মে আন্দোলনে নামেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে এই অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।
সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও আজ (বুধবার) সমাজকল্যাণ উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।
ঈদুল আজহায় টানা ছুটির মাঝে বৃষ্টি হওয়ায় ঢাকার বাতাস মোটামুটি স্বাস্থ্যকর ছিল। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিহীন শুষ্ক পরিবেশ আর ক্রমেই রাজধানীর পুরনো ভিড় বাড়তে থাকায় দূষণও বাড়ছে সমান তালে।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে দেখা যায়, বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় ফের শীর্ষস্থানগুলোতে জায়গা করে নিয়েছে ঢাকা। এ সময়ে ১৪২ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত বাতাসের শহর ছিল বাংলাদেশের রাজধানী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর।
এ সময় ১৫৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষ দূষিত শহর ছিল ইন্দোনেশিয়ার মেদান। এ ছাড়া ১২৬ ও ১২৪ স্কোর নিয়ে ঢাকার পরেই ছিল যথাক্রমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ও মিসরের কায়রো।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান ‘নগদের’ এক পরিবেশকের এক কোটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সূত্র এমন তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানায়, ‘আব্দুল খালেক নয়ন নগদের একজন পরিবেশক। তিনি উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের একটি ফ্লাটে থাকেন। শনিবার সকালে তিনি তার চারজন এমপ্লয়িকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে বাসার পাশেই পরিবেশক অফিসে পাঠাচ্ছিলেন। সাথে এক কোটি টাকার বেশি ছিল।’
‘তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল দুটি বারো নম্বর রোড ক্রস করে যখন তেরো নম্বর রোডে ঢুকছিল, তখন ওৎপেতে থাকা একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাস তাদের গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে র্যাবের পোশাক পরিহিত তিন থেকে চারজন নেমে এসে টাকার ব্যাগ বহনকারী মোটরসাইকেল আরোহীদের ধাওয়া করে।’
পুলিশ আরও জানায়, এদের মধ্যে একজন আরোহী দৌড়ে পালিয়ে গেলেও তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ তারা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরবর্তীতে তারা উত্তরা সতেরো নম্বর সেক্টরে নগদ মাইক্রোবাস থেকে তাদের ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ সহ পালিয়ে যায়।
যোগাযোগ করা হলে উত্তরা ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার মইদুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, ‘ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সিসিটিভির ফোটেজ সংগ্রহ করেছেন। ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।’
ঈদ উপলক্ষে লম্বা ছুটিতে বেশ কিছুদিন ধরে একপ্রকার ফাঁকা হয়ে গেছে শহর ঢাকা। সড়কগুলোতে নেই যানবাহনের চাপ; স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতও বন্ধ; রাস্তায় লোকজনও হাতেগোনা। এই অবস্থায় গত কয়েকদিন বৃষ্টি কমে গেলেও রাজধানীর বাতাসের মানে খুব বেশি অবনতি হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল মাত্র ৬৬। আর দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান আরও অবাক হওয়ার মতো। প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় জায়গা করে নিলেও ঢাকার অবস্থান আজ ৫৫তম।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’। ঢাকার বাতাস আজ মাঝারি হলেও ‘ভালো’ থেকে খুব বেশি দূরে নয়।
এই সময়ে ৬৭ একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকার ৫২তম স্থানে ছিল স্পেনের বার্সেলোনা, ৫০তম স্থানে সুইজারল্যান্ডের বেয়ার্ন, ৬৮ স্কোর নিয়ে ৪৯তম স্থানে যুক্তরাষ্ট্রের সল্ট লেক সিটি, ৭০ ও ৭১ স্কোর নিয়ে ৪৪ ও ৪৩তম স্থানে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসি, ৭৩ স্কোর নিয়ে ৩৮তম স্থানে কানাডার টরেন্টো, ৮০ স্কোর নিয়ে ২৭তম দূষিত শহর শিকাগো, ৯৯ স্কোর নিয়ে ১৫তম স্থানে ইতালির রোম এবং ১২৮ স্কোর নিয়ে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে মিলান।
তবে ১৬৮ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল ভারতের দিল্লি। ১৬২, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে এর পরের তিন দূষিত শহর যথাক্রমে ইরাকের বাগদাদ, পাকিস্তানের লাহোর ও সৌদি আরবের রিয়াদ।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
এডিস মশার বিস্তার রোধে তাৎক্ষণিক ফল পেতে ১৪ জুন থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন(ডিএসসিসি) এলাকায় দ্বিগুণহারে কীটনাশক প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে করণীয় নির্ধারণ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও করোনা প্রতিরোধে ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর ওয়াসা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রমে (ফগার মেশিন দ্বারা পরিচালিত) বর্তমানে ব্যবহৃত ৩০ লিটার কীটনাশকের পরিবর্তে দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থাৎ ৬০ লিটার কীটনাশক প্রতিদিন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠন ও জনবল ঘাটতি পূরণে উদ্যোগসহ জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় মশক কর্মীদের সকাল ও বিকেলে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা, সঠিক অনুপাতে কীটনাশক প্রয়োগ যাচাই, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং মশক কর্মী দ্বারা বাড়ির ভিতর, আঙিনা ও ছাদের জমানো পানিসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক এবং সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে অঞ্চল ভিত্তিক ডেঙ্গু মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া, ডেঙ্গু ও করোনা বিষয়ে ডিএসসিসি সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফারিয়া ফয়েজকে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাসের মধ্যে কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে নগর ভবনে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রতিদিনের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের হালনাগাদ তথ্য ডিএসসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। মশক নিধনে জনবল ঘাটতি পূরণে নিয়োগ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখাসহ ডেঙ্গু ও করোনা রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।
গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য