নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে থাকা জাতীয় পরিচয়ত্রের (এনআইডি) দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সরিয়ে নেয়া নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে হইচই। দায়িত্ব সরানোর সিদ্ধান্তের জন্য ইসির গাফিলতিজনিত জনদুর্ভোগকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। অন্যদিকে ইসিসহ সুশীল সমাজ সরকারি এই সিদ্ধান্তকে দেখছে সাংবিধানিক সংকট ও ইসির স্বাধীনতার কফিনে সরকারের শেষ পেরেক হিসেবে।
ইসি এনআইডির নিয়ন্ত্রণের আশা না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে এ-সংক্রান্ত সেবার মান বাড়িয়ে নাগরিকের দুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে এনআইডি কার্যক্রম ও লোকবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করায় ব্যবস্থা নিতে ইসিকে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আশা ছাড়ছে না ইসি
জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া সহজ হবে না বলে মনে করে ইসি। দায়িত্ব হস্তান্তরে সাংবিধানিক সংকটের বাইরেও নৈতিকতার বিষয় রয়েছে বলে মনে করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বরাষ্ট্রের সুরক্ষা বিভাগকে এ দায়িত্ব স্থানান্তরের কথা বললেও ইসি তার কাজ অব্যাহত রেখেছে। ৩ জুন উপপরিচালক আরাফাত আরা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নাগরিকের দুর্ভোগ লাঘবে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেয় ইসি।
এতে বলা হয়, ‘বর্তমান বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রতিরোধ/মোকাবিলায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। এ লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাগণ বিশেষ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও বিদেশগামী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম যথাসম্ভব দ্রুত সম্পন্ন করবেন।
‘এ ধরনের ব্যক্তিবর্গ যাতে হয়রানিমুক্তভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা পায়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা এবং সেবা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হলো।’
এনআইডি থেকে ইসির আয়
ইসি সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এনআইডি সেবা থেকে ইসি প্রায় ২৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করেছে।
এনআইডির তথ্য-উপাত্ত যাচাই/সরবরাহ চার্জ, এককালীন, নবায়ন ও সাবইউজার চার্জ এবং হারানো এনআইডি তোলা বা সংশোধন থেকে এই টাকা আয় হয়েছে।
প্রায় ১৪০টি প্রতিষ্ঠান ইসির জাতীয় ভোটার তথ্যভান্ডার থেকে নাগরিকদের তথ্য যাচাই সেবা নিয়ে থাকে। তথ্য-উপাত্ত যাচাই/সরবরাহ চার্জ থেকে এখন পর্যন্ত ইসির রাজস্ব আয় হয়েছে ১৪৯ কোটি ১৭ লাখ ১৭ হাজার ১২৫ টাকা।
এই সেবা নিতে হলে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এককালীন, নবায়ন ও সাব-ইউজার চার্জ দিতে হয়।
এ বাবদ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৭৫০ টাকা এবং হারানো ও এনআইডি সংশোধন ফি থেকে আয় হয়েছে ৮২ কোটি ৪৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৯৭ টাকা।
এখন পর্যন্ত এনআইডি সেবা থেকে মোট আয় হয়েছে ২৪৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৭২ টাকা।
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার নিউজবাংলাকে বলেন, শুধু রাজস্ব আয় নয়, এনআইডি সেবার মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, জমি রেজিস্ট্রেশন, বিবাহ রেজিস্ট্রেশন, সিম নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান, চাকরি প্রাপ্তিসহ সব ক্ষেত্রে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। অসংখ্য বেওয়ারিশ লাশের পরিচয়ও নির্ণয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এনআইডি সেবার মাধ্যমে প্রায় ৮ লাখ ভুয়া টিআইএনধারী শনাক্তকরণ, ১২ কোটি মোবাইল সিম নিবন্ধন/পুনর্নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি ১৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে দিবা-রাত্রি পরিচিতি যাচাই সেবা প্রদান, তথ্যভান্ডারে ১০ আঙুলের ছাপ, আইরিস গ্রহণ ও সংরক্ষণ, করোনা দুর্যোগের সময় সফটওয়্যার আপগ্রেড করে অনলাইন সেবাদানের মাধ্যমে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় সেবা পৌঁছে দেয়া ও অনলাইন এনআইডি কপি দেয়া ও সোয়া ৭ কোটি নাগরিককে স্মার্টকার্ড দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে প্রদত্ত নগদ টাকা সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এনআইডি তথ্যভান্ডার থেকে প্রায় ৫০ লাখ নাগরিকের পরিচিতি যাচাই এবং দক্ষতার সাথে ৭ লাখ ৪৬ হাজার ভুয়া/দ্বৈত আইডি/ব্যক্তি শনাক্ত করে সঠিক নাগরিকদের কাছে ঈদ উপহার নিশ্চিতকরণ, বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি সংবলিত ইভিএম প্রচলনের মাধ্যমে নির্বাচনি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে।’
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের জন্য প্রায় ৯ কোটি ৭৫ লাখ ভোটারের বায়োমেট্রিকসহ ডেমোগ্রাফিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
একটি জাতীয় তথ্যভান্ডার গড়ে তোলার মাধ্যমে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রস্তুত করে নিবন্ধিত সব ভোটারকে এনআইডি দেয়ার মাধ্যমে এই সেবার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ২০১০ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ একটি আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি লাভ করে।
ইসির নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে এনআইডি সেবা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ৫১৯টি উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস, ৬৪টি জেলা নির্বাচন অফিস, ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকেও নাগরিকদের এই সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম দিকে এনআইডি সংক্রান্ত সেবা ফ্রি দেওয়া হলেও ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে কমিশন।
কেন স্বরাষ্ট্রে এনআইডি নেয়ার উদ্যোগ
গত ২৪ মে নির্বাচন কমিশনকে এনআইডি কার্যক্রম ও লোকবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করার জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিমের সই করা চিঠিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের কাজটি সুরক্ষা সেবা বিভাগকে দিতে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়।
প্রথমত নির্দেশনায় বলা হয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগের দায়িত্বের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে রুলস অব বিজনেস, ১৯৯৬-এর রুল ১০ অনুসরণ করতে হবে। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদ থেকে ২০১৮ সালের ২ আগস্ট জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে হবে।
দ্বিতীয় নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০-এ ‘নির্বাচন কমিশন’-এর পরিবর্তে ‘সরকার’ শব্দ অন্তর্ভুক্ত করাসহ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তৃতীয় ও শেষ নির্দেশনায় রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল নির্বাচন কমিশন থেকে সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এনআইডি নিয়ে প্রথম থেকেই নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নাগরিকরা। পরিচয়পত্রে তথ্য ভুল করা, জীবিতকে মৃত বানিয়ে দেয়াসহ নানা সমস্যা রয়েছে। ভুল সংশোধনেও লাগে দীর্ঘ সময়।
পাসপোর্ট ইস্যু, বিভিন্ন ব্যক্তির পরিচয় (বিশেষ করে অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি) নিশ্চিত হওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভান্ডারের সহায়তা লাগে। বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং থেকে তারা এ তথ্য সংগ্রহ করে। তবে অন্যের তথ্যভান্ডার থেকে সহায়তা পেতে বেশি সময় ব্যয়সহ আরও কিছু বিষয়ে তাদের বেগ পেতে হচ্ছিল।
‘স্বরাষ্ট্রের হাতেই থাকা উচিত’
জাতীয় পরিচয়পত্রের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতেই থাকা উচিত বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র আর ভোটার আইডি কার্ড এক বিষয় নয়। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হয়। পৃথিবীর সব দেশে এই জাতীয় পরিচয়পত্র দেয় স্বরাষ্ট্র অথবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এটি নির্বাচন কমিশন করে না। নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটার তালিকা নিয়ে কাজ করে।’
বাংলাদেশে শুধু ভোটার তালিকা প্রণয়নের প্রকল্প যৌক্তিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন যখন ভোটার তালিকা নয়, জাতীয় পরিচয়পত্র করা হচ্ছে, তখন পৃথিবীর সব দেশের মতো এটি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকাই যুক্তিযুক্ত।’
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য সকল তথ্য-উপাত্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংগ্রহ করে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট দেয়। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরকেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাসপোর্ট দেয়। তাদেরকেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই সিদ্ধান্ত।’
সাংবিধানিক সংকট দেখছে ইসি
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে অন্য কোনো সংস্থার অধীনে নেয়া হলে সাংবিধানিক সংকটের সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তাই সংকট এড়াতে এটি ইসির অধীনেই থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সংক্রান্ত চিঠি চালাচালির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসির সঙ্গে দুই দফা সাক্ষাৎ করেন।
তাদের যুক্তি, এনআইডি কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিলে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটাদানে জটিলতা সৃষ্টি হবে। ভোটার সার্ভার নিয়ে সংকটের সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের অর্থের বিরাট অপচয় হবে।
সিইসি বলেন, ‘এনআইডি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ভোটার তালিকা ও এনআইডি কার্যক্রম আলাদাভাবে করা যাবে না। এনআইডি কার্যক্রম অন্য কোনো সংস্থার হাতে গেলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হবে।
‘তাই এটি ইসির অধীনেই থাকা উচিত। আমরা বিষয়টি নিয়ে কেবিনেটের কাছে লিখিত যুক্তি তুলে ধরব। এ জন্য এনআইডি মহাপরিচালককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’
এদিকে জনবলসহ জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের নির্দেশনাকে ইসির কফিনে শেষ পেরেক বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘কী উদ্দেশ্যে এই আত্মঘাতী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা বোধগম্য নয়।’
বিষয়টিকে সংবিধান পরিপন্থি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি। মন্ত্রিপরিষদের যুগ্ম সচিব স্বাক্ষরিত ২৪ মের পত্রে এনআইডি হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় ‘নির্বাচন কমিশন’-এর বদলে ‘সরকার’ শব্দটি প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে এনআইডির বিদ্যমান অবকাঠামো ও জনবল সুরক্ষা সেবা বিভাগে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
তিনি বলেন, ‘একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের নির্দেশ দেয়া কতটা যৌক্তিক, তা বিবেচ্য। ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এর ফলে নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজনির্ভর ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে জটিলতা সৃষ্টি হবে।’
মাহবুব তালুকদার বলেন, দায়িত্ব হস্তান্তরে নির্বাচন ব্যবস্থা ও কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হবে।
‘এটি করা হলে সংবিধানের ১১৯ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন সম্ভব হবে না বলে মনে করি। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি স্থানান্তরের নির্দেশ কমিশনের অঙ্গচ্ছেদের নামান্তর। বিষয়টি কমিশনকে না জানানো নির্বাচন কমিশনের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশের শামিল।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠির রাজাপুরে নদীর তীর থেকে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
প্রাণ হারানো যুবকের মামুন হোসেন, যার বয়স ২৫ বছর। তিনি রাজাপুরের পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের মোকসেদ আলীর ছেলে।
ভ্যানচালক মামুন দুই দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন জানিয়ে রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকায় কচা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়। লাশের ময়নাতদন্তসহ পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তবে এটি হত্যা নাকি দুর্ঘটনা, সেটি তদন্তে বের হবে।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের পূর্ব পূয়ালী গ্রামের আব্দুর রহিম হাওলাদারের একমাত্র ছেলে রাব্বি হাওলাদার।
২৫ বছর বয়সী রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট। ডাক্তারের পরামর্শ তার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে। বর্তমানে তার চিকিৎসার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাব্বির কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য এতো টাকা লাগবে শোনার পর থেকেই তার কৃষক বাবা সাহায্যের জন্য ছুটছেন চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ স্থানীয় বিত্তবানদের কাছে। কেন না তার সবকিছুই বিক্রি করে দিলেও এক থেকে দেড় লাখ টাকার বেশি জোগাড় করার সামর্থ্য হচ্ছে না।
রাব্বি বর্তমানে ঢাকার মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এমন অবস্থায় কৃষক বাবা তার সন্তানকে বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। দেশের বিত্তবানরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেই হয়ত বেঁচে যাবে তার সন্তান।
রাব্বির পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাওলাদার কয়েক মাস আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান তার পরিবার। সেখানে চিকিৎসক তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন রাব্বির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা চলছিল রাব্বির, কিন্তু কিছুদিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে মিরপুর কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ওপরে শুধু হাসপাতাল ও ওষুধের বিল দিতে হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারটি আত্মীয়স্বজনসহ সবার সহায়তায় ওই বিল দেয়া সম্ভব হয়।
রাব্বির মা রেভা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এভাবে আর কয়দিন চিকিৎসা করাতে পারব জানি না। কারণ আমাদের সামর্থ্য শেষ হয়ে এসেছে। শুধু টাকার অভাবে তাকে ভালো কোনো হাসপাতালেও নিতে পারছি না, কিন্তু কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অপারেশনের ধকল সহ্য করার মতো সুস্থ অবস্থায় আনা খুব জরুরি।’
রাব্বির বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে অনুরোধ করা হচ্ছে আপনাদের ভালোবাসা ও সাহায্য আমাদের খুব প্রয়োজন। কারণ শুধু টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় আমার একমাত্র ছেলে অকালে ঝরে যাবে তা আমার জীবন থাকতে মানতে পারছি না।’
তাকে কেউ সাহায্য করতে চাইলে ০১৯৯৭-২২৮৯৭৫ ও ০১৯৮৭-৩৬৬৫৬৮ (বিকাশ-পার্সোনাল) নাম্বারে পাঠাতে পারেন ও যোগাযোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ময়মনসিংহের ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার উজানপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে মাদানী সিএনজি পাম্প সংলগ্ন উজানপাড়ায় একটি বাস ইউটার্ন নেয়ার সময় অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ৩৩ বছর বয়সী অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম ও অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে, যারা হলেন ত্রিশালের রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী মনি আক্তার ও একই গ্রামের শামীম আহমেদের ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সাহিদা আক্তার।
আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
ওই সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়, শেখ তামিমের সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।
কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।
ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের দুই দিনের সফরটি হতে পারে আগামী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল।
বার্তা সংস্থাটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব এমওইউ ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন এলডিসি-৫-এর পার্শ্ববৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওই বৈঠকে কাতারের কাছে বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর একই বছরের ৪ মার্চ বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কাতার।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে কাতার।
আরও পড়ুন:ফরিদপুর সদরে যৌনপল্লি থেকে দুই তরুণীকে উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই পল্লির এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার রাতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তারকৃত পারুল বেগম ওরফে পারু (৪৮) জেলার রথখোলা যৌনপল্লির বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন আপন (৩০), জহির (৩০) ও ববি (৩৮)।
গ্রেপ্তার না হওয়া এ তিনজনের মধ্যে ববি যৌনপল্লির সর্দারনি হিসেবে পরিচিত। আপন ও জহিরের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পাওয়া যায়নি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদপুরের কচুয়া থানা এলাকা থেকে এক তরুণীকে গত ১০ মার্চ ঢাকায় নিয়ে আসেন আপন। দুই দিন সেখানে রেখে তাকে (তরুণী) তিন ব্যক্তির হাতে তুলে দেন তিনি। ওই তিন ব্যক্তি ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় তরুণীকে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। পরের দিন একটি সাদা কাগজে তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে জানানো হয়, এখন থেকে তিনি যৌনপল্লির লাইসেন্সধারী সদস্য।
এতে আরও বলা হয়, মেয়েটিকে পারুর বাসায় রেখে ববি ও অন্যদের মাধ্যমে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এর মাঝে মেয়েটি বাড়িতে যোগাযোগের জন্য একজন খদ্দেরকে তার ছোট বোনের মোবাইল নম্বর দেন। পরে ওই খদ্দেরের মোবাইল কলের মাধ্যমে মেয়েটির সন্ধান পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ও ফুফা রথখোলায় এসে তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানা পুলিশকে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পুলিশ যৌনপল্লিতে অভিযান চালানোর পর ফেনীর পূর্ব ছাগলনাইয়ার আরেক তরুণীও তাকে উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য চান। ওই তরুণী জানান, তাকেও চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ঢাকার মিরপুরের একটি বাসায় এক রাত রেখে রথখোলা যৌনপল্লিতে এনে পারুর কাছে বিক্রি করা হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি হাসানুজ্জামান জানান, যৌনপল্লিতে তরুণীকে নেয়ার ঘটনায় তার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফাহিম ফয়সাল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে অভিযান চালিয়ে পারুল বেগম ওরফে পারুকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।
দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।
আরও পড়ুন:নোয়াখালীর কবিরহাটে পুকুরের পানিতে ডুবে সহোদর দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ্বপুর গ্রামের ছর আলী মাঝি বাড়ির পুকুরে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুই শিশু হলো সাত বছর বয়সী বিবি ফাতেমা বেগম ও তার চার বছরের ভাই আবিদ হোসেন। শিশুদ্বয় ছর আলী মাঝি বাড়ির আবদুল হাইয়ের সন্তান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুই ভাই-বোন সকালে ঘরের পাশে পুকুরে দাঁত ব্রাশ করতে যায়। এ সময় হাত-মুখ ধোয়ার সময় একজন পুকুরে পড়ে গেলে আরেকজন উদ্ধার করতে পানিতে নামে।
‘পরে দুজনই পানিতে ডুবে যায়। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যরা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ স্বজনরা নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য